Saturday, 4 March 2023
সহনশীল হোন। অপরকে সম্মান করুন।
কাদিয়ানীরা কাফের - কারণ তারা আমার প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা) কে অস্বীকার করে।
তাই তাদের বিরুদ্ধে আপনি গর্জে উঠে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছেন। ফেলতেছেন। ফেলুন।
তো, হিন্দুরাও তো আমাদের প্রিয় নবীকে স্বীকার করে না - তারাও তো কাফের! ঠিক কি না?
খৃস্টানারাও আমাদের প্রিয় নবীকে স্বীকার করে না - তারাও তো কাফের। তাই না?
ইহুদীরাও আমাদের প্রিয় নবীকে স্বীকার করে না - তারাও কাফের।
বৌদ্ধরাও আমাদের প্রিয় নবীকে স্বীকার করে না - সুতরাং তারাও কাফের।
আপনি বাদে আর যারা যারা ইসলাম ধর্মকে স্বীকার করে না তারা সকলেই কাফের। আর এদের সংখ্যা টা হচ্ছে ৬.৮ বিলিয়ন। এই পৃথিবীতে নামকাওয়াস্তে মুসলিমের সংখ্যা হচ্ছে ১.৮ বিলিয়ন; আউট অব ৮ বিলিয়ন।
অর্থাৎ ৬.৮ বিলিয়ন কাফেরের সংগে আপনি কেন বসবাস করে চলছেন! এবার একটু লজ্জা করছে না? আপনার মতমাতের সংগে ৬.৮ বিলিয়ন মানুষেরই কোন মিল নেই। তারা কি আপনাকে অপছন্দ করে যতটা আপনি তাদের ঘৃণা করছেন?
সহনশীল হোন।
অপরকে সম্মান করুন।
এই ৬.৮ বিলিয়ন কাফেরকে ইসলামের পথে আনেতে আপনার কি আদৌ কোন ভূমিকা আছে? রেখেছেন কোনও ভূমিকা? আপনি নিজে আজ ফজরের নামাজে মসজিদে গিয়েছেন?
এই ৬.৮ বিলিয়ন কাফের আপনার ঠিক কোন গুনটা দেখে আপনার ইসলাম ধর্মের প্রতি সম্মান জানাবে একটু বলতে পারবেন? আছে আপনার সেরূপ কোনও গুন - যা দেখে অন্যে আপনাকে সম্মান করবে?
আগে নিজে মানুষ হোন।
আগে নিজে আপনি মুসলিম হোন।
আপনি যেদিন প্রকৃত মুসলিম হতে পারবেন - সেদিন আর এভাবে ভিন্ন মতের মানুষদের প্রতি উগ্রতা প্রদর্শন করবেন না। তখন সহসশীল হতে শিখবেন।
মুহাম্মদ (সা) নবুয়ত পাবার পর কি আরবদের ‘কাফের’ কাফের’ করে গালাগালি শুরু করে দিয়েছিলেন না কি নিজের মহানুভবতা, নিজের ব্যক্তিত্ব দিয়ে তাদের সম্মানের সংগে ইসলাম কবুলের আহ্বান জানিয়েছিলেন?
আপনাদের ভাব দেখে মনে হচ্ছে সেই আমলে ফেইসবুক থাকলে মুহাম্মদ (সা) তাদের কাফের কাফের করে ফেইসবুকে ভাইরাল করে ফেলতেন।
ইসলাম সহসশীলতা শিখায়।
কাউকে গালি দিয়ে বা জোরে করে ধর্মে আসতে ইসলাম শিক্ষা দেয়নি।
আপনার আচরণে যেন অন্যেরা ইসলামে আগ্রহী হয় - সেটাই ইসলাম শিখায়।
সেই আচরণ কি আপনি আদৌ প্রদর্শন করেছেন কখনও?
আগে নিজে সুস্থ মানুষ হোন, তারপর অন্যকে গালাগালি করবেন; তবে মনে রাখবেন সুস্থ মানুষরা ভিন্ন মতাবলম্বীদের গালাগালি করে না।
এভাবে চিল্লাফাল্লা করে কাদিয়ানীদের থামাতে পারবেন না। কাজেই অপ্রয়োজনীয় চিৎকার চেচামেচি মুল্যহীন। নিজের গলা ব্যাথা হয়ে যাবে।
আপনি বরং আপনার নিজের আচরণ পরিশুদ্ধ করুন।
অতপর দেখবেন, তারাসহ অন্যরাও তখন আপনাকে দেখে মুগ্ধ হবে, সম্মান জানাবে, আপনার কথা শুনতে চাবে।
এভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হয় না।
বরং ইসলামের গাম্ভীর্য নস্ট হয়, আপনার জন্য ইসলামী মুল্যবোধ নস্ট হচ্ছে।
আগে নিজে শুদ্ধ হোন।
আর যে বা যারা আমাদের রাসুল মুহাম্মদ (সা)কে মানে না - সে তো অটোমেটিক্যালী অমুসলিম হয়ে যাচ্ছে, তাতে আপনার চিল্লাচিল্লিতে কি আসে যায়?
আপনাকে কে সার্টিফিকেট ইস্যূ করার দায়িত্ব দিলো?
Thursday, 2 March 2023
তুমি বলেছিলে
তুমি বলেছিলে রাতে তোমার ঘুম হয় না;
আমি বুঝেছিলাম সময় চাইছো;
তুমি বলেছিলে আকাশে কী মেঘ করেছে দেখো!
আমি বুঝেছিলাম তোমার মন খারাপ।
তুমি বলেছিলে চুলে জট বেধেছে;
আমি বুঝেছিলাম তুমি স্পর্শ চাইছো।
তুমি বলেছিলে আজ বিকেলে তুমি বারান্দায় থাকবে;
আমি বুঝেছিলাম সাক্ষাত চাও।
তুমি বলেছিলে অন্ধকারে আমার বড্ড ভয়;
আমি বুঝেছিলাম তোমার আমাকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করছে;
তুমি বলেছিলে সমুদ্রে যাবে;
আমি বুঝেছিলাম পাশাপাশি হাত ধরে হাঁটতে চাইছো।
তুমি বলেছিলে নীল প্রিয় রঙ,
আমি বুঝেছিলাম তোমার কষ্ট হচ্ছে;
তুমি বলেছিলে ঠোঁট ফেটেছে,
আমি বুঝেছিলাম চু মু খেতে চাইছো;
তুমি বলেছিলে অংক ভালো লাগেনা,
আমি বুঝেছিলাম তুমি কবিতা ভালোবাসো;
তুমি বলেছিলে আজ তাড়াতাড়ি ঘরে ফিরতে হবে;
তুমি বলেছিলে এই হুটহাট দেখা করা,অসময়ে ফোন করা আর তোমার ভালোলাগছেনা;
আমি বুঝে গিয়েছিলাম,বিচ্ছেদ চাইছো।
তারপর অলিখিত স্বাক্ষরে তুমি যখন ইনভিজিবল কোর্টে আমার বিরুদ্ধে বিচ্ছেদের মা ম লা ঠুকে দিলে;
আমি বুঝেছিলাম তুমি মুক্তি চাও।
এরপর সব বুঝে যখন আমি দার্শনিক,
সব মিটিয়ে তুমি যখন অন্য ঘরের শো-পিস,
একদিন আমাদের দেখা হলো তখন;
তুমি জিজ্ঞেস করেছিলে, কেমন আছো?
আমি বুঝে গিয়েছিলাম তুমি ভালো নেই।
শেষ পর্যন্ত তাই হলো! একজন হুমায়ুন ফরিদী!
Tuesday, 28 February 2023
ফুলপরী এবং বেজন্মাদের গল্প !!!
ফুলপরী, বাবা-আদর করে নাম রেখেছে মেয়েটির। স্কুল-কলেজ শেষ করে মেয়েটি পড়তে যায় বিষবিদ্যালয়ে। সেখানে গিয়ে ছাত্রলীগ নামের বেজন্মা-নষ্টদের নির্যাতনের শিকার হয় ফুলপরী। বিবস্র করে নির্যাতন করা হয় সেইসাথে ভিডিও করে রাখা হয়।
ছাত্রলীগের বেজন্মারাই তদন্ত করে জানায় এই ধরণের ঘটনা ঘটেনি !!! রাষ্ট্র-আদালত-বুদ্ধিজীবী-নারী নেত্রী সবাই নিশ্চুপ।
ফুলপরীর দুর্ভাগ্য, সে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কিংবা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্য নয়। সংখ্যালঘু হলে বিচারের দাবিতে সরগরম হতো রাজপথ,বিশ্ব বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। নারী নেত্রীরা ছুটে আসতেন, মানবাধিকার কর্মীরা আসতেন হয়তো উচ্চ আদালত স্বপ্রনোদিত হয়ে রুল জারি করতো।
চারিদিকে এক অদ্ভুত নীরবতা বিরাজ করছে। ব্যাক্তিগত লাভ, চাটুকারিতা এবং ভয়ের সংস্কৃতি জেঁকে বসেছে মানুষের মনোজাগতিক বিষয়ে। জাতি হিসেবে নির্লজ্জ এবং বিবেকহীনতার সর্বনিম্ন স্তরে অবস্থান করছি।
চোখের সামনে দানব-বেজন্মাদের এই আস্ফালন দেখা কষ্টের !
Subscribe to:
Posts (Atom)