Saturday, 12 October 2024
কেন হাসিনা আমলে, হাসিনা ভারতের সাথে চুক্তিগুলো সংসদে আলোচনা করত না তার কারন
কেন হাসিনা আমলে, হাসিনা ভারতের সাথে চুক্তিগুলো সংসদে আলোচনা করত না তার কারন খুজতেছিলাম।
যে কারন গুলো পেলাম, এক বাক্যে বললে, " চুক্তি ভারতের দ্বারা নির্ধারিত ও লিখিত হত তাই তা নিয়ে হাসিনার সংসদে আলোচনার কিছুই ছিল না।
যেমন, উপকূলে ভারতীয় রাডার চুক্তির মত স্পর্শকাতর বিষয়ে পুরটা স্বার্থই ভারতের তাই এই চুক্তির কন্টেক্স কি হবে তা শুধুই ভারত ঠিক করেছে।
ফেনী নদীর পানির চুক্তিটি এক পাক্ষিক ছিল, যেখানে বাংলাদেশের পক্ষ হতে কোন শর্তারোপ ছাড়াই চুক্তি সম্পাদন হয়।
উপরের দুটি চুক্তি হাসিনা যখন ভারতে গিয়ে করল, চুক্তি সম্পাদনের এক সপ্তাহ পার হলেও বাংলাদেশের গণমাধ্যম গুলো জানতে পারে নাই কি আছে চুক্তির ভিতর, সে সময় সাংবাদিকরা আওয়ামীলীগ নেতাদের জিজ্ঞাসা করেছিল, তারাও অবগত নয় বলে জানান।
আদানী চুক্তির ভয়ংকর তথ্য গুলো চুক্তির আগে কেউ জানত না, এমনকি আদানী কর ছাড় পেলেও করের নামে বাংলাদেশ থেকে অর্থ নিবে এটাও এই চুক্তির নোংরা দিক ছিল, যা চুক্তির আগে হাসিনা কাউকেই জানাই নাই।
ভারতকে দেয়া চট্রগ্রাম বন্দরের একসেস এমন ভাবে দিল হাসিনা, যে বাংলাদেশের কন্টেইনার গুলো হতে ভারতের কন্টেইনার অগ্রাধিকার পাবে। অথচ সদ্য যুদ্ধাহত বাংলাদেশকে সে সময় বন্দর ব্যাবহার করতে দেয় নাই।
হাসিনার আর এক নোংরা চুক্তি মংলা বন্দর সম্প্রসারণে ভারতকে সম্পৃক্তকরণ, এটার বিশদ এখনো দেশবাসী জানে না।
রেল করিডর কোন দেশ অন্য দেশকে দেয় না, কারন রেল করিডর দেশকে দুইভাগে ভাগ করে ফেলে।
আখাউড়া সড়ক অবকাঠামোর কাজটাও এভাবেই জাতির কলংক হাসিনা ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সকল কাজ ভারতের হাতে তুলে দেয়, আর ভারতের তাদের দেশ থেকে দিনমজুর পর্যায়ের কর্মীদের পর্যন্ত বাংলাদেশে আনে। যে সকল হাসিনার পোষা কুকুর ২৬ লাখ ভারতীয় নাগরিকের সন্ধান চাচ্ছে, তাদের রেফারেন্স ভারতীয় আইনজীবী অরুনাভ ঘোষ, সেই ২৬ লাখ ভারতীয় কোন কোন সেক্টরে কাজ করে তা দলিল দিয়েছিল।
বাংলাদেশে এই দলিলাদি আমিই অনুসন্ধান করে স্টেটমেন্ট দিয়েছিলাম আগ্রাসন বিরোধী নানা কর্মসূচিতে, এখন আসিফ নজরুল সাহেব সেই অনুসন্ধানের ভিতরে না ঢুকে আমার বক্তব্য শুনে বলে দিলেন ২৬ লাখ। যার ফলে উনাকে জিজ্ঞাস করলে ভাল কোন উত্তর দিতে পারেন নাই। আজ বলে দিলাম সেই আইনজীবীর নাম অরুনাভ ঘোষ। কতজন ভারতীয় বাংলাদেশে অবস্থান করছে, বাংলাদেশের কাছে সেই তথ্য না থাকলেও ভারতের কাছে সঠিক সংখ্যাটা আছে।
হাসিনার এই সকল চুক্তি যেন ক্ষমতায় থাকতে মোদীর কাছে সতীত্ব বিক্রি, এছাড়া ভাল ভবে বলার কোন ভাষা নাই আমার।
Subscribe to:
Posts (Atom)