Sunday, 25 June 2023

শেখ হাসিনার পতনের পরবর্তী ৭২ ঘন্টা

শেখ হাসিনার পতনের পরবর্তী ৭২ ঘন্টা যা যা হতে পারে এবং অন্তবর্তীকালীন সরকারকে যা করতে হবেঃ #আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিরা দেশ ছেড়ে পালাবে। #হাসিনার অবৈধ সুবিধাভোগকারী কর্মকর্তাদের অনেকেই গা ঢাকা দিবে। #দেশে গচ্ছিত টাকা সীমান্ত দিয়ে প্রতিবেশি দেশে পাচারের চেষ্টা করবে। #বিজয়ের আনন্দে আত্মহারা মানুষ জাতীয় পতাকা উড়িয়ে রাস্তায় ঘুরবে। #হাসিনার পরাজিত শক্তি দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করবে। #নতুন সরকারকে প্রথম ২৪ ঘন্টা পুরো দেশব্যাপি কারফিউ জারি করতে হবে। #ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়গুলোকে সবোর্চ্চ সুরক্ষা দিতে হবে। #আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় ম্যাজিস্ট্রেসী ক্ষমতা দিয়ে সারাদেশে সেনা মোতায়েন করতে হবে। #পালিয়ে যাওয়া ওসিদের দায়িত্ব সাময়িকভাবে সেনা কর্মকর্তাদের দিতে হবে। #সচিবালয়সহ দেশের সকল প্রতিষ্ঠানে কঠোর নিরাপত্তা জারি করতে হবে। #গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সাপ্লাই চালু রাখতে হবে। #প্রতিবেশি দেশের দুস্কৃতিকারীরা যেনো ঢুকতে না পারে, সীমান্তে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। #রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবিরে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। #অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সরকারের সকল রুটিন কাজ চালু রাখতে হবে। ।। সুরমা প্রতিবেদন ।।

প্রেসারগ্রুপ আওয়ামী রাজনীতির পারপাস সার্ভ করে।

আওয়ামী রাজনীতির স্ট্রেন্থ আগে জানেন। তাইলে পরে সেই শক্তিতে ধ্বস নামানো যাইব। বাংলাদেশের অনেকগুলো প্রেসারগ্রুপ আওয়ামী রাজনীতির পারপাস সার্ভ করে। এদেরকে সাধারণ মানুষ নিরপেক্ষ বইলা মনে করে। এরা মাঝে মাঝে বিবৃতি দেয়। সব বিবৃতিই আওয়ামী রাজনীতির পক্ষে যায়। এদের শব্দচয়নও আওয়ামীলীগকে সুবিধা তৈরি কইরা দেয়। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদসহ অনেকগুলো সংগঠন আছে যারা নিরপেক্ষতার বেশ ধরে আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে। এরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকার কথা বইলা মূলত আওয়ামী লীগের পক্ষে থাকে। আপনার কাজ হইল, সকল ক্ষেত্রে এদেরকে আওয়ামীপন্থী সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে পরিচিত কইরা তোলা। এদের নেতাদের আওয়ামী সাংস্কৃতিক কর্মী হিসাবে তুইলা ধরা। এই সংগঠনগুলার সাথে অনেক বিএনপি জামায়াতের কর্মীও জড়িত আছে। এদের শীর্ষ পর্যায়ে বিএনপি জামাতের দুই একজন আছেও। কিন্তু সংগঠনগুলো সব সময় আওয়ামী স্বার্থ রক্ষার বাইরে এক পাও ফেলে না। অনেক মানবাধিকার কর্মী আছে নিরপেক্ষতার বেশ ধইরা কাজ করে। এরাও আওয়ামী মানবাধিকার রক্ষার বাইরে এক পাও ফেলে না। গত পনের বছরে বিএনপি জামাতের লোকদের সাথে যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে তার বিরুদ্ধে এরা একটা বাক্যও ব্যয় করেনি। অনেক নারীবাদীকেও পাবেন যারা আওয়ামীমনা নারী ছাড়া আর কারও অধিকার নিয়া সোচ্চার না। খালেদা জিয়ার মত একজন নারীর সাথে সরকার যা করছে তার প্রতিবাদে এই নারীবাদীরা একটা বিবৃতিও দেয়নি। সুতরাং এই মানবাধিকার কর্মী ও নারীবাদীদেরও সর্বদা আওয়ামীপন্থী হিসেবে উল্লেখ করুন। দেখবেন, অর্ধেক যুদ্ধজয় হয়ে গেছে। দিপ্র হাসান