“কেউ নারী হয়ে জন্ম নেয় না, বরং ক্রমশ হয়ে ওঠে নারী।” (সিমোন দ্য বোভোয়ার)
একটি ছোট্ট মেয়েকে গাছে উঠতে দেখে পুরুষতন্ত্র বলবে না যে, মেয়েটি গাছে উঠতে ভালোবাসে; বরং বলবে, মেয়েটা ছেলে হতে চাইছে। একটি দেশের হয়তো প্রয়োজন একজন দক্ষ পাইলট কিংবা সুযোগ্য প্রধানমন্ত্রী, সেক্ষেত্রে বিবেচ্য হওয়া উচিত প্রার্থীদের যোগ্যতা; লিঙ্গ নয়।কিন্তু আসলেই কি লিঙ্গ বিবেচিত হইয় না? পুরুষতন্ত্র নারীর জন্য মানানসই মনে করেছে শুধু দুটি পেশা- শিক্ষকতা ও চিকিৎসা।এই দুইটি পেশাতেই পুরুষের তৈরি নারীর চিরন্তনী রূপ পাকাশ পায়।কিন্তু কেন? নারী কি পুরুষ যে পেশাগুলোতে খুব সহজেই বিচরণ করে সেগুলোর যোগ্য নয়? কেন নয়? নারী ও পুরুষ সমান নয় কী? পুরুষতন্ত্র জবাব দেবে,”সমান, তবে পৃথক।” এই উক্তিটি বিশ্বব্যাপী শোষিত শ্রেণীর প্রতি এক নিষ্ঠুর উপহাস। নারী পুরুষের সমান, তবে পৃথক; কৃষ্ণাঙ্গ সমান শ্বেতাঙ্গের, তবে পৃথক; দাসও তার মালিকের সমান, তবে পৃথক! পুরুষতন্ত্র আজো শক্তিমান, তাকে আঘাত করলে আজো সে পাল্টা আক্রমণ করে দ্বিগুণ নৃশংসতায়। সে বেঁচে থাকে এমনকি প্রগতিশীলের মনে কোনো এক প্রতিক্রিয়াশীল কুটিরে। মননশীল পুরুষের হৃদয়ের প্রথাবদ্ধ অংশে হয়তো জেগে থাকে পৌরুষের গৌরব, যেমন ছিলো রবীন্দ্রনাথের মাঝেও (দ্রষ্টব্য: নারী, হুমায়ুন আজাদ)। তাই নারীবাদী লেখালেখি আপনাকে খুব সহজেই অধিকাংশ পুরুষ এবং এমনকি নারীরও চক্ষুশূলে পরিণত করবে। যার প্রমাণ বহন করে তসলিমা নাসরিন।
নারীর পক্ষে লিখতে গেলে সর্বপ্রথম যে সমস্যায় পড়বেন, তা হলো “নারী” শব্দটি নিজেই অবমাননাকর! “নর” শব্দের অর্থ মানুষ এবং পুরুষ। এরসাথে প্রত্যয়যোগে তৈরি হলো “নারী”, যার অর্থ অভিধানে মেয়েমানুষ, স্ত্রীলোক, রমনী, মহিলা,পত্নী। ব্যাপারটা অনেকটা এমন, পুরুষই হচ্ছে প্রকৃত মানুষ আর নারীকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে মানুষের অপভ্রংস অতিরিক্ত জীবরূপে। ঠিক যেমন পৃথিবীর প্রধান তিনটি সৃষ্টিতত্ত্ব (ধর্মীয়,বৈজ্ঞানিক নয়)অনুসারে, প্রথম পুরুষের একাকিত্ব লাঘবের জন্যে সৃষ্টি করা হয়েছে প্রথম নারীকে-পুরুষের পাঁজরের বাঁকানো অতিরিক্ত অস্থি থেকে। “নর” এবং “নারী” শব্দের মধ্যকার এই বৈষম্য বিশুদ্ধ পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবের একটি অনন্য রূপায়ন, যেখানে নারী স্বতন্ত্র কিছু নয়,পুরুষেরই অংশবিশেষ মাত্র। তবু আমরা “নারী” শব্দটাই ব্যবহার করি, কারণ আমাদের এই মহান ভাষায় নারীর জন্য এটাই সবচেয়ে মর্যাদাকর শব্দ! অন্য শব্দগুলো, যেমন স্ত্রী, রমণী, ললনা, অঙ্গনা, কামিনী, বনিতা, মহিলা, বামা, নিতম্বিনী এরা নির্দেশ করে একটি যোনী ও জরায়ু সর্বস্ব গৃহাবদ্ধ জাতিকে। কিন্তু কেন নারীর সংজ্ঞা হয়ে উঠলো কেবল “যোনী ও জরায়ু”? কেন নারীর মানে হয়ে উঠলো কেবল মাতা, কন্যা, ভগ্নী, স্ত্রী অথবা উর্বশী? আজকের নারী কতটা এগিয়েছে মানুষ হবার পথে? সামনের দিনগুলোয় কেমন হবে দুই প্রধান লিঙ্গের পারস্পরিক সম্পর্ক? এই লেখাটিতে আমরা এসব প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করবো।
“স্ত্রীলিঙ্গ তার প্রজাতির শিকার”, বোভোয়ারের আরেকটি অবিষ্মরণীয় উক্তি। এটি অধিক সত্য জীবজগতের দুটি অন্যতম প্রধান শ্রেণী Aves (পক্ষিকুল) ও Mammalia (স্তন্যপায়ী)-র ক্ষেত্রে। নিজের তথা মনুষ্য প্রজাতির বংশধারা অক্ষুণ্ন রাখতে নারীকে গ্রহণ করতে হয়েছে শারীরিক অসুবিধা-ঋতুস্রাব, গর্ভধারণ ইত্যাদি। এখন কেউ যদি বলে, এর জন্য নারীর চলাফেরা সীমিত করতে হবে, নারী পারবে না বিশ্বজয় করতে, তাহলে তা নিতান্তই হাস্যকর। কারণ পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিজ্ঞান ব্যপক উন্নতি করেছে, উদ্ভাবিত হয়েছে নারীর অসুবিধা লাঘবকারী কার্যকর উপায় ও পণ্যসামগ্রী। গর্ভধারণকালে নারীকে যেসব সমস্যা পোহাতে হতো তার অনেকটাই লাঘব হয়েছে আজকের যুগে, সামনে আরো হবে। বিশ্ব জনসংখ্যা যে পর্যায়ে গিয়েছে এবং শিশু মৃত্যুহার যেভাবে কমছে, তাতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে একজন নারীর পুরো জীবনকালে এক বা দুইবার সন্তানধারণ করাই যথেষ্ট। তাহলে কোন যুক্তিতে নারীকে “সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র” বানিয়ে ঘরে বন্দি রাখা হবে? ভবিষ্যতে নারী মুক্তি পাবে গর্ভধারণের সম্পূর্ণ ভার হতেই, কেননা কৃত্রিম প্রজনন নিয়ে গবেষণা ইতিমধ্যে অনেকদূর এগিয়ে গেছে। এমনকি অদূর ভবিষ্যতে আরেকটি ঘটনা ঘটবার সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দেয়া যায় না: যেহেতু কৃত্রিম শুক্রাণু প্রয়োগ করে গর্ভধারণ সম্ভব হয়েছে; ফলে বিবর্তনবাদ অনুসারে, কমে যেতে পারে পুরুষেরই প্রয়োজ়নীয়তা।
পুরুষতন্ত্রের আরেকটি হাস্যকর দাবী হচ্ছে, নারী শারীরিকভাবে দূর্বল বলে সে পুরুষের সমান হতে পারবে না। আজকের সভ্যতা প্রায় সম্পূর্ণই মস্তিষ্কনির্ভরশীল। প্রযুক্তির প্রসার মানুষকে ক্রমেই মুক্তি দিচ্ছে শারীরিক শ্রমসাধ্য কাজগুলো থেকে। একসময় আমরা প্রতিটি মানুষের মেধাকে কাজে লাগানোর পর্যায়ে পৌঁছাবো; হোটেলের ওয়েটার থেকে শুরু করে ইট ভাঙার কাজের জন্য তখন আমাদের প্রচুর রোবট থাকবে। কাজেই নারীকে পৃথক করে রাখার সব অজুহাতই দিনদিন অসাড় হয়ে যাচ্ছে।
নারী শারীরিকভাবে দুর্বল, কিন্তু সে পুরুষ ও নারীর গর্ভধারিণী; তাহলে কি এটা সম্ভব ছিল না যে, পুরুষের ওপর নারীই হবে আধিপত্যশীল? ম্যাথিয়াস ও ম্যাথিলডা ভ্যারটুং (আধিপত্যশীল লিঙ্গ, ১৯২৩) মনে করেন পিতৃতন্ত্রের আগে ছিল মাতৃতন্ত্র। বাখোফেন (মাতৃ অধিকার, ১৮৬১), ম্যাক্লেনন (আদিম বিবাহ, ১৮৭৫), মরগান (আদিম সমাজ, ১৮৭৭), ব্রিফলট (মাতারা, ১৯২৭) মত প্রকাশ করেছেন, পিতৃতন্ত্রের আগে এমন এক সমাজব্যবস্থা ছিল, যেখানে নারীর ছিল অধিকতর সামাজিক মর্যাদা। এসময়কার ধর্মগুলোতে দেখা যায় প্রভাবশালী দেবীগণকে। আসলে তখন সন্তান জন্মদান ও লালনপালন অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার ছিল।কিন্তু এরপরই আসে ব্যক্তিমালিকানার যুগ।যা বিভক্ত ছিল কৃষিযুগ ও শিল্পযুগে। দুটো যুগেই শ্রমশক্তি গুরত্বপূর্ণ ব্যাপার ছিল।যেহেতু নারী ব্যস্ত সন্তান উৎপাদন ও লালন-পালনে, তাই জমিতে শ্রম দেওয়ার জন্য পুরুষ কিনে নিতে শুরু করে পুরুষের সাহায্য এবং শ্রম।নারীর গৃহমর্ম্ভিত্তিক কাজগুলো যা একসময় ছিল গুরত্বপূর্ণ, সেটিই হইয়ে দাঁড়ায় তুচ্ছ, কারণ তার অর্থনৈতিক মূল্য নেই।যেহেতু অর্থনীতিই সমজে বড় হয়ে দাঁঁড়ায় আর পরিবারের অর্থনীতিতে নারী কোনো ভূমিকা রাখে না (রাখতে দেওয়া হয় না) তখনই সে দিনে দিনে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হইয়ে উঠতে থাকে। পুরুষ যেমন জমির মালিক হতে থাকে, ঠিক তেমনিভাবে সে হয়ে ওঠে নারীরও মালিক-নারীকে সামান্য কিছু অর্থনৈতিক সুবিধা দিয়ে।অর্থাৎ পুরুষ নারীকে প্রতিপালিত করবে বিপরীতে নারীকে হতে হবে পুরুষের অনুগত।বোভোয়ারের মতে এটাই নারীর ঐতিহাসিক মহাপরাজয়।নারী যাতে অর্থনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ হয়ে এ ফাঁদ থেকে বেরুতে না পারে এজন্য পুরুষ তৈরি করতে থাকে নিত্য-নতুন আইন, সংস্কার। এমনকি অন্য পুরুষের অনুরাগপ্রাপ্ত হয়ে নারী যাতে তার চেয়ে বেশি শক্তিশালী না হতে পারে, পাশাপাশি হিংসার তাড়নে পুরুষ নারীকে নিয়ে যায় পর্দার ভেতর, লোকচক্ষুর আড়ালে। পরবর্তী ধর্মগুলো নারীকে শিখিয়েছে পর্দানশীল হতে, পুরুষের প্রতি অনুগত হতে, মাতা কন্যা ভগ্নী স্ত্রীরূপে জীবনের সার্থকতা খুঁজতে, চুপ করে থাকতে। দেবতা ও ঈশ্বরেরা এলো পুরুষেরই রূপ বা গুণ অথবা উভয়ই নিয়ে। একটি প্রধান ধর্ম, হিন্দুধর্মে দেবীদুর্গা মহাশক্তি, কিন্তু এরজন্যে তাকে হতে হয়েছে পুরুষের কাছে ঋণী- “শিবের তেজে দেবীর মুখ, যমের তেজে কেশ, বিষ্ণুর তেজে বাহুসমূহ, চন্দ্রের তেজে স্তনদ্বয়, ইন্দ্রতেজে মধ্যভাগ, বরুণের তেজে জংঘা ও উরু, পৃথিবীর তেজে নিতম্ব, ব্রহ্মার তেজে পদযুগল, . . . মহাদেব দিলেন শূল, কৃষ্ণ দিলেন চক্র, শঙ্খ দিলেন বরুণ, অগ্নি দিলেন শক্তি . . . ।” পুরুষ তার সার্থকতা খুঁজে পেয়েছিলো পিতা পুত্র ভ্রাতা স্বামী এসমস্ত পরিচয়ের ঊর্ধ্বে। পুরুষ এসময় এগিয়ে যায় জ্ঞানে বিজ্ঞানে শিল্পে সাহিত্যে। এককথায়, পুরুষই হয়ে ওঠে প্রকৃত মানুষ; নারী থেকে যায় কেবলই জৈবিক স্তরে। নারী কেবল গর্ভধারণ করেছে, প্রসব করেছে, স্তন্য পান করিয়েছে, সন্তান লালন করিয়েছে, যে কাজ গোয়ালের গরুও করে।
অনেক গবেষকের মতে,সভ্যতার প্রাথমিক স্তরে যখন শারীরিক শ্রম খুব গুরত্বপূর্ণ ব্যাপার ছিল,তখন শারীরিক দুর্বলতা হেতু নারী তাতে অংশগ্রহণ করেনি। যতটা সে করেনি, তার চেয়ে বেশি তাকে করতে দেওয়া হয়নি।এর ফলশ্রুতিতে সভ্যতা নির্মাণে অংশগ্রহণ না করায় নারী হয়ে উঠেছিল তুচ্ছ। কিন্তু বর্তমান আধুনিক সভ্যতা তীব্রভাবে চায় নারীর অংশগ্রহণ। কৃষিখাত, শিল্পকারখানা থেকে শুরু করে ব্যাবসা-বানিজ্য, রাজনীতি কিংবা শিল্প সাহিত্য বিজ্ঞান সবক্ষেত্রে নারী ইতিমধ্যেই তার উপযোগিতা প্রমাণ করেছে। এখন দৈহিক শক্তি গুরুত্বপূর্ণ নয়-আগেও আলোচনা করেছি এই ব্যাপারে। তাই নারীকে গৃহে আবদ্ধ রাখার চিন্তা এখন অতিমাত্রায় সনাতন; সারা বিশ্বব্যাপী নারীর মুক্তি এবং সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক দিক থেকে পুরুষের সমকক্ষতা অর্জন সময়ের ব্যাপার মাত্র।কিন্তু নারীর এই উন্নতিকে পছন্দ করছে না, এমন মানুষ কিন্তু আদতে কম নয়।তাদের কাছে হাজারো বাজে অজুহাত আছে নারীর উন্নতির প্তহে ব্যারিকেড দেওয়ার। হেফাজতে ইসলামের আল্লামা শফির কথা সবার মনে আছে নিশ্চয়ই।তিনি মেয়েদের তেঁতুলের সাথে তুলনা করেছেন। তেঁতুল দেখলে যেমন মানুষের মুখে পানি আসে ঠিক তেমনি,একজন নারী সে যত বড় পজিশনেই যাক না কেন, সেখানে যেতে তাকে যতই মেধা,শ্রম খরচ করতে হোক না কেন-পুরুষের কাছে ওসবের কোনো মূল্য নেই। পুরুষদের কাছে সে একটি শরীর মাত্র। তাকে দেখলেই মুখে পানি আসে। আল্লামা শফি নিজের মত ব্যক্ত করেছেন তাতে কোনো সমস্যা নেই, সমস্যা তখনই যখন তিনি মেয়েদের দায়িত্ব দেন, যাতে পুরুষের মুখে পানি না আসে।সেই দায়িত্ব দিয়ে তিনি যখন মেয়েদের ঘরে বসে থাকার পরামর্শ দেন, গার্মেন্টসে কাজ করতে যেতে নিষেধ করেন,ছেলে-মেয়েদের একসাথে পড়াশোনা করা যাবে না এরূপ ফতোয়া দেন,তখনই হয় সমস্যা।কারণ,এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের মনে ধর্মীয় লেবাসধারী লোকদের কথা খুব সহজেই প্রবেশ করে। আমাদের দায়িত্ব নারির প্রতি এসব অপমানজনক ধারণা সমূলে উপড়ে ফেলা এবং নারীর প্রতি বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান নৃশংসতার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো।
শেষ করতে চাই নিজের একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস হুবহু তুলে দিয়ে:
পুরুষতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য সব মেয়েকে যুক্তিবাদী হতে হবে-এমনটা প্রয়োজনীয় নয়। নারীর দরকার হলো তার মধ্যকার “চিরন্তনী অনুগত নারী”র প্রতিমূর্তিটাকে ধ্বংস করা। নারী যখন ফেসবুকে গালিগালাজ করে পুরুষের গুষ্টি উদ্ধারের ধৃষ্টতা দেখায়, তখন পুরুষতন্ত্র খেপে উঠে কারণ সে নিজের বিদায়ঘণ্টা শুনতে পায়। নারী যখন গরমের দিনে কালো বোরখা ফেলে রেখে পাতলা টিশার্ট আর স্কার্ট পড়ে বেরোয়, তখন পুরুষতন্ত্র নারীর নিন্দা করে কারণ সে নিজের মৃত্যুদূত দেখতে পায়। নারী যখন ধর্ষণ থেকে বাঁচতে পুরুষের লিঙ্গে কষে লাথি মেরে অক্ষত অবস্থাতেই উঠে দাঁড়ায়, তখন সে লাথি মারে পুরুষতন্ত্রেরই প্রাণভোমরায়। অথবা উপভোগের অভিনয় করে সে যখন ধর্ষকের যৌনাঙ্গ মুখে নিয়ে এক কামড়ে ছিড়ে আনে ধর্ষকের শুক্রাশয়, তখন নারী মূলোৎপাটিত করে পুরুষতন্ত্রকেই।
অনুভূতি যতবেশি ধারালো, তাকে ততবেশি আঘাত করেই ভোঁতা বানাতে হয়। নারী আর না থাকুক পুরুষের চক্ষু শীতলকারী। নারী এবার ধৃষ্ট হোক।
No comments:
Post a Comment