Saturday, 22 December 2018

আওয়ামীলিগের রাজাকার পুনর্বাসনের ইতিহাস

আওয়ামীলিগের রাজাকার পুনর্বাসনের ইতিহাস
=================================
সূত্র - মেজর নাসির উদ্দিন
গনতন্ত্রের বিপন্ন ধারায় বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী!!

Wednesday, 19 December 2018

গোলাম আযমের নাগরিকত্ব প্রাপ্তি বিষয়ে যে সত্যগুলো সবার জানা প্রয়োজন:

গোলাম আযমের নাগরিকত্ব প্রাপ্তি বিষয়ে যে সত্যগুলো সবার জানা প্রয়োজন:

১/ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বর গোলাম আযম পাকিস্তান চলে যান। ১৯৭৩ সালের ২৮ এপ্রিল এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে লন্ডনে অবস্থানরত গোলাম আযমসহ মোট ৩৮ জন বাংলাদেশ বিরোধী কিন্তু জন্মগতভাবে বংলাদেশী হবার যোগ্য লোককে নাগরিকত্ব পাবার জন্য অযোগ্য ঘোষনা করা হয়।

২/ ১৯৭৬, ৭৭ এবং ৭৮ সালে গোলাম আযম তিনবার তার নাগরিকত্ব ফেরত পাবার জন্য আবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হবার পর ১৯৭৮ সালের মৃত্যুপথযাত্রী মাকে দেখার জন্য মানবিক কারণে ভিসা পেয়ে পাকিস্তানী পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। অতপর ভিসার মেয়াদ শেষ হবার পরও অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করতে থাকেন।

৩/ ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগ প্রধান রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাদের প্রার্থী বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরীর পক্ষে সমর্থনের জন্য জায়নামাজ আর তসবী নিয়ে গোলাম আযমের ধর্না দিলে গোলাম আযম বাংলাদেশের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করার উৎসাহ পান এবং ১৯৯২ সালে জামায়াতে ইসলামীর আমীর হন।

৪/ গোলাম আযম জামায়াতে ইসলামীর আমীর হবার পর তৎকালীন বিএনপি সরকার গোলাম আযমকে ভিসা শেষ হবার পরও অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করার কারণে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করে এবং রমজানের সময়সহ একটি দীর্ঘ সময় গোলাম আযমকে কারাগারে থাকতে হয় (কারাগার মানে চৌদ্দ শিক, পিজি হাসপাতালের প্রিজন সেলে ভিভিআইপি এসি কেবিন নয়)।

৫/ জেলে বন্দী অবস্থায় গোলাম আযম বাংলাদেশের নাগরিকত্ব চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন।

৬/ সেই সময় বিএনপি সরকারের এটর্নি জেনারেল ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী পন্থী আইনজীবী আমিনুল হক। তিনি শাহাবুদ্দিন আহমেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নিয়োগ পেলেও বিএনপি তাঁকে ঐ বদে বহাল রেখেছিলো। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ঐ পদে বহাল ছিলেন। উনার আরেকটি পরিচয় হচ্ছে উনি ছিলেন আগরতলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হকের ভাই। আমিনুল হক অত্যন্ত যত্ন করে মামলা সাজিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধ বিষয়ে গোলাম আযম সম্পর্কে যে সকল তথ্য বর্তমানে ব্লগে বা বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়, তার প্রায় সবকিছুই সেই সময়ের এটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের গবেষনা, সংগ্রহ ও গ্রন্থনার অবদান। কিন্তু আমিনুল হক তাঁর জীবনের শ্রেষ্ট লড়াই করেও আপিলেট ডিভিশনের ফুল বেঞ্চে সরকার পক্ষের মামলা হেরে যান এবং গোলাম আযম নাগরিকত্ব ফেরত পায়।

৭/ বিএনপি সরকার মামলায় হেরে গেলেও তখন হাইকোর্টের ফুল বেঞ্চে কারা ছিলেন একটু দেখে নেয়া যাক:
(ক) প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ (১৯৯০ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান এবং ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রেসিডেন্ট),
(খ) বিচারপতি হাবিবুর রহমান (১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান),
(গ) বিচারপতি লতিফুর রহমান (পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতি এবং ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান),
(ঘ) বিচারপতি মোস্তফা কামাল (পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতি),
(ঙ) বিচারপতি মুনীর রেজা চৌধুরী (পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতি)

Wednesday, 5 December 2018

মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে সনদ বিতরণ করছেন জয়নাল আবেদীন ভিপি

আজকে ফেনী মুক্ত দিবস।
আর ছবিতে যাকে দেখছেন মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে সনদ বিতরণ করছেন,উনার নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন (ভিপি
জয়নাল)।মুক্তিযুদ্ধের সময় যিনি ছিলেন বাংলাদেশে লিবারেশন ফোর্সের জোনাল কমান্ডার,যার হাতে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলিত হয় মুক্ত ফেনীর বুকে। যার বর্তমান পরিচয় হচ্ছে ফেনী সদর-২ আসনের ধানের শীষ মনোনীত বিএনপির প্রার্থী।

সারা দেশে প্রতি জেলায় এমন অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছেন যারা শহীদ জিয়ার বিএনপির অংশ হয়ে দেশের সেবা করে যাচ্ছেন নীরবে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিএনপি ব্যাবসা করে না।মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিএনপি এবং তাঁর সমর্থকেরা গর্ব করে। একারনেই তারেক রহমান সহ বিএনপির কোটি সমর্থক গর্ব করে বলতে পারে।

"বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল নয়,বিএনপি হচ্ছে
মুক্তিযুদ্ধের দল মুক্তিযোদ্ধাদের দল"

পোষ্ট কার্টেসীঃ Monirul Hasan

Tuesday, 20 November 2018

কর্নেল তাহেরকে গ্লোরিফাই করতে আওয়ামি লিগ হিউজ ইনভেস্ট করছে

কর্নেল তাহেরকে গ্লোরিফাই করতে আওয়ামি লিগ হিউজ ইনভেস্ট করছে একটা কারণে, বাংলাদেশে জিয়াউর রহমানের যে সর্বময়ী ইমেজ তা যেকোনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করা। সেজন্য যদি একসময়ের তুমুল শত্রু তার গুও যদি চাটা লাগে তাও করতে রাজী আওয়ামি লিগ। লিগ জাসদ এলায়েন্সের পর "ক্রাচের কর্নেল" ছিল সে প্রজেক্টের প্রথম আউটপুট!

সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং পার্ট হচ্ছে আওয়ামি লিগ নিজে একটা ইতিহাস বা বয়ান বানাবে, এরপর সেটাকে এমন একটা ব্র্যান্ডিং করবে যাতে করে এইটা একটা "ঐতিহাসিক সত্য" হিসেবে স্থান পায়।

২০১১ সালের কর্নেল তাহেরের সামরিক বিচার নিয়ে দেয়া রায়কে কেন্দ্র করে আওয়ামি লিগ হিউজ ইফোর্ট দিয়েছে। বিচারের মেরিটে অনেকগুলা অযাচিত পয়েন্ট নিয়ে জিয়াউর রহমানকে এমনভাবে ধুয়ে দেয়া হয়েছে যে নিরপেক্ষ মানুষজন ভাবতে পারে জিয়াউর রহমান অসৎ উদ্দেশ্যে তাহেরকে ফাসি দিয়েছে, ইন ফ্যাক্ট এইটা অনেকেই বিশ্বাস করে ফেলেছে ,বিশেষ করে ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলেপেলেরা। এত ঢামাঢোলের মধ্যে কয়েকটা ফ্যাক্টর আড়ালে চলে গেছে! এই বিচারকে নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে কিন্তু জিয়াউর রহমান কেন তাহেরের মতন লোকের বিচার করতে বাধ্য হয়েছেন সেটা নিয়ে বিস্তর আলোচনার দরকার আছে। না করলে তরুণ প্রজন্ম এরকম বিকৃত সত্য জেনেই বড় হবে।

অন্য ফ্যক্টরটা হচ্ছে এই রায় প্রদানকারী বিচারক কে ছিল? নামটা শুনলেই নাক কুঁচকে সব বুঝে ফেলবেন! বিচারকের নাম এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। এই লোক যে শেখ হাসিনার চেয়েও বড় আওয়ামি লিগার সেটা গেল ক বছরে এই লোকের নির্লজ্জের মতন রাজনৈতিক বক্তব্যে বোঝা হয়ে গেছে। সুতরাং এই লোক যে জিয়াউর রহমানকে যাচ্ছেতাইভাবে অপমান করার সুযোগ হাতছাড়া করবে না সেটাই খুব স্বাভাবিক। আর সিনহার বইয়ের পর কারো সন্দেহ অবশিষ্ট থাকার কথা না রাজনৈতিক রায়গুলো লিখাই হয় সরকারের অঙ্গুলি হেলনে! টাকা,নির্দেশ আর দলান্ধতা থেকেই এই ধরনের রায় বের হয়! :)

সুতরাং তাহের "হত্যা(!!!)"র বিচারের রায় "ঐতিহাসিক" হওয়া তো দূরে থাক, একটা দলান্ধ শুয়রের লেখা স্ক্রিপ্ট মাত্র! এই জিনিসটা সামনে আনাটাই খুব জরুরি!

Saturday, 10 November 2018

রামসুন্দর বসাক প্রণীত "বাল্যশিক্ষা"

পেয়ে গেছি ! পেয়ে গেছি ! পেয়ে গেছি !
অনেক দিন ধরে খুজে বেড়াচ্ছি এই পবিত্র ধন ! যা কিনা মানুষকে সভ্য হতে সহায়তা করে, ভাষা- শিক্ষা, আদব-কায়দা, জ্ঞ্যান ও সম্মান করতে শিখায়। যিনি এত সুন্দর শিক্ষার আয়োজন করে গেছে, বাংলা ভাষা ভাষী মানুষকে শিক্ষা ও যথার্থ জ্ঞ্যান অর্জনে সহায়তা করে গেছেন তিনি হচ্ছেন "রামসুন্দর বসাক"

শিশুদের জন্য বর্ণপরিচয় রচনার গোড়ায়ই এসে পড়ে বর্ণমালার কথা। আমরা জানি ব্রাহ্মীলিপি থেকেই বিবর্তিত হয়ে বাংলা বর্ণমালার উদ্ভব হয়েছে। এ বিবর্তন প্রক্রিয়া চলেছে তিন হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে। তবে বলা যেতে পারে, বিদ্যাসাগরের হাতেই বাংলা বর্ণমালার যথাযথ উন্নতি হয়েছে, যে মৌলিক উন্নয়নের পর পরবর্তী সার্ধশতবছরে মাত্র কিছু সংস্কারমূলক কাজ হয়েছে। তাঁকে প্রথমত বর্ণমালার প্রকৃতি ও সংখ্যা নির্ধারণ করতে হয়েছে। ১৭৬৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হালেদের বইয়ে স্বরবর্ণের সংখ্যা ছিল ১৬। পরবর্তী প্রায় একশত বছর মদনমোহনের শিশুশিক্ষা প্রথম ভাগ পর্যন্ত স্বরবর্ণের সংখ্যা ১৬টিই ছিল। এগুলো হলো অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, ৠ, ঌ, ৡ, এ, ঐ, ও, ঔ, অ০, অঃ। বিদ্যাসাগর এই সংখ্যা কমিয়ে ১২তে নামালেন। তিনি ভূমিকায় লিখলেন:
"বহূকালাবধি বর্ণমালা ষোল স্বর ও চৌত্রিশ ব্যঞ্জন এই পঞ্চাশ অক্ষরে পরিগণিত ছিল। কিন্তু বাঙ্গালা ভাষায় দীর্ঘ ৠ-কার ও দীর্ঘ ৡ-কারের প্রয়োজন নাই। এই নিমিত্ত ঐ দুই বর্ণ পরিত্যক্ত হইয়াছে। আর সবিশেষ অনুধাবন করিয়া দেখিলে অনুস্বার ও বিসর্গ স্বরবর্ণ মধ্যে পরিগণিত হইতে পারে না। এই নিমিত্ত ঐ দুই বর্ণ ব্যঞ্জনবর্ণ মধ্যে পঠিত হইয়াছে। আর চন্দ্রবিন্দুকে ব্যঞ্জনবর্ণস্থলে এক স্বতন্ত্র বর্ণ বলিয়া গণনা করা গিয়াছে। "ড, ঢ, য এই তিন ব্যঞ্জনবর্ণ পদের মধ্যে অথবা পদের অন্তে থাকিলে, ড়, ঢ়, য় হয়।""
বিদ্যাসাগরের এই মৌলিক সংস্কারের ১২৫ বছর পর স্বরবর্ণে মাত্র আর একটি সংস্কার ঘটেছে, তাহলো ঌ বর্ণটি বাদ দেওয়া। এখন স্বরবর্ণ ১১টি। ব্যঞ্জনবর্ণ ছিল ৩৪টি। বিদ্যাসাগর তাতে নতুনভাবে ছয়টি বর্ণ যুক্ত করেন। অনুস্বার ও বিসর্গকে স্বরবর্ণ থেকে ব্যঞ্জনবর্ণে নিয়ে এসে চন্দ্রবিন্দুকেও যোগ করে দিলেন। ড, ঢ, য-এর দ্বিবিধ উচ্চারণের ক্ষেত্রে নিচে ফুটকি বা শুন্য দিয়ে নতুন তিনটি ব্যঞ্জন অক্ষর আবিষ্কার করলেন। তা ছাড়া বিদ্যাসাগর দেখলেন, "বাঙ্গালা ভাষায় একারের ত, ত্ এই দ্বিবিধ কলেবর প্রচলিত আছে।" তাই এটিকেও ব্যঞ্জনবর্ণে যুক্ত করেছেন। আর ক্ষ যেহেতু ক ও ষ মিলে হয় "সুতরাং উহা সংযুক্তবর্ণ, এ জন্য অসংযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ গণনাস্থলে পরিত্যক্ত হইয়াছে।" এভাবে তাঁর হাতে ব্যঞ্জনবর্ণ হলো ৪০টি। এর মধ্যে স্বরবর্ণ ঌ-এর মতই শুধু অন্তঃস্থ 'ব' বর্ণটি বাদ যায়। এখন ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯টি।














যারা কখনো দেখেন নি বা যারা এই বই পড়েছেন তাদের স্মরন করিয়ে দেবার জন্য এই পোষ্ট। (সংগ্রীহীত)

Monday, 5 November 2018

Does the Quran in Surah Al-Ahzab 33:37 permit a man to marry his daughter-in-law?

Does the Quran in Surah Al-Ahzab 33:37 permit a man to marry his daughter-in-law?
Ah, the daughter in law thing again. How original.
Anyway, the simple answer is NO. But that obviously was not the answer that the question was intended for. It had other ulterior motives, Let’s embarrass Muslims by bringing up how their Prophet married his daughter-in-law…(Gasp..the horror).
So are Muslims embarrassed? Nope, Muslims are not.
Why? Is there no decency left in this world? (OMG)
Let me explain why:
Zaid ibn Harithah was taken as a captive when he was very young. When Khadija married the Prophet, she gifted Zaid as a slave to the Prophet. The Prophet and Zaid grew very close to each and loved each other a lot. There was so much love between them that when Zaid’s father and uncles finally found Zaid, he refused to go back home with them and preferred to stay with the Prophet. The Prophet then freed him formally and then adopted him as a son. From then on, Zaid was known as Zaid ibn Mohammed (Zaid, son of Mohammed).
Zaynab bint Jahsh was a cousin of the Prophet on his father’s side. She had been married to someone but nothing is known about that. All this happened before the advent of Islam.
Between the time that the Prophet started preaching Islam and until the emigration to Medina, Zaynab’s husband passed away. And she emigrated to Medina with her brother.
After her emigration to Medina, the Prophet proposed that she marry Zaid. But she refused. Simply because she felt that her social status was higher than Zaid, an ex slave. It was precisely because of this, that the Prophet wanted them married because he wanted to stress that standing with God mattered more than societal differences.
Finally, it was when Allah revealed the Ayah of the Quran:
It is not for a believing man or a believing woman, when Allah and His Messenger have decided a matter, that they should [thereafter] have any choice about their affair. And whoever disobeys Allah and His Messenger has certainly strayed into clear error Quran 33:36
that Zaynab agreed to marry Zaid.
However, their marriage was not a happy one. Maybe Zaynab could not get over the fact that she had married “below her”. We may never know for sure. Zayd approached the Prophet many times about this and every time, the Prophet would ask him to make peace with his wife.
By this time, the Prophet had already been informed by God that he was to marry Zaynab. The Prophet was reluctant to do it because according the customs of that time, an adopted son was considered the same as a son by blood. And this act of marriage would cause a major controversy among the Muslims. However, God broke away from that custom when he revealed:
Call them by [the names of] their fathers; it is more just in the sight of Allah . But if you do not know their fathers - then they are [still] your brothers in religion and those entrusted to you. And there is no blame upon you for that in which you have erred but [only for] what your hearts intended. And ever is Allah Forgiving and Merciful. Quran 33:5
After that Zaid became Zaid ibn Harithah (Zaid, Son of Harithah) again. God’s command changed the way how Arabs until then had seen adoption. Under Islam, adoption became a form of guardianship rather than parenthood. The adoptive parents had no rights over their adopted children’s property and vice versa.
Zayd then divorced Zaynab and the Prophet, under God’s direction married her.
Then God revealed the ayah:
And [remember, O Muhammad], when you said to the one on whom Allah bestowed favor and you bestowed favor, "Keep your wife and fear Allah," while you concealed within yourself that which Allah is to disclose. And you feared the people, while Allah has more right that you fear Him. So when Zayd had no longer any need for her, We married her to you in order that there not be upon the believers any discomfort concerning the wives of their adopted sons when they no longer have need of them. And ever is the command of Allah accomplished. Quran 33:37
After that there was nothing more to disagree or comment upon.
Now the orientalists have a narrative which talks about how the Prophet one day was visiting Zaid and saw Zaynab, being immediately smitten by her beauty, etc etc. But there are serious problems with that fantasy:
First, Zaynab was the Prophet’s first cousin. Surely he would have seen her and met her a million times over before she married Zayd. Why would he suddenly be smitten by her beauty?
Second, if he was smitten by her beauty from before then why cajole her into marrying Zayd? Why not marry her himself?
Third, if the Prophet was smitten by her beauty then why the reluctance to marry her? Why did he regularly tell Zayd to go back to his wife and make peace with her.
All these are mere stories and fantasies constructed to create confusion and doubts.

Wednesday, 10 October 2018

গরীবেরা হাগতে যায়, মধ্যবিত্তরা টয়লেটে যায় আর বড়লোকেরা ওয়াশরুমে যায়।

গরীবেরা হাগতে যায়, মধ্যবিত্তরা টয়লেটে যায় আর বড়লোকেরা ওয়াশরুমে যায়। ইদানিং একটু শিক্ষিত মধ্যবিত্তরা জাতে উঠার জন্য ওয়াশরুমে যায়। আর বড়লোকেরা এটা সহ্য করতে না পেরে এখন রেস্ট রুমে যায়। এই পায়খানা/টয়লেট/ওয়াশরুম/রেস্ট রুম নিয়ে আমার বিস্তর অভিজ্ঞতা আছে।

আমার লাইফের টাইমলাইন যদি তিনটা ভাগ করি তবে প্রথমভাগ কেটেছে গ্রামে, দ্বিতীয় ভাগ ঢাকায়, তৃতীয় ভাগ দেশের বাইরে। এই তিনভাগে বিভক্ত জীবনে অনেক কিছু দেখার বুঝার অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেই আলোকে আজ আমি লিখব প্রবন্ধ,
টয়লেট- এক প্রেম কথা।

একদম শুরুতে গেলে আমি দেখি গ্রামে আমাদের বাড়ির পশ্চিমদিকে বাঁশঝাড়ের পাশে টিনের বেড়া দেয়া ঢালুর উপরে মাচার মতন করা একটা দুর্বল টয়লেট। যার সামনে চটের বস্তার পর্দা দেয়া। ঢালুতে মাচার উপরে বলতে মাটি থেকে একটা বাঁশের সাঁকো গেছে সেই মাচা পর্যন্ত। মাচাটা আপাত শূন্যে ঝুলে আছে মনে হলেও এটি চারটি বাঁশের খুঁটিতে ভর দিয়ে থাকে। যেটাকে বলে ঝুলন্ত টয়লেট।

যেহেতু টয়লেটে কোন দরজা নেই, সেহেতু কেউ আশেপাশে আসলে বা আসছে মনে হলে টিনের বেড়ায় একটু শব্দ করতে হয় নইলে খুক খুক করে একটু কাশতে হয়।

মাচার দুই কাঠের মাঝে একটা বড় ফাঁকা। সেখান দিয়েই মূলত প্রাকৃতিক কর্ম সাঁই করে নেমে যেয়ে নিচে পড়ত। আপনি টাইম কাউন্ট করলে দেখা যাবে নির্গত হওয়া এবং নিচ থেকে শব্দ রিটার্ন আসার মধ্যে পাঁচ সেকেন্ডের ব্যবধান আছে। এই পদ্ধতিতে সাধারণত শব্দ তরঙ্গ দিয়ে সমুদ্রের গভীরতা মাপা হয়। আমি টয়লেটের গভীরতা মাপছি।

আচ্ছা এই পাঁচ সেকেন্ডের ব্যবধান থেকে আপনারা কি অনুমান করতে পারছেন টয়লেটটির গভীরতা কত ছিল? আচ্ছা সহজ করে দিচ্ছি, নিচে মাটি থেকে প্রায় বিশ ত্রিশ ফুট উঁচুতে ছিল টয়লেট। আসলে নিচে মাটি ছিল না, ছিল হাজার বছরের এক হলদেটে সমুদ্র।

ভুল বললাম, হাজার বছর না। প্রতিবছর বন্যায় হলদেটে সমুদ্রটা ধুয়ে মুছে যায়। বন্যার সময়টা সুন্দর। দুই কাঠের ঐ ফাঁকটা দিয়ে নিচে তাকালে দেখা যায় পানির স্রোত। আগে কর্মটি নিচে পড়লে যে শব্দ হতো, তেমন শব্দ হয় না। পানিতে টুপ করে একটা শব্দ হয়, তারপর স্রোতে ভেসে যায়। নিচে মাছেরা অপেক্ষা করে কখন আসবে দ্বিতীয় লট। লট আসা মাত্রই মাছেদের কাড়াকাড়ি শুরু হয়ে যায়। আপনি উপরে বসে দিব্যি এই খেলাটি অবলোকন করতে পারবেন।

বন্যার সিজনে প্রতিদিন পানি বাড়ে। পানি কাছাকাছি উঠে আসলে স্রোত বাড়ে। লট পড়া মাত্রই স্রোতে ভেসে যায়, মাছেদের খেলা দেখা যায় না। পানি কাছে থাকায় উলটা ভয় লাগে মাছেরা কখন আবার লট আসতে দেরী হলে ফ্যাক্টরিতে হামলা করে বসে।

পরদিন সকাল বেলায় দেখা যায় টয়লেট ডুবে গেছে পানিতে। সেটা এক দুঃসময়। বাড়ির উঠোনের আশেপাশে অস্থায়ী টয়লেট করা হয়। সেটাও ডুবে গেলে ঘরের পেছনদিকে যেয়ে নীরবে কর্ম সারতে হয়। কেউ কেউ গলা পানিতে নেমেও সেরে ফেলে। তখন কর্মটি নিচে যায় না, টুপ করে ভেসে উঠে।

আমি তখন ছোট। ঐটা ছিল বড়দের টয়লেট। আমার সেখানে যাবার অনুমতি ছিল না। দুই কাঠের ফাঁক দিয়ে পড়ে হলদেটে সমুদ্রে ডুবে যাবার সমূহ সম্ভাবনা ছিল। আমাকে বাড়ির আশেপাশে কোথাও বসিয়ে দেয়া হতো খোলা আকাশের নীচে। কর্ম শেষ হলে দাদা কোদাল দিয়ে চেঁছে কর্মটুক নিয়ে বাড়ির পাশে ঝোপে ফেলে দিতেন।

ঝুলন্ত টয়লেটের আমার তেমন অভিজ্ঞতা নাই। যেটুক অভিজ্ঞতা গ্রামের আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে যেয়ে। আমাদের বাড়িতে আমি ছোট থাকতেই পাকা টয়লেট তৈরী করা হলো। আমাকে খোলা দুনিয়া থেকে জোর করে বদ্ধ ঘরে পাঠানো শুরু হলো।

গ্রামের মানুষের একটু শুচিবাই ছিল। এরা ঘরের আশেপাশে টয়লেট রাখত না। শহরে যে ঘরের ভিতরে টয়লেট এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিস্তর হাসাহাসি চলত। টয়লেট থাকত বাড়ির শেষ মাথায় ঝোপঝাড়ের দিকে, যেদিকটায় মানুষের আনাগোনা কম। আমাদের পাকা টয়লেটটিও তেমনি বাড়ির পেছনদিকে করা হয়েছিল।

আমরা রাত হবার আগেই চেষ্টা করতাম কর্ম সাধন করিয়া ফেলিতে। গ্রামে বিদ্যুৎ ছিল না। যেদিন রাত্রে দুদ্ধজাত খাবার পেটে পড়ত আর অমানুষিক চাপ অনুভব হইত সেদিন যেন মনে হইত আর রক্ষে নেই। হ্যারিকেন বা কুপি নিয়ে টয়লেটে যাওয়া ছিল ভয়ানক এক ব্যাপার।

টয়লেটে সাদা চুনকাম করা। দেয়ালে মাকড়সার বাসা করা। তার উপরে থাকত টিকটিকির উপদ্রব। কর্ম সাধন করিবার মাঝপথে শুনিতাম ঠিকঠিকঠিক। বদমায়েশ এর মধ্যে ঠিক বেঠিক পাইল কোথায়। তারউপরে ছিল সাপের ভয়। মনে হইত এই বুঝি কমোডের পাইপের ভেতর থেকে একটা সাপ এসে ছোবল মেরে দিবে আমার বংশের প্রদীপে।

টয়লেটে যাবার আগেই পড়ত একটা গাবগাছ। গ্রামে কথিত ছিল গাবগাছে ভূত থাকে। শুনশান নীরব সেই গাব গাছ পার হবার সময় তওবা পড়তে পড়তে যাইতাম। একটা পাতা ঝড়ার আওয়াজ শুনে কলিজা কেঁপে উঠত। ভয়ে অমানুষিক চাপ উধাও হয়ে যেত। দেখা গেলো আধাঘন্টা বসে আছি, চাপ আর আসেনা। পরে একপেট কষ্ট নিয়ে উঠে চলে আসলাম। আধাঘন্টা সেই গায়েবী চাপ এসে ঠিকি হাজির।

শহরে আসার পরে ভূতের ভয় ছিল না। তবে তখনো সাপের ভয় ছিল মনে। বংশ প্রদীপটি আগলে রাখতাম। পরে বুঝতে পারলাম সাপের ভয় নেই আর। তবে বিপত্তি ঘটত রাত্রে। টয়লেটের পেছনদিকে ভেন্টিলেশনের জানালা ছিল। মনে হতো কোন একটা কালো পশমী হাত এসে এক্ষুণি ঘাড়ে সুড়সুড়ি দিবে। কর্ম শেষে দৌড়ে বের হলে মনে হইত যেন বহু বছর নির্বাসনে থাকিবার পরে আমি সভ্যতায় এসে পৌঁছেছি।

বড় লোকের এক আজিব টয়লেট ছিল। যেটাকে হাই কমোড বলে। বিশ্বাস করবেন না প্রথমবার হাইকমোড ওয়ালা টয়লেটে যে আমার কি এক অবস্থা হয়েছিল। ঢাকার অভিজাত এলাকায় এক বড়লোক আত্মীয়র বাড়ি বেড়াতে গেছি। বয়স তখন নয় কি দশ। সেখানে যেয়ে টয়লেটে ঢুকে আমি তো অবাক। টয়লেট এত সুন্দর হয় আমার ধারণা ছিল না এর আগে।

আমাদের ঢাকা শহরে মধ্যবিত্তের ঘরে গোসলখানা আর টয়লেট একসাথে। গোসলখানার শেষ মাথায় একটু উঁচুতে কমোড। পাশে একটা কল। নতুন বাড়িতে স্টিলের কল, একটু বয়স্ক বাড়িতে স্টিলেরটা নষ্ট হলে প্লাস্টিকেরটা লাগায়। সেটা বছরের পর বছর বদল হয়ে প্লাস্টিকই লাগানো হয়। তার নিচে থাকে সরু নল ওয়ালা বদনা। আর একদম পেছনের দেয়ালে আরামে হেলান দিয়ে থাকে টয়লেট পরিষ্কার করার একটা ব্রাশ।

বড়লোকের টয়লেটে প্রথমবার যেয়ে দেখি মিষ্টি মিষ্টি ঘ্রাণ। পানি নিতে যেয়ে দেখি কোন বদনা নাই। বড়লোকেরা কি তবে শুটকি ধোয় না? পড়লাম মহাচিন্তায়। টিস্যু আছে যদিও। কি এক মেহেরবানি ঠিক এমনি সময়ে আমার চোখে পড়ল একটা সরু নলের মত পাইপ। তার মাথায় একটা কলের মত বসানো। চাপ দিতেই দেখি পানি বের হয়। খুশিতে আমি গদগদ হয়ে গেলাম।

এবার পড়লাম আরেক মহা মুশকিলে। এই হাই কমোডে আসলে কেমনে কি করে? তার উপরে আবার দুইটা ঢাকনা। একটা উঠাইলে আরেকটা ফ্রেমের মত। আমি চিন্তায় পড়ে গেলান এই ফ্রেমের উপরে বসে? নাকি ফ্রেম উঠায় বসে। নাকি এখানে বসে না? কূল কিনারা না পেয়ে আমি উঠে দেশী স্টাইলে উঠে গেলাম কমোডের উপরে। ভেবে দেখুন তো, একটা লোক হাই কমোডে দেশী স্টাইলে উঠে বসে আছে।

কোন এক পন্ডিত লিখিয়াছিলেন, “ওহে মহাজ্ঞানী,  কর্ম করিয়া ঢালিও পানি।” কর্ম শেষে আমি পানি ঢালিবার উপায় পাই না। এইযে হলদেটে আহাম্মকটি ভাসিতেছে, কেহ যদি আসিয়া তাহাকে দেখিয়া ফেলে এবং হাসিতে হাসিতে সবাইকে বলিয়া দেয় আমার ইজ্জত বলিতে কি কিছু রহিবে?

মাথায় আসল নিশ্চই কোন ব্যবস্থা আছে। ফ্ল্যাশের বাটন দেখি, কিন্তু চাপতে ভয় লাগে। কিছু একটা হইয়া যায় যদি! বড়লোক আত্মীয় কি আমার ক্ষমা করিবে? আমি ভয়ে ভয়ে ফ্ল্যাশের হ্যান্ডের চাপি। আস্তে চাপ দেয়ায় ফোঁসফোঁস করে হাওয়া বের হয়। আমি ভয় পাইয়া যাই। পানির কানেকশনের লাইনটা ঘুরাই, কাজ হয় না। এরপরে চোখ বন্ধ করে ফ্ল্যাশে একটু জোড়ে চাপ দিতেই ভুরভুর করে পানি এসে সব নিয়ে গেল। আমার মুখে সে কী অমলিন হাসি!

এরপরে কত প্রযুক্তির টয়লেট দেখা হলো জীবনে। প্লেনের টয়লেটগুলা যেমন একটা আজব জিনিস। কাজ শেষে সুইচ চাপলে কয়েকসেকেন্ড পরে ভুস করে বাতাস এসে সব নিয়ে যায়। কোন পানির কারবার নাই। এখন আবার নতুন ফ্ল্যাশ আসছে উন্নত দেশগুলায়। সুইচ চাপতে হয় না। সেন্সর করা, কর্ম শেষে সেন্সরে টাচ করলে অটোমেটিক ফ্ল্যাশ হয়ে যায়।

আবার এদেশে (ফ্রান্সে) রাস্থায় বুথের মত পাললিক টয়লেটগুলায় সুইচ চাপলে দরজা খুলে। অটোমেটিক আটকায়। কাজ করবেন। সুচ চেপে দরজা খুলে বেড়িয়ে যাবেন। এরপরে দরজা লাগবে। সমস্ত টয়লেটটা পানি ছেড়ে পরিষ্কার হবে অটোমেটিক। কত মানুষ দেখলাম অপেক্ষা না করে একজন বের হবার সাথে সাথেই ঢুকে যায়। টয়লেট পরিষ্কার হবার টাইম দেয় না। বেকুবেরা গোসল করে বের হয়।

প্রযুক্তি এখন আরো এক কাঠি সরেস। গুগলে  Toilet near me লিখে সার্চ করলে আশেপাশের লোকেশনে পাবলিক টয়লেট শো করে। আমার শো করে টয়লেটে যেতে কতটুক পথ, কত মিনিট সময় লাগবে। যুগে যুগে পালটে যাচ্ছে মানুষের ধ্যান ধারণা। উন্নতির ছোঁয়া লাগছে শহর বন্দর গ্রাম সবখানে।

অথচ এখনো আমার একটা শখ আছে। বর্ষাকালে ঝুলন্ত টয়লেটে যাবার শখ। মাছেদের সাথে খেলার শখ। দুর্ভাগ্য আমাদের গ্রামে এখন আর কোন ঝুলন্ত টয়লেট নাই। আশা করি কোন এক বর্ষায় এমন একটা সুযোগ আসবে, স্বপ্ন পূরণ হবে। নইলে আমি হেলানো কোন গাছের ডালে উঠে যাব। তারপর আমি মাছেদের সাথে খেলব।

Saturday, 1 September 2018

আহমদ ছফা তার বই 'মুজিব হত্যার নীলনকশা'

আহমদ ছফা তার বই 'মুজিব হত্যার নীলনকশা' য় তুলে ধরেনঃ
---------------------------------------------------------------------------

“আমি কোন গুরুত্বপূর্ণ মানুষ ছিলাম না। আমি শুধু লিখতাম এবং কথা বলতাম, সব সময়ে অসংকোচে কথা বলতাম। আমি রাতে থাকব কোথায়, পরের বেলা খাবার জোটাব কি করে তারও কোন নিশ্চয়তা ছিল না। তবু বিপদে পড়ে গেলাম। কি করে যে প্রচার হয়ে গেছে যে আমি শিক্ষক-সাংবাদিকদের বাকশাল যোগ না দেয়ার জন্য প্রচার কার্য চালাচ্ছি।

এই খবরটা শেখ সাহেবের বড় ছেলে শেখ কামালের কানে যথারীতি পৌঁছায়। শুনতে পেলাম তিনি আমাকে শাস্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। আমার অবস্থা হল ফাঁদে ধরা পশুর মত। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কোন বন্ধু-বান্ধবের বাসায় গিয়ে একটা নিষ্ঠুর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হই। একজন তো বলেই দিলেন, ভাই আমরা বউ ছেলে নিয়ে বসবাস করি। তোমাকে বাসায় বসতে দিতে পারব না। তোমার নামে নানা গুজব। তোমার সঙ্গে সম্পর্ক আছে জানলে বিপদে পড়তে পারি।

আমি চৌদ্দই আগস্ট সন্ধেবেলার কথা বলছি। একজন ভগ্নিস্থানীয়া হাউজ টিউটরের বাসায় গিয়ে হাজির হই। আমার বিশ্বাস ছিল তাঁর কিছু উপকার করেছি। আমি খাইনি এবং কিনে খাওয়ার পয়সা নেই। লাজশরমের মাথা খেয়ে তাঁকে কিছু খাবার দিতে বলি। মহিলা পলিথিনের ব্যাগে কিছু মোয়া দিয়ে বললেন, ছফা ভাই, এগুলো পথে হাঁটতে হাঁটতে আপনি খেয়ে নেবেন। আপনাকে বসতে দিতে পারব না।

তাঁর বাসার বাইরে এসে কি ধরনের বিপদে পড়েছি পরিস্থিতিটা আঁচ করতে চেষ্টা করলাম। বলতে ভুলে গেছি কার্জন হলে না কোথায় দুটো বোমা ফুটেছে। আমার নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। সে সময়ে আমার বন্ধু অরুণ মৈত্র আমার সঙ্গে ছিলেন। অরুণ ‘ইস্টল্যান্ড’ নামে একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থাতে কাজ করতেন। অরুণের সঙ্গে হেঁটে হেঁটে বলাকা বিল্ডিংয়ের কাছাকাছি আসি। অরুণ আমাকে বললেন, সময়টা আপনার জন্য অনুকূল নয়। আপনি কোন নিরাপদ জায়গায় চলে যান। পরামর্শটা দিয়ে অরুণ বাসায় চলে গেলেন।

উদ্দেশ্যহীনভাবে আমি বলাকা বিল্ডিংয়ের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। ওমা কিছু দূর যেতেই দেখি একখানা খোলা জিপে সাঙ্গপাঙ্গসহ শেখ কামাল। একজন দীর্ঘদেহী যুবক কামালের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলল, দেখ কামাল ভাই, আহমদ ছফা যাচ্ছে। কামাল নির্দেশ দিলেন, হারামজাদাকে ধরে নিয়ে আয়। আমি প্রাণভয়ে দৌড়ে নিউ মার্কেটের কাঁচা বাজারের ভেতর ঢুকে পড়ি।"

বি দ্রঃ চৌদ্দই আগস্ট সন্ধ্যায় মুজিব পুত্রের হাতে আহমদ ছফা সে যাত্রায় বেঁচে গিয়েছিলেন ঠিকই কিন্তু ঐ রাতেই মুজিব পুত্র স্বপরিবারে নিহত হন।
   
সৌজন্য -- Mezbah Uddin Ahmed

Tuesday, 14 August 2018

এই প্রচারণা টোটালি বের হয়ে আসেন।

বিএনপির অনলাইন এক্টিভিস্টরা অনেক প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মতন চমৎকার কাজ করছেন,উপহার দিচ্ছেন। তবে এর মাঝে একটা জিনিসের অভাব প্রকট মনে হয়, সেইটা হল লেখা বা কন্টেন্টে জোস কিংবা ঝাজের কমতি। এইটার নানামাত্রিক কারণ আছে, সরকারী দানবীয় আচরণ বাদ দিলে কয়েকটা ফ্যাক্ট একটু হাইলাইট করা দরকারঃ

১। প্রকৃতিগতভাবে বিএনপি করেন দেশের সাধারণ নিরীহ মানুষজন। এরা প্রকৃতিগতভাব্র ঝগড়াইট্টা আর অসৎ লীগারদের সাথে পেরে উঠবেন না এইটাই স্বাভাবিক। এইটার আসলে তেমন কোন সলিউশন নাই।

২। বিএনপির আমলে দেশ খালি দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হইছে,এইটা টোটালি মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলেন। ৫ বারের প্রথম ২ বারের দায় আওয়ামী লীগের, এবং পরের ৩ বার সেইটার কন্টিনিউশন। বিএনপির আমলেই দুর্নীতির সুচক থেকে বাংলাদেশের নাম কাটা যায়।

৩। বিএনপি জংগীবাদের স্রষ্টা। এই প্রচারণা টোটালি বের হয়ে আসেন। প্রান্তিকভাবে সর্বহারা,জংগিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে সব দলই,এইটাই সত্য। কিন্তু বেগম জিয়াই আব্দুর রহমান আর বাংলা ভাই নামক দুইটা শুয়রকে জেলের ভিতর ঢুকায়ে বিচার করেছিলেন।

৪। আওয়ামী লীগের চক্কর-বক্কর উন্নয়নের ধাধা দেখে বিভ্রান্ত হয়ে বিএনপির আমলে উন্নয়ন -টুন্নয়ন হয় নাই" এই ধারণার মুক্তি আবশ্যক। উন্নয়ন একটা কন্টিনিউয়াস আর রানিং প্রসেস, কোন উন্নয়নের দাবিদার কোন সরকারের একার নয়। এইটা নিয়ে সিরিজ আকারে লিখবো। খালি কথাটা মাথায় ঢুকায়ে রাখেন।

৫। বাংলাদশের ইতিহাসে একমাত্র জিয়া বাদে সব সরকারই কমবেশি চোর ছিল। এইটাই সত্য কথা। কিন্তু বিএনপি চোর-দুর্নীতিবাজ এই ধারনা থেকেও বের হয়ে আসা দরকার। বিএনপির আমলে চুরি চামারি হয় নাই এইটা কেউ বলবে না, কিন্তু আওয়ামী লীগের আমলের মতন দুই দুই বার শেয়ার বাজার কেলেংকারি, ডেস্টিনি-হলমার্ক কেলেংকারি, রিজার্ভ লুট, ব্যাংক লুট,সোনা লুটের ইতিহাস বিএনপির নাই। বিএনপির সাথে আওয়ামী লীগের তুলনা দেয়া মানে পাড়ার ছিচকে চোরের সাথে আন্ডারওয়ার্ল্ডের মাফিয়ার তুলনা করা।

৬। ক্ষমতার লড়াইয়ে কেউ নিষ্পাপ নয়। বিএনপিও কোন দুধে ধোয়া তুলসি পাতা নয়। দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতির নানাপ্রকরণে বিএনপি আওয়ামী জামাত জাপা সবাই কমবেশি জড়িত। কিন্তু অগণতন্ত্র,নষ্ট রাজনীতি,ফ্যাসিবাদ,অসুস্থ পরিবেশ তৈরিতে আওয়ামী লীগের সাথে কোনভাবেই বিএনপির তুলনা চলে না, বিএনপির কন্ট্রিবিউশন ১ তলা হইলে আওয়ামী লীগের ১০ তলা।

৭। আরেকটা প্রাইম ইস্যু হইলো জামাত। জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করার মানে এই না যে নিজের সব স্বকীয়তা বেচে তার কোলে গিয়ে বসতে হবে। অনেককে দেখি বিএনপি-জামাতকে আপন মায়ের পেটের ভাই ভেবে খুব সন্তুষ্ট হোন। আবার বিএনপির ট্যাগ গায়ে লাগায়ে ৭১এ জামাতের ভূমিকা ডিফেন্ড করতেও খুব অগ্রণী। এইসব সোজা বাংলায় ছেড়ে দ্যান। আপনের মুক্তিযোদ্ধা জিয়া এইগুলা শিখায়ে দিয়া যায় নাই, জিয়া আওয়ামী ফ্যাসিজমের বাইরে গিয়ে  সবার জন্য শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান চেয়েছিলেন, কিন্তু রাজাকারকে আব্বা ডাকতে বলে যান নাই। বিএনপি জামাতের মিল শুধু দুই জায়গায়, ভারত ইস্যু আর এন্টি সেক্যুলার ইস্যু, এর বাইরে সব অমিল। শাহবাগকে কেন্দ্র করে জামাত নেতাদের উপর যে অবিচার হইছে তার প্রতিবাদ করেন, কিন্তু "৭১এ জামাত সুফীসাধু ছিল, তাদের কোন বিচারের দরকার নাই, এই আলাপ মারায়েন না।"

এইগুলা সম্ভব হইলে মাথায় ঢুকায়ে নেন। নিজের আত্মশক্তিতে বলীয়ান হোন। আর কথা বলুন জোরসে।

©Tashrik Hasan

Sunday, 12 August 2018

সরকারকে বিব্রত করবেন না।

সরকারকে বিব্রত করবেন না।
Ashik Azim

ধরুন আপনাকে ডিবি পুলিশ কোন কারণ ছাড়াই তুলে নিয়ে হাড্ডি ভাঙ্গা পিটানি দিয়েছে। এমতাবস্থায় ঘুণাক্ষরেও চিৎকার করে কান্না করে সরকারকে বিব্রত করবেন না। কারণ তাতে জামাত বিএনপি ক্ষমতায় চলে আসবে। চুপ করে ভাল ছেলেটির মত হাসিমুখে পেটানি সহ্য করুন। জামাত বিএনপি আসলে কিন্তু আরো মারতো। সেটা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাতে ভুলবেন না।

ধরুন আপনাকে ছাত্রলীগ রাস্তায় ফেলে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে। আপনি চেঁচিয়ে উঠবেন না। মহান মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের অবদানের কথা ভেবে হাসিমুখে ভাঙ্গা হাতটি নিয়ে দৌঁড়ান। বেঁচে ফিরতে পারলে ছাত্রলীগের সুনাম করে ফেইসবুকে একটি পোস্ট দিতে ভুলবেননা। মনে রাখবেন, বিএনপি জামাত হলে আপনার দুটো হাতই ভেঙ্গে দিতো। ছাত্রলীগ তো অল্পের ওপর একটি হাত ভেঙ্গেছে। ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ দেয়া আপনার চেতনাগত দায়িত্ব।

ধরুন আপনার ভাইকে র‍্যাব ধরে নিয়ে দশ লাখ টাকা চেয়েছে। না দিলে তাকে ক্রসফায়ারে মেরে দেবে বলে হুমকিও দিয়েছে। আপনি সেটা আবার সাংবাদিকদের কেন বলবেন? সরকারকে বিব্রত করতে চান? চুপ থাকুন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকুন। দশ লাখের চেয়ে মুক্তিযুদ্ধ অনেক বড়। ভাইটিকে ফিরে না পেলেও বেশি কথা বলবেন না। মনে রাখবেন, স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি ক্ষমতায়। বিএনপি জামাত আসলে আরো অনেক কিছু হতে পারতো। সেসব ভেবে আওয়ামী লীগকে পরেরবার ভোট দিন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে বেইমানি করবে না।

ধরুন আপনার বোনটিকে কোন আওয়ামী নেতা তুলে নিয়ে গেছে। বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। তাতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অপেক্ষা করুন। বোনটিকে ফেরত দেয় কিনা। ফেরত দিলে ভাববেন, বিএনপি জামাত ক্ষমতায় থাকলে তো বোনটি ফেরতই আসতো না। ভাগ্য ভাল, বোনটিকে আওয়ামী লীগ নেতা নিয়েছিল। তাই ফেরত পেলেন। মুক্তিযুদ্ধের সরকার, স্বাধীনতার সপক্ষ শক্তি আছে বলেই এমনটি হলো। তাই বেশি ট্যাঁ ফুঁ করবেন না। আর বোনটিকে ফেরত না পান, ভাববেন, অন্য বোনগুলো তো অক্ষত আছে। বিএনপি জামাত থাকলে সবাইকেই তুলে নিতো। এই ভেবে দেশনেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দিন। উনি আছেন বলেই এক বোনের ওপর দিয়ে গেছে। উনি না থাকলে সবগুলো বোনকেই নিয়ে যেতো। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তি বলে কথা।

সরকারকে বিব্রত করবেন না। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকুন। স্বাধীনতা বিরোধীরা নইলে চলে আসবে। তাই পরেরবার অবশ্যই আওয়ামী লীগকেই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন। অবশ্য কেউ ভোট না দিলেও তারাই জয়ী হবে। সেসব নিয়ে আপনি টেনশন নিয়েন না। মনীষা চক্রবর্তী বরিশালে ইলেকশন করেছিল, ভোট দিতে গিয়ে দেখেছে সব ব্যালটে নৌকায় সিল দেয়া। আপনি ভোট দিতে না গেলেও মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি আপনার ভোটটি দিয়ে দেবে। কী লাভ এত কষ্ট করে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার? ভোট দিতে গিয়ে সরকারকে বিব্রত করবেন না। সরকার আপনার কষ্টের কথা ভেবে নিজেরাই ভোটটি দিয়ে নেবেন।

সরকারের প্রশংসা করুন এবং জীবিত থাকুন। বলা তো যায় না......

Monday, 25 June 2018

Fake asylum story



https://blogs.mediapart.fr/celine-aho-nienne/blog/210618/pourquoi-il-ne-faut-pas-chercher-la-verite-des-recits-des-demandeurs-dasile?utm_source=facebook&utm_medium=social&utm_campaign=Sharing&xtor=CS3-66


This text was written in the context of the conference: "Violence and narrative: collect, transcribe, transmit, the human and social sciences face the stories of violence", 28-29 May 2018, Paris Diderot University.

Scientific coordination: Marie-Caroline Saglio Yatzimirsky (CESSMA, ANR LIMINAL - Inalco), Laetitia Bucaille (CESSMA), Elise Pestre (Paris-Diderot)



The truth of the story



"The declarations of the interested party appeared coherent, detailed and spontaneous ..." Thus begins the standard sentence of the OFPRA granting the refugee status to an asylum seeker. "Credible, plausible, emotional, personal ..." Regardless of the synonyms, none of the qualifiers used by the Office refer to the truth of the facts. Clio Simon's film highlights it in its title: "Is it a true story telling? ".
As a Protection Officer (PO), I do not seek the truth of the claimant's story. My decision on whether or not to grant refugee status does not answer the question: "Is this a true story? It follows from the following:

1) Does the narrative fall within the scope of the Geneva Convention?

2) Does the asylum seeker meet the bureaucratic and political expectations of the Office?

3) Does it look like the "good refugee" figure?

4) Will he still succeed in convincing me?

These questions do not relate to the search for the truth of the claimant's story because it is not understandable (5).
1) The Geneva Convention Article 1 of the Geneva Convention states that "the term" refugee "applies to any person who has a well-founded fear of persecution on account of his race, religion, nationality, membership of a certain social group or its political opinions ". It does not matter the truth of the claimant's story. Its narrative schema must correspond to one of the five stated criteria. An anecdote happened to me, recounted by Shumona Sinha in his novel "Assommons les pauvres". While she is an interpreter at OFPRA, we are together receiving yet another Bangladeshi political activist. In the chapter titled "I am going to tell you the truth," here is what she writes: "That day, Lucia finally told him that it was really not worthwhile to continue the interview because she could not believe what he was saying. She offered to think, to pause. And added that he could change his story, that it was not serious at all. But only she had to believe it. He was then questioned about his accommodation. Was it ok? And who was the man who sheltered him? (...) - Can I tell you the truth? I did not believe my ears. (...) I leaned towards the man like an amateur fisherman towards a trout that came to the surface of the water. - I'm a trucker. I was returning from the big city to my village. And on my way I knocked down a man. I was accused of murder. I ran away. The man seemed both relieved and worried. He feared the rest. - So ? I told you the truth. Lucia explained to him later. It was the routine. I knew it. The man did not know it. These people were brought to tell the truth so that in the end they would not do anything about it. It was a cul-de-sac. " This excerpt shows how insubstantial the truth of the story is if it does not fall within the criteria of the Geneva Convention. It was not me who created this cul-de-sac situation. The vicissitudes of his story were off-camera. A colleague once told me: "The Geneva Convention makes it necessary to distinguish between unhappiness and legally protected misfortune". 2) The rigidity of the Office and its policy The OFPRA imposes on the asylum seeker a double exercise: that of the written account written in French on a double page and that of the oral narrative. The Office is rigid on this last point. Maintenance is the only way to obtain refugee status. During his oral performance, the OP assesses the fluidity of the answers and the spontaneity of the comments of the asylum seeker. I often think of this young Georgian deserter. During his interview, he spreads drawings on the desk: horses with bulging eyes dying in the middle of tangled whirlwinds. He offers me his works as if they were self-sufficient to express his story. He does not speak. He does not answer my questions. Words have no hold on him. He hands me his drawings. I can not fill the boxes of his marital status, detail his military career, black lines of his flight from the country just with his drawings. So resigned, he puts them in his bag and pushes the exit door. On the other hand, this Armenian asylum seeker can not stop talking. It describes the events of summer 2011 and the processions in the streets of Yerevan. He is inexhaustible. I propose an agreement. My boss summons me. He explains that our President Nicolas Sarkosy has just visited the Armenian capital to celebrate the friendship between our two countries, that in a few months, the board of directors will bring Armenia in the list of "safe" countries , that contracts are being signed ... I understand the directive that is ordered to me. I therefore conclude the case as follows: "Despite detailed and high-quality remarks, fears of persecution of the person in case of return home are unfounded. Proposal for rejection. " The truth of the story, whether it is shouting in silence or in a stream of words, is derisory in the face othe administrative machine and its political interests. 3) The figure of the "good refugee" There is a doctrine at OFPRA that FOs undertake to keep secret for life. It is a document of thousands of pages that builds the subconscious of vocational training by categorizing and prioritizing asylum seekers. The doctrine details maintenance methods, questions to ask and those not to ask. Thus, a story that fits perfectly into a sheet of doctrine is more likely to be audible, believed and validated by a PO. It is not the truth of the claimant's story that prevails but the recognition of the claimant in one of the profiles of the "good refugee". When I was in office, Sri Lankan "good refugee" par excellence was that of the Tamil militant. During my first interview, I receive a young Tamil raped by a Sinhalai soldie
He is not part of the LTTE, he has no political commitment, he has always respected the curfew imposed by the army. His story is tragically simple. He made a detour to buy a pack of cigarettes and his route crossed that of the military. My boss refuses my agreement. He argues that the profile of the asylum seeker does not correspond to the Geneva Convention or the doctrine. He describes this rape as "trivial fact". My tutor supports me and insists: "In times of war, rape is a weapon. After weeks of negotiations, he finally signs the positive decision. This example illustrates how the truth of the story is flickering in the face of the weight of the doctrine. The doxa infiltrates the patterns of perception and judgment and all destinies that deviate from them are rejected. 4) The test of routine and the intimate conviction The stories follow one another and look like each other. What's more normal ? What is more like a war than another war? The routine uses the stories and the description of the persecutions no longer moves any colleague. Even the truth does not seem real anymore. Asylum-seekers need to redouble their efforts so that their faces do not become part of the mass of the rejected. The imperative of the destocking and the pressure of the numbers transform me into a rejection machine. Going down to the interview, I wonder if the asylum seeker will still succeed in convincing me. The time of the decision is short. My boss advises me to trust my intimate conviction, as if to recognize a good asylum seeker was in the mode of evidence intimate. In the depths of my being, I know that it is a subterfuge to hide the powerlessness of the Office to hear the truth of the stories. 5) The truth of the story is not understandable A few months after the terrible earthquake of Haiti, I landed on the air of OFPRA in Guadeloupe. Thousands of orphans file asylum applications. They do not have a story. They only invoke the death of their loved ones. This truth is palpable as they hand me photographs of flower coffins and white mortuary crowns for children. Their words resonate like the roar of the earthquake. I tell them that this tragedy does not fall within the scope of the Geneva Convention. Often the interpreter no longer translates. She whispers, "He's repeating the same thing. The earthquake. Then, she lowers her eyes. Haitians bless me with "May God keep you" by imagining that their honesty will be rewarded. Soon, they will receive a rejection letter and it will be a new shake for them. I understand then that the Geneva Convention, the bureaucratic procedures, the doctrine, the intimate conviction are so many artifices to preserve the good little soldiers of the Office of the truth because to try to hear it would make them crazy.

Wednesday, 13 June 2018

শয়তান প্রধান শেখ মুজিবের পা কেন টিপতেছে কেন?

মাওলানা ভাসানী হক কথায় লিখেন, একদিন শয়তানের প্রধানকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না। শয়তানের সকল শাখায় সংবাদ পৌছে গেল যে, শয়তান প্রধাননের কোন খবর নাই। খবর পাওয়া মাত্রই দুনিয়ার সকল শয়তান জরুরী ভিত্তিতে মিটিংয়ে মিলিত হয় এবং ব্যাপক অনুসন্ধান চালানো হয়। কিন্তু দুদিন পার হওয়ার পরও কোন সন্ধান কেউ দিতে পারেনি। অতপর শয়তানের যে এজেন্ট জাহান্নামের দায়িত্বে আছেন তাকে ফোন করা হল, শয়তান প্রধানকে আল্লাহ কোন গোপনে জাহান্নামে ঢুকিয়ে রেখেছে কিনা? খবর আসল তিনি জাহান্নামে নাই। তাহলে বেহেশতে দেখ আল্লাহ কোন তাকে মাফ করে দিয়ে সেখানে রেখেছে কিনা? সকল সম্ভাব্য সুত্রে খবর নিয়ে দেখা গেল তিনি সেখানেও নেই। শয়তানের সকল এজেন্সীগুলো আবারো সচল হল এবং শয়তান প্রধানকে ভূপৃষ্টে তন্ন তন্ন করে খোঁজা হল। কোথাও থেকে কোন আশাব্যঞ্জক খবর পাওয়া গেলনা।

দুদিন পর অকস্মাত খবর আসল শয়তান প্রধানকে পাওয়া গিয়েছে। সবাই প্রশ্ন করল কোথায়?? উত্তর আসল তিনি বাংলাদেশের বঙ্গভবনে। আবারো প্রশ্ন তিনি ওখানে কি করছেন? মাধ্যম উত্তরে জানালেন তিনি এখন শেখ মুজিবের পা টিপাটিপি করিতেছেন। সব শয়তান তাজ্জব হয়ে গেলেন দুনিয়ার এতকাজ থাকতে শয়তান প্রধান শেখ মুজিবের পা কেন টিপতেছেন কেন? তার সাথে কি কথা বলা যায়? উত্তর আসল এমুহুর্তে কথা বলার সময় ওনার হাতে নাই, কেউ যাতে ওনাকে বিরক্ত না করে। তারপরও সকল শয়তান তাদের প্রধানের নিকট অনুনয় বিনয় করে জানতে চাইলেন শেখ মুজিবের পা টিপার রহস্যটি কি? অবশেষে শয়তান প্রধান জানালেন, শয়তান প্রধান নিজেও একজন মানুষকে গোমরাহ করতে অনেক কষ্ট করতে হয়। কখনও সফল হন কখনও ব্যর্থ হন। কিন্তু শেখ মুজিব যেভাবে একটি বক্তৃতা দিয়ে তার সকল অনুসারীদের গোমরাহ করেন, সে যোগ্যতা শয়তান প্রধানের নেই। শেখ মুজিব এককথায় যতজন মানুষকে পথভ্রষ্ট করতে পারেন, শয়তান প্রধান সারা জীবনেও তা করতে পারেন না। আর ৭ই মার্চের ভাষনে শেখ মুজিব এক বক্তৃতায় সাড়ে সাত কোটি মানুষকে গোমরাহ করেছে, যা কিনা সকল শয়তান সদস্য ১০০ বছরে করতে পারেনা। তাই শয়তান প্রধান অন্য সকল কাজ বাদ দিয়ে একজনের পা টিপাতে লেগে গেছেন, যদি শেখ মুজিবের মাধ্যমে আরেকটি বক্তৃতা বের করা যায় এই আশায়।

মাওলানা ভাষানী কর্তৃক প্রকাশিত হক কথা পত্রিকাটি তারপরদিনই নিষিদ্ধ করা হয় চিরতরে। মাওলানা ভাষানী গ্রেফতার হন, নিক্ষিপ্ত হন জেলের প্রকোষ্টে। এখানে উল্লেখ্য মাওলানা ভাষানী শেখ মুজিবর রহমানের রাজনৈতিক গুরু ছিলেন। ৬৭ থেকে ৬৯এর গন আন্দোলন মূলত মাওলানা ভাষানীর সৃষ্টি, সে সময় শেখ মুজিবর রহমান আগরতলা ষড়যন্ত্রে পরিকল্পনারত অবস্থার ব্যস্থ। পরবর্তীতে মাওলানা ভাষানীর সমূদয় ফসল শেখ মুজিবের ঘরে যায়। যাহোক দেশ স্বাধীন হয়, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়না। এ সর্ম্পকে সরকারকে ইতিবাচক বহু লিখা মাওলানা লিখেছেন, দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। ফল হল চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনীর মত। অতপর: মাওলানা এই সম্পাদকীয় লিখেন। এমনিতেই মুজিব সমালোচনা বরদাশত করতেন না, তাই গুরু সমালোচনা করেছেন নাকি শত্রু করেছেন এই চিন্তারও দরকার ছিলনা শেখ মুজিবর রহমানের। তদানীন্তন মুজিবের জীবিতকালে মুজিবের পক্ষে লিখবে এমন পত্রিকার সংখ্যাও নগন্য হয়ে গিয়েছিল। কারন পত্রিকাতো মানুষ নিজের পকেটের পয়সা দিয়ে কিনবে, আর পত্রিকা মালীকেরা সরকারের পক্ষে মিথ্যা আর কত লিখবে? চক্ষু লজ্জা বলে কথা আছেনা। ফলে শেখ মুজিবর রহমান বাকশাল কায়েমের পাক্ষালে মাত্র চারখানা পত্রিকা রেখে বাকী সকল পত্রিকার সার্কুলেশন বাতিল করেন। বাংলা ভাষায় প্রচলিত শব্দ তুই, তুমি, আপনি, শব্দত্রয় মানুষ ক্ষেত্র বিশেষে ব্যবহার করেন। এই তিনটি শব্দ সবাই কম-বেশী ব্যবহার করেন তবে শেখ মুজিবের অভিধানে আপনি শব্দটি ছিলনা। ১৯৭০ সালের আগে তিনি কিছুদিন মাওলানা ভাষানীকে আপনি বলেছেন বলে ইতিহাস আছে। বাকী ৮০ শতাংশ তুই বাকি ২০ শতাংশ তুমি দিয়েই দৈনন্দিন কাজ সারতেন। আর শেখ মুজিবকে একজন মাত্র মানুষ তুই বলার ক্ষমতা রাখতেন তিনি হলেন শেখ মুজিবের বন্ধু চট্টগ্রামের আওয়ামী নেতা জহুর আহাম্মদ চৌধুরী। এদের আচরনে শিষ্টাচারের কোন মাত্রাই ছিলনা। অপরকে বরদাশত না করার প্রবনতা যেমন শেখ মুজিবের আপাদমস্তকে ছিল তেমনি তার বংশধর ও অনুরারীরা এত্থেকে মুক্ত থাকতে পারেনি, পারেওনা। বিরোধী দলকে উপেক্ষা, দমন, দলনে অভ্যস্থ শেখ মুজিব যদি স্বাধীন দেশে একটি সর্বদলীয় কেবিনেট করতেন তাহলে তার ঐতিহাসিক নির্মম পরিনতি হয়ত হতোনা দেশেরও উন্নতি অগ্রগতি হতো। তার পতনের জন্যে শতভাগ আওয়ামীলীগ দায়ী। কারন শেখ মুজিবকে তৈল মেরে মেরে এমন পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছিল সেখান থেকে তার প্রস্থানের পথ আর রাখেনি, তাকে ধারনা দেওয়া হয় আপনি ব্যতীত এ জাতির কান্ডারী আর কেউ নেই। যাদেরকে তার প্রতিপক্ষ ভাবা হত, তাদের হয় জেলে পুরেছেন, গোপনে হত্যা করেছেন বাকিদের বিচার না করে নাগরিকত্ব হরণ করে দেশান্তরী হতে বাধ্য করেছেন। তারপরও সরকার পরিবর্তনের যে ক্ষীন সম্ভাবনা জাতির জীবনে ছিল বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে তারও মৃত্যু ঘটে। শেখ মুজিব নিজেই নির্মম হত্যা ব্যতীত পরিবর্তনের কোন সুযোগ জাতির জন্যে রাখেননি। তার অহমিকা, হঠকারীতা, অবাস্তব সিদ্ধান্ত, তোষামোদ প্রিতী, যোগ্যতার বদলে তৈল মর্দনকে যোগ্যতার মাপকাঠি বিবেচনা, কিছু তরুন ভয়ানক উশৃঙ্খল ব্যক্তির হাতে গুরু দায়িত্ব ন্যস্ত, লোভী, দেশপ্রেমহীন, চাটুকারের হাতে গুরুত্বপূর্ন মন্ত্রনালয় বন্টন, সর্বোপরি দেশ চালানোর জন্যে যোগ্য সচিব-সচিবালয় না থাকায় প্রতি পদে পদে ভারতীয় পরামর্শ গ্রহন, ভারতের নির্বাচিত ব্যক্তিদের পদে পদে প্রবেশ করানোই ছিল শেখ মুজিবের চরম পতনের অন্যতম প্রধান কারন। যার ফলে শুধু তাকেই মরতে হয়নি নিরাপরাধ পুত্রবধু, ছোট সন্তান, পত্নি সবাইকে মরতে হল। এই মৃত্যু খুবই মর্মান্তিক, বেদনাদায়ক জাতির জন্যে। শেখ মুজিব এমন একটি দল গঠন করেছিলেন যার নাম আওয়ামীলীগ, এখানে সুবিধাবাদী, স্বার্থবাদী, হিংসুক, দয়া-মায়া দেশপ্রেমহীন, ধ্বংসকারী, লুটেরাদের আশ্রয়স্থলে পরিনত হয়। পরিনতিতে তার লাশ সিড়িতে পড়ে থাকাবস্থায় নেতারা কে অন্যদেশের রাষ্ট্রদূত হবে, কে মন্ত্রী হবে ইত্যাদি নিয়ে দেন দরবার শুরু করেন। খুবই নিদারুন পরিস্থিতিতে তার লাশ দাফন হল। পরিতাপের বিষয় কোনদিন শুনিনি কোন আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীর মুখে কিংবা শেখ হাসিনা-রেহানার মুখে, শেখ মুজিবর রহমান শহীদ হয়েছেন। ইসলামের ইতিহাসে শাহাদাত সবচেয়ে বড় পাওনা, শেখ মুজিব একজন মুসলিম হিসেবে তার তা পাওনা ছিল। তবে আওয়ামীলও ধরে নিয়েছেন শেখ মুজিব যা করেছেন এবং যে কারনে মরেছেন তাকে অন্তত শহীদ বলা যায়না, তাই দাবীও করা হয়না, অথছ মুক্তিযুদ্ধের সবাইকে, ভাষা আন্দোলনের সবাইকে, এমনকি জিয়াউর রহমানকেও শহীদ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়, কেউ প্রশ্ন তোলেনা। মুসলিম মাত্রই প্রতিটি শহীদকে নামাজে-রোজায়, জিকিরে দোয়া করে। শেখ মুজিব হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী সাজতে গিয়ে সেখান শহীদি সম্মান থেকেও নির্বাসিত হলেন। নিজ জাতি, ধর্ম-গোত্র ছেড়ে অন্য জাতি, ধর্মের প্রিতী বাড়ালে ইতিহাসের শিক্ষা তাই হয়। প্রশ্ন হল বর্তমান আওয়ামীলীগ ও তার নেত্রী উপরোক্ত সকল বিষয় থেকে মুক্তহতে পেরেছিন কি?

Sunday, 13 May 2018

স্যাটেলাইট ফার্মেসিতেও পাওয়া যায়। জ্বর হইলে বাথুরুমে গিয়া লুঙ্গি তুইলা পেছন দিয়া ঢুকাইতে হয়। ডাক্তার আমারে একবার সাজেস্ট করছিল। বিরক্ত হয়ে ডাক্তাররে বলছিলাম- আপনি আমারে অপমান করেন, এইটা আমার কাম্য না। আপনারে টেকা দিবো , আপনি ট্রিটমেন্ট করবেন। ওষুধ দিবেন, খাবো। অসুখ সারলে ভাল, না হইলে মইরা যাব। তাই বলে স্যাটেলাইট পেছনে ঢুকায়া বইসা থাকতে পারবো না। ডাক্তার হো হো কইরা হাইসা দিলেন।

তো , যে স্যাটেলাইট পাশের ফার্মসিতেই পাওয়া যায় আর গোয়ায় ভইরা বইসা থাকতে হয়- সেই স্যাটেলাইট আসমানে উড়াইলে কি ফায়েদা হবে , আমার বুঝে ধরে না। খালি বেহুদা অপচয়!
জাফর-টার্ন

২০১৩ সালে শাহবাগে দাঁড়িয়ে দেখেছিলেন, ব্লগ (সামাজিক মাধ্যমে) ব্যবহার করে “সারাদিন পৃথিবীতে যেটা হয় নাই এটা এখানে ঘটিয়ে দিয়েছে” তরুণরা।

আর ২০১৮ সালে বাংলাট্রিবিউনের কলামে তিনি জানালেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দিয়ে পৃথিবীতে খুব বড় কোনও কাজ হয়েছে বলেও আমার জানা নেই।”

দুই বক্তব্যের লিংক:

২০১৩ সালের ভিডিওসহ: https://bdfactcheck.com/factcheck/73

২০১৮ সালের কলাম: http://www.banglatribune.com/columns/opinion/323655/

Monday, 2 April 2018

২৭ তারিখ হরতাল ডাকছি, বাড়িতে যাও, নাকে তেল দিয়ে ঘুমাও!’

যাকে ভোট দিয়ে জাতি দায়িত্ব দিয়েছিল, তিনি যখন বুঝতে পারলেন বিপদ ঘনিয়ে আসছে, আক্রমন অত্যাসন্ন, নিজে কন্যাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে গোপনে বাসা ভাড়া করলেন খিলগাঁওয়ে, ২৫ তারিখ রাত ১০টায় গোপনে তাদের পাঠিয়ে দিলেন - সেখানে। কিন্তু গোটা জাতিকে কোনো সতর্ক করলেন না, যদিও তাঁর সেই সুযোগ ছিলো। হোটেল কন্টিনেন্টালে অসংখ্য বিদেশী সাংবাদিক। উনার ফোনও চালু ছিলো। যাস্ট একটা কল করলেই জাতি এবং বিশ্ব জেনে যেতো। কিন্তু তিনি তা করার সাহস করেননি।

তিনি কি করলেন? দলীয় সাধারন সম্পাদক টেপরেকর্ডার নিয়ে যান স্বাধীনতার ঘোষণা রেকর্ড করতে। ফিরিয়ে দিলেন। বললেন, ‘এটা করে আমি রাষ্ট্রদ্রোহিতার প্রমান রাখতে চাই না। ২৭ তারিখ হরতাল ডাকছি, বাড়িতে যাও, নাকে তেল দিয়ে ঘুমাও!’

তার নির্দেশে দলের নেতাকর্মীরা সব পালালো। কিন্তু সতর্ক করলেন না দেশবাসীকে- ক্রাকডাউনে মরলো হাজার হাজার সাধারন মানুষ, একটা নেতাও মরেনি!

তাঁর স্ত্রী আগে থেকেই ঢোলা পাজামায় ফিতা ভরে সুটেকেস গুছাইয়া অপেক্ষায় থাকলেন, কখন নিতে আসবে। এবং যথারীতি আসলো। ফারল্যান্ড তেমনই কথা দিয়েছিলেন। প্রিয় এরিনমোর তামাক টানতে টানতে চলে গেলে। পশ্চিম পাকিস্তানে নেয়ার আগে ঢাকার জিওসির বাসভবনে অতিথিশালায় থাকলেন।

পরে তাঁর পরিবারের জন্য ইয়াহিয়ার কাছে থেকে মাসে ১৫০০ রুপী (যার বর্তমান মূল্য ৬ লাখ টাকা) ভাতা যোগাড় করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র!

যুদ্ধকালে তার জামাতা এম এ ওয়াজেদ সুধামিয়া পাকিস্তান সরকারের এটমিক কমিশনে চাকরি করলেন যুদ্ধের শেষ দিন অবধি, বেতনও নিলেন। তারা থাকতেন পাক বাহিনীর পাহারায় ধানমন্ডির এক বাড়িতে। নিজেদের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে বেগম সাহেব প্রায়ই দেখা করেন ইয়াহিয়ার গভর্নরের সাথে। সেখান থেকে বড় কন্যার গর্ভখালাস করে সন্তান জন্ম দেয় সরকারী হাসপাতালে, পাক বাহিনীর অফিসাররা স্যালুট দিয়ে আনা নেওয়া করতো সেনা গাড়িতে করে।

অন্যদিকে লায়ালপুর কোর্টে বিচার চলাকালে ২৯ বার এফিডেভিট দিয়ে তিনি বলেন- “আমি পাকিস্তান ভাঙ্গার সাথে জড়িত নই, পূর্ব পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে আমি নেই। আমাকে রেডিও টিভিতে নিয়ে চলো, আমি বার্তা দিতে তৈরী!”

পূর্বপাকিস্তান স্বাধীন হয়ে গেছে শুনার পরে তিনি সেজদায় পরে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করলেন- “ইয়া আল্লাহ, এ তো আমি চাইনি!” সিহালা পুলিশ রেস্ট হাউজে ২৬ ডিসেম্বর ভুট্টো বৈঠক করতে এলে তিনি জানতে চান, “তুমি কি করে প্রধানমন্ত্রী হলে? আমি মেজরিটি পার্টির লীডার। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা আমার! ভুট্টো বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের পতন হয়েছে।” তিনি লাফ দিয়ে উঠেলেন- “এটা কি করে সম্ভব? আমাকে টিভি রেডিওতে নিয়ে চলো, আমি ঘোষণা দিব, পূর্ব পাকিস্তানই থাকবে!” বহুবার  বলেছেন ..... “তাজুদ্দিন বদমাশ, গরবর করেগা”। ...আরও বললেন, “ইয়াহিয়া গাদ্দার, ইন্ডিয়ার এজেন্ট। পাকিস্তান বরবাদ করতে চায়!” আমি পাকিস্তানের জন্য কঠিন পরিশ্রম (মুশাকাত) করতেছি!”

স্বাধীন বাংলাদেশ হওয়ার খবর শোনার ৩ সপ্তাহ পরও তিনি ছবি তুলে পাকিস্তানের নতুন পাসপোর্ট বানালেন! পাকিস্তানের নাগরিক হয়েই তিনি দেশে ফিরে সদস্য স্বাধীন বাংলাদেশের গদিতে আরোহন করলেন!

তিন বছর পরে জিগরি দোস্ত ভুট্টোকে দাওয়াত করে আনলেন ঢাকায়! তখন ঢাকায় আবার শোনা গেলো ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ শ্লোগান, বঙ্গভবনে উড়লো পাকিস্তানের পতাকা। বন্ধুকে বাঁচাতে ছেড়ে দিলেন সব যুদ্ধাপরাধীদের!

যার লাইফটাইম এচিভমেন্টের জন্য পাওয়ার কথা নিশান-ই-পাকিস্তান তাকে জোর করে বানানো হচ্ছে ‘জাতির পাপ্পা’! এক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানকে বরখান্ত করে কি এসব ইতিহাস ধামাচাপ দেয়া যাবে? সব বেরিয়ে আসবে এবং উপযুক্ত মূল্যায়ন হবে।

Friday, 16 March 2018

বাকা ত্যাড়া কথা || কন্যা দানের বেলা...

বাকা ত্যাড়া কথা || কন্যা দানের বেলা...
-------------------------------------------
ইয়েশিম। এটা শীতের সবজি শিম এর নতুন বা হাইব্রিড কোন জাত নয়। আমার পরম আদরের কন্যা ইয়েশিম। দেখতে দেখতে সে বড় হয়ে উঠেছে। যাকে বলে বিবাহযোগ্য। ওর মা ইয়াসমিনের সঙ্গে কথাও বললাম। আমি বোকা সোকা মানুষ। তাই বুদ্ধি পরামর্শের জন্য ওর মা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে।

কন্যা দানের জন্য পাত্র প্রসঙ্গ উঠতেই সামনে চলে এলো আমার বিখ্যাত সেই ফিল্টার প্রসঙ্গ। চেতনার ফিল্টার আবিস্কার করে একবার আমি সারাদেশে হইচই ফেলে দিয়েছিলাম তা তোমাদের সবারই জানা। মেয়ের জন্য পাত্র দেখতে গিয়ে তাই সাম্ভাব্য পাত্রদের এক এক করে সেই চেতনার ফিল্টারে ফেলতে লাগলাম। যতই ফেলতে লাগলাম ততই আমার চোখ বড় হতে লাগলো। যাকে বলে ছানাবড়া!

৫..১০...২০... এভাবে ১০০ সাম্ভাব্য পাত্র ফিল্টারে ফেলে যা দেখলাম তা বলার মত নয়। প্রত্যেকটা পাত্রই আমার সেই বিখ্যাত চেতনার ফিল্টারে কোন না কোনভাবে আটকে গেল! তার মানে কি! আমি বেঁচে থাকতে কন্যা দান করতে পারবো না! বিয়ে হবে না আমার মেয়ের!! তা কি করে হয়!! আমার এত এত ভক্তের মধ্যেও এমন একটা চেতনাধারী পাত্র খুঁজে পেলাম না, যার কাছে আমি ইয়েশিমকে পাত্রস্থ করতে পারি!

এরই মধ্যে আমার স্ত্রী ইয়াসমিন এসে ওই ফিল্টারে “পুরোশিমা” কে ছেড়ে দিল। অমনি সুরসুর করে সে চেতনার ফিল্টারের অন্যপ্রান্ত থেকে বেরিয়ে এল। আমি বিস্ময়ের সাথে তাকাতে লাগলাম। কিন্তু এ কি!! “পুরোশিমা” তো একটা রোবট। এর কাছে কিভাবে আমি কন্যা দান করি। হতাশ হয়ে ভাবতে লাগলাম আমি কি তাহলে কন্যা দায়গ্রস্ত হয়ে গেলাম! কিভাবে সম্ভব?

এসব ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ কলিংবেলের আওয়াজ আমার ভাবনায় ছেদ ফেললো। দরজা খুলতেই দেখি আমার আদরের কন্যা ইয়েশিম এক ফিরিঙ্গি যুবকের হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছে। আমাকে দেখতেই পরিচয় করিয়ে দিল- ‘বাবা ও স্টিভান, আমার বয়ফ্রেন্ড’। স্টিভান! এ তো আমার সায়েন্স ফিকশনে খাটিয়ে দেয়ার মত নাম! যাইহোক বসতে দিয়ে ভাবতে লাগলাম- যে ভানই হোক, আমার মত এমন খাটের তলার গর্তযোদ্ধার মেয়ে এরকম ফিরিঙ্গি একটা যুবকের হাত ধরে আমার সামনে... কি হচ্ছে এসব!

এসব ভাবতেই তাকিয়ে দেখি আমার মেয়ে ইয়েশিম ওই ফিরিঙ্গি স্টিভানকে আমার চেতনার ফিল্টারের ভেতর ছেড়ে দিয়েছে। দৌড়ে গেলাম ওখানে। তখন আমার হাত-পা থর থর করে কাঁপছে। কিন্তু পরক্ষণে যা দেখলাম তাতে আমি অভিভূত। ফিরিঙ্গি হোক আর যাই হোক, আমার চেতনার ফিল্টার গলিয়ে ওই স্টিভান ঠিক ঠিক বেরিয়ে এসেছে। যেভাবে বেরিয়ে এসেছিল আমার পরম বন্ধু আসাদুজ্জামান নূরের ফিরিঙ্গি জামাই।

এভাবেই ইয়েশিমের বিয়ে ঠিক হলো ওই স্টিভানের সাথে। ফিরিঙ্গির সাথে বিয়ে হলেও ইয়েশিমের বিয়েতে বাঙালি সংস্কৃতির খুটি নাটি সবকিছুর আয়োজনই ছিল! টিয়ে পাখি দিয়ে ভাগ্য গণনা থেকে শুরু করে পালকী, পুতুলে বিয়ে, নাগরদোলা, সাপখেলা এমনকি বাঁদরের নাচ দেখানোর ব্যবস্থাও ছিল। একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা আমার মেয়ের বিয়ে নিয়ে কি প্রশ্ন তুলবে ওসব ভাবার সময় আমার নেই। আমি ভাবছি আমি নাহয় চেতনার ফিল্টারে পরিক্ষিত একটি জামাই পেয়েই গেলাম। কিন্তু তোমরা যারা আমাকে ভালোবাসো তারা কোথায় পাবে এত পরিক্ষিত জামাই? আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম?

Saturday, 17 February 2018

কারক ও বিভক্তি মনে রাখার কৌশল:

কারক ও বিভক্তি মনে রাখার কৌশল:
কারক ৬ প্রকার:
১. কর্তৃকারক;
২. কর্মকারক;
৩. করণকারক;
৪. সম্প্রদান কারক;
৫. অপাদান কারক; এবং
৬. অধিকরণ কারক।
১।কর্তৃকারক: যে কাজ করে সেই কর্তা বা
কর্তকারক।
যেমন: আমি ভাত খাই।
বালকেরা মাঠে ফুটবল খেলছে।
এখানে মনে রাখার উপায় হচ্ছে ‘কে’ বা
‘কারা’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর
পাওয়া যায়, সেটিই কর্তা বা কর্তৃকারক।
কে ভাত খায়?
উত্তর হচ্ছে আমি।
কারা ফুটবল খেলছে?
উত্তর হচ্ছে-বালকেরা।
তাহলে আমি এবং বালকেরা হচ্ছে
কর্তৃকারক।২। কর্মকারক: কর্তা যাকে অবলম্বন করে
কার্য সম্পাদন করে সেটাই কর্ম বা
কর্মকারক।
যেমন: আমি ভাত খাই।
হাবিব সোহলকে মেরেছে।
এখানে মনে রাখার উপায় হচ্ছে ‘ কি’ বা
‘কাকে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর
পাওয়া সেটিই কর্ম বা কর্মকারক।
আমি কি খাই?
উত্তর হচ্ছে-ভাত।
হাবিব কাকে মেরেছে?
উত্তর হচ্ছে-সোহেলকে।
৩। করণ কারক: ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র বা
উপকরণ বুঝায়।
যেমন: নীরা কলম দিয়ে লেখে।
সাধনায় সিদ্ধি লাভ হয়।
এখানে মনে রাখার উপায় হচ্ছে ‘ কীসের
দ্বারা’ বা ‘কী উপায়ে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে
যে উত্তর পাওয়া যায় সেটিই করণ কারক।
নীরা কীসের দ্বারা লেখে?
উত্তর হচ্ছে-কলম ।
কী উপায়ে বা কোন উপায়ে কীর্তিমান
হওয়া যায়?
উত্তর হচ্ছে-সাধনায়।
৪। সম্প্রদান কারক: স্বত্ব ত্যাগ করে দান
বা অর্চনা বুঝালে সম্প্রদান কারক হয়।
স্বত্ব ত্যাগ না করলে কর্মকারক।
যেমন: ভিক্ষারীকে ভিক্ষা দাও।
গুরুজনে কর নতি।
মনে রাখার উপায় হচ্ছে-কর্মকারকের মত
কাকে দিয়ে প্রশ্ন করলে রে উত্তর
পাওয়া যায়।

Sunday, 11 February 2018

অর্থ আত্মসাতের দায়ে শেখ মুজিব কারাদণ্ড

Mujib was Convicted since 1960

শেখ হাসিনা আজ বেগম খালেদা জিয়াকে সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে আখ্যায়িত করলেও অ্যানালাইসিস বিডির অনুসন্ধানে জানা গেছে তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানও ১৯৬০ সালে সমাজকল্যাণ মূলক একটি প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাতের দায়ে একই আইনে ২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। ওই মামলার রায়ের কপি থেকে জানা গেছে, পশ্চিম পাকিস্তান গভর্নরের অধীনে পরিচালিত ‘আরবান কমিনিউটি প্রজেক্ট এন্ড ভিলেজ এইড’ প্রতিষ্ঠানে শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৬ সালে ৭ সেপ্টেম্বরে নিয়োগ পান। অর্থ আত্মসাতের দায়ে তিনি ১৯৫৭ সালের ৭ আগস্ট পদত্যাগ করেন। অর্থ আত্মসাতে তার সহযোগী ছিলেন কাজী আবু নাসের। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ওই সময় দুর্নীতি দমন আইন ১৯৪৭ বিধির ৫ (২) ধারায় শেখ মুজিব ও আবু নাসেরের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ১৯৬০ সালে এ মামলার রায়ে শেখ মুজিবুর রহমানকে ২ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। কেউ কেউ শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্যে করে বলছেন, খালেদা জিয়াকে সাজাপ্রাপ্ত আসামি বলার আগে আপনার বাবার সাজার কথাটা একবার স্মরণ করুন। আপনার বাবা প্রকৃত অর্থেই গ্রামের অসহায় মানুষের টাকা আত্মসাত করেছিলেন। আর খালেদা জিয়া কোনো টাকা আত্মসাত করেন নি। রাজনৈতিক কারণে তাকে সাজা দেয়া হয়েছে।


Monday, 29 January 2018

খালেদা জিয়া কি ১ টাকাও মেরে খেয়েছেন?

৮ ফেব্রুয়ারি নিয়ে গোটা দেশ অস্থির: কি করবেন? আবেগ নয় মেধা দিয়ে বুঝুন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কিসের রায় এবং কেনো?

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারন করেছেন জজ ড. আখতারুজ্জামানের বিশেষ আদালত। এনিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। রায় দেবার আগেই বর্তমান অবৈধ সরকারের মন্ত্রীরা জোরেসোরে চিৎকার করে যাচ্ছেন- রায়ে নাকি কঠিন দন্ড হবে খালেদা জিয়ার! রায় মেনে নিতে হুমকি ধামকিও দিচ্ছেন। অন্যদিকে বিএনপির নেতারা পরিস্কারভাবেই বলেছেন, কোনো উল্টাপাল্টা রায় দেয়া হলে ছাড় দেয়া হবে না, চরম প্রতিবাদ করা হবে। দরকার হলে স্বেচ্ছায় করাবরণ করা হবে। সরকার যখন হুমকি দিচ্ছে, বিশৃঙ্খলা করা হলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে, তখন বিএনপিও একের পর এক মিটিং করে প্রস্তুতি নিচ্ছে বড় আন্দোলনের। সরকার পতন আন্দোলনের কথাও বলা হয়েছে। মিডিয়া, টকশো, অনলাইন জুড়ে এখন কেবল এই একটিই আলোচনা।

দেশবাসী লক্ষ করেছেন, গত চার মাস ধরে প্রতি সপ্তাহে ৩দিন করে টানা শুনানিতে তিন বারের প্রধানমন্ত্রী ৭২ বছর বয়স্ক বেগম জিয়াকে বিশেষ কোর্টে টেনে নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে কোথাও কখনও একটি মামলাকে এভাবে চালনা করা হয়নি- দেখে মনে হচ্ছে কাউকে ফাঁসাতেই এত আয়োজন! রেকর্ড হয়ে রইল!!! আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বেগম খালেদা জিয়া কোর্টে গেছেন নিয়মিতভাবে,  এমনকি নিজের মায়ের ও ছেলের মৃত্যুবার্ষিকীর দিনেও! বিনা ভোটের  সরকারের এমনই হম্বিতম্বি ও বাগাড়ম্বর যে, খালেদা জিয়া বুঝি কি বড় বড় দুর্নীতি করেছেন? অথচ শেখ হাসিনার নামে ১৫টি ভয়াবহ দুর্নীতির মামলা ও চেকে ঘুস নেয়ার মামলা তুলে নেয়া হয়েছে বা ধংস করা হয়েছে সম্পূর্ন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে। তলিয়ে দেখলে দেখা যাবে, খালেদা জিয়ার দু’টো মামলাই বানোয়াট কাগজ দিয়ে কেবল রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে করা। এ অবস্খায়, আপনার করণীয় ঠিক করার আগে মামলাটি সম্পর্কে একটু জেনে নেয়া প্রয়োজন।

এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই জিয়া অরফানেজ মামলাটি দায়ের করে দুদক। মামলার অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়া, তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমান, কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়। মামলা প্রমানের জন্য সরকারী পক্ষ থেকে দাবী করা হয় বিদেশ থেকে আসা রাষ্ট্রীয় এতিম তহবিলের টাকা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টকে দিয়ে টাকা আত্মসাত করেছিলেন বেগম জিয়া। দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজলের দাবী, “এতিমদের দুই কোটি ১০ লাখ টাকারও বেশি অর্থের সম্পূর্ণটাই আত্মসাৎ করেছেন আসামিরা। এ কারণে দুর্নীতি দমন আইন ও দণ্ডবিধির অভিযোগগুলো প্রমাণ হয়েছে। আর এই ধারার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।”

এবারে ধীরে ধীরে মামলার ভেতরে ঢোকা যাক:
১) সরকার দাবী করেছে, কথিত আত্মস্যাৎ করা টাকা সরকারী এতিম ফান্ডের। এবং সেটা প্রমানের জন্য কোর্টে কিছু বানোয়াট কাগজ দাখিল করেছে সরকারি পক্ষ। আসলে এই টাকা আসে কুয়েত আমির থেকে। বাংলাদেশে কুয়েত দূতাবাস থেকে যে পত্র দেওয়া হয়েছে, তাতে কুয়েতের আমির জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টকে টাকাটা দিয়েছে বলা আছে। ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের ব্যক্তিগত উদ্যোগে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামে এতিমখানা তৈরীর জন্য কুয়েতের আমির ১২,৫৫,০০০ ইউ এস ডলার অনুদান প্রেরণ করেন, যা তৎকালীন রেটে বাংলাদেশী মুদ্রায় ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৮১ হাজার ২১৬ টাকা। উল্লেখ্য কুয়েত সহ মধ্যপ্রাচ্যের শাসকরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়ার খুব ভক্ত ছিলেন, বেশিরভাগ রাষ্ট্রপ্রধানের সাথেই তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল। ১৯৯১ সালে সৌদি আরবের একটি ব্যাংক থেকে টাকাগুলো ডিডির মাধ্যমে পাঠানো হয়। ঐ ডিডি সোনালী ব্যাংক রমনা শাখায় ভাঙ্গিয়ে অর্ধেক টাকায় বাগেরহাটে এতিমখানা বানানো হয়। এখনও সেই এতিমখানা যথারীতি চালু আছে। এ বিষয়ে দুদক কোনো মামলা করেনি। বাকী অর্ধেক ২,৩৩,৩৩,৫০০/- টাকা জিয়াউর রহমান অরফানেজ ট্রাস্টের একাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। এরমধ্যে অল্প কিছু টাকায় এতিমখানার জন্য বগুড়ায় জমি কেনা হয়, আর বাকী টাকা এফডিআর করে জমা রাখা হয়েছে, এখন যা সুদেমুলে ৬ কোটি টাকার উপরে ব্যাংকে জমা আছে। এখান থেকে কোনো টাকা কেউ আত্মসাৎ করেনি।

২) মামলা প্রমানের জন্য সরকারী পক্ষ প্রথম থেকেই জাল জালিয়াতির আশ্রয় নেয়। প্রথমেই টাকার উৎস নিয়ে গন্ডগোল পাকায়। সরকার বলে, এটা সৌদি সরকার থেকে পাওয়া অনুদান, যা আদালতে মিথ্যা প্রমানিত হয়। আসলে টাকার উৎস কুয়েত। এই টাকা সরকারী এতিম ফান্ডের- এমন প্রমানের উদ্দেশ্যে  আইও হারুন অর রশিদ ভুয়া ফাইল তৈরী করে কোর্টে দাখিল করেন। তিনি দাবী করেন- ওটা “প্রধানমন্ত্রীর এতিমখানা তহবিলের” টাকা ছিল। আদালতে জেরায় স্বীকার করতে বাধ্য হয় এটার জন্য কোনো ফাইলপত্র না পাওয়ায় নিজেরা কপিপেস্ট ও ফটোকপিতে কাটাছেড়া করে একটি ছায়ানথি বানিয়ে কোর্টে দাখিল করেছিলেন। আসামী পক্ষের কৌসুলিরা যুক্তিতর্ক দিয়ে প্রমান করে দিয়েছেন যে, নথিটি পরে বানানো, এবং কাটা ছেড়া ও ঘষামাজা। আমি শামসুল আলম প্রধানমন্ত্রীর অফিসে দীর্ঘদিন (সেই ৯১ সাল থেকে) কাজ করা লোক। আমি আমার স্মৃতিশক্তি ও সরকারী নিয়ম কানুনের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি- ১৯৯১ সালে বা এখনও “প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিল” নামে কোনো তহবিল কখনই ছিল না। এ সংক্রান্তে ব্যাংক কাগজ বা যেসব ছায়ানাথির কথা বলা হয়েছে, তা বানোয়াট ও অসৎউদ্দেশ্যে তৈরী করা। আরও উল্লেখ করা যায়, ১৯৯১ সালের ২০ মার্চ বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীর শপথ নিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের অধীনে। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ, তখন রিলিফ ফান্ড রাষ্ট্রপতির নামে ছিল। সে অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর নামে কোনো ফান্ড ছিল না। ঐ বছর আগস্ট মাসে সরকার পদ্ধতি পরিবর্তন হওয়ার পরে ১৯ সেপ্টেম্বর বেগম জিয়া ২য় বার শপথ গ্রহন করে সংসদীয় পদ্ধতির সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন। অথচ দুদক তাদের ভুয়া কাগজপত্রে তার আগেই জুন মাসে প্রধানমন্ত্রীর নামে এতিম ফান্ডের কাগজ ও অসম্পূর্ন ব্যাংক কাগজ প্রস্তুত করে জমা দেয়।

৩) সরকার পক্ষ সাক্ষী হিসাবে মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকীর পিএস সৈয়দ জগলুল পাশার নাম নেয়। দাবী করা হয়, সৈয়দ পাশা নাকি ঐ কথিত এতিম ফান্ডের ফাইল দেখভাল করতেন। আসলে এগুলো সত্য নয়। আমি বলছি- ঘটনার সময় অর্থাৎ ১৯৯১ সালে সৈয়দ পাশা প্রধানমন্ত্রীর অফিসেই চাকরিই করতেন না, ফাইল দেখার তো প্রশ্নই আসে না। তাছাড়া ঐ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিবের পদটিও ছিল না। রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারে প্রধানমন্ত্রীর সচিবের একটি পদ ছিল বটে, সেটা যুগ্মসচিব/অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার (কামাল সিদ্দিকী অতিরিক্ত সচিব থাকতে ওখানে পদায়িত হন)। আর জগলুল পাশা প্রধানমন্ত্রীর অফিসে আসেন ১২/০৯/১৯৯২ তারিখে। তার মানে দাড়ায়- বানোয়াটভাবে দাবী করা ‘প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিলের’ কথিত নথি জগলুল পাশা দেখতেন--তা পরিপূর্নভাবে মিথ্যা।

৪) এই কথিত দুর্নীতি মামলার অনুসন্ধানকারী, বাদী, আইও, এবং সাক্ষী একই ব্যক্তি- হারুন অর রশিদ। তার চাকরি শুরু হয় ‍দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে ১৯৭৯ সালে এসিস্টেন্ট পদে, যখন সেটি অনুমোদিত পদ ছিল না। পরে বিভিন্ন কৌশলে ১৯৮৫ সালে অ্যাসিসটেন্ট ইন্সপেক্টর এবং ১৯৯২ সালে ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতি নেন হারুন। হারুনের চাকরি চলে যায় বিএনপির আমলে ২০০৫ সালে। মামলা করে হারুন হেরে যায়, পরে আপিলে থাকা অবস্থায় ফখরুদ্দীনের আমলে রহস্যজনক কারনে আপিল তুলে নিয়ে দুদক চেয়ারম্যান হাসান মসহুদকে ধরে উপসহকারী পরিচালক পদে চাকরি জোটান হারুন। নিয়োগের মাত্র দুইদিন পর এই মামলার অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় হারুনকে। তার আগে দুদকের আরেক অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নূর আহমেদ একই বিষয়ে ২০০৮ সালের ১১ জুন ‘অনুসন্ধানে কিছু পাওয়া যায়নি’ মর্মে রিপোর্ট জমা দেন। অথচ শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে হারুনকে দু’টি প্রমোশন দিয়ে সহকারী পরিচালক ও উপপরিচালক বানায়- কেবলমাত্র খালেদা জিয়ার নামে বানোয়াট মামলার কাগজপত্র বানানোর শর্তে। মোটকথা, ২০০৫ সালে খালেদা জিয়ার শাসনামলে চাকরিচ্যুত হওয়ার কারনে হারুন বিএনপির ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন, আর সেটা ব্যবহার করেই এই বানোয়াট মামলার যত কারুকাজ করেছে শেখ হাসিনার সরকার।

৫) হারুন অর রশিদ আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে দাবী করেন, ১৯৯১-১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে বেগম জিয়া নাকি ‘প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিল’ নামে চলতি হিসাব খুলেন! আসলে এই বক্তব্য মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, রমনা করপোরেট শাখার হিসাব নম্বর ৫৪১৬ খোলার ফরমে খালেদা জিয়ার কোনো স্বাক্ষর নাই। অথবা অনুদানের অর্ধেক টাকা বাগেরহাটে জিয়া মেমোরিয়াল ট্রাস্ট কিংবা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে টাকা বিলি বণ্টনের ক্ষেত্রে বা কোনো চেকে কোনো ফাইলেও খালেদা জিয়ার স্বাক্ষর নাই। ঐ ট্রাস্ট ফান্ডের ট্রাস্টি ছিলেন মরহুম মোস্তাফিজুর রহমান। ‘প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিল’- এই নামে কোনো তহবিলের অস্তিত্বও নাই।

৬) জিয়া এতিমখানার জন্য কুয়েতের আমীর থেকে পাওয়া ঐ টাকার অর্ধেক গেছে বাগেরহাটে জিয়া মেমোরিয়াল ট্রাস্টের এতিমখানা নির্মানে। এই অংশ নিয়ে কোনো মামলা নাই, অভিযোগ নাই। তার মানে এটা পরিস্কার যে, পুরো অনুদানের টাকা কোনো সরকারী অর্থ ছিল না। যদি সেটা থাকতো, তাহলে বাগেরহাট নিয়েও মামলা হতো। তা হয়নি। আর বগুড়ার অংশের টাকা এখনও ব্যাংকে পড়ে আছে। কাজেই মামলার কোনো উপাদান নাই। নিশ্চিতভাবেই এই মামলায় বেগম খালেদা জিয়া বেকসুর খালাস পাওয়ার কথা।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের সাথে খালেদা জিয়ার কোনো ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক নাই। কোথাও কোনো সই সাক্ষর কিছু নাই। তারপরও অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসভায় এবং সাংবাদিক সম্মেলন করে শত শত বার বলে যাচ্ছেন- এতিমের টাকা মেরে খেয়েছেন খালেদা জিয়া! তাঁর মন্ত্রীরা রায়ের আগেই বলে যাচ্ছে- খালেদা জিয়ার জেল হবে। দুদকের কৌসুলি মোশারফ কাজল দাবী করেছে - খালেদা জিয়ার যাবজ্জীবন কারাদন্ড! এই হলো বিচারের নমুনা!!

কিন্তু কেনো সাজা দিবেন? কোন অপরাধে? খালেদা জিয়া কি ১ টাকাও মেরে খেয়েছেন? নাকি তিনি তিন বারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের চতুর্থাংশ জনগনের সমর্থনপুষ্ট সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী হওয়া তাঁর অপরাধ? যেকোনো সময় নির্বাচন হলে তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন, তাঁকে কোনো ভাবে ঠেকানো যাবে না-- তাই বানোয়াট মামলায় ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে মিথ্যা সাক্ষী দিয়ে জজ ড. আখতারুজ্জামানকে প্রমোশনের লোভ এবং ভয়ভীতি দিয়ে খালেদা জিয়ার নামে বানোয়ট শাস্তি ঘোষণার কথা আগাম ঘোষণা দিচ্ছেন অবৈধ সরকারের মন্ত্রীরা। ভুয়া মামলায় সাজা দিয়ে তাঁকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে চান শেখ হাসিনা- এটাই গল্পের মুল পয়েন্ট।

বাংলাদেশের মানুষ কি বসে বসে দেখবে এসব? একটা জিনিস মনে রাখবেন সবাই- খালেদা জিয়ার উপর এই আক্রমন কিন্তু দেশ ধংসের শেষ আলামত। যদি দুবৃত্ত সরকার এটা করে পেয়ে যায়, তবে এই দেশে আর গণতন্ত্র ফেরাতে পারবেন না, একদলীয় ফেরাউনের শাসনে থাকবে না কোনো মানবাধিকার, ফলে এই দেশে আর কেউ বাস করতে পারবেন না। এতদিন ধরে রাজনৈতিক হত্যা, রাষ্ট্রীয় গুম ও অপহরন, মিথ্যা মামলা, বানানো জঙ্গিবাদ- এসব দেখে আসছে জনগন। সবাই ভেবেছে, সামনে যেকোনো একটা নির্বাচন হলে অবস্থার পরিবর্তন হবে। কিন্তু সেটা পেতে হলে ৮ তারিখের গণতন্ত্রের এই শেষ পরীক্ষায় উত্তীর্ন হতে হবে। কেননা বিনাভোটের অবৈধ সরকার টের পেয়ে গেছে, সামনে নির্বাচন হলে তাদের আর রক্ষা নাই। অন্য সব জরিপের কথা বাদ, কেবল ছাত্রলীগের জরিপেই উঠে এসেছে আ’লীগ ৪০ এর উপরে সীট পাবে না। এখন তাই মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে ৫ জানুয়ারির মত আরেকটা ভুয়া ইলেকশন করে আবার ক্ষমতায় যাওয়ার মতলব এটেছেন আ’লীগ নেত্রী হাসিনা।

বিএনপি, ২০ দলীয় জোট এবং দেশের মানুষকে এটা বুঝতে হবে- এটা ব্যক্তি খালেদা জিয়ার ওপরে আক্রমন নয়, দেশের গণতন্ত্রের উপর হামলা। এটাই গণতন্ত্রের শেষ যুদ্ধ। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করলে এই ভুয়া মামলা বাতাসে উড়ে যাবে। অনলাইন. অফলাইনে একসাথে ঝড় তুলুন। দলীয় কর্মীরা দলের নির্দেশ মেনে কর্মসূচি পালন করুন। জনতা সামিল হউন গণতন্ত্রের সংগ্রামে। বিজয়ী হয়ে আবার দেশ গড়ুন। আগ্রাসন ও দখলদারমুক্ত জনগনের সরকারকে দেশের দায়িত্ব দিন।

কপিঃ Samsun Alam ভাইয়ের ওয়াল থেকে।

Wednesday, 24 January 2018

হাসিনার শিক্ষাগত যোগ্যতার এত ঘাপলা কেনো?

হাসিনা খালেদা জিয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি আজ জিয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন । আর তার প্রতি উত্তরে আমাদের বিএনপির নেতারা মুখে কুলুপ দিয়ে বসে থাকলেও তো আমরা বসে থাকতে পারি না ।
.
১) হাসিনা ১৯৬৫ সনে মেট্রিক পাশ দাবী করে। সে অনুযায়ী তার ৬৭ সালে তার ইন্টারমিডিয়েট ও ৬৯ সালে বিএ পাশ করার কথা। কিন্ত সে সার্টিফিকেট হাজির করেছে ১৯৭৩ সনে বিএ পাশ। এই চার বছর উনি কি করেছেন, কোথায় ছিলেন? দেখা যায়, উনি সুধা মিয়াকে বিয়ে করেন ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর, আর ‘তথ্য বাবা’র জন্ম হয় ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই পাক সেনাদের পাহারায় সরকারী হাসপাতালে। এরপরে ২ বছর ছেলে বড় করলেন। তখন হঠাৎ সামনে এলো ৭৩ সালের টেবিল চেয়ার পাশের বছর। অমনি বিএ পাশ দিলেন! এই তো? বাঙ্গালি মেয়েদের ক্ষেত্রে সচরাচর যা হয়, বিয়ে হলে পড়া লেখা বন্ধ, সংসার নিয়ে ব্যস্ত, পরে সুযোগ পেলে অনিয়মিত বা প্রাইভেট পরীক্ষা দেয়া। অর্থাৎ বিয়ের কারনে হাসিনা খালেদা দু’জনেরই লেখাপড়া বন্ধ ছিল! নাকি?
২) হাসিনার বিএ পাশ সার্টিফিকেটে কোনো ডিভিশন বা ক্লাশ নাই! কেনো? হয় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল থেকে অনার্স পরীক্ষা দিয়ে ফেল করে “ডিভিশন ছাড়া বিএ পাশ” অর্জন করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো পাশ কোর্স ছিলনা, ওটা বিভিন্ন কলেজ থেকে দিতে হতো। নয়তো, বাপ প্রধানমন্ত্রী, কাজেই আদেশকোনটা?
৩) হাসিনা তার বায়োগ্রাফিতে দাবী করে, '৬৬-৬৭ শিক্ষাবর্ষে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী থাকাকালে ইডেন কলেজের ভিপি ছিল। কিন্তু বাস্তবে ঐ সময় ইডেন কলেজে ইন্টারমিডিয়েট সেকশনই ছিলো না। হাসিনা স্টুডেন্ট ছিল “সরকারি ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজ” যেটা ১৯৭৩ সালে নাম পাল্টায় “বদরুন্নেসা কলেজ।” [সুত্র: কাজী সিরাজ, দু:শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই, গ্রন্থকানন - সেপ্টেম্বর, ২০০১, পৃ: ৩৯৭-৩৯৮] তাহলে “ইডেন কলেজের ভিপি” -- এই মিথ্যা পরিচয়টা হাসিনা ব্যবহার করেন কেনো?
হাসিনাকে এখন জাতির কাছে পরিস্কার করতে হবে-
১. উনার বিএ পাশ সার্টিফিকেটে ক্লাশ বা ডিভিশন নাই কেনো? তাহলে উনি কি আসলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ফেল ছাত্রী?
২. উনি কি আদৌ ইডেন কলেজে পড়েছিলেন? পড়ে থাকলে কোন ক্লাশে? “ইডেনের ভিপি ছিলাম” এই পরিচয়টা বানোয়াট কি না?
৩. তাহলে সরকারি ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজ”কে পড়লো কোন হাসিনা?
৪. ১৯৬৯ সালে তিনি বিএ পাশ করতে পারলেন না কেনো? নাকি ৪ বার ফেল করেছিলেন?
৫. ৭৩ সালের পাশ, ৭৫ সালের তারিখ, আর এমাজউদ্দিন সাহেবের সই (যিনি ভিসি ছিলেন ১৯৯২-৯৬) কেমন যেনো বেখাপ্পা। এত ঘাপলা কেনো?
সিম্পল বিএ পাশ, তাও ৭৩ সালের, যখন চেয়ার টেবিলও পাশ করেছিল। সেখানে ডিভিশন/ক্লাশের উল্লেখ নাই। সার্টিফিকেটটি ভুয়া না কি জাল, সন্দেহ রয়ে গেছে। কারন ডঃ এমাজউদ্দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ছিলেন ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত। অথচ ৮ মার্চ ১৯৭৫ তারিখে ইস্যু করা হাসিনার সার্টিফিকেটে সই করেছেন ডঃ এমাজউদ্দিন! সন্দেহ তো থাকছেই।
.
ইতোমধ্যেই হাসিনা ডজন খানেক ’অনাহারী ডক্টরেট’ জোগাড় করে ফেলেছে। নিজের ওজন বাড়ানোর জন্য নোবেল জয়ী অমর্ত্য সেনের সাথে এক কাতারে বাংলা একাডেমীর ‘অনারারি ফেলোশিপ’ নিয়ে নিয়েছেন । কিন্তু রং হেডেড এর জন্যও যে উনার ফেলোশীপের একটা ব্যবস্থা হয়েছিল সেই সার্টিফিকেটর কি হবে?

Friday, 19 January 2018

পৃথিবীতে ঢাকা এয়ারপোর্টই একমাত্র এয়ারপোর্ট যার সাথে পাবলিক ট্রান্সপোর্টের কোন কানেকশন নাই !

পৃথিবীতে ঢাকা এয়ারপোর্টই একমাত্র এয়ারপোর্ট যার সাথে পাবলিক ট্রান্সপোর্টের কোন কানেকশন নাই !

কতটুকু কান্ডজ্ঞানহীন এবং মূর্খ জাতি হলে একটি আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টকে ডাইরেক্টলি ট্রেন এবং বাসের সাথে সাথে কোন কানেকশন ছাড়াই ফেলে রাখা হয়েছে !

বাংলাদেশের মানুষ এতো ধনী যে সবার প্রাইভেট কার আর সাথে ড্রাইভার আছে , তাই কেউ কোন পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ইউজ করে না , দরকারও নাই !

এজন্যই কোন ট্রেন স্টেশন এবং শাটল বাস সার্ভিসের কথা চিন্তা করতে হয় না !

অপ্ৰয়োজনীয় ফ্লাই-ওভার দিয়ে ঢাকা ছেঁয়ে ফেলা হচ্ছে কিন্তু অতি গুরুত্বপূর্ণ এয়ারপোর্টে যাওয়ার জন্য একটি ট্রেন কানেকশন , সিটি বাস সার্ভিস, এবং কমলাপুর রেলস্টেশন /গাবতলী /সায়েদাবাদ / মহাখালী যাওয়ার জন্য শাটল সার্ভিস যে ভয়ানক দরকার তা আমাদের বাঘা সব সিটি প্লানার , গোল্ড মেডেল পাওয়া ইঞ্জিনিয়ার এবং জাদরেল রাজনৈতিক নেতাদের মাথায় খেলে না !

যদিও এরা সবাই মজা পুকুরের কচুরিপানা সাফ করণের অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য বৌ শ্বাশুড়িসহ কদিন পর পরই বিদেশ ভ্রমণে বের হয় !

বিমান বন্দর নামে একটি রেল স্টেশন আছে , কিন্তু প্লেন থেকে নেমে মিনিমাম ৩০ কেজি ওজনের সুটকেস , ব্যাগ , বস্তা এবং সাথে ছোট বাচ্চা নিয়ে হেটে সেই এক মাইল দূরের স্টেশনে যাওয়া কারো পক্ষে সম্ভব কিনা তা এতো এতো বিসিএস দেয়া জ্ঞানী লোকগুলি কি বুঝতে পারে না , নাকি সেই জ্ঞান অর্জনের জন্য আজও তারা বিদেশে যাইতে পারে নাই !

আর ওই স্টেশনে নেমে সুটকেস , গাট্টি বস্তা নিয়ে সামনের গোলচক্কর পার হয়ে পরিবার নিয়ে যদি কেউ হেঁটে ওই পুলসিরাত পার হতে চায় , তবে পরিবারের অর্ধেকের ডেডবডি ওই গোলচক্করেই পরে থাকবে উইদাউট ডাউট !

দুদিন পর পর কোন না কোন ভিআইপি আসা যাওয়ার কারণে দেশের একমাত্র লাইফ লাইন এয়ারপোর্টের রাস্তা ঘন্টার পর ঘন্টা বন্ধ রাখা হয় !
সাধারণ মানুষ বহু আন্তর্জাতিক ফ্লাইট এবং আভ্যন্তরীন ফ্লাইট মিস করে !
কত মানুষের চাকুরী , ব্যবসা, স্কুল কলেজ এবং ডাক্তারের এপয়েন্টমেন্ট মিস করে তার কোন হিসাব এই মহান জাতি জানতে চাইবে না !

আর আজকের মতো বছরের দুইতিন দিন নিয়ম করে ইজতেমার জন্য ওই রোডে যাওয়া হারাম !

আমি যখন প্রথম বিদেশে আসি তখনই মাথায় ঢুকে ছিল দেশে ফেরত যেয়ে আমি এয়ারপোর্ট বাস সার্ভিস চালু করবো স্মার্ট বিমানবালাদের ( তখন বাসবালা হতো ) দিয়ে !
ধুমায়া ব্যবসা করবো !

কিন্তু বিড়ালের গলায় আমার ঘন্টা কোনদিন বাধা হইলো না !

লিখেছেন- সাফি হক
সৌদিআরব প্রবাসী গ্রুপ থেকে সংগ্রহীত পোস্ট)

Wednesday, 10 January 2018

পাকিস্তানের কারাগারের ঘটনা নিয়ে শেখ মুজিবের মিথ্যাচার

"... শেখ মুজিব ঢাকায় এসে তার প্রথম জনসভায় মর্মস্পর্শী ভাষণ দিয়েছিলেন। তিনি এই সভায় বলেছিলেন যে, লায়ালপুর জেলে তাকে হত্যা করে দাফন করার জন্য তার সেলের পাশে কবর খোঁড়া হয়েছিল। একজন জেলার ঘাতকের কবল থেকে তাকে বাঁচিয়েছিল।
জেলের ভিতর দাফন করার কথাটায় আমার বেশ খটকা লেগেছিল। অনেকদিন পরে, যখন বাংলাদেশ-পাকিস্তান ডাক চলাচল শুরু হয়, তখন লায়ালপুরে আমার এক পুরাতন বন্ধুকে কড়া ভাষায় পত্র লিখলাম যে, তোমাদের দেশে আমার দেশের সর্বজনমান্য নেতাকে নিয়ে যে ব্যবহার করেছ তা সভ্য জনোচিত হয়নি। জেলের মধ্যে কবর দেওয়ার কাহিনীও তাকে জানালাম। আমার আশা ছিল যে, তিনি প্রকৃত সংবাদ জানাতে পারবেন। কারণ তার প্রথম পুত্র সামরিক বাহিনীর কর্নেল এবং লায়ালপুর জেলে সামরিক ট্রাইব্যুনালের সদস্য ছিলেন। বন্ধুটি ছিলেন আবার শহীদ সোহরাওয়ার্দীর অন্ধ ভক্ত। সেজন্য শেখ মুজিব সম্পর্কে তার একটু দূর্বলতা ছিল।
প্রায় দেড়মাস পরে আমার পত্রের জওয়াব পেলাম। তিনি লিখেছেন যে, ট্রাইব্যুনালের সামনে শেখ সাহেব বলেছেন যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা তিনি চান নি। তিনি পূর্ব পাকিস্তানের ন্যায্য অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছেন। শেখ সাহেবের এই বিবৃতি ট্রাইব্যুনালে রেকর্ড করা আছে। আর সেলের পাশে কবর খোঁড়ার ব্যাপার সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তা সত্য নয়। ভারতীয় বিমান হামলার আশঙ্কায় জেলখানার মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় অনেক ট্রেন্স খুঁড়ে রাখা হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে শেখ সাহেবকে জেলে এক বিরাট ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল। সেখানে তিনি নিজে ফুলগাছ লাগাতেন, গাছে পানি দিতেন। তিনি যে ওয়ার্ডে ছিলেন তা আসবাবপত্রে সজ্জিত ছিল॥"

- মোহাম্মদ মোদাব্বের / সাংবাদিকের রোজনামচা ॥ [ বর্ণ মিছিল; সেপ্টেম্বর, ১৯৭৭ । পৃ: ৩৪৭ ]

Friday, 5 January 2018

দল বা আমরা কেউ স্মরণ করেছি কি তাদের..?


২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারী এইদিনে খুনি হাসিনার পাতানো নির্বাচন প্রতিরোধ আন্দোলনে সারা দেশে শুধুমাত্র আমরা হারিয়েছে ১১ জন বীর সৈনিকে ।
** ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পাতানো নির্বাচন প্রতিরোধ আন্দোলনে আওয়ামী পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়েছেন ৩ জন । বিএনিপি নেতা জয়নাল আবেদীন,আবু হানিফ ও যুবদল নেতা হারুন অর রশিদ ।
** ফেনীর সোনাগাজীতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে শহীদ হয়েছেন ২ জন । যুবদল নেতা জামশেদ আলম ও ছাত্রদল নেতা শহীদ উল্লাহ্ ।
** দিনাজপুরের পার্বতীপুরের উত্তর সালন্দা ও গোবিন্দপুর ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষে শহীদ হয়েছেন ২ জন। যুবদল কর্মী রায়হান মাসুদ ও যুবদল কর্মী চুন্নু মিয়া।
** চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়েছেন ছাত্রদল কর্মী রুবেল হোসেন।
** মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলা পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়েছেন কাঠাদিয়া শিমুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক "শহীদ ছাত্রনেতা এহসানুল হক কঙ্কন" ।
** লালমনিরহাটে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে শহীদ হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ফারুক হোসেন।
** নওগাঁর মান্দায় পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়েছেন বিএনপি কর্মী আবুল বাশার ।
২০১৪ সালের পর থেকে আমরা ৫ই জানুয়ারী এইদিনকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসেবে পালন করি ।
এর পাশাপাশি যদি স্ব-স্ব জেলা গুলোতে এই দিনে গণতন্ত্র রক্ষা আন্দোলনে শহীদ হওয়া বীর গুলোর আত্বার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও স্বজন হারানো পরিবার গুলোকে সান্তনা দেওয়া কর্মসূচি নেওয়া হতো দল থেকে তাহলে তাদের আত্বা শান্তি পেতো বৈকি!
দুঃখ জনক আমরা কেউ তাদের খবর রাখি না।
আজকের গণতন্ত্র হত্যা দিবসের এই দিনে সকল বীর শহীদের আত্বার মাগফেরাত ও জান্নাত কামনা করি। আমিন।
ছবিঃ.. এই দিনে ফেনীর সোনাগাজীতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে শহীদ হওয়া ২ জন । যুবদল নেতা জামশেদ আলম ও ছাত্রদল নেতা শহীদ উল্লাহ্ ।
(সৌজন্যে সুমন আহসান)