Thursday 27 June 2024

অফ্প্রা-CNDA তে শুনানীর প্রস্তুতি

অফ্প্রা-CNDA তে শুনানীর প্রস্তুতি ১ - কবির আহমেদ 21 JANUARY 2021 · PUBLIC GROUP June 26 গ্রুপের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমি কিছু বিষয় আলোচনা করতে ইচ্ছুক যেগুলো না জানার কারণে আমরা বাংলাদেশিরা অফরা এবং কমিশনে প্রচুর সমস্যার সম্মুখীন হই এবং বিচারকদের সামনে অনেকটা হাসির খোরাক হয়ে থাকি।এই বিষয়গুলো আমরা যদি সঠিক ভাবে উপস্থাপন করতে পারি তাহলে বাংলাদেশীদের অফরা/কমিশনে প্রোটকলগুলো আরও জোড়াল হবে বলে আশা করছি।সেই সাথে গ্রুপে যারা এই বিষয়ে অভিজ্ঞ তাদেরও সহযোগিতা এবং সহমত কামনা করছি। অফরা এবং কমিশনে আমাদের সবচেয়ে যেসব বিষয়গুলো বেশি ভুল হয় তার মধ্যে বেশি হল দলের কর্মকাণ্ড এবংনিজের বর্ণিত পদগুলো সম্পর্কে জ্ঞ্যানের স্বল্পতা,গ্রেপ্তার হলে কি অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়,কোর্টে কিভাবে উপস্থাপন করা হয়,জেলের জীবন যাপন পরিস্থিতি,উকিলকে কিভাবে টাকা পরিশোধ করা হয়,কিভাবে জামিন পাওয়া যায় ইত্যাদি ইত্যাদি। আজ একটু গ্রেপ্তারের পর কিভাবে কোর্টে উপস্থাপন করা হয় শে বিষয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবো- ১) কোন ব্যক্তি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হলে তাকে গ্রেপ্তারের পর থানা থেকে ঠিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে কোর্টে পাঠাতে হবে আর যদি কোন কারণে ২৪ ঘণ্টার বেশি হয়ে যায় তখন কোর্ট থেকে তদন্তের জন্য লোক পাঠানো হয় কেন বিলম্ব হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখার জন্য।সেক্ষেত্রে যদি গ্রেপ্তারের পরবর্তী সময়গুলোতে যদি কোর্ট বন্ধ না থাকে সেক্ষেত্রে আসামীকে উপযুক্ত কারণ উপস্থাপন কোর্টে হবে(যদি বিচারক জানতে চান সেক্ষেত্রে) ২) ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে থানা থেকে জেলা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয় প্রথমত।দেওয়ানী মামলায় অভিযুক্তদের দেওয়ানী আদালতে প্রেরণ করা হয়।পাঠানোর সময় অবশ্যই থানার এস আই এবং কিছু কনস্টেবল সঙ্গে থাকবেন। ৩) কোর্টে পৌঁছানর পর যদি কোর্টে দেরি করে তোলা হয় সেক্ষেত্রে জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট কোর্টের গারদখানায় অস্থায়ীভাবে আটক রাখা হবে। ৪) ফ্রেঞ্চ আইন অনুযায়ী উকিল কোন আসামির সাথে জেল/কারাগারে গিয়ে দেখা করতে পারবে না তাই বলা ভালো হবে উকিলের সাথে প্রথম দেখা কোর্টে তোলার কিছুক্ষণ আগে কোর্ট রুমের বাইরে দেখা হয় এবং ওকালতনামা/ব্লু পেপার/ পাওয়ার অফ এটর্নিতে তখন স্বাক্ষর নিয়ে নিয়েছেন। ৫) জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট কোর্টে কোন সাধারণ লোক প্রবেশের অনুমতি পায় না। একজন শুধু মাজিস্ট্রেট অথবা তার পরিবর্তে অতিরিক্ত জেলা মাজিস্ট্রেট বিচার কাজ পরিচালনা করেন। জামিনের শুনানি ব্যাতিত অন্য শুনানিগুলোতে শুধু হাজিরা দেওয়ার কাজ হয়। ৬) প্রত্যেক হাজিরার তারিখ সাধারণত ৬০/৯০ দিনের মধ্যে হয়ে থাকে তবে কোন কোন ক্ষেত্রে তাড়াতাড়ি বা দেরিতে হাজিরা নেওয়া হতে পারে। আসামী জামিনে থাকলে সুনানির তারিখ সাধারণত উকিল ৩/৪ দিন বা ১ সপ্তাহ আগে তার মক্কেলকে জানিয়ে দিবেন। ৭) জামিনের শুনানির সময় আসামীকে কোর্টে উপস্থিত থাকতে হবে। আসামী জদিই স্পেশাল ডিভিশনের হয়ে থাকেন কিংবা গুরুতর অসুস্থ হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আদালত বিবেচনা করে দেখবে। একজন আসামির পক্ষে সপ্তাহে সাধারণত তার উকিল দুইবার জামিনের আবেদন করতে পারবেন। জামিনের শুনানিতে জামিনের শর্ত এবং নিওমাবলি ছাড়া মামলার অন্য কোন বিষয়ে আলোচনা করা হয় না। আসামী ও তার পক্ষের উকিল কোর্টের ডানদিকে অবস্থান করেন। আসামী কাঠগড়ায় অবস্থানকালীন খালি পায়ে অবস্থান করবেন। ৮) হাজিরার সময়ে বিচারক আসামির নাম ও বাবার নাম ধরে সম্বোধন করে থাকেন।শুনানির জন্য নির্ধারিত কোন সময় নেই।চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাধারণত সাক্ষী উপস্থাপন করানো হয় না। চার্জশীট দাখিলের সময় বাদী, থানার ওসি বা তদন্তকারী কর্মকর্তা যিনি দায়িত্বে ছিলেন তাকে উপস্থিত থাকতে হয়। নারাজ্জি পিটিশনের পর মামলা দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করা হয় এবং সেখান থেকে পুনরায় আসামী কে জামিন নিতে হয়। সাক্ষী উপস্থাপনের কাজ শুধুই দায়রা জজ আদালতে হয়ে থাকে আর নিম্ন আদালতের রায় বলতে দায়রা জজ আদালতের রায়কে বোঝানো হয়ে থাকে। ৯) জামিন আবেদন মঞ্জুর হলে আসামীকে আবার জেল হাজতে ফিরে আসতে হবে এবং জেলার সাহেব/ডেপুটি জেলারের কাছে জামিন পত্র অর্থাৎ রেজিস্টারে স্বাক্ষর করে জেল থেকে বেরতে হবে এবং অফিসিয়াল হওয়ার ( সকাল ৯.০০- বিকাল ৫.০০) তার মধ্যে হতে হবে। আপাতত এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করলাম। যদি কোন তথ্য ভুল থেকে থাকে তাহলে বিজ্ঞদের ক্ষমার দৃষ্টিসহ সংশোধন ও সহযোগিতা কামনা করছি। JUNE 30 গ্রুপের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আশা করি সবাই ভালো আছেন। পূর্ববর্তী পোস্টে আমি বেশির ভাগ মামলা মোকাদ্দমা নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। আজ আলচনার চেষ্টা করবো যখন আপনি জামিনের শুনানিতে উপস্থিত থাকবেন তখন আপনার উকিল কি যুক্তি আপনার পক্ষে উপস্থাপন করবেন এবং আপনার আপনাকে কি শর্তে জামিন দেওয়া হবে। প্রথমত আমরা ফ্রান্সে যেসব ফৌজদারি মামলাগুলো দেখাই তার বেশিরভাগই জামিনযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত (শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদ বা রাষ্ট্রদোহীতা এবং হত্যা মামলা) জামিনের অযোগ্য অপরাধ ফরাসী আইন মোতাবেগ)।যদিও আমাদের দেশে অস্ত্র মামলা ও মাদক মামলা জামিন অযোগ্য অপরাধ হলেও এখানে আপনি এইসব মামলায় জামিন দেখাতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনার জামিনের সময় উকিলের যুক্তি এবং শর্ত উভয়ই অনেক শক্তিশালি হতে হবে। যে প্রশ্নগুলো বেশি জিজ্ঞেস করেন বিচারক মহোদয় অফরা/কমিশনে সেগুলো হল-- ১) কিভাবে জামিন পেলেন বা জামিনের শর্ত কি ছিল? ২) জামিনের সময় উকিল কি যুক্তি দেখায়? ৩)জামিনের মুচলেকা কত ছিল এবং কিভাবে দিয়েছিলেন? ৪) উকিলকে মামলার টাকা কিভাবে পরিশোধ করেছেন? ৫) পলাতক থাকা অবস্থায় কিভাবে উকিল নিয়োগ দিয়েছেন? ৬) মামলার রায় কিভাবে পেয়েছেন?ওয়ারেন্ট কিভাবে সংগ্রহ করেছেন?কে পাঠিয়েছে? ৭) দেশে ফেরত গেলে কি হবে আপনার ইত্যাদি ইত্যাদি? প্রথম প্রশ্নের উত্তরঃ- সাধারণত জামিনের শর্তগুলো বেলবন্ডে এফিডেবিট করে নির্দিষ্ট মুচলেকাসহ উকিল বিচারকের সামনে উপস্থাপন করেন। এক্ষেত্রে বলতে পারেন আমার (অমুক মামলায়) ২০/৫০ হাজার বা ১ লাখ টাকা মুচলেকায় নিম্নোক্ত শর্তসাপেক্ষে জামিনে মুক্তি দেয় আদালত। জামিনের শর্তগুলো হল- ১) আমি পলাতক হব না। ২) আইনের প্রতি সদা শ্রদ্ধাশীল থাকব। ৩) মামলার কোন আলামত নষ্ট করবো না। ৪) নিয়মিত কোর্টে হাজিরা দেবো এবং যে কোন মামলা বিষয়ক কাজে কোর্টকে পূর্ণ সহযোগিতা করবো। ৫) সাক্ষীদের কোন ভয়ভীতি দেখাব না। ৬) উপযুক্ত জামিনদার দেবো। উল্লেখ্য জামিনদার আপনার উকিল/পরিবারের সদস্য/ঘনিষ্ঠ কেউ হতে পারেন। দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর- জামিন যোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে আপনার উকিল যে সব যুক্তি প্রদর্শন করবেন তা হল- ১) যে ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে আমার নামে মামলা করা হয়েছে সেই ঘটনায় আমার জড়িত থাকার বিষয়ে বাদীপক্ষ বা পুলিশ কোন শক্ত প্রমান দিতে পারেনি তাই আমাকে সন্দেহের বসে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।(আদালতের নিয়মানুযায়ী যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয় আদালতের চোখে আপনি নির্দোষ থাকবেন এবং জামিন পাওয়া আপনার অধিকার)। ২) আমার সাথে মামলার সাক্ষী বা ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে কোন পূর্ব শত্রুতা নেই তাই জামিনে থাকা কালীন কারোর কোন ক্ষতি করবো না। ৩) আমার বিরুদ্ধে থানায় কোন অভিযোগ বা মামলা নেই বিশেষ করে অস্ত্র বা মাদক মামলা। যদি প্রথম মামলা হয়ে থাকে তাহলে এই পয়েন্টটা বলবেন। আগে কোন মামলায় জামিনে থাকলে বলবেন আমি অন্য মামলায় নিয়মিত হাজিরা দেই। ৪) আমার পারিবারিক ইতিহাস মোতাবেগ আমি নিয়মিত শুনানিতে হাজিরা দিতে সক্কম হব। (যদি আপনাকে অস্ত্র মামলা বা মাদক মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় তাহলে বলবেন আমার ঘরে/ দোকানে বা অন্য কোন জায়গায় মানুষের যাতায়াত বেশি তাই যে কেউ সত্রুতামুলকভাবে মাদক/অস্ত্র রেখে আমাকে মিথ্যা ভাবে ফাঁসানোর অপচেষ্টা করেছে) তৃতীয় প্রশ্নের উত্তর- সাধারণত আপনি মুচলেকার ক্ষেত্রে ১০/২০/৫০ হাজার বা ১ লাখ টাকা দিতে পারেন। তবে এটা শুধু বেলবন্ডে উল্লেখ থাকবে এবং আপনি পলাতক হলে আপনার জামিনদার তখন কোর্টকে এই মুচলেকা পরিশোধ করবেন আপনার অনুউপস্থিতে মামলার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য। চতুর্থ প্রশ্নের উত্তরঃ- ফ্রেঞ্চ উকিলদের পরামর্শ অনুযায়ী আপনি বলবেন যে আপনি বাংলাদেশে প্রাইভেট উকিল নিয়েছিলেন আর যে কোন মামলার জন্য কমপক্ষে ২ লাখ টাকা এবং হত্যা মামলায় কমপক্ষে ৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন( যদি হত্যা মামলায় জামিন নিয়ে থাকেন) পলাতক থাকলে আপনি কখনো উকিল নিয়োগ দিতে পারবেন না। উকিলকে কে নিওগের পর থেকে ২/৩ বারে পূর্ণ টাকা দিয়েছিলেন। পঞ্চম প্রশ্নের উত্তরঃ- আপনি পলাতক থাকা কালীন কোন উকিল নিয়োগ দিতে পারবেন না ফরাসী আইন মোতাবেগ।তাই যারা কখনো গ্রেপ্তার দেখাননি তারা উকিল নিয়োগের কথা বললে সেটা অগ্রহণযোগ্য হবে। ষষ্ঠ প্রশ্নের উত্তরঃ- আপনার নামে কোন ওয়ারেন্ট থাকলে সেটা জমা দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। ফরাসী আইনে একজন ব্যক্তি পলাতক থাকাকালীন কখনো ওয়ারেন্ট সংগ্রহ করতে পারবেন না কোর্ট থেকে। মামলার রায় দিতে পারবেন যদি একই মামলায় একাধিক আসামী থাকে এবং তাদের মধ্যে কেউ যদি জেলে বন্দী থাকেন তার উকিলের কাছ থেকে রায়ের কপি সংগ্রহ করতে পারবেন। যদি কোন মামলায় একজন আসামী থাকেন বা মামলায় একাধিক আসামী থাকলে সবাই যদি পলাতক থাকেন সেক্ষেত্রে রায়ের কপি সংগ্রহ করতে পারবেন না। সপ্তম প্রশ্নের উত্তরঃ- আপনাকে যদি দেশে পাঠানো হয় তাহলে বলবেন আমার নামে ওয়ারেন্ট জারি থাকায় আমাকে গ্রেপ্তার করে শাস্তি দেওয়া হবে। কখনো আওয়ামি সন্ত্রাসী বা মৌলবাদীদের কথা বলবেন না কারণ ফরাসী বিচারকরা মনে করেন এরা শুধু আপনার এলাকায় আপনাকে ঝামেলা করবে তাই তারা মনে করবে যে আপনি সন্ত্রাসী/মৌলবাদী দ্বারা সমস্যায় পড়লে অন্য এলাকায় এসে জীবন বাচাতে পারেন এক্ষেত্রে দেশ থেকে পলায়ন করার ব্যাপারটি গ্রহণযোগ্য নয়। আশা করি উপরোক্ত তথ্যাদি উপকারে আসবে। কোন ভুল থাকলে আপনাদের সহযোগিতা এবং সংশোধন কামনা করছি। JULY 1 গ্রুপের সবাইলে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানায়। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমাদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের ক্ষেত্রে যে ফৌজদারি মামলা গুলো উল্লেখ করি সেটা দায়ের করার পর থেকে ২/৩ বসরের মধ্যে তার রায় দেখাই। বিচারকরা প্রশ্ন করলে বলি যে "দ্রুত বিচার আইনের আওতায় বিচার" হয়েছে। আসলে এটা কি সম্ভব যে আমাদের মামলা চাইলেই সরকারী পক্ষ দ্রুত বিচারের আওতায় আনবে বা তাদের প্রয়োজন আছে। এক্ষেত্রে অনেক বিচারক প্রটোকলের সময় বলে ফেলেন যে আপনার মামলাটি একটু হাস্যকর বা অদ্ভুদ লাগছে আমাদের কাছে। আসুন জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি দ্রুত বিচার আইন কি আর কোন ক্ষেত্রে এই আওয়াতায় আসামী পড়তে পারে। দ্রুত বিচার আইনঃ- সাধারণত কোন অপরাধ সংঘটিত হলে যদি সেই ক্ষেত্রে মোক্ষম প্রমান থাকে যাতে বোঝা যায় যে অপরাধী উল্লেখিত অপরাধের সাথে সরাসরি যুক্ত তখন সরকার পক্ষ চান যে মামলার দ্রুত নিস্পত্তির মাধ্যমে অপরাধির সাজা হওক এবং রাষ্ট্র ও জনগণ সন্তুষ্ট থাকুক বিচার সেক্ষেত্রে আসামীকে দ্রুত বিচারের আইনে আনা হয়। যেমন রিফাত/ বিশ্বজিৎ/ রাজন হত্যার সাথে কারা জড়িত এর অকাট্য প্রমান আছে তাই সরাসরি এদের রায় দেওয়া সহজ তাই এদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হয় যাতে সরকার কোন ধরণের চাপে না থাকে। এখানে রাষ্ট্র/জনগণ যেহেতু সরাসরি বিচারের আওতায় দেখতে চায় এবং তাদের ন্যায্য শাস্তি দাবী করে তাই সরকার জনগণ ও রাষ্ট্রের চাহিদা মোতাবেগ দ্রুত আইনে আসামীদের বিচার কাজ সম্পন্ন করেন। সুতরাং বুঝতে পারছেন যে আপনি যদি নিজেকে দ্রুত বিচারের আইনে এনে রায় দেখাতে চান তাহলে আপনি নিজেকে বাস্তবে একজন অপরাধী বলে বোঝাতে চাচ্ছেন এবং আপনি যে কোন গুরুতর অপরাধের কারণে দেশত্যাগ করেছেন আর আপনার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের অনেক জলন্ত প্রমান আছে তাই আপনার দ্রুত বিচার আইনে বিচার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। আপনিতো শুরু থেকে দাবী করে আসছেন যে আপনার নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছেতো কেন রাষ্ট্র আপনাকে দ্রুত বিচার আইনে আনতে যাবে? আর যদি আপনি দ্রুত বিচার আইনে আসতে চান তার মানে বোঝাতে চাচ্ছেন যে আপনি আসলেই একজন অপরাধী আর রাষ্ট্র পক্ষের কাছে আপনার বিরুদ্ধে মোক্ষম প্রমান রয়েছে তাহলে কেন এক দাগি অপরাধীকে ফরাসী সরকার আশ্রয় দিয়ে নিজেদের সর্বনাশ করবে?আপনি "দ্রুত আইনে বিচারের" কথা বলে নিজেইতো অজান্তে বলে ফেলতেছেন আপনি আসল অপরাধী। রাষ্ট্রপক্ষ শুধু চাইবে আপনি রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশ না নিতে পারেন তাই আপনাকে মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে দেয় এর ফলে যেন আপনি পলাতক/ জেলে বন্দী থাকেন। বাংলাদেশে হাইপ্রোফাইলদের বিচার করতে (জিয়া অরফানেজ/ ২১ শে আগস্ট) মামলার বিচার কাজ সম্পন্ন করতে ৮/৯ বসর লেগেছে আর আপনার বিরুদ্ধে কোন প্রমান নেই(মিথ্যা মামলা দাবী করছেন) তার কাজ কিভাবে ২/৩ বসরে শেষ হবে? বাংলাদেশে আইন বিশেষজ্ঞরা বলেন যে পরিমাণ ফৌজদারী মামলা অমীমাংসিত রয়েছে তা সম্পন্ন কোর্টে প্রায় ২০৫০ সাল লেগে যাবে আর এতো প্রেসারের মধ্যে আপনার কেস কিভাবে সরকার শেষ করতে পারবে? বাংলাদেশে একটা ফৌজদারি মামলা দায়ের করার পর ৪/৫ বসর লেগে যায় শুধু চার্জশিট দাখিল করতে এরপর আবার দায়রা জজ আদালতে আরও ২/৩ বসর লেগে যায় এরমানে সবমিলিয়ে একটা বিচার কাজ শেষ হতে ৬/৭ বসর লেগে যায়। পরিশেষে এইটুকু বলতে চাই যদি আপনি কেসে উল্লেখ করেন আপনার নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে তাহলে আপনি দ্রুত বিচার দেখালে আপনি কোন লাভ পাবেন না বরং নিজেকে অপরাধী প্রমান করছেন যে আপনি আসলেই অপরাধ করেছেন আর রাষ্ট্রপক্ষের কাছে আপনার বিরুদ্ধে তরতাজা প্রমান আছে যেটা প্রমান করবে আপনি আসলেই অপরাধী। JULY 4 গ্রুপের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।আশা করি সবাই ভালো আছেন।আজকে যে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবো সেটা অফরা/কমিশনে বেশি জিজ্ঞেস করা হয়ে থাকে। জেলখানায় বন্দী থাকা অবস্থায় কেমন জীবনযাপন করেছেন বা আপনি আপনার বন্দীদশার বর্ণনা করুন।যে প্রশ্নগুলো বিচারকরা বেশি জিজ্ঞেস করেন সেগুলো হল- ১) আপনার দৈনিক জীবনযাপন বর্ণনা করুন? ২) আপনার বিশেষ/কষ্টের মুহূর্তগুলো বর্ণনা করুন? ৩) আত্মীয় স্বজনদের সাক্ষাতের প্রক্রিয়া বর্ণনা করুন? ৪) কারারক্ষীদের সাথে কেমন সম্পর্ক ছিল? ৫) জেলখানার প্রথম দিনের বর্ণনা? প্রথম প্রশ্নের উত্তরঃ- আমারা সাধারণত যে বন্দীদশার বর্ণনা দিয়ে থাকি সেটা হল গ্রেপ্তার করার পর থেকে জামিন পাওয়ার আগ পর্যন্ত যেটাকে হাজতবাস বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে। অনেকে গুলিয়ে ফেলেন এবং বলেন যে আমি কয়েদি ছিলাম যেটা আক্ষরিক অর্থে মারাত্মক ভুল।আপনি যখন হাজতবাসী থাকবেন তখন আপনার কোনভাবেই কয়েদীর পোশাক পরবেন না। আপনাকে পরিবার/আত্মীয়স্বজনরা দেখা সাক্ষাতের সময় যে পোশাক আশাক দিবেন সেগুলো পরিধান করবেন।যাদের রায় দেওয়া হয়ে যায় তারা শুধু কয়েদিদের পোশাক পরিধান করে থাকে।আপনি সহজে দৈনিক জীবন যাপনের বর্ণনা করতে পারেন। ১) আমার কেন্দ্রীয়/জেলা(কারাগারের নাম) কারাগারটি অমুক জায়গায় অবস্থিত(স্থানের নাম)। আপনি আপনার জেলখানর ওয়ার্ডের নাম উল্লেখ করবেন। আমাদের ওয়ার্ডে ১৮/২০ বা ৩৫/৪০ জন ৪৮/৫০ জন কারাবন্দী ছিলেন।অনেকে ৩০০/৪০০ বলেন এক ওয়ার্ডে যেটা বেশ হাস্যকর শোনায়।তাই একটা বিশ্বাসযোগ্য সংখ্যা বলার চেষ্টা করবেন। ২) আমাদের ওয়ার্ডের প্রধানকে মেট বলতাম এবং তার সহযোগীকে রাইটার বলতাম।তারা দুইজন ছিল কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামী।তাদের কয়েদি নাম্বার অনেক সময় বিচারক জিজ্ঞেস করতে পারেন। ৩) আমাদের তিনটি কম্বল একটি থালা,একটি বাটি ও একটি গ্লাস দেওয়া হতো। ৪) আমাদের প্রতিদিন ভোর ৫.০০ টায় তিনটি ঘণ্টা বাজিয়ে ঘুম থেকে মেট ডেকে তুলতেন। সকাল ৬.০০ টার দিকে সকালের নাস্তা, দুপুর ১১.০০ টার দিকে দুপুরের খাবার এবং বিকাল ৫.০০ টার দিকে রাতের খাবার দেওয়া হতো। খাবার শেষে পুনরায় হাজতিদের গুনে ওয়ার্ডের তালা লক করে দেওয়া হত। ৫)আমাদের সকালের খাবারে দুটো রুটি এবং আখের গুড় দেওয়া হতো(বর্তমানে সবজি/হালুয়া),দুপুরের খাবারে থাকতো সাধারণত ভাত,ডাল এবং সবজি রাতের খাবারে থাকতো ভাত,ডাল এবং মাছ/ছাগলের মাংস। বসরের বিশেষ দিনগুলোতে বিশেষ আইটেম থাকতে পারে। ৬) অবসর সময়ে সাধারণত তাস,দাবা,লুডু খেলে এবং প্রোডাকশন সেক্টরে ঘোরাঘুরি করে সময় পার করতাম। সেখানকার কাজগুলো সম্পর্কে নিম্নে দেওয়া ভিডিওটি দেখুন। দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরঃ- কষ্টের মুহূর্তগুলো বলতে সাধারণত বোঝায় সেগুলো হল- ১) ওয়ার্ডের পরিধি অনেক কম থাকায় এবং লোকজন বেশি থাকায় অনেক কষ্ট করে ঘুমাতে হতো। ঘুমানোর সময় একজন আরেক জনের গায়ে পা তুলে দিত এবং নাক ডাকার শব্দে ঘুমানো যেত না। ২) বাথরুম ওপেন থাকায় এবং বায়ু চলাচলের ভালো সুবিধা না থাকার কারণে সর্বদা দুর্গন্ধ বিরাজ করত। ৩) খাবার খুব নিম্নমানের এবং অস্বাস্থ্যকর হওয়ায় খেতে খুব কষ্ট হতো। ৪) মেট আমাদের সপ্তাহে ১/২ দিন সারারাত জাগিয়ে রাখতো পাহারা দেয়াওর জন্য।সবাইকে করাত একথা কখনো বলবেন না বলবেন যে বেশিরভাগ হাজতিকে জোড়পূর্বক এই কাজ করত। নিয়ম হচ্ছে মেট রাতে জেগে হাজতিদের পাহারা দিবে আর দিনের বেলা সে ঘুমাবে। ৫) বাথরুম এবং ওয়ার্ডের মেঝে আমাদের দিয়ে পরিস্কার করাতো।( নিয়ম হচ্ছে সবার পরিস্কার করার দায়িত্ব তবে মেট আমাদের কয়েকজনকে দিয়ে শুধু করাতো)। তৃতীয় প্রশ্নের উত্তরঃ- আপনারা যেহেতু সবাই হাজতি হিসেবে কারাভোগ করেছেন তাই পরিচিত লোকজন প্রতি সপ্তাহে একবার( সকাল ৯.০০-বিকাল ৫.০০) মধ্যে সাক্ষাৎ করতে পারবে। নির্দিষ্ট রুমে বড় জানালা/গ্রিল দিয়ে সাক্ষাৎ/কথাবার্তা বলতে পারবেন। তাদের দেখা করার জন্য টিকেট কিনতে হবে যার মূল্য ২০০/২৫০/৩০০ টাকা (জেল ভেদে বিভিন্ন দামের)। তারা সাধারণত ৩০ মিনিট কথা বলতে পারবেন তবে বিশেষ ক্ষেত্রে সময় বেশি বা কম হতে পারে। আপনাদের যে টাকা দেওয়া হবে সেটা কখনই ক্যাশ দেওয়া হবে না। এটাকে মানি স্লিপ বা পিসি আকারে আপনাদের হাতে দেওয়া হবে। কারা ক্যান্টিনে কেনার সময় দ্রব্যাদির মূল্য সেখানে লিখে রাখা হবে। চতুর্থ প্রশ্নের উত্তরঃ- সাধারণত কারারক্ষীদের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকে না। অনেকে বলে থাকেন যে রিমান্ডে নিয়ে মারধর করেছে ইত্যাদি তবে যদি আপনার শরীরে যদি কোন কাটা ছেড়ার দাগ না থাকে তবে এই কথাগুলো না বলা উত্তম। অতিরঞ্জিত করতে গিয়ে ঝামেলা বেশি হবে কারণ রিমান্ডে নিলে বাংলাদেশে যেভাবে টর্চার করে সেটার চিহ্ন শরীরে অনেক দিন থাকে তাই রিমান্ডের বিষয়ে বলতে গেলে সতর্কতা অবলম্বন করুন। তবে নিম্নের বিস্ময়গুলো বললে আশা করি সমস্যা হবে না। ১) আমাদের আত্মীয় স্বজনদের সাথে অনেক কম সময় কথা বলতে দিত (৩০ মিনিটের পরিবর্তে ১০/১৫ মিনিট)। টিকিটের দাম নির্ধারিত দাম থেকে অনেক বেশি রাখতো তবে সব সময় না। ২) আমাদের পিসি বা মানি স্লিপের মাধ্যমে যে টাকা দেওয়া হতো টার অর্ধেক পেতাম। মসজিদ বা কারাগার উন্নয়নের নাম করে অনেক টাকা আত্মসাৎ করত। ৩) মেট আমাদের জাগিয়ে রেখে অনৈতিকভাবে কষ্ট দিত কিন্তু কারা করতিপক্ষকে অভিযোগ দিলে কোন ব্যবস্থা নিত না। পঞ্চম প্রশ্নের উত্তরঃ- কারাগারের প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে অনেক সময় জিজ্ঞেস করা হয় তাই নিচের ভিডিওটা দেখলে অনেক সহজ হবে। জেলখানার ভিডিওসমুহ দেখার জন্য পেজ ও গ্রুপ দেখুনঃ JULY 6 গ্রুপের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজ কিছু বিষয় আলোচনা করার চেষ্টা করবো যেটার দ্বারা আমাদের ত্রুটি সংশোধনের ক্ষেত্রে অনেকাংশে কাজে আসবে বলে আশা করছি।বিষয়গুলো হল-- ১) অস্ত্র মামলা একটি জামিন অযোগ্য অপরাধ হওয়া সত্ত্বেও কিভাবে আপনার উকিল আপনার জামিন মঞ্জুর করাতে সক্ষম হলেন? ২) ফ্রান্সে কেন আসলেন? ৩) আপনার কেসের বর্তমান অবস্থা কি এবং কিভাবে খবরা খবর পেয়েছেন? ৪) কখন আপনি সিদ্ধান্ত নিলেন দেশ ত্যাগ করবেন? ৫) পরিশেষে আপনার কিছু বলার আছে? প্রথম প্রশ্নের উত্তরঃ- আমাদের বাংলাদেশীদের মামলাগুলোতে অস্ত্র মামলা একটি অতি সাধারণ ফৌজদারি মামলা। অফরা/কমিশনে যখন জিজ্ঞেস করা হয় এটা বাংলাদেশের আইনে জামিন অযোগ্য অপরাধতো কিভাবে পেলেন। সাধারণত আমরা উত্তর করি যে উকিলকে ঘুষ দিয়েছিলাম,তিনি জাজকে টাকা খাইয়ে জামিন করে দিয়েছেন বা বলে থাকেন শুধু উকিলকে টাকা দিয়েছিলাম তিনি কিভাবে করেছেন জানি না। যদি সরকারী দলের কেউ আপনাকে অস্ত্র মামলায় ফাসায়তো জাজ কিভাবে ঘুষ খেয়ে আপনাকে জামিন দিবে? জামিন দিলে জাজকে কি সরকারী দল এমনিতেই ছেড়ে দেবে? আর যদি ঘুষ দিয়েই যদি জামিন হয় তাহলে আরও বেশি টাকা খরচ করেতো আমরা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা স্কোয়াশ করে দিয়ে আরামচে দেশে অবস্থান করতে পারতাম। আপনি যদি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে কোন ফৌজদারি মামলার আসামী হয়ে থাকেন তাহলে ঘুষের কথা না বলাটাই উত্তম। যাহোক কিভাবে উপস্থাপন করা যায় সেই আলোচনা করি- ১) আমার মামলাটি জামিন অযোগ্য অপরাধ বা Non bailable offense হলেও আদালত তার ডিসক্রিসনারি পাওয়ারের/Discretionary power মাধ্যমে আমাকে জামিন দিয়েছে (আদালতের নিয়ম হচ্ছে কোন ব্যাক্তি ততক্ষন পর্যন্ত নির্দোষ যতক্ষণ না পর্যন্ত তাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়)। আমার উকিল জামিনের শুনানিতে প্রমান করতে সক্ষম হয়েছেন যে আমার বাড়িতে/দোকানে বা অন্যত্র স্থানে যে অস্ত্র পেয়েছে সেখানে অনেক লোকের যাতায়াত হত। তাছাড়া কোর্ট যে ব্যালেসটিক রিপোর্ট/Ballistic report পেয়েছে সেটায় আমার কোন আঙ্গুলের ছাপ নেই। বাংলাদেশে এই রিপোর্ট করা অতিসহজ এখন তাই অফরা/কমিশন সহজে মেনে নিবে। আমার যদি অস্ত্র হয়েই থাকেতো আমার অবশ্যই আঙ্গুলের ছাপ থাকবে। যেহেতু এই অস্ত্র কেউ লুকিয়ে এখানে রেখেছে আমাকে ফাঁসানোর জন্য তাই আমার অস্ত্রের গায়ে আমার কোন সংস্পর্শ নেই। ২) আমার বিরুদ্ধে আগে কোন মামলা বা অভিযোগ নেই( যদি এটি আপনার প্রথম মামলা হয়ে থাকে)। যদি দুই বা ততোধিক মামলা থাকে তাহলে বলবেন যে আমার অন্য মামলাগুলোর জামিনের শর্তগুলো পুরোপুরি মেনে চলি। ৩) আমার এই মামলায় যারা সাক্ষী আছে তাদের সাথে কোন প্রকার শত্রুতা ছিল না এবং আমি জামিনের শর্ত মোতাবেগ আমি তাদের কোন প্রকার সমস্যা বা ক্ষতির সম্মুখীন করবো না। ৪) আমার পারিবারিক বৃত্তান্ত অনুযায়ী আমি নিয়মিত কোর্টে হাজিরা দিতে পারবো আর আগে মামলা থেকে থাকলে বলবেন যে বিচারক খতিয়ে দেখেন আমার চলমান মামলার জামিনের হাজিরাতে আমি নিয়মিত থাকায় বিচারক আমাকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরঃ- আমি ফ্রান্সে কেন আসলাম সে ক্ষেত্রে তার উত্তর যদি বলে থাকি মানবতাবাদী দেশ তাই এসেছি। বিচারক মনে মনে হাসবেন বা সরাসরি প্রশ্ন করে বসতে পারেন যে ইটালি, পর্তুগাল,স্পেনতো আরও বেশি মানবতাবাদী তাহলে এখানে কেন?যদি মানবতাবাদী কথাটি উল্লেখ করেন তাহলে বিচারক মনে করবেন আপনি অন্য কোন ফয়দা নিতেই ফ্রান্সে এসেছেন তা নাহলে অন্য রাষ্ট্রেেই যেতেন। কেসে আমরা উল্লেখ করি আমার পারিবারিক অবস্থা ভালো তাহলে রাজনৈতিক আশ্রয় পেতে কেন শুধু ফ্রান্স? ইটালি,পর্তুগাল,স্পেনও রাজনৈতিক আশ্রয় দেয় আর আপনার শুধু ইউরোপের কোন দেশে আশ্রয় পেলে হল। সুতরাং যদি এই প্রশ্ন করে তাহলে বলবেন আমি শুধু ফ্রান্সে এসেছি দালালের পরামর্শে।আমাকে দালাল শুধু বলেছিল ফ্রান্সে নিরাপদ থাকবেন আর আমার বিশ্বাস ছিল শুধু দালাল ইউরোপ সম্পর্কে জানে তাই আমাকে এই দেশে পাঠাচ্ছে। তৃতীয় প্রশ্নের উত্তরঃ এই প্রশ্নের উত্তরের ক্ষেত্রে বলে থাকেন যে বাবা/চাচা/বন্ধু/দলের নেতা আমাকে খবর জানায় কিন্তু কিভাবে ক্যামনে জানায় তা ব্যাখ্যা দিতে পারেন না। বলবেন যে উকিলের সাথে আপনার যোগাযোগ আছে আর তিনি জানান। আপনি উকিলের কথা বললে এটা নেগেটিভতো হবে না বরং বিচারক ভাববে আপনি মামলার খোজ খবর নিচ্ছেন। আপনার পূর্ণ অধিকার আছে উকিলের সাথে যোগাযোগ রাখার। আর শত্রুপক্ষ বা পুলিশ আপনার অবস্থান জানলেও কোন ক্ষতি নেই কারণ আপনাকে গ্রেপ্তার করিয়ে দেশে নিতে পারবে না।কেসের বর্তমান অবস্থা কি এটা জিজ্ঞেস করলে বলবেন কি অবস্থায় আছে। রায় দিলে শাস্তির কথা বলবেন আর চলমান থাকলে বলবেন এখন বিচারাধীন ( যদি মামলার চার্জশিট না জমা হয় তাহলে বলবেন জেলা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে বিচারাধীন আর সাক্ষী উপস্থাপনের কাজ চললে বলবেন জেলা দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন। উল্লেখ্য মামলায় রায় জেলা দায়রা জজ আদালত থেকে দেওয়া হয়)। চতুর্থ প্রশ্নের উত্তরঃ- আমরা সাধারণত দেশ ছাড়ার কারণ দেখাই হত্যা মামলার আসামী হয়ে আর বলি বাবা/ উকিল / শুভাকাঙ্ক্ষীদের পরামর্শে দেশ ছেড়েছি। এতো জটিল না করে বলবেন আমাকে দেশ ছাড়ার পূর্বে উকিল বলেন যে ক) আপনি একজন হত্যা মামলার আসামী আর বাদী হলেন সরকার পক্ষের ক্ষমতাবান লোক। যেহেতু আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আর বিচারবিভাগকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করছে। তাই আপনার পক্ষে ন্যায় বিচার পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। খ) দ্বিতীয়ত বলবেন যে হত্যা মামলায় কোন জামিন হয় না। তাই আপনি ধরা পড়লে বা আত্মসমর্পণ করলে আপনার জামিন হবে না এবংচরম কঠিন অবস্থায় পড়তে হবে। তবে মনে রাখবেন উকিল বলেছে দেশ ছাড়তে তবে কোন দেশে যেতে হবে সেটা কখনো বলেনি। শুধু বলেছিল জীবন বাঁচাতে হলে দেশে কোন ভাবেই অবস্থান কোর্টে পারবেন না। পঞ্চম প্রশ্নের উত্তরঃ- অফরাতে নিয়মিত এবং কমিশনে মাঝে মাঝে এই কথাটি জিজ্ঞেস করে তাই একটা ভালো উত্তর দিয়ে প্রোটোকল শেষ করতে পারলে অনেক লাভ। আপনি বলবেন যে- আমি দেশ ছেড়েছি শুধুমাত্র ফৌজদারী(হত্যা বা অন্য মামলা) মামলায় অভিযুক্ত হয়ে। যদি এটি কোন এলাকা ভিত্তিক সমস্যা হতো তাহলে অন্য এলাকায় গিয়ে জীবন রক্ষা করতাম কিংবা দেশে ন্যায় বিচার থাকলে আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধানের চেষ্টা করতাম। যেহেতু দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আমার বিপরীতে তাই আমি দেশে অবস্থান করতে অক্ষম। সুতরাং আমার সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানে মহামান্য বিচারকের সুবিবেচনা কামনা করছি। আশা করি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। যদি পোস্টে কোন ভুল থাকে সেটা সবিনয়ে সংশোধন করতে সাহায্য করুন আর কোন কিছু যোজন বা বিয়োজনের প্রয়োজন উপলব্ধি করলে সেটার দ্বারা পোস্টটাকে অনুগ্রহপূর্বক সমৃদ্ধশালী করুন।সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকবেন। JULY 7 গ্রুপের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজ একটু চেষ্টা করবো কমিশনে উকিল বাছাইয়ের বিষয়ে। আগেই বলে রাখি আমি কোন নির্দিষ্ট উকিলের পক্ষে কথা বলবো না বা কোন উকিলের হয়ে প্রচারণা করবো না।আমাদের লাভ হবে কিভাবে সেই বিষয়ে আলচনার চেষ্টা করব।আজকের আলোচ্য বিসয়ঃ- ১) সরকারী উকিল নিবো নাকি বেসরকারি উকিল নিবো? ২)নামকরা উকিল নিবো না রন্দেবু/সময় বেশি দেয় সেই উকিল নিবো? মূল প্রশ্নে জাওয়ার আগে জানার চেষ্টা করি উকিল কেন নিতে হবে। সোজা কথা করতে আমার হয়ে ওকালতি করবেন সেই জন্য। ওকালতি কেনই বা করবেন? আমার কেসটি পজিটিভ করার জন্য।কিভাবে আমার কেসটি পজিটিভ হতে পারে? নামকরা উকিল নিয়োগ করলাম আর প্রটোকলের দিন এসে আমার মুখ চিনলেন এবং প্রটোকলের শেষভাগে কিছু আগুন ঝরানো বক্তৃতা দিলেন আর ভাবলেন আপনার কেসটি পজিটিভ হয়ে যাচ্ছে। শুধুমাত্র যদি উকিলের শেষ কথাই সবকিছু হতো তাহলে ভালো উকিলদের সবগুল কেসের রেজাল্ট পজিটিভ হতো। মেক্সিমাম উকিলরাই প্রোটোকলের শেষ ভাগে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একই কথা বার্তা বলে থাকেন সুতরাং নামকরা উকিল হলেই আপনার ভালো রেজাল্ট হবে এটা মোটেও সত্য নয়। কমিশনে কেস পাওয়ার জন্য যে বিষয়গুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেগুলো হলঃ- ১) কেস প্রেজেন্টেশন বা কেস উপস্থাপনা। ২) ভালো বিচারকের হাতে বিচারের ভার পড়া। ৩) প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট উপস্থাপন করা।( না করলেও ক্ষতি নেই সেক্ষেত্রে আপনার উপস্থাপনা আরও বেশি শক্তিশালী হতে হবে।ডকুমেন্ট থাকলে আপনার প্রশ্নের মুখমুখি কম হতে হবে কারণ ডকুমেন্ট অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম) প্রথম প্রশ্নের উত্তরঃ- আপনার এই তিনটি বিষয়ে যে উকিল বেশি গুরুত্ব দিবে তাকেই আপনি পছন্দ করবেন। আর এই জন্য উকিলের কাছে শুরু থেকে আপনার বেশি বেশি শরণাপন্ন হতে হবে। কেসের কয়েকদিন আগে যদি উকিল ২/১ টা রন্দেবু দিয়ে একটু জোড়াতালি দিয়ে দেন তাতে ভাগ্য সহায় না হলে আপনার রেজাল্ট পজিটিভ হবে না।ভালো উকিলের কাজ হচ্ছে আপনার কেসটা ভালোকরে পড়বেন এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো যা অফরাতে সমস্যার সম্মুখীন করেছে সেগুলো সংশোধন করে দিবেন এবং কমিশনে আরও ভালো করে উপস্থাপন করতে পারেন সেই নির্দেশনা দিবেন। তাহলে আপনার কেসে কি ভুল আছে বা আপনার কি ঘাটতি আছে সেটা চিহ্নিত করতে সহজ হবে। তাছাড়া আপনার কি ডকুমেন্ট লাগবে বা দিলে কেসটি আরও জটিল/সহজ হবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত ধারনা দিবেন। কমিশনে দেখেছি অনেক ক্লায়েন্ট ওয়ারেন্ট দিলেও উকিল সেটা তার ক্লায়েন্টদের জমা দিতে বারন করেন না এবং উকিলের বক্তৃতার সময় বলে দেন যে দেশে উকিলকে ঘুষ দিয়ে ওয়ারেন্ট সংগ্রহ করেছে। তাছাড়া উকিলরা ভালো করে জানেন যে আমাদের জমা দেওয়া কেসের কাগজ ৯৯% ক্ষেত্রে ভুয়া বলেও বিবেচিত তারপর আমরা জমা দেই আর উকিলও তেমন বাঁধা দেন না। এখন যদি আপনি সরকারী উকিল নিয়োগ দেন তাহলে আপনার কেস নিয়ে তার মাথা ব্যাথা কম থাকবে তাই ভালো ফলাফল পাওয়া শুধু ভাগ্যের ব্যাপার যদি জজ দয়ালু হয়ে থাকেন। যদি আপনি কেস পেতে চান তবে বেসরকারি উকিল নিয়োগ করা বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ আপনি সিওর নন যে সরকারী উকিল আপনার ভালো হবে এবং পর্যাপ্ত গাইড দিবেন। সরকারী এবং বেসরকারি উকিলের তর্কে বেসরকারি উকিলের কাছ থেকে বেনিফিট পাওয়ার সুযোগ ও সম্ভাবনা অনেক বেশি সতরাং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বেসরকারি উকিল সরকারী উকিলের তুলনায় শ্রেয়। দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরঃ- বেসরকারি উকিলের মধ্যে ও আবার ভেদাভেদ আছে। কিছু উকিল মক্কেলের কেস হাতে নেওয়ার পর থেকে পর্যাপ্ত রন্দেবু/পরামর্শ দিয়ে থাকেন আর কিছু উকিল আছে আগে ভালো সার্ভিস দিয়েছেন সেই জন্য প্রচুর নাম কামিয়েছেন ফলে নামের জোরে সেবা দিয়ে থাকেন। মক্কেলদের রন্দেবু দিয়ে থাকেন প্রোটোকলের কয়েক দিন আগে যেখানে তারা যেসব ভুল গুলো তুলে ধরেন মক্কেলের সেগুলো মেরামত করার মত যথেষ্ট সময় থাকে না তাই মক্কেল বিপাকে পড়ে যান। ওনাদের সাধারণত ব্যাস্ত উকিল বলে থাকে সবাই। আগেই বলেছি আপনার কেস যতই ভালো হওক না কেন যদি বিচারক খারাপ (বর্ণবাদী) হয়ে থাকে তাহলে আপনার সর্বনাশ হওয়া খুবই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে ব্যাস্ত উকিলরা তাদের হাতে প্রচুর কেস ফাইল থাকায় যেকোনো বিচারকের সামনে মক্কেলকে দাড় করিয়ে দেন। আপনার কেস নেগেটিভ আসলেও উকিলের কোন ক্ষতি নেই কিন্তু মক্কেলেরতো বিশাল/অপূরণীয় ক্ষতি হবে। এক্ষেত্রে ভালো উকিলগুলো সাধারনত মক্কেলের কমিশনে শুনানির ডাক আসলে আগে বিচারক কেমন হবেন সেটা নির্ণয় করেন তারপর ভালো বিচারক হলে প্রোটোকল ফেস করেন নতুবা তারিখ পিছিয়ে দিয়ে থাকেন। আপনি যখন বেসরকারি উকিলের কাছে টাকা খরচ করবেন তো আপনার কষ্টের টাকাটার যেন সদ্ব্যবহার হয় সেটাই আমাদের কাম্য।আমি নিজেই যত পোস্ট করেছি এইসব অর্জন যদি আপনার কাছে গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয় তাহলে তার পিছনে রয়েছে নিয়মিত পড়াশোনা/উকিলের প্রচুর সহযোগিতা এবং কমিশনে প্রচুর আসা যাওয়া। সব মিলিয়ে চেষ্টা করলে আশা করি আল্লাহ আমার আপনার সহায় হবেন। পরিশেষে বলতে চাই আজকের পোস্টটা অনেকের কাছে খারাপ লাগতে পারে যারা সরকারী উকিলের পক্ষে বিশেষ করে। সেক্ষেত্রে আমাকে ক্ষমা করবেন কারণ আমি শুধু আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা শেয়ার করার চেষ্টা করেছি মাত্র। সবাই ভালো থাকবেন। JULY 7 গ্রুপের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। আশা করি সবাই ভালো আছেন। এক ভাই আমাকে ইনবক্সে তার কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। তার প্রশ্নগুলো বিএনপি এবং ছাত্রদল নিয়ে তাই এমন অনেকে আছেন একই প্রশ্নের সম্মুখীন। আমাদের এমন প্রশ্নের মোটামুটি কমন উত্তর দিলে চলবে তাই আমি এগুলোকে পোস্টে উল্লেখ করার চেষ্টা করবো। তার আগে সেই ভাইকে ধন্যবাদ জানাই এই প্রশ্নগুলো করার জন্য। প্রশ্নগুলো হলঃ- ১) ছাত্রদলে কেন যোগ দিয়েছিলেন? ২) কেন আপনি রাজনীতিতে যোগ দিলেন বা কে আপনাকে উৎসাহিত করেছে? ৩) বিএনপিরতো অনেকগুলো সংগঠন আছে তবে কেন ছাত্রদলে যোগ দিলেন? ৪) ছাত্রদলের সাধারণ সদস্য থাকাকালীন কি কি কাজ করতেন? ৫) কিভাবে ছাত্রদলে যোগ দিলেন? যোগদানের প্রক্রিয়াটি বর্ণনা করুন? ৬) কেন ছাত্রদল কমিটি আপনাকে প্রচার সম্পাদক নির্বাচন করে? ৭) আপনি কিভাবে সাধারণ সম্পাদকের পদ পেলেন? ৮) সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কি কি দায়িত্ব পালন করেন? প্রথম প্রশ্নের উত্তরঃ- ছাত্রদলে আমি যোগ দিয়েছিলাম কারণ ছাত্রদল বিএনপির প্রধান সহযোগী সংগঠন এবং বিএনপির সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রধান ভূমিকা পালন করে। আমার সর্বদা বিএনপির হয়ে রাজনীতি করার প্রবল ইচ্ছা ছিল তাই আমি ছাত্রদলে যোগ দিয়েছিলাম নিজেকে একজন ভালো রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য। দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরঃ আমার বিএনপিতে যোগদানের কারণগুলো হচ্ছেঃ- ১) আমার পরিবার অনেক আগে থেকেই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তারা মানুষকে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ এবং গনতন্ত্রের প্রতি আহব্বান জানাতেন। ২) আমার শৈশব/ কৈশোর কেটেছে বিএনপির উন্নয়ন দেখতে দেখতে তাই আমি বিএনপির প্রতি প্রভাবিত হয়ে পড়ি। যদি আপনার জন্ম ৮০র দশকে হয়ে থাকে তাহলে (১৯৯১-১৯৯৬) বলবেন আর যদি ৯০র দশকে হয়ে থাকে তাহলে (২০০১-২০০৬) বলবেন। ( যদি বিচারক জিজ্ঞেস করেন কি কি উন্নয়ন তখন বলতে পারেনঃ- ১) খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা এবং দ্রব্যমূল্যের স্থিতিশীলতা। ২) জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমন( ২০০১-২০০৬)। ৩) মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ। ৪) পরীক্ষার নকল ও প্রশ্নফাস বন্ধ( শিক্ষাখাতে উন্নয়ন)। ৫) খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ। ৬) পরিবেশ দূষণ রোধ( ২০০১-২০০৬) যেমন পলিথিন নিষিদ্ধকরণ, পরিবেশবান্ধব CNG প্রচলন ইত্যাদি। ৩) বিএনপির মুল আদর্শগুলো দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ( যদি পরিবারের সদস্যরা আগে থেকে অন্য রাজনৈতিক দল সমর্থন করে থাকেন সেক্ষেত্রে ১ নম্বর পয়েন্ট বাদ দিবেন)।যদি বিচারক জানতে চান বিএনপির মূলনীতিগুলো কি তাহলে বলতে হবেঃ- ১) সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ্‌র উপর বিশ্বাস। ২) বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ। ৩) গনতন্ত্র ও ৪) মুক্তবাজার অর্থনীতি বা Market liberalism. তৃতীয় প্রশ্নের উত্তরঃ ছাত্রদল বিএনপির সহযোগী সংগঠন এবং নিজেকে পরিপূর্ণ রাজনীতিবিদ হিসেবে গড়ে তোলার সবচেয়ে উত্তম মাধ্যম। তাছাড়া আমার বয়স অনুযায়ী আমি শুধু ছাত্ররাজনীতি করার অনুমতি ছিল আর যেহেতু আমি বিএনপিকে সমর্থন করি তাই ছাত্রদলে যোগ দিয়েছিলাম। চতুর্থ প্রশ্নের উত্তরঃ- ছাত্রদলের সাধারণ সদস্য হিসেবে যেসব কাজ করেছিলামঃ- ১) কলেজের ছাত্রছাত্রীদেরকে পড়ালেখার পাশাপাশি ছাত্ররাজনীতিতে উৎসাহিত করতাম। ২) প্রচার সম্পাদককে প্রচারণার কাজে সহযোগিতা করতাম। ৩) দপ্তর সম্পাদককে দাপ্তরিক কাজে সহযোগিতা করতাম। ৪) মিটিং,মিছিল,সভা,ক্রিয়া অনুষ্ঠান আয়োজন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সাংগঠনিক সম্পাদক ও ক্রিয়া সম্পাদককে সহযোগিতা করতাম।( যদি বিচারক জিজ্ঞেস করেন কার আদেশে করতেন এইসব কাজ তখন বলবেন সাধারণ সম্পাদকের আদেশে)। পঞ্চম প্রশ্নের উত্তরঃ- ছাত্রদলের যোগদানের নিয়ম হচ্ছে প্রথমে আপনাকে ছাত্রদল অফিস থেকে ৫+৫=১০ টাকা দিয়ে দুটো ফরম কিনতে হবে এবং পুরন করে পুনরায় ছাত্রদলের অফিসে জমা দিতে হবে।( আপনাকে অবশ্যই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হবে)। এরপর একটি ফরম ছাত্রদল অফিস থেকে এবং আরেকটি ফরম উপরস্থ বিএনপি কমিটি থেকে অনুমোদন করাতে হবে। তাহলে আপনি সাধারণ সদস্য হিসেবে যোগ দান করতে পারবেন। যদি আপনি উপজেলা/থানা পর্যায়ে ছাত্রদলে যোগ দেন তাহলে উপজেলা বিএনপি কমিটি অনুমোদন দিবে আর শহর বা জেলা পর্যায়ে ছাত্রদলে যোগদানের ক্ষেত্রে জেলা বিএনপি দল অনুমোদন দিবে।জাতীয় পর্যায়ে ছাত্রদলের ক্ষেত্রে জাতীয় নির্বাহী বিএনপি কমিটি অনুমোদন দিবে (এই অনুমোদন এক বসরের মেয়াদে হবে এবং প্রতি বসর ৫ টাকা হারে সদস্যপদ পুনরায় নবায়ন করতে হবে)। ষষ্ঠ প্রশ্নের উত্তরঃ- কিভাবে আমাকে প্রচার সম্পাদক করা হল। আগেই বলে রাখি বিএনপিতে পদ নির্ধারণ করা মনোনয়নের মাধ্যমে কোন ইলেকশন হয় না। আমি সাধারণ সদস্য থাকাকালীন প্রচারণার কাজ বেশি করতাম যেমন বিএনপির ও ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, জিয়াউর রহমানের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী,খালেদা জিয়ার জন্মবার্ষিকী, স্বাধীনতা দিবস,শহীদ দিবস,বিজয় দিবস,গনতন্র মুক্তিপাক দিবস,বিপ্লব ও সংহতি দিবস,মে দিবস উপলক্ষে বিএনপির অফিসে বা আমাদের কলেজ মাঠে যে জনসমাবেশ আয়োজন করা হতো এবং সেখানে সাধারণ নেতাকর্মী থেকে শুরু করে জনগনকে আমন্ত্রন জানানোর জন্য যেসব পোস্টার,ব্যানার,লিফলেট ইত্যাদি ছাপানো হতো সেগুলো এলাকাব্যাপী প্রচারণার কাজ করতাম। তাছাড়া ফেসবুকের মাধ্যমে প্প্রচারনার কাজ করতাম। সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব যেমন সাংবাদিক, শিক্ষক, ব্যবসায়ীদের জন্য যে ইনভিটেশন কার্ড ছাপানো হতো সেগুলো বিলি করতে হতো। তাছাড়া রোজা ও কুরবানির ঈদ, বড়দিন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে এলাকায় নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছাবাণী পোস্টার, ব্যানার আকারে ছাপানো হতো সেগুলো প্রচার করতাম। এসব ক্ষেত্রে কর্মতৎপর থাকায় কমিটি আমার উপর সন্তুষ্ট ছিল আর যখন প্রচার সম্পাদকের পদ খালি হয় তখন আমাকে এই পদে সভাপতি মনোনীত করেন। সপ্তম প্রশ্নের উত্তরঃ- আমি যখন প্রচার সম্পাদক ছিলাম আমি প্রচারণার পাশাপাশি সাধারণ সম্পাদককে তার কাজে অনেক সহযোগিতা করতাম এর ফলে আমার তার কার্যকলাপ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা জমতে থাকে। যখন সাধারণ সম্পাদকের পদ খালি হয়ে যায় তখন আমার কর্মতৎপরতা এবং ঐ পদ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা থাকায় কমিটির সভাপতি আমাকে সাধারণ সম্পাদকের পদে মনোনীত করেন। অষ্টম প্রশ্নের উত্তরঃ- সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমার দুই ধরণের কাজ করতে হতো যথাঃ- ১) অফিসিয়াল কাজ। ২) পলিটিকাল কাজ। অফিসিয়াল কাজের বর্ণনাঃ- ১) নতুন সদস্য গ্রহণ বা কর্মীদের পদ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তাদের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, পরিস্থিতি পারিপারশিক অবস্থা যাচাই বাচাই করে তার রিপোর্ট সভাপতির কাছে প্রেরণ করতাম এবং তার নির্দেশ মত তার স্বাক্ষরের সাথে স্বাক্ষর দিয়ে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপরস্থ বিএনপি কার্যালয়ে পাঠাতাম। ২) যে কোন প্রেস কনফারেঞ্ছ, প্রকাশনা, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ক্ষেত্রে সভাপতির সাথে আমাকে স্বাক্ষর দিতে হতো। ৩) সভাপতি ও কোষাদক্ষকে নিয়ে ব্যাঙ্কের হিসাব কাজ পরিচালনা করতে হতো। ৪) দপ্তর সম্পাদকের মাধ্যমে দাপ্তরিক কাজ সম্পাদন করতে হতো। ৫) বিভিন্ন দলিল দস্তাবেজ ও ভাউচার অনুমোদন ও সংরক্ষন করতে হতো। জেমনঃ- 1) Official rent voucher. 2) Office maintenance voucher. ৬) প্রতি দুই মাস অন্তর ছাত্রদলের অফিসে একটি মিটিং আয়োজন করতাম সেখানে কর্মীদের কাজের পরিস্থিতি ,অবস্থা, সুবিধা, অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করতাম এবং অসুবিধা থাকলে সমাধানের চেষ্টা করতাম। এর উদ্দেশ্য ছিল সংগঠনের দৃঢ়তা বৃদ্ধি এবং অন্তরদণ্ড যাতে না বিরাজ করে সেদিকে নজর রাখা। পলিটিকাল কর্মকাণ্ডওঃ- ১) জাতীয় ও বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচীর সময় বিএনপির কার্যালয় বা কলেজ মাঠে আয়জোন এবং সঠিকভাবে সম্পাদনের ক্ষেত্রে আমার নেতা কর্মীদের কর্ম বণ্টন করতাম। যেমনঃ- প্রচারণার কাজে প্রচার সম্পাদক ও সদস্যদের এবং অনুষ্ঠান আয়জনের সময় সাংগঠনিক সম্পাদক,ক্রিয়া সম্পাদক ও সদস্যদের সঠিক ভাবে কাজের নির্দেশনা দিতাম। ২) আপনার পদ থাকা কালীন কোন নির্বাচন থাকলে বলবেন বিএনপি প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণার জন্য আমার নেতাকর্মীদের দিক নির্দেশনা দিতাম। আশা করি এই তথ্যগুলো আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।আপনাদের মতামত,পরামর্শ,সহযোগিতার মাধ্যমে পোষ্টাকে আরও বেশি তথ্যবহুল করুন। সবাই ভালো এবং নিরাপদে থাকুন। অফ্প্রা-CNDA তে শুনানীর প্রস্তুতি ২ - কবির আহমেদ

No comments:

Post a Comment