Wednesday 1 December 2021

৯৯% বাস ও ট্রাক কোম্পানির মালিক আওয়ামী

 আমি অভিভূত। ছাত্র ছাত্রীদের সাহস ও শৃঙ্খলা দেখে। রাস্তা বেশিক্ষন ব্লক করছে না। তবে আগেরবারের মতো এবারও এটা সফল হবে না।


কারণ পুলিশের গাড়ির কাগজপত্র নাই। চালকের লাইসেন্স নাই। বিচারপতির গাড়ির কাগজপত্র বা লাইসেন্স নাই। প্রধানমন্ত্রীর অফিসের গাড়ির কাগজপত্র বা লাইসেন্স নাই। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বাহিনী এস‌এস‌এফ এর গাড়ির কাগজপত্র বা লাইসেন্স নাই।


সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে পরিবহন (বাস ও ট্রাক) সেক্টর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করে মন্ত্রী শাজাহান খান। শা খা সরকারের খুবই প্রিয় ও প্রয়োজনীয় লোক। কারণ বিরোধী দলের সমাবেশ হলে বাস ট্রাক বন্ধ করে দেয়। হরতাল ডাকলে নামিয়ে দেয়। নিজেরা নিজেদের বাস পুড়িয়ে (পঙ্কজের বিহঙ্গ পরিবহন) বিরোধীদলের দোষ দেয়। সরকার চাইলে যে কোন সময় বাস বন্ধ করে রাখে।


৯৯% বাস ও ট্রাক কোম্পানির মালিক আওয়ামী ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের। পুলিশের প্রাক্তন কর্মকর্তাদের এমনকি এক আইজি এর পর্যন্ত।


রাস্তায় সবচেয়ে ভয়ংকর দূরপাল্লার *এনা পরিবহন* যাদের দাপট সারাদেশে বিশেষ করে মহাখালী বাস টার্মিনালে।


নিন ৭২ টি বাস/ট্রাক কোম্পানির মালিক লিস্ট !! মাত্র ২ টি প্রাক্তন বিএনপি নেতাদের।


১। 'জাবালে নূর' পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে আছেন মো. জাকির হোসেন। মূলত নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের শ্যালক মো. নান্নু মিয়া ও শাহাদাৎ হোসেনসহ বেশ কয়েকজন ক্ষমতাসীন দলের নেতার বাস রয়েছে এই পরিবহন কোম্পানিতে। মন্ত্রীর আত্মীয় হওয়ায় নান্নু মিয়া পরিবহন জগতে প্রভাবশালী পরিচালক হিসেবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।

২। 'শিখর পরিবহন' এর মালিক মাহমুদ হোসেন। এই পরিবহনের সঙ্গে এক সময়ের জাতীয় পার্টির নেতা মাইজুদ্দিন জড়িত রয়েছেন। এর আগে এই পরিবহন পরিচালনা করতেন দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হওয়া সায়েদাবাদ বাস-মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও যাত্রাবাড়ী ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল আলম মোল্লা। ২০০৯ সালে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের স্ত্রী সৈয়দা রোকেয়া বেগম এই পরিবহনটি উদ্বোধন করেন বলে জানা গেছে।

৩। শাজাহান খানের পরিবারের মালিকানায় ঢাকা-মাদারীপুরের পথে 'সার্বিক পরিবহনের' বাস চলাচল করে।

৪। 'প্রজাপতি' পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি শাহিদা তারেখ।

৫। "এনা" পরিবহনের মালিক বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোন্দকার এনায়েত উল্যাহ। 

৬। "বিহঙ্গ" পরিবহনের মালিক স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-৪ আসনের *সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ*। এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মালিক নাসির উদ্দিন খোকন।

৭। 'তেতুলিয়া' পরিবহনের চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল ওয়াদুদ মাসুম।

৮। 'অনাবিল সুপার' কোম্পানির চেয়ারম্যান সোলেমান মিয়া এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্ষমতাসীন দলের নেতা জুয়েল দেওয়ান। ৯। 'ছালছাবিল' পরিবহনের মালিকানায় রয়েছেন মুক্তার হোসেন মৃধা, কোম্পানির এমডির নাম নিপা।

১০। 'গ্রেট তুরাগ ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি' লিমিটেড ও 'অনাবিল ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি' লিমিটেডের মালিক আওয়ামী লীগ নেতা জুয়েল দেওয়ান।

১১। সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি আশরাফুন নেছা মোশাররফের পরিবহন কোম্পানি 'স্বপ্ন সার্ভিসেস'।

১২। 'বেস্ট ট্রান্সপোর্ট' লিমিটেডের এমডি মাইজু উদ্দিন।

১৩। 'লাব্বাইক ট্রান্সপোর্টের' ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ হাসান।

১৪।  'মঞ্জিল পরিবহন' লিমিডেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সোলেমান।

১৫। 'ট্রান্সসিলভা' (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুকুল মৃধা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার ভাই। এই পরিবহনের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম খোকন। তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থক।

১৬। "রাইদা পরিবহন" লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন।

১৭। "এম এম লাভলী পরিবহন" লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহিন। 

১৮। ৬ নং "মতিঝিল-বনানী ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি" (প্রাইভেট) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুর রহিম। এছাড়া এর সঙ্গে জড়িত আছেন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা মো. হাসান ওরফে লাল মিয়া।

১৯। "শ্যামলী" পরিবহনের মালিক বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ।

২০। 'আকিব' পরিবহনের মালিক নাটোর জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. বাসিরুর রহমান খান চৌধুরী এহিয়া। 

২১। "গাজীপুর" পরিবহনের মালিক ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির দফতর সম্পাদক সামদানী খন্দকার।

২২। "আনন্দ" পরিবহনের মালিক দিদারুল ইসলাম। 

২৩। "বন্ধন" পরিবহনের মালিক হাজী আইয়ূব আলী।

২৪। "বন্ধু পরিবহন" এর মালিক মুরাদ হোসেন। 

২৫। "গ্রীন লাইন" পরিবহনের মালিক হাজী মো. আলাউদ্দিন।

২৬। "ঈগল" পরিবহনের মালিক বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান অশোক রঞ্জন।

২৭। "দ্বীপ বাংলা" পরিবহনের মালিক ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি আজমল উদ্দিন আহমেদ সবুর। ২৮। "দি নিউ আনন্দ" পরিবহনের মালিক ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ মুক্তার হোসেন।

২৯। গাবতলী-উত্তরা রুটের "বসুমিত" পরিবহনের মালিক একই সংগঠনের প্রচার সম্পাদক আব্দুল মনসুর বুলবুল।

৩০। ওই সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান "বিকল্প সিটিং সুপার" ও "বিকল্প অটো সার্ভিস" এর মালিক।

৩১। "তেতুলিয়া" পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ মাসুম ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যকরী পরিষদের সদস্য। তার বাড়ি ভোলায়।

৩২। "কনক" পরিবহন নৌপরিবহনমন্ত্রী *শাজাহান খানের ভাই* আজিজুর রহমান খানের।

৩৩। *ধর্মমন্ত্রী মতিউর* রহমানের ভাই মমতাজুল ইসলামের বাস চলে ঢাকা-ময়মনসিংহ পথে 'শামীম এন্টারপ্রাইজ' নামে।

৩৪। ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান ওরফে ইরান 'দেশ-বাংলা পরিবহন' কোম্পানির চেয়ারম্যান।

৩৫। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় *প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ* 'সঞ্চিতা পরিবহন' এর মালিক।

৩৬। *জাতীয় পার্টির অপর নেতা সালাউদ্দিন* আহমেদ 'এস এ পরিবহন' এর মালিক। 

৩৭। ঢাকা-ফেনী পথে চলাচলকারী 'স্টারলাইন পরিবহন' এর স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

৩৮। 'সাকুরা পরিবহন' এর মালিক আওয়ামী লীগ সমর্থিত চুন্নু মিয়া। বিকল্প অটো সার্ভিসের মালিক।

৩৯। "ইকোনো" পরিবহনের মালিক বিজন বিহারী ঢাকা-ফেনী-নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর আন্তজেলা বাস মালিক সমিতির সায়েদাবাদ কমিটির (কেন্দ্রীয়) সভাপতি। ৪০। 'এন মল্লিক পরিবহন' লিমিটেডের চেয়ারম্যান ঢাকার দোহার উপজেলার আওয়ামী লীগ নেত্রী নার্গিস মল্লিক।

৪১। "ভিআইপি ক্ল্যাসিক" এর মালিক ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল হক।

৪২। 'আল্লাহ ভরসা' পরিবহনের পরিচালক নারায়ণগঞ্জের মদনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা সাইফুল ইসলাম পলাশ। 

৪৩। "সিটি বন্ধন" পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নারায়ণগঞ্জের কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য (প্যানেল চেয়ারম্যান) হাজী আইয়ূব আলী। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিও। ৪৪। নারায়ণগঞ্জ-মিরপুর রুটে চলাচলকারী "হিমালয়" পরিবহনের চেয়ারম্যান নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম চেঙ্গীস।

৪৫। "উৎসব" ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পরিবহন নেতা কাজল এবং ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বিদ্যুৎ। এই পরিবহনের মূল পরিচালক নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা চেঙ্গিস খান ও মোক্তার হোসেন। মোক্তার হোসেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ।

৪৬। তারা (এই পরিবহন ছাড়াও) "সেতু পরিবহন", "বন্ধু পরিবহন", "বন্ধন পরিবহন', "শীতল পরিবহন", "বোরাক পরিবহন' ও "আনন্দ" পরিবহনের পরিচালনা পর্ষদে রয়েছেন।

৪৭। নারায়ণগঞ্জের মদনপুর থেকে গুলিস্তান রুটে পরিচালিত 'শ্রাবণ' ট্রান্সপোর্টের পরিচালক মীর আব্দুস সেলিম। সেলিম এক সময়ের সেভেন স্টার গ্রুপের সদস্য বকুল ওরফে ভাগিনা বকুলের দুলাভাই।

৪৮। 'আসিয়ান' ট্রান্সপোর্টের মালিক আব্দুল বাতেন বাবু সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সহ-সভাপতি। 

৪৯। "বোরাক" পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঈদ্রিস।

৫০। "কোমল মিনিবাস" পরিবহনের মালিক মজিবুর রহমান।

৫১। স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী মেজবাউল হোসেনের বোন পারভীন হোসেনের মালিকানাধীন হচ্ছে "ক্যান্টনমেন্ট পরিবহন"।

৫২। "গ্লোরী" এক্সপ্রেসের মালিক ও চেয়ারম্যান পুলিশের **সাবেক আইজি এ কে এম শহীদুল হকের ভাই** এ কে এম ইসমাইল হক। সায়েদাবাদ টার্মিনালের আখতার নামের এক ব্যক্তি এই পরিবহনটি দেখাশোনা করেন।

৫৩। গুলিস্তান-নারায়ণগঞ্জ রুটে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবহন "জেডএন করপোরেশন" এর মালিক নারায়ণগঞ্জের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম **শামীম ওসমান**।

৫৪। "স্বদেশ" ও "রানীমহল" পরিবহনের পরিচালক আব্দুর রহমান। স্বদেশ পরিবহনের মালিকানায় আরও রয়েছেন গোপালগঞ্জের আওয়ীমী লীগ সমর্থক শেখ কবিরের ভাই, জিয়া।

৫৫। তিনি "বাহন পরিবহন" এর সঙ্গেও জড়িত বলে জানা গেছে।

৫৬। "এ কে পরিবহন" এর মালিক ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অজয় কর খোকন।

৫৭। "দোয়েল" পরিবহনের মালিক গুলজার হোসেন, "বেকার" পরিবহনের মালিক ওমর ফারুক, "গ্রীন বাংলা" পরিবহনের মালিক মো. নাজিম মীর, "ইটিসি ট্রান্সপোর্ট" কোম্পানির মালিক শহীদুল ইসলাম। "গ্যালাক্সি লাইন" ট্রান্সপোর্টের মালিক মিলন। "নূর এ মক্কা" পরিবহনের ভাইস চেয়ারম্যান খোরশেদ খোকন। তিনি জাবালে নূর ও নূর এ মক্কা পরিচালনায়ও রয়েছেন।

৫৮। 'ইতিহাস' ও 'ঠিকানা' পরিবহনের মালিক মো. রিপন। তিনি **পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আত্মীয়** হিসেবে পরিবহন সেক্টরে নিজেকে পরিচয় দেন। 

৫৯। "তানজিল" পরিবহনের মালিক আমেরিকা প্রবাসী খোকন। এই পরিবহন ছাড়াও বিহঙ্গ, মিডওয়ে, মিডল্যান্ড ও বিকল্প পরিবহনসহ বেশ কিছু কোম্পানিতে তার বাস রয়েছে বলে জানা গেছে।

৬০। "নিউ ভিশন" এর মালিক শহীদ উদ্দিন হলেও এর সঙ্গে শেখ কবির নামে এক ব্যক্তি জড়িত রয়েছেন। তিনি **বনানী থানার সাবেক ওসি ফরমান আলী**র আত্মীয়।

৬১। গাবতলী থেকে গাজীপুর রুটে চলাচলকারী "বসুমতি" পরিবহনের মালিক ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির প্রচার সম্পাদক আবুল মনসুর বুলবুল। 

৬২। "শিকড়" পরিবহনের মালিক আবুল হোসেন মানিক। তবে এই পরিবহনের সঙ্গেও মাইজুল রয়েছেন।

৬৩। "মোহনা" পরিবহন কোম্পানির মালিক ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আনোয়ার হোসেন। ৬৪। "পল্লবী সুপার" সার্ভিসের দায়িত্বে আছেন রিয়াজ উদ্দিন।

৬৫। মিরপুর "সুপার লিংক" এর মালিক মিরপুরের এমপি আসলাম মোল্লার ভাই হোসেন মোল্লা।

৬৬। *সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসনাত* আবদুল্লাহর ভাই আলী কবির চাঁন ‘দ্রুতি’ পরিবহনের মালিক। 

৬৭। নোয়াখালীর চাটখিলের মেয়র, ক্ষমতাসীন দলের নেতা মোহাম্মদ হোসেন "হিমালয় এক্সপ্রেস" এর মালিক। 

৬৮। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আকবর বাবুল *ইলিশ পরিবহন* এর মালিক। এই পরিবহনের সঙ্গে জাকির হোসেন নামে একজন মালিক সমিতির নেতাও জড়িত রয়েছেন।

৬৯। "একাত্তর" পরিবহনের মালিক স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাওসার।

৭০। "ঈগল" পরিবহনের মালিক অশোক রঞ্জন কাপুড়িয়া বাংলাদেশ বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান।

৭১। ঢাকা-গাজীপুর রুটে চলাচলকারী 'ঢাকা পরিবহন' ও ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে 'শৌখিন পরিবহন' এর মালিক বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস।

৭২। বিএনপি নেতা ও সাবেক এমপি জি এম সিরাজ 'এসআর পরিবহন' এর মালিক।


ছবি: ফেসবুক কালেকশন। শুধু শেষের ছবি গতবারের।


====

Tuesday 27 July 2021

DALO টাইবুনাল করবেন কিভাবে










🏠Paris এ যারা DALO থেকে Reconnu Prioritaire et devant être logé d’urgence পেয়েছেন কিন্তু  DALO এর দেয়া সময়মত বাসা পান নাই তাই এখন tribunal করতে চান, তারা নিচের step গুলা follow করে,  উকিল এর পিছনে ২০০-৩০০ ইউরো খরচ না করে নিজে নিজেই Tribunal করতে পারেন । (শুধুমাত্র যারা Paris এর under এ dalo তে apply করেছেন!!!!!!!!!!!🤔 )


তবে শুরুতেই বলে রাখি Tribunal করার জন্য সবচে ভাল উপায় হচ্ছে Assistance social এর মাধ্যমে করা। আর যাদের খুব বেশি সমস্যা তারা উকিল অথবা বিভিন্ন সংস্থা এর মাধ্যমে  করতে পারেন । এমনকি আপনি শুধু tribunal বরাবর একটি  application লিখেও  tribunal করতে পারবেন। 


নিচের দেয়া লিঙ্ক এ গিয়ে প্রথম যে পেইজ টি আসবে তা থেকে (Picture 1) Démarches & procédures Clic করবেন তারপর (Picture 2) যে পেইজ আসবে সেখানে নিচের formulaire de requête contentieux sociaux  তে clic করবেন তারপর (Picture 3) আসবে সেখানে Requête relative au droit au logement opposable- injonction link এ clic করলে একটি ফরম pdf আসবে তার প্রথম দুই পেইজ *** দুই বার করে*** ফিলআপ করে একি খাম ✉️এ করে  আপনার dalo এর  prioritaire চিঠি এর লাস্টএর পেইজ(Picture 4) এ দেয়া ঠিকানায় পাঠিয়ে দিতে হবে সাথে📩 আপনার Logement social এর লাস্ট আপডেট করা attestation এর প্রথম পেইজ , dalo এর  prioritaire letter এর কপি সাথে দিতে হবে। আপনি ইচ্ছে করলে আপনার সমস্যার কথা লিখে একটি চিঠি ও সাথে দিতে পারেন। 


Attention  আপনাকে অবশ্যই Dalo এর বেধে দেয়া সময় এর ভিতর ই tribunal করতে হবে । আর সাথে আপনার Logement Social এর dossier বছর বছর update করতে হবে 😁। 


তারপর 1-2 weeks এর ভিতর তারা আপনাকে একটি চিঠির মাধ্যমে আপনার dossier number সহ একটি  id password দিবে তাতে করে আপনি আপনর dossier এর progress সম্পর্কে online এ জানতে পারবেন । Tribunal এর result আসতে 6 months এর ও বেশি সময় লাগতে পারে😭। 


আমি আমার নিজের experience share করলাম মাত্র 🙂তাই আপনারা যারা এই prosses follow করবেন তারা তাদের নিজ দায়িত্বে করবেন । ভুল হলে ক্ষমা করবেন ⛺️।

http://paris.tribunal-administratif.fr


Sunday 21 February 2021

সাতচল্লিশ সালের দেশ ভাগ

 সাতচল্লিশ সালের দেশ ভাগে এই ভুখন্ড পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ), আমাদের বাপ দাদারা যদি জিন্নাহর কথা মতো পাকিস্তানে যোগ না দিয়ে ভাষার আলোকে পৃথক বাঙালি মুসলিম স্বাধীন দেশ করতো কিংবা পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান যৌথ না হয়ে পৃথক ভাবে দুটি দেশ স্বাধীন হতো তাহলে আটচল্লিশ সালেই হায়দ্রাবাদের মতো ভাগ্যবরণ করতে হতো আমাদের এই ভূখণ্ডের  l 


হায়দ্রাবাদের নিজাম পৃথক স্বাধীন দেশ না রেখে জিন্নাহর আহবানে সাড়া দিয়ে যদি পাকিস্তানে যোগ দিতো কিংবা পাকিস্তানের সাথে কোয়ালিশন করতো তাহলে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নেহেরু দেশ ভাগের এক বছরের মাথায় স্বাধীন হায়দ্রাবাদ দখল করতে সাহস পেতো না l


হায়দ্রাবাদ ভারতের পেটের মধ্যে একটি মুসলিম স্বাধীন দেশ ওটা নেহেরুর সহ্য হয়নি তাই দখল করে নিয়েছিল l আমাদের এই ভূখণ্ডও ভারতের পেটের মধ্যে কিন্তু নেহেরু দখল করার সাহস পায়নি কারণ এই ভূখণ্ড তখন পাকিস্তানের সাথে একীভূত হয়ে গিয়েছিল l উল্টো পাকিস্তানই কাশ্মীরের 33% দখল করে নিয়ে আজাদ কাশ্মীর নাম দিয়ে একটি সেপারেট প্রদেশ প্রতিষ্ঠা করলো l 

নেহেরু পূর্ব পাকিস্তানের (বাংলাদেশ ) চারগুন বড়  হায়দ্রাবাদ দখল করে ফেললো কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানকে দখল করতে পারছেনা যৌথ পাকিস্তানের ভয়ে এটা নেহেরুকে খুব পীড়া দিচ্ছিলো l 


যখন সাতচল্লিশে সদ্য কায়েমকৃত পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তান নামের যৌথ নাম পাকিস্তানের সীমানা পিলার বসাতে ব্যস্ত , সিলেটকে পুনরুদ্ধারে গণভোট নিয়ে ব্যস্ত , খুলনাকে রক্ষা করার জন্য সবুর খান ও শের ই বাংলা ব্যস্ত __ ঠিক ওই মুহূর্তে এই ভূখণ্ডে বাংলা ভাষা ইস্যু ঢুকিয়ে দেওয়া হলো l সংসদে কার মাধ্যমে প্রস্তাব আকারে  ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল সে নামটি আপনারা সবাই জানেন l আমি মনে করি সদ্য স্বাধীন পাকিস্তানকে অস্থিতিশীল করতে ওটাই ছিল হিন্দুস্তানের এক সুদূর প্রসারী ট্র্যাপ l 

যৌবনের উন্মাদনায় তখন সেই হট কেক ইস্যুটি সবাই গ্রহণ করে ভাষা আন্দোলন শুরু করে l 


পৃথিবীতে ভাষা আন্দোলন শুধু বাংলাদেশেই হয়নি , বিভিন্ন সময় বিভিন্ন  দেশে হয়েছে l কিছু কিছু দেশ ছাড়া সবগুলো দেশেই ভাষা আন্দোলন সফল হয়েছে এবং নিজ ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাবে নিশ্চিত করেছে l 

আমাদের দেশে মাত্র পাঁচজন ভাষা আন্দোলনে রক্ত দিয়েছে কিন্তু অন্যান্য দেশে অনেক বেশি l 

দক্ষিণ আফ্রিকায় জুলু ভাষা রক্ষার দাবীতে স্কুলের কিশোররা সংগ্রাম করে এবং একশত জন প্রাণ দেয় এর প্রায় আশি জনই ছিল কিশোর ছাত্র l লাটভিয়া , যুক্তরাষ্ট্র , কানাডার পূর্বাঞ্চল, ভারতের মাদ্রাজ ও আসামে ভাষা নিয়ে আন্দোলন হয় এবং রক্ত দেয় l মাদ্রাজে প্রায় দুই বছর আন্দোলন চলে এবং পঁচিশ জন প্রাণ হারায় , আসামের শিলচর রেইল স্টেশনে অসমীয়া ভাষার পাশাপাশি বাংলা ভাষাকে রাখার দাবীতে ১১জন প্রাণ দেয় l সেই রেলস্টেশনের নাম শিলচর পাল্টিয়ে  এখন "ভাষা শহীদ স্টেশন" l 


প্রতিটি দেশেই সরকারগুলো যুগে যুগে ভাষা আন্দোলনের দাবি মেনে নিয়েছে , আমাদের দেশেও ১৯৫৬ সালে ভাষা আন্দোলনের দাবি মেনে নিয়ে উর্দুর পাশে বাংলাকে স্থায়ী রূপ দিয়েছিল পাকিস্তান সরকার l তারই প্রেক্ষিতে  এখনো করাচিতে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর কবরের নাম ফলকে উর্দু ও বাংলা দুটো ভাষাতেই লিখা রয়েছে l 


প্রশ্ন হলো , বিশ্বের যেসকল দেশে বিভিন্ন সময়ে ভাষা আন্দোলন করেছে এবং সফল হয়েছে তাঁরা সেখানেই ইস্যুটার যবনিকা টেনে দিয়েছে , তাঁরা বছর বছর  এটা নিয়ে গণজাগরণ করেনা  কিন্তু আমরা করি __ তাহলে কি ওদের চেয়ে আমরা বেশি মেধাবী ?