Thursday, 26 November 2015

নারী নির্যাতনের অবস্থান

সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের বিস্ময়কর সাফল্যের পেছনে নারীর অগ্রগতি বড় ভূমিকা রাখলেও ঘরের মধ্যে নারীর অবস্থা তেমন বদলায়নি। দেশের বিবাহিত নারীদের ৮৭ শতাংশই স্বামীর মাধ্যমে কোনো না কোনো সময়ে, কোনো না কোনো ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশ বলেছেন, তাঁরা স্বামীর মাধ্যমে শারীরিক নির্যাতন ভোগ করেছেন, ৩৬ শতাংশ যৌন নির্যাতন, ৮২ শতাংশ মানসিক এবং ৫৩ শতাংশ নারী স্বামীর মাধ্যমে অর্থনৈতিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বিস্ময়কর আরও তথ্য হচ্ছে, এসব নারীর ৭৭ শতাংশ বলেছেন, তাঁরা বিগত এক বছরেও একই ধরনের নির্যাতন ভোগ করেছেন। বড় অংশের নারীকেই তাঁদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্বামীর সঙ্গে যৌনসম্পর্ক গড়তে বাধ্য হতে হয়েছে। সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) দেশে প্রথমবারের মতো নারী নির্যাতন নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে একটি জরিপ চালিয়েছে। ‘ভায়োলেন্স অ্যাগেইনস্ট উইমেন (ভিএডব্লিউ) সার্ভে ২০১১’ নামের এই জরিপে নারী নির্যাতনের এ ধরনের চিত্রই উঠে এসেছে। গত বছরের ডিসেম্বরে এ প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। এর আগে দেশে নারী নির্যাতন নিয়ে বিভিন্ন সংস্থা আলাদাভাবে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। তবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিবিএসের এ জরিপ বলেছে, শারীরিক নির্যাতনের শিকার নারীদের মাত্র অর্ধেক চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ পান। এক- তৃতীয়াংশ নারীই স্বামীর ভয়ে বা স্বামী সম্মতি না দেওয়ায় চিকিৎসকের কাছ পর্যন্ত যেতেই পারেননি।
আন্তর্জাতিক সিডও কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান সালমা খান প্রথম আলোকে বলেন, পারিবারিক নির্যাতন নিয়ে আগে নারীরা মুখ খুলতেন না। ঘরোয়া ব্যাপার বা লজ্জাজনক মনে করতেন। বর্তমানে মুখ খুলছেন। অন্যদিকে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বহুদিন আগে থেকেই কাজ হচ্ছে। কিন্তু নারী নির্যাতনের মাত্রা বাড়ছেই। এর মূল কারণ হলো, নারী নির্যাতনের
বিষয়টি এখনো জাতীয় বিষয়ে পরিণত হতে পারেনি। চোখের সামনে নির্যাতন দেখলেও সবাই মেনে নিচ্ছে।দুর্বল আইনের শাসনও এ ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলছে। তাই এ ধরনের সংস্কৃতি যত দিন পরিবর্তন না হবে, তত দিননির্যাতন বন্ধ করা সম্ভব হবে না।
জরিপ: জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় সরকার এ জরিপ করেছে। এ জরিপ প্রকল্পের পরিচালক জাহিদুল হক সরদার প্রথম আলোকে বলেন, জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সদস্যরাষ্ট্রগুলোতে নারী নির্যাতনের অবস্থান জানার জন্য জাতিসংঘের পরিসংখ্যান বিভাগের (ইউএনএসডি) নির্ধারিত মানদণ্ডের আলোকে জরিপ চালানোর আহ্বান জানানো হলে ভিয়েতনামের পরেই বাংলাদেশ এ ধরনের জরিপ চালিয়েছে। নির্ধারিত মানদণ্ডে বিবাহিত নারীদের যৌন নির্যাতনের বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে কিছু কিছু বিষয়, যেগুলো দেশের জন্য প্রযোজ্য নয়, তা বাদ দেওয়া হয়েছে। ভিয়েতনামের পরিস্থিতি অবশ্য বাংলাদেশের তুলনায় খানিকটা ভালো। ভিয়েতনামের করা জরিপ অনুযায়ী, সে দেশের ৫৮ শতাংশ নারীই স্বামীর মাধ্যমে কোনো না কোনোভাবে নির্যাতনের শিকার হন। অন্যদিকে, উন্নত বিশ্বের নারীরাও পারিবারিক নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। ২০১০ সালের ইউরোপীয় ইউনিয়নের করা এক জরিপে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউরোপের প্রতি চারজন নারীর মধ্যে একজন জীবনের কোনো না কোনো সময়ে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হন। জরিপে বলা হয়েছে, ৭৮ শতাংশই মনে করেন, নারী নির্যাতন খুবই পরিচিত ঘটনা। অন্য একটি গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইসরায়েল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও যুক্তরাষ্ট্রে ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ নারী তাঁদের স্বামী বা ছেলেবন্ধুর হাতে খুন হন।

নারী নির্যাতনের

সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের বিস্ময়কর সাফল্যের পেছনে নারীর অগ্রগতি বড় ভূমিকা রাখলেও ঘরের মধ্যে নারীর অবস্থা তেমন বদলায়নি। দেশের বিবাহিত নারীদের ৮৭ শতাংশই স্বামীর মাধ্যমে কোনো না কোনো সময়ে, কোনো না কোনো ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশ বলেছেন, তাঁরা স্বামীর মাধ্যমে শারীরিক নির্যাতন ভোগ করেছেন, ৩৬ শতাংশ যৌন নির্যাতন, ৮২ শতাংশ মানসিক এবং ৫৩ শতাংশ নারী স্বামীর মাধ্যমে অর্থনৈতিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বিস্ময়কর আরও তথ্য হচ্ছে, এসব নারীর ৭৭ শতাংশ বলেছেন, তাঁরা বিগত এক বছরেও একই ধরনের নির্যাতন ভোগ করেছেন। বড় অংশের নারীকেই তাঁদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্বামীর সঙ্গে যৌনসম্পর্ক গড়তে বাধ্য হতে হয়েছে। সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) দেশে প্রথমবারের মতো নারী নির্যাতন নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে একটি জরিপ চালিয়েছে। ‘ভায়োলেন্স অ্যাগেইনস্ট উইমেন (ভিএডব্লিউ) সার্ভে ২০১১’ নামের এই জরিপে নারী নির্যাতনের এ ধরনের চিত্রই উঠে এসেছে। গত বছরের ডিসেম্বরে এ প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। এর আগে দেশে নারী নির্যাতন নিয়ে বিভিন্ন সংস্থা আলাদাভাবে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। তবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিবিএসের এ জরিপ বলেছে, শারীরিক নির্যাতনের শিকার নারীদের মাত্র অর্ধেক চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ পান। এক- তৃতীয়াংশ নারীই স্বামীর ভয়ে বা স্বামী সম্মতি না দেওয়ায় চিকিৎসকের কাছ পর্যন্ত যেতেই পারেননি।
আন্তর্জাতিক সিডও কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান সালমা খান প্রথম আলোকে বলেন, পারিবারিক নির্যাতন নিয়ে আগে নারীরা মুখ খুলতেন না। ঘরোয়া ব্যাপার বা লজ্জাজনক মনে করতেন। বর্তমানে মুখ খুলছেন। অন্যদিকে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বহুদিন আগে থেকেই কাজ হচ্ছে। কিন্তু নারী নির্যাতনের মাত্রা বাড়ছেই। এর মূল কারণ হলো, নারী নির্যাতনের
বিষয়টি এখনো জাতীয় বিষয়ে পরিণত হতে পারেনি। চোখের সামনে নির্যাতন দেখলেও সবাই মেনে নিচ্ছে।দুর্বল আইনের শাসনও এ ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলছে। তাই এ ধরনের সংস্কৃতি যত দিন পরিবর্তন না হবে, তত দিননির্যাতন বন্ধ করা সম্ভব হবে না।
জরিপ: জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় সরকার এ জরিপ করেছে। এ জরিপ প্রকল্পের পরিচালক জাহিদুল হক সরদার প্রথম আলোকে বলেন, জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সদস্যরাষ্ট্রগুলোতে নারী নির্যাতনের অবস্থান জানার জন্য জাতিসংঘের পরিসংখ্যান বিভাগের (ইউএনএসডি) নির্ধারিত মানদণ্ডের আলোকে জরিপ চালানোর আহ্বান জানানো হলে ভিয়েতনামের পরেই বাংলাদেশ এ ধরনের জরিপ চালিয়েছে। নির্ধারিত মানদণ্ডে বিবাহিত নারীদের যৌন নির্যাতনের বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে কিছু কিছু বিষয়, যেগুলো দেশের জন্য প্রযোজ্য নয়, তা বাদ দেওয়া হয়েছে। ভিয়েতনামের পরিস্থিতি অবশ্য বাংলাদেশের তুলনায় খানিকটা ভালো। ভিয়েতনামের করা জরিপ অনুযায়ী, সে দেশের ৫৮ শতাংশ নারীই স্বামীর মাধ্যমে কোনো না কোনোভাবে নির্যাতনের শিকার হন। অন্যদিকে, উন্নত বিশ্বের নারীরাও পারিবারিক নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। ২০১০ সালের ইউরোপীয় ইউনিয়নের করা এক জরিপে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউরোপের প্রতি চারজন নারীর মধ্যে একজন জীবনের কোনো না কোনো সময়ে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হন। জরিপে বলা হয়েছে, ৭৮ শতাংশই মনে করেন, নারী নির্যাতন খুবই পরিচিত ঘটনা। অন্য একটি গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইসরায়েল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও যুক্তরাষ্ট্রে ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ নারী তাঁদের স্বামী বা ছেলেবন্ধুর হাতে খুন হন।

Monday, 23 November 2015

হাসিনা দেশ বিক্রি করে দিয়েছে দাদাবাবুদের হাতে; ফাঁসি নিয়ে সরকারের মিথ্যাচার জাতি জেনে গেছে

ইরাকের মতোই দখল হয়ে গেলো বাংলাদেশ। আছে কয়েকজন খয়ের খাঁ, মিরজাফর, রায়বল্লভ। বিচারকদের মুখস্ত রায়, কার্বন কপি। একটা রায়কেও পার্থক্য করা যায় না। এখন আবার পূর্ণাঙ্গ রায়ের আগেই ফাঁসি কার্যকর। আইনমন্ত্রীর মিথ্যাচার ধরা পড়ে গেছে। “প্রাণভিক্ষার আবেদন দেখানো যাবে না।” ভিকটিম পরিবারের কঠিন অবস্থান, প্রাণভিক্ষা চাননি তাদের পিতা। বিগত দুই ফাঁসির সময়েও একই চেষ্টা করে বিফল, এইবার আন্তর্জাতিক চাপের কাছে মরিয়া। প্রাণভিক্ষা দেখিয়ে বলতে চাইছে, অপরাধ তারা স্বীকার করেছে। যারা নিজেরাই কলংকিত, তারা কি করে বিচার করবে? যাদের মন্ত্রীসভায় যুদ্ধাপরাধী, কোন ছলচাতুরিই রক্ষা করবে না। প্রাণভিক্ষার আবেদন কেন ভূয়া, আইনমন্ত্রী নিজে ফাঁস করে দিলো।

সকালে মাহিয়া মাহি, বিকালে বিদ্যা সিনহা। বাংলা চলচ্চিত্রে রাজ-রাণীদের অন্যতম ববিতা, নাসিমা খান, শাবানা। কিন্তু বুড়ি নাসিমা খান আর রওশন জামিল মুখে যতোই স্নো-পাউডার মাখুক, আর ১ লক্ষ টাকার জামদানি শাড়ি পড়ে, মেকাপ খুললে তারা যে বুড়ি, কিছুতেই লুকানো যাবে না। আমাদের দেশেও হঠাৎ করেই নাসিমা খানদের মধ্যে মাহিয়া মাহি হওয়ার প্রবণতা লক্ষণীয়। এতো সাজকাজ দিয়ে এই খসে পড়া জাতি কি করবে!

এখন আমাদের হাগতে দিবস, মুততে দিবস, হাঁচি দিতে দিবস। ফাঁসি দিবস করলে কেমন হয়?

ইমরান সরকার আর শাহারিয়ার কবিরদের মতো জল্লাদ সৃষ্টি করে লঙ্কাকান্ড বাধিয়ে ফেলেছে। তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার সময় পার হয়ে যাচ্ছে। ব্যক্তিগত নিরাপত্তার নামে কোষাগারের কোটি কোটি টাকা খর্চ করে ইমরান্তশাহারিয়ারদের মতো হারামজাদাদেরকে রাস্তায় নামিয়েছে আজরাইল লীগ। সাকা-মুজাহিদের জান কবচ করার পর, তাদের সম্পত্তি খাওয়ার মতলব করছে হারামাজাদা ঘাদানি। হিটলার মরেনি, পুরুত্থান হয়েছে। খেয়াল করুন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীর একরকম গোফ, যা হিটলারেরও। খেয়াল করুন, গডমাদারের বড় ফ্রেমের চশমা এবং ইমেলদা মার্কোসের মতো সাজকাজ। এগুলো স্বৈরাচারদের পোশাক। 
আগেও বলেছি, আওয়ামী লীগকে জন্ম দিয়েছে কংগ্রেস, পাকিস্তানকে দুইখন্ড করেছে কংগ্রেস। আবারো বলছি, অবৈধ সরকারকে সৃষ্টি করেছে দিল্লি, ক্ষমতায় রেখেছে দিল্লি। বাংলাদেশ বিক্রি হয়ে গেছে। বাজার এবং সংস্কৃতি দুটোই দাদাবাবুদের পকেটে।

কিভাবে গাধা এবং বানরের জাত সৃষ্টি হলো! বানর কিংবা গরু অথবা মুরগি, খেয়াল করুন, প্রত্যেকেরই জীবন আছে, কিন্তু মানুষের মতো নিজস্ব চেহারা নেই। আরো খেয়াল করুন, একমাত্র পশুরাই দলে দলে হাঁটে। কিন্তু মানুষ হাঁটে নিজের চাহিদা অনুযায়ী । প্রতিটি গরুর চেহারা একরকম, হাম্বা ডাকে একই শব্দে, দুধ এবং মাংস দুটোই হয়, পেটালেও প্রতিবাদ করে না। মানুষের সঙ্গে পশুর পার্থক্য, প্রতিটি মানুষই বুদ্ধি এবং বিবেক তাড়িত প্রাণী। এদের প্রত্যেকেরই নিজস্ব চেহারা এবং প্রতিক্রিয়া থাকে। মারলে চিৎকার করে, ছিনিয়ে নিলে দৌড়ায়, হত্যা করলে প্রতিশোধ নেয়। প্রতিদিনই ১০০ লক্ষ গরু জবাই হয় কিন্তু কেউ কি কোন গরুকে একজন মানুষ খুন করতে দেখেছে? বলছি, প্রাণীজগতের যারাই দেখতে একরকম, যেমন্ত মাছ এবং পশু, মস্তিষ্ক শক্তিহীন। একই প্রক্রিয়ায় যারাই আওয়ামী লীগ, সকলেই গরুর মতো দেখতে একরকম, এক আওয়াজ, দৌড়ায় একরকম, এক শ্লোগান। 
কিভাবে সম্ভব হলো? দেখুন, একমাত্র বাংলাদেশেই নামমাত্র জমিতে সপ্তম বৃহত্তম জনসংখ্যা। বসবাসের অযোগ্য দেশ ত্যাগ করতে প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ মরিয়া। এদেরই একটি বৃহৎ অংশ যারা বুদ্ধিমান, পালিয়ে যাচ্ছে এবং সঙ্গে যাচ্ছে ২য় এবং ৩য় প্রজন্ম। দুধ থেকে মাখন তুললে, এর নাম ঘোল। বাংলাদেশটাও এখন ঘোল। ঘোলের স্বাদ নেই, পুষ্টি নেই বরং চোরের মাথায় ঢালার জন্য ঘোল। এইজন্যই যা দেখছেন, সত্য। গরুর মতো সবার চেহারা একরকম, তাই এরা সব হাম্বা লীগ।

বহু বছর বিদেশে থেকে বহু মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার সংবাদ শুনেছি। সান্ধ্যকালীন সংবাদে দু-এক লাইন বলে। উল্লেখযোগ্য পত্রিকায় চাঞ্চল্যকর খুনিদের মৃত্যুদন্ড কার্যকরের খবর দু-চার লাইন লেখে। ট্রাবুন্যালের ফাঁসিকে কেন্দ্র করে গোটা বাংলাদেশ এখন ফাঁসির জাত। সর্বত্রই ফাঁসির উল্লাসে ফেটে পড়া অজগরের বিষাক্ত এক উম্মাদ জাতি। মানুষের জান নিতে এতো উল্লাস আমি জীবনে দেখিনি। 
বহু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে গেলো ২০ বছরে। কম্বোডিয়া, সুদান, বসনিয়া, লিবিয়ার মতো দেশগুলোর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অনেকেই জানেন। কিন্তু এসব কি হচ্ছে বাংলাদেশে? টেলিভিশন খুললেই ফাঁসির দড়ি, যমটুপি, তওবা পড়ানো, শেষ খাবারের মেন্যু, পরিবারের সঙ্গে শেষ কথা, মৃত্যুপরোয়ানা, ফাঁসির মঞ্চে ওঠানো, মৃত্যুকূপের ছবি, টেবিল-চেয়ারের বর্ণনা, ফাঁসির মহড়া, জল্লাদের উইকিপিডিয়া, এম্বুলেন্সের আগমন, সিভিল সার্জনের ঘড়ি, কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে হাজার হাজার মৃত্যু প্রত্যাশি মানুষের গানবাজনা। এর মধ্যেই জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত, অপ্রাপ্ত বয়স্ক সাংবাদিক লীগের মুখে ইঁদুর মারার খবর। অদূরেই মিষ্টি এবং ফুলসহ গণজাগরণ মঞ্চের পাগলাগারদ। উম্মাদগুলো, বাদরের মতো চিৎকার করে যা বলছে, আমার কোনই সন্দেহ নেই, মাখন চলে যাওয়ায় এই দেশ এখন ঘোল। 
টেলিভিশন খুললেই ফাঁসির দড়ি দেখতে দেখতে প্রশ্ন করি, পাইকারী লাইসেন্স দেয়ার কারণ কি এটাই? সারা বছর জুড়েই ফাঁসির খবর প্রচার করতে হবে? মনে হচ্ছে, আজরাইল লীগ, হাম্বা লীগ, আফ্রিকান মাগুর লীগের সঙ্গে জল্লাদ লীগ, ফাঁসি লীগ, গোরখাদক লীগ, চিৎকার লীগ, সাংবাদিক লীগ, টেলিভিশন লীগও থাকবে। আমার কথা মিথ্যা হলে, টেলিভিশনে এইগুলো কি? টেলিভিশন একটি বহু মাত্রিক প্রচার মাধ্যম কিন্তু বাংলা টিভি খুললেই ফাঁসি নিয়ে যে উম্মাদনা, ৪র্থ পর্যায়ে ক্যান্সারও এদের চেয়ে অধিক নিরাপদ। এমনকি পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণও কম মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফাঁসি লীগ সমপ্রদায়কে সৃষ্টি করে দিল্লি-ঢাকা-চীন্তরাশিয়া-ভারত দেশটাকে এক হাড়ি ঘোল বানিয়ে ফেলেছে।

একটি ফাঁসির খবর কতো ঘণ্টা দেখালে যথেষ্ট? ফাঁসির সংবাদগুলো কতোটা গভীরে গিয়ে প্রকাশ করতে হয়? যমটুপি পড়ানো অবস্থায় ফাঁসির দড়িতে লটকানো মানুষগুলোর পায়ের তলে মৃত্যুকূপের যে ছবি দেখাচ্ছে, মানুষ নাকি পশু! এরা আফ্রিকানদের চেয়ে বজ্জাত। নাৎসীদের চেয়ে হারামজাদা। আগে জানতাম, ঈশ্বর নাকি মানুষের জান কবচ করে এখন দেখছি আজরাইল লীগ আদেশ দেয় কখন কার জান কবচ করতে হবে, সেই অনুযায়ী বিচারক লীগ রায় লেখে। রায় পাওয়ার পরেই আইনজীবি লীগ মিথ্যা প্রচারণা শুরু করে। মিথ্যা প্রচারণা শুরু হতেই টেলিভিশন লীগের কর্মচারি ফাঁসি লীগ সাংবাদিক সমপ্রদায় ২৪ ঘন্টাই ইমরান সরকারদের হাম্বা হাম্বা প্রচার করতে থাকে। গণজাগরণ মঞ্চের হাম্বা লীগকে দিয়ে শাহবাগে উত্তেজনা ছড়াতে থাকে, আইনজীবি লীগ। জল্লাদ লীগের কাজ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফাঁসি লীগ ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এরপর জেলগেট থেকে এম্বুলেন্স লীগ বের হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কবর খুড়তে শুরু করে গোরখাদক লীগ। এবার বলুন, ঈশ্বরের মধ্যেও কি আওয়ামী লীগ আর বিএনপি আছে? যদি নাই থাকে, তাহলে একতরফা কিভাবে বিএনপির জান কবচ করেই চলেছে আওয়ামী লীগ।

কে বলে জামায়েত-শিবির সন্ত্রাসী? যে বলে, সে একটা আস্ত গাধা। আমি বহুবার বলেছি, যে দেশে আজরাইল লীগ আছে সেই দেশে সন্ত্রাসীর প্রয়োজন নেই। দেশজুড়ে আজ যে ত্রাসের রাজত্ব, জনে জনে নিরাপত্তা দিয়ে বাঁচিয়ে রাখছে যারা গুরুত্বপূর্ণ তাদেরকে। লালকেল্লা সঙ্গে ছাড়া কোথাও বের হয় না মর্ত্যের ঈশ্বর। রাষ্ট্রদূত, বিদেশি কর্মচারি, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, জনে জনে নিরাপত্তা কিন্তু আমজনতার স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই। বাংলাদেশ এখন মৃত্যুপুরি। সন্ত্রাসীদের আক্রমণে ছাড়খার হয়ে যাচ্ছে প্রাচ্যের আফ্রিকা। এমন আগুন জ্বালিয়েছে, দোযখ পর্যন্ত হাম্বা লীগকে দেখলে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইবে। আজকের বাংলাদেশ দোযখকেও ছাড়িয়েছে।

বহু আগেই বলেছিলাম, কি ঘটতে যাচ্ছে। হারামজাদা নাজমুল হুদার কি দোষ! এক পা কবরে, তারপরেও মাথা ভর্তি শয়তান। আজরাইল লীগের সভানেত্রী কি না পারে? সাকা-মুজাহিদের ফাঁসির রচনা কি মানুষ দেখেনি! কয়টার সময় জীবন নেবে, কিভাবে নেবে, সবকিছুই ফাঁসির রচনাতে ছিলো। অর্থাৎ আজরাইলের চাকরি গেছে, আজরাইল এখন বেকার। অর্থাৎ নাজমুল হুদার ১০০০ বছরের আয়ু প্রণোদনা দিলো একনেক সভানেত্রী। সেই মাফিক নাজমুল হুদা বিকল্প বিএনপি খুলেছে। বহু আগেই বলেছিলাম, কার দাপটে নৃত্য করছে আওয়ামী লীগ।
আমরা এর প্রমাণ পেলাম, ফাঁসি নিয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাফাই বক্তব্যে। রাশিয়ানরা ফাঁসির সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেলো। বললো, বিচার মানসম্মত হয়েছে। অর্থাৎ পয়সা দিলে কাঠের ঘোড়াও কথা বলে। শুধুই কি রাশিয়া! যুদ্ধাপরাধী সরকারের বিরুদ্ধে একশনে যেতে হলে আন্তর্জাতিক মহলকে প্রথমে জাতিসংঘের অনুমতি নিতে হবে। তখনই প্রশ্ন ভেটো পাওয়ারের। হাসিনার পক্ষে ভেটো দেবে রাশিয়া এবং চীন। সুতরাং কারো চেষ্টাই হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নড়াতে পারবে না। এটাই আসল কথা। বাংলাদেশে হামলে পড়েছে চীন্তভারত-রাশিয়া-জাপানের শকুনেরা। এরা বাংলাদেশের রক্ত-মাংস্তহাড়-মজ্জা সব খেয়ে ফেলবে। কিছুদিন পর আমাদের দেশের সিনেমাহল এবং বিনোদন কেন্দ্রগুলো দখল করবে ভারতীয়রা। সেইসব আলামত এখন পথেঘাটে। বাংলাদেশ এখন আরেকটা সিকিম, চুক্তির পর চুক্তি হচ্ছে, টু-শব্দটি নেই। 
টেলিভিশন লীগের টকশোতে শিক্ষক লীগের ইতিহাস নিয়ে মিথ্যা কথা বলে, অবাক হয়ে যাই এই ভেবে, কতো দ্রুত আমার আশংকাগুলো সত্য হলো! রাশিয়া এবং চীনের ভেটো শক্তি যার হাতে, তাকে সরায় কে? সুতরাং ২০ দল এখন ছাড়পোকা।

ভাগ্যের কি পরিহাস। ঢাকা এখন ওয়াশিংটনে। ওবামার প্রতিটি কথাই এখন হাসিনার মতো গালিগালাজ। কি আশ্চর্য! তেনি বাজারি মেয়েদের মতো খালেদাকে গালিগালাজ, ওবামার গালিগালজ ভদ্র ভাষায়। একজন পরীক্ষার খাতা ইঞ্জিনিয়ারিং করে বিএ পাশ, আরেকজন কলম্বিয়া থেকে ওকালতি পাশ। হলে কি হবে? দুইজনের মুখ একই রকম খারাপ। দুইজনের উদ্দেশ্যও একইরকম কুরুচিপূর্ণ। হাসিনা যদি বাংলাদেশকে ৫০০ বছর পিছিয়ে দিয়ে থাকে, আমেরিকাকে ১০০০ বছর পিছিয়ে নিয়েছে ওবামা। তার একগুয়েমি বিরোধিদলের বিরুদ্ধে কটাক্ষ, নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগের রেকর্ড, ফকির-মিসকিনদেরকে সাহায্য দিয়ে ভিক্ষুকের জাত বানানো, চোর-গুন্ডা দিয়ে আমেরিকা ভরে ফেলা, ভিক্ষুকদের সংখ্যা বাড়ানো, শিক্ষাঙ্গনগুলোকে ধ্বংস করার পায়তারা, রায়ট বাধানোর জন্য উত্তেজক বক্তব্য, সাদাদেরকে উদ্দেশ্য করে ঘৃণা ছড়ানো এবং একটি বিশেষ ধর্মকে প্রাধান্য দেওয়ার মাধ্যমে খৃস্টানদেরকে হেয় করা। ৩৫ বছরে বহু প্রেসিডেন্ট দেখেছি কিন্তু ওবামার মতো কাউকে দেখিনি। শুধু অযোগ্যই নয়, বড় বেশি বৈষম্যবাদি। তার ভেগাবন্ড পররাষ্ট্র নীতির কারণেই বিশ্বজুড়ে আজ আমেরিকার মতো সুপার পাওয়ার ধিকৃত। তার কারণেই ঋণের পাহাড়। তবে এখন আমেরিকার সামনে সুদিন। টার্মলিমিটের আশির্বাদে আর ১১ মাস পরেই এই ভূত ঘাড় থেকে নামবে। পৃথিবীতে যদি একটি দেশও থাকে যেখানে টার্মলিমিট প্রয়োজন, সেটা বাংলাদেশ। টার্মলিমিট অর্জনের বিপ্লবে যদি বহু জীবন উৎসর্গ প্রয়োজন হয়, সেটাই ইতিহাসের দৃষ্টান্ত। টার্মলিমিট ছাড়া পৃথিবীতে কোন শক্তিই নেই, যে নাকি হাসিনাকে নামায়। 
এই মুহূর্তে ওবামার চেয়ে অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন হাসিনা। জাতিসংঘে তার পক্ষে ২টা বড় ভেটো পাওয়ার। তাকে সরাতে চাইলে, পক্ষে লড়বে ৫টি বড় শক্তি। সে যেখানে যায়, সঙ্গে যায় দিল্লির লালকেল্লা। দেশে-বিদেশে তার বহরে গোলাবারুদের দূর্গ। মার্কিন প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার জন্য আজীবন পারিবারিক নিরাপত্তা দিতে, দেশে এবং বিদেশে, বাচ্চাকাচ্চা, নানা-নানী, চাচা-চাচীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই। চাচা-চাচীদের জন্য হোয়াইট হাউজে আজীবন এম্বুলেন্স, ফায়ারব্রিগেড, হাসপাতালের সুযোগ নেই। নানা-নানীদের জন্য দেশে-বিদেশে আজীবন নিরাপত্তা, আবাসন এবং চিকিৎসার সুযোগ নেই। এইসব অবাস্তব এবং স্বপ্নদোষের রোগে রোগাক্রান্ত একমাত্র হাম্বা লীগ। বিশ্বের সবচে’ ক্ষমতাধর ব্যক্তি এখন হাসিনা। আমি ভুল হলে প্রমাণ করুন। তার হাতে যে পরিমাণ ক্ষমতা এবং সুযোগ সুবিধা... আমেরিকার ইতিহাস ভঙ্গ করলো।

Sunday, 22 November 2015

সশস্ত্র বাহিনী দিবস পার করেই সাবেক দুই মন্ত্রীর হত্যা সম্পন্নঃ মিডিয়ার কুৎসিত চরিত্র

সশস্ত্র বাহিনী দিবস পার করেই সাবেক দুই মন্ত্রীর হত্যা সম্পন্নঃ মিডিয়ার কুৎসিত চরিত্র
----------------------------------------------------------------------
শেখনিউজ রিপোর্টঃ অবশেষে সশস্ত্র বাহিনী দিবসকে পার করেই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের দুইজন সাবেক মন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড সম্পন্ন করা হলো। আর এই হত্যাকাণ্ডে মুল নিয়ামক দায়িত্ব পালন করেছে বাংলাদেশের বিচারবিভাগের অবৈধ সরকার দলীয় বিচারপতিগণ। উল্লেখ্য সশস্ত্র বাহিনী দিবসে এক ঢিলে অনেক পাখি হত্যা করার মত ফাঁসি দেয়ার চেষ্টা করেও সশস্ত্র বাহিনীর ভয়ে গোয়েন্দাদের পরামর্শে এই দিবসকে পার করে দেয়া হয় সাক্ষাতের নামে। উল্লেখ্য বিচারিক এই হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষ নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদ। কেবলমাত্র ভারতের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য দেশগুলোকে উপেক্ষা করেই এই ফাঁসি দেয়া হয় বলে সুত্র নিশ্চিত করেছে।
শনিবারে ফাঁসি দেয়ার চেষ্টা বিফলে গেলেও দালাল মিডিয়াগুলোর গয়েবলসিয় প্রচারনায় প্রান ভিক্ষার নামে এক প্রচারনা চালিয়ে এই দুই সম্মানিত নাগরিকের সম্মানহানির চূড়ান্ত প্রচেষ্টা চালায়। এমনকি ভুয়া বিচারের কোথায়ও তাদের যুদ্ধাপরাধী বলা না হলেও ভারতীয় ব্রাহ্মন্যবাদের দালাল হিসেবে চিহ্নিত সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া অতি কৌশলে জনগনের ও নতুন প্রজন্মের মন বিষিয়ে তুলতে এবং বিচারিক এই হত্যাকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা চালায়। উল্লেখ্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বা আলী আহসান মুজাহিদ কেউই প্রান ভিক্ষার কোন আবেদন করেন নাই।
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে এই দুই সাবেক মন্ত্রিকে ফাসিতে হত্যার চেষ্টা চালানো হয় যাতে আগে থেকেই হাসিনা গংদের থাকা সশস্ত্র বাহিনীর সাথে দেশপ্রেমিক শক্তির এক দ্বন্দ্ব শুরু হয় দিবস পালন নিয়ে। কিন্তু সরকারের কাছে বিরুপ বার্তা পৌঁছে গেলে সরকার পিছু হটে। তারা দেখা সাক্ষাতের বাহানায় পেছাতে থাকে সময়। তবে বিএনপির একটি কৌশলগত সাংবাদিক সম্মেলন করা ছাড়া শীর্ষ নেতৃত্বের অদৃশ্য কারনে চুপ থাকায় জাতীয়তাবাদী, ইসলামী ও দেশপ্রেমিক শক্তি বিস্মিত ও বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে।
রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে তাদের ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে এই হত্যাকাণ্ড সম্পন্ন হয়। রাত ৮টার কিছুক্ষণ আগে কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্নেল ফজলুল কবির ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ঢোকার পরই তৎপরতা বেড়ে যায়।এরপর কারা কর্তৃপক্ষ সালাউদ্দিন কাদের ও মুজাহিদের পরিবারকে দেখা করতে ডেকে পাঠালে কারা অভ্যন্তরের দৃশ্যপট পাল্টে যায়। কারাগারের ভেতরে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বৈদ্যুতিক বাতিগুলো জ্বলে উঠে, কারারক্ষীদের ছোটাছুটিও শুরু হয়। কারাগারসহ আশেপাশের এলাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেষ্টনীর মধ্যে নেওয়া হয়। কারাগারের সামনের সড়কে যানচলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবি অবস্থান নেয় কারাগারের আশেপাশের উঁচু ভবনে। বিভিন্ন বাহিনীর পোশাকধারী ও সাদা পোশাকের সদস্য এবং দালাল মিডিয়াগুলোর সংবাদকর্মী ছাড়া কারাগারের আশেপাশে আর কাউকে অবস্থান করতে দেওয়া হয়নি সে সময়।
রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুজাহিদকে যেভাবে হত্যা করা হল, তা ভারতের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতেই হয়েছে বলে সুত্র নিশ্চিত করেছে। এমনকি অবৈধ সরকারের কেউ কেউ এই হত্যাকাণ্ডে তারা নিজেরা অনিরাপদ হয়ে পড়বে এবং দেশে মানুষ জঙ্গিবাদের দিকে ঝুকে পড়বে বলে আশংকা প্রকাশ করলেও ভারতের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অভিপ্রায় থাকা সত্বেও কোন পদক্ষেপ নিয়ে বিচারিক হত্যাকে ঠেকাতে ব্যর্থ হয়।
ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা বিশ্লেষকগণ আশংকা প্রকাশ করেছেন যে যেভাবে দেশপ্রেমিক শক্তিকে ভারতীয় নীলনকশা মোতাবেক হত্যা করা হল ধারাবাহিকভাবে এতে বিক্ষুব্ধ জাতির একটি অংশ নিজেদের মুক্তির জন্য জঙ্গিবাদের দিকে ঝুকে পড়তে পারে। সেটি হলে তা হবে উপমহাদেশের জন্য ভয়ংকর এক ভবিষ্যৎ। এতে পুরো জাতি অনিরাপদ হয়ে পড়বে এবং হাজার হাজার ভারতীয় পক্ষের মানুষ আচমকাই টার্গেটে পরিনত হতে পারেন বলে আশংকা করা হচ্ছে।

ইরাকের মতোই দখল হয়ে গেলো বাংলাদেশ।

ইরাকের মতোই দখল হয়ে গেলো বাংলাদেশ। আছে কয়েকজন খয়ের খাঁ, মিরজাফর, রায়বল্লভ। বিচারকদের মুখস্ত রায়, কার্বন কপি। একটা রায়কেও পার্থক্য করা যায় না। এখন আবার পূর্ণাঙ্গ রায়ের আগেই ফাঁসি কার্যকর। আইনমন্ত্রীর মিথ্যাচার ধরা পড়ে গেছে। “প্রাণভিক্ষার আবেদন দেখানো যাবে না।” ভিকটিম পরিবারের কঠিন অবস্থান, প্রাণভিক্ষা চাননি তাদের পিতা। বিগত দুই ফাঁসির সময়েও একই চেষ্টা করে বিফল, এইবার আন্তর্জাতিক চাপের কাছে মরিয়া। প্রাণভিক্ষা দেখিয়ে বলতে চাইছে, অপরাধ তারা স্বীকার করেছে। যারা নিজেরাই কলংকিত, তারা কি করে বিচার করবে? যাদের মন্ত্রীসভায় যুদ্ধাপরাধী, কোন ছলচাতুরিই রক্ষা করবে না। প্রাণভিক্ষার আবেদন কেন ভূয়া, আইনমন্ত্রী নিজে ফাঁস করে দিলো।

সকালে মাহিয়া মাহি, বিকালে বিদ্যা সিনহা। বাংলা চলচ্চিত্রে রাজ-রাণীদের অন্যতম ববিতা, নাসিমা খান, শাবানা। কিন্তু বুড়ি নাসিমা খান আর রওশন জামিল মুখে যতোই স্নো-পাউডার মাখুক, আর ১ লক্ষ টাকার জামদানি শাড়ি পড়ে, মেকাপ খুললে তারা যে বুড়ি, কিছুতেই লুকানো যাবে না। আমাদের দেশেও হঠাৎ করেই নাসিমা খানদের মধ্যে মাহিয়া মাহি হওয়ার প্রবণতা লক্ষণীয়। এতো সাজকাজ দিয়ে এই খসে পড়া জাতি কি করবে!

এখন আমাদের হাগতে দিবস, মুততে দিবস, হাঁচি দিতে দিবস। ফাঁসি দিবস করলে কেমন হয়?

ইমরান সরকার আর শাহারিয়ার কবিরদের মতো জল্লাদ সৃষ্টি করে লঙ্কাকান্ড বাধিয়ে ফেলেছে। তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার সময় পার হয়ে যাচ্ছে। ব্যক্তিগত নিরাপত্তার নামে কোষাগারের কোটি কোটি টাকা খর্চ করে ইমরান্তশাহারিয়ারদের মতো হারামজাদাদেরকে রাস্তায় নামিয়েছে আজরাইল লীগ। সাকা-মুজাহিদের জান কবচ করার পর, তাদের সম্পত্তি খাওয়ার মতলব করছে হারামাজাদা ঘাদানি। হিটলার মরেনি, পুরুত্থান হয়েছে। খেয়াল করুন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীর একরকম গোফ, যা হিটলারেরও। খেয়াল করুন, গডমাদারের বড় ফ্রেমের চশমা এবং ইমেলদা মার্কোসের মতো সাজকাজ। এগুলো স্বৈরাচারদের পোশাক।
আগেও বলেছি, আওয়ামী লীগকে জন্ম দিয়েছে কংগ্রেস, পাকিস্তানকে দুইখন্ড করেছে কংগ্রেস। আবারো বলছি, অবৈধ সরকারকে সৃষ্টি করেছে দিল্লি, ক্ষমতায় রেখেছে দিল্লি। বাংলাদেশ বিক্রি হয়ে গেছে। বাজার এবং সংস্কৃতি দুটোই দাদাবাবুদের পকেটে।

কিভাবে গাধা এবং বানরের জাত সৃষ্টি হলো! বানর কিংবা গরু অথবা মুরগি, খেয়াল করুন, প্রত্যেকেরই জীবন আছে, কিন্তু মানুষের মতো নিজস্ব চেহারা নেই। আরো খেয়াল করুন, একমাত্র পশুরাই দলে দলে হাঁটে। কিন্তু মানুষ হাঁটে নিজের চাহিদা অনুযায়ী । প্রতিটি গরুর চেহারা একরকম, হাম্বা ডাকে একই শব্দে, দুধ এবং মাংস দুটোই হয়, পেটালেও প্রতিবাদ করে না। মানুষের সঙ্গে পশুর পার্থক্য, প্রতিটি মানুষই বুদ্ধি এবং বিবেক তাড়িত প্রাণী। এদের প্রত্যেকেরই নিজস্ব চেহারা এবং প্রতিক্রিয়া থাকে। মারলে চিৎকার করে, ছিনিয়ে নিলে দৌড়ায়, হত্যা করলে প্রতিশোধ নেয়। প্রতিদিনই ১০০ লক্ষ গরু জবাই হয় কিন্তু কেউ কি কোন গরুকে একজন মানুষ খুন করতে দেখেছে? বলছি, প্রাণীজগতের যারাই দেখতে একরকম, যেমন্ত মাছ এবং পশু, মস্তিষ্ক শক্তিহীন। একই প্রক্রিয়ায় যারাই আওয়ামী লীগ, সকলেই গরুর মতো দেখতে একরকম, এক আওয়াজ, দৌড়ায় একরকম, এক শ্লোগান।
কিভাবে সম্ভব হলো? দেখুন, একমাত্র বাংলাদেশেই নামমাত্র জমিতে সপ্তম বৃহত্তম জনসংখ্যা। বসবাসের অযোগ্য দেশ ত্যাগ করতে প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ মরিয়া। এদেরই একটি বৃহৎ অংশ যারা বুদ্ধিমান, পালিয়ে যাচ্ছে এবং সঙ্গে যাচ্ছে ২য় এবং ৩য় প্রজন্ম। দুধ থেকে মাখন তুললে, এর নাম ঘোল। বাংলাদেশটাও এখন ঘোল। ঘোলের স্বাদ নেই, পুষ্টি নেই বরং চোরের মাথায় ঢালার জন্য ঘোল। এইজন্যই যা দেখছেন, সত্য। গরুর মতো সবার চেহারা একরকম, তাই এরা সব হাম্বা লীগ।

বহু বছর বিদেশে থেকে বহু মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার সংবাদ শুনেছি। সান্ধ্যকালীন সংবাদে দু-এক লাইন বলে। উল্লেখযোগ্য পত্রিকায় চাঞ্চল্যকর খুনিদের মৃত্যুদন্ড কার্যকরের খবর দু-চার লাইন লেখে। ট্রাবুন্যালের ফাঁসিকে কেন্দ্র করে গোটা বাংলাদেশ এখন ফাঁসির জাত। সর্বত্রই ফাঁসির উল্লাসে ফেটে পড়া অজগরের বিষাক্ত এক উম্মাদ জাতি। মানুষের জান নিতে এতো উল্লাস আমি জীবনে দেখিনি।
বহু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে গেলো ২০ বছরে। কম্বোডিয়া, সুদান, বসনিয়া, লিবিয়ার মতো দেশগুলোর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অনেকেই জানেন। কিন্তু এসব কি হচ্ছে বাংলাদেশে? টেলিভিশন খুললেই ফাঁসির দড়ি, যমটুপি, তওবা পড়ানো, শেষ খাবারের মেন্যু, পরিবারের সঙ্গে শেষ কথা, মৃত্যুপরোয়ানা, ফাঁসির মঞ্চে ওঠানো, মৃত্যুকূপের ছবি, টেবিল-চেয়ারের বর্ণনা, ফাঁসির মহড়া, জল্লাদের উইকিপিডিয়া, এম্বুলেন্সের আগমন, সিভিল সার্জনের ঘড়ি, কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে হাজার হাজার মৃত্যু প্রত্যাশি মানুষের গানবাজনা। এর মধ্যেই জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত, অপ্রাপ্ত বয়স্ক সাংবাদিক লীগের মুখে ইঁদুর মারার খবর। অদূরেই মিষ্টি এবং ফুলসহ গণজাগরণ মঞ্চের পাগলাগারদ। উম্মাদগুলো, বাদরের মতো চিৎকার করে যা বলছে, আমার কোনই সন্দেহ নেই, মাখন চলে যাওয়ায় এই দেশ এখন ঘোল।
টেলিভিশন খুললেই ফাঁসির দড়ি দেখতে দেখতে প্রশ্ন করি, পাইকারী লাইসেন্স দেয়ার কারণ কি এটাই? সারা বছর জুড়েই ফাঁসির খবর প্রচার করতে হবে? মনে হচ্ছে, আজরাইল লীগ, হাম্বা লীগ, আফ্রিকান মাগুর লীগের সঙ্গে জল্লাদ লীগ, ফাঁসি লীগ, গোরখাদক লীগ, চিৎকার লীগ, সাংবাদিক লীগ, টেলিভিশন লীগও থাকবে। আমার কথা মিথ্যা হলে, টেলিভিশনে এইগুলো কি? টেলিভিশন একটি বহু মাত্রিক প্রচার মাধ্যম কিন্তু বাংলা টিভি খুললেই ফাঁসি নিয়ে যে উম্মাদনা, ৪র্থ পর্যায়ে ক্যান্সারও এদের চেয়ে অধিক নিরাপদ। এমনকি পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণও কম মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফাঁসি লীগ সমপ্রদায়কে সৃষ্টি করে দিল্লি-ঢাকা-চীন্তরাশিয়া-ভারত দেশটাকে এক হাড়ি ঘোল বানিয়ে ফেলেছে।

একটি ফাঁসির খবর কতো ঘণ্টা দেখালে যথেষ্ট? ফাঁসির সংবাদগুলো কতোটা গভীরে গিয়ে প্রকাশ করতে হয়? যমটুপি পড়ানো অবস্থায় ফাঁসির দড়িতে লটকানো মানুষগুলোর পায়ের তলে মৃত্যুকূপের যে ছবি দেখাচ্ছে, মানুষ নাকি পশু! এরা আফ্রিকানদের চেয়ে বজ্জাত। নাৎসীদের চেয়ে হারামজাদা। আগে জানতাম, ঈশ্বর নাকি মানুষের জান কবচ করে এখন দেখছি আজরাইল লীগ আদেশ দেয় কখন কার জান কবচ করতে হবে, সেই অনুযায়ী বিচারক লীগ রায় লেখে। রায় পাওয়ার পরেই আইনজীবি লীগ মিথ্যা প্রচারণা শুরু করে। মিথ্যা প্রচারণা শুরু হতেই টেলিভিশন লীগের কর্মচারি ফাঁসি লীগ সাংবাদিক সমপ্রদায় ২৪ ঘন্টাই ইমরান সরকারদের হাম্বা হাম্বা প্রচার করতে থাকে। গণজাগরণ মঞ্চের হাম্বা লীগকে দিয়ে শাহবাগে উত্তেজনা ছড়াতে থাকে, আইনজীবি লীগ। জল্লাদ লীগের কাজ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফাঁসি লীগ ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এরপর জেলগেট থেকে এম্বুলেন্স লীগ বের হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কবর খুড়তে শুরু করে গোরখাদক লীগ। এবার বলুন, ঈশ্বরের মধ্যেও কি আওয়ামী লীগ আর বিএনপি আছে? যদি নাই থাকে, তাহলে একতরফা কিভাবে বিএনপির জান কবচ করেই চলেছে আওয়ামী লীগ।

কে বলে জামায়েত-শিবির সন্ত্রাসী? যে বলে, সে একটা আস্ত গাধা। আমি বহুবার বলেছি, যে দেশে আজরাইল লীগ আছে সেই দেশে সন্ত্রাসীর প্রয়োজন নেই। দেশজুড়ে আজ যে ত্রাসের রাজত্ব, জনে জনে নিরাপত্তা দিয়ে বাঁচিয়ে রাখছে যারা গুরুত্বপূর্ণ তাদেরকে। লালকেল্লা সঙ্গে ছাড়া কোথাও বের হয় না মর্ত্যের ঈশ্বর। রাষ্ট্রদূত, বিদেশি কর্মচারি, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, জনে জনে নিরাপত্তা কিন্তু আমজনতার স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই। বাংলাদেশ এখন মৃত্যুপুরি। সন্ত্রাসীদের আক্রমণে ছাড়খার হয়ে যাচ্ছে প্রাচ্যের আফ্রিকা। এমন আগুন জ্বালিয়েছে, দোযখ পর্যন্ত হাম্বা লীগকে দেখলে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইবে। আজকের বাংলাদেশ দোযখকেও ছাড়িয়েছে।

বহু আগেই বলেছিলাম, কি ঘটতে যাচ্ছে। হারামজাদা নাজমুল হুদার কি দোষ! এক পা কবরে, তারপরেও মাথা ভর্তি শয়তান। আজরাইল লীগের সভানেত্রী কি না পারে? সাকা-মুজাহিদের ফাঁসির রচনা কি মানুষ দেখেনি! কয়টার সময় জীবন নেবে, কিভাবে নেবে, সবকিছুই ফাঁসির রচনাতে ছিলো। অর্থাৎ আজরাইলের চাকরি গেছে, আজরাইল এখন বেকার। অর্থাৎ নাজমুল হুদার ১০০০ বছরের আয়ু প্রণোদনা দিলো একনেক সভানেত্রী। সেই মাফিক নাজমুল হুদা বিকল্প বিএনপি খুলেছে। বহু আগেই বলেছিলাম, কার দাপটে নৃত্য করছে আওয়ামী লীগ।
আমরা এর প্রমাণ পেলাম, ফাঁসি নিয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাফাই বক্তব্যে। রাশিয়ানরা ফাঁসির সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেলো। বললো, বিচার মানসম্মত হয়েছে। অর্থাৎ পয়সা দিলে কাঠের ঘোড়াও কথা বলে। শুধুই কি রাশিয়া! যুদ্ধাপরাধী সরকারের বিরুদ্ধে একশনে যেতে হলে আন্তর্জাতিক মহলকে প্রথমে জাতিসংঘের অনুমতি নিতে হবে। তখনই প্রশ্ন ভেটো পাওয়ারের। হাসিনার পক্ষে ভেটো দেবে রাশিয়া এবং চীন। সুতরাং কারো চেষ্টাই হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নড়াতে পারবে না। এটাই আসল কথা। বাংলাদেশে হামলে পড়েছে চীন্তভারত-রাশিয়া-জাপানের শকুনেরা। এরা বাংলাদেশের রক্ত-মাংস্তহাড়-মজ্জা সব খেয়ে ফেলবে। কিছুদিন পর আমাদের দেশের সিনেমাহল এবং বিনোদন কেন্দ্রগুলো দখল করবে ভারতীয়রা। সেইসব আলামত এখন পথেঘাটে। বাংলাদেশ এখন আরেকটা সিকিম, চুক্তির পর চুক্তি হচ্ছে, টু-শব্দটি নেই।
টেলিভিশন লীগের টকশোতে শিক্ষক লীগের ইতিহাস নিয়ে মিথ্যা কথা বলে, অবাক হয়ে যাই এই ভেবে, কতো দ্রুত আমার আশংকাগুলো সত্য হলো! রাশিয়া এবং চীনের ভেটো শক্তি যার হাতে, তাকে সরায় কে? সুতরাং ২০ দল এখন ছাড়পোকা।

ভাগ্যের কি পরিহাস। ঢাকা এখন ওয়াশিংটনে। ওবামার প্রতিটি কথাই এখন হাসিনার মতো গালিগালাজ। কি আশ্চর্য! তেনি বাজারি মেয়েদের মতো খালেদাকে গালিগালাজ, ওবামার গালিগালজ ভদ্র ভাষায়। একজন পরীক্ষার খাতা ইঞ্জিনিয়ারিং করে বিএ পাশ, আরেকজন কলম্বিয়া থেকে ওকালতি পাশ। হলে কি হবে? দুইজনের মুখ একই রকম খারাপ। দুইজনের উদ্দেশ্যও একইরকম কুরুচিপূর্ণ। হাসিনা যদি বাংলাদেশকে ৫০০ বছর পিছিয়ে দিয়ে থাকে, আমেরিকাকে ১০০০ বছর পিছিয়ে নিয়েছে ওবামা। তার একগুয়েমি বিরোধিদলের বিরুদ্ধে কটাক্ষ, নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগের রেকর্ড, ফকির-মিসকিনদেরকে সাহায্য দিয়ে ভিক্ষুকের জাত বানানো, চোর-গুন্ডা দিয়ে আমেরিকা ভরে ফেলা, ভিক্ষুকদের সংখ্যা বাড়ানো, শিক্ষাঙ্গনগুলোকে ধ্বংস করার পায়তারা, রায়ট বাধানোর জন্য উত্তেজক বক্তব্য, সাদাদেরকে উদ্দেশ্য করে ঘৃণা ছড়ানো এবং একটি বিশেষ ধর্মকে প্রাধান্য দেওয়ার মাধ্যমে খৃস্টানদেরকে হেয় করা। ৩৫ বছরে বহু প্রেসিডেন্ট দেখেছি কিন্তু ওবামার মতো কাউকে দেখিনি। শুধু অযোগ্যই নয়, বড় বেশি বৈষম্যবাদি। তার ভেগাবন্ড পররাষ্ট্র নীতির কারণেই বিশ্বজুড়ে আজ আমেরিকার মতো সুপার পাওয়ার ধিকৃত। তার কারণেই ঋণের পাহাড়। তবে এখন আমেরিকার সামনে সুদিন। টার্মলিমিটের আশির্বাদে আর ১১ মাস পরেই এই ভূত ঘাড় থেকে নামবে। পৃথিবীতে যদি একটি দেশও থাকে যেখানে টার্মলিমিট প্রয়োজন, সেটা বাংলাদেশ। টার্মলিমিট অর্জনের বিপ্লবে যদি বহু জীবন উৎসর্গ প্রয়োজন হয়, সেটাই ইতিহাসের দৃষ্টান্ত। টার্মলিমিট ছাড়া পৃথিবীতে কোন শক্তিই নেই, যে নাকি হাসিনাকে নামায়।
এই মুহূর্তে ওবামার চেয়ে অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন হাসিনা। জাতিসংঘে তার পক্ষে ২টা বড় ভেটো পাওয়ার। তাকে সরাতে চাইলে, পক্ষে লড়বে ৫টি বড় শক্তি। সে যেখানে যায়, সঙ্গে যায় দিল্লির লালকেল্লা। দেশে-বিদেশে তার বহরে গোলাবারুদের দূর্গ। মার্কিন প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার জন্য আজীবন পারিবারিক নিরাপত্তা দিতে, দেশে এবং বিদেশে, বাচ্চাকাচ্চা, নানা-নানী, চাচা-চাচীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই। চাচা-চাচীদের জন্য হোয়াইট হাউজে আজীবন এম্বুলেন্স, ফায়ারব্রিগেড, হাসপাতালের সুযোগ নেই। নানা-নানীদের জন্য দেশে-বিদেশে আজীবন নিরাপত্তা, আবাসন এবং চিকিৎসার সুযোগ নেই। এইসব অবাস্তব এবং স্বপ্নদোষের রোগে রোগাক্রান্ত একমাত্র হাম্বা লীগ। বিশ্বের সবচে’ ক্ষমতাধর ব্যক্তি এখন হাসিনা। আমি ভুল হলে প্রমাণ করুন। তার হাতে যে পরিমাণ ক্ষমতা এবং সুযোগ সুবিধা... আমেরিকার ইতিহাস ভঙ্গ করলো।

পুনশ্চ: সভ্য হতে আর কত দেরী পাঞ্জেরী ?

রাত ৮.৩০, স্থান: সেন্ট্রাল প্যারিসের এক বাঙালি রেস্তোরা। কন কনে শীতের রাতে বন্ধুর সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। কফিতে চুমুক দিয়ে আলোচনা এগোয়। বৈশ্বিক রাজনীতি, অভিবাসন, বাংলাদেশ, সন্ত্রাসবাদ, প্রেম-ভালবাসা আরো কত কি আলোচনা। হঠাৎ কানে এলো বক্তৃতা-বিবৃতি আর স্লোগানের শব্দ। ওয়েটারকে জিজ্ঞাসা করতেই বলল ''সাকা-মুজাহিদের ফাঁসির খুশিতে মিষ্টি খাওয়া চলছে ''। নিরুত্তাপ কন্ঠে আবার জিজ্ঞাসা করলাম কারা মিষ্টি খাচ্ছে, ''ফ্রান্স আওয়ামিলিগ ফাঁসি উদযাপন করার জন্য সভা ডেকেছে এবং মিষ্টি খাচ্ছে '' । মানুষ গুলোকে দেখার জন্য উপরতলায় গেলাম। জনা বিশেক হবে, চা আর মিষ্টি খাচ্ছে সাথে সিগারেটের সুখটান। ''সাকা-মুজাহিদের ফাঁসি বাংলাদেশকে আরো উন্নত করবে'' বক্তৃতাকারীদের একজন বলছে। গভীর আগ্রহে শুনতে লাগলাম তাদের বক্তৃতা। আরেকজন বলল ''সাকা-মুজাহিদের দাম্ভিকতার অবসান হলো'' । সর্বশেষ, উপস্থাপক একজনকে অনুরোধ করলেন 'মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে ' বক্তৃতা দেয়ার জন্য। লোকটি ইতস্তত বোধ করতেই উপস্থাপক তাকে অভয় দিয়ে বলল '' মনে করেন আপনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, সাকা-মুজাহিদের ফাঁসিতে শুধু আপনার প্রতিক্রিয়া বলেন'' । লোকটি বিরদর্পে শুরু করলো ''সাকা বেয়াদব, সাকা চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী, তার ফাঁসিতে আমি আনন্দিত...হ য র ল '' । ২০ সেকেন্ড বলার পর আর কোনো শব্দ খুঁজে না পেয়ে তিনি রনে ভঙ্গ দিলেন। আমার বন্ধু বলে, সাকা-মুজাহিদের চেয়ে এই মানুষগুলোকে বেশি নৃশংস মনে হচ্ছে। আমি বললাম ''তাদের পিতা শেখ মজিব আরো বেশি নৃশংস ছিলেন।''
পুনশ্চ: সভ্য হতে আর কত দেরী পাঞ্জেরী ?