Sunday, 29 November 2015

হাসিনার ইচ্ছা অনুযায়ী ফাঁসি চলবে

প্রতিটি রায়ের পরেই বিদেশিরা চিৎকার করবে এবং হাসিনার ইচ্ছা অনুযায়ী ফাঁসি চলবে। সাপ্তাহিকের সম্পাদক গোলাম মর্তুজা ফাঁসি নিয়ে চমৎকার লিখেছেন। শুধু দস্তখত ছাড়া মন্ত্রী কিছুই জানতেন না। কয় ট্রাক বিজেবি, কোথায় আলো জ্বলবে না, কয়টায় ফাঁসি, একমাত্র হাসিনা ছাড়া এমনকি তার সঙ্গে থাকা মানুষেরাও কিছুই জানতেন না। মর্তুজার কথার সঙ্গে মিলিয়ে বলছি, চরম ব্যর্থ হেগের আন্তর্জাতিক ট্রাইবুন্যাল, ওদেরকেই ফাঁসি দেয়া উচিত। ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে কিছুই করেনি বরং একব্যক্তির প্রতিহিংসামূলক ফাঁসি চলছে, চলবে।
স্কাইপ কেলেংকারির সঙ্গে যুক্ত ট্রাইবুন্যালের বিচারকেরা, এরচে’ গাজাখুরি বিচার কোথাও দেখেছেন? বিচারপতি মানিক, এস.কে সিনহা, নিজামুল হক, মন্ত্রী কামরুলসহ নানান জনের নাম এসেছে স্কাইপে। স্কাইপ কথোপকথন ইউটিউবে। অন্য দেশ হলে অবশ্যই হস্তক্ষেপ করতো হেগ কিন্তু বাংলাদেশের বেলায় করেনি কারণ, ভারত। দিল্লিকে এই অঞ্চলের জমিদার বানিয়েছে ওয়াশিংটন। ভারতে স্বার্থ পূরণে জ্বলে উঠেছে লক্ষ বাতি। স্কাইপের পর মিসট্রায়াল ঘোষণা ছাড়া প্রতিটি ফাঁসিই হত্যাকান্ড না হলে, আমাকে মিথ্যা প্রমাণ করুন।
২৭ নভেম্বর ইকোনোমিস্ট ম্যাগাজিন বিষয়টি বেশি বেশি পরিষ্কার করলো। প্রাচ্যের আফ্রিকায়, আমরাও হতবাক। ট্রাইবুন্যালের আপিল বিভাগের বিচারক মানিক এখন টকশো তারকা? ঘাদানির প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে জামায়েতের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিলিয়ে দেয়ার অন্যতম লবিস্ট এই বিচারক নামের কুসন্তান। এরাই ট্রাইবুন্যালে ফাঁসি দেয় আবার ভিকটিমদের সম্পত্তির বিরুদ্ধে লবি করে। এরাই সেই মীরজাফর যাকে চিনতে ভুল করেছিলেন সিরাজ-উদদৌলা। গোটা জাতিই আজ অসহায় সিরাজ-উদদৌলা। দেশজুড়ে চাষ হচ্ছে মীরজাফরদের। ট্রাইবুন্যালে সবচে’ বড় ভূমিকা শাহারিয়ার কবিরদের আর আপিলে রায় বহাল রাখার দায়িত্ব ছিলো মানিকের। এখন সেই মানিকই অবসরে যাওয়ার পরেই, টকশোতে যেসব কথা বলছে, এমনকি আফ্রিকাতেও এই ধরনের মার্সিনারি দেখা যায় না। বিচার, বিচারক কোনটাই নয়, বরং এদেরকে মার্সিনারি ছাড়া কোনটাই বলবো না। যে বিচারক আপিল বিভাগের ফাঁসি বহাল রেখেছে, তার মুখ দিয়ে এখন সত্য কথা বেরিয়ে আসছে। আমেরিকা হলে আইন ভঙ্গ করার জন্য এই বিচারকের ফাঁসি হতো। বর্বর আফ্রিকানরা কি আমাদের চেয়ে অধিক শিক্ষিত নয়?

আফ্রিকান মার্সিনারি নাকি বঙ্গললনা? মানুষ নাকি জীন? বুড়া বয়সেও ড্রকুলার মতো রক্তপিপাসা দেখে আমরা শোকাহত। গোটা জাতিকে ৭১এর বস্তায় বন্দি করে ফেলেছে, কিছুতেই সামনে যেতে দেবে না। সামনে গেলে মানুষ ৭১এর ধান্দাবাজি বুঝে যাবে। ৭১এ ইন্দিরা-মুজিবের সিকিম বানানোর ষড়যন্ত্র জেনে ফেলবে। পৃথিবীতে কতোকিছু হচ্ছে কিন্তু একমাত্র বাংলাদেশিদের মুখেই শুধু ৭১ আর ৭১। যেন ৭১ ছাড়া ৭২, ৭৩... কিছুই নেই। স্বাধীনতা আমরা চেয়েছি কিন্তু চেতনার ব্যবসা চাইনি। এমনকি ৭১ নামে একটি টেলিভিশনও হাতিয়ে নিয়েছে মোজাম্মেল হক বাবুলীগ। চেতনার নামে মানুষকে ৭১এ বন্দি রেখে একটি বানর জাতি বানানোর লক্ষণ সর্বত্রই। এই জাতি এখন নিজের বাবা-মায়ের নাম পর্যন্ত ভুলে গিয়ে সারাক্ষণ টুঙ্গিপাড়া টুঙ্গিপাড়া করে। বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত না করে, ৩২ নম্বর রাস্তার সামনে বানরনৃত্য করে।

পর্ণো মামলায় ইটিভি চেয়ারম্যানকে ২ বছর জেলে রাখার পর, আকাশে নিলাম হলো ইটিভি, নতুন এমডির নাম ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ। বাহ্‌ কি মজা! কারো ব্লাউজ-পেটিকোট পরিষ্কার করলেই টেলিভিশনের মালিক হওয়া যায়। বাগানের ফুল নয়, মীরজাফর গোলাপ। দুষ্ট চোখের ভাবগম্ভির এবং ঠোঁটে তালা লাগানোর রহস্য এই উপদেষ্টা, হাসিনার প্রতিটি অনুষ্ঠানের ১ম সারিতে। একসময় নিউইয়র্কে তার গ্রোসারি স্টোর ছিলো। ২০০৮এ সব ত্যাগ করে সরাসরি সজীবের বাড়িতে হাসিনার চাপরাশি। হঠাৎ দেখলাম, সে উপদেষ্টা। এই লোকটাই আমাকে ২০০৯ সনে বলেছিলো, সজীব একদিন প্রধানমন্ত্রী হবে এবং সরকারকে কেউ আর ক্ষমতা থেকে নামাতে পারবে না এবং সে নিশ্চিত। খয়ের খার কথার অর্থ সেদিন বুঝতে পারিনি। একদা মুদিখানার মালিক এখন চেতনার শিক্ষক। বাইরে উপদেষ্টা কিন্তু ভেতরে ভেতরে এখনো চাপরাশি। তার ডক্টর উপাধিও ভূয়া। এতোকাল খয়ের খা থাকার পুরষ্কার, হাজার হাজার কোটি টাকার ইটিভি। আমরা ভাষাহীন। মানুষের বুদ্ধি-বিবেকের জানাজায় দলে দলে শরিক হোন। ইন্নালিল্লাহে... পড়েন। যে কোন মুহূর্তে ঘরে-বাইরে যা খুশি ছিনিয়ে নিবে ছিনতাইকারি সরকার। ইটিভির পর আরো প্রমাণ চাই? এরপর জামায়েতের হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বেহাত করে খয়ের খা-দেরকে এভাবেই পুরষকৃত করতে থাকবে মার্সিনারিরা।
সরকার পতন হলে সবগুলো বিদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হবে। খয়ের খা গোলাপের কথাই ঠিক, হাসিনার যুগ অবসান হলে মধ্যপ্রাচ্যের রাজতন্ত্রের মতো প্রধানমন্ত্রী হবে তার পুত্র। সুতরাং সজাগ থাকুন, যে কোন মুহূর্তে স্বামী কিংবা স্ত্রী, হঠাৎ নিলাম উঠতে পারে।

বাংলাদেশের সকল অর্থনীতিবিদ এবং অর্থবিশেষজ্ঞরা ইনে-কাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহে...। আছেন শুধুই একজন, যিনি সব জ্যান্তা কিন্তু যদি প্রশ্ন করি, জিডিপি কি দিয়ে হয়, বলতে পারবে না। যদি বলি, কর্মসংস্থানের সঙ্গে জিডিপির আনুপাতিক হারের সম্পর্ক কি, কিছু চেতনার বাণী শোনাবে কিন্তু অর্থনীতিবিষয়ক কিছুই বলতে পারবে না কারণ, চেতনার বিদ্যা-বুদ্ধি দিয়ে দেশ শাসন করা সম্ভব না। এইসকল ভূয়া উন্নতিবাজাদের খপ্পড়ে পড়ে, দিনকে দিন একটি জাতি কিভাবে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, প্রমাণ বাংলাদেশ। অর্থনীতির বিশাল গর্তগুলো, মুখের কথায় ঢেকে রেখেছে। একমাত্র খয়ের খা ছাড়া প্রত্যেকের অর্থনৈতিক অবস্থাই যা-তা। রিক্সা-দিনমজুর, গার্মেন্টস আর প্রবাসী শ্রমিক ভিত্তিক অর্থনীতিতে আসলেই যে কিছু নেই, মস্তিষ্কহীনরা চেতনা ছাড়া সব প্রশ্ন ভুলে গেছে। তাদের কানে তালা, জিহ্বায় গরুর ঠুলি।
উচ্চমধ্যবিত্ত দেশ হতে গেলে মাথাপিছু আয় লাগবে ৪১০০ ডলার এবং ২০৪১ সাল পর্যন্ত প্রতিবছরই ৪০ ভাগ প্রবৃদ্ধির হার বাধ্যতামূলক। এবার বলুন, অর্থনীতিবিদদের জানাজা হয়েছে নাকি হয়নি? একমাত্র পাগলের কারবার ছাড়া এই ধরনের উন্নতির কথা কেউ বলে? টেলিভিশন এবং খবরের কাগজকে যেভাবে উন্নতির প্রপাগান্ডা মিডিয়া হিসেবে ব্যবহার করছে, এর ফলাফল অনেকটাই হিরোশিমার মতো। আকাশ থেকে বোমা ফেললে মানুষ মরে, মিডিয়া থেকে ফেললে মস্তিষ্ক মরে। আমাদের বুদ্ধিকোষগুলো সব মারা গেছে। ইন্নালিল্লাহে....।
অর্থনীতিবিদদের কফিনে এইমাত্র ফুল দিয়ে এলাম। এখন শুনুন, যা আপনাদের শোনা উচিত। যে ক্লাশে ৩ জন ছাত্র, তারাই ১ম, ২য়, ৩য়। মার্কিন অর্থনীতির সঙ্গে হাস্যস্কর তুলনা করে বাংলাদেশের মার্সিনারিরা। আমি এদেরকে মার্সিনারি ছাড়া কিছুই বলতে রাজি নই। বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রটি এখন প্রাচ্যের আফ্রিকা। আফ্রিকা জুড়েই স্বৈরাচার কিন্তু কখনোই তারা গণতন্ত্রের দোহাই দেয় না এবং এটাই একমাত্র পার্থক্য। আফ্রিকার ঘরে-বাইরে মার্সিনারিরা প্রকাশ্যে যা করে, আমরা করি গণতন্ত্রের ছদ্মবেশে, এই যেমন্ত আকাশে ইটিভি নিলাম। যা বলছিলাম, নিম্ন এবং নিম্নমধ্যবিত্ত দেশগুলোতে প্রবৃদ্ধির হার সবসময় বেশি হওয়ার কারণ এই ক্লাশে কোন ছাত্র-ছাত্রী নেই। ধনী দেশগুলোর প্রবৃদ্ধির হার ধীরলয়ে। উদাহরণস্বরূপ, মার্কিন প্রবৃদ্ধির পরিমাণ ১৮ ট্রিলিয়ন ডলার। ১ হাজার বিলিয়নে ১ ট্রিলিয়ন। ১ বিলিয়ন অর্থাৎ ১০০ কোটি। ১ মিলিয়ন অর্থাৎ ১০ লক্ষ। বাংলাদেশের জিডিপি ২০৪ বিলিয়ন ডলার। এবার বুঝুন, মানুষ কিভাবে গাধা হয়ে যায়। কথায় কথায় বলে, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার নাকি উন্নতি দেশগুলোকেও ছাড়িয়ে গেছে। উন্নতির ঢেকুর তো প্রতি ঘণ্টায়। অন্য দেশে মন্দা আছে বাংলাদেশে নাকি মন্দা হয় না। এই সব গাজাখুরি গল্প শুনিয়ে গোটা জাতিকে নেশাগ্রস্ত করে ফেলেছে। পশ্চিমাদের জিডিপি যা দিয়ে হয়, হাজার বছরেও কল্পনা করতে পারবে না বাংলাদেশ। যে ভাষায় তুলনা করে, মূর্খ ছাড়া কেউ করবে না।
মোটা হয়ে গেলে দৌড়াতে সময় লাগে, হালকাপাতালা হলে দৌড়ে ফার্স্ট। জিডিপির বিষয়টিও তাই। প্রতি মাসেই লক্ষ লক্ষ গাড়ি, বাড়ি, শিল্পপণ্যজাত সামগ্রী, লেবার ফোর্স, আমদানি-রপ্তানির বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার দিয়ে পশ্চিমাদের জিডিপি। আব্বাস আর গাবগাছকে এক করে ফেলেছে গাজাখোরদের দল। জাতির মুখে গাজা রেখে খয়ের খা’রা সবকটাই বোম ভোলানাথ।

যারাই আমাকে মিথ্যা প্রমাণ করতে চান, অর্থনীতি বিষয়ে কিছু জ্ঞান সংগ্রহ করুন। আমি করেছি ৩৫ বছর, এখনো করছি। প্রতিদিনই পুঁজিবাদের সঙ্গে আছি, পশ্চিমাদের পুঁজিবাজার কোথায় যাচ্ছে, ড্রইংরুমে বসেই বলতে পারি। কারণ সেই সক্ষমতা আমি অর্জন করেছি। আপনারা পারবেন? স্বাধীনতার ৪৪ বছরে পরেও ২০০ বিলিয়ন ডলারের জিডিপি নিয়ে যারা লাফালাফি করে, তাদের গন্তব্য সুন্দরবন। কারণ সুন্দরবনে পশুর সংখ্যা কমছে, বাড়ছে শহরে এবং গ্রামগঞ্জে।

অন্যান্য ব্যবসাগ্রুপের মতো আমি এদের নাম দিলাম, মামা-ভাগ্নে চেতনা গ্রুপ। ঠিক ধরেছেন, শাহারিয়ার কবির এবং মুনতাসির মামুন। দুই চেতনাবিদের একজন ইতিহাস পড়ায়, আরেকজন প্রত্যেকদিনই চেতনা সৃষ্টি করে। পত্রিকা খুললেই মামা-ভাগ্নে চেতনাগ্রুপ। টেলিভিশন খুললেও তাই। এদের যন্ত্রণায় টেলিভিশন দেখা বাদ। আলম গ্রুপের মতোই মামা-ভাগ্নে গ্রুপ একটি লাভজনক ব্যবসা। আলম গ্রুপের নামে ছিনতাই করলো ইটিভি। যার এমডি ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ। মামা-ভাগ্নে মিলে মুক্তিযুদ্ধ এবং চেতনা বিক্রি করে বেশ কামাচ্ছে। এবার খামছে ধরেছে জামায়েতের সম্পত্তি। ছিনতাই হলে, জামায়েতের ৫০০ হাজার কোটি টাকার বড় অংশ পাবে চেতনাগ্রুপ। বাংলাদেশে এখন সবচে’ লাভজনক ব্যবসা মুক্তিযুদ্ধ, এমনকি আইফোন কিংবা মার্সিডিজের চেয়েও বড়। যে দিকেই তাকাই মুক্তিযুদ্ধের মুদিখানা। এমনকি গোরস্তানের গেটেও নৌকার ছবি। কবরখানা লীগ, গোরখাদক লীগ, আজরাইল লীগ, ওলামা লীগ থাকলে মামা-ভাগ্নে গ্রুপ থাকবে না?

জলবায়ু আন্দোলন হচ্ছে সবচে’ বড় বাটপারি। এরচে’ বড় বাটপারি ব্যবসা বাংলাদেশে নেই। বিরূপ জলবায়ুর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশ, এই কথা বলে দুটো উদ্দেশ্য সাধন করতে যাচ্ছে চেতনালীগ। ১) জলবায়ু তহবিল থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার কামাই করে গিলে ফেলা। ২) জলবায়ুর কথা বলে যদি সস্তায় একটা নোবেল পাওয়া যায়। বান কি মুনের জলবায়ু আর নোবেলের দৌড়ে বাংলাদেশে খুব পিছিয়ে নেই। একটার পর একটা পুরষ্কার পাচ্ছে প্রাচ্যের আফ্রিকার জলবায়ু বিশেষজ্ঞ। এরপর পুরষ্কারের উপরেই ঘেন্না ধরেছে।
আসল কথা কেউ জানে না। এই শতাব্দির সবচে’ ভূয়া শ্লোগান জলবায়ুর ঝুকি। মার্কিন নির্বাচনে হেরে গিয়ে ভাইসপ্রেসিডেন্ট তখন আলগোর বেকার। কিছু তো করতে হবে, সুতরাং আবিষ্কার করলো কার্বন নিঃসরনে ক্ষতিগ্রস্ত জলবায়ু। তৈরি করলো ‘ইনকনভিয়েন্ট ট্রুথ’ নামের একটি গাজাখুরি ছবি। এর পেছনে ছিলো ডেমোক্রেট লবিস্টদের বড় ষড়যন্ত্র, যারা কার্বন নিঃসরণ কমানোর নামে নতুন ব্যবসা খুলতে চায়। বিকল্প জ্বালানি ব্যবসা যার অন্যতম। বরফ যুগের ১০ হাজার বছর পর শিল্প বিপ্লবের বয়স মাত্র ৩০০ বছর। এবার বলুন, এতো বরফ গেলো কোথায়? ৩০০ বছর আগে কি শিল্পকারখানা এবং যানবাহন ছিলো? মোটরগাড়ির জন্ম হয়েছে ১৯০৮ সনে, কমার্শিয়াল এরোপ্লেন ১৯৩৫ সনে, ১ম কম্পিউটার ১৯৫০ সনে...। আমার মনে হয়, বরফ যুগের সব বরফ একাই খেয়ে ফেলেছে বেকার আলগোর। এরপর তার পেট এবং মাথা দুটোই গেছে। কার্বন নিঃসরনের নামে গোটা বিশ্বকে পাগল করে ফেলেছে ডেমোক্রেটরা। এদেরই একজন ওবামা যার একমাত্র মিশন শিল্পজগতকে ধ্বংস করা। ওবামার সমালোচনায় মুখর রিপাবলিকানরা। তারা ভূয়া জলবায়ু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছে।
এই সুযোগে টুপাইস কামাচ্ছে আমাদের চেতনাবাদিরা। গাধাগুলো কিছুই জানতে চায় না। সিডরের ৯ বছর পর, এই দেশে কবে উল্লেখ করার মতো বন্যা হয়েছে? নদী ভাঙ্গন আর কার্বন নিঃসরন দুই জিনিস। নদী ভাঙ্গন রোধ না করার জন্য দায়ী রাজনীতিবিদরা। এরা বাঁধ দেয়ার টাকা নিজেরা খেয়ে ফেলছে। ৭০এর মহাপ্লাবনের সময়ে কার্বন নিয়ে কেউ কি কথা বলতো? বড় বড় সুনামি হয়েছে শিল্প বিপ্লবের আগে। সূর্য ধীরে ধীরে আরো বেশি উত্তপ্ত হবে, উত্তর মেরুর বফর ক্রমশ গলে যাবে, সমুদ্রগুলো আরো উপচে পড়বে, ভূগর্ভে ভূমিকম্পের সংখ্যা বাড়বে, পৃথিবীও একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে, এটাই বাস্তবতা। যারা এসব বোঝে না তাদের অন্যতম দীপুমনি। তাকে বলছি, সবাইকে বলুন, জলবায়ুর লেজ টানাটানি বাদ দিয়ে নিজেদের লেজ টানাটানি করে আমাদেরকে বাঁচান।

উন্নতির নামে মহাষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। শকুনের মতো হামলে পড়েছে চীন্তরাশিয়া-জাপান্তভারতের কালো শকুনেরা। দেশ আর দেশ নেই বরং একটা বাস্প। ধীরে ধীরে বাস্প আরো মোটাতাজা এবং বিস্ফোরণমুখী হচ্ছে। উন্নতির নামে বিদেশি চরেরা যা খুশি করছে। বড় বড় হোটেলগুলো বিদেশি গেস্ট দিয়ে ঠাসা। প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদেশি কর্মী দিয়ে ভরা। ১/১১এর মাধ্যমে জাতি কি পেলো, তারা কি জানে?
সর্বনাশের ঘন্টা বাজতে দেরি নেই, এই অঞ্চল থেকে ভারত কোনদিনও যা আদায় করতে পারেনি, এমনকি আইয়ুব খান এবং শেখ মুজিবও যাতে রাজি হয়নি, ভাসানী যাদেরকে থাপ্পড় মারতে চেয়েছিলেন... চট্টগ্রাম বন্দরে এখন ভারতীয় জাহাজের মেলা। সড়কপথে হিন্দি সাইনবোর্ড গাড়ি দিয়ে সয়লাব। বিনা নোটিশে ভারতের সঙ্গে সবগুলো বন্দর খুলে দেয়ার ঘোষণা। গণভবনে দিল্লির মাসির বাড়ি। শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোতে দাদাবাবুদের নেইমপ্লেট। রুপরূপসহ কয়েকটি অঞ্চলে রাশিয়ানদের দখলে। নাক ভোতা চীনার কোথায় নেই? পদ্মাসেতুর নামে লংকাকান্ড বাঁধিয়ে ফেলেছে চীন। জাপানিজরা বঙ্গোপসাগর বন্দর না বানিয়ে ছাড়বে না। সকলেই হাজার হাজার কোটি টাকার টোপ দিচ্ছে, একটার পর একটা টোপ গিলে ফেলছে চেতনাবাদিরা।
দেশজুড়ে চলছে উন্নতির নামে ভয়ংকর দখলবাজাদের দাপট। এভাবেই ঢুকেছিলো ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানি। এভাবেই হিলারি শুরু করেছিলো আবর বসন্ত। সুন্দরবন পুরোটাই খেয়ে ফেলতে চায় ভারত। মহাকর্মকান্ড শুরু হয়েছে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঘিরে। নেপাল, ভূটান, শ্রীলংকা থেকে যেমন ভারতেকে আলাদা করা কঠিন, আজ বাংলাদেশের যে চেহারা নেপাল থেকে আলাদা করা কঠিন। অবশেষে নেপাল তাদের ভুল বুঝতে পারলো। কিন্তু আমরা দিল্লির হাতে ধরা দিলাম। এই বিষয়গুলো কি কারোই চোখে পড়ে না? পড়বে না কারণ, সিকিম হয়েও যদি ক্ষমতায় থাকা যায়, হলো সেটাই।

No comments:

Post a Comment