উপমহাদেশে ইসলামের আগমন ঘটেছিল আত্বশুদ্ধী আর সাম্যের বাতাবরণে মানুষের মুক্তির সুসংবাদ নিয়ে। সেই সাম্য ও শোষন মুক্তির ইসলাম কি করে রাজনৈতিক ইসলামের মাধ্যমে সন্ত্রাসের ইসলামে পরিণত হলো এই নিয়ে অনেক আলোচনা করেছি। তবু আবার করছি। মূলত: প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে আরব ভূখন্ডে প্রিন্স আল সৌদ যিনি ছিলেন যাযাবর আর নাম ধারণ করেছেন রাজপুত্র(প্রিন্স) আর হয়ে গেলেন তেল নামক তরল সোনার মালিক। তখন তার খায়েস জাগলো ইসলামী বিশ্বে তার একটা আধিপত্ত্ব তৈরী হওয়া দরকার। কারণ বিশ্ব তখনো মুসলীম জনগোষ্টি সবচেয়ে নিপিড়িত বঞ্চিত জনগোষ্টী। বঞ্চিত জনগোস্টির মুক্তির শ্লোগান নিয়ে তখন প্রবল বেগে ধাবমান লেলিন-এঙ্গেলসের সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির নিরাপদ জীবনের স্বপ্ন। দেশে দেশে গোপনে , প্রকাশ্যে বাড়তে থাকে বিপ্লবের শ্লোগান। অন্যদিকে কাবা শরীফ সমগ্র মুসলীমের সম্পত্তি। এর আয়ের উপর ভাগ থাকা উচিত সমস্ত মসুলীমের।(ভ্যাটিকান সিটির সমস্ত আয় কারিতাসের মতো এনজিওর মাধ্যমে সারা দুনিয়ায় বিতরণ করা হয়)। সেই সম্পত্তি একাই ভোগকরে সৌদপরিবার। এই দুটোবিষয় মাথায় রেখে অগ্রসর হওয়ার পথে উপযুক্ত পৃষ্টপোষক হিসাবে পেয়ে যায় জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে বিপর্যস্থ বৃটিশ সম্রাজ্যকে। ওহাবী মতবাদকে ভিত্তি করে প্রথম তৈরী হয় মওদুদী বাদ। তারা প্রথম ফতোয়া দেয় 'জাতীয়তাবাদ হারাম, যারা বৃটিশ খেদাও আন্দোলনে যুক্ত হবে তারা জাহান্নামী'। বৃটিশ রাজত্বের পতনের পরে বিশ্বজুড়ে তখন সাম্যবাদী আর পুঁজিবাদী ব্যবস্থার বিপরীত মুখী ঠান্ডা যুদ্ধ শুরু হয়। বিপ্লব ঘটেযায় ইউরোপের অর্ধেক, এবং তা প্রবলবেগে এশীয়ার দিকে ধাবমান।তখন সেই মুওদুদী ঘোষণা করে সমাজতন্ত্র ইসলামে হারাম। কমিউনিষ্টরা নাস্তিক, তাদের কতল করা ওয়াজিব। রাজনৈতিক ইসলামের আরও অনেক দল-উপদলের আবির্ভবাব ঘটানো হলো মুসলীম জনগোষ্টির মধ্যে। তফসিরে কোরান মাহফিলের মাধ্যমে বাংলাদেশে বলতে গেলে একটি সাংস্কৃতিক জোয়ার সৃস্টি করা হলো। বলে রাখা ভালো ভারত বর্ষের মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাও সেই রকম একটি প্ররারনার অংশ হিসাবেই প্রতিষ্ঠিত হয়। যার উদ্যেশ্য ছিল মুসলীম জনগোষ্টিকে আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান থেকে দুরে রেখে একটি অথর্ব জাতিতে পরিণত করা। এবং এটা তারা করতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশ বলতে গেলে বারুদের উপর বসে আছে। খুব ঘনবসতি হওয়ার কারণে ষড়যন্ত্র কারীরা বড় কোন ঘটনা ঘটানোর মতো প্রস্তুতি নিতে পারেনা বিধায় তারা গোপন হত্যাকান্ডের পদ্ধিত অনুসরণ করে। যে দেশের অর্ধেক লোক মাদ্রাসার মতো একটি অজ্ঞানতার চর্চায় জীবনভর লিপ্ত থাকে আবার সেই অজ্ঞানতায় প্রশিক্ষিতরা সমাজের নেতৃত্বে থাকে সেই দেশে বাকী সমাজটাও অন্ধকারে নিমজ্জিত হতে বাধ্য। সুতরাং শুধু মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা নয়, বাংলাদেশের বুয়েট-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হলো সবচেয়ে বড় মাদ্রাসা। শুধু পার্থক্য হলো মাদ্রসায় তৈরী হয় অজ্ঞানতায় দক্ষ কিন্তু প্রযুক্তিতে অদক্ষ আর বুয়েটে তৈরী হয় প্রযুক্তিতে দক্ষ কিন্ত আদর্শীক ভাবে অদক্ষ কর্মী। এরা উভয়েই উভয়ের সম্পুরক হিসাবে কাজ করে একটি সমাজকে যতোটা অন্ধকরে দেয়া দরকার ততটাই করে যাচ্ছে। বুয়েট ক্যাম্পাস বা শহীদুল্লাহ হল ঘুরে আসলেই তার প্রমান পাবেন। কতোটা বারুদ জমাহচ্ছে এই বাংলাদেশে। শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে শুধু বাংলাদেশ নয় সারা দুনিয়ার মুসলীমরা শিক্ষা নিয়ে, ওহাবী মতবাদ, (যা কখনো আ্হলে হাদিস, কখনো মওদুদী, কখনো সালাফি, কখনো আইএস) থেকে সরে না আসে তবে ধ্বংশ অনিবার্য,বাংলাদেশের জন্য বাড়তি আয়োজন রোহীঙ্গা সরণার্থীরাতো রয়েছেই।!!
Monday, 29 April 2019
Sunday, 28 April 2019
ফরাসি দেশের গল্প
ফ্রান্স একটি "উদ্ভট এবং অযৌক্তিক" সমাজ ব্যবস্থার দেশ। যেখানে মানুষ "অপদার্থ" "অযৌক্তিক" কিংবা "কান্ডজ্ঞানহীন" হতে ভালোবাসে। কয়েকটি ইউরোপিয়ান দেশ ভ্রমণ করার পর আমি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম। ফ্রান্সের মানুষের কান্ডজ্ঞান কম। ইংরেজিতে কথা বলার পরও জিজ্ঞেস করবে " You speak Aungley ?"। সরকারী অফিস গুলোতে নিয়ম নীতির বালাই নাই বললেই চলে। একই অফিসের এক অফিসার বললো এক কথা আরেক অফিসার আরেক কথা। উদাহরণস্বরূপ এর কথাই বলা যায়, Bobigny Prefecture এক রকম নিয়ম Nanterre Prefecture আরেক নিয়ম। আমার প্রশ্ন হল কেনো এমন হবে ? জাতীয়ভাবে নিয়মগুলো একরকম হওয়ার কথা।
Prefecture, OFII, Social Security এই অফিস গুলোতে বহু ভাষাভাষী মানুষ যায়, কিন্তু অফিসের কর্মকর্তারা এক লাইন ইংরেজি বলতে পারেনা। একটা মানুষ ১ মাস বা ২ মাসের মধ্যে ফ্রেঞ্চ ভাষায় কথা বলবে এটা কিভাবে তারা আশা করে ? বিশেষকরে OFIIএবং Prefecture জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক অফিসের সহযোগী হিসেবে কাজ করে। যেহেতু বহু দেশ থেকে মানুষ এখানে আসে অন্ততঃপক্ষে বেসিক ইংরেজি জানা কর্মকর্তা নিয়োগ করা উচিত। এসব অফিস গুলোতে গেলে বলে ফরাসি ভাষা জানা কাউকে নিয়ে যেতে।
মানুষের সাথে কিভাবে আচরণ করতে হয় ফ্রান্সের মানুষ জানেনা। ফরাসিদের নাক উঁচু, ভাষা এবং জাতীয়তা নিয়ে এমন হাস্যকর গৌরব কেউ করেছে কিনা আমি জানিনা। ডাক্তার, ব্যাংক কিংবা আইনজীবীর কাছে যাবেন ? এদের মধ্যে ২/১ জন ছাড়া বাকিরা ইংরেজি জানেনা। আপনার মনে হবে দুনিয়া বিচ্ছিন্ন এক জনপদে আপনি এসে পড়েছেন। তারা বলে বেড়ায় ফ্রান্স মানবাধিকারের দেশ। বিশ্বাস করুন, মানবাধিকারের ছিটে ফোঁটাও নেই এখানে। মানবাধিকার শুধু কাগজে কলমে, বাস্তবে কোনো প্রয়োগ নাই। সামাজিক বৈষম্যের তীর্থস্থান বললে ভুল হবেনা ফ্রান্সকে।
অনেক বাঙালি বলে " ফরাসিরা ইংরেজি জানে কিন্তু বলেনা" ? কেন বলেনা ? ভারতীয়রা কি ইংরেজি বলেনা ? ভারতীয়দের দেশ প্রেম কি কম ?
আরেকটা সমস্যা হলো, পণ্যের গায়ে ইংরেজি কোনো তথ্য নেই, যার দরুন হালাল/হারাম, পুষ্টি কিংবা এলাৰ্জী সম্পর্কিত বিষয় জানা যায়না। পাবলিক প্লেস এবং ট্রান্সপোর্টেশন ব্যবস্থায় ইংরেজিতে তথ্য খুবই অপ্রতুল।
বাংলাদেশ থেকে আমরা জেনে আসছি প্যারিস একটি রোমান্টিক শহর। আসলে কি তাই ? না মোটেওনা, বরং এটি একটি হিপোক্রেটদের শহর। জরুরি মুহূর্তে টয়লেট ব্যবহার করতে একটি রেস্তোরা বা কফি শপে ঢুকলেন, দোকানিকে বললেন টয়লেট ব্যবহার করতে চান, জিজ্ঞেস করবে কিছু কিনেছেন কিনা। মুখের উপর না বলে দিবে যদি কিছু না কেনেন। ফলাফল যত্রতত্র মূত্রের এবং মনুষ্য বিষ্ঠার গন্ধ পাবেন। যে যেখানে পারছে অবাধে ত্যাগ করছে।
মনুষ্য বিষ্ঠা যতটা দূষিত করেছে প্যারিসকে তারচেয়েও বেশি দূষিত করেছে আলজেরিয়ান, মরোক্কান এবং তিউনিসিয়ান মানুষরা। চুরি, ডাকাতি, বোমাবাজি, মাদক পাচার এমন কোনো কাজ নেই তারা করেনা। আলজেরিয়ান, মরোক্কান এবং তুনিসিয়ানরা মেট্রো ট্রেনে মারামারি থেকে শুরু করে নারীদের যৌন হয়রানি, স্বর্ণালংকার এমনকি মোবাইল ফোন ছিনতাই করে। পুলিশ নির্বিকার এসব বিষয়ে। এমনকি আলজেরিয়ান এবং তিউনিসিয়ানদের দিকে তাকালেও তারা মারতে আসে। আলজেরিয়ান, মরোক্কান এবং তিউনিসিয়ান, মুসলিম এ তিন দেশের বংশোদ্ভুত নাগরিকরা প্যারিসকে নরকে পরিণত করেছে। এদেরকে প্যারিসের লজ্জা বললে কোনোক্রমেই অত্যুক্তি হবেনা।
ফ্রান্সের পুলিশের মতো এমন Idiot Police আছে কিনা সন্দেহ। আমি বহুবার দেখেছি অপরাধীকে না ধরে তারা ভিকটিম কে হয়রানি করে। "পুলিশিং" বলতে যে একটা বিষয় আছে সেটা তারা জানেনা। সেন্ট্রাল প্যারিসের গার্দু নোডে দেখেছি, সিগারেট বিক্রি নিয়ে আলজেরিয়ান এক ছেলে কালো এক ছেলেকে চুরি দিয়ে কুপিয়ে সবার সামনে দৌড়ে পালাচ্ছে। পুলিশের সামনে দিয়ে অপরাধী দৌড়ে পালাচ্ছে কিন্তু পুলিশ এসে রক্তাক্ত কালো ছেলেটাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলো। এরকম হাজারো ঘটনা ঘটেই চলছে। চুরি ছিনতাই রাহাজানির কোনো বিচার নাই। কিছুদিন আগে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী আক্রমণের শিকার হয় কাজ শেষ করে ফেরার সময়। এমন নৃশংস এবং বর্বর আক্রমণ বাঙালিদের উপর আর হয়নি। পুলিশের কাছে অভিযোগ করে কোনো লাভ হয়নি। পুলিশের সামনে অবৈধ সিগারেট এবং মাদক বিক্রি করে কিন্তু পুলিশ নির্বিকার।
ফ্রান্সের একটা পাসপোর্ট এবং রেস্টুরেন্টে কাজ করে ২০০০ ইউরো ইনকাম করা মানেই নয় আপনি ফ্রান্সের প্রথম শ্রেণীর নাগরিক। আপনার গায়ের রং যদি তামাটে এবং কালো হয় তাহলে আপনি তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক। সর্বক্ষেত্রে আপনি বৈষম্যের শিকার হবেন। ফরাসিরা চায় অফিস আদালতে গিয়ে আপনি নত এবং কুর্নিশ করে কথা বলবেন। নাহলে বিনাকারণে আপনার কাজ বিলম্বিত করা হবে। অফিস কিংবা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করা যায়না। অফিসের কর্মকর্তার মর্জির উপর নির্ভর করবে আপনার কাজ কখন শেষ হবে। কোনো দায়িত্ব, জবাবদিহিতা নাই।
সবচেয়ে অমানবিক বিষয় হলো কাজ করিয়ে বেতন না দেয়া। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা শরণার্থীদের দিয়ে কাজ করিয়ে বেতন না দেয়ার অভিযোগ প্রচুর। অনেক লম্বা শিফটে কাজ করিয়ে নেয় এবং নামে মাত্র টাকা দিয়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সপ্তাহে ৭ দিন কাজ করতে হয়। মাসের পর মাস বেতন আটকে রাখে। বৈধতা থাকলে সময়মত বেতন পাওয়া যায়। আলজেরিয়ান, মরোক্কান কিছু রেস্টুরেন্টের মালিক শ্রমিকদের বেতন না দিয়েই বিদায় করে দিয়েছে। এমন কয়েকজন বাংলাদেশীর সাথে কথা হলো আমার। একজনের ৫ মাসের বেতন না দিয়ে তাকে কাজ থেকে বাদ দিয়েছে। আরেকজনকে ২ মাসের বেতন না দিয়ে উল্টো মারধর করেছে তিউনিসিয়ান মালিক। আইনের শাসন কোথায় ? কর্মক্ষেত্রে শারীরিক নিরাপত্তার বিষয়টি একেবারেই উদাসীন। ৩ জন কর্মীর জায়গায় ১ জনকে দিয়েই সব কাজ করানো হয়, সেটা হোক বাংলাদেশী মালিক কিংবা আলজেরিয়ান মালিক।
ইউরোপিয়ান দেশ কিংবা পরাশক্তি হিসেবে ফ্রান্সের আবাসন ব্যাবস্থা চরম নিম্নমানের। অধিকাংশ বাড়িঘর সেকেলে। উচু দালান থেকে মনে হবে খুপড়ি ঘর। ৫ ডেসিমেলের একটা জায়গায় ৫ জন ৫ টা খুপড়ি ঘর উঠিয়ে বসবাস করছে। খুপড়ির উপরে আবার আরেকতলা বানিয়েছে সিঁড়ি দিয়ে ! ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কথা না বলাই ভালো। কিচেন গুলো এত ছোট ২ জন মানুষ দাড়ানো যায়না একসাথে এবং কোনো ফ্যান নেই ধোঁয়া নির্গত করার। আর টয়লেট !!! সবচেয়ে ছোট হলো টয়লেট। ৩ পাশে গ্লাস এক পাশে প্লাস্টিকের পর্দা দিয়ে বানানো হয় শাওয়ার রুম। এটা এতই ছোট যে, হাত নড়াচড়া করা যায়না। জায়গা স্বল্পতার কারণে কমোড এমন ভাবে বসানো হয় ওয়ালের সাথে, বাধ্য হয়ে আপনাকে বেঁকে বসতে হবে। অন্যান্য ইউরোপিয়ান দেশের তুলনায় ফ্রান্সের আবাসন মান অত্যন্ত জগন্য। ৫ এমনকি ৬ তলা বাড়িতে লিফট নেই। সিঁড়ি দিয়ে উঠলে মনে হবে, অন্ধকার কোন গুহায় ঢুকছেন।
এবার আসা যাক পণ্যের মূল্যের কথায়। ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে সেবা এবং পণ্যের মূল্যে যৌক্তিক। ইংল্যান্ড, জার্মান, নেদারল্যান্ড কিংবা ইতালি সব দেশে সর্বত্র মোটামুটি একদাম অর্থাৎ শহরে গ্রামে পণ্যের মূল্য এক। কেবল ব্যতিক্রম ফ্রান্সে। একটা
কফি এক শপে ১.২০ পয়সা ঠিক তার পাশের শপেই ৪.২০ পয়সা !!! হালাল মাংস কিনতে গিয়েও আপনি প্রতারণার শিকার হবেন। আলজেরিয়ান শপে আমাকে খাসির মাংস বলে গরুর মাংস দিলো। রান্না করার পর আমি নিজেই বেকুব বনে গেলাম। এক বৃটিশ সেদিন বললো ফ্রান্স "ব্যয়বহুল হওয়ার জন্যই" ব্যয়বহুল। কোন কারণে ফ্রান্স এতো ব্যয়বহুল ? এই প্রশ্নের উত্তর নাই।
ফ্রান্সের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। সীমান্তে কোনো নিয়ন্ত্রণ নাই, যখন তখন যেকেউ ঢুকতে পারে। সন্ত্রাসবাদী হামলার পরও অবাধে মানুষ ঢুকছে, বের হচ্ছে। সেদিন আতশবাজি দেখতে গেলাম। পুলিশের ৪/৫ গাড়ী দিয়ে ব্যারিকেড তৈরী করে গেট বানিয়েছে। কোনো মেটাল ডিটেক্টর নেই, নেই কোনো আর্চওয়ে গেট। পুলিশ নামে মাত্র চেক করছে। সন্ত্রাসবাদী হামলার কথা চিন্তা করে আমি ভয়ই পেলাম।
ফ্রান্সে সোশ্যাল বেনিফিট অনেক দেশের চেয়ে ভালো, এতে সন্দেহ নাই। কিছু টাকা বেশি পাওয়াই কি সব ?
ফ্রান্সে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় তুমি ছোট আমি বড় !! অন্য ইউরোপিয়ান দেশে এবং আমেরিকাতে এমন বৈষম্য নেই।
বি.দ্রঃ সেল ফোনে লিখিত বাংলা বানান ভুল ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কাউকে ছোট করে কিংবা আঘাত দেয়ার জন্য এই লেখা নয়। ধন্যবাদ
Prefecture, OFII, Social Security এই অফিস গুলোতে বহু ভাষাভাষী মানুষ যায়, কিন্তু অফিসের কর্মকর্তারা এক লাইন ইংরেজি বলতে পারেনা। একটা মানুষ ১ মাস বা ২ মাসের মধ্যে ফ্রেঞ্চ ভাষায় কথা বলবে এটা কিভাবে তারা আশা করে ? বিশেষকরে OFIIএবং Prefecture জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক অফিসের সহযোগী হিসেবে কাজ করে। যেহেতু বহু দেশ থেকে মানুষ এখানে আসে অন্ততঃপক্ষে বেসিক ইংরেজি জানা কর্মকর্তা নিয়োগ করা উচিত। এসব অফিস গুলোতে গেলে বলে ফরাসি ভাষা জানা কাউকে নিয়ে যেতে।
মানুষের সাথে কিভাবে আচরণ করতে হয় ফ্রান্সের মানুষ জানেনা। ফরাসিদের নাক উঁচু, ভাষা এবং জাতীয়তা নিয়ে এমন হাস্যকর গৌরব কেউ করেছে কিনা আমি জানিনা। ডাক্তার, ব্যাংক কিংবা আইনজীবীর কাছে যাবেন ? এদের মধ্যে ২/১ জন ছাড়া বাকিরা ইংরেজি জানেনা। আপনার মনে হবে দুনিয়া বিচ্ছিন্ন এক জনপদে আপনি এসে পড়েছেন। তারা বলে বেড়ায় ফ্রান্স মানবাধিকারের দেশ। বিশ্বাস করুন, মানবাধিকারের ছিটে ফোঁটাও নেই এখানে। মানবাধিকার শুধু কাগজে কলমে, বাস্তবে কোনো প্রয়োগ নাই। সামাজিক বৈষম্যের তীর্থস্থান বললে ভুল হবেনা ফ্রান্সকে।
অনেক বাঙালি বলে " ফরাসিরা ইংরেজি জানে কিন্তু বলেনা" ? কেন বলেনা ? ভারতীয়রা কি ইংরেজি বলেনা ? ভারতীয়দের দেশ প্রেম কি কম ?
আরেকটা সমস্যা হলো, পণ্যের গায়ে ইংরেজি কোনো তথ্য নেই, যার দরুন হালাল/হারাম, পুষ্টি কিংবা এলাৰ্জী সম্পর্কিত বিষয় জানা যায়না। পাবলিক প্লেস এবং ট্রান্সপোর্টেশন ব্যবস্থায় ইংরেজিতে তথ্য খুবই অপ্রতুল।
বাংলাদেশ থেকে আমরা জেনে আসছি প্যারিস একটি রোমান্টিক শহর। আসলে কি তাই ? না মোটেওনা, বরং এটি একটি হিপোক্রেটদের শহর। জরুরি মুহূর্তে টয়লেট ব্যবহার করতে একটি রেস্তোরা বা কফি শপে ঢুকলেন, দোকানিকে বললেন টয়লেট ব্যবহার করতে চান, জিজ্ঞেস করবে কিছু কিনেছেন কিনা। মুখের উপর না বলে দিবে যদি কিছু না কেনেন। ফলাফল যত্রতত্র মূত্রের এবং মনুষ্য বিষ্ঠার গন্ধ পাবেন। যে যেখানে পারছে অবাধে ত্যাগ করছে।
মনুষ্য বিষ্ঠা যতটা দূষিত করেছে প্যারিসকে তারচেয়েও বেশি দূষিত করেছে আলজেরিয়ান, মরোক্কান এবং তিউনিসিয়ান মানুষরা। চুরি, ডাকাতি, বোমাবাজি, মাদক পাচার এমন কোনো কাজ নেই তারা করেনা। আলজেরিয়ান, মরোক্কান এবং তুনিসিয়ানরা মেট্রো ট্রেনে মারামারি থেকে শুরু করে নারীদের যৌন হয়রানি, স্বর্ণালংকার এমনকি মোবাইল ফোন ছিনতাই করে। পুলিশ নির্বিকার এসব বিষয়ে। এমনকি আলজেরিয়ান এবং তিউনিসিয়ানদের দিকে তাকালেও তারা মারতে আসে। আলজেরিয়ান, মরোক্কান এবং তিউনিসিয়ান, মুসলিম এ তিন দেশের বংশোদ্ভুত নাগরিকরা প্যারিসকে নরকে পরিণত করেছে। এদেরকে প্যারিসের লজ্জা বললে কোনোক্রমেই অত্যুক্তি হবেনা।
ফ্রান্সের পুলিশের মতো এমন Idiot Police আছে কিনা সন্দেহ। আমি বহুবার দেখেছি অপরাধীকে না ধরে তারা ভিকটিম কে হয়রানি করে। "পুলিশিং" বলতে যে একটা বিষয় আছে সেটা তারা জানেনা। সেন্ট্রাল প্যারিসের গার্দু নোডে দেখেছি, সিগারেট বিক্রি নিয়ে আলজেরিয়ান এক ছেলে কালো এক ছেলেকে চুরি দিয়ে কুপিয়ে সবার সামনে দৌড়ে পালাচ্ছে। পুলিশের সামনে দিয়ে অপরাধী দৌড়ে পালাচ্ছে কিন্তু পুলিশ এসে রক্তাক্ত কালো ছেলেটাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলো। এরকম হাজারো ঘটনা ঘটেই চলছে। চুরি ছিনতাই রাহাজানির কোনো বিচার নাই। কিছুদিন আগে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী আক্রমণের শিকার হয় কাজ শেষ করে ফেরার সময়। এমন নৃশংস এবং বর্বর আক্রমণ বাঙালিদের উপর আর হয়নি। পুলিশের কাছে অভিযোগ করে কোনো লাভ হয়নি। পুলিশের সামনে অবৈধ সিগারেট এবং মাদক বিক্রি করে কিন্তু পুলিশ নির্বিকার।
ফ্রান্সের একটা পাসপোর্ট এবং রেস্টুরেন্টে কাজ করে ২০০০ ইউরো ইনকাম করা মানেই নয় আপনি ফ্রান্সের প্রথম শ্রেণীর নাগরিক। আপনার গায়ের রং যদি তামাটে এবং কালো হয় তাহলে আপনি তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক। সর্বক্ষেত্রে আপনি বৈষম্যের শিকার হবেন। ফরাসিরা চায় অফিস আদালতে গিয়ে আপনি নত এবং কুর্নিশ করে কথা বলবেন। নাহলে বিনাকারণে আপনার কাজ বিলম্বিত করা হবে। অফিস কিংবা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করা যায়না। অফিসের কর্মকর্তার মর্জির উপর নির্ভর করবে আপনার কাজ কখন শেষ হবে। কোনো দায়িত্ব, জবাবদিহিতা নাই।
সবচেয়ে অমানবিক বিষয় হলো কাজ করিয়ে বেতন না দেয়া। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা শরণার্থীদের দিয়ে কাজ করিয়ে বেতন না দেয়ার অভিযোগ প্রচুর। অনেক লম্বা শিফটে কাজ করিয়ে নেয় এবং নামে মাত্র টাকা দিয়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সপ্তাহে ৭ দিন কাজ করতে হয়। মাসের পর মাস বেতন আটকে রাখে। বৈধতা থাকলে সময়মত বেতন পাওয়া যায়। আলজেরিয়ান, মরোক্কান কিছু রেস্টুরেন্টের মালিক শ্রমিকদের বেতন না দিয়েই বিদায় করে দিয়েছে। এমন কয়েকজন বাংলাদেশীর সাথে কথা হলো আমার। একজনের ৫ মাসের বেতন না দিয়ে তাকে কাজ থেকে বাদ দিয়েছে। আরেকজনকে ২ মাসের বেতন না দিয়ে উল্টো মারধর করেছে তিউনিসিয়ান মালিক। আইনের শাসন কোথায় ? কর্মক্ষেত্রে শারীরিক নিরাপত্তার বিষয়টি একেবারেই উদাসীন। ৩ জন কর্মীর জায়গায় ১ জনকে দিয়েই সব কাজ করানো হয়, সেটা হোক বাংলাদেশী মালিক কিংবা আলজেরিয়ান মালিক।
ইউরোপিয়ান দেশ কিংবা পরাশক্তি হিসেবে ফ্রান্সের আবাসন ব্যাবস্থা চরম নিম্নমানের। অধিকাংশ বাড়িঘর সেকেলে। উচু দালান থেকে মনে হবে খুপড়ি ঘর। ৫ ডেসিমেলের একটা জায়গায় ৫ জন ৫ টা খুপড়ি ঘর উঠিয়ে বসবাস করছে। খুপড়ির উপরে আবার আরেকতলা বানিয়েছে সিঁড়ি দিয়ে ! ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কথা না বলাই ভালো। কিচেন গুলো এত ছোট ২ জন মানুষ দাড়ানো যায়না একসাথে এবং কোনো ফ্যান নেই ধোঁয়া নির্গত করার। আর টয়লেট !!! সবচেয়ে ছোট হলো টয়লেট। ৩ পাশে গ্লাস এক পাশে প্লাস্টিকের পর্দা দিয়ে বানানো হয় শাওয়ার রুম। এটা এতই ছোট যে, হাত নড়াচড়া করা যায়না। জায়গা স্বল্পতার কারণে কমোড এমন ভাবে বসানো হয় ওয়ালের সাথে, বাধ্য হয়ে আপনাকে বেঁকে বসতে হবে। অন্যান্য ইউরোপিয়ান দেশের তুলনায় ফ্রান্সের আবাসন মান অত্যন্ত জগন্য। ৫ এমনকি ৬ তলা বাড়িতে লিফট নেই। সিঁড়ি দিয়ে উঠলে মনে হবে, অন্ধকার কোন গুহায় ঢুকছেন।
এবার আসা যাক পণ্যের মূল্যের কথায়। ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে সেবা এবং পণ্যের মূল্যে যৌক্তিক। ইংল্যান্ড, জার্মান, নেদারল্যান্ড কিংবা ইতালি সব দেশে সর্বত্র মোটামুটি একদাম অর্থাৎ শহরে গ্রামে পণ্যের মূল্য এক। কেবল ব্যতিক্রম ফ্রান্সে। একটা
কফি এক শপে ১.২০ পয়সা ঠিক তার পাশের শপেই ৪.২০ পয়সা !!! হালাল মাংস কিনতে গিয়েও আপনি প্রতারণার শিকার হবেন। আলজেরিয়ান শপে আমাকে খাসির মাংস বলে গরুর মাংস দিলো। রান্না করার পর আমি নিজেই বেকুব বনে গেলাম। এক বৃটিশ সেদিন বললো ফ্রান্স "ব্যয়বহুল হওয়ার জন্যই" ব্যয়বহুল। কোন কারণে ফ্রান্স এতো ব্যয়বহুল ? এই প্রশ্নের উত্তর নাই।
ফ্রান্সের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। সীমান্তে কোনো নিয়ন্ত্রণ নাই, যখন তখন যেকেউ ঢুকতে পারে। সন্ত্রাসবাদী হামলার পরও অবাধে মানুষ ঢুকছে, বের হচ্ছে। সেদিন আতশবাজি দেখতে গেলাম। পুলিশের ৪/৫ গাড়ী দিয়ে ব্যারিকেড তৈরী করে গেট বানিয়েছে। কোনো মেটাল ডিটেক্টর নেই, নেই কোনো আর্চওয়ে গেট। পুলিশ নামে মাত্র চেক করছে। সন্ত্রাসবাদী হামলার কথা চিন্তা করে আমি ভয়ই পেলাম।
ফ্রান্সে সোশ্যাল বেনিফিট অনেক দেশের চেয়ে ভালো, এতে সন্দেহ নাই। কিছু টাকা বেশি পাওয়াই কি সব ?
ফ্রান্সে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় তুমি ছোট আমি বড় !! অন্য ইউরোপিয়ান দেশে এবং আমেরিকাতে এমন বৈষম্য নেই।
বি.দ্রঃ সেল ফোনে লিখিত বাংলা বানান ভুল ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কাউকে ছোট করে কিংবা আঘাত দেয়ার জন্য এই লেখা নয়। ধন্যবাদ
একজন তোরাব আলী
একজনতোরাবআলী
তোরাবআলীরমনটাআজভালোনেই।রৌদ্রোজ্জ্বলদিনদেখেঘরথেকেবেরিয়েছিলতোরাব, হাঁড়কাপানোশীতসঙ্গেনিয়েবিষন্নমনেঘরেফিরছে।তোরাবেরদিনটিমাটিকরেদিয়েছেপ্রকৃতি।লক্ষ্যছিলোবৈশাখীমেলাদেখবে, বৈশাখেরগানশুনবে, মেলায়আগতভাবীদেররূপ-রস,গন্ধেউষ্ণহবে।অথবাকোনোঅষ্টাদশীকিংবাসদ্যযৌবনাকিশোরীরসাথে“ভাব“ হবে।ক্ষনেক্ষনেবৃষ্টি, সেইসাথেবসন্তকালেরঅনাকাঙ্খিতশীততারসেইস্বপ্নকেদমকাহওয়ারমতোউড়িয়েনিয়েগেছে।তারযতরাগ, ক্ষোভ, অভিমানসবপ্রকৃতিরউপর।ততক্ষনেসন্ধ্যানেমেগেছে, রোমান্টিকশহরপ্যারিসেরকপোতকপোতীরাবাসায়ফিরতেশুরুকরেছে।তোরাবআলীভাবে, এইজীবনএমনতোহওয়ারকথাছিলোনা।
বছরপাঁচেকহলোতোরাবপ্যারিসেএসেছে।ফরাসিদেশেবৈধভাবেথাকারঅনুমতিপেতেঅবিরামচেষ্টাকরেযাচ্ছে।কিন্তুনিয়তিতারসাথেপ্রতিনিয়তখেলছে।ভাগ্যেরউপরতোরাববিরক্ত, কেনোতারসাথেএমনহয়।সেজানেনাএইসংগ্রামকবেশেষহবে, গন্তব্যকতদূর।
তোরাবআলীথাকেপ্যারিসেরউপকণ্ঠেএকবাঙালিমেসে।তোরাবেরমতোআরোএগারোজনথাকেওইমেসে।দুইকামরারওইবাসায়গাদাগাদিকরেথাকছেজীবনসংগ্রামেলিপ্তবারোজনমানুষ।দুইকামরায়ছয়টিডাবলখাটফেলেবারোজনেরগণমেসবানিয়েছেবাসারমালিক।ফরাসিদেশেবাঙালিসমাজেএইগণমেসকে"মুরগীরখোপ" বলেডাকে।সাড়েচারহাতলম্বাআরআড়াইহাতপ্রস্থেরএইখাটইএকেকজনেরপৃথিবী।তথাকথিতসভ্যপৃথিবীরসকলভালোবাসা, নিয়ম, অনিয়মথমকেদাঁড়ায়চারহাতদৈঘ্যআরআড়াইহাতপ্রস্থেরএইখাটে।
তবুওজীবনচলছে, নীরবে-নিভৃতে।কিন্তুশরীরতোআরমানেনা।তীব্রকামনায়শিহরিতসদ্যতিরিশেরকোটায়পাদেয়াতোরাবআলী।তারকল্পনায়একটিনগ্ননারীদেহ।কল্পনারকামনায়-বাসনায়হাজারবারভিজিয়েছেনিজেকে।একটিনারীদেহছোঁয়ারআকুতি, কামনারআগুনেনারীদেহকেপুড়েছাইকরারউচ্ছাসতারচিন্তায়।
নারীদেহেরপ্রতিটিবাঁকতোরাবেরচিরচেনা।দেশেথাকতেবহুবারগণিকালয়েগিয়েছে, দৌলতদিয়াথেকেশুরুকরেশহরেরকথিতআধুনিকসবগণিকাদেরকাছেরাতকাটিয়েছে।বাঙালিনারীররূপ-রস, গন্ধতোরাবেরবহুদিনেরপরিচিত।সেইষোলোবছরথেকেশুরু, পাশেরবাড়িরএকভাবিডেকেনিয়েছিলতাকেএকবৃষ্টিভেজারাতে।নরমাংসেরস্বাদপাওয়াসেইথেকেশুরু।যতদিনগিয়েছেএইবাসনাতীব্রথেকেতীব্রতরহয়েছে।
তোরাবপ্রতিনিয়তভিজেযায়কল্পনায়, এমনকিবাস্তবে।নিজেকেপ্রশ্নকরে" আমিকিভিজেগেছিকামেনাঘামে?"
পহেলাবৈশাখেরঅনুষ্ঠানেযাওয়াতোরাবেরভালোলাগারবিষয়গুলোরএকটি।বহুবারগিয়েছেঢাকায়রমনারবৈশাখীমেলায়।ইচ্ছেকরেনারীপুরুষেরভীড়েরমধ্যেযাওয়া, নারীদেহেরস্পর্শপাওয়া, কড়াসাজুগুজুরমাতালগন্ধআজোতোরাবেরস্মৃতিতেঅম্লান।রমনাপার্কেরছোটগেটদিয়েবারবারযাওয়াআসা, ভীড়েরমধ্যেনারীদেহেরস্পর্শকাতরজায়গায়হাতদেয়াতারপ্রিয়কাজগুলোরঅন্যতম।সুডৌল, উন্নতবক্ষযুগলকিংবাকলসিময়নিতম্বেরঅধিকারীনীতারভাবনাকেএলোমেলোকরেদেয়।
প্যারিসেরবৈশাখীমেলায়যাবেবলেতোরাবেরবহুদিনেরপ্রস্তুতি।কতসাধ, কতস্বপ্নকতআকুতি।কোনোএকজোয়ানভাবিতাকেডেকেনিবেঘরেকিংবাকোনোএকঅষ্টাদশীরহাতেহাতরেখেরোমান্টিকশহরেরঅলিগলিঘুরেবেড়াবে, এমনঅবাস্তবকল্পনায়ডুবেআছেতোরাবআলী।বিকেলেমেলাশুরু, সকালথেকেতোরাবেরপ্রস্তুতি।মুখমণ্ডলেখৌরকর্ম, হলুদপাঞ্জাবিআরসাদাপায়জামাপরে ফুলবাবু।দামীসুগন্ধিমেখেবিজয়েরহাসিদিয়েবেরহয়তোরাব।
বাসাথেকেবেরহতেইদেখেগুড়িগুড়িবৃষ্টি, তোরাবেরমনটাইখারাফহয়েগেলো।মনেমনেপ্রতিজ্ঞাকরে, কোনোকিছুইআজতাকেথামাতেপারবেনা।বৈশাখেরমেলায়যাবেবলেএকসপ্তাহআগেছুটিনিয়েছেরেস্টুরেন্টেরপ্রধানসেফথেকে।তোরাবকেযেতেইহবেআজ।
বৈশাখীমেলারঅনুষ্ঠানস্থলেএসেইদেখেরৌদ্রোজ্জ্বলঝলমলেদিন।একটুআগেইচলেএসেছেতোরাব।আস্তেআস্তেকপোতকপোতীদেরভীড়বাড়ছে, ভাবীরা, চাচীরাআসতেশুরুকরেছে।বড়োবড়োসাউন্ডবক্সেবেজেচলেছে"এসোহেবৈশাখ।....এসোএসো" "মেলায়যাইরে।....মেলায়যাইরে"
তোরাবেরমনসেদিকেনেই, তোরাবভীড়েরমাঝেঢোকারচেষ্টাকরছে।কিন্তুযেইরকমভীড়তোরাবআশাকরছিলো, সেইরকমভীড়হচ্ছেনা।তোরাবেরমনভেঙেযাচ্ছে, গোপনআকাঙ্খা-স্বপ্নভাঙারবেদনায়নীল্হয়েযাচ্ছেতোরাব।গানেরতালেতালেহটাৎএকটুভীড়বাড়ে, একফাঁকেঢুকেপড়েতোরাব।হস্তদিয়েচেষ্টাকরেঅনন্তযৌবনাএকআবেদনময়ীভাবীরশাড়িরবাঁকেস্ফীতউঁকিদেয়াসফেদনাভীসহপেটছোঁয়ার।হটাৎকোথাথেকেএকআগন্তুকএসেদাঁড়ায়ঠিকযখনিতোরাবহস্তদিয়েছোঁয়ারচেস্টাকরে।তোরাবছুঁতেপারলোনা।মনেমনেআগন্তুকেরউদ্দেশ্যে"চ" বর্গীয়গালিছুড়েদেয়তোরাবআলী।আবারোচেষ্টাকরতেথাকেতোরাব।
নাআরসুযোগহয়না।তোরাবহতাশাঝেড়েফেলেশিকারখুঁজতেথাকে।নাকিছুতেইহচ্ছেনা।কিছুক্ষনপরআকাশ-বাতাসকাঁপিয়েঅঝোরেবৃষ্টিআসলো।তখনোমাইকেবেজেচলছে"বন্ধুতুমিকইকইকই"
বৃষ্টিআরথামেনা।এককপিশপেরছাউনিতেআশ্রয়নেয়তোরাব।তোরাবেরমনভেঙেগেছে।বৃষ্টিতারস্বপ্নকেধুয়েনিয়েগেছে।সন্ধ্যানেমেগেছেচারদিকে। আস্তেআস্তেতোরাবপাবাড়ায়মুরগীরখোপেরউদ্দেশ্যে।প্রকৃতিরপ্রতিতোরাবেরআজন্মক্ষোভ, ঘৃণাউপচেপড়ছেমুখাবয়বে।
ট্রেনচলছে, তোরাবেরভ্রূক্ষেপনেইকারোদিকে।তোরাবভাবছেআগামীকালেরকাজেরকথা, নিজদেশেফেলেআসাপরিবারেরকথা।আগামীরদিনগুলোকতবন্ধুর, কতকণ্টকময়হবে।যৌবনেরএইদিনগুলোনিরুত্তাপ, রংহীন।প্যারিসেরআকাশঢেকেযায়অন্ধকারে, পেছনেপড়েথাকেদুরন্তযৌবন, উচ্ছাসআরস্বপ্ন।
Subscribe to:
Posts (Atom)