Thursday 17 August 2023

বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছিল।

সাইদীর জানাজায় মানুষের ঢল নামায় আজব এক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে পুরা বাংলাদেশে। উনার জন্য ইন্নালিল্লাহি পড়ায় বিতর্কে পরেছেন হুজুর স্কুলের শিক্ষক থেকে আওয়ামী লীগের হাজারো নেতা কর্মীরা । আমিও ক্ষমা করে দোয়া চেয়ে বিরোধের জন্ম দিয়েছি। সবার এখন একটাই প্রশ্ন কেন বঙ্গবন্ধুর জানাজায় সামান্য কিছু মানুষ হয়েছিলো? স্বাধীনতা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা বাদ দিলাম। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি দেশকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারেন নি। বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা এতটাই নীচে নেমে গিয়েছিল যে 'তার নিজের দলের নেতারা মার্কিন দূতাবাসে বারবার গিয়েছিল বঙ্গবন্ধুর ব্যাপারে একটা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।' এবার আসি দেশের জনগণের প্রতিবাদ নিয়ে। নিজ দলীয় লোকদের লুটপাট, রাজনৈতিক দলগুলোকে বিলুপ্তকরণের কারণে অনেক ক্ষেত্রেই তার উপর মানুষের একটা ক্ষোভ জন্মায়। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে দেশের ইতিহাসে সবথেকে ভয়ঙ্কর দুর্ভিক্ষ হয়েছিল যেখানে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করেছিল। সারা দেশে শুধু হাহাকার চলতেছিল। দলীয় এবং সরকারি লোকদের কিছু না হলেও এর প্রভাব দেশের সাধারণ জনগণ ভালো করেই টের পেয়েছিল যার ক্ষোভ গিয়ে পড়েছিল বঙ্গবন্ধুর চরম অব্যবস্থাপনার উপরে। এক্ষেত্রে আওয়ামীলীগের লোকেরা যে যুক্তিটি সবথেকে বেশি দাঁড় করায় তা হচ্ছে সারা দেশে কারফিউ জারি ছিল। এটা স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধুর অজনপ্রিয়তাকে ঢাকতে তা কেবলই একটা প্রোপাগান্ডা মাত্র। তারা এটা ভুলে যাচ্ছেন যে এই অভ্যুন্থান সেনাবাহিনীর মাত্র ২ টি ইউনিটের ৯০০ জন সৈন্য অংশগ্রহণ করেছিল তাও কিছু না বুঝে। বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা এতটাই নীচে নেমে গিয়েছিল যে তার মৃত্যুর পর ঢাকা শহরে একটা প্রতিবাদী মিছিল পযর্ন্ত বের হয় নি। মূলত, তার সুবিধাভোগী ব্যক্তিবর্গরা একটু ভয় পেয়েছিলেন। সেসময়ের কিছু কথা হুবহু তুলে দিলাম। লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব) এম এ হামিদ সাহেবের ভাষ্যমতে, " বঙ্গবন্ধুর বাড়ি পরিদর্শনের পরে) ৩২ নং রোড থেকে ফিরে আমি স্টেশন হেডকোয়ার্টার থেকে জেনারেল শফিউল্লাহকে জানালাম ১৪৪ ধারা জারির কোন দরকার নেই। কোনরকম গন্ডগোলের আশঙ্কা কোথাও নেই। " তিনি আরো লিখেছেন, দুপুরে আমার অফিসে বসে স্টেশন সিকিউরিটি প্লান বানাচ্ছিলাম। এমন সময় জেনারেল শফিউল্লাহর ফোন এলো। তিনি আমাকে তাড়াতাড়ি শহরের অবস্থাটাও দেখে আসতে বললেন। সেই সাথে ৩২ নম্বর রোডের অবস্থাটাও দেখে আসতে বললেন। আমি সিকিউরিটি প্ল্যানের একটা খসড়া দাঁড় করিয়ে আমার স্টাফ অফিসারকে মোসাবিদা করতে বলে জিপ নিয়ে শহরের দিকে ছুটলাম। এয়ারপোর্ট রোড ধরে এগিয়ে আসছিলাম। রাস্তাঘাট ফাঁকা। সবাই ভীত-সন্ত্রস্ত। মোড়ে মোড়ে জটলা। ফাঁকা রাস্তা পেয়ে একটি মাত্র জীপই বীরদর্পের সশব্দে এগিয়ে যাচ্ছিল। আওলাদ হোসেন মার্কেট, ফার্মগেট দিয়ে যাওয়ার পথে বিভিন্ন স্থানে আর্মি জিপ দেখে হাত নেড়ে স্লোগান তুললো, আল্লাহু আকবার ! সেনাবাহিনী জিন্দাবাদ ! একদিনেই এত পরিবর্তন ! অথচ গতকালও পরিস্থিতি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। কি অবাক কান্ড ! তবে আমার বুঝতে অসুবিধা রইলো না যে, পরিবর্তিত অবস্থাকে সাধারণ মানুষ মেনে নিয়েছে। কোন বড় রকমের গন্ডগোল হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই। আমি ১৪৪ ধারা জারির পক্ষে কোন যুক্তি দেখতে পেলাম না। শুধুমাত্র ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোডে সৈনিকরা বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছিল। মূলত এই ঘটনায় অনেকেই খুশি ছিলেন, এজন্য প্রতিবাদ করেন নি। অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের ভাষ্যমতে, মুজিবের মৃত্যুর ১০ বছর পরেও আত্মীয়-পরিজনদের মতানৈক্যের জন্য তাদের গ্রামের বাড়ি টুঙ্গিপাড়ায় মুজিবের সমাধির উপর একটি সুযোগ্য স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করতে পারেননি বলে, তার কন্যা হাসিনা আমাকে জানান। মুজিবের নাকি অনেক জনপ্রিয়তা ছিল জনগণের কাছে, এমনটাই দাবি আওয়ামীলীগের। চিন্তা করেন, যে দলের লোকেরা দশ বছরেও নিজের নেতার একটা স্মৃতিসৌধ তৈরি করতে পারেন নি, তারা প্রতিবাদ করবে কিভাবে? তার জনপ্রিয়তায় ভাটা পরার কারন কী ছিলো? এজন্য আপনাকে শেখ মুজিব সাহেবের শাসনামল পড়তে হবে। তবে একটা বক্তব্যের মাধ্যমে কিছু একটা ধারনা সবাই পেয়ে যাবেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী বলেন, Althought he lacked any sophisticated knowledge of running a modern government. For his own part he was content to centralize all powers in his hands and attempted to rule the country like a medieval despot. অনুবাদ : আধুনিক একটা রাষ্ট্র চালানোর যে দক্ষতা থাকা দরকার, শেখ মুজিবের মধ্যে তার ঘাটতি ছিল। তার নিজের অধীনে তিনি সমস্ত ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করতে সন্তুষ্ট ছিলেন এবং মধ্যযুগীয় স্বৈরশাসকের মতো দেশ শাসন করতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর এই মধ্যযুগীয় কায়দায় দেশ চালানোই তার জনপ্রিয়তাকে নিচে নামিয়ে দিয়েছিল। দেশের অবস্থা চরম অবনতির পর্যায়ে নেমে গিয়েছিল সরকারি দলের লুটপাট আর নৈরাজ্যের কারনে। অ্যান্থনী মাসকারেনহাসের বক্তব্য অনুসারে, দুইশত কোটি ডলার পরিমাণ আন্তর্জাতিক সাহায্য দেশে আসার পরও ১৯৭৩ সালের শেষের দিকে দেশটি দেউলি হয়ে গেল। আমদানি আর বিতরণ প্রক্রিয়ার প্রত্যেকটি স্তরে দুর্নীতি, কালোবাজারি, চোরাচালানি ইত্যাদির বদৌলতে খাদ্য সরবরাহ অবনতির দিকে দিকে ধাবিত হতে লাগলো। চালের দাম অস্বাভাবিকভাবে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেল। তারপরই দেশের প্রায় অর্ধেক এলাকা প্রলয়ংকারী বন্যায় ডুবিয়ে দিলো। মানুষখেকো বাঘের মতো দুর্ভিক্ষ সদর্পে সারাদেশে ছেয়ে গেল। গ্রামগুলোতে মশা মাছির মতো মানুষ মরতে শুরু করলো। উল্লেখ্য, শেখ মুজিব সাহেব স্বীকার করেছিলেন যে, খেতে না পেয়ে প্রায় ২৭,০০০ লোক মরে গেছে কিন্তু বাস্তবে লক্ষাধিক মানুষ মারা গিয়েছিল। এইরকম মারাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছিল। রেফারেন্স বই ও তথ্য : ১। Bangladesh: A Legacy Of Blood, Anthony Mascarenhas. অনুবাদক : মোহাম্মদ শাহজাহান ২। তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা, লে. কর্নেল (অব.) এম.এ হামিদ, পিএসসি। ৩। The Killing of Sheikh Mujibur Rahman: New Zealand International Review (September/ October 1976), Page: 18

অধ্যাপক ইউসুফ আলী: সব সরকারের মন্ত্রী

এটা পড়ার পর আগামী দুই দিন পাগল থাকবেন 🤣 আমি আগে
সম্পর্কে জানতাম- তিনি মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন। বাকি অল্প স্বল্প জানতাম। একটা ফেসবুক পোস্টের সূত্রে বাংলাপিডিয়া দেখে যা জানলাম- উনি ছিলেন বাংলার অধ্যাপক। ৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তান আইনসভার সদস্য হন। ৬৫ সালে পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য, ৭০ সালে আবার গণপরিষদের সদস্য এবং চিপ হুইপ। মুজিবনগর সরকারের ইউথ কন্ট্রোল বোর্ডের চেয়ারম্যান। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সরকারের শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রী, ৭৫ সালে বাকশালের শ্রমমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু নিহত হলে খুনী মোশতাকের পরিকল্পনা মন্ত্রী, ৭৭ সালে আওয়ামীলীগ (মিজান) এর সাধারণ সম্পাদক, ৭৯ সালে জিয়ার(বিএনপি) শ্রমমন্ত্রী, ৮১ সালে বিচারপতি সাত্তারের পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী, ৮২ সালে এরশাদের সময় বিচারপতি সাত্তারের সরকারে শিল্পমন্ত্রী, ৮৫ সালে এরশাদের মন্ত্রীসভায় (জাতীয় পার্টি) ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী হন!! কেমন বোধ করছেন? 🤣

এ্যাভারেজ আমেরিকান মহিলারা মাত্র সাতাশ মিনিট আর বাঙ্গালি মহিলারা গড়ে সাড়ে পাঁচ ঘন্টা সময় প্রতিদিন রান্নাঘরে ব্যয় করে।

বাংগালী নারীদের জীবনের বিশাল অংশ এই রান্নাঘরেই কেটে যায়। কয়েকসপ্তাহ আগে আমার প্রতিবেশী হ্যারল্ডের বাসায় আমাদের ডীনারের দাওয়াত ছিলো। সন্ধ্যা ছটার আগেই সাধারণত এরা ডীনার শেষ করে। একেবারে ঘড়ির কাঁটায় ঠিক ছটা বাজেই ডীনার শুরু হলো। ডীনারের আয়োজন ছিলো টুনা ফীস, সালাদ, কিছু চিপস আর কোমল পানীয়। ব্যস । হ্যারল্ডের ওয়াইফ ম্যারি আর হ্যারল্ড আমাদের সাথে ক্লান্তিহীন আড্ডা দিলেন। রান্নার আয়োজন যেহেতু কম-আড্ডার আয়োজনতো সুন্দর হবেই। কেউ যদি বলে বাংগালীরা আড্ডা প্রিয়। কথাটি ভুল। আমরা আসলে ভোজনপ্রিয়। আমাদের বাসায় কারো দাওয়াত মানেই বিশাল রান্নার আয়োজন। কে কত আইটেম বাড়াতে পারে ভাবীদের সাথে ভাবীদের চলে এর প্রতিযোগিতা। যেদিন অতিথিদের নিমন্ত্রণ বলতে গেলে এর এক সপ্তাহ আগে থেকেই শুরু হয় রান্নার আয়োজন। একেকটা রান্নার আয়োজন একেকটা ঘুর্ণিঝড়। এরকম ঘুর্ণিঝড়ের ভিতর সময় পার করে ঘরের বউ, ভাবী ক্লান্ত, বিধ্বস্ত। সুতরাং সুন্দর পরিবেশে বসে আড্ডাটা হবে কখন? রান্নাঘর আর বাথরুম দেখে মানুষের পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে একটা ভালো ধারণা পাওয়া যায়। হ্যারল্ডের ঘরে পা দিয়েই বুঝা গেলো- কত সুন্দর, পরিপাটি আর কত পরিচ্ছন্ন হতে পারে একটি ঘরের পরিবেশ। সুন্দর ঘর রাখার অন্যতম প্রধান কারণ হলো- ওদের রান্নার আয়োজন খুবই কম। আপনি যখন গরম তেলের ওপর দুনিয়ার নানা রকমের মশলা ছাড়বেন- সাথে সাথেইতো ঘর গ্রীজি হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিবে। আর এই তৈলাক্ত গ্রীজ শুধু আপনার কিচেন নষ্টই করছেনা। আপনার উদরও নষ্ট করছে। তবে কি আমেরিকানরা রান্না করেনা। না করলে এতো গ্রোসারি আইটেম যায় কই । জ্বি করে। বেশ আয়োজন করেই করে। তবে একদিনে চৌদ্দ পনের পদ তৈরি করে- ডাইনিং টেবিলের এই মাথা থেকে ঐ মাথা পর্যন্ত খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেনা। আমি নিজেও বুঝিনা। এতো পদ দিয়ে একসাথে খাবার খেয়ে এতো ভূরিভোজনের দরকারটাই বা কি? কালকে মারা গেলে- আজকে বেশ করে খেয়ে নেন ঠিক আছে। কিন্তু তাই যদি না হয়- তবে আজকে দুপুরে এক আইটেম দিয়ে খান। রাতের বেলা আরেকটা দিয়ে খান। এভাবে প্রতিদিন একেকটা আইটেম দিয়ে খেলেইতো নানা রকমের খাবারের স্বাদ পাওয়া যায়। আমাদের পিকনিক মানেই ঐ খাবার দাবার। গাড়ীতে খাবার ঢুকাও, গাড়ী থেকে খাবার নামাও, খাবার সাজাও, খাবার রান্না করো, খাবার পরিবেশন করো, খাবারের পর এবার তালা, বাসন, বাটি, ঘটি গাড়িতে তোল। ব্যস খাবারের আয়োজনের ভিতরই পিকনিক শেষ । একবার সমূদ্র দর্শন করতে গিয়ে দেখলাম- এক আমেরিকান কী সুন্দর করে ফোল্ডিং চেয়ার খোলে পানিতে পা ভিজিয়ে বসেছে। ঘন্টার পর ঘন্টা যায়। সে বসা। তার মাথার ওপর ছাতা। পাশে একটা ড্রিংক। বুঝা গেলো সে আজ মন প্রাণভরে সমূদ্র দেখবে। আর আমরা- খাবার খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে সমূদ্র দেখলাম। আর সমূদ্র দেখার পাশাপাশি এই দোকানে ঢু মারলাম, আরেক দোকান থেকে বের হলাম, একটু এদিক ওদিক ঘুরলাম, রাজনীতি, কম্যুনিটি নীতি, ট্রাম্প, মোদি, গদি, হাসিনা, খালেদা, পাপিয়া, সাফিয়া,কাদেরি , তাহেরি সহ দুনিয়ার সব বিষয়ে বিপুল আলোচনা, হালকা বাক বিতণ্ডা, ঝাপসা মনোমালিন্য নিয়ে সমূদ্র জয়ের পাশাপাশি দুনিয়া জয় করে ঘরে ফিরলাম। গত শনিবার। গ্রোসারি কিনতে যাবো। দেখি হ্যারল্ড। সেও আমার সাথে যাবে। আমাদের গ্রোসারির লিস্টি মাশাল্লাহ- এইগুলো একটার সাথে আরেকটা জোড়া লাগালে- চাঁদের দেশে যাওয়া যাবে। মাংসের জন্য এক দোকান, মাছের জন্য আরেক দোকান। সব্জির জন্য ফার্মাস মার্কেট। সেখানে আবার দেশি লাউ পাওয়া যায়না। যাও আরেক দোকান। কাঁচামরিচের জন্য আরেক জায়গায়। দুধ-ডিমগুলো আবার এইসব দোকানে ভালো পাওয়া যায়না। যাও আমেরিকান গ্রোসারিতে। বিশাল লিস্টের যুদ্ধ শেষ করে যখন ফিরছি- হ্যারল্ড বললো- একটু দাঁড়াও। এক ফাস্টফুডের দোকানে দাঁড়ালাম। হ্যারল্ড একটা স্যান্ডউইচ কিনলো। স্যান্ডউইচের অর্ধেক সে খাবে। বাকি অর্ধেই ওর বউয়ে খাবে। ঝামেলা শেষ। সেইজন্য ওরা নাসা থেকে স্পেসে যায়। আর আমরা বেডরুম থেকে কিচেন আর কিচেন থেকে বেডরুমে যাই। আর, এর ফাঁকে ফাঁকে ইয়া বড় বড় ভুড়ি বানাই। স্পেশ স্টেশানে যাওয়ার সুযোগ আসলে আমরা খোঁজ নিবো- কিমার জন্য ফ্রেশ গ্রাউন্ড বীফ, কাচ্চি বিরিয়ানির মশলা, ডালের জন্য পাঁচফোড়ন, খাওয়ার পর গোলাপজামুন, চায়ের সাথে বিস্কুট, পানের সাথে চুন, খয়ের এসব কিছু সেখানে ঠিকঠাক পাওয়া যাবেতো? আমি একটা জিনিস পর্যবেক্ষণ করলাম। যার গ্রোসারির ট্রলি যত বড়- মেধা আর যোগ্যতায় সে তত ছোট। যারা দরিদ্র-অর্থের অভাবে খেতে পায়না-সেটা ভিন্ন কথা। মেক্সিকান আর আমাদের গ্রোসারির ট্রলিগুলো যেন একেকটা মুদির দোকান। চেকআউট লেনে দাঁড়ালে মনে হয় কোনো ছোট দোকান ঘরের পিছনে দাঁড়িয়ে আছি। এতো বেশি বেশি খাবার উদরে যায় বলে আমাদের মগজে আর বেশী কিছু যায়না। হিসপানিক আর ভারতীয় অধ্যুষিত এলাকায় আপনি কোনো ভালো লাইব্রেরি কিংবা কোনো ভালো বইয়ের দোকান পাবেন না। এগুলো পাবেন শুধু সাদা বিশেষ করে ইহুদি অধ্যুষিত এলাকায়। রান্না করে আর খেয়েইতো আমাদের জীবন শেষ। অধ্যাবসায়ের অতো সময় কোথায়? বিল গেটস, মার্ক জুকারবার্গ, স্টিভ জবস ওনাদের সামনে কোনোদিনও ইয়াবড় খাবারের প্লেট দেখিনি। যেমন দেখেছি-রাজা-বাদশাহ-আমীর ওমরাহদের সামনে। প্রিয় ভাই, চাচা, বাবা, দাদারা দয়া করে বউ, ভাবি, বোন, চাচী, মাসিদের রান্নাঘরের একচেটিয়া জীবন থেকে মুক্তি দিন। আর ভাবী, আপা আপনারাও একজনের সাথে আরেকজনের রান্নার আইটেম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা থেকে দয়া করে নিজেদের হেফাজত করুন। এক জনে পাঁচজনের জন্য প্রতিদিন পাঁচপদ রান্না না করে পাঁচজনে মিলে একপদ রান্না করুন। সম্পর্ক বাড়বে। ভালোবাসা তৈরি হবে। কষ্ট লাঘব হবে। কিচেনে আপনার সময় যত বাড়বে- ভাইয়ের ভুড়িও তত বাড়বে। আর এই ভুড়ি ভালোবাসা না। এটা সর্বনাশা। এটা জীবননাশা। জীবন ধারনের জন্য খেতেতো হবেই। কিন্তু রান্নাঘর আর ভোজন যেন আমাদের পুরো জীবনটাই খেয়ে না ফেলে- দয়া করে সেদিকে একটু লক্ষ্য রাখব। © আরিফ মাহমুদ

Wednesday 16 August 2023

২১ দিন কী করেছেন তোফায়েল-রাজ্জাক?

◾আওয়ামী লীগের ১৯৭৫ পরবর্তী রাজনীতির বড় পুঁজি হচ্ছে 'মুজিব হত্যা'। 'পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বাকশাল-এর মুজিববাদী সমাজতন্ত্রের বিরোধী গণতন্ত্রপন্থী নেতাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের নেতৃত্বে এক রক্তক্ষয়ী সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে। এতে ক্ষমতার পটপরিবর্তন ঘটে এবং একদলীয় শাসন উৎখাত করে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরে আসে। এই রক্তক্ষয়ী পটপরিবর্তনকে আওয়ামী লীগ শেখ মুজিবুর রহমান ও তার স্বজনদের নিছক খুনের ঘটনা বলে প্রচার করে। একসময় তারা খুনের বিচার চেয়ে রাজনীতি করতো। পরে খুন দেখিয়ে অভ্যুত্থানে জড়িত মুক্তিযোদ্ধা সেনা অফিসারদের তারা অধিকাংশের ফাঁসি কার্যকর করে। এরপর সেই রক্তাক্ত ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমান ও স্বাধীনতা-বিরোধীদের দায়ী করে রাজনীতি করতে থাকে। এর পাশাপাশি এবার তারা নিজেরাই আঙুল তুলেছে নিজেদের ঘরের দিকে। শেখ হাসিনা নিজেই এক লেখা লিখে তার দলের লোকদের দিকে সন্দেহের তীর ছুঁড়েছেন। তাদের একটি অনলাইন প্রোপাগান্ডা সাইট, সৈয়দ বোরহান কবিরের 'বাংলা ইনসাইডার' এ নিয়ে এক রচনা প্রচার করেছে। তাতে '৭৫-এর ১৫ আগস্টের অভিযানে আ.লীগের গৃহশত্রু বিভীষণদের ভূমিকা যাচাই করে দেখার জন্য একটি জাতীয় কমিশন গঠনের প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে। এ রচনা পাঠে আমি আমোদ পেয়েছি। আপনারাও যারা মজা পেতে চান, তারা পড়ে দেখতে পারেন।◾ ****************************************************** বাংলা ইনসাইডার-এর রচনা। শিরোনাম :
````````````````````````` ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি উঠেছে। যে কোনো সময় তদন্ত কমিশন গঠনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে- এমন কথাও শোনা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির একটি লেখা শোকাবহ আগস্টের আগের দিন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ‘বেদনায় ভরা দিন’- শিরোনামে এই লেখাটি এখন টক অফ দা টাউন। এই লেখায় তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের ব্যর্থতা এবং নির্লিপ্ততা নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছেন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের সেই সময়ের জনপ্রিয় দুই তরুণ নেতার ভূমিকা নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রশ্ন তুলেছেন। এদের একজন প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাক এবং অন্যজন তোফায়েল আহমেদ। প্রধানমন্ত্রীর লেখায় সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, এই দুই নেতাকে বঙ্গবন্ধু ফোন করেছিলেন, এদের একজন স্বেচ্ছাসেবকদের দায়িত্বে ছিলেন এবং অন্যজন রক্ষী বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই আওয়ামী লীগ সভাপতির এই লেখা আওয়ামী লীগের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। এই দুই নেতার ব্যাপারে নতুন করে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ সভাপতির এই লেখাই শেষ বিষয় নয়, আগস্টে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার ভূমিকা নিয়ে যতই গবেষণা করা যায়, ততই নিত্য নতুন তথ্য বের হয়। যে তথ্যগুলোতে সুস্পষ্টভাবে নেতাদের ব্যর্থতা, নির্লিপ্ততা, উদাসীনতা এবং কাপুরুষতার প্রমাণ পাওয়া যায়। ১৫ই আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর পরই খুনি মোশতাক নতুন সরকার গঠন করে এবং এই নতুন সরকারে আওয়ামী লীগের সব নেতাই যোগ দিয়েছিল। মজার ব্যাপার হলো- খুনি মোশতাকের মন্ত্রিসভায় কোন প্রধানমন্ত্রী রাখা হয়নি। বঙ্গবন্ধুর শেষ মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মনসুর আলী। তিনি ১৫ই আগস্টের পর তার বাসায় অবস্থান করছিলেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো- ১৭ই আগস্ট মনসুর আলীর সঙ্গে খুনি মোশতাক সাক্ষাৎ করেন। তাদের মধ্যে কি আলাপ-আলোচনা হয়েছিল, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য সেই সময়ের গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি। তবে ১৫ই আগস্ট থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত মনসুর আলী, নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, আব্দুস সামাদ আজাদ, কামরুজ্জামান ও কোরবান আলী কেউই গ্রেপ্তার হননি। তারা স্ব স্ব অবস্থানে ছিলেন। প্রশ্ন হচ্ছে এই ৮ দিন, অর্থাৎ ১৫ আগস্ট থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে তারা কি করলেন? তারা কি একটি প্রতিবাদও করতে পারলেন না? তারা কি ঘর থেকে বের হতে পারলেন না? তারা কি কর্মীদেরকে একটা নির্দেশ দিতে পারলেন না? এতোটুকুই ঝুঁকি যদি রাজনীতিতে কেউ না নেয়, তাহলে সে রাজনীতিকে কি বলা উচিত? জাতীয় চার নেতাসহ অন্যান্যদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ২৩শে আগস্ট। তার আগে পর্যন্ত তারা আসলেই যথাযথ ভূমিকা পালন করেছিলেন কিনা?- সে প্রশ্ন ইতিহাসে অমীমাংসিত হয়েই থাকবে। তবে তোফায়েল আহমেদ এবং আব্দুর রাজ্জাকের দায়টি আরও বেশি। তোফয়েল আহমেদ এবং আব্দুর রাজ্জাক, দুজনই গ্রেপ্তার হন ৬ সেপ্টেম্বর। ১৫ই আগস্ট থেকে ৬ সেপ্টেম্বর, ২১ দিন। অর্থাৎ তিন সপ্তাহের ব্যবধান। এই তিন সপ্তাহ তারা গৃহান্তরীণ থাকুক, গৃহবন্দি থাকুক বা যে অবস্থায় থাকুন না কেন, তারা বাড়িতে ছিলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার হননি। এই সময়ে তারা কি করেছেন? তাদের সাথে কি খুনিরা কোনো সমঝোতার চেষ্টা করেছিল? খুনিরা তাদেরকে গ্রেপ্তারে এতো বিলম্ব করল কেন? তোফায়েল আহমেদ বা আব্দুর রাজ্জাকের মত বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ নেতারা-তো সাথে সাথেই খুনিদের চরম টার্গেট হওয়ার কথা, যেভাবে টার্গেট হয়েছিলেন শেখ মনি। সেক্ষেত্রে তোফায়েল আহমেদ আর আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তারে এতো বিলম্ব হলো কেন? তাদের সাথে কি কোনো দরকষাকষির চেষ্টা হয়েছিল?- এই প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রয়োজন। আর এই প্রশ্নগুলোর উত্তরের জন্যই প্রয়োজন একটি জাতীয় কমিশন গঠন। ⚫

Tuesday 15 August 2023

সুখরঞ্জন বালি

একজন বহুদেববাদী সনাতন ধর্মাবলম্বী কিন্তু সত্য ন্যায়ের উপর তার ঈমানী জজবা ছিল ইস্পাত-দৃঢ়।গতকাল ও জানাজা কালে বেঈমান জালিমের সেবাদাসী উচ্ছিষ্টভোগী প্রশাসনের হাতে মৃত্যুঝুকি উপেক্ষা করে সবার সম্মুখে হাত তুলে আবার স্বাক্ষ্য দিয়েছেন আল্লামা সাঈদি নির্দোষ তার উপর জুলুম করা হয়েছে।