Wednesday 19 July 2023

আওয়ামিলীগের চাইলেও সুস্থ ইলেকশন করতে পারবে না।

আওয়ামিলীগের সবচে বড় সমস্যা সে চাইলেও সুস্থ ইলেকশন করতে পারবে না। সুস্থ ইলেকশন মানে স্বচ্ছ না। অনেক ম্যানিপুলেটেড, রিগিং এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইলেকশনও সুস্থ হতে পারে যদিও তা স্বচ্ছ না। কিন্তু আওয়ামিলীগের তার ইনার ফ্রেকসনের কারনে তার দ্বারা সুস্থ ইলেকশন করা আর সম্ভব না তাই তার মারতেই হয় যেই দাড়াক তার সাথে সে হিরো আলম হলেও। যেমন ২০১৮ সালের ইলেকশনে যা হয়েছে। একটা অস্বাভাবিক পার্সেন্টেজের ভোট হয়েছে। অধিকাংশ এলাকায় বিরোধিদের ভোট জিরো হয়েছিলো। পরে যা বাড়িয়ে ঘোষনা করা হয়। নুন্যতম ভোটের পারসেন্টেজের হিসাবও সেখানে মানা হয় নি। কারন মাঠে গিয়েই সকল পরিকল্পনা ফল করে এবং তা এজেন্সি আর পুলিশের হাত থেকে লোকালি চলে যায়। পুলিশ যদি দশ হাজার ব্যালট পেপার প্রিজাইডিং অফিসার থেকে রাতে নিয়ে গেছে তবে ছাত্রলীগ নিয়েঁছে বিশ হাজার। কারন এটা তখন আর জাতীয় ব্যাপার থাকে না। এটা একান্তই লোকাল দখল। আর লোকাল দখলে কখনোই কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এটা লাঠিয়াল বাহিনির চড় দখলের মতো। পুলিশ যদি পাচ হাজার ভোট দিয়েছে রেশিও অনুযায়ী হিসাব করে তবে ছাত্রলীগ জোর করে আরও দশ বাড়াইছে। বিএনপিকে একটা নির্দিষ্ট পারসেন্টেজ ভোট দেয়ার প্লান ছিলো কিন্তু কোথাওই তা সম্ভব হয় নি। লোকাল প্রভাবক এই রিস্ক নিতেই দেয় নি। যে কর্মকর্তারা লীগকে জেতানোর পলিসিতেই দায়িত্ব নিয়ে এসেছিলো সেই এজেন্সির লোকরে পর্যন্ত সেই রাতে বেধে রাখঁছে পরেরদিন দশ লাখ টাকা ধরিয়ে দিয়ে মিমাংসা করে নিছে। লোকাল প্রভাবক এড়ায়া যাওয়ার এই রিস্ক কোনো পার্থিই নিতে নিবে না। এটা পরীক্ষার রাতের মতো। কেউই যেন কোনে সুযোগ না পায় এই চেস্টা থাকে। তাই প্রশাসনের চেয়ে গতবার লোকাল নেতারা বেশি ব্যালট পেপার রাতের বেলা নিয়ে গেছে প্রিজাইডিং অফিসার থেকে জোর করে। অনেক প্রশাসনের কর্মকর্তারাই পরে আক্ষেপ করছে তারা এতো উলঙ্গ কাজ করতে চায় নি। কিন্তু লোকালি তারা নিয়ন্ত্রন করতে ব্যার্থ হয়। তাদের সম্মানজনক চুরির পথে লোকাল স্টেক হোল্ডারদের বাধা হওয়াটাই সরকারের নিজেরই আদার ফ্রাকশন গুলার জন্য সবচে বড় চ্যালেঞ্জ।

Sunday 16 July 2023

রিএক্সামা কি এবং কিভাবে করতে হয় ?

রিএক্সামা -------------- উকিলের সাথে রিএক্সামা নিয়ে আলোচনা করছিলাম.. রিএক্সামা আসলে কি? : কমিশন থেকে যখন প্রথমবার রিজেক্ট হয়ে যায় তখন রিএক্সামা করা যায়৷ কোন শর্ত আছে? : হ্যা, দেশে আপনার নতুন কোন সমস্যা হলে রিএক্সামা করা যেতে পারে৷ যদি সখতি অর্থাৎ ফ্রান্স ত্যাগের নোটিশ থাকে তাহলে কি রিএক্সামা করা যাবে? : হ্যা যাবে। তবে আপনার সখতি বহাল থাকবে। আর রিজেক্ট হলে সখতির শর্ত গুলো আরও কঠিন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কতবার করা যায় রিএক্সামা? : যতবার খুশি ততোবার। রিএক্সামা করলে কি লাভ হয়? : রিসিপিসি পেতে পারেন। কিন্তু মনে রাখবেন এই রিসিপিসি কিন্তু প্রথম এজাইল আবেদনের রিসিপিসির মতো শক্তিশালী না। পুলিশ চাইলেই সখতি অর্থাৎ দেশে পাঠানোর নোটিশ দিতে পারবে। রিএক্সামা কিভাবে করতে হয় ? : প্রথমবার এজাইল আবেদনের মতোই ফোন দিতে হবে OFII তে। তারপর প্রিফেকচার থেকে ফাইল আনতে হবে। ভালোভাবে ফর্ম ফিলাপ করে OFPRA তে পাঠাতে হবে। OFPRA রিজেক্ট হলে CNDA তে আবেদন পাঠাতে হবে। তারমানে সব আগের মতোই? : হ্যা সবই প্রথমবারের মতো। সরকারি ভাবে উকিল নেয়ার সুযোগ আছে? : হ্যা অবশ্যই। আবেদনকারী আগের মতোই OFPRA রিজেক্টের পর ১৫ দিন হাতে পাবে সরকারি ভাবে উকিল নেবার জন্যে। ১৫ দিন পার হয়ে গেলে টাকা দিতে হবে আপীল এর জন্যে। আবার কি নতুন করে কেইস লিখতে হবে? : আসলে কেইস লিখা বলে কিছু নেই। প্রিফেকচার যে ফরম দেয় সেখানে আবেদনকারীর সমস্যা লেখার একটা জায়গা থাকে। অনেক সময় জায়গার অভাবে সেখানে পুরো ঘটনা লেখা যায়না দেখে মানুষ অতিরিক্ত কাগজে লিখে। এটাকেই মানুষজন কেইস বলে। আচ্ছা। রিএক্সামা তে কি এজাইল পাওয়া যায়? : সম্ভাবনা খুব কম কিন্তু খুব সিরিয়াস হলে পাওয়া যায়। কি রকম সিরিয়াস? : এই ধরেন, নতুন যে সমস্যা বা সমস্যাগুলো দেখানো হবে সেগুলোর পুঙ্খানুপূর্ণ বিবরণ থাকতে হবে। প্রথম আবেদনের সাথে মিল রেখে সুন্দর ভাবে পুরো বিষয়টা খুব যত্নে উপস্থাপন করলে এবং যদি সম্ভব হয় আসল প্রমাণাদি যোগার করতে পারলে রিক্সামা থেকে এজাইল পাওয়া সম্ভব। তবে তোমাদের বাংলাদেশীদের অনেকে রিএক্সামা নিয়ে ব্যাবসা কর এটা সবাই জেনে গেছে। ফ্রিতে রিএক্সামা করার কথা বলে কিন্তু টাকা দিয়ে অনুবাদ করাতে হয় সেটা ওইসব জায়গা থেকে। কোনরকমে তারা যে রিএক্সামা গুলো করে দেয় তাতে আবেদনকারীর আরও ক্ষতি হয়। বাংলাদেশীদের রিএক্সামার গুরুত্ব একারণে বেশী থাকেনা। পরিশেষে আমি বললাম : আসলে পুরা বিষয়টা অনেকটা মাফিয়া চক্রের মতো হয়ে গিয়েছে। দুই তিনটা পার্টি সব কন্ট্রোল করতে চায়। ফ্রেঞ্চ না জানায় সাধারণ বাংলাদেশিরা জিম্মি। উকিল বললেন: এইসব খবর এখানকার অথরিটি জানে। অনুবাদের মান খুব নিম্নমানের হয় তাদের । কোন রকম ভাবে ফাইল রেডি করা হয় দেখে বাংলাদেশি আবেদনের গুরুত্ব খুবই কম। তবে এভাবে মানহীন কাজ করে বেশীদিন আর চালাতে পারবেনা ওরা। অথরিটি থেকে অলরেডি প্রচুর চাপ দেয়া হচ্ছে ওদের উপর৷ ফ্রান্সে মাফিয়া তৈরী হতে দেরী, ভাঙতে দেরী হয়না। #ভাতিজা #কেইস #রিএক্সামা ফ্রান্সের আলো হাওয়ায় / Ma vie en France