জুয়াড়ি তারেক জিয়া
প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ বুধবার, ০৮:০৪ পিএম
যুক্তরাজ্যের ইমিগ্রেশন বিভাগকে তারেক জিয়া বলেছেন, তাঁর আয়ের উৎস হলো ‘বেটিং (বাজি) এবং ক্যাসিনো (জুয়া)। এই দুই মাধ্যমে তিনি মাসে গড়ে ২০ হাজার পাউন্ড অর্থাৎ ৩০ লাখ টাকা উপার্জন করেন। এই টাকায় তিনি লন্ডনে জীবন নির্বাহ করেন। লন্ডনের ইমিগ্রেশন বিভাগ গত জুলাই মাসে তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে সন্দেহজনক অর্থিক লেনদেনের অভিযোগ আনেন। ইমিগ্রেশন বিভাগে একাধিক ব্রিটিশ এমপি অভিযোগ করেন যে, রাজনৈতিক আশ্রয়ের সুবিধা নিয়ে তারেক জিয়া লন্ডনে উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তাঁদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিচ্ছেন বলেও ব্রিটিশ এমপিরা সন্দেহ পোষণ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিটিশ ইমিগ্রেশন বিভাগের নির্দেশে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড ও ব্রিটিশ গোয়েন্দারা তারেকের অর্থের উৎস নিয়ে তদন্ত শুরু করে। ইমিগ্রেশন বিভাগ তারেক জিয়াকে ৩১ আগস্টের মধ্যে লন্ডনে তাঁর আয়ের উৎস জানাতে বলেন।
৩১ আগস্ট তারেক তাঁর ইমিগ্রেশন অ্যাটর্নি, মাইকেল ফ্লিনটফের মাধ্যমে হলফনামা আকারে তাঁর আয়ের উৎস পাঠান। এই হলফনামায় তারেক জিয়া নিজেকে একজন ‘পেশাদার জুয়াড়ি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। হলফনামায় বলা হয়, ‘২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে আমি লন্ডনে আসি এবং রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ করি। রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের পর থেকে আমি জীবিকা নির্বাহের জন্য অনলাইন বেটিং, ক্যাসিনো এবং লোটো (একধরনের লটারি) খেলি। এর মাধ্যমে আমি অর্থ উপার্জন করি।’
হলফনামায় তারেক জানান, ‘ক্রিকেট ও ফুটবলের বেটিং এ আমি নিয়মিত অংশগ্রহণ করি, এর মাধ্যমে আমি উপার্জন করি। বেট ৩৬৫, বেটওয়ে, টেন বেট ও বেট সেফে আমি নিয়মিত বেটিং করি।’ তারেক তাঁর হলফনামায় উল্লেখ করেন যে, ব্রিটিশ আইনে বেটিং বৈধ এবং একজন রাজনৈতিক আশ্রয়প্রাপ্ত এই খেলায় অংশ নিতে পারেন। তারেক তাঁর হলফনামায় এই অনলাইন বেটিং এর কিছু তথ্য প্রমাণ হাজির করেছেন। এতে দেখা যায়, বেটওয়েতে তিনি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ক্রিকেটে পাকিস্তানের পক্ষে বাজি ধরে ৩০ হাজার পাউন্ড জেতেন। এছাড়া অন্যান্য খেলায়ও তিনি অনেক পাউন্ড উপার্জন করেছেন।
বেটিং ছাড়াও তারেক নিয়মিত ক্যাসিনো (জুয়ার আসর) যান বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। স্টাট ফোর্ডে ওয়েস্ট ফিল্ডের ক্যাসিনোতে প্রতি সপ্তাহে তিনি দুবার করে যান। ক্যাসিনো থেকে সপ্তাহে তাঁর আয় ৫ থেকে ৭ হাজার পাউন্ড বলেও তিনি দাবি করেন। হলফনামায় তারেক জিয়া ওয়েস্ট ফিল্ড জুয়ার আসরের কিছু কাগজপত্রও হস্তান্তর করেন।’
তারেক জিয়া তাঁর হলফনামায় উল্লেখ করেন, ‘বাংলাদেশ আমার জন্য নিরাপদ নয়। যেখানে গেলে আমার ও আমার পরিবারের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।’ এজন্য তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ে আরও সময় থাকার প্রার্থনা করেন হলফনামায়। ব্রিটিশ ইমিগ্রেশন বিভাগ ওই অভিযোগ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে জানা গেছে।
৩১ আগস্ট তারেক তাঁর ইমিগ্রেশন অ্যাটর্নি, মাইকেল ফ্লিনটফের মাধ্যমে হলফনামা আকারে তাঁর আয়ের উৎস পাঠান। এই হলফনামায় তারেক জিয়া নিজেকে একজন ‘পেশাদার জুয়াড়ি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। হলফনামায় বলা হয়, ‘২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে আমি লন্ডনে আসি এবং রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ করি। রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের পর থেকে আমি জীবিকা নির্বাহের জন্য অনলাইন বেটিং, ক্যাসিনো এবং লোটো (একধরনের লটারি) খেলি। এর মাধ্যমে আমি অর্থ উপার্জন করি।’
হলফনামায় তারেক জানান, ‘ক্রিকেট ও ফুটবলের বেটিং এ আমি নিয়মিত অংশগ্রহণ করি, এর মাধ্যমে আমি উপার্জন করি। বেট ৩৬৫, বেটওয়ে, টেন বেট ও বেট সেফে আমি নিয়মিত বেটিং করি।’ তারেক তাঁর হলফনামায় উল্লেখ করেন যে, ব্রিটিশ আইনে বেটিং বৈধ এবং একজন রাজনৈতিক আশ্রয়প্রাপ্ত এই খেলায় অংশ নিতে পারেন। তারেক তাঁর হলফনামায় এই অনলাইন বেটিং এর কিছু তথ্য প্রমাণ হাজির করেছেন। এতে দেখা যায়, বেটওয়েতে তিনি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ক্রিকেটে পাকিস্তানের পক্ষে বাজি ধরে ৩০ হাজার পাউন্ড জেতেন। এছাড়া অন্যান্য খেলায়ও তিনি অনেক পাউন্ড উপার্জন করেছেন।
বেটিং ছাড়াও তারেক নিয়মিত ক্যাসিনো (জুয়ার আসর) যান বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। স্টাট ফোর্ডে ওয়েস্ট ফিল্ডের ক্যাসিনোতে প্রতি সপ্তাহে তিনি দুবার করে যান। ক্যাসিনো থেকে সপ্তাহে তাঁর আয় ৫ থেকে ৭ হাজার পাউন্ড বলেও তিনি দাবি করেন। হলফনামায় তারেক জিয়া ওয়েস্ট ফিল্ড জুয়ার আসরের কিছু কাগজপত্রও হস্তান্তর করেন।’
তারেক জিয়া তাঁর হলফনামায় উল্লেখ করেন, ‘বাংলাদেশ আমার জন্য নিরাপদ নয়। যেখানে গেলে আমার ও আমার পরিবারের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।’ এজন্য তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ে আরও সময় থাকার প্রার্থনা করেন হলফনামায়। ব্রিটিশ ইমিগ্রেশন বিভাগ ওই অভিযোগ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে জানা গেছে।
No comments:
Post a Comment