Saturday, 26 December 2015

জহির রায়হানকে খুন করেছে পাকিস্তানিরা নয় মুজিব বাহিনী

নিউজবিডিসেভেন এক্সক্লুসিভ: বিশিষ্ট ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, চলচ্চিত্রকার ও মুক্তিযোদ্ধা জহির রায়হানকে পাকিস্তানিরা হত্যা করেনি করেছে মুজিব বাহিনী। কিভাবে, কেন, কারা এবং কাদের স্বার্থে জহির রায়হানকে গুম ও খুন করা হলো তার প্রমাণ রয়েছে আজকের লেখায়। যাদের রেফারেন্স ব্যবহার করা হয়েছে তারা হলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও বাম রাজনীতিক নির্মল সেন, আওয়ামী ঘরানার বুদ্ধিজীবী ও ঘাদানিক এর নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবির, বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়, জহির রায়হানের প্রথমা স্ত্রী সুমিতা দেবী ও জহির রায়হানের মেজো ছেলে অনল রায়হান। তাদের গ্রন্থ ও পত্রিকাতে দেয়া সাক্ষাৎকারগুলো তুলে ধরা হলো:

১. বিশিষ্ট সাংবাদিক ও বামপন্থী সংগঠক নির্মল সেন ‘আমার জবানবন্দি’ ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সংস্করণের ৪০৫-৪০৬ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, "... তবে স্বাধীনতার ৪০ বছর পরেও একটি প্রশ্নের জবাব আমি পাইনি। প্রশ্নটি হচ্ছে- জহির রায়হানের ব্যাপারে বিভিন্ন মহলের নিস্পৃহ আচরণ। একটি মানুষ যে এভাবে নিরুদ্দেশ হয়ে গেল। কেউ যেন তার খোঁজ রাখল না। আমরা ঘাতক দালাল নির্মূলের কথা বলি, গণআদালত করে গোলাম আযমের ফাঁসি দাবি করি। অথচ জহির রায়হানের নামটি চলচ্চিত্র জগৎ ছাড়া আর কোথাও উচ্চারিত হয় না। কেন হয় না, সে প্রশ্নের জবাব দেয়ার মতো কেউ এদেশে নেই?
সাম্প্রতিককালে জহির রায়হান নিরুদ্দেশ হওয়া নিয়ে নতুন তথ্য শোনা গেছে। বলা হয়েছে- পাকিস্তানি হানাদার বা অবাঙালিরা নয়, মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অংশই জহির রায়হানকে খুন করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের এ অংশটির লক্ষ্য ছিল - বাংলাদেশকে স্বাধীন করা এবং সঙ্গে সঙ্গে বামপন্থী বুদ্ধিজীবিসহ সামগ্রিকভাবে বামপন্থী শক্তিকে নি:শেষ করে দেয়া। এরা নাকি বামপন্থী বুদ্ধিজীবিদের হত্যার একটা তালিকা প্রণয়ন করেছিল। এদের ধারণা এ তালিকাটি জহির রায়হানের হাতে পড়েছিল। জহির রায়হানও জানত তার জীবন নিরাপদ নয়। তবুও সে ছিল ভাইয়ের শোকে মূহ্যমান। তাই শহীদুল্লাহ কায়সারের নাম শুনেই সে ছুটে গিয়েছিল মিরপুরে তারপর আর ফিরে আসেনি। এ মহলই তাকে ডেকে নিয়ে খুন করেছে।
তাহলে কোনটি সত্য? জহির রায়হানকে কারা গুম করেছে? পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা, আল বদর, আল শামস্, না রাজাকার? নাকি মুক্তিবাহিনীর একটি অংশ? স্পষ্ট করে বললে বলা যায় - মুক্তিবাহিনীর এ অংশটি মুজিব বাহিনী।
১৯৭১ সালে প্রবাসী স্বাধীন বাংলা সরকারের অজান্তে গড়ে ওঠা মুজিব বাহিনী সম্পর্কে অনেক পরস্পরবিরোধী তথ্য আছে। বিভিন্ন মহল থেকে বারবার বলা হয়েছে, এ বাহিনী গড়ে উঠেছিল ভারতের সামরিক বাহিনীর জেনারেল ওবান-এর নেতৃত্বে। এ বাহিনী নাকি মিজোরামে ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে মিজোদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে। এদের নাকি দায়িত্ব ছিল - রাজাকার, শান্তি কমিটিসহ বাংলাদেশের সকল বামপন্থীদের নি:শেষ করে ফেলা। মুজিব বাহিনী সম্পর্কে এ কথাগুলো বারবার লেখা হচ্ছে। কোন মহল থেকেই এ বক্তব্যের প্রতিবাদ আসেনি। অথচ দেশে মুজিব বাহিনীর অনেক নেতা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে আছেন। তারা কোন ব্যাপারেই উচ্চবাচ্চ্য করছেন না। তাদের নীরবতা তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত বক্তব্যই প্রতিষ্ঠিত করছে এবং সর্বশেষ জহির রায়হানের নিখোঁজ হবার ব্যাপারেও মুজিব বাহিনীকেই দায়ী করা হচ্ছে॥"

২. ‘একুশে ফেব্রুয়ারী- জহির রায়হান’ গ্রন্থের পল্লব পাবলিশার্স প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত আগস্ট, ১৯৯২ সংস্করণের ১৩-১৬ পৃষ্ঠার ভূমিকায় বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী শাহরিয়ার কবির লিখেছেন, 
"... তিনি (জহির রায়হান) যুদ্ধে যোগ দেয়ার জন্যই ঢাকা ছেড়ে আগরতলা এবং পরে কলকাতা চলে যান।কলকাতায় তিনি প্রচার কাজ সংগঠিত করার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেন। এই কাজ করতে গিয়ে তিনি প্রবাসী আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে পতিত হন এবং তাঁকে বিভিন্নভাবে নিগৃহীত হতে হয়।
... "স্টপ জেনোসাইড" ছবিটি নির্মাণের সময় আওয়ামী লীগের নেতারা তাঁকে নানাভাবে বাধা দিয়েছে। বিভিন্ন সেক্টরে শুটিং করতে দেয় নি, এমন কি কোন কোন সেক্টরে তাঁর গমন পর্যন্ত নিষিদ্ধ ছিল।
... আওয়ামী লীগের নেতারা ছবি দেখে ছাড়পত্র না দেয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সেন্সর বোর্ডকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
... ৭১ এর ১৬ই ডিসেম্বর শহিদুল্লাহ কায়সারের মৃত্যুর সংবাদ শুনে জহির রায়হান একেবারেই ভেঙ্গে পড়েন।
... বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করে হানাদার বাহিনীর সহযোগী বহু চাঁই ব্যক্তির নাম সংগ্রহ করলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন তিনি শ্বেতপত্র প্রকাশ করবেন। বুদ্ধিজীবিদের হত্যার জন্য তিনি আওয়ামী নেতৃত্বকেও দায়ী করেন। মুজিবনগর সরকারের সকল গোপন তথ্য ফাঁস করে দেবেন বলেও ঘোষণা করেন।
... তাঁর উপস্থিতি যাদের জন্য অস্বস্তিকর তারা এই পরিস্থিতির সুযোগ নেবে এটা খুব স্বাভাবিক। ৭২ এর ৩০শে জানুয়ারী মিরপুরে তাঁর অগ্রজকে (শহিদুল্লাহ কায়সার) খুঁজতে গিয়েছিলেন। তদন্ত করলে হয়ত জানা যেতো সেই অজ্ঞাত টেলিফোন কোত্থেকে এসেছিল, যেখানে তাঁকে বলা হয়েছিল শহিদুল্লাহ কায়সার মিরপুরে আছেন।
... এটাও বিস্ময় যে তাঁর (জহির রায়হানের) অন্তর্ধান নিয়ে কোন তদন্ত হয় নি। কেন হয় নি অনুমান করতে অসুবিধে হয় না॥" 

৩. ১৯৯২ সালের ১ মে সাপ্তাহিক বিচিত্রায় সত্যজিত রায়ের একটি সাক্ষাৎকার তুলে ধরা হলো:
‘‘সত্যজিত রায় : জহিরের ব্যাপারটা কিছু জেনেছো?
শাহরিয়ার কবির : তাকে সরিয়ে ফেলার পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আমরা ব্যক্তিগতভাবে তদন্ত করে যা বুঝতে পেরেছি তাতে বলা যায় ৩০ জানুয়ারি দূর্ঘটনায় তিনি হয়তো মারা যাননি। তারপরও দীর্ঘদিন তাকে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছিল বলে অনেকে মনে করেন।
সত্যজিত রায় : স্ট্রেঞ্জ! জহিরকে বাঁচিয়ে রাখার পেছনে কারণ কি?
শাহরিয়ার কবির : সেটাই ষড়যন্ত্রের মূলসূত্র বলে ধরছি। মিরপুর দূর্ঘটনায় তার মৃত্যু হলে গভীর ষড়যন্ত্র মনে করার কারণ ছিল না। আমি যতদূর জানি, বুদ্ধিজীবিদের হত্যার তদন্ত করতে গিয়ে তিনি এমন কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন যা অনেক রথী-মহারথীর জন্যই বিপজ্জনক ছিল, সেজন্য তাকে সরিয়ে ফেলার প্রয়োজন ছিল॥’’

৪. ১৯৯৩ সালের ৮ ডিসেম্বর ‘দৈনিক আজকের কাগজে’ দেয়া জহির রায়হানের প্রথমা স্ত্রী সুমিতা দেবীর একটি সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, "... জহির রায়হান নিখোঁজ এই নিয়ে পত্র-পত্রিকায় বেশ লেখালেখি হলো। একদিন বড়দি অর্থাৎ জহির রায়হানের বড়বোন নাসিমা কবিরকে ডেকে নিয়ে শেখ মুজিব বললেন - 'জহিরের নিখোঁজ হওয়া নিয়ে এরকম চিৎকার করলে তুমিও নিখোঁজ হয়ে যাবে'। পরে নাসিমা আর কিছু বলেনি। টেলিফোন করেছিল যে রফিক, তাকে নিয়ে যখন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি শুরু হলো তখন তাকে নাগরিকত্ব দিয়ে পুরো পরিবারসহ আমেরিকায় পাঠিয়ে দেয়া হলো। এই ঘটনা জহিরের নিখোঁজ হওয়া সম্পর্কে রফিকের ভূমিকাকে আরও সন্দেহযুক্ত করে তোলে আমার কাছে॥"

৫. ১৯৯৯ সালের ৯ আগস্ট জহির রায়হানের মেজো ছেলে অনল রায়হানের সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে ‘দৈনিক বাংলা’ পত্রিকা। যেখানে তিনি বলেছেন, "... জহির রায়হান নিখোঁজ হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সরকার এক ভুঁয়া তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলেন। এই কমিটি কোন কাজ করেনি। মুক্তিযুদ্ধের প্যানপ্যানানি করে আওয়ামী লীগ সরকার আবার ক্ষমতায় এল। মুজিব হত্যার বিচার হচ্ছে। এই হত্যাকান্ড ঘটেছে ১৯৭৫ সালে। এর আগে জহির রায়হানসহ অনেক বুদ্ধিজীবিকে হত্যা করা হয়েছে। কই তাদের তো বিচার হলো না॥"

'জয়ের তুই-তোকারি এবং মোদির কদমবুচি'

মায়ের মত ছেলেটার মাথা ও গেল শুধু অপেক্ষা সুপ্রিম কোর্ট থেকে ডিকলিয়ারেশন যে”মা বেটা দুইজনই রং হেডেড”। আফসোস হয় ওয়াজেদ মিয়ার মতো একজন ভাল মানুষের জন্য,এই পরিবারের কুকীর্তির জন্য ওনার নাম ও বার বার চলে আসে “হতভাগা” বলে। - এমন ভাবেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে জয়ের ফেসবুক স্টাটাসের প্রতিবাদ জানালেন আন্দালিব পার্থ।
তাজাখবরের পাঠকদের জন্য আন্দালিভ রহমান পার্থ’র সেই স্টাটাস গুলি:

’জয়ের তুই-তোকারি এবং মোদির কদমবুচি’
কিছুদিন আগে নিজের নানাকে ডেকেছেন দাদা । সেই নানা আবার যেই সেই নানা নন। যিনি হলেন সর্ব কালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী। তাঁর মেয়ের ঘরের চল্লিশোর্ধ নাতি তাঁকে দাদা ডেকে ফেলেছেন । কাজেই এই বাংলা মুলুকের ভবিষ্যতটি অনেক আগেই পানির মতো পরিষ্কার হয়ে পড়েছে।

গুগলের আগেই তিনি নাকি সার্চ ইঞ্জিন অাবিষ্কার করেছিলেন । কাজেই তার মেধা ও মনন সম্পর্কে জাতি যা বোঝার তা বুঝে নিয়েছে।

সবর্কালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালীর সেই গুণধর নাতি এবার তার মায়ের চেয়েও বয়সে দুই বছরের বড়, দেশের তিন তিন বারের প্রধান মন্ত্রীকে ‘তুই’ বলে সম্বোধন করেছেন।

ভদ্র সমাজে কোন ভরা মজলিসে অবুঝ কোন বাচ্চা কোন মুরব্বীকে ‘তুই’ বলে সম্বোধন করে ফেললে সেই বাচ্চার জন্ম দাতা ও জন্মদাত্রী চরমভাবে বিব্রত হয়ে পড়েন। জানি না, জয়ের মা জয়ের জন্যে তেমনভাবে বিব্রত হয়েছেন কি না।

এই সজীব ওয়াজেদ জয়ের যখন জন্ম হয় তখন পুরো জাতি স্বাধীনতার জন্যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত ছিল। এই বেলায় একটা আশ্চর্যজনক কন্ট্রাস্ট বা বৈপরীত্য দেখা যায়। যে পাক আর্মি সারা দেশে অসংখ্য নারীর প্রতি অমানবিক আচরন করেছে – সেই পাক আর্মিই জয়ের গর্ভবতি মাকে নিজেদের গাড়িতে করে হাসপাতালে রেগুলার অানা নেয়া করেছে । বলা যায় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে পাক আর্মির আঁতুড় ঘরেই সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্ম হয়েছে । তার কানে প্রথম আজানটিও সম্ভবত পাক আর্মির ড্রাইভার গোছের কোন নামাজি ব্যক্তি বা রাজাকার ঘরানার কোন ব্যক্তি অনেক মহব্বত সহকারে দিয়েছে। জন্ম মুহুর্তে পাক আর্মির সেবা নেয়া এই দেশে একমাত্র ও সবচেয়ে সৌভাগ্যবান শিশু হলেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

সেই সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছে এখন পৃথিবীতে সবচেয়ে ঘৃণার ও সবচেয়ে নাপাক জায়গা হলো পাকিস্তান। বেগম জিয়াকে তিনি যেই মুহুর্তে বলেছেন, ‘খালেদা তুই পাকিস্তানে যা’ সেই মুহুর্তে জয়দের পরম আরাধ্য পুরুষ নরেন্দ্র মোদি সারা পৃথিবীকে হতবাক করে দিয়ে সেই পাকিস্তানে চলে গেছেন। দেশ দুটির মধ্যে যে কোন সময় পারমাণবিক যুদ্ধ লেগে যেতে পারে। সেই এক নম্বর শত্রু পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রীর মায়ের পা ধরে কদমবুচি করেছেন সেই মোদি।

মোদির মা মোদিকে যা শিখিয়েছেন, জয়ের মা জয়কে তা শেখাননি।

’ভাষার ব্যবহার’

ভাষার ব্যবহার জানতে সুস্থ মানসিকতা ধারন করা আবশ্যক,দেশ থেকে সম্মান জিনিসটা উঠে যাচ্ছে,ক্ষমতার দাপটে মানুষকে মানুষ হিসেবে গন্য না করার প্রবণতা শুরু হয়েছে,এহেন অবস্থায় জাতীকে শক্তভাবে নোংরামির জবাব না দিতে পারলে এই জাতীকে একদল মনুষ্যরূপী দু পেয়ে পশু অসুস্থ সমাজ তৈরি করে ফেলবে কথা হলো সংখ্যা যেমনই হোক সেটার সত্যতা নিশ্চিত করা খুবই জরুরি,লন্ডনে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে যারা আত্মাহুতি দিয়েছিলেন এবং তারা কোন দেশের নাগরিক ছিলেন তা খোদাই করে লেখা আছে বিভিন্ন স্মৃতি স্তম্ভে। আমি মনে করি একটা সুস্থ জাতীর সুস্থতার জন্যই এই সংখ্যাটা নিশ্চিত করা জরুরি, যেমন জরুরি জেনারেল অরোরার কাঁছে আত্মসমর্পণ করা জেনারেল নিয়াজীর ছবি কে নিয়ে বিশ্লেষণ মূলক ইতিহাস লিখে নতুন প্রজন্মকে জানানো, না হয় এই বছরেই মুক্তিযুদ্ধকে ইন্ডিয়ান সম্পত্তি বানিয়ে বিজয় দিবস পালন করা হয়েছে ম্লান হয়ে গেছে আমাদের শহীদদের রক্তের মূল্য, সেটার জন্য জনসচেতনতা যেমন জরুরি তেমনি মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া প্রকৃতদের সনাক্ত করে প্রকৃত সংখ্যা বের করা কোন মনগড়া কথার ভিত্তিতে খিসতিখেউড় নয় বরং প্রকৃত সংখ্যা বের করাই বাপের বেটা আবদুল্লার কাজ, না হয় মায়ের মতো অন্যকে আজে বাজে অসন্মানজনক কথা বলে নিজেকে বার বার রং হেডেড প্রমাণ করার কোন মানেই নেই। যেখানে নিজের জন্মই হয়েছিল পাকি ক্যাম্পে এবং মিষ্টি বিতরন করা হয়েছিল সেইদিন,জন্মগত ভাবে পাকি হয়ে অন্যকে পাকিস্তান চলে যাবার কথা বলা সত্যিই মনে হয় যে, “একটি বড় দেহে ক্ষুদ্র একটি শিশুর বসবাস”।