Monday, 2 November 2009
মানবতার গুন অর্জনের পূর্বশর্তই হচ্ছে মননে অসাম্প্রদায়িক হতে পারা।
সহানুভুতি, সমানুভুতি, সহমর্মিতা ও সহৃদয়তার গুনগুলো মানবিক গুন; এবং এই গুনগুলোর সচেতন চর্চাই মানবতা। কাজেই মানবতা হচ্ছে সেই অর্জিত গুন, যেটা মানুষের মানবীয় সত্ত্বাকে উদার হতে, কল্যাণমূলক কার্যকলাপে স্বতঃপ্রণোদিত হতে, হিতৈষি হতে, দয়াশীল হতে, দানশীল হতে, সদাশয় হতে, বদান্যতা দেখাতে উদ্বুদ্ধ করে।
কোন সাম্প্রদায়িক চেতনা থেকে, বা গোষ্ঠী স্বার্থ থেকে এই গুন অর্জিত হয়না বলেই তুলনামুলক ভাবে কম সংখ্যক মানুষ মানবিক ।
কোন ধর্মই মানবতার কথা বলেনা, কারন ধর্মমাত্রই মানব সম্প্রদায়কে খণ্ডিত ভাবে দেখে; ধর্মগুলো শুধুমাত্র সেই ধর্মে বিশ্বাসীদের অধিকার সমর্থন করে, সমগ্র মানব সম্প্রদায়কে এক দৃষ্টিতে দেখে না।
ধর্মগুলোর প্রতিরোধ সত্ত্বেও মানবিক চিন্তা আজ এগিয়েছে বলেই আজ আমরা সার্বজনীন আইনের প্রচলন দেখি, যদিও আমাদের আরও অনেক এগুতে হবে। এই এগুনোর পথে ধর্মই বৃহত্তম বাধা।
কোন ধর্মই মানবতার কথা বলেনা, কারন ধর্মমাত্রই মানব সম্প্রদায়কে খণ্ডিত ভাবে দেখে; ধর্মগুলো শুধুমাত্র সেই ধর্মে বিশ্বাসীদের অধিকার সমর্থন করে, সমগ্র মানব সম্প্রদায়কে এক দৃষ্টিতে দেখে না।
ধর্মগুলোর প্রতিরোধ সত্ত্বেও মানবিক চিন্তা আজ এগিয়েছে বলেই আজ আমরা সার্বজনীন আইনের প্রচলন দেখি, যদিও আমাদের আরও অনেক এগুতে হবে। এই এগুনোর পথে ধর্মই বৃহত্তম বাধা।
মানবতার গুন অর্জনের জন্য, উত্তরোত্তর মানবিক হয়ে ওঠার পূর্বশর্ত হচ্ছে মননে অসাম্প্রদায়িক হতে পারা।
অসাম্প্রদায়িকতা একটি সম্পূর্ণ নির্মোহ, নৈর্ব্যক্তিক, বিমূর্ত ধারণা। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, শারীরিক সক্ষমতা, আর্থ-সামাজিক অবস্থান ও রাজনৈতিক অবস্থান নির্বিশেষে, সম্পূর্ণ পক্ষপাতহীন ভাবে, একজন মানুষকে কেবলমাত্র একজন মানুষ হিসেবে দেখতে পারার একটি মানসিক যোগ্যতা হল অসাম্প্রদায়িকতা । একই সাথে কোন রকম শর্ত ছাড়াই সমাধিকার ও ন্যায়ের ভিত্তিতে প্রতিটি মানুষের রাষ্ট্রীয়, আইনি, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অধিকারকে স্বীকৃতি দিতে পারা এবং সেই অধিকার নিশ্চিত করতে পারার যোগ্যতা হল অসাম্প্রদায়িকতা।
মানুষে মানুষে অর্থনৈতিক বিভেদের সুযোগে, একে অপরকে “সাহায্য” করার নামে “দান” করবার যে ধারনাকে মানবিকতার সাথে আজ যুক্ত করা হয়, সেই দাক্ষিণ্যের আত্মশ্লাঘাকে মহত্ত্ব মনে করা মোটেই মার্জিত রুচির পরিচয় নয় ; মানবতার সাথে এর কোন যোগসুত্র নেই; কাউকে কিছু দিতে হলে দান হিসেবে নয়, উপহার হিসেবে দিতে হয়।
অসাম্প্রদায়িকতা একটি সম্পূর্ণ নির্মোহ, নৈর্ব্যক্তিক, বিমূর্ত ধারণা। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, শারীরিক সক্ষমতা, আর্থ-সামাজিক অবস্থান ও রাজনৈতিক অবস্থান নির্বিশেষে, সম্পূর্ণ পক্ষপাতহীন ভাবে, একজন মানুষকে কেবলমাত্র একজন মানুষ হিসেবে দেখতে পারার একটি মানসিক যোগ্যতা হল অসাম্প্রদায়িকতা । একই সাথে কোন রকম শর্ত ছাড়াই সমাধিকার ও ন্যায়ের ভিত্তিতে প্রতিটি মানুষের রাষ্ট্রীয়, আইনি, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অধিকারকে স্বীকৃতি দিতে পারা এবং সেই অধিকার নিশ্চিত করতে পারার যোগ্যতা হল অসাম্প্রদায়িকতা।
মানুষে মানুষে অর্থনৈতিক বিভেদের সুযোগে, একে অপরকে “সাহায্য” করার নামে “দান” করবার যে ধারনাকে মানবিকতার সাথে আজ যুক্ত করা হয়, সেই দাক্ষিণ্যের আত্মশ্লাঘাকে মহত্ত্ব মনে করা মোটেই মার্জিত রুচির পরিচয় নয় ; মানবতার সাথে এর কোন যোগসুত্র নেই; কাউকে কিছু দিতে হলে দান হিসেবে নয়, উপহার হিসেবে দিতে হয়।
মানবতার সাথে মানব ওতপ্রোত ভাবে জড়িত হলেও মানবতার সীমা কিন্তু মানবকে ছাড়িয়ে বিশ্ব ও প্রকৃতিতে মিশে যায়।
Neil deGrasse Tyson এর ভাষায় we are all connected to each other biologically, to the earth chemically and to the rest of the universe atomically.
এই বোধ ও তার সচেতন চর্চাই মানবতার সর্বোচ্চ প্রকাশ।
Neil deGrasse Tyson এর ভাষায় we are all connected to each other biologically, to the earth chemically and to the rest of the universe atomically.
এই বোধ ও তার সচেতন চর্চাই মানবতার সর্বোচ্চ প্রকাশ।
Labels:
Hindu-Buddhist-Christian,
Muslim,
religious extremism,
secular
নিবর্তনমূলক ৫৭ ধারার অবলুপ্তিসহ আটক দুই কিশোর ব্লগারের মুক্তি ও নিরাপত্তা চাই
বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনা ও ইতিহাসের সংরক্ষণে বাংলা ব্লগ ও বাঙালি ব্লগারদের যে ভূমিকা তার চূড়ান্ত প্রকাশ আমরা দেখেছিলাম শাহবাগ আন্দোলনের মাধ্যমে। এবং বাংলাদেশের অস্তিত্ববিরোধী শক্তির হাতিয়ার হিসেবে ধর্মের ব্যবহারটাও আমরা দেখতে পেরেছিলাম সেই একই সময়ে। দেখেছিলাম ধর্মকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে নব রূপে জন্ম নিয়েছে রাজাকার বান্ধব হেফাজতী আন্দোলন। এরই প্রেক্ষিতে পহেলা এপ্রিল ২০১৩ তারিখে চারজন নাস্তিক ব্লগারকে ডিবি পুলিশ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ এর ৫৭ (১) ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছিলো। যে ধারাটির সন্নিবেশন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন, মহান সংবিধানের ধর্ম-নিরপেক্ষতার মূলনীতি এবং বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার চূড়ান্ত অবমাননা। [১] এরপরে জল গড়িয়েছে অনেকটাই, অসাংবিধানিক এই ধারাটি তার বিষবৃক্ষের ডালপালা ছড়িয়েছে আরো বহুদূর।
এই কালো আইনের সর্বশেষ শিকার চট্টগ্রাম নিবাসী দুই কিশোর ব্লগার কাজী রায়হান রাহী ও উল্লাস ডি ভাবন। গত ৩০ মার্চ’ ২০১৪ তারিখে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে নিজেদের আসন্ন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে গেলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ি তাদের উপর আক্রমণ চালায় জামাত-শিবির মনষ্ক ধর্মান্ধ সন্ত্রাসীরা। [২] পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তারা সংগ্রহ করে- অপর এক ধর্মান্ধ সন্ত্রাসি এবং একাধিক হত্যার হুমকি ও জঙ্গিতৎপরতায় উষ্কানিদাতা ফারাবি শফিউর রহমান’এর সাথে, প্রচলিত ধর্মবিশ্বাসে দ্বিমত পোষণকারী রাহি ও উল্লাসের কিছু কথপোকথন। [৩] “অপরাজেয় সঙ্ঘ” নামক এই জামাতমনষ্ক সন্ত্রাসি দলটির সাথে ফারাবি’র যোগাযোগের প্রমাণও স্পষ্ট। এরই প্রেক্ষিতে, আক্রান্ত ব্লগারদের উপরে হামলা করবার পূর্বে তারা তৈরি করে ধর্মীয় উষ্কানিমূলক প্রচারপত্র এবং সময় বুঝে ঝাপিয়ে পড়ে নিরস্ত্র দুই কিশোরের ওপর। গুরূতরভাবে আক্রান্ত কিশোরদ্বয়কে স্থানীয় পুলিশ সুরক্ষা প্রদানের পরিবর্তে ৫৭ ধারায় গ্রেফতার করে তথতাকথিত ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেবার অজুহাতে।
উল্লেখ্য যে, অভিযুক্ত ব্লগার দুজনই অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোর এবং এই বারের অনুষ্ঠিতব্য এইচ,এস,সি, পরীক্ষার্থী। তা হওয়া স্বত্বেও তাদের সাথে পুলিসের আচরণ মোটেও কিশোর অপরাধীর মত ছিল না। এমনকি অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক হওয়া সত্তেও এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবার কারণবশতও, ৫৭ ধারার অবাস্তব মারপ্যাঁচে পড়ে তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়ে যায়। সেই সাথে, নিরাপত্তাজনিত কারণে এই কিশোরদ্বয়ের পক্ষে স্থানীয় আইনজীবিরাও দাঁড়াতে ভয় পাচ্ছেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। উল্লাস, ইসলাম ভিন্ন অন্য ধর্মাবলম্বী বলে অনেক আইনজীবিই তার পক্ষে মামলা লড়তে অস্বীকৃতি জানান বলেও জানা গেছে। তাছাড়া এদের পরিবারও স্পষ্ট নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এই পুরো ব্যাপারটাই দেশের মধ্যে একটি নষ্ট, জঙ্গিবান্ধব ও ধর্মান্ধ পরিবেশ তৈরি হবার প্রমাণ বহন করে।
তবে এরথেকেও ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে- এই ঘটনার পরেই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাহি ও উল্লাসের উপর চলা জীবন সংশয় সৃষ্টিকারী এই হামলার হোতা “অপরাজেয় সঙ্ঘ” নামক ধর্মান্ধ সন্ত্রাসী সঙ্গঠনটির একাধিক সদস্যের দাম্ভিক স্বীকারোক্তি থাকা সত্তেও তাদের বিরূদ্ধে কোনো প্রকার আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এমনকি তারা প্রকাশ্যে এই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তির হুমকি প্রদান করা সত্তেও তারা নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াচ্ছে। [৩] অথচ এগুলোর সবই বাংলাদেশের প্রচলিত ফৌজদারি আইনে স্পষ্ট দন্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এদের বিরূদ্ধে কোনোপ্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করা তো হয়ইনি, বরং এদের নির্বিঘ্ন চলাফেরার সুযোগ দিয়ে প্রশাসন এই ব্লগারদের পরিবারকেও হুমকির মুখে ফেলছে।
উল্লেখ্য যে, তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারাটি প্রথম থেকেই মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘনের কারণে বিতর্কিত। সেই সাথে স্বাধীন, ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশে বার বার ব্লাসফেমী আইনের বিকল্প হিসেবে এর ব্যবহার যথেষ্টই আশংকার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি, দেশের প্রচলিত অন্যান্য আইনের সাথেও এই ধারাটি অসামঞ্জস্যপূর্ণ। কেউ চুরি করুক, ডাকাতি করুক, খুন করুক, ধর্ষন করুক- তার জামিন আছে। কিন্তু, ৫৭ ধারার অপরাধের কোন জামিনের সুযোগ রাখা হয়নি। সেই সাথে এই ধারায় কৃত অপরাধ-এর ন্যুণতম শাস্তি ৭ বছরের কারা দন্ড, যেখানে ধর্ষনের মত জঘন্যতম একটি অপরাধের ন্যুনতম শাস্তিও এরচেয়ে কম। আমাদের অভিজ্ঞতা বলে ফেইসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে ধর্মীয় মৌলবাদি ও রাজাকারদের সংগঠন জামাতে ইসলামীর কর্মীরা বিভিন্ন সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের রায়ের আগে ও পরে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের উস্কানি, পরিকল্পনা কোন রকম বাধা ছাড়াই করেছে। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের কোনপ্রকার আইনের আওতায় নেয়া না হলেও সামান্য ফেইসবুক স্ট্যাটাস যেগুলোতে কারো কোন শারীরিক ক্ষতি বা এমন কিছুর দুরতম সম্ভাবনাও নেই সেখানে ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ব্লগ ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারকারিরা গ্রেফতার ও হেনস্থার স্বীকার হচ্ছে।
বিসিবিএ বিশ্বাস করে, বাংলাদেশের মহান সংবিধান কোনো ব্যক্তিবিশেষকে যেমনটি নির্দিষ্ট ধর্মবিশ্বাস লালল করায় বাঁধা দেয় না, তেমনি কারো ধর্মের প্রতি অবিশ্বাসেরও পালন, প্রচার এবং প্রকাশকে রূদ্ধ করে না। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে বিসিবিএ ঘৃণাভরে বলতে বাধ্য হচ্ছে, স্পষ্টতঃই সরকারের মধ্যে হেফাজতী, ধর্মান্ধ একটি অংশ প্রবল ভাবে প্রভাব বলয় সৃষ্টি করেছে। এবং এদেরই প্রত্যক্ষ উষ্কানীতে জাতির সংবিধানের রক্ষক হয়েও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার মতো সংবিধানের প্রতি চরম অবমাননামূলক একটি আইন প্রণয়ন করেছে সরকার। এবং ক্রমাগত অপব্যবহারের মাধ্যমে এই আইনটিকেই ব্লাসফেমি আইনের আদলে গড়ে তুলে বাংলাদেশের পাকিস্তান যাত্রা নিশ্চিত করছে তারা।
বাংলা কমিউনিটি ব্লগ এলায়েন্স (BCBA) এর পক্ষ থেকে অন্যন্য সমমনা গ্রুপ এবং ব্যক্তিবর্গের সাথে সমন্বয়ে আক্রান্ত দুই ব্লগারকে সর্বোচ্চ আইনী সহায়তা দেবার লক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এই মুহুর্তে। ঘৃণ্য ৫৭ ধারার অজুহাতে বারবার মুক্তমতকে দলিত করা হচ্ছে তার বিরুদ্ধেও সর্বাত্মক প্রতিরোধ এবং জনসংযোগ সৃষ্টি করতে আমরা সচেষ্ট। এই প্রেক্ষিতেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নিম্নলিখিত দাবীসমূহ উপস্থাপন করা হচ্ছে-
ক) আটককৃতদের অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে তাদের শিক্ষাজীবনের সুস্থ প্রবাহ ও পারিবারিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে
খ) আক্রমণকারী সন্ত্রাসিদের উষ্কানিদাতা, সঙ্গঠকসহ জড়িত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের যথাযথ ফৌজদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে
গ) সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মচারী এবং কর্মকর্তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে
ঘ) আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা বাতিল/সংশোধন করে মুক্তমতের প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে
ঙ) ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনা প্রতিরোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকরি ব্যবস্থাগ্রহণ করতে হবে।
খ) আক্রমণকারী সন্ত্রাসিদের উষ্কানিদাতা, সঙ্গঠকসহ জড়িত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের যথাযথ ফৌজদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে
গ) সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মচারী এবং কর্মকর্তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে
ঘ) আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা বাতিল/সংশোধন করে মুক্তমতের প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে
ঙ) ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনা প্রতিরোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকরি ব্যবস্থাগ্রহণ করতে হবে।
এছাড়াও আটককৃত ব্লগারদের মুক্তি ও নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে বিসিবিএ সচেষ্ট থাকবে এবং আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা রদকল্পে ক্রমাগত কর্মসূচি প্রদান করে যাবে বলে আমরা শতভাগ নিশ্চয়তা দিচ্ছি।
তথ্যসূত্রঃ
“কেউ নারী হয়ে জন্ম নেয় না, বরং ক্রমশ হয়ে ওঠে নারী।” (সিমোন দ্য বোভোয়ার)
“কেউ নারী হয়ে জন্ম নেয় না, বরং ক্রমশ হয়ে ওঠে নারী।” (সিমোন দ্য বোভোয়ার)
একটি ছোট্ট মেয়েকে গাছে উঠতে দেখে পুরুষতন্ত্র বলবে না যে, মেয়েটি গাছে উঠতে ভালোবাসে; বরং বলবে, মেয়েটা ছেলে হতে চাইছে। একটি দেশের হয়তো প্রয়োজন একজন দক্ষ পাইলট কিংবা সুযোগ্য প্রধানমন্ত্রী, সেক্ষেত্রে বিবেচ্য হওয়া উচিত প্রার্থীদের যোগ্যতা; লিঙ্গ নয়।কিন্তু আসলেই কি লিঙ্গ বিবেচিত হইয় না? পুরুষতন্ত্র নারীর জন্য মানানসই মনে করেছে শুধু দুটি পেশা- শিক্ষকতা ও চিকিৎসা।এই দুইটি পেশাতেই পুরুষের তৈরি নারীর চিরন্তনী রূপ পাকাশ পায়।কিন্তু কেন? নারী কি পুরুষ যে পেশাগুলোতে খুব সহজেই বিচরণ করে সেগুলোর যোগ্য নয়? কেন নয়? নারী ও পুরুষ সমান নয় কী? পুরুষতন্ত্র জবাব দেবে,”সমান, তবে পৃথক।” এই উক্তিটি বিশ্বব্যাপী শোষিত শ্রেণীর প্রতি এক নিষ্ঠুর উপহাস। নারী পুরুষের সমান, তবে পৃথক; কৃষ্ণাঙ্গ সমান শ্বেতাঙ্গের, তবে পৃথক; দাসও তার মালিকের সমান, তবে পৃথক! পুরুষতন্ত্র আজো শক্তিমান, তাকে আঘাত করলে আজো সে পাল্টা আক্রমণ করে দ্বিগুণ নৃশংসতায়। সে বেঁচে থাকে এমনকি প্রগতিশীলের মনে কোনো এক প্রতিক্রিয়াশীল কুটিরে। মননশীল পুরুষের হৃদয়ের প্রথাবদ্ধ অংশে হয়তো জেগে থাকে পৌরুষের গৌরব, যেমন ছিলো রবীন্দ্রনাথের মাঝেও (দ্রষ্টব্য: নারী, হুমায়ুন আজাদ)। তাই নারীবাদী লেখালেখি আপনাকে খুব সহজেই অধিকাংশ পুরুষ এবং এমনকি নারীরও চক্ষুশূলে পরিণত করবে। যার প্রমাণ বহন করে তসলিমা নাসরিন।
নারীর পক্ষে লিখতে গেলে সর্বপ্রথম যে সমস্যায় পড়বেন, তা হলো “নারী” শব্দটি নিজেই অবমাননাকর! “নর” শব্দের অর্থ মানুষ এবং পুরুষ। এরসাথে প্রত্যয়যোগে তৈরি হলো “নারী”, যার অর্থ অভিধানে মেয়েমানুষ, স্ত্রীলোক, রমনী, মহিলা,পত্নী। ব্যাপারটা অনেকটা এমন, পুরুষই হচ্ছে প্রকৃত মানুষ আর নারীকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে মানুষের অপভ্রংস অতিরিক্ত জীবরূপে। ঠিক যেমন পৃথিবীর প্রধান তিনটি সৃষ্টিতত্ত্ব (ধর্মীয়,বৈজ্ঞানিক নয়)অনুসারে, প্রথম পুরুষের একাকিত্ব লাঘবের জন্যে সৃষ্টি করা হয়েছে প্রথম নারীকে-পুরুষের পাঁজরের বাঁকানো অতিরিক্ত অস্থি থেকে। “নর” এবং “নারী” শব্দের মধ্যকার এই বৈষম্য বিশুদ্ধ পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবের একটি অনন্য রূপায়ন, যেখানে নারী স্বতন্ত্র কিছু নয়,পুরুষেরই অংশবিশেষ মাত্র। তবু আমরা “নারী” শব্দটাই ব্যবহার করি, কারণ আমাদের এই মহান ভাষায় নারীর জন্য এটাই সবচেয়ে মর্যাদাকর শব্দ! অন্য শব্দগুলো, যেমন স্ত্রী, রমণী, ললনা, অঙ্গনা, কামিনী, বনিতা, মহিলা, বামা, নিতম্বিনী এরা নির্দেশ করে একটি যোনী ও জরায়ু সর্বস্ব গৃহাবদ্ধ জাতিকে। কিন্তু কেন নারীর সংজ্ঞা হয়ে উঠলো কেবল “যোনী ও জরায়ু”? কেন নারীর মানে হয়ে উঠলো কেবল মাতা, কন্যা, ভগ্নী, স্ত্রী অথবা উর্বশী? আজকের নারী কতটা এগিয়েছে মানুষ হবার পথে? সামনের দিনগুলোয় কেমন হবে দুই প্রধান লিঙ্গের পারস্পরিক সম্পর্ক? এই লেখাটিতে আমরা এসব প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করবো।
“স্ত্রীলিঙ্গ তার প্রজাতির শিকার”, বোভোয়ারের আরেকটি অবিষ্মরণীয় উক্তি। এটি অধিক সত্য জীবজগতের দুটি অন্যতম প্রধান শ্রেণী Aves (পক্ষিকুল) ও Mammalia (স্তন্যপায়ী)-র ক্ষেত্রে। নিজের তথা মনুষ্য প্রজাতির বংশধারা অক্ষুণ্ন রাখতে নারীকে গ্রহণ করতে হয়েছে শারীরিক অসুবিধা-ঋতুস্রাব, গর্ভধারণ ইত্যাদি। এখন কেউ যদি বলে, এর জন্য নারীর চলাফেরা সীমিত করতে হবে, নারী পারবে না বিশ্বজয় করতে, তাহলে তা নিতান্তই হাস্যকর। কারণ পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিজ্ঞান ব্যপক উন্নতি করেছে, উদ্ভাবিত হয়েছে নারীর অসুবিধা লাঘবকারী কার্যকর উপায় ও পণ্যসামগ্রী। গর্ভধারণকালে নারীকে যেসব সমস্যা পোহাতে হতো তার অনেকটাই লাঘব হয়েছে আজকের যুগে, সামনে আরো হবে। বিশ্ব জনসংখ্যা যে পর্যায়ে গিয়েছে এবং শিশু মৃত্যুহার যেভাবে কমছে, তাতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে একজন নারীর পুরো জীবনকালে এক বা দুইবার সন্তানধারণ করাই যথেষ্ট। তাহলে কোন যুক্তিতে নারীকে “সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র” বানিয়ে ঘরে বন্দি রাখা হবে? ভবিষ্যতে নারী মুক্তি পাবে গর্ভধারণের সম্পূর্ণ ভার হতেই, কেননা কৃত্রিম প্রজনন নিয়ে গবেষণা ইতিমধ্যে অনেকদূর এগিয়ে গেছে। এমনকি অদূর ভবিষ্যতে আরেকটি ঘটনা ঘটবার সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দেয়া যায় না: যেহেতু কৃত্রিম শুক্রাণু প্রয়োগ করে গর্ভধারণ সম্ভব হয়েছে; ফলে বিবর্তনবাদ অনুসারে, কমে যেতে পারে পুরুষেরই প্রয়োজ়নীয়তা।
পুরুষতন্ত্রের আরেকটি হাস্যকর দাবী হচ্ছে, নারী শারীরিকভাবে দূর্বল বলে সে পুরুষের সমান হতে পারবে না। আজকের সভ্যতা প্রায় সম্পূর্ণই মস্তিষ্কনির্ভরশীল। প্রযুক্তির প্রসার মানুষকে ক্রমেই মুক্তি দিচ্ছে শারীরিক শ্রমসাধ্য কাজগুলো থেকে। একসময় আমরা প্রতিটি মানুষের মেধাকে কাজে লাগানোর পর্যায়ে পৌঁছাবো; হোটেলের ওয়েটার থেকে শুরু করে ইট ভাঙার কাজের জন্য তখন আমাদের প্রচুর রোবট থাকবে। কাজেই নারীকে পৃথক করে রাখার সব অজুহাতই দিনদিন অসাড় হয়ে যাচ্ছে।
নারী শারীরিকভাবে দুর্বল, কিন্তু সে পুরুষ ও নারীর গর্ভধারিণী; তাহলে কি এটা সম্ভব ছিল না যে, পুরুষের ওপর নারীই হবে আধিপত্যশীল? ম্যাথিয়াস ও ম্যাথিলডা ভ্যারটুং (আধিপত্যশীল লিঙ্গ, ১৯২৩) মনে করেন পিতৃতন্ত্রের আগে ছিল মাতৃতন্ত্র। বাখোফেন (মাতৃ অধিকার, ১৮৬১), ম্যাক্লেনন (আদিম বিবাহ, ১৮৭৫), মরগান (আদিম সমাজ, ১৮৭৭), ব্রিফলট (মাতারা, ১৯২৭) মত প্রকাশ করেছেন, পিতৃতন্ত্রের আগে এমন এক সমাজব্যবস্থা ছিল, যেখানে নারীর ছিল অধিকতর সামাজিক মর্যাদা। এসময়কার ধর্মগুলোতে দেখা যায় প্রভাবশালী দেবীগণকে। আসলে তখন সন্তান জন্মদান ও লালনপালন অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার ছিল।কিন্তু এরপরই আসে ব্যক্তিমালিকানার যুগ।যা বিভক্ত ছিল কৃষিযুগ ও শিল্পযুগে। দুটো যুগেই শ্রমশক্তি গুরত্বপূর্ণ ব্যাপার ছিল।যেহেতু নারী ব্যস্ত সন্তান উৎপাদন ও লালন-পালনে, তাই জমিতে শ্রম দেওয়ার জন্য পুরুষ কিনে নিতে শুরু করে পুরুষের সাহায্য এবং শ্রম।নারীর গৃহমর্ম্ভিত্তিক কাজগুলো যা একসময় ছিল গুরত্বপূর্ণ, সেটিই হইয়ে দাঁড়ায় তুচ্ছ, কারণ তার অর্থনৈতিক মূল্য নেই।যেহেতু অর্থনীতিই সমজে বড় হয়ে দাঁঁড়ায় আর পরিবারের অর্থনীতিতে নারী কোনো ভূমিকা রাখে না (রাখতে দেওয়া হয় না) তখনই সে দিনে দিনে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হইয়ে উঠতে থাকে। পুরুষ যেমন জমির মালিক হতে থাকে, ঠিক তেমনিভাবে সে হয়ে ওঠে নারীরও মালিক-নারীকে সামান্য কিছু অর্থনৈতিক সুবিধা দিয়ে।অর্থাৎ পুরুষ নারীকে প্রতিপালিত করবে বিপরীতে নারীকে হতে হবে পুরুষের অনুগত।বোভোয়ারের মতে এটাই নারীর ঐতিহাসিক মহাপরাজয়।নারী যাতে অর্থনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ হয়ে এ ফাঁদ থেকে বেরুতে না পারে এজন্য পুরুষ তৈরি করতে থাকে নিত্য-নতুন আইন, সংস্কার। এমনকি অন্য পুরুষের অনুরাগপ্রাপ্ত হয়ে নারী যাতে তার চেয়ে বেশি শক্তিশালী না হতে পারে, পাশাপাশি হিংসার তাড়নে পুরুষ নারীকে নিয়ে যায় পর্দার ভেতর, লোকচক্ষুর আড়ালে। পরবর্তী ধর্মগুলো নারীকে শিখিয়েছে পর্দানশীল হতে, পুরুষের প্রতি অনুগত হতে, মাতা কন্যা ভগ্নী স্ত্রীরূপে জীবনের সার্থকতা খুঁজতে, চুপ করে থাকতে। দেবতা ও ঈশ্বরেরা এলো পুরুষেরই রূপ বা গুণ অথবা উভয়ই নিয়ে। একটি প্রধান ধর্ম, হিন্দুধর্মে দেবীদুর্গা মহাশক্তি, কিন্তু এরজন্যে তাকে হতে হয়েছে পুরুষের কাছে ঋণী- “শিবের তেজে দেবীর মুখ, যমের তেজে কেশ, বিষ্ণুর তেজে বাহুসমূহ, চন্দ্রের তেজে স্তনদ্বয়, ইন্দ্রতেজে মধ্যভাগ, বরুণের তেজে জংঘা ও উরু, পৃথিবীর তেজে নিতম্ব, ব্রহ্মার তেজে পদযুগল, . . . মহাদেব দিলেন শূল, কৃষ্ণ দিলেন চক্র, শঙ্খ দিলেন বরুণ, অগ্নি দিলেন শক্তি . . . ।” পুরুষ তার সার্থকতা খুঁজে পেয়েছিলো পিতা পুত্র ভ্রাতা স্বামী এসমস্ত পরিচয়ের ঊর্ধ্বে। পুরুষ এসময় এগিয়ে যায় জ্ঞানে বিজ্ঞানে শিল্পে সাহিত্যে। এককথায়, পুরুষই হয়ে ওঠে প্রকৃত মানুষ; নারী থেকে যায় কেবলই জৈবিক স্তরে। নারী কেবল গর্ভধারণ করেছে, প্রসব করেছে, স্তন্য পান করিয়েছে, সন্তান লালন করিয়েছে, যে কাজ গোয়ালের গরুও করে।
অনেক গবেষকের মতে,সভ্যতার প্রাথমিক স্তরে যখন শারীরিক শ্রম খুব গুরত্বপূর্ণ ব্যাপার ছিল,তখন শারীরিক দুর্বলতা হেতু নারী তাতে অংশগ্রহণ করেনি। যতটা সে করেনি, তার চেয়ে বেশি তাকে করতে দেওয়া হয়নি।এর ফলশ্রুতিতে সভ্যতা নির্মাণে অংশগ্রহণ না করায় নারী হয়ে উঠেছিল তুচ্ছ। কিন্তু বর্তমান আধুনিক সভ্যতা তীব্রভাবে চায় নারীর অংশগ্রহণ। কৃষিখাত, শিল্পকারখানা থেকে শুরু করে ব্যাবসা-বানিজ্য, রাজনীতি কিংবা শিল্প সাহিত্য বিজ্ঞান সবক্ষেত্রে নারী ইতিমধ্যেই তার উপযোগিতা প্রমাণ করেছে। এখন দৈহিক শক্তি গুরুত্বপূর্ণ নয়-আগেও আলোচনা করেছি এই ব্যাপারে। তাই নারীকে গৃহে আবদ্ধ রাখার চিন্তা এখন অতিমাত্রায় সনাতন; সারা বিশ্বব্যাপী নারীর মুক্তি এবং সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক দিক থেকে পুরুষের সমকক্ষতা অর্জন সময়ের ব্যাপার মাত্র।কিন্তু নারীর এই উন্নতিকে পছন্দ করছে না, এমন মানুষ কিন্তু আদতে কম নয়।তাদের কাছে হাজারো বাজে অজুহাত আছে নারীর উন্নতির প্তহে ব্যারিকেড দেওয়ার। হেফাজতে ইসলামের আল্লামা শফির কথা সবার মনে আছে নিশ্চয়ই।তিনি মেয়েদের তেঁতুলের সাথে তুলনা করেছেন। তেঁতুল দেখলে যেমন মানুষের মুখে পানি আসে ঠিক তেমনি,একজন নারী সে যত বড় পজিশনেই যাক না কেন, সেখানে যেতে তাকে যতই মেধা,শ্রম খরচ করতে হোক না কেন-পুরুষের কাছে ওসবের কোনো মূল্য নেই। পুরুষদের কাছে সে একটি শরীর মাত্র। তাকে দেখলেই মুখে পানি আসে। আল্লামা শফি নিজের মত ব্যক্ত করেছেন তাতে কোনো সমস্যা নেই, সমস্যা তখনই যখন তিনি মেয়েদের দায়িত্ব দেন, যাতে পুরুষের মুখে পানি না আসে।সেই দায়িত্ব দিয়ে তিনি যখন মেয়েদের ঘরে বসে থাকার পরামর্শ দেন, গার্মেন্টসে কাজ করতে যেতে নিষেধ করেন,ছেলে-মেয়েদের একসাথে পড়াশোনা করা যাবে না এরূপ ফতোয়া দেন,তখনই হয় সমস্যা।কারণ,এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের মনে ধর্মীয় লেবাসধারী লোকদের কথা খুব সহজেই প্রবেশ করে। আমাদের দায়িত্ব নারির প্রতি এসব অপমানজনক ধারণা সমূলে উপড়ে ফেলা এবং নারীর প্রতি বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান নৃশংসতার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো।
শেষ করতে চাই নিজের একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস হুবহু তুলে দিয়ে:
পুরুষতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য সব মেয়েকে যুক্তিবাদী হতে হবে-এমনটা প্রয়োজনীয় নয়। নারীর দরকার হলো তার মধ্যকার “চিরন্তনী অনুগত নারী”র প্রতিমূর্তিটাকে ধ্বংস করা। নারী যখন ফেসবুকে গালিগালাজ করে পুরুষের গুষ্টি উদ্ধারের ধৃষ্টতা দেখায়, তখন পুরুষতন্ত্র খেপে উঠে কারণ সে নিজের বিদায়ঘণ্টা শুনতে পায়। নারী যখন গরমের দিনে কালো বোরখা ফেলে রেখে পাতলা টিশার্ট আর স্কার্ট পড়ে বেরোয়, তখন পুরুষতন্ত্র নারীর নিন্দা করে কারণ সে নিজের মৃত্যুদূত দেখতে পায়। নারী যখন ধর্ষণ থেকে বাঁচতে পুরুষের লিঙ্গে কষে লাথি মেরে অক্ষত অবস্থাতেই উঠে দাঁড়ায়, তখন সে লাথি মারে পুরুষতন্ত্রেরই প্রাণভোমরায়। অথবা উপভোগের অভিনয় করে সে যখন ধর্ষকের যৌনাঙ্গ মুখে নিয়ে এক কামড়ে ছিড়ে আনে ধর্ষকের শুক্রাশয়, তখন নারী মূলোৎপাটিত করে পুরুষতন্ত্রকেই।
অনুভূতি যতবেশি ধারালো, তাকে ততবেশি আঘাত করেই ভোঁতা বানাতে হয়। নারী আর না থাকুক পুরুষের চক্ষু শীতলকারী। নারী এবার ধৃষ্ট হোক।
Europe Under Nuclear Threat From Iran?
Iran is a developing country that is very rich in hydrocarbon resources. While it should be using those resources to build up its economy and improve the standard of living of its people, its government has seen fit to plow a large percentage of its wealth into its space and nuclear programs. Why does it need them? With all that oil and gas, why does Iran need nuclear reactors to produce electricity? Why does it need to put its own satellites into orbit when there is so much poverty within its borders?
The answer lies in projecting its power. Iran is widely believed to be developing nuclear weapons material; it has managed to get its hands on advanced bomb designs (including a miniaturized variant) and has attempted to put a satellite into space only ten weeks ago (in August 2008). Though there is great prestige in being able to launch one's own satellites, such efforts also serve a secondary (primary?) purpose of enabling one to drop atomic bombs on faraway targets.
Who has to worry about Iran's rapidly growing military power? Israel for sure as Tehran has sworn to destroy it numerous times. The US is also a vilified enemy of the Islamic nation but Europe too is in danger. First, several European countries support sanctions against Iran and this has earned them threats of retaliation. Second, Iran thinks that hitting Europe will deter or hurt the US and several senior Iranian officials have said just that. Europe shouldn't feel too safe because even though Iran is a faraway land, it is getting closer every day.
The answer lies in projecting its power. Iran is widely believed to be developing nuclear weapons material; it has managed to get its hands on advanced bomb designs (including a miniaturized variant) and has attempted to put a satellite into space only ten weeks ago (in August 2008). Though there is great prestige in being able to launch one's own satellites, such efforts also serve a secondary (primary?) purpose of enabling one to drop atomic bombs on faraway targets.
Who has to worry about Iran's rapidly growing military power? Israel for sure as Tehran has sworn to destroy it numerous times. The US is also a vilified enemy of the Islamic nation but Europe too is in danger. First, several European countries support sanctions against Iran and this has earned them threats of retaliation. Second, Iran thinks that hitting Europe will deter or hurt the US and several senior Iranian officials have said just that. Europe shouldn't feel too safe because even though Iran is a faraway land, it is getting closer every day.
Does Anyone Doubt an Iranian, Islamic, or Terrorist Nuke On Obama's Watch?
The confidently-expressed view of liberal and main-stream media regarding the acquisition of WMD - including nuclear weaponry by rogue nations (e.g. Saddam Hussein/Iraq in the past, Iran and North Korea today) - has always been to minimize the imminence of threat, to push such back in time, to call for never-ending diplomacy and "meetings", but never military pre-emption or meaningful sanctions. Now however, with more than three years remaining in Obama's term in office - there is apparently no one of knowledge who thinks the world's "safe time" until such a development obtains - will exceed Obama's tenure. And although this potentially catastrophic consequence certainly dwarfs the economic issues on the Obama plate, little is heard of this ticking time bomb, which can only be described as nightmarish. Extremist-terrorists openly advertise their intentions, and every day there is headlined proof of intent and capability with conventional common-place explosive devices - the killings of some dozens of innocents, even fellow Muslims, in various locales all over the world. If suicide killers are so readily solicited to kill a handful of "infidels" in a back-water locale, one can only shudder to think of how fanaticism-driven zeal will clamor to blow up a million people in a major city in the US or a European capital!
From all the indications from the White House, it appears that other issues are on the front burner of administration attention: first Health Care, then Unemployment, then of course Afghanistan, and certainly concerns over Global Warming with its idealistic Cap-and-Trade approach. But, will the nuclear threat keep? Will foreign diplomacy succeed to change the promised plans of Iran? Has foreign diplomacy (essentially bribery) ever really worked - or has this past century proven that it is only the US military that has kept the world's rogue leaders and countries from willful excesses? Will Russia and China help a pleading America? Hardly - their self-interested rejections of cooperation with the US re sanctions has been so obvious as to be embarrassing. Perhaps Europe? But there is hardly any potential hope there either - many observers of the European scene regard it as a tragedy-in-process, that Europe is experiencing a "death wish" - the becoming an "Islamic continent" in only a few more decades is so well along that it is inevitable.
Despite Obama's heavy hand on Israel, does his (disproportionately Jewish) staff think Israel will really await their own promised destruction without attempting something?
What is going to happen?
Aaron Kolom qualifies as a "rocket scientist" with over 50 years aerospace engineering: Stress Analyst to Chief of Structural Sciences on numerous military aircraft, to Corp. Director Structures and Materials, Asst. Chief Engineer Space Shuttle Program through first three flights (awarded NASA Public Service Medal), Rockwell International Corp.; Program Manager Concorde SST, VP Engineering TRE Corp.; Aerospace Consultant.
From all the indications from the White House, it appears that other issues are on the front burner of administration attention: first Health Care, then Unemployment, then of course Afghanistan, and certainly concerns over Global Warming with its idealistic Cap-and-Trade approach. But, will the nuclear threat keep? Will foreign diplomacy succeed to change the promised plans of Iran? Has foreign diplomacy (essentially bribery) ever really worked - or has this past century proven that it is only the US military that has kept the world's rogue leaders and countries from willful excesses? Will Russia and China help a pleading America? Hardly - their self-interested rejections of cooperation with the US re sanctions has been so obvious as to be embarrassing. Perhaps Europe? But there is hardly any potential hope there either - many observers of the European scene regard it as a tragedy-in-process, that Europe is experiencing a "death wish" - the becoming an "Islamic continent" in only a few more decades is so well along that it is inevitable.
Despite Obama's heavy hand on Israel, does his (disproportionately Jewish) staff think Israel will really await their own promised destruction without attempting something?
What is going to happen?
Aaron Kolom qualifies as a "rocket scientist" with over 50 years aerospace engineering: Stress Analyst to Chief of Structural Sciences on numerous military aircraft, to Corp. Director Structures and Materials, Asst. Chief Engineer Space Shuttle Program through first three flights (awarded NASA Public Service Medal), Rockwell International Corp.; Program Manager Concorde SST, VP Engineering TRE Corp.; Aerospace Consultant.
Russia - The Threat of a New Cold War
Quite often in our writings we focus on Big Brother in his guise as Uncle Sam. It's not that we are anti-American - quite the opposite in fact. We love the spirit and wording of the American constitution, and the freedom of choice and expression that America stands for - in theory. That's why we are saddened that the practical experience on the ground stateside today is rather different from the theory, and why we frequently choose to publish articles critical of the US government in the hope that this trend may be reversed.
However, we must not wear blinkers, and these we are seriously concerned about another Big Brother state which has a worrying and fast-expanding influence on the world stage. The Russian Bear, feared since the times of the Tsars, is again rearing its head. Today it's not just the Russian nouveaux riches invading flashy European resorts, but we see well-trained Russian troops carrying out meticulously executed attacks on the territory of other sovereign countries.
As I write, the first serious war on European territory since the break-up of Yugoslavia is taking place. I'm hopeful that the killing won't continue for long, and that a solution to this conflict between Georgia and Russia will have been found before you read this.
The conflict over South Ossetia has been "on ice" since the break-up of the Soviet Union. In the meantime the world forgot about it. Most likely, the world will soon forget about this brief revival of hostilities. But there is a more serious underlying threat here, which is the strength of Russia, and the emergence of a new, more subtle form of cold war. This will affect us all, particularly as global businesspeople and investors. Those of us who don't learn from the past are doomed to repeat it, as the saying goes.
Just a couple of weeks before the surprise outbreak of hostilities in South Ossetia, I and Peter Macfarlane wrote a piece for our blog, based on a report in Time magazine about increasing Russian influence in the Caribbean. President Hugo Chavez of Venezuela was present in Moscow to sign a billion dollar arms contract. Simultaneously, Russia announced that it was considering using its old ally Cuba as a base for refuelling war planes in America's back yard, sparking a feisty reaction from Fidel Castro who stated in effect that he didn't have to confirm, deny or justify anything. All this in turn came surprisingly close after the announcement of a US missile defence system to be built in what Russia considers its back yard, the Czech Republic. Meanwhile in Asia, July saw the signature of a milestone border demarcation agreement between Russia and China, no doubt seeking to build up influence in the orient as a counterbalance to NATO.
A recent article in the Financial Times (August 13th, 2008) opines that in attacking Georgia, the Kremlin has laid down a new challenge to the west. Analyst Charles Clover writes that by attacking an American ally and prospective NATO member and getting away with it, "Russia suddenly belongs to the elite group of countries that can write their own rules." He continues that "Few doubt that Georgia is the first in a series of moves to re-establish Moscow's control over the former Soviet Union."
Since the turn of the century, Russia has undergone a startling transformation which many in the west have failed to notice. While Europeans have been closer to the action, many across the pond have been so focused on the terrorist threat that Russia has risen unchallenged. The pro-western liberalism of the 1990s, when Russia was beholden to the west, is long gone - the new theme of the Russian government is "patriotism." The army has also been turned around and is now in much better form than a decade ago. Clover calls the Georgian campaign a "textbook example of modern warfare", apparently copied from the US campaign in Kosovo.
Russia now has the third-largest reserve of foreign currencies in the world, and a huge trade surplus. The source of all this wealth, of course, is oil and gas - and to a lesser extent minerals. We also see the spectacle of thinly-disguised attempted government takeovers of foreign investments in this area.
Worryingly, Western Europe replies on Russia for more than a quarter of western Europe's gas, without which many Europeans would be unable to cook and heat their homes in winter. Russia has a history of mysteriously reducing supplies due to "technical difficulties" or of fiddling with prices at short notice.
From an investment point of view, Russia is becoming an increasingly risky market. But we believe that commodity prices will remain high and this will give Russia the financial status it needs to expand its "patriotic" aims. Russia has substantial leverage to manipulate hydrocarbon prices, and even the gold price. There may be opportunities here, but there are also substantial risks. You can be better prepared for both by gaining a deeper understanding of the underlying geopolitical situation. Those investing or living in Eastern Europe or the Baltic boom states of Estonia, Latvia and Lithuania might want to consider getting a "Last Plane Account."
However, we must not wear blinkers, and these we are seriously concerned about another Big Brother state which has a worrying and fast-expanding influence on the world stage. The Russian Bear, feared since the times of the Tsars, is again rearing its head. Today it's not just the Russian nouveaux riches invading flashy European resorts, but we see well-trained Russian troops carrying out meticulously executed attacks on the territory of other sovereign countries.
As I write, the first serious war on European territory since the break-up of Yugoslavia is taking place. I'm hopeful that the killing won't continue for long, and that a solution to this conflict between Georgia and Russia will have been found before you read this.
The conflict over South Ossetia has been "on ice" since the break-up of the Soviet Union. In the meantime the world forgot about it. Most likely, the world will soon forget about this brief revival of hostilities. But there is a more serious underlying threat here, which is the strength of Russia, and the emergence of a new, more subtle form of cold war. This will affect us all, particularly as global businesspeople and investors. Those of us who don't learn from the past are doomed to repeat it, as the saying goes.
Just a couple of weeks before the surprise outbreak of hostilities in South Ossetia, I and Peter Macfarlane wrote a piece for our blog, based on a report in Time magazine about increasing Russian influence in the Caribbean. President Hugo Chavez of Venezuela was present in Moscow to sign a billion dollar arms contract. Simultaneously, Russia announced that it was considering using its old ally Cuba as a base for refuelling war planes in America's back yard, sparking a feisty reaction from Fidel Castro who stated in effect that he didn't have to confirm, deny or justify anything. All this in turn came surprisingly close after the announcement of a US missile defence system to be built in what Russia considers its back yard, the Czech Republic. Meanwhile in Asia, July saw the signature of a milestone border demarcation agreement between Russia and China, no doubt seeking to build up influence in the orient as a counterbalance to NATO.
A recent article in the Financial Times (August 13th, 2008) opines that in attacking Georgia, the Kremlin has laid down a new challenge to the west. Analyst Charles Clover writes that by attacking an American ally and prospective NATO member and getting away with it, "Russia suddenly belongs to the elite group of countries that can write their own rules." He continues that "Few doubt that Georgia is the first in a series of moves to re-establish Moscow's control over the former Soviet Union."
Since the turn of the century, Russia has undergone a startling transformation which many in the west have failed to notice. While Europeans have been closer to the action, many across the pond have been so focused on the terrorist threat that Russia has risen unchallenged. The pro-western liberalism of the 1990s, when Russia was beholden to the west, is long gone - the new theme of the Russian government is "patriotism." The army has also been turned around and is now in much better form than a decade ago. Clover calls the Georgian campaign a "textbook example of modern warfare", apparently copied from the US campaign in Kosovo.
Russia now has the third-largest reserve of foreign currencies in the world, and a huge trade surplus. The source of all this wealth, of course, is oil and gas - and to a lesser extent minerals. We also see the spectacle of thinly-disguised attempted government takeovers of foreign investments in this area.
Worryingly, Western Europe replies on Russia for more than a quarter of western Europe's gas, without which many Europeans would be unable to cook and heat their homes in winter. Russia has a history of mysteriously reducing supplies due to "technical difficulties" or of fiddling with prices at short notice.
From an investment point of view, Russia is becoming an increasingly risky market. But we believe that commodity prices will remain high and this will give Russia the financial status it needs to expand its "patriotic" aims. Russia has substantial leverage to manipulate hydrocarbon prices, and even the gold price. There may be opportunities here, but there are also substantial risks. You can be better prepared for both by gaining a deeper understanding of the underlying geopolitical situation. Those investing or living in Eastern Europe or the Baltic boom states of Estonia, Latvia and Lithuania might want to consider getting a "Last Plane Account."
Is The United States Starting World War III?
Are we currently in World War III? Many pundits claim that we are. What brings them to this conclusion? Yes, the U.S. is currently engaged in conflicts in Afghanistan and Iraq. However, these engagements are a prelude to a coming major conflict. We live in a world that faces global terrorism. However, many countries don’t see terrorism as a threat.
During the last world war, the world didn’t see Hitler as their problem; the Holocaust occurred while nations did nothing. Now history stands to repeat itself. Nations are not presenting a united front against terrorism, even as terrorists openly threaten them. The next tragic event may likely bring the world into a full-fledged world war. Ezekiel 38 and 39 contains one of the most popular Biblical prophecies regarding the destruction of many nations after a major war. After this war, the geographical and landscape of the Middle East will be considerably different.
The prophet Ezekiel was taken captive after the Babylonian conquered Jerusalem. It was during the years 592 to 586 BC that he wrote his prophecies. Chapter 38 of Ezekiel opens with:
“And the word of the LORD came unto me, saying, Son of man, set thy face against Gog, the land of Magog, the chief prince of Meshech and Tubal, and prophesy against him, And say, Thus saith the Lord GOD; Behold, I am against thee, O Gog, the chief prince of Meshech and Tubal: And I will turn thee back, and put hooks into thy jaws, and I will bring thee forth, and all thine army, horses and horsemen, all of them clothed with all sorts of armour, even a great company with bucklers and shields, all of them handling swords: Persia, Ethiopia, and Libya with them; all of them with shield and helmet: Gomer, and all his bands; the house of Togarmah of the north quarters, and all his bands: and many people with thee. Sheba, and Dedan, and the merchants of Tarshish, with all the young lions thereof, shall say unto thee, Art thou come to take a spoil? hast thou gathered thy company to take a prey? to carry away silver and gold, to take away cattle and goods, to take a great spoil?” (Ezekiel 38: 1-6, 13)
Most Bible scholars agree that the countries Ezekiel’s describes are Russia, Persia (Iran), North Africa, and other Islamic surrounding nations. In his book, Epicenter, Joel Rosenberg outlines the countries listed in Ezekiel Chapter 38: Magog, Rosh, Meshech, and Tubal are Russia and the former Soviet Republics. Persia is Iran. Gomer is Turkey and possibly Germany and Austria. Beth-togarmah is Turkey and Armenia. Sheba and Dedan are Saudi Arabia, Yemen, Oman and Gulf States.
Some may ask why Russia would attack Israel. Let’s not forget Russia’s past behavior towards Israel. Recently released White House documents show during the 1967 war, Russia came quite close to invading Israel. It wasn’t until the United States stepped-in that Russia backed off. Also, Russia was less than willing in allowing Russian-Jews to return to Israel during the Diaspora. There has been a constant underlying friction between the countries. One would have to been under a rock not to notice the new found buddy-buddy friendship between Russia and Iran. Russia’s selling of nuclear arms and fuel to Iran may not be seen as an alliance, but it is. This alliance has all the ingredients for an unimaginable confrontation. When the Gog / Magog war occurs, Russia, Iran, North Africa, and other Islamic nations will pay a heavy price. Chapter 38 of Ezekiel leaves off with all these countries receiving a relentless judgment for God.
“And I will call for a sword against him throughout all my mountains, saith the Lord GOD: every man's sword shall be against his brother. And I will plead against him with pestilence and with blood; and I will rain upon him, and upon his bands, and upon the many people that are with him, an overflowing rain, and great hailstones, fire, and brimstone. Thus will I magnify myself, and sanctify myself; and I will be known in the eyes of many nations, and they shall know that I am the LORD.” (Ezekiel 38: 21-23)
Reminiscent of His defense of the Israelites during the Exodus, the Lord will once again come to Israel’s rescue and soundly defeat her enemies. He will send confusion into the camps and all the nations will know that He is the Lord. I believe this will be the beginning of a great spiritual awakening for the Jews and Gentiles. Think about it! Once observing surrounding nations’ line up against her, political commentators will conclude that the nation of Israel is a goner. All will declare it’s a miracle that the state of Israel still stands. The question is will they give God the glory? The evidence will be indisputable to deny and as His word says, “Then they shall know that I am Lord.”
On his DVD, Israel and the Battle of Gog and Magog, Perry Stone describes a four-fold plan of the enemy described in Ezekiel’s prophecies:
“To take a spoil.”
“To turn your hand on the places now inhabited.” (Ezekiel 38:12)
“To take away silver and gold.”
“To take away cattle and goods.” (Ezekiel 38:13)
Due to a warning the Holy Spirit gave his father, Stone believe a major famine will hit the Middle East forcing Russia, Iran, and other Islamic nations to invade Israel for her goods and resources.
Chapter 39 of Ezekiel continues in detailing the complete and utter destruction against Gog and the other nations against Israel. Destruction will be so bad that 1) Israel will burn the weapons of their enemies for seven years, 2) in order to cleanse the land it will take Israel seven months to bury their enemies, 3) the Lord will allow birds and beast of the field to feast on the sacrificial meal He has prepared for them from the corpses of Israel’s fallen enemies, and 4) the Lord will allow only 1/6 of the invaders to live. (Ezekiel 39: 9, 12, 17)
In my opinion, World War III has begun. Casualties of war are occurring everyday. The aftermath of Gog and Magog will leave a vastly different Middle East. Not surprisingly, terrorist do not believe Ezekiel’s prophecy or the Bible. For as long as the nation of Israel exists, her Arab brothers will proudly shed their blood to try to prove God’s Word is untrue and to make the nation of Israel disappear. Sadly, they don’t know that they are fighting a loosing battle. Don’t forget there is perpetual spiritual warfare that ensues every day.
In this devastating war, it appears the beast of the field will be feasting on the flesh of Israel’s fallen enemies located in a place named Bashan. “Ye shall eat the flesh of the mighty, and drink the blood of the princes of the earth, of rams, of lambs, and of goats, of bullocks, all of them fatlings of Bashan (Ezekiel 39:18). If one were to do an internet search for the site of Bashan, you would find that it’s the Golan Heights. The area of the Golan are in a current dispute between Israel and Syria. On July 7, 2207, a top Syrian official said that if Israel doesn't vacate the strategic Golan Heights before September, Syrian guerrillas will immediately launch "resistance operations" against the Golan's Jewish communities (worldnetdaily.com). For some strange reason, Syria is not mentioned among the nations in Ezekiel’s prophecies. Syria must have already met her destruction. (Isaiah 17:1)
Ezekiel 39 closes with: “ 27 When I have brought them again from the people, and gathered them out of their enemies' lands, and am sanctified in them in the sight of many nations; 28Then shall they know that I am the LORD their God, which caused them to be led into captivity among the heathen: but I have gathered them unto their own land, and have left none of them any more there. 29Neither will I hide my face any more from them: for I have poured out my spirit upon the house of Israel, saith the Lord GOD.” Verse 27 and 28 has already occurred. The Jewish people are once again in their homeland and countless Jews are returning to Israel. Verse 29 declares that in the near future, the Lord will pour His spirit upon the house of Israel. Will you be ready?
Nevada York, Author of Caught Up and Mahogany's Revelation, released her latest book Journey to Salvation in 2006 to rave reviews from readers. Nevada's published novels are an accomplishment that has been well worth the wait. Not willing to be deterred, her determination has bought about the publication of two memorable novels.
During the last world war, the world didn’t see Hitler as their problem; the Holocaust occurred while nations did nothing. Now history stands to repeat itself. Nations are not presenting a united front against terrorism, even as terrorists openly threaten them. The next tragic event may likely bring the world into a full-fledged world war. Ezekiel 38 and 39 contains one of the most popular Biblical prophecies regarding the destruction of many nations after a major war. After this war, the geographical and landscape of the Middle East will be considerably different.
The prophet Ezekiel was taken captive after the Babylonian conquered Jerusalem. It was during the years 592 to 586 BC that he wrote his prophecies. Chapter 38 of Ezekiel opens with:
“And the word of the LORD came unto me, saying, Son of man, set thy face against Gog, the land of Magog, the chief prince of Meshech and Tubal, and prophesy against him, And say, Thus saith the Lord GOD; Behold, I am against thee, O Gog, the chief prince of Meshech and Tubal: And I will turn thee back, and put hooks into thy jaws, and I will bring thee forth, and all thine army, horses and horsemen, all of them clothed with all sorts of armour, even a great company with bucklers and shields, all of them handling swords: Persia, Ethiopia, and Libya with them; all of them with shield and helmet: Gomer, and all his bands; the house of Togarmah of the north quarters, and all his bands: and many people with thee. Sheba, and Dedan, and the merchants of Tarshish, with all the young lions thereof, shall say unto thee, Art thou come to take a spoil? hast thou gathered thy company to take a prey? to carry away silver and gold, to take away cattle and goods, to take a great spoil?” (Ezekiel 38: 1-6, 13)
Most Bible scholars agree that the countries Ezekiel’s describes are Russia, Persia (Iran), North Africa, and other Islamic surrounding nations. In his book, Epicenter, Joel Rosenberg outlines the countries listed in Ezekiel Chapter 38: Magog, Rosh, Meshech, and Tubal are Russia and the former Soviet Republics. Persia is Iran. Gomer is Turkey and possibly Germany and Austria. Beth-togarmah is Turkey and Armenia. Sheba and Dedan are Saudi Arabia, Yemen, Oman and Gulf States.
Some may ask why Russia would attack Israel. Let’s not forget Russia’s past behavior towards Israel. Recently released White House documents show during the 1967 war, Russia came quite close to invading Israel. It wasn’t until the United States stepped-in that Russia backed off. Also, Russia was less than willing in allowing Russian-Jews to return to Israel during the Diaspora. There has been a constant underlying friction between the countries. One would have to been under a rock not to notice the new found buddy-buddy friendship between Russia and Iran. Russia’s selling of nuclear arms and fuel to Iran may not be seen as an alliance, but it is. This alliance has all the ingredients for an unimaginable confrontation. When the Gog / Magog war occurs, Russia, Iran, North Africa, and other Islamic nations will pay a heavy price. Chapter 38 of Ezekiel leaves off with all these countries receiving a relentless judgment for God.
“And I will call for a sword against him throughout all my mountains, saith the Lord GOD: every man's sword shall be against his brother. And I will plead against him with pestilence and with blood; and I will rain upon him, and upon his bands, and upon the many people that are with him, an overflowing rain, and great hailstones, fire, and brimstone. Thus will I magnify myself, and sanctify myself; and I will be known in the eyes of many nations, and they shall know that I am the LORD.” (Ezekiel 38: 21-23)
Reminiscent of His defense of the Israelites during the Exodus, the Lord will once again come to Israel’s rescue and soundly defeat her enemies. He will send confusion into the camps and all the nations will know that He is the Lord. I believe this will be the beginning of a great spiritual awakening for the Jews and Gentiles. Think about it! Once observing surrounding nations’ line up against her, political commentators will conclude that the nation of Israel is a goner. All will declare it’s a miracle that the state of Israel still stands. The question is will they give God the glory? The evidence will be indisputable to deny and as His word says, “Then they shall know that I am Lord.”
On his DVD, Israel and the Battle of Gog and Magog, Perry Stone describes a four-fold plan of the enemy described in Ezekiel’s prophecies:
“To take a spoil.”
“To turn your hand on the places now inhabited.” (Ezekiel 38:12)
“To take away silver and gold.”
“To take away cattle and goods.” (Ezekiel 38:13)
Due to a warning the Holy Spirit gave his father, Stone believe a major famine will hit the Middle East forcing Russia, Iran, and other Islamic nations to invade Israel for her goods and resources.
Chapter 39 of Ezekiel continues in detailing the complete and utter destruction against Gog and the other nations against Israel. Destruction will be so bad that 1) Israel will burn the weapons of their enemies for seven years, 2) in order to cleanse the land it will take Israel seven months to bury their enemies, 3) the Lord will allow birds and beast of the field to feast on the sacrificial meal He has prepared for them from the corpses of Israel’s fallen enemies, and 4) the Lord will allow only 1/6 of the invaders to live. (Ezekiel 39: 9, 12, 17)
In my opinion, World War III has begun. Casualties of war are occurring everyday. The aftermath of Gog and Magog will leave a vastly different Middle East. Not surprisingly, terrorist do not believe Ezekiel’s prophecy or the Bible. For as long as the nation of Israel exists, her Arab brothers will proudly shed their blood to try to prove God’s Word is untrue and to make the nation of Israel disappear. Sadly, they don’t know that they are fighting a loosing battle. Don’t forget there is perpetual spiritual warfare that ensues every day.
In this devastating war, it appears the beast of the field will be feasting on the flesh of Israel’s fallen enemies located in a place named Bashan. “Ye shall eat the flesh of the mighty, and drink the blood of the princes of the earth, of rams, of lambs, and of goats, of bullocks, all of them fatlings of Bashan (Ezekiel 39:18). If one were to do an internet search for the site of Bashan, you would find that it’s the Golan Heights. The area of the Golan are in a current dispute between Israel and Syria. On July 7, 2207, a top Syrian official said that if Israel doesn't vacate the strategic Golan Heights before September, Syrian guerrillas will immediately launch "resistance operations" against the Golan's Jewish communities (worldnetdaily.com). For some strange reason, Syria is not mentioned among the nations in Ezekiel’s prophecies. Syria must have already met her destruction. (Isaiah 17:1)
Ezekiel 39 closes with: “ 27 When I have brought them again from the people, and gathered them out of their enemies' lands, and am sanctified in them in the sight of many nations; 28Then shall they know that I am the LORD their God, which caused them to be led into captivity among the heathen: but I have gathered them unto their own land, and have left none of them any more there. 29Neither will I hide my face any more from them: for I have poured out my spirit upon the house of Israel, saith the Lord GOD.” Verse 27 and 28 has already occurred. The Jewish people are once again in their homeland and countless Jews are returning to Israel. Verse 29 declares that in the near future, the Lord will pour His spirit upon the house of Israel. Will you be ready?
Nevada York, Author of Caught Up and Mahogany's Revelation, released her latest book Journey to Salvation in 2006 to rave reviews from readers. Nevada's published novels are an accomplishment that has been well worth the wait. Not willing to be deterred, her determination has bought about the publication of two memorable novels.
Labels:
civil war,
commando RAW,
Starting,
United States,
World
Future War Will Be For Water
In the coming century, new challenges are emerging. We are confronted with both old and new threats to international scarcity of many commodities especially good air and water causing security of population; resulting widespread poverty. It has to be recognized by world leaders as the most daunting of all the problems facing the world in the new century; and fundamental values of freedom, equality, solidarity, tolerance, respect for nature and shared responsibility now form common values through which achievements in all the further categories can be realized. In each of these key areas environment and resources play a central role. Threats to common security now include so-called ‘soft threats': environmental degradation, resource depletion, contagious diseases and corruption, to name just a few. It is now recognized that environmental degradation and both scarcity and abundance of natural resources are potential sources of conflict – and cooperation – and need to be more systematically addressed in this context. Access to fresh water and sanitation services are a precondition to achieving the other internationally accepted goals in the Millennium Declaration.
Scarcity of water is a function of supply and demand. Demand is increasing at an alarming rate in some regions, through population growth and increasing per-capita use. In many water-scarce oil rich Gulf countries,saline water purification may be temperory affordable method.But we have to find out permanent solutions by preserving the eco system. The second crisis is deteriorating water quality. Agriculture is the biggest polluter: increased use of fertilizer and pesticides has contaminated both groundwater and surface water supplies. Domestic and industrial pollution is also increasing, and the problem affects mainly in developed and partially in developing countries.
All nations should cooperate to understand the importance of an integrated approach to water resource management at both international and local levels. Equity and rights, cultural and ethical issues are essential to be addressed when dealing with limited water resources. Imbalances between availability and demand, the degradation of groundwater and surface water quality, inter-sectoral competition, inter-regional and international disputes, all center around the question of how to cope with scarce water resources.
Scarcity of water is a function of supply and demand. Demand is increasing at an alarming rate in some regions, through population growth and increasing per-capita use. In many water-scarce oil rich Gulf countries,saline water purification may be temperory affordable method.But we have to find out permanent solutions by preserving the eco system. The second crisis is deteriorating water quality. Agriculture is the biggest polluter: increased use of fertilizer and pesticides has contaminated both groundwater and surface water supplies. Domestic and industrial pollution is also increasing, and the problem affects mainly in developed and partially in developing countries.
All nations should cooperate to understand the importance of an integrated approach to water resource management at both international and local levels. Equity and rights, cultural and ethical issues are essential to be addressed when dealing with limited water resources. Imbalances between availability and demand, the degradation of groundwater and surface water quality, inter-sectoral competition, inter-regional and international disputes, all center around the question of how to cope with scarce water resources.
FUTURE TRENDS IN STEALTH WEAPONS
Cao Benyi
This article sets forth the important function of stealth weaponry in modern warfare, as well as domestic and foreign research and development in this field. It also points out the crucial technological problems that have to be overcome in research on stealth weaponry in view of Chinese conditions, and offers some recommendations. The purpose is to draw the attention of relevant Chinese specialists to the problems connected with stealth weaponry research.
The powerful capabilities and special characteristics of stealth weaponry enable evasion of detection by sensing equipment on the ground, breaking through a great variety of the enemy's defensive systems, and penetrating deeply into enemy territory to attack all strategic objectives. As a consequence of the very rapid development of stealth technology, the survival potential and the rate at which stealth weapons will successfully break through enemy defenses in modern warfare have been remarkably enhanced. This has attracted worldwide attention. This article elaborates on four aspects of the functions and future trends of stealth weaponry.
Cao Benyi contributed this article to the Commission of Science, Technology and Industry, Modern Weaponry, no. 11 (8 Nov 1992).
Stealth Weaponry in Modern Warfare
It is characteristic of modern warfare that it stakes everything on technology. Following the rapid development of radar, infrared, laser, and millimeter wave detector and guidance technologies, every kind of weaponry is almost immediately monitored by concentrated radar and photoelectric detectors. It is for this reason that every country is now expending great energy on stealth weaponry research to enhance the operational effectiveness and survival potential of weaponry in modern warfare. Stealth technology is part of high technology; stealth weaponry is extremely important in modern warfare. Several countries have by now developed various kinds of highly efficient stealth weaponry, such as stealth planes, stealth missiles, stealth naval vessels, stealth tanks, etc. Some have indeed already been transferred for use by the armed forces and successfully tried out in actual combat.
F-117A stealth fighters, developed by the United States, were used in the armed invasion of Panama on December 20, 1989, when they successfully evaded the radar network of the Panamanian defensive forces and unloaded two almost laser-guided bombs on the Rio Hato airfield, 90 km southwest of Panama City. This made it very easy for the U.S. paratroopers to accomplish the great military achievement of occupying the Rio Hato airfield. When the Gulf war erupted on January 17, 1991, F-117A stealth fighters were the main formation in the attacking air force, and they dropped the first bombs on Baghdad. These laser-guided bombs of the "Bao-shi-lu" III type, weighing one ton each, were dropped with unerring precision on the large communications building that housed the information services of the Iraqi armed forces, scoring a remarkable hit. One F-117A stealth fighter dropped two 2-ton laser-guided bombs right into the entrance to the Iraqi Scud Missile storage hangar. Another F-117A stealth fighter dropped one bomb into the air shaft of the Baghdad air defense headquarters, and yet another made a very destructive attack against the Baghdad air force headquarters, bringing this huge building down in a big cloud of fire and smoke. In all these air attacks the F-117A fighters maintained a record of zero losses.
Used as a strategic and tactical attack weapon, a stealth-guided missile makes it impossible for the target to defend itself. During the Falkland War of 1982, the Argentines used the French-made Exocet guided missile to sink the British destroyer Sheffield. In the Gulf War, the U.S. Navy used 100 highly effective Tomahawk cruise missiles with stealth characteristics to attack Iraqi strategic targets in the early morning of January 17, 1991.
The great importance of stealth weaponry in modern warfare has gradually been realized by China's scientific and military experts. China has vast territories, vast territorial skies and waters, and long shorelines. To protect its territorial rights over its land, air, and sea against any future aggression, it is necessary for China to make every effort to develop stealth technology, to develop stealth weaponry, and to do what is necessary to enable China's stealth technology to catch up with the world's most advanced level of such technology in a short time.
Domestic Developments and Critical Technological Problems
In China, research on stealth weaponry was started in the 1980s, and great progress has been achieved, particularly in aspects of theoretical research on active and exterior stealth applications for entire aircraft and for components. Microwave tests, in dark rooms and in the open, have by now been completed in the case of a number of entire aircraft and a large number of components.
During the last few years, some units have started research on stealth materials. For example, the research institute of the Beijing Iron and Steel Complex has developed a coating material of superfine metallic particles with radar wave absorption properties. Other relevant units have developed other coating and structural materials.
Because China was late in starting research on stealth weaponry, it has technically not yet nearly reached the level of such countries as the United States and the former Soviet Union. To offset its underdevelopment, to narrow the disparity with the rest of the world, and to be in control of the initiative in any future war, it is certainly necessary from now on to intensify research in stealth weaponry. The following are some of the critical technical problems that will have to be resolved in China's research on stealth weaponry:
* Expand the stealth waveband. Stealth technology is an important component of electronic warfare, and development of stealth technology must be conducted with full consideration for the peculiarities of modern warfare. The main emphasis on research of stealth weaponry in the various countries is currently placed on centrimetric wave, submillimeter wave, infrared, laser, and metric waveband expansion. The stealth waveband will therefore have to be expanded. Meticulous design of the external contours of stealth weaponry. It necessitates streamlining of the exterior of stealth weaponry, eliminating angular reflections and mirror reflections, and the rational design of the exhaust and air intake system of the power unit, to provide minimal surface area for radar reflection.
* Use of the most modern types of radar wave absorption and permeable materials. Exterior coating of the stealth weaponry with wave absorptive material and the use in structural components of wave absorptive and permeable materials can effectively reduce the surface area for radar reflection.
* Selection of power units with limited heat radiation, combined with the cooling of the exhaust fumes will reduce infrared and heat radiation of stealth weaponry and will make it infrared indiscernible.
* Use of electronic countermeasures and increasing the outer impedance load of the stealth weaponry. Installing on stealth weaponry electronic interference mechanisms and various kinds of equipment that would signal out false targets.
* Developing and installing accurate measuring devices. We should place main emphasis on setting up radar testing plants that are consonant with the environment of modern warfare, develop newly structured radar, taking as our principal research objective measurement of the reflecting surface area of the radar targets under wideband conditions, and should thoroughly research the reaction in the targets of the radar waves.
Suggestions for Development of Stealth Weaponry
* In light of the world's modern testing technology, and giving overall consideration to China's financial, material, and geographical conditions, it is necessary for China to start research on stealth weaponry, and to develop as quickly as possible stealth weaponry that is attuned to China's national conditions and that is also up to worldwide advanced standards.
* In the development of stealth weapons, China must firmly adhere to the principles of independence, initiative, complete self-reliance, and must in technological matters take the road of integrating what has already been developed with activities of own independent creativity. At present, China must set up as quickly as possible various research projects. Those projects that have already been set up should be considered as models and research topics to be brought to fruition in the research units.
The radar-indiscernible structure of the stealth weaponry is an important research topic. It comprises primarily research on the external structural contours and structural research on power units, power unit installations, exhaust and air intake, directional guidance installations, installation platform for the armament system, and the antenna system. The rational structural composition of stealth weapons is extremely important for a reduction of its radar-reflecting surface area and for enhanced radar-indiscernibility.
Radar-indiscernible material is one of the key items in stealth weapons; application of indiscernible material and the outer stealth structural contours are of equal importance. Research abroad has already produced various kinds of highly effective radar-indiscernible coatings and structural materials. At present, as far as materials technology is concerned, mixed materials for increased wave absorption have very good prospects. The appearance of such new technologies as sandwich-intertwined wave-absorbing materials and self-programming materials have opened new roads for the development and manufacture of radar-indiscernible materials. Superfine metal particles also have great potential as a radar-indiscernible coating material. It is necessary for China to develop through various technological methods a series of structural and coating materials with radar-indiscernible properties.
* Costs of stealth weaponry must be reduced and production must be made economically more acceptable. Abroad, costs of developing various types of stealth weaponry have been excessively high. For instance, the cost of one single American B-2 Stealth bomber is in excess of $500 million. China's economy is still very backward, and its financial and material resources are extremely limited, which makes it even more necessary to reduce the costs of developing stealth weaponry and make its production economically more acceptable.
* In light of China's backwardness in stealth technology, if we are to fill as quickly as possible the present stealth weapon gap that exists in China, we must make use of every opportunity that is offered, import from abroad advanced technologies and equipment, establish as quickly as possible a research organization in the country. Thus we can speed up development of China's stealth technology.
* At the same time as the development of stealth weaponry is going on, research must also be undertaken in antistealth technology. Stealth technology as well as antistealth technology are parts of the key projects in high technology that are currently being pursued by the various countries of the world. For the period from 1990 to 2000, the U.S. Defense Department ranks stealth technology second among its 17 technology projects of highest importance. Among the 22 key technology projects for preferential development in 1990, three dealt with antistealth technology. This makes it very obvious that in future warfare stealth technology as well as antistealth technology will both be indispensable.
This article sets forth the important function of stealth weaponry in modern warfare, as well as domestic and foreign research and development in this field. It also points out the crucial technological problems that have to be overcome in research on stealth weaponry in view of Chinese conditions, and offers some recommendations. The purpose is to draw the attention of relevant Chinese specialists to the problems connected with stealth weaponry research.
The powerful capabilities and special characteristics of stealth weaponry enable evasion of detection by sensing equipment on the ground, breaking through a great variety of the enemy's defensive systems, and penetrating deeply into enemy territory to attack all strategic objectives. As a consequence of the very rapid development of stealth technology, the survival potential and the rate at which stealth weapons will successfully break through enemy defenses in modern warfare have been remarkably enhanced. This has attracted worldwide attention. This article elaborates on four aspects of the functions and future trends of stealth weaponry.
Cao Benyi contributed this article to the Commission of Science, Technology and Industry, Modern Weaponry, no. 11 (8 Nov 1992).
Stealth Weaponry in Modern Warfare
It is characteristic of modern warfare that it stakes everything on technology. Following the rapid development of radar, infrared, laser, and millimeter wave detector and guidance technologies, every kind of weaponry is almost immediately monitored by concentrated radar and photoelectric detectors. It is for this reason that every country is now expending great energy on stealth weaponry research to enhance the operational effectiveness and survival potential of weaponry in modern warfare. Stealth technology is part of high technology; stealth weaponry is extremely important in modern warfare. Several countries have by now developed various kinds of highly efficient stealth weaponry, such as stealth planes, stealth missiles, stealth naval vessels, stealth tanks, etc. Some have indeed already been transferred for use by the armed forces and successfully tried out in actual combat.
F-117A stealth fighters, developed by the United States, were used in the armed invasion of Panama on December 20, 1989, when they successfully evaded the radar network of the Panamanian defensive forces and unloaded two almost laser-guided bombs on the Rio Hato airfield, 90 km southwest of Panama City. This made it very easy for the U.S. paratroopers to accomplish the great military achievement of occupying the Rio Hato airfield. When the Gulf war erupted on January 17, 1991, F-117A stealth fighters were the main formation in the attacking air force, and they dropped the first bombs on Baghdad. These laser-guided bombs of the "Bao-shi-lu" III type, weighing one ton each, were dropped with unerring precision on the large communications building that housed the information services of the Iraqi armed forces, scoring a remarkable hit. One F-117A stealth fighter dropped two 2-ton laser-guided bombs right into the entrance to the Iraqi Scud Missile storage hangar. Another F-117A stealth fighter dropped one bomb into the air shaft of the Baghdad air defense headquarters, and yet another made a very destructive attack against the Baghdad air force headquarters, bringing this huge building down in a big cloud of fire and smoke. In all these air attacks the F-117A fighters maintained a record of zero losses.
Used as a strategic and tactical attack weapon, a stealth-guided missile makes it impossible for the target to defend itself. During the Falkland War of 1982, the Argentines used the French-made Exocet guided missile to sink the British destroyer Sheffield. In the Gulf War, the U.S. Navy used 100 highly effective Tomahawk cruise missiles with stealth characteristics to attack Iraqi strategic targets in the early morning of January 17, 1991.
The great importance of stealth weaponry in modern warfare has gradually been realized by China's scientific and military experts. China has vast territories, vast territorial skies and waters, and long shorelines. To protect its territorial rights over its land, air, and sea against any future aggression, it is necessary for China to make every effort to develop stealth technology, to develop stealth weaponry, and to do what is necessary to enable China's stealth technology to catch up with the world's most advanced level of such technology in a short time.
Domestic Developments and Critical Technological Problems
In China, research on stealth weaponry was started in the 1980s, and great progress has been achieved, particularly in aspects of theoretical research on active and exterior stealth applications for entire aircraft and for components. Microwave tests, in dark rooms and in the open, have by now been completed in the case of a number of entire aircraft and a large number of components.
During the last few years, some units have started research on stealth materials. For example, the research institute of the Beijing Iron and Steel Complex has developed a coating material of superfine metallic particles with radar wave absorption properties. Other relevant units have developed other coating and structural materials.
Because China was late in starting research on stealth weaponry, it has technically not yet nearly reached the level of such countries as the United States and the former Soviet Union. To offset its underdevelopment, to narrow the disparity with the rest of the world, and to be in control of the initiative in any future war, it is certainly necessary from now on to intensify research in stealth weaponry. The following are some of the critical technical problems that will have to be resolved in China's research on stealth weaponry:
* Expand the stealth waveband. Stealth technology is an important component of electronic warfare, and development of stealth technology must be conducted with full consideration for the peculiarities of modern warfare. The main emphasis on research of stealth weaponry in the various countries is currently placed on centrimetric wave, submillimeter wave, infrared, laser, and metric waveband expansion. The stealth waveband will therefore have to be expanded. Meticulous design of the external contours of stealth weaponry. It necessitates streamlining of the exterior of stealth weaponry, eliminating angular reflections and mirror reflections, and the rational design of the exhaust and air intake system of the power unit, to provide minimal surface area for radar reflection.
* Use of the most modern types of radar wave absorption and permeable materials. Exterior coating of the stealth weaponry with wave absorptive material and the use in structural components of wave absorptive and permeable materials can effectively reduce the surface area for radar reflection.
* Selection of power units with limited heat radiation, combined with the cooling of the exhaust fumes will reduce infrared and heat radiation of stealth weaponry and will make it infrared indiscernible.
* Use of electronic countermeasures and increasing the outer impedance load of the stealth weaponry. Installing on stealth weaponry electronic interference mechanisms and various kinds of equipment that would signal out false targets.
* Developing and installing accurate measuring devices. We should place main emphasis on setting up radar testing plants that are consonant with the environment of modern warfare, develop newly structured radar, taking as our principal research objective measurement of the reflecting surface area of the radar targets under wideband conditions, and should thoroughly research the reaction in the targets of the radar waves.
Suggestions for Development of Stealth Weaponry
* In light of the world's modern testing technology, and giving overall consideration to China's financial, material, and geographical conditions, it is necessary for China to start research on stealth weaponry, and to develop as quickly as possible stealth weaponry that is attuned to China's national conditions and that is also up to worldwide advanced standards.
* In the development of stealth weapons, China must firmly adhere to the principles of independence, initiative, complete self-reliance, and must in technological matters take the road of integrating what has already been developed with activities of own independent creativity. At present, China must set up as quickly as possible various research projects. Those projects that have already been set up should be considered as models and research topics to be brought to fruition in the research units.
The radar-indiscernible structure of the stealth weaponry is an important research topic. It comprises primarily research on the external structural contours and structural research on power units, power unit installations, exhaust and air intake, directional guidance installations, installation platform for the armament system, and the antenna system. The rational structural composition of stealth weapons is extremely important for a reduction of its radar-reflecting surface area and for enhanced radar-indiscernibility.
Radar-indiscernible material is one of the key items in stealth weapons; application of indiscernible material and the outer stealth structural contours are of equal importance. Research abroad has already produced various kinds of highly effective radar-indiscernible coatings and structural materials. At present, as far as materials technology is concerned, mixed materials for increased wave absorption have very good prospects. The appearance of such new technologies as sandwich-intertwined wave-absorbing materials and self-programming materials have opened new roads for the development and manufacture of radar-indiscernible materials. Superfine metal particles also have great potential as a radar-indiscernible coating material. It is necessary for China to develop through various technological methods a series of structural and coating materials with radar-indiscernible properties.
* Costs of stealth weaponry must be reduced and production must be made economically more acceptable. Abroad, costs of developing various types of stealth weaponry have been excessively high. For instance, the cost of one single American B-2 Stealth bomber is in excess of $500 million. China's economy is still very backward, and its financial and material resources are extremely limited, which makes it even more necessary to reduce the costs of developing stealth weaponry and make its production economically more acceptable.
* In light of China's backwardness in stealth technology, if we are to fill as quickly as possible the present stealth weapon gap that exists in China, we must make use of every opportunity that is offered, import from abroad advanced technologies and equipment, establish as quickly as possible a research organization in the country. Thus we can speed up development of China's stealth technology.
* At the same time as the development of stealth weaponry is going on, research must also be undertaken in antistealth technology. Stealth technology as well as antistealth technology are parts of the key projects in high technology that are currently being pursued by the various countries of the world. For the period from 1990 to 2000, the U.S. Defense Department ranks stealth technology second among its 17 technology projects of highest importance. Among the 22 key technology projects for preferential development in 1990, three dealt with antistealth technology. This makes it very obvious that in future warfare stealth technology as well as antistealth technology will both be indispensable.
ধর্মান্ধতা ও বাঙ্গালী মুসলমান মনস্তত্ত্ব
বাংলাদেশে মুসলমানরা জন্মের পর থেকেই ধর্মান্ধতা আয়ত্ব করতে শেখে। কেউ যদি বলে বাংলাদেশের বেশীরভাগ মুসলমান উদার মুসলিম সামাজিক সাংস্কৃতিতে বেড়ে ওঠে সে কথার সাথে আমি মোটেও একমত পোষন করবো না। এদেশের মুসলমানরা অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি কতটা অসহিষ্ণু তা আমি আমার বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়ার দেখেছি আর বড় হয়ে একে নিকৃষ্ট বর্ণবাদী ধর্মান্ধ এক সমাজ ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারিনি। অন্তত আমি ছেলেবেলা যে সমাজে বেড়ে উঠেছি সেখানকার অভিজ্ঞতা থেকে আমি এমন ধারনাই পোষন করি। বর্ণবাদী সমাজ একারনেই বললাম যে বর্ণবাদ যেমন নিজ বর্ণ বা জাত ছাড়া অন্য কাউকে পূর্নাঙ্গ মানুষ বলে মনে না করে কেবল ঘৃনা পোষন করে, এদেশের মুসলমানদের বড় একটা অংশই অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি ঘৃনা পোষন করে।
আমি ছেলেবেলাতেই দেখেছি এই মুসলমান সমাজ কিভাবে ভীন্ন ধর্মাবলম্বীকে জোর-জবস্তি করে মুসলমান বানাতে চায়। এসমাজ প্রকাশ্যে অমুসলিমদের বিষদগার করে। যেকোন স্থানেই তারা ভীন্ন ধর্মাবলম্বীদের মালাউন বলে গালমন্দ করতে দ্বিধাবোধ করে না। এমনকি সেখানে ভীন্ন ধর্মাবলম্বী কোন মানুষ আছে বুঝতে পারার পরও এই মুসলমানরা লজ্জিত হয় না, বরং ভীন্ন ধর্মাবলম্বীরা বিপথে আছে বলে তাকে ধর্মন্তরিত হবার পারমর্শ দেয়, আর তারা নিজ ধর্মকে সমর্থনমূলক কথা বললে তাদের পেতে হয় ভৎসনা। মুসলমান ভীন্ন অন্য সবার ধর্মকেই এখানে অবমাননা করা হয়। এখানে ভীন্ন ধর্মাবলম্বী সবাই হিন্দু হিসেবে পরিগনিত হয়। একজন বৌদ্ধ, খ্রিষ্ট্রান বা আদিবাসী হলেও সাধারন সমাজ মনস্বত্ত্ব হল ‘সে হিন্দুই’। এমনকি একজন নাস্তিকও ওই সমাজে হিন্দু হিসেবেই পরিগনিত। মানুষ কতটা গন্ড মূর্খ এমনটা ভাবতে পারে তা বলাই বাহুল্য!
যাহোক, এসব আমি জেনেছি আমার জীবন থেকে, মানে দেখতে দেখতে শুনতে শুনতে জেনেছি। এখানে হিন্দু ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ শৈশবের প্রারম্ভ থেকে থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বিস্তৃত। হিন্দু বিদ্বেষ এ দেশের মুসলিম সমাজে একজন শিশু তার সামাজিকিকরন প্রকৃয়ার মধ্য থেকেই শেখে। আমি শৈশবে আমার খেলার সাথীদের কাছ থেকে শিখেছিলাম লাল রংয়ের পিপড়াঁ হিন্দু তাই কামড় দেয় এবং এর কামড়ে বিষ থাকে! আমি আমার পারিপার্শ্বিকতা থেকে শিখেছিলাম হিন্দুরা মারা গেলে ভুত হয় কেননা হিন্দুরা খারাপ মানুষ! আমার সব সহপাঠিই মনে করত ভুতেরা হিন্দু! সে সমাজে শিশুদের শেখানো হয়েছিল কবরস্থান পবিত্র জায়গা আর শ্বশান অপবিত্র জায়গা, তাই শ্বশানে ভুতের আঁখড়া! তাই শশ্বানের পাশ দিয়ে হেঁটে যাবার সময় সুরা পড়তে পড়তে যেতে হত সবাইকে পাছে যদি আবার ভুতে ধরে! আমার ছেলে বেলায় মক্তবে গিয়ে শিখেছিলাম মুসলমান মারা গেলে সাথে সাথে বলতে হবে ‘ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন’ (মৃত ব্যক্তি জান্নাতবাসী হোক) কিন্তু হিন্দু মরলে বলতে হবে ‘ফী নারি জাহান্নাম খালিদীনা ফীহা’ (মৃত ব্যাক্তি চিরকাল জাহান্নামের আগুনে পুড়ুক)! আমার কৈশোরে যখন যৌনতার বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠছিলাম তখন আমার এক সহপাঠির কাছ থেকে শুনেছিলাম যে কুমারী হিন্দু নারীর সাথে যৌন ক্রিয়া করলে নাকি বাতের ব্যাথা ভাল হয়ে যায়!
এ মুসলমান সমাজে একটি শিশু এসব শুনতে শুনতেই হিন্দুদের শত্রু হিসেবে নিজের অজান্তে দাঁড় করায়। ফলে এমন মনস্বত্ত্ব তৈরী হয় যে বড় হয়ে এসব মুসলমানের কাছে হিন্দু নারী ধর্ষন, মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর, ধর্মন্তারকরন এক একটা একটা পূন্য কাজ বলে মনে হয়। আমার ছেলেবেলায় দেখছি ভারত পাকিস্থানের ম্যাচে ভারত জিতুক বা হারুক যাই হোক আমার হিন্দু বন্ধুদের বাড়ীর চালে ডিল পড়েছে। খুব ছোট থেকেই দেখেছি মানুষ অনায়াসে হিন্দুদের ডান্ডি, ডেডা ইত্যাদি নামে ডাকছে। আমার এক বন্ধুর নাম ছিল সঞ্জিব, ওকে আমিসহ আমার বন্ধুরা অবলিলায় বলে দিতাম ‘কিরে হিন্দু তুই কালকে কই ছিলি’ এ জাতিয় কথা । মাঝে মাঝে ডান্ডিও বলতাম সামনা সামনি। সেও এধরনের সম্বোধন শুনে অভ্যস্ত ছিল। পরে বুঝেছি কিভাবে এই ধরনের সম্বোধন একজন মানুষের মাঝে ভয়ংকর ভাবে আদারনেস তৈরী করে।
আমি যখন খুব ছোট তখন আমাদের পাশের হিন্দু পাড়ার দিলিপ একদিন মুসলমান হল। সে বয়সে ঘটনার সারমর্ম যা বুঝেছিলাম আর যতটুকু মনে আছে সে অনুসারে বলা যায় দিলিপ অভাবের তাড়নায় এক রেলওয়ে কর্মকর্তা দেয়া চাকরির প্রলোভনে মুসলমান হয়েছিল। দিলিপের নতুন নাম হয়েছিল রুস্তম। পাড়ায় রুস্তমকে নিয়ে একটা উৎসব আমেজ তৈরী হল। রুস্তমকে সবাই দাওয়াত করে খাওয়ায়। অল্পদিনেই রুস্তম বেশ মোটাতাজা হয়ে উঠল কিন্তু শুকিয়ে গেল রুস্তমের দুই মেয়ে আর বউ, ওরা মুসলমান না হওয়ায় মুসলমানরা ওদের ডেকে খাওয়ায় না আর অন্যদিকে নিন্মবর্ণের হিন্দু প্রতিবেশীরাও রুস্তমের পরিবারের বোঝা বইতে পারে না। একদিন দেখি পাড়ায় রুস্তমের সালিশ বসেছে কেননা তাকে হিন্দু পাড়ায় তার ঘরে বউ-বাচ্চা সাথে সাথে রাত কাটাতে দেখা গেছে। সালিশে কি বিচার হয়েছিল মনে নাই। তবে মনে আছে, রুস্তমের পরিবারের উপর নেমে এসেছিল এক সংকট। একদিকে পরিবার মুসলমান না হওয়ায় রুস্তম পরিবারের কাছে যেতে পারে না। অন্যদিকে পরিবারের নেই কোন খোরাকি। এভাবে একদিন রুস্তমের বউ দুই মেয়েকে নিয়ে মুসলমান হতে হল। তাদের জন্য পাড়ায় নতুন খুপড়ি ঘর বানান হল। একদিন রুস্তমের চাকরিও হল। কিন্তু আবার বিপত্তি দেখা দিল কেননা রুস্তমের বউকে নিয়ে অভিযোগ পাওয়া গেল সে লুকিয়ে মন্দিরে যায়। এরপর আরো অনেক সালিশই হতে দেখেছি রুস্তমের বউয়ের মন্দিরে যাওয়া নিয়ে। কি বিচার হয়েছিল তাও ভুলে গেছি। অনেক ছোট ছিলাম সবকিছু মনে নেই ঠিকঠাক। তবে সমাজটা যে নিষ্ঠুর ছিল এটা বুঝেছিলাম। তাই ভুলে যেতে পারিনি এঘটনা কোনদিনই। বড় হয়ে বুঝেছিলাম এটা ছিল একটি জোর-জবস্তির ধর্মান্তরকরন। এরকম আরো হাজার হাজার ঘটনা আজো ঘটে চলেছে এদেশের আনাচ কানাচে।
আমার ছোটবেলার সেই পাড়া থেকে বেড়িয়ে এসে একদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে এলাম। এখানে এসে দেখলাম ভীন্ন ধর্মাবলম্বীদের আদারনেস প্রব্লেম আরো বড়। তাদের জন্য একেবারে আলাদা হলই। ৮৪ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিধি, নাম, যশ বেশ বেড়েছে কিন্তু ধর্মকেন্দ্রীক পৃথকীকরন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বের হতে পারেনি। তাই আজো অমুসলিম ছাত্রদের জন্য আলাদা আবাসন ব্যবস্থা এদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে। কয়েকদিন আগে শুনলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ নতুন একটি হল সব শিক্ষার্থীর উম্মুক্ত করার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে মুসলমান শিক্ষার্থীরা। যেদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ধর্মন্ধতা অস্তিত্বশীল সেদেশে সাধারন মানুষের মনস্তত্ত্ব কেমন তা সহজেই অনমেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়ে এসেছি বছর দশেক চলছে এখনও আশপাশ থেকে কানে ভেসে আসে ‘মালউনের বাচ্চাদের একপা ভারতে’ এজাতিয় কথা। এইতো সেদিন অফিসের এক প্রকল্প পরিচালক সম্পর্কে এক কলিগ অভিযোগ করল তিনি নাকি বলেছেন, তার প্রজেক্টে কোন মালাউন রাখা হবে না। সেদিন বাংলাদেশ-ভারতের খেলায় লিটন দাস ভাল পারফর্মেন্স না দেখানোয় পরিচিত একজন মন্তব্য করে বসল, নামের শেষে দাস আছে সে জন্যই দলে চান্স পেয়েছে। সেদিন তো একজন তর্কই জুড়ে দিল বাংলাদেশ নাকি ইসলামিক দেশ। তাকে কোনভাবে বোঝানো গেল না এদেশে প্রায় ১৫ ভাগ অন্য ধর্মের মানুষ বাস করে। বোঝানো যাবেই বা কিভাবে? সংবিধানে একদিকে লেখা আছে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম আর অন্যদিকে বলা হচ্ছে বাংলাদেশ ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র। আর এ কারনেই পাশ থেকে একজন টিপ্পনি কেটে উঠল, ভাই কি ধর্ম নিরপেক্ষ নাকি?
Labels:
blindness,
extremeism,
freedom of speech,
Religious blind
All about TITANIC
The Titanic Museum
208 Main Street, Indian Orchard, Massachusetts
Discover Titanic Where It All Began
Home of the World Famous Titanic Historical Society Collection
You step into friendly, nostalgic 1950s “Happy Days” hometown America at 208 Main Street, Indian Orchard, home of the world-famous Titanic Historical Society Collection where you will relive authentic 1912 at the Titanic Museum, the vision of Edward S. Kamuda. Throughout the intimate landmark museum, visitors will see Titanic legends come to life. A tribute to the ill-fated liner, rare artifacts tell stories of passengers and crew. You will learn more about Titanic history and have lots of fun.
The atmosphere is very informal and enjoyable for the whole family. Personally hosted by the Kamudas, the founding family, who readily answer your questions about Titanic and the displays.
The Titanic Historical Society's (THS) collection, one of its greatest strengths, is its collected works of rare Titanic survivor artifacts, one of the finest anywhere. Many were donated by the survivors themselves to THS’s founder and president, Edward S. Kamuda in the 1960s through the 80s, the organization’s early years.
The collection covers a broad scope of Titanic's rich history, from original blueprints of her tank top donated by her builders, Harland & Wolff, to the 21st century where the ship has become a popular icon from movies and TV. From merchandise to movies, you will see souvenirs and sheet music produced right after the sinking to colorful film posters illustrating the drama from the 1950s to the present.
Titanic's brave officers, crew and all the passenger classes are represented; stories of courage, adventure and even humor about other times and other places and people like our grandparents.
Titanic’s collision with an iceberg is a chronicle of “What Ifs” and you will see a very important artifact in Titanic history––the Wireless Message received by Titanic stating the location of the fatal iceberg that never made it to the bridge!
One of the most famous and the wealthiest were the John Jacob Astors; Mrs. Astor’s lifejacket is one of THS’s treasured mementos.
The original story in 1913 that became the best-selling, Polar, the Titanic Bear, by her great-grand nephew, Leighton Coleman III, written and cover sketch by first-class survivor, Daisy Corning Spedden is here.
Newly married Selena Rogers Cook, traveling second class, was coming to Connecticut. She saved the clothes she wore and the articles in her pocketbook, sent postcards and even saved a tooth that bothered her on the voyage!
The Goldsmith family booked passage in third class, left England to settle in Detroit, Michigan; nine-year-old Frankie lost his dad and his best friend in the sinking; artifacts and his personal recollections in Titanic Eyewitness My Story, published by the Titanic Historical Society, are here.
An outstanding artifact is Olympic’s bridge bell, truly the heart of a ship, the beautiful bronze bell can be seen not only as the most important legacy of the Olympic-class but also as a tribute to her two sisters, Titanic and Britannic.
The awesome view from Titanic’s crow’s nest on the night of April 14 comes to life in lookout Fred Fleet’s drawing of the iceberg.
Trimmer Ernest Allen’s Seamen’s Discharge Book notes the date Titanic sank and when his pay stopped.
The rescue ship Carpathia’s first class dinner menu portrays a serene picture on the fateful night of Sunday, April 14, a few hours before the chaos of Titanic’s collision.
A huge bronze bell engraved with a delicate Edwardian filigree from the Halifax, Nova Scotia cable vessel MacKay-Bennett is here, known as the funeral ship because she retrieved most of Titanic’s victims and is a powerful reminder of the men, women and children who lost their lives. Another poignant piece from the ill-fated ship is a bronze White Star flag, removed from a lifeboat on Carpathia’s arrival in New York.
A good starting point is the mammoth, nearly 9-foot Titanic model that dominates the entrance showing in minute detail what the largest ship in the world looked like in 1912. The rest of the White Star family can be seen in an impressive miniature model collection featuring a panorama of the White Star Line highlighting famous vessels, each with its own special story, from the late 1800s, to the grand Olympic-class and Titanic, to Georgic and Britannic of the 1930s, even the tiny tenders that brought passengers aboard!
Titanic was powered by gigantic, reciprocating engines and you’ll see a stunning three-dimensional model that actually works. Another exhibit to inspect is a model of Titanic’s rudder and three propellers made in the same scale as the engines.
Passengers in first class dined in exquisite splendor and you can examine selections of the ship’s fine English china and place settings, even a carved oak chair from the dining room; then make a comparison with the modest accommodations in third class. Second class passenger Edwina Troutt described Titanic’s luxury to her cousin, Gladys in her letter written aboard Titanic.
The Titanic Museum is committed to giving each object the best possible care. Conservation means adding new items while resting others and some that are listed here may not always be displayed and/or may be on loan to the Titanic Museum Attraction in Branson, Missouri.
Research is essential to the work of preservation and restoration of our exhibits. Unique to our museum is that awareness that you can read in The Titanic Commutator, documenting ships and survivors’ stories, published quarterly by the Titanic Historical Society since 1963 and available in our Museum Store. Join as a THS member and receive the Commutator as part of your annually renewable membership. Everyone at the Titanic Museum is extremely friendly and helpful and the Museum store offers many exclusive Titanic gifts, fine art prints, White Star Line reproductions and maritime history books. Something for everyone is in the full inventory of specialty merchandise including Barbara Kamuda’s hand-crafted jewelry. Not only are these wonderful items available in the store, but also you can order by surface mail and through our online catalog under Museum Store on the menu at www.titanichistoricalsociety.org
Whether you live just down the street, across the country, next door in Canada, across the sea in Ireland, Britain, or halfway around the world in Japan, your life has been affected by this ship in ways you might never have imagined. For those who love Titanic and the glamorous ocean liners of the past and, are eager to broaden their horizons and travel through time with Titanic’s passengers and crew, come visit and explore the Titanic Museum.
The Titanic Museum
208 Main Street
Indian Orchard, Massachusetts 01151
A Powerful Experience for the Titanic Lover and the Whole Family
For free information about accommodations, attractions, dining, shopping, etc. here in Massachusetts Pioneer Valley, please visit the friendly and helpful people at the Greater Springfield Convention and Visitors Bureau: http://www.valleyvisitor.com/
Click Here to view some of our Collection
Which includes:
* The ice message that never made it to the bridge
* Lookout Fred Fleet's rendition of the fatal iceberg
* Mrs. Astor's lifejacket
* A rivet punching from Titanic's hull
* Titanic's Launching luncheon and dinner menus
* A square of first-class stateroom carpet
* Titanic officers' and passengers' personal effects
* 3rd class passenger Einar Karlsson's Inspection card
* Letters and postcards written onboard including Selena R Cook, Edwina Troutt, Mrs. Frank Goldsmith and George Thorne (Rosenshine)
* Titanic passenger 1st class Milton Long's pocket watch
* Bread board from Titanic
* Lifeboat seat support from Titanic
* Bronze White Star burgee from a Titanic lifeboat
* Railing section from Titanic retrieved by Rev. Henry Cunningham on the cable ship Mackay-Bennett
* The crow's nest bell of the Mackay-Bennett
* Wood/cane chair from Titanic recovered by the Minia
* Titanic menu (3rd class) from passenger Tom Theobald
* Titanic lookout Fred Fleet's discharge book
* Registered letter; envelope stamped TITANIC
* Titanic blueprint presented by Harland & Wolff.
* Titanic survivor 3rd class Gus Cohen's account of disaster handwritten on Carpathia stationery
* Autographed photograph of Carpathia's officers.
* Carpathia medals in bronze and gold from Molly Brown
* Key from dispensary cabinet on Carpathia
* Lifeboat badge from Carpathia
* Carpathia menu 2nd class Tea 4/13/1912
* Carpathia menu 1st class Dinner, 4/14/1912
* Captain Rostron's watch
* Olympic's bridge bell
* Olympic 1st class dining saloon Jacobean-style chair
* Olympic: carved oak newel post from the grand staircase and a carved capitol [top of a column]; Britannic artifacts, White Star Line china and silverplate, a diary and letter signed by Joseph Bruce Ismay, original paintings, sheet music, survivor keepsakes and association pieces, other shipping line memorabilia, Titanic in popular culture displaying modern artifacts, including an Englehardt collapsible lifeboat, a 27 foot reproduction loaned by 20th Century-Fox used in the James Cameron film TITANIC
While You're in the Indian Orchard/Springfield Area
The village of Indian Orchard has many antique shops within walking distance. There is a wealth of attractions nearby including:
* Six Flags over New England
* The Basketball Hall of Fame
* Indian Motorcycle Museum
* Stevens/Duryea Museum
* Springfield Armory National Historic Site
* Connecticut Valley Historical Museum
* George Walter Vincent Art Museum
* Museum of Fine Arts
* Springfield Science Museum
* The Zoo in Forest Park
* New England Air Museum
* Connecticut Trolley Museum
* C S Nash Dinosaur Tracks
Do You want to know about TITANIC? You can visit below website..
titanicbranson.com
onlinetitanicmuseum.com
titanic1.org
titanicpigeonforge.com
titanichistoricalsociety.org
titanicinbelfast.com
titanictheexperience.com
titanicitems.com
titanic-titanic.com
poem of love
Cover my eyes with your words
woven out of myrtle and cotton,
tattooed on my mind as the wind
lulled my sad stars.
Lost truths in my depths cry
when the past is fished in-between
those lines of beauty and dream.
Lost truths silence my soul.
I am a poem smitten by some
shadows' soft caresses and unfeeling kisses
lost between the sun and the moon.
I am a flower that forgot how to come into bloom.
Stuck in a cave of sleep, my eyes still creep
in mysteries hidden in the past.
Cover my eyes, listen to the sea breathing deep
within while the wind my fate shall cast.
Cover my eyes with your words
made of autumn songs and incense
again.
Let this lady of distances sow her dreams
in the rain.
By.....Karla Bardanza
You make me shin
A glow with smiles and laughter going around,
With my heart skipping a beat,
My breath gets so warm because i feel a warmth about being around you,
Nervs that once use to be there no longer exist,
Conversation that could go on forever and ever.
You make me shin
When we sit in your room laughing about how stupid they look in music videos,
With the push you gave me because you secretly love that I'm right,
How that moment stops and all we can hear is the music in the back around as we lean in to kiss; our lips meet as one
And i know i never want to miss out on this ever again.
You make me shin
how you told me you hated holding hands, but you held mine,
When you laid your head in my lap and smiled looking up at me,
when I laid on my back and you played with my tummy , giving me those stupid raspberries; but yet they made me happy,
The time you pushed all your friends a side to come and give me a hug that felt like a life time.
You make me shin
when you told me you didn't care how much i weigh, just as long as i stopped losing weight,
With the long conversation on the phone for hours at a time just talking about stupid stuff no one would want to hear about.
You make me shin
when ever i walk by our "secret" hiding spot at Santa Monica beach
because everything is now gone
You make me shin
when i just think about you
I think about you every second of every minute of every day
I always shin
by..........Windsong
by Cara
It's been a while since I have seen you,
I really miss you.
I miss holding you,
I miss kissing you.
It's the funnest thing,
we have known each other for 4 years,
I was 16 when we met,
It was just a few days after my 16th birthday,
you brought me Elmo Pj's.
And i think i will always remember that moment.
You used to come and see me all the time.
I know I'm not a beautiful girl,
maybe not even average,
I'm just me.
I have felt these feelings for so long.
I think that in some way you have feelings for me.
I know that we wont be anymore than friends,
I guess thats fine cause i know i cant change that.
So as long as we see each other every so often.
To me you really are the perfect guy,
You make me laugh and smile.
I get butterflies in my tummy every time i see you.
I love you very much no matter what...
** Can you please comment that would be great thanks*
by XxEmotionally TakenxX
Im better off, now that ur gone,
one last goodbye,
and one last song,
just like the wall,
that i built for u,
when u took my hand,
and promised to,
always be true,
dont ever leave,
open my eyes so i can see,
im better off....
by Silver Salver
I was made for the waters of the sea
To swim against the currents of strength
Dive down all shades of blue
Float with the folds of the waves
You were fire
The blaze of rage, who
Breathed in the cries of grief
Breathed out the heat of pain
In what world could we have ever existed?
by TiMe hEaLs aLL wOuNdS
I miss your hugs,
and the way they made me warm.
I miss your smile,
and how they slowly used to form.
I miss your laugh,
and how it was the cutest sound.
I miss your kisses,
and how they used to lift me from the ground.
I miss your eyes,
and how they held so much mystery.
I miss your voice,
and all your goofy jokes and stories.
I miss your touch,
and how it drove me crazy.
I miss talkin to you,
it was always so easy.
I miss your scent,
and how it lingered in my nose for days.
I miss your cockyness,
and how you were special in multiple ways.
I miss our times together,
and how nobody ever made me happier.
Your memory haunts me,
never forgetting you is my biggest fear.
woven out of myrtle and cotton,
tattooed on my mind as the wind
lulled my sad stars.
Lost truths in my depths cry
when the past is fished in-between
those lines of beauty and dream.
Lost truths silence my soul.
I am a poem smitten by some
shadows' soft caresses and unfeeling kisses
lost between the sun and the moon.
I am a flower that forgot how to come into bloom.
Stuck in a cave of sleep, my eyes still creep
in mysteries hidden in the past.
Cover my eyes, listen to the sea breathing deep
within while the wind my fate shall cast.
Cover my eyes with your words
made of autumn songs and incense
again.
Let this lady of distances sow her dreams
in the rain.
By.....Karla Bardanza
You make me shin
A glow with smiles and laughter going around,
With my heart skipping a beat,
My breath gets so warm because i feel a warmth about being around you,
Nervs that once use to be there no longer exist,
Conversation that could go on forever and ever.
You make me shin
When we sit in your room laughing about how stupid they look in music videos,
With the push you gave me because you secretly love that I'm right,
How that moment stops and all we can hear is the music in the back around as we lean in to kiss; our lips meet as one
And i know i never want to miss out on this ever again.
You make me shin
how you told me you hated holding hands, but you held mine,
When you laid your head in my lap and smiled looking up at me,
when I laid on my back and you played with my tummy , giving me those stupid raspberries; but yet they made me happy,
The time you pushed all your friends a side to come and give me a hug that felt like a life time.
You make me shin
when you told me you didn't care how much i weigh, just as long as i stopped losing weight,
With the long conversation on the phone for hours at a time just talking about stupid stuff no one would want to hear about.
You make me shin
when ever i walk by our "secret" hiding spot at Santa Monica beach
because everything is now gone
You make me shin
when i just think about you
I think about you every second of every minute of every day
I always shin
by..........Windsong
by Cara
It's been a while since I have seen you,
I really miss you.
I miss holding you,
I miss kissing you.
It's the funnest thing,
we have known each other for 4 years,
I was 16 when we met,
It was just a few days after my 16th birthday,
you brought me Elmo Pj's.
And i think i will always remember that moment.
You used to come and see me all the time.
I know I'm not a beautiful girl,
maybe not even average,
I'm just me.
I have felt these feelings for so long.
I think that in some way you have feelings for me.
I know that we wont be anymore than friends,
I guess thats fine cause i know i cant change that.
So as long as we see each other every so often.
To me you really are the perfect guy,
You make me laugh and smile.
I get butterflies in my tummy every time i see you.
I love you very much no matter what...
** Can you please comment that would be great thanks*
by XxEmotionally TakenxX
Im better off, now that ur gone,
one last goodbye,
and one last song,
just like the wall,
that i built for u,
when u took my hand,
and promised to,
always be true,
dont ever leave,
open my eyes so i can see,
im better off....
by Silver Salver
I was made for the waters of the sea
To swim against the currents of strength
Dive down all shades of blue
Float with the folds of the waves
You were fire
The blaze of rage, who
Breathed in the cries of grief
Breathed out the heat of pain
In what world could we have ever existed?
by TiMe hEaLs aLL wOuNdS
I miss your hugs,
and the way they made me warm.
I miss your smile,
and how they slowly used to form.
I miss your laugh,
and how it was the cutest sound.
I miss your kisses,
and how they used to lift me from the ground.
I miss your eyes,
and how they held so much mystery.
I miss your voice,
and all your goofy jokes and stories.
I miss your touch,
and how it drove me crazy.
I miss talkin to you,
it was always so easy.
I miss your scent,
and how it lingered in my nose for days.
I miss your cockyness,
and how you were special in multiple ways.
I miss our times together,
and how nobody ever made me happier.
Your memory haunts me,
never forgetting you is my biggest fear.
Sunday, 1 November 2009
ধনতন্ত্রে নারী, সমাজতন্ত্রে নারী, গণতন্ত্রে নারী
মানব সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের বর্তমান স্তরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন প্রকার শাসনব্যবস্থা লক্ষ্য করা যায় এবং শাসনের প্রকৃতিভেদে নারীর অবস্থানেরও ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। নারীর পীড়নকে যদি অপসংস্কৃতি হিসেবে মনেকরি, তবে বলা যায় রাজনৈতিক ব্যবস্থার দ্বারা যেমন কোনো দেশের সংস্কৃতি, মানবিকতা, মূল্যবোধ ইত্যাদি সৃষ্টি হয় তেমনি সংস্কৃতির দ্বারাও রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রভাবিত হয়। শাসন পদ্ধতির ভিন্নতা থাকলেও পৃথিবীর সকল স্থানের নারীই কম-বেশি অধিকারহীন। পৃথিবীর কোথাও নারী পূর্ণ স্বাধীন নয়, পৃথিবীর কোথাও নারীর পূর্ণ নিরাপত্তা নেই, পৃথিবীর কোথাও নারী পূর্ণ মানুষের মর্যাদা পায়নি। তবে একটি কথা বলা যেতে পারে তুলনামূলক বিচারে যেখানেই নারী কিছুটা স্বাধীনতার আলো দেখছে সেখানেই সভ্যতা এগিয়ে যাচ্ছে। তবে শাসনব্যবস্থার প্রকৃতির সাথে নারীর অধিকার প্রত্যক্ষভাবে সম্পর্কিত একথা সবাই একবাক্যে মেনে নিলেও কোন্ ব্যবস্থা নারীর জন্য কতটুকু উপযোগী তা নিয়ে রয়েছে বিস্তর মতপার্থক্য।
আলোচনাটা একটু পেছন থেকে শুরু করা উচিত। মানব ইতিহাসের শুরু থেকেই লিঙ্গ-বৈষম্য ছিল না। রুশোর মতে প্রকৃতির রাজ্যে ছিল অনাবিল সুখ, মানুষের সাথে মানুষের ছিল সোহার্দ্য। সেখানে ছিলনা কোনো শোষণ, ছিলনা কোনো বঞ্চনা। নারী এবং পুরুষ ছিল একে অপরের সহযোগী, তারা ছিল পরস্পরের পরিপূরক। মনিষীদের অধিকাংশের মতেই সম্পত্তিতে যখন ব্যক্তিগত মালিকানার সৃষ্টি হয় তখন থেকেই মূলত শুরু হয় লিঙ্গ-বৈষম্য। মানুষ যখন বন্যযুগ থেকে কৃষিযুগে উত্তরণ করে তখন জমির উপর পুরুষের একচ্ছত্র মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়। সম্পদই নারীর জন্য হয়ে পড়ে মহাশত্র“। পুরুষেরা যেমন জমির মালিক হয়, তেমনি নারীর উপরও তার মালিকানা প্রতিষ্ঠা করে। সামনে চলে আসে উত্তরাধিকারের প্রশ্ন। মাতৃপ্রধান প্রথা ভেঙ্গে সৃষ্টি হয় পিতৃপ্রধান প্রথা। এটাকে বলা চলে পুরুষতান্ত্রিক বিপ্লব। এরপর থেকে আজ অবধি পুরুষ নারীকে করে রেখেছে নিজের দাসী, করেছে শৃঙ্খলিত। নারী হয়ে আছে পুরুষের ভোগের সামগ্রী এবং ব্যবহৃত হচ্ছে সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র হিসেবে। সুতরাং পুরুষতন্ত্র মানব ইতিহাসের একটি পর্ব মাত্র, যার ক্ষয় ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। বিশ্বব্যাপী পুরুষতন্ত্রের কবর রচনার কাজ চলছে। কোথাও দ্রুতগতিতে, কোথাও ধীরে। কোথাও নারী একটু বেশি এগিয়েছে, আবার কোথাও কম। দু-একটি রাষ্ট্রের নারীরা যদিও এখন পর্যন্ত ভোটাধিকার পায়নি তথাপি বলা যেতে পারে বিংশ শতাব্দি ছিল পৃথিবীব্যাপী নারীর ভোটাধিকার প্রাপ্তীর কাল। জন ষ্টুয়ার্ড মিল তাঁর ‘নারী-অধীনতা’ বইতে দেখিয়েছেন নারী জাতির অধীনতা দূর হবে প্রগতি ও নৈতিকতার ক্রম-অগ্রগতির মাধ্যমে। এরপর শুরু হবে নর-নারীর সুমধুর সম্পর্কের এক উন্নত পর্ব; বলা চলে ইহাই অভেদ্য, অকাট্য এবং অমোঘ তত্ত্ব। সে প্রেক্ষাপটেই বিশ্বের সকল দেশের নারীরা যেখানে যে অবস্থায় রয়েছে, নিজ নিজ অবস্থান থেকে দাসত্ব-মুক্তির লড়াই করে চলেছে এবং ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি ঘটাচ্ছে। রাষ্ট্রের প্রকৃতি যাই হোক না কেন, হতে পারে ধনতন্ত্রী, হতে পারে গণতন্ত্রী অথবা হতে পারে সমাজতন্ত্রী, সকল স্থানেই নারী তার অধিকার সম্পর্কে সচেতন হচ্ছে, মানুষ হিসেবে পুরুষের পাশে নিজেকে দাঁড় করানোর কাজে কঠিনভাবে ব্রত হচ্ছে।
ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নারীর অবস্থা সম্পর্কে রয়েছে যথেষ্ট ভিন্নমত। পুঁজিবাদ সম্পত্তির উপর ব্যক্তিমালিকানাকে প্রাধান্য দেয় অর্থাৎ সেখানে উৎপাদনের উপকরণসমূহ ব্যক্তিমালিকানায় ছেড়ে দেয়া হয়। পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় উৎপাদন, বন্টন, চাহিদা, যোগান, মূল্য-নির্ধারণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে ব্যক্তিগত উদ্যোগকে সমর্থন করা হয়। অনেকেই মনে করেন এই ব্যবস্থায় অবাধ প্রতিযোগীতার কারণে শ্রেণী-শোষণ বৃদ্ধি পায়। ওয়েব্সের মতে, “ধনতন্ত্র বা পুঁজিবাদ হল এমন এক সমাজব্যবস্থা, যেখানে শিল্প এবং অন্যান্য আইনগত প্রতিষ্ঠানসমূহ এমন একটি স্তরে উপনীত হয় যে অধিকাংশ শ্রমজীবী মানুষ উৎপাদনের উপকরণগুলোর মালিকানা হতে বঞ্চিত হয়ে দিনমজুরে পরিণত হয়।” ওয়েব্সের মতকে সমর্থন করলেও একটি বিষয় লক্ষ্যণীয় যে, অধিকাংশ মানুষ অর্থনৈতিকভাবে শোষিত হওয়ার সাথে লিঙ্গ-বৈষম্যের বিষয়টি সমার্থক নাও হতে পারে। হতে পারে সংখ্যাগরিষ্ঠ নারী-পুরুষ সমভাবে শোষিত। এখানেও রয়েছে ভিন্নমত, বলা হচ্ছে নারীর গৃহকাজ কোনো উৎপাদনশীল কর্ম নয়। কারণ পুঁজিবাদে শ্রমশক্তির সেই ধরনের ব্যবহার উৎপাদনশীল বলে বিবেচিত হয় যা উদ্বৃত্ত মূল্য সৃষ্টি করতে পারে। কোনো কাজ তা সমাজের জন্য যতই প্রয়োজনীয় হোক না কেন যদি উহা উদ্বৃত্ত মূল্য সৃষ্টি করতে না পারে তবে পুঁজিবাদী কাঠামোতে তা অনুৎপাদনশীল। তাই কলুর বলদের মতো খেটেও নারীর কর্মকে উদ্বৃত্ত মূল্য সৃষ্টিকারী কর্ম হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় না, ফলে পুঁজিবাদী ব্যবস্থায়ও লিঙ্গ-বৈষম্য যথারীতি টিকে থাকে। শুধু টিকেই থাকে না, এই ব্যবস্থায় সব শ্রেণীর পুরুষ শোষিত হয় না কিন্তু সকল শ্রেণীর নারীই নির্মমভাবে শোষিত এবং প্রচণ্ডভাবে শৃংখলিত হয়ে থাকে। ড. হুমায়ুন আজাদ লিখেছেন, “নারীশোষণে বুর্জোয়া ও সর্বহারায় কোনো পার্থক্য নেই; বুর্জোয়া পুরুষ শুধু সর্বহারা শ্রেণীটিকে শোষণ করে না, শোষণ করে তার নিজের শ্রেণীর নারীকেও; আর সর্বহারা পুরুষ নিজে শোষিত হয়েও অন্যকে শোষণ করতে দ্বিধা করে না, সে শোষণ করে নিজের শ্রেণীর নারীকে। বিত্তবান শ্রেণীর নারী পরগাছার পরগাছা, বিত্তহীন শ্রেণীর নারী দাসের দাসী। শোষণে সব শ্রেণীর পুরুষ অভিন্ন; শোষণে মিল রয়েছে মার্কিন কোটিপতির সাথে বিকলাঙ্গ বাঙালী ভিখিরির, তারা উভয়েই পুরুষ, মানবজাতির রতœ।” তবে একথা নির্ভেজাল সত্যি যে, পুঁজিবাদের পূর্বে সামন্তযুগে নারীর দূরাবস্থা ছিল আরো ভয়ঙ্কর পর্যায়ে। সতীদাহের মতো বহু চরম-নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা ছিল সামন্তযুগের ফসল। কাজেই সামন্তযুগ থেকে পুঁজিবাদে উত্তরণ নারীর জন্য সামান্য হলেও আশার আলোর সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় আসলে পুঁজিবাদের কাঠামোসমূহ কিভাবে কাজ করে তার উপর নির্ভর করে নারীর দূরাবস্থার ধরণ। পশ্চিম ইউরোপীয় অবাধ পুঁজির দেশসমূহের নারীরা তুলনামূলক বিচারে বেশ কিছুটা স্বাধীনতা ভোগ করছে এবং বর্তমানে পৃথিবীব্যাপী নারীকে এগিয়ে নেয়ার কাজে পুঁজিবাদীদের ভূমিকাকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। জাতিসংঘ, বিভিন্ন প্রকার এনজিও এবং পুঁজিবাদী রাষ্ট্রসমূহের ‘উদারনৈতিক নারী আন্দোলন’ এর ধারা বিশ্বের সকল স্থানের নারীকেই স্পর্শ করেছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এই ধারার সকল কার্যক্রমের মর্মবস্তু হচ্ছে নারীকে পুঁজিবাদী উৎপাদনের সাথে ও বাজার ব্যবস্থার সাথে আরও বেশি একীভূত করা এবং সেক্ষেত্রে সব ধরনের বাধা ও বৈষম্যকে দূর করা। পুঁজি চায় শ্রম। নারীর শ্রম দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। সেই যুক্তিতে লিঙ্গ-বৈষম্য থাকার কথা নয়। কিন্তু পুঁজির মালিকরা পুরুষতন্ত্রকে ব্যবহার করে নারী শ্রমিকের মজুরি পুরুষের তুলনায় কম নির্ধারণ করে থাকে। নারী এখানে পুঁজির দ্বারা এবং পুরুষতন্ত্রের দ্বারা দ্বি-মুখী শোষণের শিকার। বাংলাদেশে তৈরি-পোষাক শিল্পে কর্মরত ত্রিশ লক্ষ নারী-শ্রমিক কি পরিমান পুঁজিবাদী শোষণের শিকার তা আমরা অনেকেই অনুমান করতে পারি। ওভারটাইম বাধ্যতামূলক করে সেখানে আইএলও ঘোষিত আন্তর্জাতিক শ্রম আইনকে(৮ ঘন্টা কাজ) নির্লজ্জভাবে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখানো হচ্ছে। ওরা ভোর ৫টায় ওঠে আর রাত ১০টার পর ঘরে ফেরে এবং রাত ১২টায় ঘুমোতে যায়। ছুটি-ছাটার বালাই নেই, এমনকি জাতীয় দিবসেও না। ওরা শুধু জানে দিন গিয়ে রাত আসে, রাত গিয়ে দিন। তারপরেও আমি মনেকরি, স্বামীর দাসত্ব করার চাইতে গার্মেন্ট-এ গোলামী করা অনেক উত্তম। তার প্রমাণও রয়েছে। শতকরা কতজন গৃহিনী আত্মহত্যা করছে আর শতকরা কতজন বস্ত্র-বালিকা আত্মহত্যা করছে তার হিসাব করলেই প্রমাণ পাওয়া যাবে। ‘স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে যৌনপল্লীতে বিক্রী’ এইরকম একটি খবর প্রকাশিত হলো গত ১০ এপ্রিলের অধিকাংশ জাতীয় পত্রিকায়। যেসব গৃহবধূ একটু কম কষ্টে আছে বলে মনে হচ্ছে অর্থাৎ আত্মহত্যা করছেনা বা খুন হচ্ছেনা বা বিক্রী/পাচার হচ্ছে না তাদের গার্হস্থ্য শ্রমকেও পুঁজিবাদ হিসাবের মধ্যে আনছে না। সাণ্ড্রা হার্ডিং মনে করেন, পুরুষতন্ত্র এবং পুঁজিবাদ এর শেকড় শুধুমাত্র পরিবারের ভেতর লিঙ্গভিত্তিক শ্রম বিভাজনের মধ্যেই প্রোথিত নেই, এটি একই সঙ্গে প্রোথিত আছে সামাজিক ব্যক্তির জৈবিক ও মনোজাগতিক জগতের মধ্যেও। পুরুষতন্ত্র ও পুঁজির ঐক্য বুঝতে পারলে এটাও বোঝা সম্ভব যে, পুরুষের পক্ষে কাউকে শ্রেণী ও লিঙ্গ নিপীড়ন থেকে মুক্ত করা সম্ভব নয়। শুধুমাত্র পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে নয় সব রকম নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নারীকেই নেতৃত্ব দিতে হবে। জেরেটস্কির কথা অনুযায়ী, “নারী আসলে পুঁজির জন্যই কাজ করছে পুরুষের জন্য নয়; দৃশ্যমান ঘটনা হল নারী পুরুষের জন্য কাজ করছে এবং বাস্তব হল নারী কাজ করছে পুঁজির জন্যÑ এই দুইয়ের তফাৎ না বোঝার জন্য নারী আন্দোলনের অনেক শক্তি দিক্ভ্রান্ত হচ্ছে।”
সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা বলতে যেহেতু আমরা শোষণমুক্ত সমাজকেই বুঝি এবং নারীর পরাধীনতা যেহেতু অন্যতম একটি শোষণ-প্রক্রিয়া, সুতরাং সমাজতন্ত্রে লিঙ্গ-বৈষম্য সম্পূর্ণরূপে দুরীভূত হওয়ার কথা। সমাজতন্ত্রীদের বক্তব্য হল, পুঁজিবাদ হচ্ছে পুরুষতন্ত্রের বিকশিত রূপ। নিজের অমরত্বের জন্য পুরুষের যে আকাঙ্খা সেখান থেকেই নারীদেহ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা। যে বোধ থেকে পুরুষ উৎপাদনের উপায়ের উপর কতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায় একই বোধ থেকে পুনরুৎপাদনের উপায়(নারী)-এর উপরও কতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে। সকল প্রকার শোষণ, যেমন: শ্রেণী-শোষণ, বর্ণ-বৈষম্য, লিঙ্গ-নিপীড়ন সব একই সূত্রে গ্রোথিত এবং তা হল ব্যক্তিগত সম্পত্তি ও পরিবার। তাঁদের মতে, নারীর মুক্তির জন্য প্রয়োজন ব্যক্তিমালিকানা বিলুপ্ত করা এবং পরিবার নামক সংগঠনটির মৌলিক পরিবর্তন করা। এর জন্য পরিবারের আর্থিক দায়িত্বটি নিতে হবে রাষ্ট্রকে, পুঁজিবাদ সে ভার কখনও নেবে না। একমাত্র সাম্যবাদের মধ্যেই নারী পেতে পারে প্রকৃত মুক্তি; সেখানে পরিবার থাকবে, তবে তা গড়ে উঠবে নারী-পুরুষের পারস্পরিক আকর্ষণের ভিত্তিতে। তাই নারী-মুক্তি আন্দোলন সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠার ব্যাপক সংগ্রামের একটি অংশ বলে বিশ্বাস করেন মার্কসবাদীরা। কাজেই তাঁদের তত্ত্ব অনুযায়ী আমরা ধরে নিতে পারি সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পেলে নারী-পুরুষের সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠা পাবে। আমাদের মতো একইরূপ ধারণা পোষণ করতেন বিশ্ব নারীবাদের প্রবক্তা সিমোন দ্য বোভোয়ার। শুধু ধারণা পোষণ করেই বোভোয়ার ক্ষান্ত ছিলেন তা নয়, তিনি জীবনের প্রায় পুরো সময়টাই ব্যয় করেছেন সমাজতন্ত্রের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার লড়াইয়ে। ১৯৪৯ সালে তাঁর রচিত মহাগ্রন্থ ‘দ্য সেকেন্ড সেক্স’ বিশ্বব্যাপী পুরুষতন্ত্রের ভিত দুর্বল করে ফেলেছে সত্যি, কিন্তু বইটি যখন রচনা করেছেন তখনও তিনি নিজেকে নারীবাদী না বলে সমাজতন্ত্রী বলেই দাবী করেছেন। কিন্তু পরবর্তিতে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তাঁর ভুল তিনি বুঝতে পারেন। তিনি পরিস্কার দেখতে পান যে, সমাজতন্ত্র নারীকে মুক্তি দিচ্ছে না। উহাও পুরুষতন্ত্র। সে প্রেক্ষিতে ১৯৭২ সালে বোভোয়ার নিজেকে নারীবাদী হিসেবে ঘোষণা দেন এবং নিজেকে নারীবাদী সংগঠনের সাথে যুক্ত করেন। বোভোয়ারের মানসিকতার পরিবর্তন ‘নারীবাদ’-কে বিশ্বব্যাপী স্বতন্ত্র মাত্রা দান করেছে, গতিশীল করেছে র্যাডিক্যাল ফেমিনিস্টদের। ১৯৭৩ সালে র্যাডিক্যাল ফেমিনিস্টরা ঘোষণা করেন, “আমরা বিশ্বাস করি না যে পুঁজিবাদ অথবা অন্য কোনো অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নারী নিপীড়নের কারণ, এটাও আমরা বিশ্বাস করি না যে শুধুমাত্র অর্থনৈতিক বিপ্লবের লক্ষ্য দিয়েই নারী নিপীড়ন দূর হতে পারে।” এভাবেই শুরু হয়েছে সমাজতন্ত্রের প্রতি নারীবাদীদের অনাস্থা। সমাজতন্ত্রে নারী মুক্ত না হওয়ার কারণসমূহ নিয়ে বিভিন্নজন বিভিন্ন প্রকার যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন মত। অনেকে মনে করেন মার্কসবাদ নারীমুক্তি আন্দোলনের মতাদর্শিক কোনো কাঠামো যোগান দিতে পারে না। কেউ কেউ বলেছেন, মার্কসবাদ শ্রেণী-সংগ্রামের উপর অধিক গুরুত্ব দেয় যার কারণে নারীমুক্তি আন্দোলন উপেক্ষিত থাকে। আবার অনেকে মনে করেন, মার্কসবাদের মধ্যেই পুরুষ-পক্ষপাত রয়েছে এবং ক্ষমতাসীন পার্টি যে আমলাতন্ত্রের জন্ম দেয় তা পুরুষতন্ত্রকেই সহায়তা করে। অনেকে বলেন, যেহেতু মার্কসবাদ মনেকরে ব্যক্তিগত সম্পত্তি থেকেই সব শোষণ-পীড়নের উদ্ভব সেহেতু সম্পত্তি ব্যবস্থা উচ্ছেদ করলেই নারী-নির্যাতনের সমাপ্তি ঘটবে কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন বা চীনে তার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাছাড়া অনেকেই মনে করেন, যেহেতু মার্কসবাদ মানুষের মুক্তির মতবাদ সুতরাং এর সাথে নারী-মুক্তির মতবাদ সম্পর্কিত করা সম্ভব এবং সেজন্য প্রয়োজনীয় তত্ত্ব সংযোজন করা দরকার। কৃষ্ণাঙ্গ নারীর দূরাবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে গ্লোরিয়া জোসেফ বলেছেন, মার্কসীয় প্রত্যয়গুলো শুধু লিঙ্গ-অন্ধ নয় বর্ণ-অন্ধও বটে। তিনি আরও বলেছেন, শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গ নারীর মধ্যে যতটুকু সংহতি দেখা যায় তার চাইতে অনেক বেশি সংহতি দেখা যায় শ্বেতাঙ্গ পুরুষ ও নারীর মধ্যে। লিঙ্গ-বৈষম্যের চাইতে বর্ণ-বৈষম্যের প্রখরতা অনেক বেশি বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। সেজন্যে তাঁর মতে কৃষ্ণাঙ্গ নারীবাদী তত্ত্বকে হিসাবের মধ্যে না আনলে কোনো কার্যকর নারীবাদী আন্দোলন সম্ভব নয়। আর একটি বিষয় চিন্তার উদ্রেক করে তা হল দেশে দেশে যেসমস্ত বাম সংগঠন মার্কসবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে চলেছে সেই সকল সংগঠনে নারীর অবস্থান একেবারেই প্রান্তিক পর্যায়ে। কাজেই তাঁরা রাষ্ট্র-ক্ষমতায় গেলেই নারী মুক্ত হয়ে যাবে কি-না তা ষ্পষ্টতই প্রশ্নের দাবীদার। বাংলাদেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেছেন, মার্কসবাদ ও নারী প্রশ্নের সম্পর্ক নিয়ে এত সব আলোচনা বা বিতর্কের কারণ হচ্ছে বিদ্যমান সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তনের জন্য এখন পর্যন্ত সব চাইতে শক্তিশালী বিশ্লেষণ পদ্ধতি মার্কসবাদ দিতে সক্ষম। এবং দেশে দেশে বর্ণ, জাতি, লিঙ্গ, শ্রেণী নিপীড়নের বিরুদ্ধে জোরালো কণ্ঠ মার্কসবাদীদেরই। বিদ্যমান সমাজ-অর্থনৈতিক-রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় মৌলিক পরিবর্তনের প্রয়োজন যাঁরাই অনুভব করেন তাঁদেরকেই মার্কসবাদকে হিসাবের মধ্যে আনতে হয়। সে কারণে নারী-মুক্তি আন্দোলন, তা যে আকারেই হোক, শেষ পর্যন্ত মার্কসবাদকে উপেক্ষা করতে পারে না। আনু মুহাম্মদের বক্তব্যকে যুক্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া মোটেই সম্ভব নয়। অস্বীকার করার উপায় নেই যে, ঊনবিংশ শতাব্দিতে যখন নারী পূর্ণাঙ্গ মানুষ কিনা তা নিয়ে ছিল সংশয়-সন্দেহ, তখন মার্কস এবং এঙ্গেলস মানব মুক্তির অপরিহার্য অংশ হিসেবে নারী-মুক্তিকেও নির্দেশ করেছিলেন। যে ধর্মীয় কুসংস্কার নারীকে মানুষের পর্যায়ে আসতে প্রধান প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে, তার বিরুদ্ধে জোরালো বক্তব্য মার্কসবাদীদেরই। বোভোয়ার সমাজতন্ত্রের মধ্যে নারী-মুক্তি খুঁজে না পেলেও তিনি নিজেই কিন্তু মার্কসবাদের সৃষ্টি, একথাও সত্যি। তবে মার্কসবাদীরা একটি বিশেষ দোষে দুষ্ট যে, তাঁরা সকল ক্ষেত্রেই শ্রেণী-দন্দ্ব খোঁজেন। বুর্জোয়া দৃষ্টিভঙ্গীর তালিকায় ফেলে বাতিল করে দেন মার্কসবাদের প্রতি সকল প্রকার সমালোচনাকে। মার্কসের ‘উদ্বৃত্ত-মূল্য তত্ত্ব’ একটি অভ্রান্ত বিশ্লেষণ যা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী মাত্রা দান করেছে বটে তবে শ্রেণী-দন্দ্বের মধ্যেই সব সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়ার চেষ্টাকে চিন্তাশক্তির অসাঢ়তা বলেই অনেকে মনে করেন। সমাজ বিকাশের একটি স্তরে শ্রেণী সৃষ্টি হয়েছে কিন্তু নারীর সৃষ্টি-ইতিহাস মানব সৃষ্টির ইতিহাসের সমান। তবে শ্রেণী-শোষণ হয়তো লিঙ্গ-বৈষম্যকে উস্কে দিতে পারে, একথা মানা সম্ভব। কাজেই শ্রেণী-দন্দ্বের বাইরেও মানবজাতির আরো বহু সমস্যা রয়েছে। সেকারণে নারী-আন্দোলন থেকে যদি মার্কসবাদের প্রতি সমালোচনামূলক বক্তব্য উত্থাপিত হয়, সেক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে তাকে বুর্জোয়া দৃষ্টিভঙ্গী বলে বাতিল করা আমার মনেহয় মার্কসবাদীদের যথার্থ হবে না।
গণতন্ত্র হচ্ছে বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় শাসনব্যবস্থা। তবে গণতন্ত্রে নারীর অবস্থান ব্যাখ্যা করা অত্যন্ত সহজ একটি কাজ হওয়ার কথা, কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে তা খুবই দুরূহ; কারণ এসময়ের প্রায় সকল রাষ্ট্রের সকল শাসকগোষ্ঠীই নিজেদের ব্যবস্থাকে গণতান্ত্রিক বলে চালানোর চেষ্টা অথবা অপচেষ্টা করছেন। একদিকে সমাজতন্ত্রীরা যেমন নিজেদের শাসনকে গণতান্ত্রিক বলে দাবী করছেন, অন্যদিকে যারা জণগনের সার্বভৌমত্বেই বিশ্বাস করেনা এইরূপ চরম-প্রতিক্রিয়াশীল মৌলবাদীরাও নিজেদেরকে গণতান্ত্রিক বলতে মোটেই ইতস্ততঃ করছে না। কাজেই ‘গণতন্ত্র’ বললেই কোন্টি প্রকৃত গণতন্ত্র আর কোন্টি প্রতারণা এবং কতটুকু প্রতারণা তা আগে ষ্পষ্ট করতে হবে। আমরা জানি, যে শাসনব্যবস্থায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাধারণ নাগরিকদের সমানভাবে অংশগ্রহণ থাকে তাহাই গণতন্ত্র। লর্ড ব্রাইস লিখেছেন, “যেখানে শাসনক্ষমতা কোনো শ্রেণীর উপর ন্যস্ত না থেকে সমগ্র সমাজের সদস্যদের উপর ন্যস্ত থাকে তাহাই গণতন্ত্র।” অন্যান্য রাষ্ট্রবিজ্ঞানীও একইরূপ বলেছেন। কিন্তু গণতন্ত্র বলতে যদি গণমানুষের শাসনকে বুঝানো হয়ে থাকে, নারী ও পুরুষ উভয়ই যদি সমানভাবে মনূষ্য প্রজাতির অংশ হয়ে থাকে, বিশ্বের অধিকাংশ দেশের শাসনব্যবস্থা যদি গণতান্ত্রিক হয়ে থাকে এবং সরকারসমূহ যদি গণতান্ত্রিক বোধসম্পন্ন হয়ে থাকে তবে নারীর কোনো দূরাবস্থা থাকার কথা নয়। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ উল্টো। দেশে দেশে নারী আজ চরমভাবে নির্যাতিত, নিষ্পেশিত। মানবতা আজ লুন্ঠিত, নারীর অধিকার আজ ভূলুন্ঠিত। সংজ্ঞা অনুযায়ী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে সবার অংশগ্রহণ থাকবে। কিন্তু নারী আজ এতই অবহেলিত যে, পরিবারে অথবা সমাজে অথবা রাষ্ট্রের কোথাও সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর কোনো ভূমিকাই গ্রাহ্য নয়। অনেকে মনে করেন গণতন্ত্র আসলে পরিমানের ব্যাপার, কোনো রাষ্ট্র একটু বেশি গণতান্ত্রিক আবার কোনোটি কম। তবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কিছু অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে। গণতন্ত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আইনের দৃষ্টিতে লিঙ্গ, ধর্ম এবং বর্ণভেদে সকল নাগরিককে সমান সুযোগ প্রদান। এছাড়া গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার আরো কিছু শর্ত রয়েছে, যেমন: ক্ষমতার স্বতন্ত্রীকরণ নীতি অনুসৃত হওয়া, স্বায়ত্বশাসিত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠা, সরকারের জবাবদিহীতা নিশ্চিত করা, প্রতিনিধি নির্বাচনে স্বচ্ছতার ব্যবস্থা ইত্যাদি। তবে সকল শর্তেরই মূললক্ষ্য কিন্তু তিনটি। তা হল: রাষ্ট্রের চরিত্রকে (১)ধর্ম-নিরপেক্ষ, (২) লিঙ্গ-নিরপেক্ষ এবং(৩) বর্ণ-নিরপেক্ষ করা। অর্থাৎ ধর্মের কারণে বা লিঙ্গের কারণে বা গায়ের রংয়ের কারণে রাষ্ট্র কারো প্রতি বৈরি আচরণ করবে না অথবা কাউকে অধিক সুযোগ প্রদান করবে না। কাজেই কোনো রাষ্ট্রের নারীর অবস্থা বা দূরাবস্থা বুঝতে আমাদের জন্য সেই রাষ্ট্রের রাজনৈতিক কাঠামোর দিকে দৃষ্টি দেওয়াই যথেষ্ট। এখন আমরা উদাহরণ হিসাবে বাংলাদেশের শাসনপদ্ধতি কতটুকু গণতান্ত্রিক তা বিবেচনা করতে পারি। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের চাইতে অধিক গণতান্ত্রিকতা চর্চার দেশ যেমন পৃথিবীতে অনেক রয়েছে, আবার সেদিক দিয়ে বাংলাদেশের থেকে পিছিয়ে থাকার দেশও কয়েকটি রয়েছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম হিসাবে ইসলামকে সংবিধানে যুক্ত করা হয়েছে। ‘মদিনার সনদ’-এ নবী অত্যন্ত সচেতনভাবে ‘বিস্মিল্লাহ্’ লেখেন নি। নবীর না লেখার কারণ মদিনার সনদ শুধু মুসলমানদের জন্য ছিল না বরং তা ছিল মদিনাবাসীর জন্য। কিন্তু বাংলাদেশের সংবিধানের শুরুতে ‘বিস্মিল্লাহ্-র্হি-রাহ্মান-র্হিরাহিম’ লেখা হয়েছে। এভাবে রাষ্ট্র নিজেই একটি নির্দিষ্ট ধর্মাবলম্বী হওয়ায় উহার ধর্ম-নিরপেক্ষ চরিত্র সম্পূর্ণরূপে হারিয়ে ফেলেছে। সন্দেহ নেই সংবিধান অনুযায়ীই বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র, অর্থাৎ সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক। এবং সেকারণে সংখ্যালঘু ধর্মীয়গোষ্ঠীর সংখ্যা দিন দিন লোপ পাচ্ছে। এপ্রসঙ্গে একটি কথা বলা প্রয়োজন যে, ধর্ম দিয়ে কখনও রাষ্ট্র হয়না। যদি করা হয় তাহবে এক‘শ ভাগ প্রতারণা। ধর্ম দিয়ে যদি রাষ্ট্র হতো তবে ইরান, ইরাক, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত ইত্যাদি আলাদা আলাদা রাষ্ট্র যেমন হতো না তেমনি বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া মিলেও একটি রাষ্ট্র করা যেত। অবশ্য ইতিহাসে এরকম একটি এবং একটিমাত্র রাষ্ট্রেরই নজির পাওয়া যায়, তা হল পাকিস্তান। যার খেসারত হিসেবে দিতে হয়েছিল নয় মাসে ত্রিশ লক্ষ প্রাণ, যা ছিল বিশ্বে মানবহত্যার অন্যতম রেকর্ড। আমার কথাগুলো আমাদের রাজনীতির কর্তাদের কাছে পৌঁছবে কি-না জানিনা তবে তাঁদের কেহ বাংলাদেশকে মুসলমান বানাতে ব্যস্ত আবার কেহ বাংলাদেশের মুসলমানত্ব টিকে রাখতে ব্যস্ত। দ্বিতীয়ত: লিঙ্গ-নিরপেক্ষতার কথা। বাংলাদেশের সংবিধান এদিক দিয়ে ত্র“টিমূক্ত। সংবিধানের ২৮নং অনুচ্ছেদে নারী-পুরুষের সমান অধিকারের কথা স্পষ্ট বলা হয়েছে। কিন্তু বাস্তব অবস্থা ভিন্ন। সংবিধানে উক্ত কথাগুলি কেন লেখা হয়েছে তা আমার জানা নেই। অনেকে বলেন সংবিধানের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য তা লেখা হয়েছিল, কারণ বাস্তবে রাষ্ট্রের দৃষ্টিতে নারী এবং পুরুষকে মোটেই সমান দৃষ্টিতে দেখা হয় না। রাষ্ট্র নিজেই প্রবল পুরুষতান্ত্রিক। রাষ্ট্রের আইন দ্বারাই পরিবারের সম্পত্তি বন্টন, বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ ইত্যাদি পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে নারীকে করা হচ্ছে নিকৃষ্টভাবে বঞ্চিত। পরিণত করে রেখেছে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে। রাষ্ট্র কর্তৃক নারীর উপর বৈরী আচরণের কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে ঘরে ঘরে অসন্তোষ, প্রেমহীনতা। চলছে নির্লজ্জ নিপীড়ন। সরকারের মন্ত্রীরা মাঝে মাঝে পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের কথা বলেন, কিন্তু রাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের কথা বলেন না। আমি বলি রাষ্ট্র ঠিক হলেই কেবল পুরুষরা ঠিক হয়ে যাবে, অন্যথায় নয়। রাষ্ট্র নারীর সাথে তামাশাও একেবারে কম করছে না। একদিকে লিঙ্গ-বৈষম্যমূলক পারিবারিক আইন দ্বারা নারীকে অসহায় করে রাখছে, অন্যদিকে নারীকে রক্ষার জন্য আবার নতুন নতুন আইনও করছে। সকল নাগরিককে রক্ষার দায়িত্ব যদি রাষ্ট্রের হয় এবং নারীরা যদি পূর্ণ-নাগরিক হয় তবে নারীকে রক্ষার জন্য কি আলাদা কোনো আইনের দরকার আছে? এসব হচ্ছে রাষ্ট্রীয় তামাশা। নারী নিয়ে তামাশা। ফসল-রক্ষা, বন্দর-রক্ষা, নদী-রক্ষার মতো নারীকে রক্ষার প্রয়োজন হচ্ছে কিন্তু পুরুষ রক্ষার কোনো প্রয়োজন হচ্ছে না। রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী ফসল, বন্দর, নদী, নারী সবই সম্পদ এবং তা পুরুষের সম্পদ। এসবের মূল কারণ রাষ্ট্রের অগণতান্ত্রিক চরিত্র। অগণতান্ত্রিকতা নারীকে বিপদে ফেলছে। এভাবে যেখানে অগণতন্ত্র, সেখানেই নারী বিপদগ্রস্ত। যেখানে নারী একটু স্বাধীন, গণতান্ত্রিকতা সেখানে এগিয়ে। সেই হিসেবে এক‘শ ভাগ গণতান্ত্রিক কোনো রাষ্ট্র পৃথিবীতে নেই। তবে উত্তর আমেরিকা এবং পশ্চিম ইউরোপের দেশসমূহে নারীরা অনেকটাই স্বাধীনতা ভোগ করছে, বাস্তবিকেও উক্ত দেশসমূহ গণতন্ত্রের চর্চায় এগিয়ে।
Subscribe to:
Posts (Atom)