Wednesday, 24 January 2018

হাসিনার শিক্ষাগত যোগ্যতার এত ঘাপলা কেনো?

হাসিনা খালেদা জিয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি আজ জিয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন । আর তার প্রতি উত্তরে আমাদের বিএনপির নেতারা মুখে কুলুপ দিয়ে বসে থাকলেও তো আমরা বসে থাকতে পারি না ।
.
১) হাসিনা ১৯৬৫ সনে মেট্রিক পাশ দাবী করে। সে অনুযায়ী তার ৬৭ সালে তার ইন্টারমিডিয়েট ও ৬৯ সালে বিএ পাশ করার কথা। কিন্ত সে সার্টিফিকেট হাজির করেছে ১৯৭৩ সনে বিএ পাশ। এই চার বছর উনি কি করেছেন, কোথায় ছিলেন? দেখা যায়, উনি সুধা মিয়াকে বিয়ে করেন ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর, আর ‘তথ্য বাবা’র জন্ম হয় ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই পাক সেনাদের পাহারায় সরকারী হাসপাতালে। এরপরে ২ বছর ছেলে বড় করলেন। তখন হঠাৎ সামনে এলো ৭৩ সালের টেবিল চেয়ার পাশের বছর। অমনি বিএ পাশ দিলেন! এই তো? বাঙ্গালি মেয়েদের ক্ষেত্রে সচরাচর যা হয়, বিয়ে হলে পড়া লেখা বন্ধ, সংসার নিয়ে ব্যস্ত, পরে সুযোগ পেলে অনিয়মিত বা প্রাইভেট পরীক্ষা দেয়া। অর্থাৎ বিয়ের কারনে হাসিনা খালেদা দু’জনেরই লেখাপড়া বন্ধ ছিল! নাকি?
২) হাসিনার বিএ পাশ সার্টিফিকেটে কোনো ডিভিশন বা ক্লাশ নাই! কেনো? হয় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল থেকে অনার্স পরীক্ষা দিয়ে ফেল করে “ডিভিশন ছাড়া বিএ পাশ” অর্জন করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো পাশ কোর্স ছিলনা, ওটা বিভিন্ন কলেজ থেকে দিতে হতো। নয়তো, বাপ প্রধানমন্ত্রী, কাজেই আদেশকোনটা?
৩) হাসিনা তার বায়োগ্রাফিতে দাবী করে, '৬৬-৬৭ শিক্ষাবর্ষে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী থাকাকালে ইডেন কলেজের ভিপি ছিল। কিন্তু বাস্তবে ঐ সময় ইডেন কলেজে ইন্টারমিডিয়েট সেকশনই ছিলো না। হাসিনা স্টুডেন্ট ছিল “সরকারি ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজ” যেটা ১৯৭৩ সালে নাম পাল্টায় “বদরুন্নেসা কলেজ।” [সুত্র: কাজী সিরাজ, দু:শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই, গ্রন্থকানন - সেপ্টেম্বর, ২০০১, পৃ: ৩৯৭-৩৯৮] তাহলে “ইডেন কলেজের ভিপি” -- এই মিথ্যা পরিচয়টা হাসিনা ব্যবহার করেন কেনো?
হাসিনাকে এখন জাতির কাছে পরিস্কার করতে হবে-
১. উনার বিএ পাশ সার্টিফিকেটে ক্লাশ বা ডিভিশন নাই কেনো? তাহলে উনি কি আসলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ফেল ছাত্রী?
২. উনি কি আদৌ ইডেন কলেজে পড়েছিলেন? পড়ে থাকলে কোন ক্লাশে? “ইডেনের ভিপি ছিলাম” এই পরিচয়টা বানোয়াট কি না?
৩. তাহলে সরকারি ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজ”কে পড়লো কোন হাসিনা?
৪. ১৯৬৯ সালে তিনি বিএ পাশ করতে পারলেন না কেনো? নাকি ৪ বার ফেল করেছিলেন?
৫. ৭৩ সালের পাশ, ৭৫ সালের তারিখ, আর এমাজউদ্দিন সাহেবের সই (যিনি ভিসি ছিলেন ১৯৯২-৯৬) কেমন যেনো বেখাপ্পা। এত ঘাপলা কেনো?
সিম্পল বিএ পাশ, তাও ৭৩ সালের, যখন চেয়ার টেবিলও পাশ করেছিল। সেখানে ডিভিশন/ক্লাশের উল্লেখ নাই। সার্টিফিকেটটি ভুয়া না কি জাল, সন্দেহ রয়ে গেছে। কারন ডঃ এমাজউদ্দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ছিলেন ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত। অথচ ৮ মার্চ ১৯৭৫ তারিখে ইস্যু করা হাসিনার সার্টিফিকেটে সই করেছেন ডঃ এমাজউদ্দিন! সন্দেহ তো থাকছেই।
.
ইতোমধ্যেই হাসিনা ডজন খানেক ’অনাহারী ডক্টরেট’ জোগাড় করে ফেলেছে। নিজের ওজন বাড়ানোর জন্য নোবেল জয়ী অমর্ত্য সেনের সাথে এক কাতারে বাংলা একাডেমীর ‘অনারারি ফেলোশিপ’ নিয়ে নিয়েছেন । কিন্তু রং হেডেড এর জন্যও যে উনার ফেলোশীপের একটা ব্যবস্থা হয়েছিল সেই সার্টিফিকেটর কি হবে?

No comments:

Post a Comment