সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ২৫ হাজারের মতো মামলা আছে। এতে আসামির সংখ্যা ৫ লাখের মতো। কিন্তু তাঁদের অতিনগণ্য সংখ্যকই দলীয় আইনজীবীদের সহযোগিতা পান বলে আভিযোগ আছে।
এসব মামলার আসামি ও তাঁদের স্বজনরা বলছেন, দলীয় আইনজীবী নেতারা দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলাসহ গুটিকতক হাইপ্রোফাইল মামলা ছাড়া অন্যান্য মামলায় নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ান না। দলের জ্যেষ্ঠ বা ধনাঢ্য নেতাকর্মীদের তাতে সমস্যা না হলেও অন্যান্যদের বিপাকে পড়তে হয়। তাঁরা বলছেন, দলের শীর্ষ দুই নেতাসহ হাইপ্রোফাইল মামলাগুলো মিডিয়া কাভারেজের মধ্যে থাকায় আইনজীবীরাও তাতে সময় দিতে আগ্রহী থাকেন। কারণ এগুলো গণমাধ্যম হয়ে দলীয় চেয়ারপারসন ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের নজরে পড়ে। আর অন্যান্যদের মামলায় তেমন গা ঘেঁষেন না আইনজীবীরা।
এ জন্য তাঁরা প্রায় একই কারণ দেখাচ্ছেন। ভুক্তভোগীরা বলছেন, দলীয় নেতাকর্মীদের মামলা লড়তে গেলে তাতে চাহিদা অনুযায়ী ফিস পাওয়া যাবে কিনা, এ নিয়ে সংশয়ে থাকেন দলীয় আইনজীবীরা। তার চেয়ে নিজেদের নিয়মিত মামলায় সময় দিলে ফিসের নিশ্চয়তা থাকে। তাছাড়া দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ফিস নিয়ে দরকষাকষি করলেও আবার দলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর ভাবমূর্তিতে ছেদ পড়ার আশঙ্কা থাকে। তবে কোনো কোনো আইনজীবী সহযোগিতা না করার এমন অভিযোগ এড়াতে নামকাওয়াস্তে জুনিয়র আইনজীবীদের মামলার তারিখে আদালতে পাঠান বলেও জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এমন অভিযোগের স্বীকার করেছেন বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এবং খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, মির্জা ফখরুলসহ শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আইনজীবী সানা উল্লাহ মিয়াও। জানতে চাইলে গতকাল রোববার বাংলা ইনসাইডারকে তিনি বলেন, এসব সমস্যা নিয়ে কেউ আমাদের কাছে এলে আমরা সমাধান করে দেই।
এসব মামলা প্রসঙ্গে নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন তিনি। আইনজীবী বলেন, নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে আমরা এসব মামলা প্রত্যাহারের দাবি করছি। কারণ এসব মামলা রাজনৈতিক। তাছাড়া নির্বাচনের সময় এসব আসামিরা যেন জামিনে থাকেন আমরা সেই চেষ্টাও করব। আর বাকি সমস্যা রাজনৈতিক ভাবেই মোকাবেলা করব।
এ সময় তিনি ২৫ হাজার মামলা এবং পাঁচ লাখ আসামির সংখ্যার বিষয়টিও নিশ্চিত করেন। জানা গেছে, এরমধ্যে খালেদা জিয়াসহ ১৫৮ জন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে আছে সাড়ে চার হাজারের মতো মামলা। খালেদার বিরুদ্ধে জিয়া ট্রাস্ট এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট, গ্যাটকো দুর্নীতি, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি, নাইকো দুর্নীতিসহ সাতটি মামলা করা হয় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে। তাছাড়া বিগত সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় নাশকতার নির্দেশদাতা হিসেবেও মামলা হয়েছে তাঁর নামে। সর্বমোট ৩৫টি মামলার আসামি খালেদা জিয়া। এগুলোর মধ্যে অন্তত ২০টির কার্যক্রম চলছে বিভিন্ন আদালতে।
আর শতাধিক মামলা আছে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে। এরমধ্যে একটিতে তাঁর সাত বছরের সাজাও হয়েছে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে আছে ৮৬টি মামলা। এরমধ্যে অন্তত ২৪টিতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ১১টি, তরিকুল ইসলামের ২২, মওদুদ আহমদের ৯, এম কে আনোয়ারের ৪০, জমির উদ্দিন সরকারের পাঁচ, মির্জা আব্বাসের ৯৬, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ৪০, রফিকুল ইসলাম মিয়ার ১৯, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর তিন এবং সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে ৪৭ মামলা আছে।
এছাড়াও সাদেক হোসেন খোকার ৪২, আবদুল্লাহ আল নোমানের ১৩, সেলিমা রহমানের ১১, আলতাফ হোসেন চৌধুরীর সাত, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের ১৮, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহম্মদের ছয়, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেনের ১৩, সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীনের পাঁচ, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলীর তিন, মোহাম্মাদ শাহজাহানের সাত, ইকবাল হাসান মাহমুদের ৩৭, এ জেড এ জাহিদ হোসেনের ১৫, আবদুল আউয়াল মিন্টুর ১২, শামসুজ্জামান দুদুর ২২, শওকত মাহমুদের ৪৫, শাহজাহান ওমরের আট, এম আকবর আলীর সাত, জহুরুল ইসলামের দুই, আমানউল্লাহ আমানের ১২৬, বরকতউল্লা বুলুর ৮৮, রুহুল কবীর রিজভীর ৪৭, মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের ১৩০, হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের ১০, মিজানুর রহমান মিনুর ১৩, মাহবুব উদ্দিন খোকনের পাঁচ, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের ৫২, মারুফ কামাল খানের ৪৩, শামসুদ্দিন দিদারের ১০, রাজশাহীর মেয়র মোসাদ্দেক হোসেনের ১৩, গাজীপুরের মেয়র আবদুল মান্নানের ১১, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর ৯, বরিশালের মেয়র আহসান হাবিব কামালের পাঁচ, জয়নুল আবদিন ফারুকের ৩১, সাইফুল ইসলাম নীরবের ২১৫, সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর ২১২, নাজিম উদ্দিন আলমের ১৭, খায়রুল কবির খোকনের ১০, ফজলুল হক মিলনের ১২, রুহুল কুদ্দুছ তালুকদার দুলুর ৪৫, মীর শরাফত আলী সফুর ৮৭, নাদিম মোস্তফার ২৭, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির ৮৭, আজিজুল বারীর ৩৭, সৈয়দ মেহেদী আহমেদের আট, সানাউল্লাহ মিয়ার আট, শিরিন সুলতানার ১৭, শফিউল বারী বাবুর ৩১, আশিফা আশরাফী পাপিয়ার ১১, তৈমুর আলম খন্দকারের চার, নজরুল ইসলাম মঞ্জুর ছয়, বেলাল আহমেদের ছয়, আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলের ২৭, হাবিবুর রশীদ হাবিবের ৪৩, আকরামুল হাসানের ১০ এবং নবী উল্লাহ নবীর বিরুদ্ধে রয়েছে ৮৩টি মামলা।
বাংলা ইনসাইডার/এমএএম/জেডএ
এসব মামলার আসামি ও তাঁদের স্বজনরা বলছেন, দলীয় আইনজীবী নেতারা দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলাসহ গুটিকতক হাইপ্রোফাইল মামলা ছাড়া অন্যান্য মামলায় নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ান না। দলের জ্যেষ্ঠ বা ধনাঢ্য নেতাকর্মীদের তাতে সমস্যা না হলেও অন্যান্যদের বিপাকে পড়তে হয়। তাঁরা বলছেন, দলের শীর্ষ দুই নেতাসহ হাইপ্রোফাইল মামলাগুলো মিডিয়া কাভারেজের মধ্যে থাকায় আইনজীবীরাও তাতে সময় দিতে আগ্রহী থাকেন। কারণ এগুলো গণমাধ্যম হয়ে দলীয় চেয়ারপারসন ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের নজরে পড়ে। আর অন্যান্যদের মামলায় তেমন গা ঘেঁষেন না আইনজীবীরা।
এ জন্য তাঁরা প্রায় একই কারণ দেখাচ্ছেন। ভুক্তভোগীরা বলছেন, দলীয় নেতাকর্মীদের মামলা লড়তে গেলে তাতে চাহিদা অনুযায়ী ফিস পাওয়া যাবে কিনা, এ নিয়ে সংশয়ে থাকেন দলীয় আইনজীবীরা। তার চেয়ে নিজেদের নিয়মিত মামলায় সময় দিলে ফিসের নিশ্চয়তা থাকে। তাছাড়া দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ফিস নিয়ে দরকষাকষি করলেও আবার দলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর ভাবমূর্তিতে ছেদ পড়ার আশঙ্কা থাকে। তবে কোনো কোনো আইনজীবী সহযোগিতা না করার এমন অভিযোগ এড়াতে নামকাওয়াস্তে জুনিয়র আইনজীবীদের মামলার তারিখে আদালতে পাঠান বলেও জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এমন অভিযোগের স্বীকার করেছেন বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এবং খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, মির্জা ফখরুলসহ শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আইনজীবী সানা উল্লাহ মিয়াও। জানতে চাইলে গতকাল রোববার বাংলা ইনসাইডারকে তিনি বলেন, এসব সমস্যা নিয়ে কেউ আমাদের কাছে এলে আমরা সমাধান করে দেই।
এসব মামলা প্রসঙ্গে নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন তিনি। আইনজীবী বলেন, নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে আমরা এসব মামলা প্রত্যাহারের দাবি করছি। কারণ এসব মামলা রাজনৈতিক। তাছাড়া নির্বাচনের সময় এসব আসামিরা যেন জামিনে থাকেন আমরা সেই চেষ্টাও করব। আর বাকি সমস্যা রাজনৈতিক ভাবেই মোকাবেলা করব।
এ সময় তিনি ২৫ হাজার মামলা এবং পাঁচ লাখ আসামির সংখ্যার বিষয়টিও নিশ্চিত করেন। জানা গেছে, এরমধ্যে খালেদা জিয়াসহ ১৫৮ জন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে আছে সাড়ে চার হাজারের মতো মামলা। খালেদার বিরুদ্ধে জিয়া ট্রাস্ট এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট, গ্যাটকো দুর্নীতি, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি, নাইকো দুর্নীতিসহ সাতটি মামলা করা হয় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে। তাছাড়া বিগত সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় নাশকতার নির্দেশদাতা হিসেবেও মামলা হয়েছে তাঁর নামে। সর্বমোট ৩৫টি মামলার আসামি খালেদা জিয়া। এগুলোর মধ্যে অন্তত ২০টির কার্যক্রম চলছে বিভিন্ন আদালতে।
আর শতাধিক মামলা আছে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে। এরমধ্যে একটিতে তাঁর সাত বছরের সাজাও হয়েছে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে আছে ৮৬টি মামলা। এরমধ্যে অন্তত ২৪টিতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ১১টি, তরিকুল ইসলামের ২২, মওদুদ আহমদের ৯, এম কে আনোয়ারের ৪০, জমির উদ্দিন সরকারের পাঁচ, মির্জা আব্বাসের ৯৬, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ৪০, রফিকুল ইসলাম মিয়ার ১৯, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর তিন এবং সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে ৪৭ মামলা আছে।
এছাড়াও সাদেক হোসেন খোকার ৪২, আবদুল্লাহ আল নোমানের ১৩, সেলিমা রহমানের ১১, আলতাফ হোসেন চৌধুরীর সাত, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের ১৮, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহম্মদের ছয়, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেনের ১৩, সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীনের পাঁচ, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলীর তিন, মোহাম্মাদ শাহজাহানের সাত, ইকবাল হাসান মাহমুদের ৩৭, এ জেড এ জাহিদ হোসেনের ১৫, আবদুল আউয়াল মিন্টুর ১২, শামসুজ্জামান দুদুর ২২, শওকত মাহমুদের ৪৫, শাহজাহান ওমরের আট, এম আকবর আলীর সাত, জহুরুল ইসলামের দুই, আমানউল্লাহ আমানের ১২৬, বরকতউল্লা বুলুর ৮৮, রুহুল কবীর রিজভীর ৪৭, মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের ১৩০, হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের ১০, মিজানুর রহমান মিনুর ১৩, মাহবুব উদ্দিন খোকনের পাঁচ, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের ৫২, মারুফ কামাল খানের ৪৩, শামসুদ্দিন দিদারের ১০, রাজশাহীর মেয়র মোসাদ্দেক হোসেনের ১৩, গাজীপুরের মেয়র আবদুল মান্নানের ১১, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর ৯, বরিশালের মেয়র আহসান হাবিব কামালের পাঁচ, জয়নুল আবদিন ফারুকের ৩১, সাইফুল ইসলাম নীরবের ২১৫, সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর ২১২, নাজিম উদ্দিন আলমের ১৭, খায়রুল কবির খোকনের ১০, ফজলুল হক মিলনের ১২, রুহুল কুদ্দুছ তালুকদার দুলুর ৪৫, মীর শরাফত আলী সফুর ৮৭, নাদিম মোস্তফার ২৭, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির ৮৭, আজিজুল বারীর ৩৭, সৈয়দ মেহেদী আহমেদের আট, সানাউল্লাহ মিয়ার আট, শিরিন সুলতানার ১৭, শফিউল বারী বাবুর ৩১, আশিফা আশরাফী পাপিয়ার ১১, তৈমুর আলম খন্দকারের চার, নজরুল ইসলাম মঞ্জুর ছয়, বেলাল আহমেদের ছয়, আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলের ২৭, হাবিবুর রশীদ হাবিবের ৪৩, আকরামুল হাসানের ১০ এবং নবী উল্লাহ নবীর বিরুদ্ধে রয়েছে ৮৩টি মামলা।
বাংলা ইনসাইডার/এমএএম/জেডএ
No comments:
Post a Comment