Saturday 20 January 2024

অসুস্থ জেনারেশন তৈরি হচ্ছে

কি একটা আজব জেনারেশন আসছে। বর্তমান জেনারেশনের বেশিরভাগ মেয়েদের বিটিএস পছন্দ কারন তারা মেয়েলি স্বভাবের পুরুষ চায়। তাই এখন নারী পটানোর জন্য পুরুষ হয়ে যায় নারীবাদী, কবিতা লাভার, ক্যাট লাভার, আর লুতুপুতু গল্পের পাঠক,সিংগার, এমনকি পিরিয়ড কবি,। কিন্তু আমাদের দাদী-নানীদের অবস্থা ভিন্ন ছিলো। এখনো তাদের সামনে কোন ছেলে যদি মেয়েদের মতো হাটাচলা করে অথবা মেয়েদের বেশভূষা ধরে তাহলে তারা কষে একটা ধমক দিবে। কারন তাদের কাছে একটা ছেলের মেয়েলি স্বভাবের হওয়াটা মানসিক বিকৃতি। কারন উনারা জানেন একটা পরিবারে একজন পুরুষের প্রয়োজন কতটুকু। দাদী নানীরা প্রকৃত পুরুষ মানুষ চিনেন। উনারা ভালো ভাবেই জানেন একজন পুরুষের বৈশিষ্ট্য কেমন হয়। আমাদের দাদা-নানারা ছিলেন প্রকৃত পুরুষ। লোমশ হাত ওয়ালা সুঠাম দেহের সুস্থ সবল পুরুষত্বের অধিকারী ছিলেন তারা। তারা পরিবারের জন্য মাথায় করে পাহাড় বহন করতেন। নিজের স্ত্রী সন্তানকে আগলে রেখে যেকোনো বিপদের মুখে সিসা ঢালা প্রাচীর হয়ে দাঁড়াতেন। তারা ফজরের আগে ঘুম থেকে উঠে মই,লাঙ্গল নিয়ে মাঠে ছুটতেন। মাঠের এক কোণায় গামছা বিছিয়ে ফজরের নামাজ টা পড়ে নিয়ে আবার কাজে লেগে পড়তেন। দিপ্রহরে বাড়িতে এসে স্ত্রীর হাত পাখার বাতাসে পান্তা খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলতেন। এখন সময় বদলেছে, টেকনোলজির এই দুনিয়ায় সব কিছু সহজলভ্য হয়েছে ঠিক কিন্তু প্রতি ঘর থেকে পুরুষ মানুষ হারিয়ে যাচ্ছে। একটা গর্দভ অসুস্থ জেনারেশন তৈরি হচ্ছে, এদের পুরুষত্ব তো নেই উলটো হিজড়া হয়ে যাচ্ছে। না আছে তাদের ২৫ কেজি ওজনের একটা বস্তা বহনের মুরোদ, না আছে ১০ মিনিট দৌড়ানোর মুরোদ। খাওয়ার ঠিক নেই, ঘুমের ঠিক নেই,সালাতের কথা বাদই দিলাম। এই জেনারেশন দিয়ে এই উম্মাহের কোনো উপকার কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। - সংগৃহীত©©

Sunday 14 January 2024

ঠেলার নাম বাবাজী!

ঠেলার নাম বাবাজী! দিন বদলে যাচ্ছে। আজ থেকে ২০/২৫ বছর আগেও প্রায় সব মানুষ বাড়ির আংগিনায় নিজেরা খাওয়ার জন্য সবজি চাষ করতেন। সেই সবজি নিজেরা খেতেন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত সবজি প্রতিবেশিকে দিতেন, কিছু অংশ বাজারে নিয়ে বেচে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতেন, বাকীটা গরু ছাগলকে খাওয়াতেন। ২০০০ সালের পরে গার্মেন্টস সেক্টরে প্রচুর নিয়োগ দেয়া হলো। প্রবাসেও মানুষ দলে দলে যাওয়া শুরু করল। মানুষ বেতন পেয়ে গ্রামে টাকা পাঠাতে শুরু করল। গ্রামে কাজের মানুষ খুজে পাওয়া টাফ হয়ে গেল। প্রবাসী ভাইয়ের টাকা পেয়ে বাকী ভাইরা অলস হয়ে গেল। কস্ট করে সবজি চাষ করে সেই সবজি খাওয়ার মত লোক বাড়িতে নেই। বাকী সবজি বেচতে গেলে লস, যে দাম চায় তার চেয়ে খরচই বেশি। মানুষ সবজি চাষ করাটাকে বোঝা মনে করল। কমার্শিয়াল উৎপাদন ছাড়া বাড়িতে বাড়িতে সবজি চাষ প্রায় বন্ধ হয়ে গেল। যেখানে ছেলে মেয়ের ইনকাম দিয়ে যথেষ্ট পরিমাণে সবজি কেনা যায় সেখানে কস্ট করে চাষাবাদের কী দরকার? এছাড়া ছেলে মেয়েদের জন্য ঘর বানাতে হবে। যেখানে সবজি চাষ হতো সেখানে রাতারাতি বাড়ি তৈরি হয়ে গেল। বাড়িতে মানুষ থাক বা না থাক বাড়ি না থাকা একটা প্রেস্টিজ ইস্যু! যার ফলে আংগিনায় সবজি চাষের জমিটুকুও কমে গেল। গত ২/৩ বছরে বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও বিভিন্ন কারণে এবং পরিবহন খরচ, সিন্ডিকেটের প্রভাব বেড়ে যাওয়ায় সবজির দাম আকাশচুম্বী হয়ে গেল। এখন জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়। সবজির দাম সবচেয়ে কম থাকার কথা এ সময়ে। অথচ এখনো ঢাকায় ৫০ টাকার নিচে কোন সবজি নেই। সবচেয়ে কম দামী পেপের কেজিও ৫০ টাকা। পেয়াজের কালি গত বছর এক মুঠির দাম ছিল ১০ টাকা, পরিমানে ছিল বেশি। এ বছর এক মুঠি ২০ টাকা হয়েছে, মনে হচ্ছে পরিমাণেও কমে গেছে। টমেটো সীম ৮০ টাকার নিচে নাই। ফুলকপি বাঁধাকপি ৫০ টাকার নিচে ভালোটা পাওয়া যায় না। শুধু শহরেই নয়, গ্রামের চিত্রও সেইম। মানুষ যখন দেখছে সবজি কিনতে কিনতেই ফকির হয়ে যাবার যোগাড় তখন ভাবল আমার জমিটা আমি ইউজ করি। নিজে খাওয়ার জন্য হলেও অন্তত ছোট জায়গায় চাষাবাদ করি। মানুষের এই উপলব্ধি থেকে মানুষ আবারও বাড়ির আংগিনায় ও ছাদে নিজে খাওয়ার জন্য সবজি চাষ শুরু করেছে। অনেকে বারান্দায় টবে কিছু না কিছু চাষ করে। আমার বাসায় আগে নিয়মিত লেবু ও মরিচের টব থাকত। বছরে ২০০/৩০০ টাকার কাচামরিচ ও লেবু পেতাম যা নিজেরাই খেতাম। সবচেয়ে বড় কথা, লেবু পাতার শরবত খেতে পারতাম যেটা ঢাক শহরে সম্ভব না। পরিচিত এক চাচা গত বছর বাড়ির পেছনের জমি নিজেরা খাওয়ার জন্য সবজি চাষ করে অতিরিক্ত সবজি বেচেই ২০ হাজার টাকা পেয়েছেন। আর যা খেয়েছেন ঢাকার হিসেবে সেগুলোর বিক্রয়মূল্য হতো আরো ২০ হাজার টাকা। এই যে ৪০ হাজার টাকা যে অর্থনীতিতে যোগ হলো তার একটা ইফেক্ট আছে। সেটা হলো চাহিদা কমে যাওয়া। মানে আমি ছাদে চাষ করে যদি দিনে ১০০ টাকার সবজি খেতে পারি তাহলে আমি প্রতিদিন ১০০ টাকার বাজার কম করব। আমার মত ১ কোটি মানুষ যদি দিনে ১০০ টাকার বাজার কম করে তাহলে প্রতিদিন ১০০ কোটি টাকার সবজি বেচাকেনা কম হবে। আল্টিমেটলি সিন্ডিকেটের উপর চাও বাড়বে ও বাজারের উপর চাপ কমবে। পোস্টের ছবিটা কল্যাণপুর খালের পাশে তোলা। পাশের চায়ের দোকানদার এই সেটাপ করেছে। আশা করি এখান থেকে কম হলেও ১০০০ টাকার ফলন হবে। ঢাকা শহরের বাড়ির ছাদে অনেকেই সবজি চাষ করেন। এটাকে যদি মশামুক্ত করে উৎপাদন বাড়ানো যেত মানে সবার ছাদেই সবজি চাষ করা যেত তাহলে বাজারে চাহিদার উপর বিরাট প্রভাব ফেলবে। আশা করি দামটা হাতের নাগালে চলে আসবে। আগামী সপ্তাহ থেকে লালসালু ক্যাটারিং সার্ভিসের কার্যক্রম শুরু হবে ইনশাআল্লাহ। শুরুতে আমরা মিরপুর এলাকায় লাঞ্চ বক্স প্রোভাইড করব। অফিসে অনেকেই লাঞ্চ করেন। ৭০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০ টাকায় মিরপুরে লাঞ্চ পাওয়া যায়। আমরা সেল করব ১২০ টাকায়। আমাদের লাঞ্চ রান্না করার জন্য কোন প্রফেশনাল সেটাপ করি নাই। আমরা বেশ কিছু বাসা থেকে রান্না করা খাবার কালেকশন করে বক্স করব। মনে করেন এক বাসা থেকে ভাত, এক বাসা থেকে ডাল, এক বাসা থেকে ভর্তা, এক বাসা থেকে তরকারি এভাবে কালেকশন করে বক্স করে অফিসে বা দোকানে সাপ্লাই করব। পুরো খাবারটা বাসার খাবারের মতই হবে। হাইজেন মেইনটেইন করার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেস্টা করব ইনশাআল্লাহ। যিনি রান্না করবেন তিনি বাসায় সেইম আইটেম খাবেন, পরিবারকে খাওয়াবেন। তাই খাবারটা বিশুদ্ধ থাকবে গ্যারান্টি দিতে পারি। আমরা চেস্টা করব বিভিন্ন ছাদ বাগানের সবজি কেনার। এখন আশুলিয়ার রিরুলিয়া থেকে আনার ব্যবস্থা করেছি রেগুলার লাঞ্চের বাইরে আমরা ক্যালোরি বেইজড একটা লাঞ্চের ব্যবস্থা করছি। ঔ যে, ডাক্তার জাহাঙ্গীর কবির সাহেব ও পুস্টিবিদরা যেসব আইটেম দিয়ে লাঞ্চ করতে বলেন সেই ধরনের লাঞ্চের ব্যবস্থাও করেছি। এগুলোর দাম ভিন্ন হবে। আইটেম নিয়ে বিস্তারিত আলাদা পোস্ট করব ইনশাআল্লাহ। আশা করি মিরপুরবাসী লালসালুর লাঞ্চ বক্সে ভালোই সাড়া দিয়ে আমাদের উদ্যোগকে স্বাগত জানাবেন। #lalsalu_catering #lalsalu_cloud_kitchen