Sunday, 23 February 2020

পাপিয়া সর্দারনী

সাদা ড্রেসের ছবিতে নরসিংদী আওয়ামী মহিলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পাপিয়াকে দেখে সিনেমার বনেদী পতিতা সর্দারনীদের কথা মনে পড়ছে। পতিতাবৃত্তি নিয়ে ভারতে বেশকিছু চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। পাকিজা, উমরাও জান, তাওয়াইফ,মান্ডি, বেগমজান, শরাবী, চাঁদনীবার, চামেলি, লাগা চুনারি মে দাগ ইত্যাদি ছবিতে দেখানো হয়েছে পতিতাদের জীবন সংগ্রামকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। সাথে আমরা দেখেছি পতিতালয়ের মাসী বা সর্দারনীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও। পতিতালয়ের সর্দারনীর চলন বলনের স্টাইল নজর কাড়া। সোফায় বা খাটে পা উঠিয়ে বিশ্রীভাবে বসা, মুখে গাদাগাদা মেক আপা। চোখের সাজ গালের রঙ লিপস্টিক জরি চুমকির ঝকমকে শাড়ি শরীরভর্তি গয়না মুখে চিবানো পান। পানের পিক ফেলার জন্য পাশে একটা চিলমচি। মোটামুটি এই হল পতিতা সর্দারনীর প্রতিচ্ছবি।






তবে পাপিয়ার মত বাস্তব জীবনের পতিতা সর্দারনীরা আরেকটু আপটুডেট। এরা পান খায়না। এরা মদ হুইস্কি ইয়াবা ভায়াগ্রার সাথে ওঠবস করে। শুনেছি এবার মেয়র ইলেকশনের প্রচারণায় সিনেমা টিভির যেসব অভিনেত্রীরা অংশ নিয়েছে তারাও নাকি পাপিয়ার রঙ মহলের অনুসারী। ফাইভ স্টার হোটেলে গিয়ে পাপিয়ার অনুমোদিত প্রস্টিটিউট হয়ে ধনী ক্লায়েন্টদের মেনটেইন করতো। বিশেষ সূত্রে জানতে পেরেছি পাপিয়া আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী গুটিকয়েক নেতার সাথে হাট্টিমাটিম টিম খেলতে খেলতে আজ এই পর্যায়ে এসেছে। কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিয়েছে। তার স্বামী সুমন চৌধুরীও স্ত্রীর  দুই নম্বরী সাম্রাজ্যের সেনাপতি। সরকারের একজন সচিব (উনি আমার বন্ধু) নাম গোপন রাখার শর্তে আমাকে বলেছেন, "এত দুরাচার দুর্নীতি কিভাবে সামাল দেবেন নেত্রী?? তাঁর চারপাশে সব জুয়াখোর নারীখোর নেতা মন্ত্রী আমলা। এরা নেত্রীকে ঘিরে ফেলেছে। এদের চক্র থেকে নেত্রীর নিস্তার নাই। প্রভাবশালী এক মন্ত্রীকে নেত্রী অত্যাধিক স্নেহ করেন। সৎ নীতিবান বলে তার সুনাম চালু আছে। কিন্তু সেই ব্যক্তির মত দুশ্চরিত্র আওয়ামী লীগে দ্বিতীয়টি নেই। তার অফিসে সারাক্ষণ অল্প বয়সী মেয়ে মধ্যবয়সী মহিলাদের আনাগোনা লেগেই থাকে।"

~~~~আমার কথা :-- এসব দুশ্চরিত্রদের নিপাত করার জন্য বিষ্ণু/ কৃষ্ণের সুদর্শন চক্রটির খুব দরকার আজ।

No comments:

Post a Comment