Tuesday, 19 August 2025

১৯৭১ এ কেন সংঘাত অনিবার্য হয়ে উঠলো?

বাকশালি, বাম আর ইন্ডিয়ানদের একমাত্র অস্ত্র ছিলো ৭১; এইটা দিয়া সে বাংলাদেশের মুসলমানদের দাবড়াইতো। তার প্রথম প্রজেক্ট ছিলো ১৯৭১ এ দ্বিজাতিতত্ত্বের পরাজয় ঘটছে। সে রাজাকার বলে স্বাধীনতা বিরোধী বলে ইসলাম কুপাইতো ইচ্ছামতো। এইজন্যই সে একাত্তর নিয়া কোন ন্যারেটিভ সে দাড় করাইতে পারে নাই। সে যাই বলবে সেইটাই চ্যালেঞ্জড হবে একাডেমিক্যালি। ক্যান বাংলাদেশের জন্ম নিতে হলো? আপনি কোন কোহেরেন্ট ব্যখ্যা পাইবেন না। যদি বলে শোষণ করতো পশ্চিম পাকিস্তানিরা। সে ডেটা দিয়ে জাস্টিফাই করতে পারবে না শোষণ করতো পশ্চিম পাকিস্তান। যদি বলে এইটা বাঙালির জাতীয়তাবাদী আন্দোলন তখন সে উত্তর দিতে পারেনা কোন বাঙালি? এইটা যদি বাঙালির রাষ্ট্র হয় তাহলে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা যোগ দেয় নাই কেন সেই রাষ্ট্রে? এই বাঙালির রাষ্ট্রে ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর স্টেইক কী হবে? কোন উত্তর নাই। এমনকি পরাধীনতার ন্যারেটিভ দাড়া করানো যায়না। পাকিস্তান তো স্বাধীন রাষ্ট্র ছিলো। সেই রাষ্ট্রের শাসনক্ষমতা অনেকটা সময় বাঙালির হাতেই ছিলো৷ পুর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলের হাতেই ছিলো। কে কাকে অধীন করে রাখলো? কীভাবে রাখলো? জাতীয় রাজস্বে যা যোগান দিতো পুর্ব পাকিস্তান তার চেয়ে অনেকগুন বেশী বাজেট বরাদ্দ নিয়েও পরাধীন, শোষিত? ১৯৪৭ পর্যন্ত যেই উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে মানতে সমস্যা হলোনা ১৯৪৮ এ এসে সে সেই উর্দুকেই রাষ্ট্রভাষা হিসেবে মানলো না কেন? ১৯৭১ এ কেন সংঘাত অনিবার্য হয়ে উঠলো? কার গোয়ার্তুমিতে? কার প্ররোচনায় ক্যান্টমনেন্টে ক্যান্টনমেন্টে অফিসার হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিলো যা আগরতলা মামলা হিসেবে পরিচিত। কারা আর্মি ক্যু করে সদ্য স্বাধীন দেশের গনতান্ত্রিক ভিত্তিকে শুরুতেই নড়বড়ে করে দেয়? আর একাত্তর? কোন লড়াইটা হয়েছে একাত্তরে? প্রত্যেকটা শহর শান্ত ছিলো। ২৫ শে মার্চের পরে ঢাকা শহর ছিলো শান্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা হয়েছে ক্লাস হয়েছে। কে কোন গেরিলা ফাইট করেছে? হিসাব দিতে পারবে না বাগাড়ম্বর ছাড়া। তিরিশ লক্ষ শহীদের গল্প কে বানাইছে? এই মিছা গল্প জাতিকে কে শুনাইছে? পৃথিবীতে এতো বড়ো স্কেলে কোন জাতির সাথে প্রতারণা করা হয় নাই। ৯৩ হাজার পাকিস্তানি আর্মি সারেন্ডার করে নাই। করছে তিনটা ডিভিশন। চল্লিশ হাজারের কিছু বেশী। বাকীরা নন মিলিটারি স্টাফ আর পরিবার। মুজিব নিজে কমিশন করছিলো পুলিশ দিয়ে, সেইটায় জমা পড়ছিলো ২০০০ অভিযোগ যারা বলছে তাদের স্বজনকে পাকিস্তানি আর্মি মারছে। আমি বানায়েও বলি নাই, সন্দেহজনক উৎস থেকে বলি নাই। গার্ডিয়ান পত্রিকার ড্রামন্ডের লেখা থেকে রেফারেন্স দিছি। ভদ্রলোক এখনো বেচে আছেন এবং বিখ্যাত একাডেমিশিয়ান। আমি যা বলছি সেটাই ইতিহাসে টিকে থাকবে। মুজিব ২০০০ এর বেশী অভিযোগ পায় নাই এই রেফারেন্স একাডেমিয়াতে আসবে। সাইটেশন হবে হাজারে হাজারে। বাকশালি বামেদের গালাগালি হারায়ে যাবে অন্ধকারে। আমি অনেক ভবিষ্যৎবাণী করছি। আজকেও করে যাচ্ছি। বাংলাদেশের আগামীর প্রজন্ম পিনাকী ভট্টাচার্য নামটাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। তারা জানবে একটা মাত্র লোক বিপুল বিক্রমে, ভয়ভীতি ছাড়া এক বিশাল ইন্সটিটিউশিনাল মিথ্যার বিরুদ্ধে দাড়ায়ে জাতিকে জাগায়ে তুলতে চাইছে। ১৯৭১ আমাদের ইতিহাসের অংশ কিন্তু ১৯৭১ এর আওয়ামী বাম বাকশালি ইন্ডিয়ান ইতিহাস আমাদের ইতিহাস না। আমরা লিখবো নতুন করে সেই ইতিহাস যদি সৃষ্টিকর্তা তৌফিক দেন। আমি মৃত্যুর আগের মুহুর্তে শান্তিতে চোখ বুজতে চাই এই ভেবে আমি বাকশালি ১৯৭১ এর ন্যারেটিভ চুরমার করে দিতে পারছি। হে শক্তিদাতা, তুমি বৃথাই আমারে শক্তি দাও নাই। আমি তার পুর্ণ সদ্ব্যবহার করছি। আপনারা দোয়া করবেন যেন আমি এই কাজটা সম্পন্ন করে যাইতে পারি।

No comments:

Post a Comment