Friday, 15 August 2025
মুজিব বাংলাদেশের জন্য কি করসে ?
আচ্ছা এই মুজিব বাংলাদেশের জন্য কি করসে তার একটা এক্সাম্পল দেন তো কেউ আমারে...
যুক্তফ্রন্টের মন্ত্রী মুজিব দূর্নীতি করার কারণে 'চোরা মুজিব' উপাধী পেয়েছিল।
পার্লামেন্টে সে সংকর মাছের চাবুক নিয়ে ঢুকত। সেখানে একবার হাতাহাতির এক পর্যায়ে পেপারওয়েট ছুড়ে মেরে স্পিকার শাহেদ আলীকে খুন করে।
আর ৭১ পরবর্তী মুজিবের তুলনা শুধুমাত্র স্ট্যালিনের সাথে হইতে পারে। সে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সব ধরণের ইম্পিউনিটি দিয়ে দূর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদের মহোৎসব কায়েম করেছিলো।
১৯৭৩ এর নির্বাচনে অনেক বিরোধী প্রার্থীদের গুম করে দেয় ইলেকশনের আগ দিয়ে। তাও কোন কোন আসনে লীগ হারতে বসলে হেলিকপ্টারে করে ব্যালটবাক্স উঠায় নিয়ে নৌকা ছিল মেরে ভরে নিয়ে আসে।
৭৪ এর দূর্ভিক্ষে দেশে ব্যাপক ত্রাণ ঢোকার পরেও মুজিবের লোকজনের দূর্নীতিতে দেশে ১৫ লক্ষ লোক মারা যায়। ৪০,০০০ এর বেশি বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী হত্যা করে মুজিবের বাহিনী।
সেনাবাহিনীর বাইরে প্যারালাল রক্ষীবাহিনী তৈরি করে হিটলারের গেস্টাপোর মত বিরোধীদের ত্রাসের ওপরে রাখত।
১৯৭৫ সালে তো অফিশিয়ালি সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ, সব পত্রিকা নিষিদ্ধ করে বাকশাল কায়েম করে। যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ হলো সেই ব্যবস্থাকেই 'অফিশিয়ালি' গলা টিপে হত্যা করে মুজিব মাত্র ৩ বছরের মাথায়।
আমরা গত ১৬ বছর হাসিনার দু:শাসন দেখেছি। কিন্তু এই ১৬ বছরের যেকোন ৩ বছর পিক করে যদি মুজিবের সেই ৩ বছরের সাথে কম্পেয়ার করবেন, হাসিনাকে অনেক ভালো মনে হবে। No kidding...
বাকি থাকে মুক্তিযুদ্ধ। মুজিব কোনভাবেই চায়নাই যে ৭১ সালে দেশ স্বাধীন হোক। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছে।
মার্চ মাসে শুরু থেকেই তাকে বারংবার স্বাধীনতার ব্যাপারে শক্ত ইঙ্গিত দিতে চাপ দেয়া হলেও সে না করে।
৭ই মার্চের আগের রাতে চাপ প্রবল আকার ধারণ করলে, ইয়াহিয়াকে সে ফোন দিয়ে বলে এরকম চাপ আসছে। ইয়াহিয়া বলে যে এমন কিছু কইরো না যাতে আর ফিরে আসতে না পারো, meaning তোমার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রাস্তা যাতে বন্ধ না হয়।
পরের দিন মুজিবের বক্তব্যের জিস্টটাই ছিলো নির্বাচিত প্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা দিতে হবে।পার্লামেন্ট কল করা লাগবে।
২৫ শে মার্চ পর্যন্ত সে ইয়াহিয়া আর ভুট্টোর সাথে নেগোসিয়েশন করেছে কিভাবে প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায়। এবং এটা পেছনে স্বাধীনতার প্রস্তুতি নেয়ার জন্য সামনে দিয়ে কোন কালক্ষেপনও ছিলোনা।
সে জেনুইনলি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর ছিলো। স্বাধীন হওয়া তার প্রায়োরিটি লিস্টের কোথাও ছিলোনা।
২৫ মার্চ অপারেশন সার্চলাইটের গোলাগুলি শুরু হলে মুজিব ইয়াহিয়াকে ফোন দেয়। কারণ নেগোসিয়েশন তখনো চলমান ছিল।
ফোন দিয়ে মুজিব বুঝে ইয়াহিয়া নেগোসিয়েশন বিট্রে করে পাকিস্তান চলে গিয়েছে, আর লেলিয়ে দিয়েছে পাকবাহিনী। এই সময়েও মুজিবের মনে হয়নি যে এখন তো আর আলোচনার পথ নাই, স্বাধীনতাই একমাত্র পথ।
এমনকি তাজুদ্দিন সে রাতে যখন মুজিবের কাছে এসে বলে যে মিলিটারি হামলা করেছে, লীডার আমাদের এখনই ভারতে চলে গিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালনা করতে হবে।
মুজিবের উত্তর ছিলো "নাকে তেল দিয়ে ঘুমাও। ২৭ তারিখ হরতাল ডেকেছি।" মানে তখনও সে পাকিস্তানী রাষ্ট্রকাঠামোর মধ্যে থেকেই সমস্যা সমাধানে উদগ্রীব।
হাসিনা যে প্রচার করসে তার বাপ ২৬ তারিখের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছে তা বানোয়াট কথা।
এমনকি সে পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্যের প্রমাণ স্বরূপ তাদের আইনি প্রসেসের সাথে কমপ্লাই করার জন্য গ্রেফতার হতে প্রস্তুতি নিতে থাকে। পাক মিলিটারি এসে দেখে মুজিব স্যুটেড ব্যুটেড ও তার স্যুটকেসও রেডি।
মুজিব সে রাতে তাজউদ্দিনের আহবানে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় না গিয়ে, পাকিস্তানি আনুগত্য ধরে রাখার জন্য গ্রেফতার হওয়াকেই শ্রেয় মনে করেছিলো। আহা! যদি তখনো কোনভাবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায়!
এমনকি এরকমও কথিত আছে, ১৬ ডিসেম্বরে পাক বাহিনী আত্মসমর্পণের কথা মুজিবকে জানানো হলে সে চেয়ার থেকে লাফিয়ে উঠে। রেগে বলে, এটা কেন করলো, আমি সব ঠিক করে ফেলব।
পরে যখন বুঝে যে সিচুয়েশন একটা point of no return এ চলে গেসে, আর বাঙালীকে পাকিস্তানে থাকার কথা বল্লে তাকেই কেটে ফেলবে মানুষ, তখন মুজিব ১৮০ ডিগ্রি পল্টি মারে। ঢাকায় ল্যান্ড করেই তাজুদ্দিনের কানে কানে বলে, "আমি কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হবো।"
একাত্তরেও মুজিবের অবদান কি ভাই? একটা ফ্যাকচুয়াল এক্সাম্পল দেখান। স্বাধীনতাযুদ্ধে তো আমার মনে হয় মুজিবের চাইতে ভুট্টোর অবদান বেশি।
মানে এই যে এই লোকের ৭১ এ, তার আগে ও পরে যে এত জঘন্য আমলনামা, তাকে আমি কেন সম্মান করব? সে তো জাতির পিতা না, সে তো জাতীয় গাদ্দার।
সে একজন পাতি নেতার মত সম্মানও কেন পাবে? Show me one reason...one good reason...
Subscribe to:
Posts (Atom)