গোলাম আযমের নাগরিকত্ব প্রাপ্তি বিষয়ে যে সত্যগুলো সবার জানা প্রয়োজন:
১/ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বর গোলাম আযম পাকিস্তান চলে যান। ১৯৭৩ সালের ২৮ এপ্রিল এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে লন্ডনে অবস্থানরত গোলাম আযমসহ মোট ৩৮ জন বাংলাদেশ বিরোধী কিন্তু জন্মগতভাবে বংলাদেশী হবার যোগ্য লোককে নাগরিকত্ব পাবার জন্য অযোগ্য ঘোষনা করা হয়।
২/ ১৯৭৬, ৭৭ এবং ৭৮ সালে গোলাম আযম তিনবার তার নাগরিকত্ব ফেরত পাবার জন্য আবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হবার পর ১৯৭৮ সালের মৃত্যুপথযাত্রী মাকে দেখার জন্য মানবিক কারণে ভিসা পেয়ে পাকিস্তানী পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। অতপর ভিসার মেয়াদ শেষ হবার পরও অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করতে থাকেন।
৩/ ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগ প্রধান রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাদের প্রার্থী বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরীর পক্ষে সমর্থনের জন্য জায়নামাজ আর তসবী নিয়ে গোলাম আযমের ধর্না দিলে গোলাম আযম বাংলাদেশের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করার উৎসাহ পান এবং ১৯৯২ সালে জামায়াতে ইসলামীর আমীর হন।
৪/ গোলাম আযম জামায়াতে ইসলামীর আমীর হবার পর তৎকালীন বিএনপি সরকার গোলাম আযমকে ভিসা শেষ হবার পরও অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করার কারণে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করে এবং রমজানের সময়সহ একটি দীর্ঘ সময় গোলাম আযমকে কারাগারে থাকতে হয় (কারাগার মানে চৌদ্দ শিক, পিজি হাসপাতালের প্রিজন সেলে ভিভিআইপি এসি কেবিন নয়)।
৫/ জেলে বন্দী অবস্থায় গোলাম আযম বাংলাদেশের নাগরিকত্ব চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন।
৬/ সেই সময় বিএনপি সরকারের এটর্নি জেনারেল ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী পন্থী আইনজীবী আমিনুল হক। তিনি শাহাবুদ্দিন আহমেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নিয়োগ পেলেও বিএনপি তাঁকে ঐ বদে বহাল রেখেছিলো। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ঐ পদে বহাল ছিলেন। উনার আরেকটি পরিচয় হচ্ছে উনি ছিলেন আগরতলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হকের ভাই। আমিনুল হক অত্যন্ত যত্ন করে মামলা সাজিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধ বিষয়ে গোলাম আযম সম্পর্কে যে সকল তথ্য বর্তমানে ব্লগে বা বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়, তার প্রায় সবকিছুই সেই সময়ের এটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের গবেষনা, সংগ্রহ ও গ্রন্থনার অবদান। কিন্তু আমিনুল হক তাঁর জীবনের শ্রেষ্ট লড়াই করেও আপিলেট ডিভিশনের ফুল বেঞ্চে সরকার পক্ষের মামলা হেরে যান এবং গোলাম আযম নাগরিকত্ব ফেরত পায়।
৭/ বিএনপি সরকার মামলায় হেরে গেলেও তখন হাইকোর্টের ফুল বেঞ্চে কারা ছিলেন একটু দেখে নেয়া যাক:
(ক) প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ (১৯৯০ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান এবং ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রেসিডেন্ট),
(খ) বিচারপতি হাবিবুর রহমান (১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান),
(গ) বিচারপতি লতিফুর রহমান (পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতি এবং ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান),
(ঘ) বিচারপতি মোস্তফা কামাল (পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতি),
(ঙ) বিচারপতি মুনীর রেজা চৌধুরী (পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতি)
১/ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বর গোলাম আযম পাকিস্তান চলে যান। ১৯৭৩ সালের ২৮ এপ্রিল এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে লন্ডনে অবস্থানরত গোলাম আযমসহ মোট ৩৮ জন বাংলাদেশ বিরোধী কিন্তু জন্মগতভাবে বংলাদেশী হবার যোগ্য লোককে নাগরিকত্ব পাবার জন্য অযোগ্য ঘোষনা করা হয়।
২/ ১৯৭৬, ৭৭ এবং ৭৮ সালে গোলাম আযম তিনবার তার নাগরিকত্ব ফেরত পাবার জন্য আবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হবার পর ১৯৭৮ সালের মৃত্যুপথযাত্রী মাকে দেখার জন্য মানবিক কারণে ভিসা পেয়ে পাকিস্তানী পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। অতপর ভিসার মেয়াদ শেষ হবার পরও অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করতে থাকেন।
৩/ ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগ প্রধান রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাদের প্রার্থী বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরীর পক্ষে সমর্থনের জন্য জায়নামাজ আর তসবী নিয়ে গোলাম আযমের ধর্না দিলে গোলাম আযম বাংলাদেশের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করার উৎসাহ পান এবং ১৯৯২ সালে জামায়াতে ইসলামীর আমীর হন।
৪/ গোলাম আযম জামায়াতে ইসলামীর আমীর হবার পর তৎকালীন বিএনপি সরকার গোলাম আযমকে ভিসা শেষ হবার পরও অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করার কারণে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করে এবং রমজানের সময়সহ একটি দীর্ঘ সময় গোলাম আযমকে কারাগারে থাকতে হয় (কারাগার মানে চৌদ্দ শিক, পিজি হাসপাতালের প্রিজন সেলে ভিভিআইপি এসি কেবিন নয়)।
৫/ জেলে বন্দী অবস্থায় গোলাম আযম বাংলাদেশের নাগরিকত্ব চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন।
৬/ সেই সময় বিএনপি সরকারের এটর্নি জেনারেল ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী পন্থী আইনজীবী আমিনুল হক। তিনি শাহাবুদ্দিন আহমেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নিয়োগ পেলেও বিএনপি তাঁকে ঐ বদে বহাল রেখেছিলো। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ঐ পদে বহাল ছিলেন। উনার আরেকটি পরিচয় হচ্ছে উনি ছিলেন আগরতলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হকের ভাই। আমিনুল হক অত্যন্ত যত্ন করে মামলা সাজিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধ বিষয়ে গোলাম আযম সম্পর্কে যে সকল তথ্য বর্তমানে ব্লগে বা বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়, তার প্রায় সবকিছুই সেই সময়ের এটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের গবেষনা, সংগ্রহ ও গ্রন্থনার অবদান। কিন্তু আমিনুল হক তাঁর জীবনের শ্রেষ্ট লড়াই করেও আপিলেট ডিভিশনের ফুল বেঞ্চে সরকার পক্ষের মামলা হেরে যান এবং গোলাম আযম নাগরিকত্ব ফেরত পায়।
৭/ বিএনপি সরকার মামলায় হেরে গেলেও তখন হাইকোর্টের ফুল বেঞ্চে কারা ছিলেন একটু দেখে নেয়া যাক:
(ক) প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ (১৯৯০ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান এবং ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রেসিডেন্ট),
(খ) বিচারপতি হাবিবুর রহমান (১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান),
(গ) বিচারপতি লতিফুর রহমান (পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতি এবং ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান),
(ঘ) বিচারপতি মোস্তফা কামাল (পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতি),
(ঙ) বিচারপতি মুনীর রেজা চৌধুরী (পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতি)
No comments:
Post a Comment