উপমহাদেশে ইসলামের আগমন ঘটেছিল আত্বশুদ্ধী আর সাম্যের বাতাবরণে মানুষের মুক্তির সুসংবাদ নিয়ে। সেই সাম্য ও শোষন মুক্তির ইসলাম কি করে রাজনৈতিক ইসলামের মাধ্যমে সন্ত্রাসের ইসলামে পরিণত হলো এই নিয়ে অনেক আলোচনা করেছি। তবু আবার করছি। মূলত: প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে আরব ভূখন্ডে প্রিন্স আল সৌদ যিনি ছিলেন যাযাবর আর নাম ধারণ করেছেন রাজপুত্র(প্রিন্স) আর হয়ে গেলেন তেল নামক তরল সোনার মালিক। তখন তার খায়েস জাগলো ইসলামী বিশ্বে তার একটা আধিপত্ত্ব তৈরী হওয়া দরকার। কারণ বিশ্ব তখনো মুসলীম জনগোষ্টি সবচেয়ে নিপিড়িত বঞ্চিত জনগোষ্টী। বঞ্চিত জনগোস্টির মুক্তির শ্লোগান নিয়ে তখন প্রবল বেগে ধাবমান লেলিন-এঙ্গেলসের সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির নিরাপদ জীবনের স্বপ্ন। দেশে দেশে গোপনে , প্রকাশ্যে বাড়তে থাকে বিপ্লবের শ্লোগান। অন্যদিকে কাবা শরীফ সমগ্র মুসলীমের সম্পত্তি। এর আয়ের উপর ভাগ থাকা উচিত সমস্ত মসুলীমের।(ভ্যাটিকান সিটির সমস্ত আয় কারিতাসের মতো এনজিওর মাধ্যমে সারা দুনিয়ায় বিতরণ করা হয়)। সেই সম্পত্তি একাই ভোগকরে সৌদপরিবার। এই দুটোবিষয় মাথায় রেখে অগ্রসর হওয়ার পথে উপযুক্ত পৃষ্টপোষক হিসাবে পেয়ে যায় জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে বিপর্যস্থ বৃটিশ সম্রাজ্যকে। ওহাবী মতবাদকে ভিত্তি করে প্রথম তৈরী হয় মওদুদী বাদ। তারা প্রথম ফতোয়া দেয় 'জাতীয়তাবাদ হারাম, যারা বৃটিশ খেদাও আন্দোলনে যুক্ত হবে তারা জাহান্নামী'। বৃটিশ রাজত্বের পতনের পরে বিশ্বজুড়ে তখন সাম্যবাদী আর পুঁজিবাদী ব্যবস্থার বিপরীত মুখী ঠান্ডা যুদ্ধ শুরু হয়। বিপ্লব ঘটেযায় ইউরোপের অর্ধেক, এবং তা প্রবলবেগে এশীয়ার দিকে ধাবমান।তখন সেই মুওদুদী ঘোষণা করে সমাজতন্ত্র ইসলামে হারাম। কমিউনিষ্টরা নাস্তিক, তাদের কতল করা ওয়াজিব। রাজনৈতিক ইসলামের আরও অনেক দল-উপদলের আবির্ভবাব ঘটানো হলো মুসলীম জনগোষ্টির মধ্যে। তফসিরে কোরান মাহফিলের মাধ্যমে বাংলাদেশে বলতে গেলে একটি সাংস্কৃতিক জোয়ার সৃস্টি করা হলো। বলে রাখা ভালো ভারত বর্ষের মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাও সেই রকম একটি প্ররারনার অংশ হিসাবেই প্রতিষ্ঠিত হয়। যার উদ্যেশ্য ছিল মুসলীম জনগোষ্টিকে আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান থেকে দুরে রেখে একটি অথর্ব জাতিতে পরিণত করা। এবং এটা তারা করতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশ বলতে গেলে বারুদের উপর বসে আছে। খুব ঘনবসতি হওয়ার কারণে ষড়যন্ত্র কারীরা বড় কোন ঘটনা ঘটানোর মতো প্রস্তুতি নিতে পারেনা বিধায় তারা গোপন হত্যাকান্ডের পদ্ধিত অনুসরণ করে। যে দেশের অর্ধেক লোক মাদ্রাসার মতো একটি অজ্ঞানতার চর্চায় জীবনভর লিপ্ত থাকে আবার সেই অজ্ঞানতায় প্রশিক্ষিতরা সমাজের নেতৃত্বে থাকে সেই দেশে বাকী সমাজটাও অন্ধকারে নিমজ্জিত হতে বাধ্য। সুতরাং শুধু মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা নয়, বাংলাদেশের বুয়েট-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হলো সবচেয়ে বড় মাদ্রাসা। শুধু পার্থক্য হলো মাদ্রসায় তৈরী হয় অজ্ঞানতায় দক্ষ কিন্তু প্রযুক্তিতে অদক্ষ আর বুয়েটে তৈরী হয় প্রযুক্তিতে দক্ষ কিন্ত আদর্শীক ভাবে অদক্ষ কর্মী। এরা উভয়েই উভয়ের সম্পুরক হিসাবে কাজ করে একটি সমাজকে যতোটা অন্ধকরে দেয়া দরকার ততটাই করে যাচ্ছে। বুয়েট ক্যাম্পাস বা শহীদুল্লাহ হল ঘুরে আসলেই তার প্রমান পাবেন। কতোটা বারুদ জমাহচ্ছে এই বাংলাদেশে। শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে শুধু বাংলাদেশ নয় সারা দুনিয়ার মুসলীমরা শিক্ষা নিয়ে, ওহাবী মতবাদ, (যা কখনো আ্হলে হাদিস, কখনো মওদুদী, কখনো সালাফি, কখনো আইএস) থেকে সরে না আসে তবে ধ্বংশ অনিবার্য,বাংলাদেশের জন্য বাড়তি আয়োজন রোহীঙ্গা সরণার্থীরাতো রয়েছেই।!!
No comments:
Post a Comment