Saturday 8 August 2015

মানুষ কেন আইন মানে?

মানুষ কেন আইন মানে?
মানুষ সাধারণত আইন মানে :
১. আইন না মানলে শাস্তি পেতে হবে এজন্য মানে।
২. আইন মানলে কল্যাণ হবে এজন্য মানে।
৩. আইন না মানলে সমাজে, রাষ্ট্রে অরাজকতা দেখা দিবে।
কেউ যদি ইচ্ছা করে আইন না মানে তবে রাষ্ট্র আইন মান্য করার জন্য শক্তি প্রয়োগ করে থাকে অর্থা আইন ভঙ্গ করলে শাস্তি দেয়।
People obey the law if they believe it’s legitimate, not because they fear punishment – this is the opening gambit of Tom Tyler’s foray into the depths of law making and the legal system. মানুষ আইন মানে আইনের বৈধতা, ন্যায্যতা এবং আইন প্রয়োগ কর্তৃপক্ষের বৈধতা বিবেচনা করে, শাস্তির ভয়ে নয়।
আমার মত অনেকে বিশ্বাস করে, বাংলাদেশে এখন আইন প্রয়োগ করার মত কোনো কর্তৃপক্ষ নাই। বুর্জোয়া রাজনীতির কিছু উচ্ছিষ্ট এবং দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেছে। সেই দুর্বৃত্তদের অধীনে পরিচালিত সকল আদালতই ভুয়া। ভুয়া আদালত এবং দুর্বৃত্ত বিচারকদের থেকে ন্যায়বিচার কখনই আশা করা যায়না। তাদের এই দুর্বৃত্তপনার সর্বশেষ শিকার হলেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। হাঁ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে নিয়ে অনেক বিতর্ক থাকতে পারে, কিন্তু ব্যাক্তি সালাউদ্দিন কাদেরকে তাঁর বিচার পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ৪১ জন সাক্ষী থেকে মাত্র ৫ জন কে আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে, ৬ জনের এফিডেবিট আদালত খারিজ করে দিয়েছে যথাযথ ভাবে উপস্থাপন করা হয়নি বলে। শোনা কথার সাক্ষের (Hear say Evidence) ভিত্তিতে তাকে ফাসি দেয়া হয়েছে। জংলি শাসনে কিংবা গ্রাম্য সালিশে ও শোনা কথা কে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়না।
''Hearsay evidence is normally excluded from a trial because it is deemed untrustworthy. “Hearsay” is a statement other than one made by the witness testifying at the trial, offered in evidence to prove that the matter asserted in the statement is true.''
এসব বিতর্কিত এবং ভুয়া রায়ের কারণে মানুষের মনে আইনের শাসনের প্রতি চরম অশ্রদ্ধা তৈরী হয়েছে। অতি শিগ্রই দেখা যাবে গণ আইন অমান্য কর্মসূচি। মানুষ আইন মানবেনা, কারণ আদালত নিজেই নিজের সম্মান ক্ষুন্ন করতে লিপ্ত। কালা মানিক আর সিনহা বাবুর এই আদালত অনির্বাচিত সরকারের তল্পিবাহক এবং এজেন্ডা বাস্তবায়নের হাতিয়ারে পরিনত হয়েছে। এই আদালতের প্রতি আমার কোনো শ্রদ্ধাবোধ নাই।
আমি বিশ্বাস করি এস কে সিনহা, নিজামুল হক নাসিম এবং কালা মানিকের মত দুর্বৃত্তদের একদিন বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করানো হবে। স্বাধীন বিচার ব্যাবস্থার প্রতি তাদের বৃদ্ধাঙ্গুলি কতকাল আর মানুষ দেখবে।
পুনশ্চ: এই লেখার সব দায় দায়িত্ব আমার। অতি উত্সাহী কেউ যদি দেখেন , আদালত অবমাননার রুল জারির জন্য আবেদন করতে পারেন।