ঢাকা টু রেঙ্গুন ভায়া দিল্লীকা আন্ডা,
.
মাত্র গত বছর ডেভলপমেন্ট গোল বাস্তবায়ণে দুটি সাবমেরিন চীনের কাছ থেকে কিনে নিয়েছিল বাংলাদেশ। যথাক্রমে নবযাত্রা ও জয়যাত্রা ২২ ডিসেম্বর চীন থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে এর আগে গত ১৪ নভেম্বর এ দুই সাবমেরিন বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
.
১২ মার ১৭ তে আনুষ্ঠানিকভাবে কমিশনিং করে ঈশা খাঁ ঘাঁটির জেটি থেকে মিশন শুরু করে। আমাদের টেরিটরির দেশ গুলোর ভেতর ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, ইরান ও মালোয়েসিয়ার হাতে সাবমেরিন থাকলেও মিয়ানমার, শ্রীলংকার হাতে নেই। ফলে নৌশক্তির মানদন্ডে পিছিয়ে যায় মিয়ানমার।
.
কিন্তু UN Security Council reform এর আওতাতে স্থায়ী আসনের স্বপ্ন দেখা ভারতের কি প্রতিক্রিয়া ছিল আমাদের সাবমেরিন অর্জনের পথে?
.
দেখুন পত্রিকার লীড
১) “বাংলাদেশের সাবমেরিন রাজনীতিঃ স্নায়ুচাপে ভারত ও চীন”
http://bit.ly/2evubwC
.
২)চীনা সাবমেরিন ক্রয় ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ
http://bit.ly/2xHFXN0
.
৩) বাংলাদেশের সাবমেরিন ক্রয় এবং সন্দিগ্ধ ভারত
http://bit.ly/2eA1Nxj
.
এ ধরণের হতাশাজনক মন্তব্যের পর ভারত তার পলিসি চেঞ্জ করে বাংলাদেশের সাথে সামরিক বানিজ্যে গূরুত্ব দিতে শুরু করে।
এপ্রিলে সংবাদ আসেঃ
"বাংলাদেশে অস্ত্র বিক্রিতে ভাগ চায় ভারত"
http://bit.ly/2iTuy9m
.
এর পর বহুল বিতর্কিত ভারত বাংলাদেশ সামরিক মেমোরেন্ডাম স্বাক্ষর। লিংক
“সামরিক-চুক্তি-আত্মঘাতী-হবে”
http://bit.ly/2nohxpl
.
এরপরেও আমাদের সাবমেরিন সার্ভিসিং ও সাবমেরিনারদের প্রশিক্ষণের দায়িত্ব গ্রহণে উদগ্রীব ছিল ইন্ডায়ান নেভী। তবে সেই আশা পূরণ হয়নি Bangladesh Navy এর বাস্তবসম্মত যুক্তিতে।
.
এর আগে বাংলাদেশ আর্মীর ওয়ার প্রাক্টিসের ডামি হিসাবে প্রতিবেশী শত্রুভাবাপন্ন ভারতের সীমান্ত ডামি বাদ দেওয়া হয়। অন্যদিকে ভারতীয় সৈনিকদের হাতে বাংলাদেশী হত্যা প্রকল্প বন্ধ করেনি ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। সীমান্তে ভারতীয়দের হাতে বাংলাদেশী হত্যার ভয়াবহ পরিসংখ্যান পাবেন এখানে: http://bit.ly/2guIeDe
.
সীমান্ত হত্যার এই পরিসংখ্যানের প্রেক্ষিতে কিভাবে ভারত বাংলাদেশের বন্ধুত্ব সুসময় পারি দিচ্ছে আমার বুঝে আসে না। সংবাদ পত্র গুলোও এই অসম অশুভ বন্ধুতকে সরল চোখে দেখছে। কিন্তু কেন?
http://bit.ly/2vCbcvo
.
ভারত শুধু নিজে সরাসরি বন্ধুত্বের আড়ালে বিশেষ অনুগত দলের জন্য বাংলাদেশের জন্য সর্বনাশা আচারণ করছে তাই নয় বরং প্রতিবেশীদেশ গুলোকে উষ্কানি ও সাহায্যদান করছে কাবু করার চেষ্টাতে।
.
*ঢাকার সাবমেরিন ক্রয়ের পর, ভারত সাবমেরিন বিধ্বংসী টর্পেডো বিক্রয়ের অর্ডার নিয়েছে বার্মার কাছ থেকে। ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছিল “ভারত থেকে প্রায় ৩৮ মিলিয়ন ডলার দিয়ে রেংগুন শাইনা টর্পেডো সংগ্রহ করছে। টর্পেডো ডিজাইন করেছে ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন। ভারত ডাইনামিক্স লিমিটেড নামের একটি ডিফেন্স ম্যানুফাকচারিং প্রতিষ্ঠান এটি তৈরি করছে। এ টর্পেডো শক্তিশালী বিস্ফোরক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
.
এর আগে বাংলাদেশ যখন সাবমেরিন ক্রয় নিশ্চিত করেছে তঝন সাবমেরিন খুঁজে বের করার জন্য মিয়ানমারের কাছে দ্রুততম সময়ে ভারত সোনার এবং রাডার বিক্রি করেছে।
.
উল্ফা নেতাদের বাংলাদেশ নিষ্ক্রয় করে দিলেও পার্বত্য শান্তি বাহিনীকে নিষ্ক্রয় করেনি ভারত। লিংকঃ
“বাংলাদেশের সাবমেরিন ক্রয়ের পর মিয়ানমারকে সাবমেরিন বিধ্বংসী টর্পেডো দিয়েছে ভারতঃ
১) http://bit.ly/2xH8ger
২) http://bit.ly/2gDpFkh
.
মায়ানমার বাংলাদেশ ইস্যুতে যে অতি গূরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট আমরা অনেকেই জানতাম না, তা ডকুমেন্ট সহ স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন শ্রদ্ধেয় Altaf Parvez ভাই। মুক্তিযোদ্ধা জিয়ার শাষনামলে স্বাক্ষরিত মিয়ানমার বাংলাদেশ চুক্তি বিষয়ে আলতাফ পারভেজ ভায়ের একটি পোষ্টটির লিংক সংযুক্ত করে দিলাম। যা জিয়ার উচ্চ যোগ্যতা সম্পন্ন পররাস্ট্র জ্ঞানের প্রমান। লিংকঃ
http://bit.ly/2guTGPl
.
ভারত বাংলাদেশ বন্ধুত্বের বাষ্পীভূত চার্মে মিয়ানমারের পশ্চাৎগামী টর্পেড কোন দিকে টার্গেট করে তা সময়ই বলে দেবে। আপাতত নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে থাকাই ভালো।
.
কার্টেসিঃ Wasim Iftekhar ভাই