Monday 2 April 2018

২৭ তারিখ হরতাল ডাকছি, বাড়িতে যাও, নাকে তেল দিয়ে ঘুমাও!’

যাকে ভোট দিয়ে জাতি দায়িত্ব দিয়েছিল, তিনি যখন বুঝতে পারলেন বিপদ ঘনিয়ে আসছে, আক্রমন অত্যাসন্ন, নিজে কন্যাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে গোপনে বাসা ভাড়া করলেন খিলগাঁওয়ে, ২৫ তারিখ রাত ১০টায় গোপনে তাদের পাঠিয়ে দিলেন - সেখানে। কিন্তু গোটা জাতিকে কোনো সতর্ক করলেন না, যদিও তাঁর সেই সুযোগ ছিলো। হোটেল কন্টিনেন্টালে অসংখ্য বিদেশী সাংবাদিক। উনার ফোনও চালু ছিলো। যাস্ট একটা কল করলেই জাতি এবং বিশ্ব জেনে যেতো। কিন্তু তিনি তা করার সাহস করেননি।

তিনি কি করলেন? দলীয় সাধারন সম্পাদক টেপরেকর্ডার নিয়ে যান স্বাধীনতার ঘোষণা রেকর্ড করতে। ফিরিয়ে দিলেন। বললেন, ‘এটা করে আমি রাষ্ট্রদ্রোহিতার প্রমান রাখতে চাই না। ২৭ তারিখ হরতাল ডাকছি, বাড়িতে যাও, নাকে তেল দিয়ে ঘুমাও!’

তার নির্দেশে দলের নেতাকর্মীরা সব পালালো। কিন্তু সতর্ক করলেন না দেশবাসীকে- ক্রাকডাউনে মরলো হাজার হাজার সাধারন মানুষ, একটা নেতাও মরেনি!

তাঁর স্ত্রী আগে থেকেই ঢোলা পাজামায় ফিতা ভরে সুটেকেস গুছাইয়া অপেক্ষায় থাকলেন, কখন নিতে আসবে। এবং যথারীতি আসলো। ফারল্যান্ড তেমনই কথা দিয়েছিলেন। প্রিয় এরিনমোর তামাক টানতে টানতে চলে গেলে। পশ্চিম পাকিস্তানে নেয়ার আগে ঢাকার জিওসির বাসভবনে অতিথিশালায় থাকলেন।

পরে তাঁর পরিবারের জন্য ইয়াহিয়ার কাছে থেকে মাসে ১৫০০ রুপী (যার বর্তমান মূল্য ৬ লাখ টাকা) ভাতা যোগাড় করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র!

যুদ্ধকালে তার জামাতা এম এ ওয়াজেদ সুধামিয়া পাকিস্তান সরকারের এটমিক কমিশনে চাকরি করলেন যুদ্ধের শেষ দিন অবধি, বেতনও নিলেন। তারা থাকতেন পাক বাহিনীর পাহারায় ধানমন্ডির এক বাড়িতে। নিজেদের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে বেগম সাহেব প্রায়ই দেখা করেন ইয়াহিয়ার গভর্নরের সাথে। সেখান থেকে বড় কন্যার গর্ভখালাস করে সন্তান জন্ম দেয় সরকারী হাসপাতালে, পাক বাহিনীর অফিসাররা স্যালুট দিয়ে আনা নেওয়া করতো সেনা গাড়িতে করে।

অন্যদিকে লায়ালপুর কোর্টে বিচার চলাকালে ২৯ বার এফিডেভিট দিয়ে তিনি বলেন- “আমি পাকিস্তান ভাঙ্গার সাথে জড়িত নই, পূর্ব পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে আমি নেই। আমাকে রেডিও টিভিতে নিয়ে চলো, আমি বার্তা দিতে তৈরী!”

পূর্বপাকিস্তান স্বাধীন হয়ে গেছে শুনার পরে তিনি সেজদায় পরে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করলেন- “ইয়া আল্লাহ, এ তো আমি চাইনি!” সিহালা পুলিশ রেস্ট হাউজে ২৬ ডিসেম্বর ভুট্টো বৈঠক করতে এলে তিনি জানতে চান, “তুমি কি করে প্রধানমন্ত্রী হলে? আমি মেজরিটি পার্টির লীডার। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা আমার! ভুট্টো বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের পতন হয়েছে।” তিনি লাফ দিয়ে উঠেলেন- “এটা কি করে সম্ভব? আমাকে টিভি রেডিওতে নিয়ে চলো, আমি ঘোষণা দিব, পূর্ব পাকিস্তানই থাকবে!” বহুবার  বলেছেন ..... “তাজুদ্দিন বদমাশ, গরবর করেগা”। ...আরও বললেন, “ইয়াহিয়া গাদ্দার, ইন্ডিয়ার এজেন্ট। পাকিস্তান বরবাদ করতে চায়!” আমি পাকিস্তানের জন্য কঠিন পরিশ্রম (মুশাকাত) করতেছি!”

স্বাধীন বাংলাদেশ হওয়ার খবর শোনার ৩ সপ্তাহ পরও তিনি ছবি তুলে পাকিস্তানের নতুন পাসপোর্ট বানালেন! পাকিস্তানের নাগরিক হয়েই তিনি দেশে ফিরে সদস্য স্বাধীন বাংলাদেশের গদিতে আরোহন করলেন!

তিন বছর পরে জিগরি দোস্ত ভুট্টোকে দাওয়াত করে আনলেন ঢাকায়! তখন ঢাকায় আবার শোনা গেলো ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ শ্লোগান, বঙ্গভবনে উড়লো পাকিস্তানের পতাকা। বন্ধুকে বাঁচাতে ছেড়ে দিলেন সব যুদ্ধাপরাধীদের!

যার লাইফটাইম এচিভমেন্টের জন্য পাওয়ার কথা নিশান-ই-পাকিস্তান তাকে জোর করে বানানো হচ্ছে ‘জাতির পাপ্পা’! এক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানকে বরখান্ত করে কি এসব ইতিহাস ধামাচাপ দেয়া যাবে? সব বেরিয়ে আসবে এবং উপযুক্ত মূল্যায়ন হবে।