Tuesday 20 November 2018

কর্নেল তাহেরকে গ্লোরিফাই করতে আওয়ামি লিগ হিউজ ইনভেস্ট করছে

কর্নেল তাহেরকে গ্লোরিফাই করতে আওয়ামি লিগ হিউজ ইনভেস্ট করছে একটা কারণে, বাংলাদেশে জিয়াউর রহমানের যে সর্বময়ী ইমেজ তা যেকোনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করা। সেজন্য যদি একসময়ের তুমুল শত্রু তার গুও যদি চাটা লাগে তাও করতে রাজী আওয়ামি লিগ। লিগ জাসদ এলায়েন্সের পর "ক্রাচের কর্নেল" ছিল সে প্রজেক্টের প্রথম আউটপুট!

সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং পার্ট হচ্ছে আওয়ামি লিগ নিজে একটা ইতিহাস বা বয়ান বানাবে, এরপর সেটাকে এমন একটা ব্র্যান্ডিং করবে যাতে করে এইটা একটা "ঐতিহাসিক সত্য" হিসেবে স্থান পায়।

২০১১ সালের কর্নেল তাহেরের সামরিক বিচার নিয়ে দেয়া রায়কে কেন্দ্র করে আওয়ামি লিগ হিউজ ইফোর্ট দিয়েছে। বিচারের মেরিটে অনেকগুলা অযাচিত পয়েন্ট নিয়ে জিয়াউর রহমানকে এমনভাবে ধুয়ে দেয়া হয়েছে যে নিরপেক্ষ মানুষজন ভাবতে পারে জিয়াউর রহমান অসৎ উদ্দেশ্যে তাহেরকে ফাসি দিয়েছে, ইন ফ্যাক্ট এইটা অনেকেই বিশ্বাস করে ফেলেছে ,বিশেষ করে ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলেপেলেরা। এত ঢামাঢোলের মধ্যে কয়েকটা ফ্যাক্টর আড়ালে চলে গেছে! এই বিচারকে নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে কিন্তু জিয়াউর রহমান কেন তাহেরের মতন লোকের বিচার করতে বাধ্য হয়েছেন সেটা নিয়ে বিস্তর আলোচনার দরকার আছে। না করলে তরুণ প্রজন্ম এরকম বিকৃত সত্য জেনেই বড় হবে।

অন্য ফ্যক্টরটা হচ্ছে এই রায় প্রদানকারী বিচারক কে ছিল? নামটা শুনলেই নাক কুঁচকে সব বুঝে ফেলবেন! বিচারকের নাম এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। এই লোক যে শেখ হাসিনার চেয়েও বড় আওয়ামি লিগার সেটা গেল ক বছরে এই লোকের নির্লজ্জের মতন রাজনৈতিক বক্তব্যে বোঝা হয়ে গেছে। সুতরাং এই লোক যে জিয়াউর রহমানকে যাচ্ছেতাইভাবে অপমান করার সুযোগ হাতছাড়া করবে না সেটাই খুব স্বাভাবিক। আর সিনহার বইয়ের পর কারো সন্দেহ অবশিষ্ট থাকার কথা না রাজনৈতিক রায়গুলো লিখাই হয় সরকারের অঙ্গুলি হেলনে! টাকা,নির্দেশ আর দলান্ধতা থেকেই এই ধরনের রায় বের হয়! :)

সুতরাং তাহের "হত্যা(!!!)"র বিচারের রায় "ঐতিহাসিক" হওয়া তো দূরে থাক, একটা দলান্ধ শুয়রের লেখা স্ক্রিপ্ট মাত্র! এই জিনিসটা সামনে আনাটাই খুব জরুরি!