বহুগামিতা, স্বাধীনতা এবং একজন মিথিলা।
.......................................
ছোট পর্দার অভিনেত্রী মিথিলার বিয়ে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে। কার্যত পক্ষে-বিপক্ষে দুটি ভাগে ভাগ হয়েছেন নেটিজেনরা। রাষ্ট্রের আইন, সামাজিক মূল্যবোধ এবং ধর্মীয় বিধিনিষেধের কথা বাদই দেয়া যাক। প্রথমেই স্বীকার করে নেয়া যাক মানুষ হিসেবে তাঁর অধিকার গুলো।
১. যখন তখন যে কাউকে সঙ্গী হিসেবে পাওয়ার কিংবা ত্যাগ করার অধিকার মিথিলার রয়েছে।
২. তিঁনি কার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করবেন অথবা করবেননা, সেই অধিকার তাঁর রয়েছে।
৩. মিথিলার চিন্তার এবং মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে।
৪. বহুগামী কিংবা মনোগ্যামি হওযার অধিকার
মিথিলার রয়েছে।
বর্তমান বিশ্বে টেলিভিশন মিডিয়ায় এবং চলচ্চিত্রে যারা কাজ করেন তাদেরকে সেলিব্রেটি হিসেবে ধরা হয়। লক্ষ-কোটি মানুষ তাদেরকে অনুসরণ করে, তরুণ প্রজন্মের কাছে অনেকে রীতিমতো “আইকন“! সমাজে এসব সেলিব্রেটিদের ব্যাপক প্রভাব আছে, এটা স্বীকার করতে দ্বিধা নেই। সেলিব্রেটিদের কেউ কেউ জাতিসংঘের শান্তির দূত, বিখ্যাত সাহায্য সংস্থার এম্বাসেডর অথবা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন মডেল। যাঁদের দেখে মানুষ অনুপ্রানিত হয়, পৃথিবীর কল্যানে কিংবা সমাজের কল্যানে কাজ করার চেষ্টা করে।
যাকে দেখে মানুষ শিখবে, তাঁর ব্যক্তি জীবনই আসলে ঠিক নেই। একজনের সাথে একযুগ কাটিয়ে, দুই বছরের মধ্যে আবার দুইজন ছেলে বন্ধুর সাথে ”লিভ টুগেদার” করে, বর্তমানে ৪ চতুর্থ বন্ধুর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তাহলে স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন জাগে
১. প্রথম তিনজনের সাথে তিনি যে থাকতে পারেননি, এটা কি মিথিলার নাকি তাঁর ছেলে বন্ধুদের ব্যর্থতা ?
২. মিথিলার মতো একজন “বহুগামী“ নারীর কাছ থেকে মানুষ কি শিখবে ?
৩. যতদূর জানা যায় মিথিলা ব্র্যাকের “আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট“ প্রজেক্টের অন্যতম দায়িত্বে আছেন। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তার এই কর্মকান্ড তাঁকে বিবেকের কাঠ গড়ায় দাঁড় করায় না ?
৪. সাবেক তিনজন বন্ধুর সাথে মিথিলার “বনিবনা” হয়নি, চতুর্থবার বনিবনা হবে বলেও কোনো নিশ্চয়তা নেই। এটা কি মানসিক অসুস্থতা হিসেবে ধরে নেয়া যায় ?
৫. ব্র্যাকের মতো প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার “নৈতিক অধিকার“ কি রয়েছে মিথিলার ?
বিঃদ্রঃ ব্যক্তি মিথিলার প্রতি ক্ষোভ থাকার কোনো কারণ থাকতে পারেনা, তবে ব্যক্তি যদি সমাজে প্রভাব বিস্তার করেন তাহলে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ওই ব্যক্তির সমালোচনা দোষের কিছু নয়।
প্যারিস
০৮ ডিসেম্বর ২০১৯
.......................................
ছোট পর্দার অভিনেত্রী মিথিলার বিয়ে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে। কার্যত পক্ষে-বিপক্ষে দুটি ভাগে ভাগ হয়েছেন নেটিজেনরা। রাষ্ট্রের আইন, সামাজিক মূল্যবোধ এবং ধর্মীয় বিধিনিষেধের কথা বাদই দেয়া যাক। প্রথমেই স্বীকার করে নেয়া যাক মানুষ হিসেবে তাঁর অধিকার গুলো।
১. যখন তখন যে কাউকে সঙ্গী হিসেবে পাওয়ার কিংবা ত্যাগ করার অধিকার মিথিলার রয়েছে।
২. তিঁনি কার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করবেন অথবা করবেননা, সেই অধিকার তাঁর রয়েছে।
৩. মিথিলার চিন্তার এবং মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে।
৪. বহুগামী কিংবা মনোগ্যামি হওযার অধিকার
মিথিলার রয়েছে।
বর্তমান বিশ্বে টেলিভিশন মিডিয়ায় এবং চলচ্চিত্রে যারা কাজ করেন তাদেরকে সেলিব্রেটি হিসেবে ধরা হয়। লক্ষ-কোটি মানুষ তাদেরকে অনুসরণ করে, তরুণ প্রজন্মের কাছে অনেকে রীতিমতো “আইকন“! সমাজে এসব সেলিব্রেটিদের ব্যাপক প্রভাব আছে, এটা স্বীকার করতে দ্বিধা নেই। সেলিব্রেটিদের কেউ কেউ জাতিসংঘের শান্তির দূত, বিখ্যাত সাহায্য সংস্থার এম্বাসেডর অথবা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন মডেল। যাঁদের দেখে মানুষ অনুপ্রানিত হয়, পৃথিবীর কল্যানে কিংবা সমাজের কল্যানে কাজ করার চেষ্টা করে।
যাকে দেখে মানুষ শিখবে, তাঁর ব্যক্তি জীবনই আসলে ঠিক নেই। একজনের সাথে একযুগ কাটিয়ে, দুই বছরের মধ্যে আবার দুইজন ছেলে বন্ধুর সাথে ”লিভ টুগেদার” করে, বর্তমানে ৪ চতুর্থ বন্ধুর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তাহলে স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন জাগে
১. প্রথম তিনজনের সাথে তিনি যে থাকতে পারেননি, এটা কি মিথিলার নাকি তাঁর ছেলে বন্ধুদের ব্যর্থতা ?
২. মিথিলার মতো একজন “বহুগামী“ নারীর কাছ থেকে মানুষ কি শিখবে ?
৩. যতদূর জানা যায় মিথিলা ব্র্যাকের “আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট“ প্রজেক্টের অন্যতম দায়িত্বে আছেন। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তার এই কর্মকান্ড তাঁকে বিবেকের কাঠ গড়ায় দাঁড় করায় না ?
৪. সাবেক তিনজন বন্ধুর সাথে মিথিলার “বনিবনা” হয়নি, চতুর্থবার বনিবনা হবে বলেও কোনো নিশ্চয়তা নেই। এটা কি মানসিক অসুস্থতা হিসেবে ধরে নেয়া যায় ?
৫. ব্র্যাকের মতো প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার “নৈতিক অধিকার“ কি রয়েছে মিথিলার ?
বিঃদ্রঃ ব্যক্তি মিথিলার প্রতি ক্ষোভ থাকার কোনো কারণ থাকতে পারেনা, তবে ব্যক্তি যদি সমাজে প্রভাব বিস্তার করেন তাহলে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ওই ব্যক্তির সমালোচনা দোষের কিছু নয়।
প্যারিস
০৮ ডিসেম্বর ২০১৯