মাওলানা ভাসানী হক কথায় লিখেন, একদিন শয়তানের প্রধানকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না। শয়তানের সকল শাখায় সংবাদ পৌছে গেল যে, শয়তান প্রধাননের কোন খবর নাই। খবর পাওয়া মাত্রই দুনিয়ার সকল শয়তান জরুরী ভিত্তিতে মিটিংয়ে মিলিত হয় এবং ব্যাপক অনুসন্ধান চালানো হয়। কিন্তু দুদিন পার হওয়ার পরও কোন সন্ধান কেউ দিতে পারেনি। অতপর শয়তানের যে এজেন্ট জাহান্নামের দায়িত্বে আছেন তাকে ফোন করা হল, শয়তান প্রধানকে আল্লাহ কোন গোপনে জাহান্নামে ঢুকিয়ে রেখেছে কিনা? খবর আসল তিনি জাহান্নামে নাই। তাহলে বেহেশতে দেখ আল্লাহ কোন তাকে মাফ করে দিয়ে সেখানে রেখেছে কিনা? সকল সম্ভাব্য সুত্রে খবর নিয়ে দেখা গেল তিনি সেখানেও নেই। শয়তানের সকল এজেন্সীগুলো আবারো সচল হল এবং শয়তান প্রধানকে ভূপৃষ্টে তন্ন তন্ন করে খোঁজা হল। কোথাও থেকে কোন আশাব্যঞ্জক খবর পাওয়া গেলনা।
দুদিন পর অকস্মাত খবর আসল শয়তান প্রধানকে পাওয়া গিয়েছে। সবাই প্রশ্ন করল কোথায়?? উত্তর আসল তিনি বাংলাদেশের বঙ্গভবনে। আবারো প্রশ্ন তিনি ওখানে কি করছেন? মাধ্যম উত্তরে জানালেন তিনি এখন শেখ মুজিবের পা টিপাটিপি করিতেছেন। সব শয়তান তাজ্জব হয়ে গেলেন দুনিয়ার এতকাজ থাকতে শয়তান প্রধান শেখ মুজিবের পা কেন টিপতেছেন কেন? তার সাথে কি কথা বলা যায়? উত্তর আসল এমুহুর্তে কথা বলার সময় ওনার হাতে নাই, কেউ যাতে ওনাকে বিরক্ত না করে। তারপরও সকল শয়তান তাদের প্রধানের নিকট অনুনয় বিনয় করে জানতে চাইলেন শেখ মুজিবের পা টিপার রহস্যটি কি? অবশেষে শয়তান প্রধান জানালেন, শয়তান প্রধান নিজেও একজন মানুষকে গোমরাহ করতে অনেক কষ্ট করতে হয়। কখনও সফল হন কখনও ব্যর্থ হন। কিন্তু শেখ মুজিব যেভাবে একটি বক্তৃতা দিয়ে তার সকল অনুসারীদের গোমরাহ করেন, সে যোগ্যতা শয়তান প্রধানের নেই। শেখ মুজিব এককথায় যতজন মানুষকে পথভ্রষ্ট করতে পারেন, শয়তান প্রধান সারা জীবনেও তা করতে পারেন না। আর ৭ই মার্চের ভাষনে শেখ মুজিব এক বক্তৃতায় সাড়ে সাত কোটি মানুষকে গোমরাহ করেছে, যা কিনা সকল শয়তান সদস্য ১০০ বছরে করতে পারেনা। তাই শয়তান প্রধান অন্য সকল কাজ বাদ দিয়ে একজনের পা টিপাতে লেগে গেছেন, যদি শেখ মুজিবের মাধ্যমে আরেকটি বক্তৃতা বের করা যায় এই আশায়।
মাওলানা ভাষানী কর্তৃক প্রকাশিত হক কথা পত্রিকাটি তারপরদিনই নিষিদ্ধ করা হয় চিরতরে। মাওলানা ভাষানী গ্রেফতার হন, নিক্ষিপ্ত হন জেলের প্রকোষ্টে। এখানে উল্লেখ্য মাওলানা ভাষানী শেখ মুজিবর রহমানের রাজনৈতিক গুরু ছিলেন। ৬৭ থেকে ৬৯এর গন আন্দোলন মূলত মাওলানা ভাষানীর সৃষ্টি, সে সময় শেখ মুজিবর রহমান আগরতলা ষড়যন্ত্রে পরিকল্পনারত অবস্থার ব্যস্থ। পরবর্তীতে মাওলানা ভাষানীর সমূদয় ফসল শেখ মুজিবের ঘরে যায়। যাহোক দেশ স্বাধীন হয়, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়না। এ সর্ম্পকে সরকারকে ইতিবাচক বহু লিখা মাওলানা লিখেছেন, দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। ফল হল চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনীর মত। অতপর: মাওলানা এই সম্পাদকীয় লিখেন। এমনিতেই মুজিব সমালোচনা বরদাশত করতেন না, তাই গুরু সমালোচনা করেছেন নাকি শত্রু করেছেন এই চিন্তারও দরকার ছিলনা শেখ মুজিবর রহমানের। তদানীন্তন মুজিবের জীবিতকালে মুজিবের পক্ষে লিখবে এমন পত্রিকার সংখ্যাও নগন্য হয়ে গিয়েছিল। কারন পত্রিকাতো মানুষ নিজের পকেটের পয়সা দিয়ে কিনবে, আর পত্রিকা মালীকেরা সরকারের পক্ষে মিথ্যা আর কত লিখবে? চক্ষু লজ্জা বলে কথা আছেনা। ফলে শেখ মুজিবর রহমান বাকশাল কায়েমের পাক্ষালে মাত্র চারখানা পত্রিকা রেখে বাকী সকল পত্রিকার সার্কুলেশন বাতিল করেন। বাংলা ভাষায় প্রচলিত শব্দ তুই, তুমি, আপনি, শব্দত্রয় মানুষ ক্ষেত্র বিশেষে ব্যবহার করেন। এই তিনটি শব্দ সবাই কম-বেশী ব্যবহার করেন তবে শেখ মুজিবের অভিধানে আপনি শব্দটি ছিলনা। ১৯৭০ সালের আগে তিনি কিছুদিন মাওলানা ভাষানীকে আপনি বলেছেন বলে ইতিহাস আছে। বাকী ৮০ শতাংশ তুই বাকি ২০ শতাংশ তুমি দিয়েই দৈনন্দিন কাজ সারতেন। আর শেখ মুজিবকে একজন মাত্র মানুষ তুই বলার ক্ষমতা রাখতেন তিনি হলেন শেখ মুজিবের বন্ধু চট্টগ্রামের আওয়ামী নেতা জহুর আহাম্মদ চৌধুরী। এদের আচরনে শিষ্টাচারের কোন মাত্রাই ছিলনা। অপরকে বরদাশত না করার প্রবনতা যেমন শেখ মুজিবের আপাদমস্তকে ছিল তেমনি তার বংশধর ও অনুরারীরা এত্থেকে মুক্ত থাকতে পারেনি, পারেওনা। বিরোধী দলকে উপেক্ষা, দমন, দলনে অভ্যস্থ শেখ মুজিব যদি স্বাধীন দেশে একটি সর্বদলীয় কেবিনেট করতেন তাহলে তার ঐতিহাসিক নির্মম পরিনতি হয়ত হতোনা দেশেরও উন্নতি অগ্রগতি হতো। তার পতনের জন্যে শতভাগ আওয়ামীলীগ দায়ী। কারন শেখ মুজিবকে তৈল মেরে মেরে এমন পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছিল সেখান থেকে তার প্রস্থানের পথ আর রাখেনি, তাকে ধারনা দেওয়া হয় আপনি ব্যতীত এ জাতির কান্ডারী আর কেউ নেই। যাদেরকে তার প্রতিপক্ষ ভাবা হত, তাদের হয় জেলে পুরেছেন, গোপনে হত্যা করেছেন বাকিদের বিচার না করে নাগরিকত্ব হরণ করে দেশান্তরী হতে বাধ্য করেছেন। তারপরও সরকার পরিবর্তনের যে ক্ষীন সম্ভাবনা জাতির জীবনে ছিল বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে তারও মৃত্যু ঘটে। শেখ মুজিব নিজেই নির্মম হত্যা ব্যতীত পরিবর্তনের কোন সুযোগ জাতির জন্যে রাখেননি। তার অহমিকা, হঠকারীতা, অবাস্তব সিদ্ধান্ত, তোষামোদ প্রিতী, যোগ্যতার বদলে তৈল মর্দনকে যোগ্যতার মাপকাঠি বিবেচনা, কিছু তরুন ভয়ানক উশৃঙ্খল ব্যক্তির হাতে গুরু দায়িত্ব ন্যস্ত, লোভী, দেশপ্রেমহীন, চাটুকারের হাতে গুরুত্বপূর্ন মন্ত্রনালয় বন্টন, সর্বোপরি দেশ চালানোর জন্যে যোগ্য সচিব-সচিবালয় না থাকায় প্রতি পদে পদে ভারতীয় পরামর্শ গ্রহন, ভারতের নির্বাচিত ব্যক্তিদের পদে পদে প্রবেশ করানোই ছিল শেখ মুজিবের চরম পতনের অন্যতম প্রধান কারন। যার ফলে শুধু তাকেই মরতে হয়নি নিরাপরাধ পুত্রবধু, ছোট সন্তান, পত্নি সবাইকে মরতে হল। এই মৃত্যু খুবই মর্মান্তিক, বেদনাদায়ক জাতির জন্যে। শেখ মুজিব এমন একটি দল গঠন করেছিলেন যার নাম আওয়ামীলীগ, এখানে সুবিধাবাদী, স্বার্থবাদী, হিংসুক, দয়া-মায়া দেশপ্রেমহীন, ধ্বংসকারী, লুটেরাদের আশ্রয়স্থলে পরিনত হয়। পরিনতিতে তার লাশ সিড়িতে পড়ে থাকাবস্থায় নেতারা কে অন্যদেশের রাষ্ট্রদূত হবে, কে মন্ত্রী হবে ইত্যাদি নিয়ে দেন দরবার শুরু করেন। খুবই নিদারুন পরিস্থিতিতে তার লাশ দাফন হল। পরিতাপের বিষয় কোনদিন শুনিনি কোন আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীর মুখে কিংবা শেখ হাসিনা-রেহানার মুখে, শেখ মুজিবর রহমান শহীদ হয়েছেন। ইসলামের ইতিহাসে শাহাদাত সবচেয়ে বড় পাওনা, শেখ মুজিব একজন মুসলিম হিসেবে তার তা পাওনা ছিল। তবে আওয়ামীলও ধরে নিয়েছেন শেখ মুজিব যা করেছেন এবং যে কারনে মরেছেন তাকে অন্তত শহীদ বলা যায়না, তাই দাবীও করা হয়না, অথছ মুক্তিযুদ্ধের সবাইকে, ভাষা আন্দোলনের সবাইকে, এমনকি জিয়াউর রহমানকেও শহীদ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়, কেউ প্রশ্ন তোলেনা। মুসলিম মাত্রই প্রতিটি শহীদকে নামাজে-রোজায়, জিকিরে দোয়া করে। শেখ মুজিব হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী সাজতে গিয়ে সেখান শহীদি সম্মান থেকেও নির্বাসিত হলেন। নিজ জাতি, ধর্ম-গোত্র ছেড়ে অন্য জাতি, ধর্মের প্রিতী বাড়ালে ইতিহাসের শিক্ষা তাই হয়। প্রশ্ন হল বর্তমান আওয়ামীলীগ ও তার নেত্রী উপরোক্ত সকল বিষয় থেকে মুক্তহতে পেরেছিন কি?
দুদিন পর অকস্মাত খবর আসল শয়তান প্রধানকে পাওয়া গিয়েছে। সবাই প্রশ্ন করল কোথায়?? উত্তর আসল তিনি বাংলাদেশের বঙ্গভবনে। আবারো প্রশ্ন তিনি ওখানে কি করছেন? মাধ্যম উত্তরে জানালেন তিনি এখন শেখ মুজিবের পা টিপাটিপি করিতেছেন। সব শয়তান তাজ্জব হয়ে গেলেন দুনিয়ার এতকাজ থাকতে শয়তান প্রধান শেখ মুজিবের পা কেন টিপতেছেন কেন? তার সাথে কি কথা বলা যায়? উত্তর আসল এমুহুর্তে কথা বলার সময় ওনার হাতে নাই, কেউ যাতে ওনাকে বিরক্ত না করে। তারপরও সকল শয়তান তাদের প্রধানের নিকট অনুনয় বিনয় করে জানতে চাইলেন শেখ মুজিবের পা টিপার রহস্যটি কি? অবশেষে শয়তান প্রধান জানালেন, শয়তান প্রধান নিজেও একজন মানুষকে গোমরাহ করতে অনেক কষ্ট করতে হয়। কখনও সফল হন কখনও ব্যর্থ হন। কিন্তু শেখ মুজিব যেভাবে একটি বক্তৃতা দিয়ে তার সকল অনুসারীদের গোমরাহ করেন, সে যোগ্যতা শয়তান প্রধানের নেই। শেখ মুজিব এককথায় যতজন মানুষকে পথভ্রষ্ট করতে পারেন, শয়তান প্রধান সারা জীবনেও তা করতে পারেন না। আর ৭ই মার্চের ভাষনে শেখ মুজিব এক বক্তৃতায় সাড়ে সাত কোটি মানুষকে গোমরাহ করেছে, যা কিনা সকল শয়তান সদস্য ১০০ বছরে করতে পারেনা। তাই শয়তান প্রধান অন্য সকল কাজ বাদ দিয়ে একজনের পা টিপাতে লেগে গেছেন, যদি শেখ মুজিবের মাধ্যমে আরেকটি বক্তৃতা বের করা যায় এই আশায়।
মাওলানা ভাষানী কর্তৃক প্রকাশিত হক কথা পত্রিকাটি তারপরদিনই নিষিদ্ধ করা হয় চিরতরে। মাওলানা ভাষানী গ্রেফতার হন, নিক্ষিপ্ত হন জেলের প্রকোষ্টে। এখানে উল্লেখ্য মাওলানা ভাষানী শেখ মুজিবর রহমানের রাজনৈতিক গুরু ছিলেন। ৬৭ থেকে ৬৯এর গন আন্দোলন মূলত মাওলানা ভাষানীর সৃষ্টি, সে সময় শেখ মুজিবর রহমান আগরতলা ষড়যন্ত্রে পরিকল্পনারত অবস্থার ব্যস্থ। পরবর্তীতে মাওলানা ভাষানীর সমূদয় ফসল শেখ মুজিবের ঘরে যায়। যাহোক দেশ স্বাধীন হয়, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়না। এ সর্ম্পকে সরকারকে ইতিবাচক বহু লিখা মাওলানা লিখেছেন, দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। ফল হল চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনীর মত। অতপর: মাওলানা এই সম্পাদকীয় লিখেন। এমনিতেই মুজিব সমালোচনা বরদাশত করতেন না, তাই গুরু সমালোচনা করেছেন নাকি শত্রু করেছেন এই চিন্তারও দরকার ছিলনা শেখ মুজিবর রহমানের। তদানীন্তন মুজিবের জীবিতকালে মুজিবের পক্ষে লিখবে এমন পত্রিকার সংখ্যাও নগন্য হয়ে গিয়েছিল। কারন পত্রিকাতো মানুষ নিজের পকেটের পয়সা দিয়ে কিনবে, আর পত্রিকা মালীকেরা সরকারের পক্ষে মিথ্যা আর কত লিখবে? চক্ষু লজ্জা বলে কথা আছেনা। ফলে শেখ মুজিবর রহমান বাকশাল কায়েমের পাক্ষালে মাত্র চারখানা পত্রিকা রেখে বাকী সকল পত্রিকার সার্কুলেশন বাতিল করেন। বাংলা ভাষায় প্রচলিত শব্দ তুই, তুমি, আপনি, শব্দত্রয় মানুষ ক্ষেত্র বিশেষে ব্যবহার করেন। এই তিনটি শব্দ সবাই কম-বেশী ব্যবহার করেন তবে শেখ মুজিবের অভিধানে আপনি শব্দটি ছিলনা। ১৯৭০ সালের আগে তিনি কিছুদিন মাওলানা ভাষানীকে আপনি বলেছেন বলে ইতিহাস আছে। বাকী ৮০ শতাংশ তুই বাকি ২০ শতাংশ তুমি দিয়েই দৈনন্দিন কাজ সারতেন। আর শেখ মুজিবকে একজন মাত্র মানুষ তুই বলার ক্ষমতা রাখতেন তিনি হলেন শেখ মুজিবের বন্ধু চট্টগ্রামের আওয়ামী নেতা জহুর আহাম্মদ চৌধুরী। এদের আচরনে শিষ্টাচারের কোন মাত্রাই ছিলনা। অপরকে বরদাশত না করার প্রবনতা যেমন শেখ মুজিবের আপাদমস্তকে ছিল তেমনি তার বংশধর ও অনুরারীরা এত্থেকে মুক্ত থাকতে পারেনি, পারেওনা। বিরোধী দলকে উপেক্ষা, দমন, দলনে অভ্যস্থ শেখ মুজিব যদি স্বাধীন দেশে একটি সর্বদলীয় কেবিনেট করতেন তাহলে তার ঐতিহাসিক নির্মম পরিনতি হয়ত হতোনা দেশেরও উন্নতি অগ্রগতি হতো। তার পতনের জন্যে শতভাগ আওয়ামীলীগ দায়ী। কারন শেখ মুজিবকে তৈল মেরে মেরে এমন পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছিল সেখান থেকে তার প্রস্থানের পথ আর রাখেনি, তাকে ধারনা দেওয়া হয় আপনি ব্যতীত এ জাতির কান্ডারী আর কেউ নেই। যাদেরকে তার প্রতিপক্ষ ভাবা হত, তাদের হয় জেলে পুরেছেন, গোপনে হত্যা করেছেন বাকিদের বিচার না করে নাগরিকত্ব হরণ করে দেশান্তরী হতে বাধ্য করেছেন। তারপরও সরকার পরিবর্তনের যে ক্ষীন সম্ভাবনা জাতির জীবনে ছিল বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে তারও মৃত্যু ঘটে। শেখ মুজিব নিজেই নির্মম হত্যা ব্যতীত পরিবর্তনের কোন সুযোগ জাতির জন্যে রাখেননি। তার অহমিকা, হঠকারীতা, অবাস্তব সিদ্ধান্ত, তোষামোদ প্রিতী, যোগ্যতার বদলে তৈল মর্দনকে যোগ্যতার মাপকাঠি বিবেচনা, কিছু তরুন ভয়ানক উশৃঙ্খল ব্যক্তির হাতে গুরু দায়িত্ব ন্যস্ত, লোভী, দেশপ্রেমহীন, চাটুকারের হাতে গুরুত্বপূর্ন মন্ত্রনালয় বন্টন, সর্বোপরি দেশ চালানোর জন্যে যোগ্য সচিব-সচিবালয় না থাকায় প্রতি পদে পদে ভারতীয় পরামর্শ গ্রহন, ভারতের নির্বাচিত ব্যক্তিদের পদে পদে প্রবেশ করানোই ছিল শেখ মুজিবের চরম পতনের অন্যতম প্রধান কারন। যার ফলে শুধু তাকেই মরতে হয়নি নিরাপরাধ পুত্রবধু, ছোট সন্তান, পত্নি সবাইকে মরতে হল। এই মৃত্যু খুবই মর্মান্তিক, বেদনাদায়ক জাতির জন্যে। শেখ মুজিব এমন একটি দল গঠন করেছিলেন যার নাম আওয়ামীলীগ, এখানে সুবিধাবাদী, স্বার্থবাদী, হিংসুক, দয়া-মায়া দেশপ্রেমহীন, ধ্বংসকারী, লুটেরাদের আশ্রয়স্থলে পরিনত হয়। পরিনতিতে তার লাশ সিড়িতে পড়ে থাকাবস্থায় নেতারা কে অন্যদেশের রাষ্ট্রদূত হবে, কে মন্ত্রী হবে ইত্যাদি নিয়ে দেন দরবার শুরু করেন। খুবই নিদারুন পরিস্থিতিতে তার লাশ দাফন হল। পরিতাপের বিষয় কোনদিন শুনিনি কোন আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীর মুখে কিংবা শেখ হাসিনা-রেহানার মুখে, শেখ মুজিবর রহমান শহীদ হয়েছেন। ইসলামের ইতিহাসে শাহাদাত সবচেয়ে বড় পাওনা, শেখ মুজিব একজন মুসলিম হিসেবে তার তা পাওনা ছিল। তবে আওয়ামীলও ধরে নিয়েছেন শেখ মুজিব যা করেছেন এবং যে কারনে মরেছেন তাকে অন্তত শহীদ বলা যায়না, তাই দাবীও করা হয়না, অথছ মুক্তিযুদ্ধের সবাইকে, ভাষা আন্দোলনের সবাইকে, এমনকি জিয়াউর রহমানকেও শহীদ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়, কেউ প্রশ্ন তোলেনা। মুসলিম মাত্রই প্রতিটি শহীদকে নামাজে-রোজায়, জিকিরে দোয়া করে। শেখ মুজিব হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী সাজতে গিয়ে সেখান শহীদি সম্মান থেকেও নির্বাসিত হলেন। নিজ জাতি, ধর্ম-গোত্র ছেড়ে অন্য জাতি, ধর্মের প্রিতী বাড়ালে ইতিহাসের শিক্ষা তাই হয়। প্রশ্ন হল বর্তমান আওয়ামীলীগ ও তার নেত্রী উপরোক্ত সকল বিষয় থেকে মুক্তহতে পেরেছিন কি?
No comments:
Post a Comment