Monday 18 May 2020

খুঁজে ফিরি হারিয়ে যাওয়া শৈশব ...

৮০-৯০‘র দশকের দিনগুলো ।










Sunday 17 May 2020

জ্ঞানপাপী আনিসুজ্জামান এবং রাতের ভোটের ফ্যাসিবাদের সমর্থক


এই যে একজন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান মারা গেলো। উনার জন্য শোক জানানোর কথা ছিল দল-মত ভুলে সমগ্র জাতির।
অথচ খেয়াল করে দেখেন পত্রিকার মন্তব্য গুলো। প্রায় ৮০% মন্তব্য হচ্ছে নেগেটিভ! জীবনে এরা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কি পরিমাণ ঘৃণা অর্জন করেছে এটা বুঝা যায় এদের মৃত্যুর পর।

একজন জাতীয় অধ্যাপক যেখানে হতে পারতেন সাধারণ মানুষের ভোকাল সেখানে উনি সাধারনের বিরুদ্ধে গিয়ে হয়ে উঠেছিলেন ভোটার বিহীন এবং রাতের ভোটের ফ্যাসিবাদের সমর্থক ভোকাল। এর জন্য আপনি দোষারোপ করতে পারবেন না সাধারণ মানুষকে।

কারন হিংসা ও নোংরা রাজনীতির সমর্থক ছিলেন এই অধ্যাপক।মানুষের খুন গুম নির্যাতন ও cross fire এ হত্যার বিরুদ্ধে কথা না বলে এসবের সমর্থক ছিলেন এই জ্ঞানপাপী।এসব বুদ্ধিজীবীদের রোপণ করা ঘৃণার বীজ থেকে গাছ উঠে আজ মহিরুহ হয়েছে। বীজ যেহেতু লাগিয়েছেন অধ্যাপক সাহেব, তাই আপনার রোপন করা গাছের ফল খাবেন না,তা কি করে হয়?

বসন্ত ....... প্যারিস,১৮ মে ২০২০

মেঘমালা উড়ছে নীলিমার বুকে, শেষ বিকেলের সোনা রোদে ভাসছে পত্র পল্লব। মহাকালের সাক্ষী ঠায় দাঁড়ানো জরা জীর্ণ অট্টালিকা, গির্জা থেকে ভেসে আসে টুং টাং শব্দ। চিরায়ত বসন্ত ফিরে আসে বার বার, তবু মনে হয় কোথাও কেউ নেই, কেউ নেই।









আনিসুজ্জামান প্রসঙ্গে সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী

আনিসুজ্জামান প্রসঙ্গে সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর কথা মনে পড়ে গেল। আনিসুজ্জামান সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। ট্রাইব্যুনালে সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী নিজের মামলা নিজেই লড়তেন। আনিসুজ্জামানকে সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী নিজেই জেরা করেন। জেরার একটা অংশ আপনাদেরকে শোনাচ্ছি। সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী আনিসুজ্জামানের কাছে জানতে চান : আপনি কীভাবে জেনেছেন যে আসামী নূতন চন্দ্রকে হত্যা করেছে?
উত্তরে বলেন : আমি নুতন চন্দ্রর পুত্রবধুর কাছ থেকে জানতে পারি আসামী নুতন চন্দ্রকে গুলি করে হত্যা করে।
সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী জিজ্ঞেস করেন: সে সময়ে আপনার বয়স কত এবং নুতন চন্দ্রর ছেলেরা কোথায় ছিলেন?

আনিসুজ্জামান: সে সময়ে নুতন চন্দ্রর ছেলেরা পলাতক ছিলেন এবং আমার বয়স ছিল ৩৩।

সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী: আপনি সেই যৌবন বয়সে নুতন কুন্ডর ছেলেদের অবর্তমানে তাদের স্ত্রীদের সাথে দেখা করতে কেন গিয়েছিলেন??

আনিসুজ্জামান: মাননীয় আদালত, জেরাকারী আমার ব্যক্তিগত বিষয়ে প্রশ্ন করে আমাকে বিব্রত করতে চাইছেন।
উল্লেখ্য আনিসুজ্জামান ততকালে(১৯৭১) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্টার হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।

আওয়ামীলীগের গঠিত ট্রাইব্যুনালে সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর বিপক্ষে প্রধান উকিল ছিলেন রানা দাশ গুপ্ত। রানা দাশ গুপ্ত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের শুরুতে বলেন: আপনার নাম সাকা চৌধুরী, পিতা: ফকা চৌধুরী, ভাষা : বাংলা আর আপনি একজন বাংলাদেশী তাইতো??

উত্তরে সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী বলেন: আমার নাম সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী,  আমার পিতা: ফজলুল কাদের চৌধুরী। আমার নাম যদি আপনি  সাকা চৌধুরী বলেন তবে আপনার নাম রা দা গু*
আমার ভাষা: চিটাগনিয়ান, আমি একজন চিটাইংগা।