Sunday, 22 November 2015

সশস্ত্র বাহিনী দিবস পার করেই সাবেক দুই মন্ত্রীর হত্যা সম্পন্নঃ মিডিয়ার কুৎসিত চরিত্র

সশস্ত্র বাহিনী দিবস পার করেই সাবেক দুই মন্ত্রীর হত্যা সম্পন্নঃ মিডিয়ার কুৎসিত চরিত্র
----------------------------------------------------------------------
শেখনিউজ রিপোর্টঃ অবশেষে সশস্ত্র বাহিনী দিবসকে পার করেই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের দুইজন সাবেক মন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড সম্পন্ন করা হলো। আর এই হত্যাকাণ্ডে মুল নিয়ামক দায়িত্ব পালন করেছে বাংলাদেশের বিচারবিভাগের অবৈধ সরকার দলীয় বিচারপতিগণ। উল্লেখ্য সশস্ত্র বাহিনী দিবসে এক ঢিলে অনেক পাখি হত্যা করার মত ফাঁসি দেয়ার চেষ্টা করেও সশস্ত্র বাহিনীর ভয়ে গোয়েন্দাদের পরামর্শে এই দিবসকে পার করে দেয়া হয় সাক্ষাতের নামে। উল্লেখ্য বিচারিক এই হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষ নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদ। কেবলমাত্র ভারতের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য দেশগুলোকে উপেক্ষা করেই এই ফাঁসি দেয়া হয় বলে সুত্র নিশ্চিত করেছে।
শনিবারে ফাঁসি দেয়ার চেষ্টা বিফলে গেলেও দালাল মিডিয়াগুলোর গয়েবলসিয় প্রচারনায় প্রান ভিক্ষার নামে এক প্রচারনা চালিয়ে এই দুই সম্মানিত নাগরিকের সম্মানহানির চূড়ান্ত প্রচেষ্টা চালায়। এমনকি ভুয়া বিচারের কোথায়ও তাদের যুদ্ধাপরাধী বলা না হলেও ভারতীয় ব্রাহ্মন্যবাদের দালাল হিসেবে চিহ্নিত সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া অতি কৌশলে জনগনের ও নতুন প্রজন্মের মন বিষিয়ে তুলতে এবং বিচারিক এই হত্যাকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা চালায়। উল্লেখ্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বা আলী আহসান মুজাহিদ কেউই প্রান ভিক্ষার কোন আবেদন করেন নাই।
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে এই দুই সাবেক মন্ত্রিকে ফাসিতে হত্যার চেষ্টা চালানো হয় যাতে আগে থেকেই হাসিনা গংদের থাকা সশস্ত্র বাহিনীর সাথে দেশপ্রেমিক শক্তির এক দ্বন্দ্ব শুরু হয় দিবস পালন নিয়ে। কিন্তু সরকারের কাছে বিরুপ বার্তা পৌঁছে গেলে সরকার পিছু হটে। তারা দেখা সাক্ষাতের বাহানায় পেছাতে থাকে সময়। তবে বিএনপির একটি কৌশলগত সাংবাদিক সম্মেলন করা ছাড়া শীর্ষ নেতৃত্বের অদৃশ্য কারনে চুপ থাকায় জাতীয়তাবাদী, ইসলামী ও দেশপ্রেমিক শক্তি বিস্মিত ও বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে।
রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে তাদের ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে এই হত্যাকাণ্ড সম্পন্ন হয়। রাত ৮টার কিছুক্ষণ আগে কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্নেল ফজলুল কবির ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ঢোকার পরই তৎপরতা বেড়ে যায়।এরপর কারা কর্তৃপক্ষ সালাউদ্দিন কাদের ও মুজাহিদের পরিবারকে দেখা করতে ডেকে পাঠালে কারা অভ্যন্তরের দৃশ্যপট পাল্টে যায়। কারাগারের ভেতরে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বৈদ্যুতিক বাতিগুলো জ্বলে উঠে, কারারক্ষীদের ছোটাছুটিও শুরু হয়। কারাগারসহ আশেপাশের এলাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেষ্টনীর মধ্যে নেওয়া হয়। কারাগারের সামনের সড়কে যানচলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবি অবস্থান নেয় কারাগারের আশেপাশের উঁচু ভবনে। বিভিন্ন বাহিনীর পোশাকধারী ও সাদা পোশাকের সদস্য এবং দালাল মিডিয়াগুলোর সংবাদকর্মী ছাড়া কারাগারের আশেপাশে আর কাউকে অবস্থান করতে দেওয়া হয়নি সে সময়।
রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুজাহিদকে যেভাবে হত্যা করা হল, তা ভারতের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতেই হয়েছে বলে সুত্র নিশ্চিত করেছে। এমনকি অবৈধ সরকারের কেউ কেউ এই হত্যাকাণ্ডে তারা নিজেরা অনিরাপদ হয়ে পড়বে এবং দেশে মানুষ জঙ্গিবাদের দিকে ঝুকে পড়বে বলে আশংকা প্রকাশ করলেও ভারতের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অভিপ্রায় থাকা সত্বেও কোন পদক্ষেপ নিয়ে বিচারিক হত্যাকে ঠেকাতে ব্যর্থ হয়।
ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা বিশ্লেষকগণ আশংকা প্রকাশ করেছেন যে যেভাবে দেশপ্রেমিক শক্তিকে ভারতীয় নীলনকশা মোতাবেক হত্যা করা হল ধারাবাহিকভাবে এতে বিক্ষুব্ধ জাতির একটি অংশ নিজেদের মুক্তির জন্য জঙ্গিবাদের দিকে ঝুকে পড়তে পারে। সেটি হলে তা হবে উপমহাদেশের জন্য ভয়ংকর এক ভবিষ্যৎ। এতে পুরো জাতি অনিরাপদ হয়ে পড়বে এবং হাজার হাজার ভারতীয় পক্ষের মানুষ আচমকাই টার্গেটে পরিনত হতে পারেন বলে আশংকা করা হচ্ছে।

No comments:

Post a Comment