Tuesday, 13 June 2023
সামিটের আজিজ খান এবং সামিট সিঙ্গাপুরের বড় আর্টের সমঝদার
সামিটের আজিজ খানেরা গত এক দশকে বাংলাদেশকে যেভাবে লুট করেছে, ব্রিটিশরাও সেভাবে করেনি।
তারা বিদ্যুৎ কেন্দ্র করেছে দেশি ব্যাংকের ঋণে। সেই ঋণে যে যন্ত্রপাতি আমদানি করেছে তার একটা অংশ পাচার করেছে ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জে।
ইন্টারন্যাশনাল কন্সোরটিয়াম অফ ইনভেস্টিগেটিভ জারনালিস্টের প্রকাশিত ২০১৬ সালের পানামা পেপারসে জনাব আজিজ খান, তার স্ত্রী এবং তিনজন পরিবারের সদস্যের নাম আসে। পানামা পেপারসে দেখানো হয়, তারা ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জে সিঙ্গাপুরের ঠিকানা ব্যবহার করে ছয়টি অফশোর কোম্পানি পরিচালনা করছেন।
আমি একটা ছবি দিলাম, ছবিটা সরাসরি পানামা পেপারসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া।
যে অর্থ সামিটের আজিজ খানেরা ভার্জিন আইল্যান্ডে পাচার করেছে, যে অর্থ দিয়ে সামিট সিঙ্গাপুরের বড় আর্টের সমঝদার হয়েছে সেই অর্থ থাকলে আজ বাংলাদেশ জ্বালানী সংকটে আপনার লোডশেডিং হতো না, শিল্পোৎপাদন বন্ধ হয়ে যেত না, জেনারেটর দিয়ে প্রসুতির বাচ্চার জন্মের সময়ে অপারেশন করতে হতো না।
কিন্তু যন্ত্রপাতি ক্রয়ে এই অর্থপাচার লুটের শুরু মাত্র।
বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলো ক্রয়ের পর দায়মুক্তি দিয়ে তাদের সাথে যে চুক্তি করা হয়েছে সেই চুক্তিতে বিদ্যুৎ কেনায় তাদের অস্বাভাবিক মুনাফা করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
এবং বিদ্যুৎ কেনা না হলে, তারা অস্বাভাবিক হারে ক্যাপাসিটি চারজ পেয়েছে। ২০১৯-২০ সাল পর্যন্ত এক দশকে সামিট ৭৬৮৯.৯৫ কোটি টাকা নিয়েছে শুধু মাত্র ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে- এক মুহূর্ত চিন্তা করেন এই ৮০০০ কোটি টাকা কত বড় অঙ্কের টাকা। পূর্বের হিসেবে ৮ হাজার কোটি টাকা প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ আইএমকে তার সভ্রেন্টি বেচে দিয়েছে, ৩ বছরে ৪.৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের জন্যে, অর্থাৎ বাংলাদেশ বছরে আইএমএফের কাছে সর্বোচ্চ ১.২ বিলিয়ন ডলার পাবে।
অন্য দিকে এই সামিট একলাই এক বিলিয়ন ডলার সমপরিমানের অর্থ নিয়ে গ্যাছে শুধু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চারজ হিসেবে।
তাদের এলএনজি বা অন্য প্রজেক্টের হিসেব বাদ দিলাম।
কিন্তু এখানে শেষ নয়।
সামিট এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলো আবার শেয়ার বাজারে ------------
বাকি লেখাটা আমার Zia Hassan এ গিয়ে পড়েন। সেখানে সাবস্ক্রাইব করেন।
এই প্রোফাইলটি এল্গোরিদ্মের রেস্ট্রিকশানের কারনে একটা মৃত দেয়াল। আমি সব লেখা ঐ প্রোফাইলেই দিচ্ছি। @ziahassanpage টিকে আমার নতুন করে গড়তে হচ্ছে।
আপনাকে @ziahassanpage সাবস্ক্রাইব করার অনুরোধ করছি।
বৃষ্টির কারনে দাবদাহ কমে বাংলাদেশের মানুষ কিছু দিন স্বস্তিতে আছেন শুনে ভালো লাগলো।
শুভেচ্ছো।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment