Friday, 2 December 2022

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের দুর্নীতি

বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেই এক যুগে ব্যবসায়ীরা ৭০ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছে। অলস বিদ্যুৎ এর বোঝা— ১। গত ১১ বছরে কমপক্ষে ১০ দফায় বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। পাইকারি বিদ্যুতের দাম ১১৮ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। খুচরা পর্যায়ে দাম বেড়েছে প্রায় ৯০ শতাংশ। ২। বিদ্যুতের দাম শুধুমাত্র বিদ্যুৎ খাতেই সীমাবদ্ধ থাকে না। খাদ্যশস্য ও পরিবহন ভাড়াসহ বেড়ে যায় জীবনযাত্রার সকল ব্যয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সুপরিকল্পিত দুর্নীতি, অপচয় এবং অব্যবস্থাপনার কারণেই বিদ্যুতের দাম ঊর্ধ্বমুখী। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সক্ষমতা ও চাহিদা  দেশে বর্তমানে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মোট সক্ষমতার পরিমাণ ২৫ হাজার ৭৮৭ মেগাওয়াট।  সরকারি তথ্য অনুসারে গত ৯ এপ্রিল ২০২২ তারিখ দিনে সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১১ হাজার ৬শ ৪২ মেগাওয়াট এবং সন্ধ্যায় ১ হাজার ৩শ ৯০ মেগাওয়াট ।  বিদ্যমান কেন্দ্রের মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্র বছরের বেশিরভাগ সময় অলস পড়ে থাকে।  সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা বেশি। তবুও ২০২০-২১ অর্থবছরে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকেই বেশি বিদ্যুৎ কিনেছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড- বিপিডিবি।  ফলে সরকারি এই সংস্থাটির পরিচালন ক্ষতি গত অর্থবছরে দ্বিগুণ বেড়েছে। বড় এ ক্ষতি পোষাতে গত অর্থবছরে শুধু বিপিডিবির পেছনেই সরকারের দেয়া ভর্তুকির পরিমাণ দাঁড়ায় ১১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা! অপর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা  বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতিদিন ১ হাজার ৩শ ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে।  ২০২০ সালের ১৫ মে প্রথম কেন্দ্রটি পুরোপুরি উৎপাদনে আসে। দ্বিতীয় ইউনিট বাণিজ্যিকভাবে কাজ শুরু করে একই বছরের ডিসেম্বরে।  সঞ্চালন লাইন নির্মাণ পুরোপুরি শেষ না হওয়ার কারণে সেই বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যায়নি। বিদ্যুৎ বেসরকারীকরণ  বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার ৬০ শতাংশ বসিয়ে রেখে ‘ক্যাপাসিটি চার্জ’ দেয়া হচ্ছে।  বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেই বেসরকারি কোম্পানিগুলো গত এক যুগে তুলে নিয়েছে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা।  বিদ্যুৎ খাতের মাস্টারপ্লানে মোট স্থাপিত সক্ষমতার ২০ থেকে ২৫ শতাংশের বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্রকে অলস বসিয়ে না রাখার নির্দেশনা দেওয়া আছে। কিন্তু বাংলাদেশে ৪৫ শতাংশের অধিক বিদ্যুৎ বসিয়ে রাখা হয়েছে।  বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র (আইপিপি) থেকে বিদ্যুৎ কেনার কারণে গতবছর বিপিডিবি’র ব্যয় বেড়েছে ৫৮ শতাংশ।  চাহিদার চেয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অনেক বেশি ধরা হয়েছে এবং দরকারের চেয়ে অনেক বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।  মার্কিন বিজনেস সাময়িকী ফোর্বস এর তথ্যানুসারে বাংলাদেশে বিদ্যুৎখাতে ভর্তুকি পাওয়া ব্যবসায়ী সিঙ্গাপুরের ৩৪তম শীর্ষ ধনী। তিনি দেশের প্রথম ‘ডলার বিলিওনিয়ার’।  ভর্তুকির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের টাকা এভাবে তুলে দেওয়া হচ্ছে কিছু কোম্পানির হাতে। সক্ষমতার পরেও বিদ্যুৎ আমদানি অলস বিদ্যুতের বোঝা।  এক তৃতীয়াংশ বিদ্যুৎ অব্যবহৃত থাকার পরেও ভারত থেকে প্রায় প্রতিদিন ১ হাজার ১শ ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে।  ২০২০-২১ অর্থবছরে বিদ্যুৎ আমদানি করা হয় ৮১২ কোটি ৮৯ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টা। এক্ষেত্রে ব্যয় হয় চার হাজার ৭১২ কোটি ৯১ লাখ টাকা।  বর্তমানে ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এনটিপিসির অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ ভ্যাপার নিগম লিমিটেড- এনভিভিএন থেকে দুই ধাপে যথাক্রমে ২৫০ ও ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনে বাংলাদেশ।  এছাড়া সেম্বকপ ইন্ডিয়া নামের আরেকটি কোম্পানি থেকে ২৫০ মেগাওয়াট, পিটিসি থেকে ২০০ মেগাওয়াট ও ত্রিপুরা থেকে ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়। বিদ্যুৎ খাতে দায়মুক্তি ১. বিদ্যুৎখাতের এই সব অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে ভবিষ্যতে কোনো ধরনের তদন্ত এবং শাস্তি এড়ানোর লক্ষ্যে দায়মুক্তি দিয়ে ২০১০ সালে প্রণয়ন করা হয় ‘বিদ্যুৎ-জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) নামের একটি আইন। ২. বিশেষ আইনটি দুই বছরের জন্য প্রথম পাস করা হয়। এরপর চার দফায় ১৪ বছর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিশেষজ্ঞদের মতে, বিদ্যুৎখাতে এই সব তৎপরতার ফলে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে রাষ্ট্র। আর জনগণকে টানতে হচ্ছে অলস বিদ্যুৎ এর বোঝা।

Wednesday, 26 October 2022

ঢাকার বিখ্যাত খাবার তালিকা

ঢাকার বিখ্যাত খাবার তালিকা➤ ১. বংশাল এর হোটেল আল-রাজ্জাক এর কাচ্চি, গ্লাসি, মোরগ পোলাও। ২.লালবাগ রয়্যাল এর কাচ্চি, জাফরান বাদামের শরবত, চিকেন টিক্কা, সেরা লাবান, কাশ্মীরী নান। ৩.নবাবপুর রোডে স্টার হোটেল এর খাসির লেগ রোস্ট, চিংড়ি, ফালুদা। ৪.নবাবপুর আরজু হোটেল এর মোরগ পোলাও, নাস্তা আর কাচ্চি। ৫.নবাবপুরের মরণচাঁদ মিষ্টির দোকানের ভাজি, পরোটা, মিষ্টি ও টক দই। ৬.নাজিরা বাজারের হাজীর বিরিয়ানি। ৭.নাজিরা বাজারের হাজীর বিরিয়ানির বিপরীতে হানিফের বিরিয়ানি। ৮.নাজিরা বাজার মোড়ে বিসমিল্লাহর বটি কাবাব আর গুরদার। ৯.নাজিরা বাজারের ডালরুটি। ১০.বংশালের শমসের আলীর ভুনা খিচুড়ি, কাটারী পোলাও। ১১.বেচারাম দেউরীতে অবস্থিত নান্না বিরিয়ানি এর মোরগ পোলাও। ১২.বেচারাম দেউরীতে হাজী ইমাম এর বিরিয়ানি। ১৩.ঠাঁটারী বাজারের গ্রীন সুইটস এর আমিত্তি, জিলাপি। ১৪.ঠাঁটারীবাজার স্টার হোটেল এর কাচ্চি বিরিয়ানি, লেগ রোস্ট আর ফালুদা। ১৫.ঠাঁটারী বাজারের বটতলার কাবাব। ১৬.সূত্রাপুর বাজারের রহিম মিঞার খাসির বিরিয়ানি। ১৭.সূত্রাপুর ডালপট্টির বুদ্ধুর পুরি। ১৮.দয়াগঞ্জের সিটি বিরিয়ানি ও কাচ্চি। ১৯.দয়াগঞ্জের ঢাকা কাবাব। ২০.আরমানিটোলার তারা মসজিদের পাশে জুম্মন মামার চটপটি। ২১.সিদ্দিক বাজারের মাজাহার সুইটস। ২২.পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার রহমানিয়া এর কাবাব। ২৩.পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার সোনা মিঞার দই। ২৪.গেন্ডারিয়ার আল্লাহর দান বিরিয়ানি এবং রহমান এর কাবাব। ২৫.গেন্ডারিয়া ভাটিখানার হাসেম বাঙ্গালির ডালপুরি। ২৬.গেন্ডারিয়ার 'কিছুক্ষণ' রেঁস্তোরার মোগলাই পরোটা, কাটলেট, কর্ন স্যুপ। ২৭.গেন্ডারিয়ার বুদ্ধুর বিরিয়ানি। ২৮.আবুল হাসনাত রোডের কোলকাতা কাচ্চি ঘর। ২৯.আবুল হাসনাত রোডের দয়াল সুইটস এর মিষ্টি। ৩০.রায় সাহেব বাজারের বিউটি লাচ্ছি। ৩১.রায়সাহেব বাজারের আল ইসলামের মোরগ পোলাও, চিকেন টিক্কা। ৩২.রায়সাহেব বাজারের ক্যাফে ইউসুফের নান ও চিকেন টিক্কা। ৩৩.রায় সাহেব বাজারের গলিতে মাখন মিঞার বিরিয়ানি। ৩৪.চকবাজারের নূরানী শরবত বা লাচ্ছি, শাহ্ সাহেবের বিরিয়ানি, Bombay এর আফ্লাতুন, আমানিয়ার খাসির গ্লাসি, বিসমিল্লাহ হোটেলের মোগলাই পরোটা এবং আলাউদ্দীন এর ভাজি পুরি। ৩৫.লালবাগ মোড়ের মীরা মিঞার চিকেন ফ্রাই আর গরুর শিক। ৩৬.লালবাগ চৌরাস্তার খেতাপুরি ও মদিনা মিষ্টান্ন ভান্ডারের মিষ্টি। ৩৭.লালবাগের পাক-পাঞ্জাতন এর মজার তেহারি। ৩৮.লালবাগের ভাটের মসজিদের কাবাব বন। ৩৯.নাজিমুদ্দিন রোডের নীরব হোটেলের অনেক ধরণের ভর্তা। ৪০.বাংলাবাজারের ক্যাফে কর্ণার এর কাটলেট ও চপ। ৪১.বাংলাবাজারের নর্থব্রুক হলে রোডের চৌরঙ্গী হোটেলের লুচি, ডাল, পরোটা। ৪২.তাঁতীবাজারের কাশ্মীরের কাচ্চি। ৪৩.লক্ষীবাজারের মাসহুর সুইটমিট এর লুচি, ভাজি আর ডাল। ৪৪.লক্ষীবাজার পাতলা খান লেন এর লুচি-ভাজি। ৪৫.পুরান ঢাকার নারিন্দার সফর বিরিয়ানি। ৪৬.নারিন্দার শাহ্ সাহেবের ঝুনু বিরিয়ানি। ৪৭.নারিন্দার সৌরভ এর মাঠা আর ছানা। ৪৮.নারিন্দায় অবস্থিত রাসেল হোটেল এর নাস্তা। ৪৯.নারিন্দার মহান চাঁদের লুচি, হালুয়া, সবজির লাবরা, কাঁচা ছানা। ৫০.পুরান ঢাকার ওয়াইজ ঘাটের নানা রেঁস্তোরা। ৫১.শাঁখারীবাজারের অমূল্য সুইটস এর পরোটা ভাজি, হালুয়া আর সন্দেশ। ৫২.কলতাবাজারের নাসির হোটেলের বিখ্যাত গরুর মাংস আর পরোটা। ৫৩.টিপু সুলতান রোডের খান হোটেল এর টাকি মাছের পুরি। ৫৪.টিপু সুলতান রোডের 'দিল্লী সুইটমিট' এর সন্দেশ, পরোটা ও টকভাজি। ৫৫.হোসনী দালান রোডে রাতের বেলার পরোটা আর কলিজা ভুনা। ৫৬.চানখাঁরপুলের মামুন হোটেল এর স্পেশাল কাচ্চি। (প্রতি মাসের প্রথম শুক্রবার) ৫৭.হাজারিবাগ বাজারের মারুফ বিরিয়ানি। ৫৮.মিটফোর্ড এর দিগু বাবু লেন এর মানিক চানের পোলাও। ৫৯.খিঁলগাও তালতলা- ফাস্টফুডে একের ভেতর সব। বিশেষত, খিঁলগাওয়ের ভোলা ভাই বিরিয়ানির গরুর চপ এবং মুক্তা বিরিয়ানির গরুর চপ, খাসির চপ ও ফুল কবুতর। খিলগাঁও বাজারের উল্টো পাশে আল রহমানিয়ার গ্রিল চিকেন আর তেহারি। ৬০. পুরান ঢাকার আগুন পান এবং রোজার দিনের ইফতার আইটেম। ৬১.মতিঝিলের ঘরোয়া হোটেল এবং হীরাঝিলের ভুনা খিচুড়ি। মতিঝিল সিটি সেন্টারের পেছনের বালুর মাঠের পেছনের মামার খিচুড়ি। ৬২.লালমাটিয়ার 'স্বাদ' এর তেহারি। ৬৩.নয়াপল্টনে হোটেল ভিক্টোরিতে ৭০টি আইটেমের বুফে। ৬৪.হাতিরপুল মোড়ে হেরিটেজের শর্মা। ৬৫.ধানমন্ডির কড়াই গোশতের ইলিশ সস। ৬৬.মোহাম্মদপুর জেনেভা/বিহারী ক্যাম্পের গরু ও খাশির চপ, গরুর মগজ ফ্রাই এবং মুস্তাকিমের চপ। ৬৭.মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের সামনের বিহারী ক্যাম্পের “মাঞ্জারের পুরি”। ৬৮.মিরপুর-১০ এর শওকতের কাবাব। ৬৯.গুলশানের কস্তুরির শর্মা। ৭০.পুরান ঢাকার মদিনা হোটেলের লুচি-ডাল। ৭১.জেলখানা গেইটের পাশে হোটেল নীরব এর ব্রেন ফ্রাই। ৭২.নয়া বাজারের করিমের বিরিয়ানি। ৭৩.চানখারপুলের নীরব হোটেলের ভুনা গরু আর ভর্তার সাথে ভাত। ৭৪.ধানমন্ডি লায়লাতির খাসির ভুনা খিচুড়ি। ৭৫.পুরানা পল্টনে খানা-বাসমতির চাইনিজ প্যাকেজ। ৭৬.গুলশান ২-এর খাজানার মাটন দম বিরিয়ানি এবং হায়দ্রাবাদি বিরিয়ানি। ৭৭.মৌচাকের 'স্বাদ' রেঁস্তোরার ভাতের সাথে ৩৬ রকমের ভর্তা। ৭৮.সায়েন্স ল্যাবে 'মালঞ্চ' রেঁস্তোরার কাচ্চি বিরিয়ানি। ৭৯.বেইলি রোডে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির সামনের গরু, খাশির চপ+স্যুপ। ৮০.পুরানা পল্টনের ভাই ভাই রেস্টুরেন্টের কাচ্চি। ৮১.গ্যান্ড নওয়াবের কাচ্চি বিরিয়ানি। ৮২.নবাবী ঝালমুড়ি (রামপুরা) ৮৩.নীলক্ষেতের ইয়াসিন আর ঢাকা বিরিয়ানির গরুর কাচ্চি। ৮৪.নীলক্ষেতের সুলতানী ভোজের তেহারি, মোরগ পোলাও, ভুনা খিচুড়ি। ৮৫.কাঁটাবন ঢালে অষ্টব্যঞ্জনের চিকেন খিচুড়ি। ৮৬.গুলশানের পিংক সিটিতে 'Baton Rouge' এর বুফে। ৮৭.ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবনের পেছনের ফুসকা মামার ফুসকা। ৮৮.সুলতান ডাইন মেন্যু সেট। ৮৯.মিরপুর ঝুট পট্টির রাব্বানির চা। ৯০.বিউটি বোর্ডিং এর আলুর দম, লুচি আর চা। ৯১.গোপীবাগের খাজা হালিম ও টিটির কাচ্চি। ৯২.বায়তুল মোকাররমে অলিম্পিয়া কনফেকশনারীর “চকলেট পেস্টি”। ৯৩.মধ্য বাড্ডায় (গুদারাঘাট) নয়ন বিরিয়ানি হাউজের কাচ্চি, মোরগ পোলাও ও তেহারি (স্পেশাল)। ১৪.ডিসেন্ট (মতিঝিল, হাতিরপুল, বনশ্রী, ধানমন্ডি, চকবাজার, নওয়াব- এর ডেজার্ট আইটেম।) ৯৫.আগামাসিহ লেনের মাকসুদের খাসির পায়ার নেহারি। ৯৬.ফকরুদ্দিনের কাচ্চি বিরিয়ানি, বোরহানি। ৯৭.আরমানিটোলা তারা মসজিদের পাশে জুম্মন মামার চটপটি। ৯৮.পলাশীর মোড়ের ফ্রেশ ফলের জুস ৷ ৯৯.উর্দু রোডের খেতাপুরি, বাখরখানি ৷ ১০০.প্লাটিনাম ক্লাবের জুসি নুডুলস।

Sunday, 9 October 2022

শেখ হাসিনা প্রতিদিন এবং বিটিভি

বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতার উপর জেকে বসা শেখ হাসিনার গণমাধ্যমের উপর কতৃত্ববাদীতা কতটা প্রকট, তা বুঝতে বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল বিটিভির অনুষ্ঠান সূচীর প্রতি একটু লক্ষ্য করুন। প্রতিদিন ১৭ ঘন্টা ৩৫ মিনিট সম্প্রচারিত এই টেলিভিশন চ্যানেলে শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবর রহমানকে নিয়ে মোট ৯ বার কোন না কোন অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়। রুটিন করে দিনে ৬ বার দেখানো হয় “শেখ হাসিনা প্রতিদিন” ও ৩ বার “বঙ্গবন্ধু” বিষয়ক কোন না কোন প্রোগ্রাম। বিভিন্ন সুত্রমতে রাষ্ট্রীয় এই টেলিভিশন চ্যানেলটির পেছনে প্রতিবছর ব্যায় হয় ১৮০-২২০ কোটি টাকা, কিন্তু আয় হয় ৮০-১০০ কোটিরও কম। বছরে চ্যানেলটির লোকসান কোনভাবেই ১০০ কোটি টাকার কম নয়! এই টাকার যোগান দিচ্ছে কারা? নিশ্চই বাংলাদেশের সাধারন জনগন। বিটিভিকে সরকারী প্রচারযন্ত্রে পরিণত করে একসময়ের বেশ জনপ্রিয় এই প্রতিষ্ঠানটিকে এক প্রকারের ধ্বংসই করে দেয়া হয়েছে। সকল ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ সংকট আরো প্রকট করেছে। শিক্ষামূলক ও বিনোদন প্রদানে সক্ষম এধরনের অনুষ্ঠান নির্মানে গুরুত্ব না দেয়ায় বিটিভির ভিউয়ারশিপ এখন তলানিতে।

Tuesday, 4 October 2022

নৌকাই ভরসা !!!

পল্টু বাথরুম থেইকা চিকন গলায় আওয়াজ দিলো- "বউ, ও বউ!" বউ সম্ভবত আশেপাশেই কোথাও ছিলো, পল্টুর আওয়াজ শুইনা ক্যাট ক্যাট কইরা জবাব দিলো, "আফনের মাতা মুতা খারাপ হইসেনি? বাথরুম থেইকা কতা কন!" পল্টু গলারস্বর আরো নামিয়ে প্রায় ফিসফিস করে বললো- "মাথা ঠিকই আছে বউ, বাথরুমে পানি নাই! মোটর চালু দাও৷ " "মোটর চালু দিমু ক্যাম্বায়? দেখেননাই আইজকা দুপুর থেইকা কারেন্ট নাই! টিস্যু দিয়া কাম চালান!" "টিস্যুও নাই!" "সকালেই তো কইলাম ঘরে টয়লেট পেপার নাই, আফনে আনেননাই" "এইটা ঝগড়া করার টাইম না বউ, ঘরে পুরানা পত্রিকা আছে কিনা দেখ" একটু পরে বাথরুমের দরজার নীচের ফাঁক দিয়া বউ পুরানো একটা পত্রিকা দিয়া গেল। পত্রিকার একদম প্রথম পাতায় প্রধানমন্ত্রীর জনসমাবেশের ছবি। হেডিং- "নৌকায় ভরসা রাখুন" পল্টু পত্রিকাখানা দিয়ে কাম সারতে সারতে আপন মনে বিড়বিড় করে উঠলো, হুম নৌকাই ভরসা!

Tuesday, 30 August 2022

জিয়াউর রহমান কাউকে গুম খুন করেন নাই।

জিয়াউর রহমান কাউকে গুম খুন করেন নাই। মিলিটারি ট্রাইবুনাল মিলিটারি ক্যু এর শাস্তি হিসেবে, অভিযুক্তদের কোর্ট মার্শালের মাধ্যমে শাস্তি দিয়েছে। এবং মিলিটারি ল অনুসারে মিউটিনি এবং ইন্সাবোরডিনেশানের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। জিয়াউর রহমান নিজে একটি মিলিটারি ক্যু তে নিহত হওয়াতে প্রমান হয়েছে, তার শাসন আমলের ক্যু গুলো কোন পুতুল খেলা ছিল না। আর্মিকে ডিসসিপ্লিন করতে মিলিটারি ক্যু এর শাস্তি হিসেবে এই মৃত্যুদণ্ড গুলো অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়ও ছিল। কোন কোন শাস্তির ক্ষেত্রে জিয়ার আমলের ট্রাইবুনাল ফেয়ার ট্রায়াল নিশ্চিত করে নাই সেইটা গবেষকেরা নিশ্চয়ই বলতে পারবেন। আমি নিশ্চিত অনেক অভিযুক্ত ফেয়ার ট্রায়াল পায় নাই। কর্নেল তাহেরও আমার মতে ফেয়ার ট্রায়াল পায় নাই। কিন্তু , আমি যেইটা হাইলাইট করতে চাই তা হল, বাংলাদেশ যে আজকে মিলিটারি শাসনের বশীভূত পাকিস্তান বা মিয়ানমার হয় নাই তার অন্যতম কারন জিয়াউর রহমান তার শাসনামলের পাঁচ বছরে অত্যন্ত এম্বিশাস একটা আর্মিকে খুব শক্ত ভাবে ক্যারট ও স্টিকের মাধ্যমে ডিসিপ্লিন্ড করেছেন। বাংলাদেশ আর্মি মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে জন্ম হয়েছে। এই মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের মধ্যেই অনেক অফিসারই মনে করতো, তারা দেশ স্বাধীন করেছে তাই তাদের দেশ শাসনের একটা ন্যাচারাল রাইট আছে। একেক একটা ইউনিটের সিইও কর্নেলর সাহেবরা মনে করতো , তারা দেশের প্রেসিডেন্টকে হত্যা করে, নিজেরাই দেশের পেসিডেন্ট হওয়ার অধিকার রাখে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হত্যা তাদের সেই চিন্তা পদ্ধতির একটা উদাহরন এবং মুজিবহত্যার পরে তাদের সেই চিন্তা মোটেও মিইয়ে যায় নাই বরং আরো ভ্যালিডেটেড হয়েছে যে, তারা প্রেসিডেন্টকে হত্যা করে দেশ শাসনের অধিকার রাখে।শুধু মাত্র ইউনিটের সিইও না, সাধারণ সৈনিক ও ওয়ারেন্ট অফিসাররাও এই ধারনা রাখতো। জিয়াউর রহমানের আমলে (১৯৭৫-৮১) দেশে ২৬টি ক্যু হয়। এই ক্যু গুলোতে এবং তাদের দমনে শত শত সৈনিক, জনতা অফিসার মারা গ্যাছে। এই ক্যু গুলো কোন পুতুল খেলা ছিলনা। প্রতিটা কু প্রনেতার এম্বিশান ছিল, তারা প্রেসিডেন্টকে হত্যা করে, নিজে প্রসিডেন্ট হবে।ক্যু গুলোর শাস্তি সব সময়ে ফেয়ার হয় নাই, জিয়াউর রহমান রুথলেসলি ক্যু গুলো দমন করে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রে মিলিটারির মধ্যে এই বিভিন্ন প্রচন্ড এম্বিশাস ইউনিটদেরকে ডিসিপ্লিন করাতে জিয়ার চারটা এপ্রোচ ছিল। ১। বিভিন্ন ধরনের ট্রেইনিং , সুযোগ সুবিধা ও মোটিভেশান দিয়ে প্রফেশনালিজম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সামরিক বাহিনীতে চেইন অফ কমান্ড ফিরিয়ে আনা। ২। পুলিশ, আনসার ও বিডিআর সহ বিভিন্ন বাহিনীকে শক্তিশালী করা। ৩। শক্ত হাতে ক্যু গুলো দমন করা। জিয়া বেশ কিছু ইউনিট কে ডিসব্যান্ড ও করেছিলেন। ৪। সাধারণ মানুষকে ক্ষমতার পারটিসিপেশানে এম্পাওয়ার করা। আর্মির অধিকাংশ সিনিয়ার অফিসার এই প্রক্রিয়াতে খুশি ছিলনা। তারা দেখতে পাচ্ছিলো যে, মিলিটারি তার ক্ষমতা হারাচ্ছে। জিয়ার মৃত্যুর কয়েক দিন আগে, সেনা সদরে একটা মিটিং এ জিয়ার বিরুদ্ধে জেনারেল মঞ্জুর সরাসরি ক্ষোভ প্রকাশ করে যে, জিয়া পলিটিক্সে অতিরিক্ত পিপলস পারটিসিপেশান ঘটাচ্ছে। সেই মিটিং এ মঞ্জুরের খুব স্পেসিফিক কিছু উক্তি আছে, যেইটা আমার এই মুহূর্তে মনে নাই। (কেউ সোর্সটা পেলে কমেন্টে দিয়েন) সেই সময়ে অন্য সকল অফিসার চুপ করেছিল, যার কারণে জেনারেল মঞ্জুর ধরে নেয় যে, অন্য অফিসাররাও তার মতের সাথে এক মত। জিয়া হত্যার এইটা ছিল অন্যতম মুল কারন। কিন্তু জেনারেল মঞ্জুর বুঝে নাই, যে জিয়া মানুষকে এমন ভাবে এম্পাওয়ার করে গ্যাছে , মিলিটারি আর সেই সক্ষমতা নাই যে, প্রেসিডেন্টকে যে হত্যা করেছে সেই প্রেসিডেনট হয়ে যাবে। এই কারণে জনতা মঞ্জুরকে ধাওয়া দিয়ে গ্রেপ্তার করে, পুলিশের হাতে দেয়। বাংলাদেশের এলিট বুদ্ধিজীবীরা কখনোই বুঝতে পারে নাই, বাংলাদেশের মিলিটারির হাত থেকে জনতার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়ায় জনতার ধাওয়া খেয়ে গ্রেপ্তার হয়ে জেনারেল মঞ্জুরের পুলিশের হাতে হস্তান্তরের তাৎপর্য। অর্থাৎ এর মধ্যে পুলিশ দাড়িয়ে গ্যাছে, মানুষেরো শিরদাঁরা দাড়িয়ে গ্যাছে। তারা আর মিলিটারি দ্বারা শাসিত হতে প্রস্তুত নয়। চিন্তা করেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হত্যার পরে পুলিশের কি অবস্থা ছিল ? এই পরিবর্তন গুলোই বাংলাদেশকে ডিমিলিটারাইজ করেছে, পাকিস্তান ও বার্মার মত বাংলাদেশের আর্মি আর শাসন ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে নাই। এমন কি জিয়ার মৃত্যুর পরে, জেনারেল এরশাদ সাত্তারের সাথে মুল নেগোসিয়েশেনে গ্যাছে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা ভাগাভাগির জন্যে। সাত্তার রাজি হয় নাই বলে, এরশাদ ক্যু করে ক্ষমতা দখল করে। কিন্তু, এরশাদ যেটা বুঝে নাই তা হচ্ছে, জিয়াঊর রহমান মানুষকে এমন ভাবে এম্পাওয়ার করে গ্যাছে মিলিটারির ক্ষমতা দখল করে রাখার আর কোন লেজেটিমিসি নাই। এই কারণে, এরশাদ যখন ক্যু করে তার কোন লেজেটিমিসি ছিলনা। কারন বাংলাদেশে বিবিধ ইন্সটিটিউশান , পিপল পাওয়ার ও সামাজিক শক্তিকে জিয়া বিল্ড করে গ্যাছে। ফলে এরশাদ টিকতে পারে নাই, এরশাদকে ক্ষমতা দখলের পর পরই গন আন্দোলনের মুখোমুখী হতে হয়। এই পুরো প্রসেস টা, জিয়া সত্তরের দশকে কমপ্লিট করেছে, যে প্রসেস মিয়ানমার ও পাকিস্তান এখনো পারে নাই। উই ক্যান জাজ জিয়া যে, জিয়া ব্রুটালি এই ক্যু গুলো দমন করেছে। এবং আমি সিউর আপনি এই প্রসেসে অনেক ইন্টটিউশানাল এনামলি পাবেন। কিন্তু জিয়ার এই কঠোরতার এডভান্টেজ বাংলাদেশ রাষ্ট্র পেয়েছে। নইলে, বাংলাদেশ রাষ্ট্র এই মুহূর্তে মিলিটারির অধীনে পাকিস্তান বা মিয়ানমার মডেলের একটা রাষ্ট্র থাকতো। বেস্ট কেস সিনারিও হচ্ছে। মিলিটারির সাথে পাওয়ার শেয়ারিং করে একটা হাইব্রিড ডেমোক্রেসি হইতো হয়তো কোন গন আন্দোলনের পরে। বাংলাদেশের সকল এলিমেন্ট ছিল এই পরিণতি হওয়ার। এইটা যে হয় নাই, তার মুল কারন জিয়া এই ক্যু গুলোকে রুথলেসলি দমন করেছিল। আরো একটা বিষয় বলে শেষ করি, ডেভেলপমেন্ট ইকন্মিক্সের ফাউন্ডশানাল একটা থিয়োরি হচ্ছে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ডগলাস নর্থের লিমিটেড এক্সেস অর্ডার। এই থিয়োরির মুল ইস্যু হচ্ছে, একটা নবগঠিত রাষ্ট্রের ইন্সটিটুশাল বিল্ডিং একটা লিনিয়ার প্রসেসে আগায়। যার প্রথমে থাকে ফ্রেজাইল যে সময়ে রাজাকে যে হত্যা করে সে রাজা হয় যায়। এই সময়টাকে বলে ফ্রেজাইল। ফ্রেজাইলের পরে আসে উইক, যে সময়ে কিছু ইন্সটিটিউশান বিল্ডিং হয়েছে, কিছু ডেমোক্রাটাইজেশান হয়েছে কিন্তু তবুও এলিটদের ইচ্ছাতেই ক্ষমতা নিয়ন্ত্রিত হয়, এরপরে স্টেট একটু ম্যাচিউর হয়েছে ইন্সটিটিউশান গুলো আরো শক্ত হয়েছে। ইলেকশান প্রক্রিয়ায় ক্ষমতার পালাবদল হয়। এইটাকে বলে ম্যাচুর। একটা স্টেট ফ্রেজাইল থেকে বেসিক বেসিক থেকে ম্যাচুওর এবং ম্যাচুর থেকে ওপেন এক্সেস অর্ডার হয়। এই প্রগেশনটা লিনিয়ার। কোন রাষ্ট্র সামনে আগায় কোন রাষ্ট্র পেছায়। ডগলাস নর্থ তার মুল গবেষণায় বাংলাদেশের উদাহরন দিয়েছেন এবং প্রফেসর মুস্তাক খান বাংলাদেশের লিমিটেড এক্সেস অর্ডার ফ্রেম ওয়ার্ক নিয়ে অথরেটিভ গবেষণা করেছেন যার একটা পাতা আমি এটাচ করলাম। প্রফেসর মুস্তাক খান দেখিয়েছেন যে, ১৯৭৫ সাল থেকে জিয়ার আমলে বাংলাদেশ ফ্রেজাইল থেকে বেসিকে প্রবেশ করে এবং ম্যাচুরিটির দিকে পা বাড়ায়। প্রফেসর মুস্তাক খানের বিশ্লেষণ অনুসারে শেখ হাসিনা ২০০৮ এ যখন ক্ষমতা দখল করে তখন বাংলাদেশ ইন্সটিটিশান বিল্ডিং প্রসেসে ম্যাচুরিটিতে পৌঁছেছে কিন্তু তার মধ্যে ফ্রাজিলিটির লক্ষন রয়েছে যে সে যে কোন মুহূর্তে পেছাতে পারে। সো ২০১৪ এর পর শেখ হাসিনার শাসন আমলে এলএও ফ্রেম ওয়ার্কে মোটামুটি কিছু ইন্সটিটিশান দাড়িয়ে গ্যাছে এই অবস্থায় , গুম খুনের মাধ্যমে স্টেটকে পুনরায় ফ্রেজাইল অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে গুন খুন আর তার ৩০ বছর পূর্বের নব্য গঠিত রাষ্ট্রে রাজাকে খুন করলে রাজা হওয়া যায় এই সময় কালে ক্ষমতা দখলের যে খুনাখুনি তার পার্থক্য রয়েছে। ফলে এলএও ফ্রেম ওয়ার্কে ফ্রেজাইল জিয়ার আমলের মিলিটারি ক্যু এর শাস্তিতে সামরিক বাহিনীর সদস্যের মৃত্যুদণ্ডের সাথে চল্লিশ বছরের পথ পরিক্রমায় ম্যাচিউর হয়ে আসার পর ক্ষমতা ধরে রাখতে হাসিনার আমলের গুম খুন একই নয়। এই দুইটাকে মিলিয়ে ফেলা- ইমেচিউর টু সে দা লিস্ট। আমি এই পোস্টের কোন জবাব দিবো না, কোন ডিবেটে পারটিসিপেট করবো না, এক জন বন্ধু মতামত চাইলেন, তার হনারে এইটা লিখলাম, কিন্তু আমি কোন ডিবেটে ঢুকবো না । আমি অন্য একটা কাজে ব্যস্ত, কালকের থেকে আবার দোকান বন্ধ থাকবে। ধন্যবাদ।

তারা কোথায় অদৃশ্য হয়ে যান

আমাদের প্রিয় মানুষটি কেমন আছেন? তিনি কি ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করেন? তাকে কি নির্যাতন করা হয়? তিনি কি... বেঁচে আছেন?'এসব প্রশ্ন 'গুম'র শিকার ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের তাড়া করে। কারণ, তারা সব প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে আশা নিয়ে সপ্তাহ, মাস ও বছর কাটান।বাংলাদেশে ২০০৯ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে কমপক্ষে ৫২২ জন 'গুম' হয়েছেন বলে জানিয়েছে কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন।'গুম' থেকে মুক্তি পাওয়া বেশিরভাগ মানুষ বাড়ি ফেরার পর জনসাধারণের কাছ থেকে দূরে থাকেন। তারা কোথায় ছিলেন বা কে তাদের নিয়ে গিয়েছিলেন তা প্রকাশ করেন না।সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) গত মার্চের সমীক্ষায় বলা হয়, ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ঘটে যাওয়া 'গুমের' ঘটনাগুলোয় দেখা গেছে, 'গুম' হওয়া ৩০ শতাংশ ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বা আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের কেউই এ বিষয়ে কথা বলেননি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে 'গুম' থেকে ফিরে আসা ৫ জন তাদের প্রিয়জনদের প্রাসঙ্গিকভাবে জিজ্ঞাসা করা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।যদিও পরিবারের সদস্যরা তাদেরকে প্রতিটি অলি-গলিতে খুঁজেছিলেন, তবুও সেই ব্যক্তিদের দাবি, তারা রাজধানীর ভেতরেই ছিলেন।বেঁচে ফেরা ব্যক্তিদের ভাষ্য, ঢাকায় কমপক্ষে ২টি কেন্দ্র আছে যেখানে 'গুম' হওয়া ব্যক্তিদের রাখা হয়। অভিযোগ রয়েছে, এর একটি নিরাপত্তা বাহিনী ও অন্যটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা পরিচালনা করে। দক্ষিণাঞ্চলের একটি জেলাতে আরও একটি কেন্দ্র আছে বলে অভিযোগ রয়েছে।বেঁচে ফেরা ব্যক্তিদের দাবি, কেন্দ্রগুলো পুরোপুরি অবৈধ এক কারাগার। জনগণের টাকায় আইনশৃঙ্খলা ও দেশকে রক্ষার নামে এসব কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে। সূত্রের গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে দ্য ডেইলি স্টারে ইউনিটগুলোর নাম প্রকাশ করা হলো বেঁচে থাকা ২ জনের বর্ণনা একটি অপরটির সঙ্গে মিলে যায় এবং একটি কেন্দ্রের দিকে নির্দেশ করে। ধরি কেন্দ্রটি 'উ'। বেঁচে থাকা অপর ৩ জনের বর্ণনা দ্বিতীয় একটি কেন্দ্রের নির্দেশ করে। ধরি সেটি হচ্ছে 'ক'।তাদেরকে ২ মাস থেকে দেড় বছর পর্যন্ত এসব কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল। তাদের আটকে রাখা হয়েছিল ২০১৫ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে।বেঁচে যাওয়াদের মধ্যে ৪ জনকে রাজনৈতিক কারণে এবং তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কার্যক্রমের জন্য তুলে নেওয়া হয়েছিল। অপর একজন, যাকে 'ক' কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল, তুলে নেওয়া হয়েছিল ভুল পরিচয়ে। তাদের সবাইকে ঢাকা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছিল। যা সিজিএসের গবেষণার সঙ্গে মিলে যায়—যেখানে দেখা গেছে যে এক-তৃতীয়াংশ গুমের ঘটনা ঘটেছে শুধু রাজধানীতে।বর্ণনায় 'উ' কেন্দ্রে ভুক্তভোগীরা কঠোর ও অমানবিক জীবনযাপন এবং নির্যাতনমূলক জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলেছেন। 'ক' কেন্দ্রের ভুক্তভোগীরা বন্দিদের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু রয়েছে এমন একটি কারাগারের বর্ণনা দিয়েছেন। উভয়ক্ষেত্রেই একজন ব্যক্তিকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে নির্জন কারাবাসে, নির্বিচারে ও বেআইনিভাবে অন্তহীন সময়ের জন্য আটকে রাখার উদ্দেশ্যে রাখা হয়েছে। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যেখানে বন্দি জানেন না যে তিনি মুক্তি পাবেন, নাকি এখানেই তার জীবন শেষ হবে। কেন্দ্র 'উ' এ বন্দিদের বর্ণনা অনুযায়ী, তাদেরকে প্রায় আড়াই ফুট প্রস্থ, ৪ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৫ ফুট উচ্চতার কক্ষে বন্দি রাখা হয়েছিল। 'এমনভাবে কেউ শুয়েও থাকতে পারবে না বা দাঁড়ায়েও থাকতে পারবে না। সেখানে সব সময় আধা বসা ও আধা শোয়া অবস্থায় থাকতে হবে।' কক্ষের ৩ দিকে কংক্রিটের দেয়াল এবং ১ দিকে কারাগারের দরজা ছিল। বন্দিদের মধ্যে ১ জনকে দক্ষিণের একটি জেলায় স্থানান্তরের আগে ৪ মাস সেখানে রাখা হয়েছিল। অন্যদিকে একই কেন্দ্রের মধ্যে একটি বড় সেলে স্থানান্তরের আগে আরেক বন্দিকে সেখানে এক সপ্তাহের কিছু বেশি সময় ধরে রাখা হয়েছিল। উভয় বন্দিই 'উ' কেন্দ্রে থাকাকালীন পুরো সময় চোখ বেঁধে ও হাতকড়া পরা অবস্থায় ছিলেন বলে জানান। একজন বন্দি বলেন, 'খুব অন্ধকার ছিল, কিন্তু তারপরও আমার চোখ বেঁধে রাখা হয়েছিল। প্রত্যেকেরই চোখ বাঁধা ছিল। সেলটি ২ তলা মাটির নিচে ছিল। তারা সেখানে অন্তর্বাস ছাড়া বাকি সব জামা-কাপড় খুলে ফেলে। একটি লুঙ্গি দেয়। লুঙ্গিটি অনেক পরে, বিবস্ত্র করার অনেক ঘণ্টা পরে দিয়েছিল।' সেখানে একজন প্রহরী তাদের অবস্থা দেখে দয়া করে গোপনে রাতে তাদের হাতকড়া খুলে দিতো উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমাদের বন্দিত্বের পুরো সময়কালে হাত পিছনে হ্যান্ডকাফ দিয়ে বাধা ছিল। শুধুমাত্র খাওয়া ও টয়লেটে যাওয়ার সময় খুলে দেওয়া হতো। 'উ' কেন্দ্রে ৩ মাসের কম সময় বন্দি থাকা একজন বলেন, 'একজন চাচা ছিলেন, প্রবীণ প্রহরী; তিনি কয়েক ঘণ্টার জন্য মধ্যরাতের পর আমাদের হাত খুলে দিতেন। তখন আমরা চোখ খুলতে পারতাম। আমি বন্দি থাকাকালীন ৩ রাতে তাকে পেয়েছিলাম।'তিনি জানান, 'উ' কেন্দ্রে আসার এক সপ্তাহের মধ্যে তাকে একটি বড় সেলে স্থানান্তর করা হয়। 'আমি ধাতবের তৈরি সিঁড়ি বেয়ে দ্বিতীয় সেলে গিয়েছিলাম। সেখানে একটি বড় ঘর ছিল, কিন্তু সেটি ছিল অত্যন্ত গরম এবং সেখানে প্রচুর মশা ছিল। সেখানে স্ট্যান্ডফ্যান ছিল, কিন্তু সেটা মাঝে মাঝে চালু করা হতো। তারা জানতো ঠিক কতক্ষণ সেটি চালালে আমরা বেঁচে থাকতে পারব।'তিনি আরও বলেন, 'মেঝেটি ভাঙা সিমেন্টের ছিল এবং আমাদেরকে মেঝেতে বিছানা ছাড়াই ঘুমাতে হতো। আমাকে এক বোতল পানি দেওয়া হয়েছিল এবং সেটিকেই আমি বালিশ হিসেবে ব্যবহার করতাম। রাতে মেঝে যে এত ঠাণ্ডা হতে পারে…'৬ মাসের কম সময় কেন্দ্রে থাকা আরেক বন্দি বলেন, 'যতদিন আমি ওই কেন্দ্রে ছিলাম, আমাকে চোখ বেঁধে এবং হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয়েছিল। কেন্দ্রটি সম্ভবত ৩ তলা মাটির নিচে ছিল।'তিনি জানান, এটি তিনি বুঝতে পেরেছিলেন কারণ যখন তাকে অন্য কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছিল, তখন তারা তাকে ৩ তলায় উঠতে বাধ্য করেছিল এবং তারপরে তিনি সরাসরি সেই তলায় থাকা একটি গাড়িতে উঠেছিলেন। প্রথম বন্দির মতো তার সেলটিতেও শোয়ার জন্য যথেষ্ট জায়গা ছিল না এবং তিনি কয়েক মাস ধরে বসে ছিলেন। ভুক্তভোগী ২ জনই জানান, খাবার দেওয়ার সময় প্লেট ও দরজার আওয়াজ শুনে তারা বন্দিদের সংখ্যা গণনা করেছেন। প্রথম বন্দি বলেন, তার মনে আছে ১২টি সেল গুনেছিলেন, যেগুলো ছিল মুখোমুখি। 'একজন দয়ালু প্রহরীর সহযোগিতার কারণে যখন প্রথমবারে মতো চোখ খুলতে পেরেছিলাম তখন আমার বিপরীত পাশের সেলটি দেখেছিলাম। যখন তারা আমাদেরকে খাবার দিতো তখন আমি সেলের দরজায় ধাক্কা দেওয়ার শব্দ থেকেও গুনেছি। দ্বিতীয় বন্দি বলেন, 'ওই দীর্ঘ হলটিতে আমরা প্রায় ১৪ জন ছিলাম। খাবারের সময় মেঝেতে ধাতব প্লেটের আওয়াজ শুনে আমি এটা গুনেছি।'একইভাবে, তাদেরকে আটকের সময়কালে ৫ বছরের ব্যবধান থাকলেও জিজ্ঞাসাবাদের সময় ২ জনকেই নির্যাতন করা হয়েছিল। একজন বলেন, 'আমাকে ৬ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। আমার শরীরের প্রতিটি অংশে নির্যাতন করা হয়েছে। তাদের নির্যাতনের পদ্ধতি সিনেমার মতো। তারা উপরে থেকে তীব্র তাপ দেওয়ার জন্য কিছু একটা ব্যবহার করেছিল। তাদের নির্যাতনে আমার নাক দিয়ে রক্ত পড়েছে। আমি সেলে ফিরে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম। অপরজন দাবি করেন, 'আমাকে গোড়ালি ও কব্জি বেঁধে একটি কাঠের চেয়ারে বসানো হয়েছিল। তারা আমার কানের লতিতে ২টি ক্লিপ সংযুক্ত করে, যেগুলো ২টি ব্যাটারির সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। তারা একটি করে প্রশ্ন করে আর আমার কানে শক দেয়। তারা হুমকি দিতে থাকে যে আমি তাদেরকে সহযোগিতা না করলে আমার যৌনাঙ্গে ক্লিপ লাগিয়ে দেবে। তাদের নির্যাতনে প্রস্রাব করে দিয়েছিলাম। তিনি আরও বলেন, 'আমি প্রার্থনা করার চেষ্টা করলে আমাকে মারধর করা হবে বলে তারা বলতেন। তারা বলতেন যে আমার মতো পাপীর প্রার্থনা করার দরকার নেই। তিনি অপর একটি কেন্দ্রে নির্যাতনের আরেকটি পদ্ধতিও বর্ণনা করেছেন। রাজধানী থেকে তুলে নেওয়ার পর তাকে রাজধানীর বাইরে দক্ষিণ দিকে অন্য একটি কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। দ্য ডেইলি স্টার আটক ব্যক্তির নিরাপত্তার স্বার্থে জেলার নাম প্রকাশ করছে না। তিনি বলেন, 'সেই জায়গায় পৌঁছাতে কয়েক ঘণ্টা লেগেছিল। সেই জেলায় যাওয়ার পথে বাসের কন্ডাক্টররা যখন যাত্রীর জন্য চিৎকার করে এলাকার নাম বলছিল, সেটা শুনেছিলাম। তাই জানি যে আমাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। জায়গাটির খুব কাছেই একটি লঞ্চ জেটি ছিল, কারণ আমি সেখানে থাকার সময় জাহাজের হুইসেল শুনতে পেয়েছি। তিনি বলেন, ওই কেন্দ্রে নির্যাতনের পদ্ধতি ছিল জোর করে খাওয়ানো। 'তারা ৭-৮ কেজি গরুর মাংসের বালতি নিয়ে আসত। আমাকে বলত, আপনাকে এর অর্ধেক খেতে হবে। প্রতি বেলায় খাওয়ার জন্য ৬টি ডিম দিত। আপনার কোনো ধারণাই নেই যে তারা প্রত্যেক বন্দির পিছনে কত টাকা খরচ করে', যোগ করেন তিনি। ওই নির্দিষ্ট কেন্দ্রে দেয়ালগুলো ছিল ঢেউতোলা টিনের এবং বন্দিদের যেখানে রাখা হতো সেগুলো বড় বড় পশুর খাঁচার মতো। 'আমি সেগুলোর ভেতরে পা ছড়াতে পারতাম। সেখানে, আমার হাত সামনের দিকে আটকে রাখার পরিবর্তে, একটি হাত একটি হ্যাণ্ডকাফের সঙ্গে আটকে সেটিকে খাঁচার বাইরে একটি হুকের সঙ্গে সংযুক্ত লম্বা দড়িতে বাঁধা ছিল। লম্বা ঘরের ভেতরে ৪টি খাঁচা ছিল বলে জানান তিনি। একটা সময় আসে, যখন অন্য ৩ জনকে একদিন নিয়ে যাওয়া হয়। আমাকে যারা নিয়ন্ত্রণ করতেন তারা ফিরে এসে বলেন, ওই ৩ জনের একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, অন্য ২ জনকে "ক্রসফায়ারে" গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সেই মুহূর্তে থেকে মুক্তি পাওয়ার আগ পর্যন্ত আমি আতঙ্কে ছিলাম যে, এই ভাবেই আমাকেও হত্যা করা হবে', যোগ করেন তিনি। ক্রসফায়ারে'র হুমকি জিজ্ঞাসাবাদের একটি হাতিয়ার এবং নির্যাতনের পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। 'আমাকে শহরের একটি বড় হাইওয়েতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চোখ বেঁধে এবং হ্যাণ্ডকাফ লাগিয়ে। আমি জানি না সেটা কোন হাইওয়ে। যখন আমরা সেখানে পৌঁছলাম, সবাই আমাকে রেখে গাড়ি থেকে নেমে গেল। আমি অনুভব করতে পারছিলাম যে একজন লোক ঢুকছেন। তিনি আমার কাছে জানতে চান, আমার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড কি কি। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আমাকে গাড়ি থেকে টেনে নামিয়ে দৌড়াতে বলা হয়। আমি ভয় পেয়েছিলাম যে পেছন থেকে গুলি করা হবে, তাই আমি দৌড় না দিয়ে ওই জায়গায় দাঁড়িয়ে রইলাম', বলেন তিনি। আটককৃতরা উভয়েই বলেন, বন্দিশালাগুলোর ভেতর থেকে যেন শব্দ বাইরে না যায় সেজন্য বড় মেশিনের শব্দ ব্যবহার করা হতো। একজন বন্দি বলেন, একটি বড় জেনারেটর সব সময় চলত। আওয়াজের কারণে আমার নাক-গলা থেকে রক্ত পড়তে শুরু করে। অপর বন্দি বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে খুব জোরে গান বাজানো হতে। 'এতে আমার মাথা ব্যথা শুরু হতো। তিনি আরও বলেছিলেন যে তাকে মাঝরাতে গোসল করতে হতো। 'আমি খালি গায়ে থাকতাম এবং একটাই লুঙ্গি ছিল। প্রতিবার লুঙ্গি ভিজালে না শুকানো পর্যন্ত ভেজা লুঙ্গিটিই পড়ে থাকতে হতো। আমার ঠাণ্ডার সমস্যা আছে এবং এভাবে ভেজা লুঙ্গি পড়ে থাকা ছিল আমার জন্য নির্যাতন। ৫ বছর পরে কেন্দ্রে লন্ড্রি সিস্টেমের কিছুটা উন্নত হয়। অপর বন্দি বর্ণনা করেন, 'তাদের কাছে লুঙ্গি ও টি-শার্ট ছিল। বন্দিদের মধ্যে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেগুলো দেওয়া হতো। আমরা টি-শার্ট ও লুঙ্গি ধুয়ে শুকাতে পারতাম এবং বদলে নিতে পারতাম। বন্দি উভয়েরই চুল-দাড়ি কাটা হয়েছিল মুক্তির ঠিক আগে, একবারই। কেন্দ্র 'ক'কেন্দ্র 'ক' এর ৩ বন্দি তাদের বর্ণনায় কেন্দ্র 'উ' এর থেকে তুলনামূলক ভালো সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা বলেছেন এবং নির্যাতনের কথা বলেননি। সব বন্দি কেন্দ্রটিকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ কারাগার বলে বর্ণনা করেছেন। যেখানে নিজস্ব রান্নাঘর, সেলুন, ডাক্তারের কক্ষ, বাথরুম, বিছানা ও কম্বলসহ কক্ষ, হাই কমোড টয়লেট এবং এমনকি বন্দিদের পড়ার জন্য বইও রয়েছে। বন্দিদেরকে অনেকে সম্মানের সঙ্গে 'স্যার' বা 'চাচা' বলে ডাকতেন। কিন্তু এর কোনোটিই এই সত্যকে অস্বীকার করে না যে, ওই বন্দিদেরকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ২ বছর পর্যন্ত নির্জন কারাগারে আটকে রাখা হয়েছিল এবং তাদের পরিবার জানত না যে তারা মারা গেছেন নাকি বেঁচে আছেন। এক বন্দি বলেন, 'আমার ঘরে একটি লোহার খাট ছিল এবং গদি তৈরি করার জন্য ৪টি কম্বল দেওয়া হয়েছিল। একটি লাইট সব সময় জ্বলত এবং একটি দরজার কোণে এক্সজস্ট ফ্যান চলত।' সাধারণ পেশাদার ওই ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়া হয়েছিল বিরোধী রাজনৈতিক চিন্তা-ভাবনার সমর্থনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কার্যক্রমের জন্য। বন্দি হওয়ার কয়েকদিন পর তিনি পড়ার জন্য একটি বই চেয়েছিলেন। 'তারা আমারকে একটি বইয়ের দ্বিতীয় খণ্ড দেন এবং যখন আমি প্রথম খণ্ড চাইলাম, তারা জানান যে সেটি অন্য একজন বন্দি পড়ছেন। পরে, যখন আমি একটি বইয়ের নাম বলে চাইলাম, তখন তারা সেটি দোকান থেকে কিনে আনেন। তবে বইয়ে দোকানের নাম লেখা প্রথম পাতাটি ছিঁড়ে ফেলা হয়েছিল।' বন্দিদের হাতকড়া পড়ানো হয়নি, এমনকি কক্ষে থাকা অবস্থায় চোখও বেঁধে রাখা হয়নি। এর একটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে যে তাদের কক্ষে ২টি দরজা ছিল। একটি জেল সেলের মতো দণ্ডযুক্ত এবং আরেকটি শক্ত দরজা। তাই তারা বাইরে কিছুই দেখতে পাননি। তিনি বলেন, 'দরজার নিচে দিয়ে একটি ছোট ফাঁক বানানো ছিল, সেখান দিয়ে খাবার কক্ষের ভেতরে দিত। আমি ঘরের ভেতরেই হাত ধুতাম। প্রতিবার কক্ষের বাইরে নেওয়ার সময় তাদের পুরো মাথা কালো একটি কাপড় দিয়ে ঢেকে দিতো এবং হাতকড়া পড়ানো হতো। টয়লেটে যাওয়ার সময়ও একই কাজ করা হতো। তিনি বলেন, 'একবার কালো কাপড়টি সড়ে গেলে আমাকে যে প্রহরী নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি আবার সেটি পড়ানোর প্রয়োজন মনে করলেন না। আমি আমার ডানদিকে একটি রান্নাঘর এবং সেখানে একজন নারীকে রান্না করতে দেখলাম। সব খাবার গরম গরম পরিবেশন হতো এবং বন্দিরা খাবার বেছে নিতে পারতেন। একজন বন্দি বলেন, 'দুপুরের খাবারের সময় আমাকে শাক, তেলাপিয়া মাছ, ২টি ডিম ও ডাল দেওয়া হয়। আমি যখন তাদের বলি যে আমি চাষ করা মাছ ও ডিম খেতে চাই না, তখন তারা আমার জন্য গরুর মাংস নিয়ে আসেন।' তিনি আরও বলেন, 'রোজায় সেহরিতে আমাকে গরম দুধ, একটি বড় কলা, ভাত, শাকসবজি ও প্রোটিন এবং ইফতারের জন্য ফল, জুস, ভাজা খাবার, ছোলা ও মিষ্টি দেওয়া হতো। বেশ কয়েকজন বন্দি বর্ণনা করেছেন যে বিশেষ দিনগুলো তারা বিশেষ খাবার পেতেন। সকালে পরাটা, সেমাই, ভাত ও বাদামের মিষ্টি এবং দুপুর ও রাতে তেহারি, ভাত, গরুর মাংস ও মুরগির মাংস দিয়েছে। এক বন্দি বলেন, 'যতবার আমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, প্রতিবারই জানতে চাওয়া হয়েছে যে, আমাকে খাবার দেওয়া হচ্ছে কিনা এবং ভালো ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা। কিন্তু আমার সঙ্গে যতই ভালো আচরণ করা হোক না কেন, এটি কোনো জীবন না। আমি আমার পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলাম এবং তারা আমার জীবনকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছিল। একজন প্রহরী একবার একজন বন্দিকে বলেছিলেন, 'আমি দিতে পারব না এমন কিছু না চাইলে, এখানে যা চাইবেন তাই পাবেন।' এই দিতে না পারার মতো চাওয়া হচ্ছে, তাদের পরিবার বা বন্ধুদেরকে তাদের সম্পর্কে খবর দেওয়া। বন্দিরা ২ ধরনের কক্ষের বর্ণনা দিয়েছেন। একটি দেয়ালের মুখোমুখি এবং অন্যটি বারান্দার দিকে। দেয়ালের মুখোমুখি সেলে ছিলেন এমন একজন বন্দি জানান, তার সেলের শক্ত দরজা বেশিরভাগ সময় খোলা রাখা হতো। কিন্তু প্রত্যেকবার তাকে বাথরুমে নেওয়ার জন্য বন্ধ করা হতো, যাতে তিনি তাদেরকে দেখতে না পারেন। এই আটক ব্যক্তিকে ভুল পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছিল। বারান্দার মুখোমুখি সেলে থাকা অপর একজন বন্দি জানান, তার কক্ষে একটি ছোট ভেন্টিলেটর ছিল। সেখান দিয়ে তিনি বাইরে দেখতে পেতেন। তার সেল ছিল নিচতলায়। তিনি বলেন, 'ছোট ভেন্টিলেটর দিয়ে আমি একটি কাঁঠাল গাছে কাঁঠাল ধরতে এবং সেগুলো বড় হতে দেখেছি। আমি বৃষ্টি দেখেছি, পাখির শব্দ শুনেছি। আমি একটি ছেলেকে গিটার বাজাতে শুনেছি এবং তার বোন তার মায়ের কাছে তাকে নিয়ে অভিযোগ করছে সেটাও শুনেছি। তিনি বলেন, 'আমি একবার পাশের সেলমেটের সঙ্গে কথা বলার জন্য দেয়ালে টোকা দিয়েছিলাম, কিন্তু কোনো সাড়া পাইনি। দেয়ালগুলো প্রায় ১০ ইঞ্চি পুরু এবং অনেক উঁচু ছিল।' তিনি বন্দি থাকা প্রতিটি দিন গুনেছেন। কাঠের একটি ছোট টুকরা ব্যবহার করে দেয়ালের নীচে তারিখ লিখতেন। জাতীয় দিবসগুলো হিসাব করে তিনি সঠিক হিসাব লিখে রাখতে পারতেন। বাইরে দেশাত্মবোধক গান শুনে তিনি বুঝতে পারতেন, এটি কোন তারিখ। তিনি বলেন, 'আগে যারা এই কক্ষে বন্দি ছিলেন তারা অনেক কিছু লিখেছিলেন। সেখানে কবিতা থেকে শুরু করে আরবি লেখা, হিন্দু ধর্মীয় চিহ্ন পর্যন্ত ছিল। একদিন কয়েকজন লোক এসে দেয়াল পেইন্ট করে দিয়ে যায়।' একবার তিনি পা পিছলে বাথরুমে পড়ে যান এবং এক্স-রে করার জন্য হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। তিনি বলেন, 'তারা আমার মাথা ঢেকে একটি গাড়িতে নিয়ে যায়। এই প্রথম আমি আমার মুখে সূর্য অনুভব করলাম। আমি শুনলাম রিকশাওয়ালারা ঝগড়া করছে। আমি একবার ভাবলাম, পালাই। কিন্তু পরেই মনে হলো, তারা গুলি করবে বা ধরে ফেলবে। এমন কিছু হলে আর এখন যেমন আরামে রেখেছে সেটা আর করবে না। তখন নির্যাতন করতে পারে। আমি কর্মকর্তাদের দেওয়া আশ্বাসে মনকে সান্ত্বনা দিয়ে যাচ্ছিলাম যে, সময় হলে আবার বাড়ি ফিরব। আরেকজন বন্দি বর্ণনা করেন, কিভাবে তিনি পাশের সেল থেকে প্রচুর কান্নার শব্দ শুনতে পান। তিনি বলেন, 'যদি তিনি খুব কান্নাকাটি করতেন, তাকে কোথাও নিয়ে যাওয়া হতো। তারপর ফিরে অনেকক্ষণ ঘুমাতেন।' সবকিছু ছাড়িয়ে নির্জন কারাবাসটিই তাদের জীবনে সবচেয়ে কঠিন অভিজ্ঞতা ছিল। বিষয়টি এতটাই দুর্বিষহ ছিল যে, তারা সেই সময়ের একমাত্র ভালো অভিজ্ঞতা হিসেবে বর্ণনা করেছেন সেই প্রহরীদের সঙ্গে আলাপচারিতা। বাইরের বিশ্বের সঙ্গে তাদের একমাত্র যোগাযোগ ছিল সেটিই।অনেক বন্দি তাদের সম্পর্কে সম্মান দিয়ে কথা বলেছেন, অনেকটা স্নেহের সঙ্গে, যারা তাদের তদারকি করেছেন। যদিও তারা জানতেন যে, এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে তারাও জড়িত। তাদের বক্তব্যকে মিথ্যা বলে আখ্যায়িত করা খুবই সহজ। কারণ তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না। কিন্তু তাদের বর্ণনা শুনে প্রশ্ন জাগে, পরিচয় প্রকাশ করে কে আবার সেই নির্যাতিত জীবনে ফিরে যেতে চাইবে? https://bangla.thedailystar.net/news/bangladesh/news-387911?fbclid=IwAR3X16XiFIW4OtBEJphs_EuyJ2_P7NAHVpiD5hT0WVyCTaJ4Mf2_CXl8zU8

Tuesday, 18 January 2022

শেখ মুজিবের এই কার্টুনটি সম্ভবত স্বাধীন বাংলদেশের কোন রাজনীতিবিদ’কে নিয়ে করা প্রথম কার্টুন।

 শেখ মুজিবের এই কার্টুনটি সম্ভবত স্বাধীন বাংলদেশের কোন রাজনীতিবিদ’কে নিয়ে করা প্রথম কার্টুন। 


নিউ ইয়র্ক টাইমসের স্কেচ শিল্পী ওয়ারল কার্লসন সিডনী এইচ শ্যানবার্গের ৯ এপ্রিল ১৯৭২ এর একটি বিশেষ আর্টিকেলের জন্যে শেখ মুজিবের এই ক্যারিকেচারটি করেছিলেন। 


সিডনী আর্টিকেলটির কিছু অংশে যেমনটি লিখেছিলেনঃ 


“The government is disorganized. Some politicians are taking advantage of the disarray to grab off lucrative contracts, occupy businesses vacated by West Pakistani owners and profiteer in food and other relief goods. Lawlessness is growing as hoodlum and warlord elements with guns left over from the guerrilla struggle operate openly in some areas” 


Courtesy The New York Times archive.



Wednesday, 5 January 2022

মনে আছে মায়ের গর্ভে গুলিবিদ্ধ শিশু সুরাইয়ার কথা?

 মনে আছে শিশু সুরাইয়ার কথা? 

মায়ের গর্ভে গুলিবিদ্ধ সেই সুরাইয়া স্কুলজীবন শুরু করেছে। 


বলা হয়ে থাকে পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা মাতৃগর্ভ। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হাতে সেই মাতৃগর্ভে থেকেও গুলিবিদ্ধ হয়েছিল মাগুরার শিশু সুরাইয়া।


মাগুরা শহরের দোয়ারপাড়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন অন্তঃসত্ত্বা নাজমা বেগম। সংঘর্ষ থেকে ছোড়া গুলি লাগে নাজমার পেটে। এতে গর্ভে থাকা শিশু গুলিবিদ্ধ হয়। ওই দিন রাতেই জেলা সদর হাসপাতালের ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচারে জন্ম নেয় শিশুটি; তার নাম দেওয়া হয় সুরাইয়া। ২০১৫ সালের ২৩ জুলাইয়ে জন্ম নেওয়া সুরাইয়ার বয়স এখন সাড়ে ছয় বছর। এবার সে স্কুলেও ভর্তি হয়েছে। সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হওয়ার কারণে সুরাইয়ার ডান চোখে দৃষ্টিশক্তি নেই। দুই পায়ে শক্তি নেই। অন্য শিশুরা যখন হেঁটে স্কুলে গেছে, সুরাইয়া গেছে মায়ের কোলে চড়ে। এভাবেই শুরু হলো তার স্কুলজীবন।


এক বছর আগে সুরাইয়াকে গণশিক্ষা কার্যক্রমের একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে করোনার কারণে সেটা নিয়মিত হয়নি। এবার মাগুরা শহরের পুলিশ লাইনস প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণিতে সুরাইয়াকে ভর্তি করা হলো। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকসানা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিশুটির দুটি পা, একটি হাত ও একটি চোখ অকার্যকর। মায়ের কোলে চড়ে প্রথম দিন এসেছিল সে। ওর যেহেতু এমন প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, এ কারণে ওর প্রতি আমরা একটু বেশি যত্নশীল থাকব। একটি হুইল চেয়ার হলে আর সমস্যা হবে না।’


নাজমা বেগম বলেন, ‘আমার বাচ্চা যদি স্বাভাবিকভাবে জন্ম নিত, আজ তাহলে ও নিজেই হেঁটে স্কুলে যেত। অন্য শিশুদের মতো খেলাধুলা করত। কিন্তু এখন কারও সাহায্য ছাড়া সে কিছু করতে পারে না। কোমর থেকে পা পর্যন্ত বল নেই। ডান হাত কাজ করে না। ডান চোখও দৃষ্টিহীন। তবে যত কষ্টই হোক, ওকে পড়ালেখা শিখিয়ে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’


সুরাইয়া বড় মানুষ হোক, সুরাইয়ার জীবন প্রদীপের আলোতে ধ্বংস হোক “ছাত্রলীগ” নামক সন্ত্রসীরা। 




Sunday, 2 January 2022

কোন মৃত ব্যক্তি জীবিতদের চেয়ে শক্তিশালী এটা বলা কি কোনো প্রধান বিচারপতির কাজ !!!

 বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী শপথ নিয়েই বললেন “জনৈক মৃত ব্যক্তি, জীবিত ব্যক্তির চেয়েও শক্তিশালী” !!!!! 

অথচ নাগরিকরা আশা করেছিল তিনি বলবেন “আইনের শাসন, বিচার পাওয়ার অধিকার, বাক স্বাধীনতা এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা” সম্পর্কিত বিষয়ে। 


কোন মৃত ব্যক্তি জীবিতদের চেয়ে শক্তিশালী এটা বলা কি কোনো প্রধান বিচারপতির কাজ !!! এছাড়াও বিচারপতি ফয়েজ বলেছেন “প্রত্যেকটা বিচারপতি বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা করে কথা বলেছেন” ব্যক্তি বিশেষের প্রতি ব্যক্তির শ্রদ্ধা থাকতেই পারে তাই বলে একথা গণমাধ্যমে বলতে হবে !!! 


শপথ নিয়েই একজন প্রধান বিচারপতি এমন “দলদাস” সুলভ আচরণ, বালখিল্য মন্তব্য করবেন এটা সত্যিই হতাশাজনক। 


নব নিযুক্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী প্রায় দুই বছর প্রধান বিচারপতির আসনে থাকবেন। 


২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচন হওয়ার কথা।এই সময় তাঁর এই নিয়োগ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিঃসন্দেহে তাঁর এই মন্তব্য আমাদের মতো গণতন্ত্রকামি এবং স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার সমর্থকদের জন্য বিশাল হতাশা।