একটা পত্রিকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মহান হৃদয় সম্পর্কিত একটা লেখা পড়ার দুর্ভাগ্য হলো। লেখাটি পড়ে জানতে পারলাম, মুক্তিযুদ্ধের পরে দালাল আইনে মুসলিম লীগ নেতা সবুর খান, ফজলুল কাদের চৌধুরী এবং শাহ আজিজ আটক হয়। এ সময়ে সবুর খান বঙ্গবন্ধুর কাছে একটা চিঠি লেখে, চিঠিতে পুরনো সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে সবুর খান জেল থেকে মুক্তি কামনা করে। মহান হৃদয়ের অধিকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব চিঠিটি পড়ার সাথে সাথে সবুর খানকে মুক্তি দেয়ার হুকুম দেন, এবং অন্যান্যদেরকেও মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করেন। সবুর খান এবং শাহ আজিজ মুক্তি পান সেসময়ে। ব্যাপারগুলো আগেও জানতাম, এমন নয় যে এবারই প্রথম জানতে পারলাম।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন সে সময়ে প্রধানমন্ত্রী। তিনি আইনের উর্ধ্বের কোন মানুষ ছিলেন না। সবুর খান, শাহ আজিজের মত নেতারা আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হলে সহজেই মুক্তি পেতে পারতেন। দোষী হলে সাজাও পেতেন। কিন্তু জনগণের দেয়া ক্ষমতার ব্যবহার করে এদের মুক্তি দেয়া কতটা মহান হৃদয়ের কাজ ছিল, আর কতটা বিচার ব্যবস্থাকে ডিঙ্গিয়ে একনায়কসূলভ কাজ ছিল তা নিয়ে আমি সন্দিহান। বরঞ্চ আমি হলে সবুর খানকে ফিরতি একটা চিঠি লিখে জানাতাম,
" প্রিয় সবুর খান। আপনার প্রতি কোন বিদ্বেষ কিংবা ঘৃণা আমার নেই। সেই সাথে, প্রচলিত রাষ্ট্রকাঠামোতে আমি একজন প্রধানমন্ত্রী মাত্রই। সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী আমি নই। প্রচলিত আইনের প্রতি আমি দায়বদ্ধ বিধায়, গ্রেফতারকৃত কাউকে বিনা বিচারে ছেড়ে দেয়ার সুপারিশ আমি করতে পারি না। কারণ আমাকেও আইন মেনে চলতে হয়। বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা রাখুন, নিশ্চয়ই আপনি নির্দোষ হলে মুক্তি পাবেন। আপনার সাথে আমার সম্পর্ক যত মধুরই হোক না কেন, আমি আইনের বাইরে এক পাও এগুতে পারবো না। কারণ আমি জনগণের দেয়া ম্যান্ডেটের কাছে দায়বদ্ধ। "
আমি জানি যে, সিরাজ শিকদারকে বঙ্গবন্ধু শাসনামলে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছিল। যেটা ছিল আধুনিক সময়ের ক্রসফায়ারের সূচনা। সিরাজ শিকদার যাই করুক না কেন, তার ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার ছিল। আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া উচিত ছিল। হত্যার পরে সদম্ভে বঙ্গবন্ধু পার্লামেন্টে লাল ঘোড়া দাবরাইয়া দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছিলেন। বিনা বিচারে সিরাজ শিকদারের মত মুক্তিযোদ্ধাদের খুন করা হলেও, মুসলিম লীগ নেতাদের পুরনো খাতিরের সম্পর্কের কারণে মুক্তি দেয়া অনেকের কাছে মহান হৃদয়, বড় মন, বিশাল নেতার খেতাব পেলেও আমার কাছে সেগুলো সবই বিচার বহির্ভূত ক্ষমতার অপব্যবহার। সেই শুরুতেই যদি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা যেত, বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রের পিতা না হয়ে জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, একজন সাধারণ সেবক হতেন, আইন এবং সংবিধান মেনে চলতেন, আত্মীয়তা কিংবা স্বজন হওয়ার কারণে কোন ক্ষমতার ব্যবহার না করতেন, আমার কাছে বঙ্গবন্ধু বড় নেতা হতেন। কিন্তু এইসব গল্প আমার কাছে বড় নেতার পরিচয় বহন করে না। একজন স্বেচ্ছাচারী একনায়কের পরিচয় বহন করে। যা রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের কয়েকশো বছর পিছিয়ে দিয়েছে।
আসুন, এবারে নতুন আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া লোকজন এসে আমার বাপমা তুলে গালাগালি করে অশেষ পুণ্য অর্জন করুন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন সে সময়ে প্রধানমন্ত্রী। তিনি আইনের উর্ধ্বের কোন মানুষ ছিলেন না। সবুর খান, শাহ আজিজের মত নেতারা আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হলে সহজেই মুক্তি পেতে পারতেন। দোষী হলে সাজাও পেতেন। কিন্তু জনগণের দেয়া ক্ষমতার ব্যবহার করে এদের মুক্তি দেয়া কতটা মহান হৃদয়ের কাজ ছিল, আর কতটা বিচার ব্যবস্থাকে ডিঙ্গিয়ে একনায়কসূলভ কাজ ছিল তা নিয়ে আমি সন্দিহান। বরঞ্চ আমি হলে সবুর খানকে ফিরতি একটা চিঠি লিখে জানাতাম,
" প্রিয় সবুর খান। আপনার প্রতি কোন বিদ্বেষ কিংবা ঘৃণা আমার নেই। সেই সাথে, প্রচলিত রাষ্ট্রকাঠামোতে আমি একজন প্রধানমন্ত্রী মাত্রই। সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী আমি নই। প্রচলিত আইনের প্রতি আমি দায়বদ্ধ বিধায়, গ্রেফতারকৃত কাউকে বিনা বিচারে ছেড়ে দেয়ার সুপারিশ আমি করতে পারি না। কারণ আমাকেও আইন মেনে চলতে হয়। বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা রাখুন, নিশ্চয়ই আপনি নির্দোষ হলে মুক্তি পাবেন। আপনার সাথে আমার সম্পর্ক যত মধুরই হোক না কেন, আমি আইনের বাইরে এক পাও এগুতে পারবো না। কারণ আমি জনগণের দেয়া ম্যান্ডেটের কাছে দায়বদ্ধ। "
আমি জানি যে, সিরাজ শিকদারকে বঙ্গবন্ধু শাসনামলে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছিল। যেটা ছিল আধুনিক সময়ের ক্রসফায়ারের সূচনা। সিরাজ শিকদার যাই করুক না কেন, তার ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার ছিল। আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া উচিত ছিল। হত্যার পরে সদম্ভে বঙ্গবন্ধু পার্লামেন্টে লাল ঘোড়া দাবরাইয়া দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছিলেন। বিনা বিচারে সিরাজ শিকদারের মত মুক্তিযোদ্ধাদের খুন করা হলেও, মুসলিম লীগ নেতাদের পুরনো খাতিরের সম্পর্কের কারণে মুক্তি দেয়া অনেকের কাছে মহান হৃদয়, বড় মন, বিশাল নেতার খেতাব পেলেও আমার কাছে সেগুলো সবই বিচার বহির্ভূত ক্ষমতার অপব্যবহার। সেই শুরুতেই যদি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা যেত, বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রের পিতা না হয়ে জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, একজন সাধারণ সেবক হতেন, আইন এবং সংবিধান মেনে চলতেন, আত্মীয়তা কিংবা স্বজন হওয়ার কারণে কোন ক্ষমতার ব্যবহার না করতেন, আমার কাছে বঙ্গবন্ধু বড় নেতা হতেন। কিন্তু এইসব গল্প আমার কাছে বড় নেতার পরিচয় বহন করে না। একজন স্বেচ্ছাচারী একনায়কের পরিচয় বহন করে। যা রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের কয়েকশো বছর পিছিয়ে দিয়েছে।
আসুন, এবারে নতুন আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া লোকজন এসে আমার বাপমা তুলে গালাগালি করে অশেষ পুণ্য অর্জন করুন।