পৃথিবীতে ঢাকা এয়ারপোর্টই একমাত্র এয়ারপোর্ট যার সাথে পাবলিক ট্রান্সপোর্টের কোন কানেকশন নাই !
কতটুকু কান্ডজ্ঞানহীন এবং মূর্খ জাতি হলে একটি আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টকে ডাইরেক্টলি ট্রেন এবং বাসের সাথে সাথে কোন কানেকশন ছাড়াই ফেলে রাখা হয়েছে !
বাংলাদেশের মানুষ এতো ধনী যে সবার প্রাইভেট কার আর সাথে ড্রাইভার আছে , তাই কেউ কোন পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ইউজ করে না , দরকারও নাই !
এজন্যই কোন ট্রেন স্টেশন এবং শাটল বাস সার্ভিসের কথা চিন্তা করতে হয় না !
অপ্ৰয়োজনীয় ফ্লাই-ওভার দিয়ে ঢাকা ছেঁয়ে ফেলা হচ্ছে কিন্তু অতি গুরুত্বপূর্ণ এয়ারপোর্টে যাওয়ার জন্য একটি ট্রেন কানেকশন , সিটি বাস সার্ভিস, এবং কমলাপুর রেলস্টেশন /গাবতলী /সায়েদাবাদ / মহাখালী যাওয়ার জন্য শাটল সার্ভিস যে ভয়ানক দরকার তা আমাদের বাঘা সব সিটি প্লানার , গোল্ড মেডেল পাওয়া ইঞ্জিনিয়ার এবং জাদরেল রাজনৈতিক নেতাদের মাথায় খেলে না !
যদিও এরা সবাই মজা পুকুরের কচুরিপানা সাফ করণের অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য বৌ শ্বাশুড়িসহ কদিন পর পরই বিদেশ ভ্রমণে বের হয় !
বিমান বন্দর নামে একটি রেল স্টেশন আছে , কিন্তু প্লেন থেকে নেমে মিনিমাম ৩০ কেজি ওজনের সুটকেস , ব্যাগ , বস্তা এবং সাথে ছোট বাচ্চা নিয়ে হেটে সেই এক মাইল দূরের স্টেশনে যাওয়া কারো পক্ষে সম্ভব কিনা তা এতো এতো বিসিএস দেয়া জ্ঞানী লোকগুলি কি বুঝতে পারে না , নাকি সেই জ্ঞান অর্জনের জন্য আজও তারা বিদেশে যাইতে পারে নাই !
আর ওই স্টেশনে নেমে সুটকেস , গাট্টি বস্তা নিয়ে সামনের গোলচক্কর পার হয়ে পরিবার নিয়ে যদি কেউ হেঁটে ওই পুলসিরাত পার হতে চায় , তবে পরিবারের অর্ধেকের ডেডবডি ওই গোলচক্করেই পরে থাকবে উইদাউট ডাউট !
দুদিন পর পর কোন না কোন ভিআইপি আসা যাওয়ার কারণে দেশের একমাত্র লাইফ লাইন এয়ারপোর্টের রাস্তা ঘন্টার পর ঘন্টা বন্ধ রাখা হয় !
সাধারণ মানুষ বহু আন্তর্জাতিক ফ্লাইট এবং আভ্যন্তরীন ফ্লাইট মিস করে !
কত মানুষের চাকুরী , ব্যবসা, স্কুল কলেজ এবং ডাক্তারের এপয়েন্টমেন্ট মিস করে তার কোন হিসাব এই মহান জাতি জানতে চাইবে না !
আর আজকের মতো বছরের দুইতিন দিন নিয়ম করে ইজতেমার জন্য ওই রোডে যাওয়া হারাম !
আমি যখন প্রথম বিদেশে আসি তখনই মাথায় ঢুকে ছিল দেশে ফেরত যেয়ে আমি এয়ারপোর্ট বাস সার্ভিস চালু করবো স্মার্ট বিমানবালাদের ( তখন বাসবালা হতো ) দিয়ে !
ধুমায়া ব্যবসা করবো !
কিন্তু বিড়ালের গলায় আমার ঘন্টা কোনদিন বাধা হইলো না !
লিখেছেন- সাফি হক
সৌদিআরব প্রবাসী গ্রুপ থেকে সংগ্রহীত পোস্ট)
কতটুকু কান্ডজ্ঞানহীন এবং মূর্খ জাতি হলে একটি আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টকে ডাইরেক্টলি ট্রেন এবং বাসের সাথে সাথে কোন কানেকশন ছাড়াই ফেলে রাখা হয়েছে !
বাংলাদেশের মানুষ এতো ধনী যে সবার প্রাইভেট কার আর সাথে ড্রাইভার আছে , তাই কেউ কোন পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ইউজ করে না , দরকারও নাই !
এজন্যই কোন ট্রেন স্টেশন এবং শাটল বাস সার্ভিসের কথা চিন্তা করতে হয় না !
অপ্ৰয়োজনীয় ফ্লাই-ওভার দিয়ে ঢাকা ছেঁয়ে ফেলা হচ্ছে কিন্তু অতি গুরুত্বপূর্ণ এয়ারপোর্টে যাওয়ার জন্য একটি ট্রেন কানেকশন , সিটি বাস সার্ভিস, এবং কমলাপুর রেলস্টেশন /গাবতলী /সায়েদাবাদ / মহাখালী যাওয়ার জন্য শাটল সার্ভিস যে ভয়ানক দরকার তা আমাদের বাঘা সব সিটি প্লানার , গোল্ড মেডেল পাওয়া ইঞ্জিনিয়ার এবং জাদরেল রাজনৈতিক নেতাদের মাথায় খেলে না !
যদিও এরা সবাই মজা পুকুরের কচুরিপানা সাফ করণের অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য বৌ শ্বাশুড়িসহ কদিন পর পরই বিদেশ ভ্রমণে বের হয় !
বিমান বন্দর নামে একটি রেল স্টেশন আছে , কিন্তু প্লেন থেকে নেমে মিনিমাম ৩০ কেজি ওজনের সুটকেস , ব্যাগ , বস্তা এবং সাথে ছোট বাচ্চা নিয়ে হেটে সেই এক মাইল দূরের স্টেশনে যাওয়া কারো পক্ষে সম্ভব কিনা তা এতো এতো বিসিএস দেয়া জ্ঞানী লোকগুলি কি বুঝতে পারে না , নাকি সেই জ্ঞান অর্জনের জন্য আজও তারা বিদেশে যাইতে পারে নাই !
আর ওই স্টেশনে নেমে সুটকেস , গাট্টি বস্তা নিয়ে সামনের গোলচক্কর পার হয়ে পরিবার নিয়ে যদি কেউ হেঁটে ওই পুলসিরাত পার হতে চায় , তবে পরিবারের অর্ধেকের ডেডবডি ওই গোলচক্করেই পরে থাকবে উইদাউট ডাউট !
দুদিন পর পর কোন না কোন ভিআইপি আসা যাওয়ার কারণে দেশের একমাত্র লাইফ লাইন এয়ারপোর্টের রাস্তা ঘন্টার পর ঘন্টা বন্ধ রাখা হয় !
সাধারণ মানুষ বহু আন্তর্জাতিক ফ্লাইট এবং আভ্যন্তরীন ফ্লাইট মিস করে !
কত মানুষের চাকুরী , ব্যবসা, স্কুল কলেজ এবং ডাক্তারের এপয়েন্টমেন্ট মিস করে তার কোন হিসাব এই মহান জাতি জানতে চাইবে না !
আর আজকের মতো বছরের দুইতিন দিন নিয়ম করে ইজতেমার জন্য ওই রোডে যাওয়া হারাম !
আমি যখন প্রথম বিদেশে আসি তখনই মাথায় ঢুকে ছিল দেশে ফেরত যেয়ে আমি এয়ারপোর্ট বাস সার্ভিস চালু করবো স্মার্ট বিমানবালাদের ( তখন বাসবালা হতো ) দিয়ে !
ধুমায়া ব্যবসা করবো !
কিন্তু বিড়ালের গলায় আমার ঘন্টা কোনদিন বাধা হইলো না !
লিখেছেন- সাফি হক
সৌদিআরব প্রবাসী গ্রুপ থেকে সংগ্রহীত পোস্ট)