Wasim Iftekhar ভাইয়ের লেখা...
ক্রাচের কর্নেল তাহের, যার মগজ চালতো ক্রাচে।
আচ্ছা জিয়াউর রাহমানের জাগায় শেখ মুজিব যদি, ফাঁসি দিতো তাহলেও কি তখন এই সমালোচনা আসতো?? মির জাফর বলতে শেখ সাহেবকে? বলতে না। এমন তো নয় যে শেখ সাহেব বা তাঁর বাহিনী, মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেননি!
কর্নেল তাহের যেমন বড় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন ঠিক তেমনি সিরাজ শিকদারও বড় মাপের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন! জহির রায়হানও ছিলেন সত্য প্রকাশের পুজারী ও বড় সংগঠক।
সিরাজ বা রায়হান - তাদের বিষয়টা কি উনাদের মাথায় কখনো ঘুরপাক খায় না? কেন খাই না?
কর্নেল তাহারের বিচার তাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য হলেও মনে রাখতে হবে তার ফাঁসি কোর্ট মার্শাল অনুযায়ী হয়েছিলো অর্থাৎ একটা আইনের মাধ্যমে। বিশ্ব ইতিহাসে কোন সামরিক ট্রায়াল সমালোচনা মুক্ত নয়। আরো স্বীকার করতে চাই সামরিক ট্রায়াল সব সময় বিজয়ীর পক্ষে থাকে।
জিয়াউর রাহমান তাকে গুলি করে মারেনি। তাকে ফাঁশি কাষ্ঠে না ঝুলালে একজন মুক্তিযোদ্ধা জেনারেল কোমরের বেল্ট পর্যন্ত খুলে ফেলতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু সিরাজ শিকদারকে তো গুম করে মারা হয়েছিলো। জহির রায়হান অন্তধান রহস্যের কিনারা হয়েছে কখনো? আরেকটা কথা, তাদের বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরাও মুক্তিযোদ্ধা ছিল...এমনকি খেতাবপ্রাপ্ত।
৬, ৭, ৮ নভেম্বর এই তিনদিনে যে পরিমান অফিসার, সৈনিক মারা গিয়েছে শুধু মাত্র ক্যু আর পাল্টা ক্যুতে, সেজন্য তাতে জিয়াউর রাহমান না চাইলেও কেও যদি পরবর্তীতে শৃঙ্খলা চাইতো তাকেও কর্নেল তাহেরকে খুনি অভভুথানকারী হিসেবে ফাঁসি দিতে হত।
আর একটার পর একটা এই ক্যুগুলি যখন হচ্ছিলো তখন জিয়া ছিলো গৃহবন্দী। অর্থাৎ ক্ষমতার জন্য তখন সংঘর্ষ হচ্ছিলো খন্দকার মুসতাক, খালেদ মোশারফ আর কর্নেল তাহেরের মধ্যে। আচ্ছা খালেদ মশারফ সহ আরো বাঘা বাঘা মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল তাহের বাহিনীর পাল্টা ক্যু এ খুন হল। তাদের জন্য খারাপ লাগেনা?? সেই বিচার হবে না?
এই তোমাদের মুখে তো কোনদিনও খালেদ মোশারফ হত্যার বিচার চাইতে দেখলাম না?? এমনকি আওয়ামী পন্থী বুদ্ধিজীবীদেরকেও না। কেন? বিচারে এই তাহের, হাসানুল হক ইনু, ঢাবি শিক্ষক আনোয়ার হোসেন এদের নাম চলে আসবে তাই!
জানো তো, এই খালেদ মোশারফও সেক্টর কমান্ডার ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, এমনকি সে আওয়ামীপন্থী-ও ছিল।
তার আপন ভাই আওয়ামীলীগের এমপি ছিল। কিন্তু দেখ কি আশ্চর্যের বিষয় সেই খালেদ মোশারফের হত্যার বিচার না চেয়ে উল্টা যে আওয়ামীলীগের, শেখ মুজিবের বিরোধিতা করতো...এমনকি যারা শেখ মুজিবের হত্যার পর খুশিও হয়েছিল এবং শেখ সাহেবের দেহ বংগ উপসাগরে ফেলে না দেওয়াতে হতাশ হয়েছিল, আজকে লীগ তার পক্ষেই কথা বলছ শুধুমাত্র জিয়াউর রহমানকে ছোট করার জন্য।
সেই দলের মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা শুনতে হয়! শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার কারনে কোর্ট মার্শালে ফাঁসি হওয়া সত্ত্বেও
১)আসম আব্দুর রব,
২)শাহাজান সিরাজ
৩)হাসানুল হক ইনু
সহ আরো ৫-৬ জনকে মাফ করে দেওয়া হয়। কর্নেল তাহেরের জন্যও তা সম্ভব ছিল কিন্তু কর্নেল তাহের মাফ চেতে অস্বীকৃতি জানায়।
যদিও এই ক্রাচের রোমান্টিক কর্নেলকে মাফ করলে, বাংলাদেশের ইতিহাস জিয়াকে ক্ষমা করতো না।
ক্ষমা না চাওয়াতে আইন অনুযায়ী তাকে মাফ করার আর কোন সুযোগ ছিলনা। এবং আরো স্মরনে করিয়ে দিচ্ছি, এই কোর্ট মার্শালে প্রধান ছিলেন জেনারেল এরশাদ, যিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ক্ষমতার অংশীদার এবং জোট সহযাত্রী ও প্রধান মন্ত্রী'র মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত। এই জেনারেল এরশাদ ৭১এ ছিলো একজন রি-প্যাট্রিয়ট অফিসার, অর্থাৎ সে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে যথাযথ সাহস সঞ্চার করতে পারে নাই।
আমাকে কিছু বিষয় বুঝিয়ে বলবেন প্লিজ হে শেখ মুজিবুর রহমান ও তাহেরের অনুসারী বৃন্দ!
*তাহের বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় একটি বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা বানিয়েছিলেন। এটা কি আইন সংগত কোন সংস্থা বা সমিতি ছিল?
*জাসদের সামরিক শাখার তিনি প্রধান ছিলেন। একটি রাজনৈতিক দলের সামরিক শাখা আবার কি জিনিষ? সাধারণত মৌলবাদী ধর্ম ভিত্তিক দলের অস্ত্রধারী শাখা থাকে যেমন বিজেপি, জস্টিস এন্ড ব্রাদারহুড এদের। তাহলে কি তোমরাও মৌলবাদী?
*তোমাদের সংস্থার সৈনিকরাই নাকি জিয়াকে মুক্ত করেছিল। তাহলে জিয়াকে নিয়ে তারা এলিফ্যান্ট রোডে নিয়ে গেল না কেন? জিয়ার মুক্তি মিশনে তোমরা যদি প্রধান শক্তি হয়ে থাকো তাহলে জিয়াকে ক্যান্টোনমেন্টের বাইরে যেতে বাধা দিল কে? গুটিকয় অফিসার? গুটিকয় অফিসার তোমাদের ‘অফিসারের রক্ত চাওয়া’ বিশাল বাহিনীর বিরোধিতা করার মত শক্তিশালী ছিল তাহলে?
এখন কেউ যদি একটা এরকম সংস্থা করে, তার কি শাস্তি হতো? তাহলে সেটা কি বিপ্লব না অপরাধ?
*মনে করেন দৃশ্যপটে জিয়া নাই, খালেদ নাই, ফারুক, ডালিমরা নাই, মোস্তাক নাই। কর্ণেল তাহের যে সশস্ত্র বিপ্লবের স্বপ্ন দেখতেন সেই স্বপ্ন কাকে, কোন সরকারকে হঠিয়ে ক্ষমতা দখলের জন্য হত?
কার বিরুদ্ধে তিনি বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা তৈরী করেছিলেন? কোন সরকারকে সামরিক পন্থায় হঠিয়ে তিনি জাসদের ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখতেন?
তোমাদের পরগাছা তাহের কেন ফারুক রশীদের বিরুদ্ধে সৈনিক সংস্থার সদস্যদের ব্যবহার না করে, ব্যবহার করলেন মুক্তিযোদ্ধা খালেদ মোশাররফের বিরুদ্ধে?
আচ্ছা ভালো কথা, যে জিয়াকে তোমরা বিশ্বাস ঘাতক বল, সেই জিয়ার দেওয়া সরকারি চাকুরি কি মিসেস তাহের ফিরিয়ে দিয়েছিলেন?
তোমাদের তাহের সাহেবের রক্তের ভাইকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরী কে ফিরিয়ে দিয়েছিল জানো তো? ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ঢাকার সামরিক কমান্ডার, তাহেরের ভাই আনোয়ার বিএনপি’র প্রত্যাক্ষ রাজনীতি করতো জানো নাকি ভাই?
আর্নেষ্টা চে বা ফিদের ক্যাস্ট্রো সেনা বাহিনীর সেপাই দিয়ে আর জনপ্রিয়তম কোন অফিসারের কান্ধে বন্দুকের ব্যারেল রেখে বিপ্লব করতে যান নি। কোন প্রকৃত বিপ্লবী মৃত্যুর মুখে পাকা আম কেটে খাওয়ার মত ঘৃণ্য পুঁজিবাদী বিলাসিতা দেখাতে পারেনা।
জনতার সাথে সম্পর্কহীন, সেপাই দিয়ে ক্ষমতা দখলের রাজনীতি কোনদিন বিপ্লব হয় না রে উজবুক।
মুক্তিযোদ্ধা শাফায়াৎ জামিলের একটা কোটেশন খুব মনে পরছে ‘জিয়াউর রহমান যদি শক্ত হাতে তাদের দমন না করতো তখন মানুষ বুঝতে পারতো “দূর্বলের শাষন কতটা ভয়ংকর হতে পারে”
সত্য উন্মোচিত হোক।
কিছু ডকুমেন্ট, কিছু আলোচনা কিছু কমেন্ট কিছু পোষ্ট থেকে তৈরি এই পোস্ট। এখানে আলোচনাতে জাতীয়তাবাদী যেমন ছিলেন, তেমনি মুক্তিযোদ্ধা ছিল। ছিল ২ জন ডাইহার্ট আওয়ামীলীগার এবং তাহের মরীচিকাতে যৌবন হারানো একজন।
সত্য উন্মোচিত হোক।
ক্রাচের কর্নেল তাহের, যার মগজ চালতো ক্রাচে।
আচ্ছা জিয়াউর রাহমানের জাগায় শেখ মুজিব যদি, ফাঁসি দিতো তাহলেও কি তখন এই সমালোচনা আসতো?? মির জাফর বলতে শেখ সাহেবকে? বলতে না। এমন তো নয় যে শেখ সাহেব বা তাঁর বাহিনী, মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেননি!
কর্নেল তাহের যেমন বড় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন ঠিক তেমনি সিরাজ শিকদারও বড় মাপের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন! জহির রায়হানও ছিলেন সত্য প্রকাশের পুজারী ও বড় সংগঠক।
সিরাজ বা রায়হান - তাদের বিষয়টা কি উনাদের মাথায় কখনো ঘুরপাক খায় না? কেন খাই না?
কর্নেল তাহারের বিচার তাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য হলেও মনে রাখতে হবে তার ফাঁসি কোর্ট মার্শাল অনুযায়ী হয়েছিলো অর্থাৎ একটা আইনের মাধ্যমে। বিশ্ব ইতিহাসে কোন সামরিক ট্রায়াল সমালোচনা মুক্ত নয়। আরো স্বীকার করতে চাই সামরিক ট্রায়াল সব সময় বিজয়ীর পক্ষে থাকে।
জিয়াউর রাহমান তাকে গুলি করে মারেনি। তাকে ফাঁশি কাষ্ঠে না ঝুলালে একজন মুক্তিযোদ্ধা জেনারেল কোমরের বেল্ট পর্যন্ত খুলে ফেলতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু সিরাজ শিকদারকে তো গুম করে মারা হয়েছিলো। জহির রায়হান অন্তধান রহস্যের কিনারা হয়েছে কখনো? আরেকটা কথা, তাদের বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরাও মুক্তিযোদ্ধা ছিল...এমনকি খেতাবপ্রাপ্ত।
৬, ৭, ৮ নভেম্বর এই তিনদিনে যে পরিমান অফিসার, সৈনিক মারা গিয়েছে শুধু মাত্র ক্যু আর পাল্টা ক্যুতে, সেজন্য তাতে জিয়াউর রাহমান না চাইলেও কেও যদি পরবর্তীতে শৃঙ্খলা চাইতো তাকেও কর্নেল তাহেরকে খুনি অভভুথানকারী হিসেবে ফাঁসি দিতে হত।
আর একটার পর একটা এই ক্যুগুলি যখন হচ্ছিলো তখন জিয়া ছিলো গৃহবন্দী। অর্থাৎ ক্ষমতার জন্য তখন সংঘর্ষ হচ্ছিলো খন্দকার মুসতাক, খালেদ মোশারফ আর কর্নেল তাহেরের মধ্যে। আচ্ছা খালেদ মশারফ সহ আরো বাঘা বাঘা মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল তাহের বাহিনীর পাল্টা ক্যু এ খুন হল। তাদের জন্য খারাপ লাগেনা?? সেই বিচার হবে না?
এই তোমাদের মুখে তো কোনদিনও খালেদ মোশারফ হত্যার বিচার চাইতে দেখলাম না?? এমনকি আওয়ামী পন্থী বুদ্ধিজীবীদেরকেও না। কেন? বিচারে এই তাহের, হাসানুল হক ইনু, ঢাবি শিক্ষক আনোয়ার হোসেন এদের নাম চলে আসবে তাই!
জানো তো, এই খালেদ মোশারফও সেক্টর কমান্ডার ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, এমনকি সে আওয়ামীপন্থী-ও ছিল।
তার আপন ভাই আওয়ামীলীগের এমপি ছিল। কিন্তু দেখ কি আশ্চর্যের বিষয় সেই খালেদ মোশারফের হত্যার বিচার না চেয়ে উল্টা যে আওয়ামীলীগের, শেখ মুজিবের বিরোধিতা করতো...এমনকি যারা শেখ মুজিবের হত্যার পর খুশিও হয়েছিল এবং শেখ সাহেবের দেহ বংগ উপসাগরে ফেলে না দেওয়াতে হতাশ হয়েছিল, আজকে লীগ তার পক্ষেই কথা বলছ শুধুমাত্র জিয়াউর রহমানকে ছোট করার জন্য।
সেই দলের মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা শুনতে হয়! শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার কারনে কোর্ট মার্শালে ফাঁসি হওয়া সত্ত্বেও
১)আসম আব্দুর রব,
২)শাহাজান সিরাজ
৩)হাসানুল হক ইনু
সহ আরো ৫-৬ জনকে মাফ করে দেওয়া হয়। কর্নেল তাহেরের জন্যও তা সম্ভব ছিল কিন্তু কর্নেল তাহের মাফ চেতে অস্বীকৃতি জানায়।
যদিও এই ক্রাচের রোমান্টিক কর্নেলকে মাফ করলে, বাংলাদেশের ইতিহাস জিয়াকে ক্ষমা করতো না।
ক্ষমা না চাওয়াতে আইন অনুযায়ী তাকে মাফ করার আর কোন সুযোগ ছিলনা। এবং আরো স্মরনে করিয়ে দিচ্ছি, এই কোর্ট মার্শালে প্রধান ছিলেন জেনারেল এরশাদ, যিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ক্ষমতার অংশীদার এবং জোট সহযাত্রী ও প্রধান মন্ত্রী'র মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত। এই জেনারেল এরশাদ ৭১এ ছিলো একজন রি-প্যাট্রিয়ট অফিসার, অর্থাৎ সে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে যথাযথ সাহস সঞ্চার করতে পারে নাই।
আমাকে কিছু বিষয় বুঝিয়ে বলবেন প্লিজ হে শেখ মুজিবুর রহমান ও তাহেরের অনুসারী বৃন্দ!
*তাহের বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় একটি বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা বানিয়েছিলেন। এটা কি আইন সংগত কোন সংস্থা বা সমিতি ছিল?
*জাসদের সামরিক শাখার তিনি প্রধান ছিলেন। একটি রাজনৈতিক দলের সামরিক শাখা আবার কি জিনিষ? সাধারণত মৌলবাদী ধর্ম ভিত্তিক দলের অস্ত্রধারী শাখা থাকে যেমন বিজেপি, জস্টিস এন্ড ব্রাদারহুড এদের। তাহলে কি তোমরাও মৌলবাদী?
*তোমাদের সংস্থার সৈনিকরাই নাকি জিয়াকে মুক্ত করেছিল। তাহলে জিয়াকে নিয়ে তারা এলিফ্যান্ট রোডে নিয়ে গেল না কেন? জিয়ার মুক্তি মিশনে তোমরা যদি প্রধান শক্তি হয়ে থাকো তাহলে জিয়াকে ক্যান্টোনমেন্টের বাইরে যেতে বাধা দিল কে? গুটিকয় অফিসার? গুটিকয় অফিসার তোমাদের ‘অফিসারের রক্ত চাওয়া’ বিশাল বাহিনীর বিরোধিতা করার মত শক্তিশালী ছিল তাহলে?
এখন কেউ যদি একটা এরকম সংস্থা করে, তার কি শাস্তি হতো? তাহলে সেটা কি বিপ্লব না অপরাধ?
*মনে করেন দৃশ্যপটে জিয়া নাই, খালেদ নাই, ফারুক, ডালিমরা নাই, মোস্তাক নাই। কর্ণেল তাহের যে সশস্ত্র বিপ্লবের স্বপ্ন দেখতেন সেই স্বপ্ন কাকে, কোন সরকারকে হঠিয়ে ক্ষমতা দখলের জন্য হত?
কার বিরুদ্ধে তিনি বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা তৈরী করেছিলেন? কোন সরকারকে সামরিক পন্থায় হঠিয়ে তিনি জাসদের ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখতেন?
তোমাদের পরগাছা তাহের কেন ফারুক রশীদের বিরুদ্ধে সৈনিক সংস্থার সদস্যদের ব্যবহার না করে, ব্যবহার করলেন মুক্তিযোদ্ধা খালেদ মোশাররফের বিরুদ্ধে?
আচ্ছা ভালো কথা, যে জিয়াকে তোমরা বিশ্বাস ঘাতক বল, সেই জিয়ার দেওয়া সরকারি চাকুরি কি মিসেস তাহের ফিরিয়ে দিয়েছিলেন?
তোমাদের তাহের সাহেবের রক্তের ভাইকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরী কে ফিরিয়ে দিয়েছিল জানো তো? ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ঢাকার সামরিক কমান্ডার, তাহেরের ভাই আনোয়ার বিএনপি’র প্রত্যাক্ষ রাজনীতি করতো জানো নাকি ভাই?
আর্নেষ্টা চে বা ফিদের ক্যাস্ট্রো সেনা বাহিনীর সেপাই দিয়ে আর জনপ্রিয়তম কোন অফিসারের কান্ধে বন্দুকের ব্যারেল রেখে বিপ্লব করতে যান নি। কোন প্রকৃত বিপ্লবী মৃত্যুর মুখে পাকা আম কেটে খাওয়ার মত ঘৃণ্য পুঁজিবাদী বিলাসিতা দেখাতে পারেনা।
জনতার সাথে সম্পর্কহীন, সেপাই দিয়ে ক্ষমতা দখলের রাজনীতি কোনদিন বিপ্লব হয় না রে উজবুক।
মুক্তিযোদ্ধা শাফায়াৎ জামিলের একটা কোটেশন খুব মনে পরছে ‘জিয়াউর রহমান যদি শক্ত হাতে তাদের দমন না করতো তখন মানুষ বুঝতে পারতো “দূর্বলের শাষন কতটা ভয়ংকর হতে পারে”
সত্য উন্মোচিত হোক।
কিছু ডকুমেন্ট, কিছু আলোচনা কিছু কমেন্ট কিছু পোষ্ট থেকে তৈরি এই পোস্ট। এখানে আলোচনাতে জাতীয়তাবাদী যেমন ছিলেন, তেমনি মুক্তিযোদ্ধা ছিল। ছিল ২ জন ডাইহার্ট আওয়ামীলীগার এবং তাহের মরীচিকাতে যৌবন হারানো একজন।
সত্য উন্মোচিত হোক।