Thursday 23 May 2024

এপার্টমেন্ট কেনা একটা জঘন্য রকমের ইনভেস্টমেন্ট।

বাংলাদেশে এপার্টমেন্ট কেনা একটা জঘন্য রকমের ইনভেস্টমেন্ট। এটার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে বাংলাদেশে এসেটের দামের তুলনায় ভাড়া হাস্যকর রকমের কম! ছোট একটা উদাহরণ দেই। ধরেন আপনি উত্তরায় ২০০০ স্কয়ার ফিটের একটা এপার্টমেন্ট কিনলেন, দাম নিল দুই কোটি টাকা। এই বাসার ভাড়া হবে বড়জোড় পঞ্চাশ হাজার টাকা। ধরে নিলাম একজন এই বাসাটা কিনে নিজেই থাকা শুরু করলো। আমরা তার অপোরচুনিটি কস্ট ক্যালকুলেট করবো। হিসাবের সুবিধার্থে আমি ইনফ্লেশন ক্যালকুলেট করবো না, এটা উভয় পক্ষের হিসাব থেকেই বাদ যাবে। এপার্টমেন্টটা যদি সে না কিনতো, পঞ্চাশ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে সে এই বাসাতেই এক বছরে মাত্র ছয় লাখ টাকা দিয়ে থাকতে পারবে। মানে দশ বছর থাকতে পারবে ষাট লাখ টাকায়। তিরিশ বছর থাকতে পারবে এক কোটি আশি লাখ টাকায়! সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল, তাকে এককালীন যে দুই কোটি টাকা ইনভেস্ট করতে হত সেটা করতেই হল না। তার সঞ্চয় খরচ হল না, তার চিকিৎসার সিকিউরিটি থাকলো, তাকে তার সারা জীবনের সব সঞ্চয় এক জায়গায় বিনিয়োগের ঝুকি নিতে হল না, তাকে ঋণের দায় নিতে হল না। এই দুই কোটি টাকা সে অন্য যে কোন জায়গায় ইনভেস্ট করে তিরিশ বছরে আরও অনেক টাকা বানাতে পারে। ধরলাম সে ইনভেস্ট করবে না, সে সবচেয়ে বাজে উপায়ে টাকাটা ব্যবহার করবে। অর্থাৎ সে শুধু ব্যাংকে টাকাটা রেখে দিবে। ধরলাম ব্যাংক তাকে ৬% হারে সুদ দিবে। তাহলে দুই কোটি টাকায় বছরে সে পাবে ১২ লাখ টাকা। অর্থাৎ মাসে এক লাখ। পঞ্চাশ হাজার টাকা ভাড়া দিয়েও হাতে আরও পঞ্চাশ থাকে। তিরিশ বছরে সংখ্যাটা তিন কোটি ষাট লাখ টাকা শুধু ইন্টারেস্টেই! সঞ্চয়পত্রে ইনভেস্ট করলে সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি। আর এই তিরিশ বছরে আপনার কেনা ফ্ল্যাট এর চেহারার অবস্থা কি দাঁড়াবে বলেন তো? ফ্ল্যাট তো জমি না, এর ডেপ্রিসিয়েশন আছে। এখনকার বাজারে তিরিশ বছরের পুরনো একটা ফ্ল্যাট কিনতে যান, বুঝবেন। ক্রেতা পান কিনা সন্দেহ! আর নিজেরা থাকলে বিল্ডিং ভেংগে আবার নতুন করে বাড়ি বানাতে হবে- আরও খরচ! নিজের ফ্ল্যাটে প্রতিবেশিরা ভাল না হলে ইউ উইল বি স্টাকড, আজীবন টক্সিক একটা পরিবেশে থাকতে হবে। ভাড়া বাসায় পুরো তিরিশ বছরই নতুন ফ্ল্যাটে থাকতে পারবেন, সুবিধা অনুযায়ী এলাকায় শিফট করতে পারবেন, পরিবেশ ভাল না লাগলে বদলে ফেলতে পারবেন। অনেকে আবার লোন করে ফ্ল্যাট কিনে। বিশ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে যে ফ্ল্যাটে থাকা যায়, সেই ফ্ল্যাটে ডাউন পেমেন্টের টাকা পকেট থেকে দিয়ে তিরিশ হাজার টাকা প্রতি মাসে কিস্তি দেয়। এসেট হয়ে যায় লায়াবিলিটি, প্রতি মাসে যার খরচ দশ হাজার টাকা! "নিজের বাড়ি" একটা বিংশ শতকের এলিটিস্ট আবেগ। একে প্রশ্রয় না দিয়ে স্মার্ট হোন! বড়জোড় একটা জমি কিনে রেখে ভাড়া থেকে জীবন কাটায় দেন! (ডিসক্লেইমার: আমি অবশ্যই বলছি না যে টাকা নিয়ে ব্যাংকে ফেলে রাখা ভাল জিনিস। এটা টাকার সবচেয়ে বাজে ব্যবহার৷ উদাহরণ টানলাম এটা বোঝাতে যে টাকার সবচেয়ে বাজে ব্যবহারও ফ্ল্যাট কেনার চেয়ে ভাল) লেখক : খালেদ মাহমদ #সংগ্রকৃত #ভূমিপরামর্শক #বাড়ী #দলিললেখক #নওয়াবআলী #ভুমি_পরামর্শক_পেইজে_লাইক_দিয়ে_সাথেই_থাকুন #everyonefollowers #facebookviral #followers #highlightseveryone

Tuesday 21 May 2024

বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সের ভিসার জন্য আবেদন

বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সের ভিসার জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া বেশ কিছু ধাপ ও ডকুমেন্টেশনের প্রয়োজন হয়। ফ্রান্সের ভিজিট ভিসা (শেঞ্জেন ভিসা) ৯০ দিনের কম সময়ের জন্য ভ্রমণকারীদের জন্য হয়। নিচে বিস্তারিত প্রক্রিয়া তুলে ধরা হলো: ধাপ ১: ভিসার ধরন নির্ধারণ আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং সময়কাল অনুযায়ী, আপনি কোন ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করবেন তা নির্ধারণ করুন। সাধারণত, ফ্রান্সের জন্য শেঞ্জেন ভিজিট ভিসা (শর্ট স্টে) পর্যটন, ব্যবসা, বা পরিবার ও বন্ধুদের সাথে দেখা করার জন্য হয়ে থাকে। ধাপ ২: আবেদন ফর্ম পূরণ ফ্রান্সের শেঞ্জেন ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে। এটি অনলাইনে পাওয়া যেতে পারে [France-Visas ওয়েবসাইটে](https://france-visas.gouv.fr/)। ধাপ ৩: প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সংগ্রহ নিম্নলিখিত ডকুমেন্টসগুলি সাধারণত ফ্রান্সের ভিজিট ভিসার জন্য প্রয়োজন হয়: 1. পাসপোর্ট: আপনার পাসপোর্টটি ভিসার আবেদন জমা দেওয়ার তারিখ থেকে কমপক্ষে তিন মাস পর পর্যন্ত বৈধ হতে হবে এবং এতে অন্তত দুটি খালি পৃষ্ঠা থাকতে হবে। 2. আবেদন ফর্ম: সম্পূর্ণ পূরণ করা এবং স্বাক্ষর করা শেঞ্জেন ভিসা আবেদন ফর্ম। 3. ফটো: সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের ছবি (বায়োমেট্রিক ফটো)। 4. ফ্লাইট বুকিং: ফ্রান্সে আসা-যাওয়ার নিশ্চিত ফ্লাইট টিকেট। 5. হোটেল রিজার্ভেশন: ফ্রান্সে থাকার সময়কালীন হোটেল বুকিং বা থাকার ব্যবস্থা। 6. বীমা: ভ্রমণ স্বাস্থ্য বীমা, যা শেঞ্জেন অঞ্চলে আপনার পুরো থাকার সময়কালের জন্য অন্তত ৩০,০০০ ইউরো পর্যন্ত কভার করবে। 7. আর্থিক ক্ষমতার প্রমাণ: আপনার ভ্রমণ এবং ফ্রান্সে থাকার সময়কালের জন্য পর্যাপ্ত অর্থের প্রমাণ। এটি ব্যাংক স্টেটমেন্ট, চাকরির সার্টিফিকেট, বা স্পনসরশিপ লেটার হতে পারে। 8. কাভার লেটার: আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং বিস্তারিত বিবরণ সহ একটি চিঠি। 9. ভিসা ফি: নির্ধারিত ভিসা ফি জমা দেওয়া। ধাপ ৪: ভিসা আবেদন জমা ফ্রান্সের ভিসা আবেদন গ্রহণের জন্য নির্ধারিত ভিসা আবেদন কেন্দ্র (VFS Global) বা ফ্রান্সের দূতাবাসে ভিসা আবেদন জমা দিতে হবে। VFS Global বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত। ধাপ ৫: বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান ভিসা আবেদন জমা দেওয়ার সময়, আপনাকে আপনার বায়োমেট্রিক তথ্য (ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ছবি) প্রদান করতে হবে। ধাপ ৬: সাক্ষাৎকার কিছু ক্ষেত্রে, ভিসা অফিসার সাক্ষাৎকারের জন্য আপনাকে ডাকতে পারেন। এই সময় আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা হতে পারে। ধাপ ৭: ভিসা প্রসেসিং সময় ভিসা আবেদন জমা দেওয়ার পর সাধারণত ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে ফলাফল জানা যায়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি সময় নিতে পারে। ধাপ ৮: পাসপোর্ট সংগ্রহ ভিসা অনুমোদিত হলে, আপনাকে ভিসা স্ট্যাম্প করা পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে। আপনি VFS Global বা দূতাবাস থেকে এটি সংগ্রহ করতে পারেন। এটি ফ্রান্সের ভিজিট ভিসার জন্য বাংলাদেশ থেকে আবেদন করার সাধারণ ধাপ। সঠিক এবং আপডেটেড তথ্যের জন্য ফ্রান্সের দূতাবাস বা VFS Global এর ওয়েবসাইট পরিদর্শন করা উচিত।