Khan Thoughts
Tuesday, 19 August 2025
১৯৭১ এ কেন সংঘাত অনিবার্য হয়ে উঠলো?
বাকশালি, বাম আর ইন্ডিয়ানদের একমাত্র অস্ত্র ছিলো ৭১; এইটা দিয়া সে বাংলাদেশের মুসলমানদের দাবড়াইতো। তার প্রথম প্রজেক্ট ছিলো ১৯৭১ এ দ্বিজাতিতত্ত্বের পরাজয় ঘটছে। সে রাজাকার বলে স্বাধীনতা বিরোধী বলে ইসলাম কুপাইতো ইচ্ছামতো।
এইজন্যই সে একাত্তর নিয়া কোন ন্যারেটিভ সে দাড় করাইতে পারে নাই। সে যাই বলবে সেইটাই চ্যালেঞ্জড হবে একাডেমিক্যালি। ক্যান বাংলাদেশের জন্ম নিতে হলো? আপনি কোন কোহেরেন্ট ব্যখ্যা পাইবেন না।
যদি বলে শোষণ করতো পশ্চিম পাকিস্তানিরা। সে ডেটা দিয়ে জাস্টিফাই করতে পারবে না শোষণ করতো পশ্চিম পাকিস্তান। যদি বলে এইটা বাঙালির জাতীয়তাবাদী আন্দোলন তখন সে উত্তর দিতে পারেনা কোন বাঙালি? এইটা যদি বাঙালির রাষ্ট্র হয় তাহলে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা যোগ দেয় নাই কেন সেই রাষ্ট্রে? এই বাঙালির রাষ্ট্রে ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর স্টেইক কী হবে? কোন উত্তর নাই।
এমনকি পরাধীনতার ন্যারেটিভ দাড়া করানো যায়না। পাকিস্তান তো স্বাধীন রাষ্ট্র ছিলো। সেই রাষ্ট্রের শাসনক্ষমতা অনেকটা সময় বাঙালির হাতেই ছিলো৷ পুর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলের হাতেই ছিলো। কে কাকে অধীন করে রাখলো? কীভাবে রাখলো? জাতীয় রাজস্বে যা যোগান দিতো পুর্ব পাকিস্তান তার চেয়ে অনেকগুন বেশী বাজেট বরাদ্দ নিয়েও পরাধীন, শোষিত? ১৯৪৭ পর্যন্ত যেই উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে মানতে সমস্যা হলোনা ১৯৪৮ এ এসে সে সেই উর্দুকেই রাষ্ট্রভাষা হিসেবে মানলো না কেন?
১৯৭১ এ কেন সংঘাত অনিবার্য হয়ে উঠলো? কার গোয়ার্তুমিতে? কার প্ররোচনায় ক্যান্টমনেন্টে ক্যান্টনমেন্টে অফিসার হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিলো যা আগরতলা মামলা হিসেবে পরিচিত। কারা আর্মি ক্যু করে সদ্য স্বাধীন দেশের গনতান্ত্রিক ভিত্তিকে শুরুতেই নড়বড়ে করে দেয়?
আর একাত্তর? কোন লড়াইটা হয়েছে একাত্তরে? প্রত্যেকটা শহর শান্ত ছিলো। ২৫ শে মার্চের পরে ঢাকা শহর ছিলো শান্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা হয়েছে ক্লাস হয়েছে। কে কোন গেরিলা ফাইট করেছে? হিসাব দিতে পারবে না বাগাড়ম্বর ছাড়া।
তিরিশ লক্ষ শহীদের গল্প কে বানাইছে? এই মিছা গল্প জাতিকে কে শুনাইছে? পৃথিবীতে এতো বড়ো স্কেলে কোন জাতির সাথে প্রতারণা করা হয় নাই।
৯৩ হাজার পাকিস্তানি আর্মি সারেন্ডার করে নাই। করছে তিনটা ডিভিশন। চল্লিশ হাজারের কিছু বেশী। বাকীরা নন মিলিটারি স্টাফ আর পরিবার।
মুজিব নিজে কমিশন করছিলো পুলিশ দিয়ে, সেইটায় জমা পড়ছিলো ২০০০ অভিযোগ যারা বলছে তাদের স্বজনকে পাকিস্তানি আর্মি মারছে। আমি বানায়েও বলি নাই, সন্দেহজনক উৎস থেকে বলি নাই। গার্ডিয়ান পত্রিকার ড্রামন্ডের লেখা থেকে রেফারেন্স দিছি। ভদ্রলোক এখনো বেচে আছেন এবং বিখ্যাত একাডেমিশিয়ান।
আমি যা বলছি সেটাই ইতিহাসে টিকে থাকবে। মুজিব ২০০০ এর বেশী অভিযোগ পায় নাই এই রেফারেন্স একাডেমিয়াতে আসবে। সাইটেশন হবে হাজারে হাজারে।
বাকশালি বামেদের গালাগালি হারায়ে যাবে অন্ধকারে। আমি অনেক ভবিষ্যৎবাণী করছি। আজকেও করে যাচ্ছি। বাংলাদেশের আগামীর প্রজন্ম পিনাকী ভট্টাচার্য নামটাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। তারা জানবে একটা মাত্র লোক বিপুল বিক্রমে, ভয়ভীতি ছাড়া এক বিশাল ইন্সটিটিউশিনাল মিথ্যার বিরুদ্ধে দাড়ায়ে জাতিকে জাগায়ে তুলতে চাইছে।
১৯৭১ আমাদের ইতিহাসের অংশ কিন্তু ১৯৭১ এর আওয়ামী বাম বাকশালি ইন্ডিয়ান ইতিহাস আমাদের ইতিহাস না। আমরা লিখবো নতুন করে সেই ইতিহাস যদি সৃষ্টিকর্তা তৌফিক দেন।
আমি মৃত্যুর আগের মুহুর্তে শান্তিতে চোখ বুজতে চাই এই ভেবে আমি বাকশালি ১৯৭১ এর ন্যারেটিভ চুরমার করে দিতে পারছি। হে শক্তিদাতা, তুমি বৃথাই আমারে শক্তি দাও নাই। আমি তার পুর্ণ সদ্ব্যবহার করছি।
আপনারা দোয়া করবেন যেন আমি এই কাজটা সম্পন্ন করে যাইতে পারি।
Sunday, 17 August 2025
১৫ই আগষ্টে শেখ মুজিবর রহমানকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের সম্মান জানানোটা খালি চোখে দেখেন
আপনি যদি ১৫ই আগষ্টে শেখ মুজিবর রহমানকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের সম্মান জানানোটা খালি চোখে দেখেন তাহলে মনে হবে এটি হয়তো তার ১৯৭১ সালে দেশকে স্বাধীন করার সংগ্রামে অবদানের জন্য। কিন্তু অন্তরালে ঘটে গেছে এক ভয়াবহ ষড়যন্ত্র।
পুরাটাই ছিলো একটা ওয়েল কো-অর্ডিনেটেড ক্যম্পেইন। হ্যা, কেউ কেউ সত্যিকার অর্থেই শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে যারা বিভিন্ন পোস্ট দিয়েছেন তারা আওয়ামীলীগের লং টার্ম এ্যালাই, কেউ অর্থের বিনিময়ে, কেউ বিজ্ঞাপন জগতের আওয়ামী মাফিয়ার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে। অন্যদের মধ্যে যারা শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তারা হলেন গত ১৬ বছরে আওয়ামীলীগের সুবিধাভোগী—কিছু শিক্ষক, কিছু তথাকথিত বুদ্ধিজীবী এবং বিভিন্ন পেশার সুবিধাবাদী। তারা অতিরিক্ত উৎসাহ দেখিয়েছেন। কারণ, তারা চায় আওয়ামীলীগ ফিরলে তাদের দুর্নীতি, অবৈধ প্রভাব ও নৈতিক ছাড়পত্র অব্যাহত থাকবে।
শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তারা একটা ন্যারেটিভ দাঁড় করিয়েছে। সেটি ছিলো আইসোলেটেড ভাবে শেখ মুজিবকে গ্লোরিফাই করা। তার মানে হলো— গত ষোল বছর আওয়ামী লীগ শাসনামলে শেখ মুজিবের নাম নিয়ে যে অত্যাচার চালানো হয়েছে তা এড়িয়ে যাওয়া। আওয়ামীলীগ তাদের সব অপকর্ম শেখ মুজিবের ছবি ও নামের বর্মে ঢেকে রেখেছিলো, জুলাই বিপ্লবের কোনো উল্লেখ নেই। কিংবা ’আমরা শেখ মুজিবকে ভালোবাসলেও আওয়ামীলিগের গত ১৬ বছরের হত্যাযজ্ঞকে সমর্থন করি না’ এমন কোনো ডিসক্লেইমার নেই।
যদিও প্রত্যেকটি পোস্টে শেখ মুজিবের একাত্তরের অবদানকে গ্লোরিফাই করা হয়েছে, কিন্তু সচেতন ভাবে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে মুজিবের ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের ভয়ানক দু:শাসন।
তার শাসনকাল মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নকে গণতন্ত্র নয়, বরং স্বৈরতন্ত্রের অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছিল। রক্ষীবাহিনী গঠন ছিল এই শাসনের সবচেয়ে ভয়াবহ দিক, যারা অপহরণ, গুম, নির্যাতন ও হত্যার মাধ্যমে গোটা দেশকে আতঙ্কে ভরিয়ে তোলে। এই রক্ষীবাহিনী দ্বারা শেখ মুজিব প্রায় ৪০,০০০ মানুষকে প্রত্যক্ষভাবে খুন করিয়েছিলেন। ভিকটিমদের মধ্যে একটা উল্লেখযোগ্য অংশ ছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। সেই সময় রাজনৈতিক বিরোধী, ভিন্নমতাবলম্বী এমনকি সাধারণ নাগরিকদেরও নৃশংসভাবে দমন করা হয়েছিল।
এরই মধ্যে আসে ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ, যা মুজিব সরকারের চরম অযোগ্যতা ও অমানবিক উদাসীনতার প্রতিচ্ছবি। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন রিসার্চারদের মতে ১৫ লক্ষ মানুষ সেসময় মারা যান। এত মানুষ মারা গেলেও মুজিব সরকার তখন ক্ষমতা পাকাপোক্ত করা, বিরোধীদের দমন করা এবং লুটপাটে ব্যস্ত ছিল। দুর্নীতি, অদক্ষতা ও দমনপীড়নই মুজিব আমলের মূল বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়ায়। জনগণের কাছে যে সোনার বাংলার স্বপ্ন তিনি দেখিয়েছিলেন, তা রূপ নেয় ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও মৃত্যুর দুঃস্বপ্নে।
১৯৭৫ সালের জনরোষ হঠাৎ তৈরি হয়নি—এটি ছিল মুজিবের ব্যর্থতা, তার রক্ষীবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ এবং দুর্ভিক্ষে মৃত্যুর কারণে জমা হওয়া ক্ষোভের বিস্ফোরণ। অবাক করা বিষয়, শোক প্রকাশ করার সময় এসব বিষয়ের কোনো নূন্যতম উল্লেখও ছিলো না।
আর একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যাকারীদের অধিকাংশই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা, যারা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে লড়েছিলেন। আমি ব্যক্তিগত ভাবে এই হত্যাযজ্ঞকে নিন্দা জানাই, কোনভাবেই এধরনের জঘন্য হত্যাকাণ্ড মেনে নেয়া সম্ভব না।
অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে, রক্ষীবাহিনীর দমননীতি, ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষে সরকারের ব্যর্থতা এবং মুজিবের একদলীয় স্বৈরশাসন সেই মুক্তিযোদ্ধাদের অসন্তুষ্ট করেছিল। প্রধান হত্যাকারীদের মধ্যে ছিলেন সৈয়দ ফারুক রহমান, খন্দকার আবদুর রশীদ, মহিউদ্দিন আহমেদ, বজলুল হুদা, এ.কে.এম. মহিউদ্দিন আহমেদ, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী। তাদের অধিকাংশেই মুক্তিযোদ্ধা এবং কয়েকজন মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্যে খেতাব পান। তাদের দাবি, জাতিকে রক্ষা করতেই এই পদক্ষেপ, যদিও ইতিহাসে এই ঘটনা দেশপ্রেম নাকি ব্যক্তিগত উচ্চাভিলাষ—তা নিয়ে বিতর্ক আজও চলমান।
এবার আসা যাক কীভাবে আওয়ামীলীগ এই সাকেসেসফুল ক্যাম্পেইন করলো। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রাথমিক তথ্য মতে, ১৪ আগস্ট আওয়ামীলীগের সর্বোচ্চ কয়েকজন নেতা কয়েকজন প্রভাবশালী ইনফ্লুয়েন্সারের সঙ্গে বৈঠক করেন, যাদের মধ্যে জুলাই আন্দোলনে ইন্সফ্লুয়েন্সারদের আওয়ামীলীগের পক্ষে প্রচারণা চালানোর জন্য ভয়ভীতি দেখানো এক ইউটিউবার অন্যতম। এরপর যুক্তরাষ্ট্র থেকে হাসিনার ঘনিষ্ঠ, সাংবাদিক মহলে এক পরিচিত মুখ পুরো প্রচারণার নকশা তৈরি ও বাস্তবায়নের দায়িত্ব নেন। তার আবার বিনোদন জগতে ব্যাপক প্রভাব। এদের মূল কৌশল ছিল—যাদের প্রকাশ্যে আওয়ামীলীগপন্থী ভাবা যায় না, এমন সেলিব্রেটিদের দিয়ে পোস্ট করানো, যাতে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হয় এবং অন্য শিল্পী-সেলিব্রেটিরাও একই ধারায় পোস্ট দিতে রাজি করানো যায়।
১৫ আগস্টের প্রথম প্রহরেই আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ তারিন, তমালিকা, সাজু খাদেম, অরুণা বিশ্বাস ও শামিমা তুষ্টির মতো শিল্পীরা পোস্ট দিয়ে প্রাথমিক তরঙ্গ তৈরি করেন। এর পর বাংলা সিনেমার এক শীর্ষ নায়কের পোস্টকে “সেন্ট্রাল ভ্যালিডেশন” হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, ইচ্ছাকৃত ভাবে নয়, বরং সেই নায়ককে নানা ভাবে ইনফ্লুয়েন্স করে এমন পোস্টে বাধ্য করা হয়। এই নায়কও ওই নেতার সাথে ঘনিষ্ঠ এবং দুজনই এখন আমেরিকায় রয়েছেন।
এই গোটা প্রচারণায় সেই ইউটিউবার মাঠ পর্যায়ের নেটওয়ার্ক সক্রিয় করেন, আর তিনি কৌশলগত দিক নির্দেশনা দেন। পুরো উদ্যোগ ছিল পরিকল্পিত মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব বিস্তারের একটি অপারেশন।
আর আওয়ামীলগের এখনকার মিশন হলো নানা ভাবে এই সব সেলিব্রেটিদের গ্লোরিফাই করা। তাদের অপারেশনের শুরুটা হয়েছিলো যাহের আলভী নামে এফ গ্রেডের এক ইউটিউবে প্রচারিত যৌন সুরসুরি মূলক নাটকের নায়ককে দিয়ে। তিনি ১৫ আগস্টের কয়েকদিন আগে পোস্ট করে জানান যে, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কেউ তার লিস্টে থকলে তারা যেনো তাকে আনফ্রেন্ড করে দেয়। সে আবার ১৫ আগস্টও শোক জানিয়ে স্ট্যাটাস দেয়।
এরপরই গতকাল প্রথম আলো তাকে নিয়ে বিরাট ফিচার প্রকাশ করে। এই এফ গ্রেডের নায়ককে প্রথম আলো গ্লোরিফাই করার কোনো যুক্তি নেই। এটি ছিলো তার পুরষ্কার। প্রথম আলোর বিনোদন বিটের এক সাংবাদিক সেই হাসিনা ঘনিষ্ঠ নেতার পরিচিত। এই কানেকশনের মাধ্যমেই সূত্রে প্রথম আলো যাহের আলভীকে ফিচার করে। এই সাংবাদিক আবার সেই শীর্ষ নায়কের ফেসবুক পেইজের এডমিন এবং অলেখিত বেতন ভূক্ত পিআর ম্যানেজার। সাংবাদিকের স্ত্রী একজন গাইকা। তিনিও শোক জানিয়ে পোস্ট দেন। আজ দেখলাম কালবেলাও তাকে নিয়ে রিপোর্ট করেছে। এখন থেকে দেখবেন এদের গ্লোরিফিকেশন চলছেই। এবং প্রত্যেকটিই ওয়েল কোঅর্ডিনেটেড।
এছাড়াও, বিজ্ঞাপন জগতের মাফিয়া হিসেবে পরিচিত একজনের নাম এসেছে । সে ভারতের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছে। সরকারের উচিৎ এসব গভীরভাবে তদন্ত করা। কিন্তু অবশ্যই কাউকে বিনা দোষে হ্যারাস না করা। একটা বন্তুনিষ্ঠ তদন্ত হওয়া দরকার। এটা বের করা দরকার এটি কী জুলাই গণহত্যাকারী দলকে পুনর্বাসিত করার প্রথমিক পদক্ষেপের ষড়যন্ত্র কী-না।
মুজিবের পর তাদের পরবর্তী ন্যারেটিভ হচ্ছে, ধীরে ধীরে সরা সরাসরি আওয়ামীলগের পক্ষে বিভিন্ন সেলিব্রেটিদের দিয়ে পোস্ট করানো। এরই মধ্যে দেখবেন যে ইমতু রাতিশ নামে এক সি গ্রেড সেলিব্রেটি আওয়ামীলীগকে মহিমান্বিত করে একটা পোস্ট দেওয়ার স্পর্ধা দেখিয়েছে। যেহেতু এখন আয়ানঘর নেই কিংবা ইউনূস সরকার সরাসরি কোনো বিচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জাড়িত নয় তাই এই সাহস তারা দেখাচ্ছে।
আরো একটা বিষয় লক্ষণীয় বিষয় যে, প্রত্যেকটা শোক জানানোর পোস্টে কিংবা পতিত গণহত্যাকারীদের পক্ষে কোনো ন্যারেটিভে আপনি দেখবেন সাথে সাথে কয়েক হাজার কমেন্ট লাইক এবং শেয়ার হয়ে যাচ্ছে। এসব লাইক, কমেন্ট ও আওয়ামীলীগের ফ্যাসিলিটেট করা স্পটলাইটের লোভেও কেউ কেউ হিরো সাজতে পোস্ট দিচ্ছে। আর এসব লাইক কমেন্টকরীদের অধিকাংশই পলাতক। এদের কাজই হচ্ছে ফেসবুকে শোরগোল তোলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা করা। এমনও দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তি প্রতিদিন ১০০র বেশি পোস্ট বেশি শেয়ার করেছে।
এরা এখন সাইকোলজিকাল ওয়ারফেয়ারে নেমেছে। তারা চাইনীজ দার্শনিক সান-জুর মূল ধারণা অনুযায়ী কাজ করছে। যেটি হলো যুদ্ধ কেবল শারীরিক সংঘর্ষ নয়; মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব, প্রতিপক্ষকে বিভ্রান্ত করা, এবং কৌশলগত পরিকল্পনা অপরিহার্য। তাই এই ডিজিটাল যুগে স্যোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রপাগান্ডা, ভুল তথ্য, এবং মানসিক চাপ ও ভয় তৈরি এখন আওয়ামীলীগের প্রধান অস্ত্র। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অসংখ্য সমালোচনা ও ভুল থাকা সত্ত্বেও — সব সূচকে দেশ আওয়ামীলীগের চেয়ে ১০ গুণ ভালো থাকার পরও মানুষের মনস্তত্বে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে—’আগেই ভালো ছিলাম’ কিংবা ’আওয়ামীলীগই ভালো ছিলো’ শব্দমালা।
অন্যদিকে দেখবেন এনসিপি কিংবা জামায়াতের সমর্থকদের একমাত্র একটি কাজ হলো বিএনপির সমালোচনা করা। আওয়ামী প্রপাগান্ডা যেমন — বিএনপির নেতৃত্বকে ১০ পার্সেন্ট, বা খাম্বা; এ জাতীয় নোংরা ও পার্শ্ববর্তী দেশের এ্যাম্বাসি দ্বারা তৈরী একসময়ের ন্যারেটিভ এখন এসব রাজনৈতিক দলের দ্বারা সংঘবদ্ধভাবে সিডিং প্রক্রিয়ায় প্রচার হচ্ছে। ঠিক একইভাবে ছাত্রদল আবার ছাত্রলীগের ন্যারেটিভে জামাত শিবিরকে এ্যাটাক করছে। এরা কেউই তাদের সামর্থের ১০ পার্সেন্টও আওয়ামীলীগের দু:শাসনের প্রচারে ব্যায় করছে না। অন্যদিকে হাসিনার পতনের পর তথাকথিত ‘মাস্টারমাইন্ডরা’ শুধু মুখে মুখে আওড়াচ্ছে— “মুজিববাদের কবর, মুজিববাদের কবর!”—যা মানুষের মধ্যে বিরক্তির সৃস্টি করছে।
এই সব বিভেদ গত ১৬ বছরে আওয়ামীলীগের দু:শাসন, স্বৈরতন্ত্র, ভোট চুরি এবং রাজনৈতিক দমনপীড়নকে ঢেকে দিচ্ছে। তিনটি জালিয়াতিপূর্ণ নির্বাচন কিংবা ভোট চুরির বিষয় এখন আর গুরুত্ব পাচ্ছে না। রাজনৈতিক বিরোধী ও সাধারণ নাগরিকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনী দ্বারা হাসিনা যে নির্মম নিপীড়ন চলিয়েছে এবং জুলাইয়ে যে গণহত্যা চালানো হয়েছে তা এখন আর এজেন্ডা না।
তাই জুলাইয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা শিক্ষার্থী, সরকারী-বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, আর আপামর জনসাধারণ আপনাদের স্টেক এখন হাই। আপনাদেরকেই এসব প্রপাগান্ডাকে প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে।
আওয়ামীলীগ এখন মাঠে নেই। হয়তো ফিরতেও অনেক সময় লাগবে। কিন্তু ক্ষমা চাওয়া এবং তাদের বিচারের আগে যদি আওয়ামীলীগ কোনো ভাবে ফিরে তাহলে বাংলাদেশ নামক দেশটি সার্বভৌমত্ব হারাবে। বাংলাশের নিরাপত্তা বাহিনী কোনো দিন উঠে দাঁড়াতে পারবে না। সেনাবাহিনীকে পঙ্গু করে দেশে নতুন রক্ষী বাহিনী আবার হত্যাযজ্ঞ চালাবে। তাই দেশ প্রেমিক জনতাকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সর্বদা সচেস্ট থাকার শানিত শপথ নিতে হবে। রুখে দিতে হবে জুলাই ম্যাসাকার চালানো কসাইদের।
Friday, 15 August 2025
মুজিব বাংলাদেশের জন্য কি করসে ?
আচ্ছা এই মুজিব বাংলাদেশের জন্য কি করসে তার একটা এক্সাম্পল দেন তো কেউ আমারে...
যুক্তফ্রন্টের মন্ত্রী মুজিব দূর্নীতি করার কারণে 'চোরা মুজিব' উপাধী পেয়েছিল।
পার্লামেন্টে সে সংকর মাছের চাবুক নিয়ে ঢুকত। সেখানে একবার হাতাহাতির এক পর্যায়ে পেপারওয়েট ছুড়ে মেরে স্পিকার শাহেদ আলীকে খুন করে।
আর ৭১ পরবর্তী মুজিবের তুলনা শুধুমাত্র স্ট্যালিনের সাথে হইতে পারে। সে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সব ধরণের ইম্পিউনিটি দিয়ে দূর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদের মহোৎসব কায়েম করেছিলো।
১৯৭৩ এর নির্বাচনে অনেক বিরোধী প্রার্থীদের গুম করে দেয় ইলেকশনের আগ দিয়ে। তাও কোন কোন আসনে লীগ হারতে বসলে হেলিকপ্টারে করে ব্যালটবাক্স উঠায় নিয়ে নৌকা ছিল মেরে ভরে নিয়ে আসে।
৭৪ এর দূর্ভিক্ষে দেশে ব্যাপক ত্রাণ ঢোকার পরেও মুজিবের লোকজনের দূর্নীতিতে দেশে ১৫ লক্ষ লোক মারা যায়। ৪০,০০০ এর বেশি বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী হত্যা করে মুজিবের বাহিনী।
সেনাবাহিনীর বাইরে প্যারালাল রক্ষীবাহিনী তৈরি করে হিটলারের গেস্টাপোর মত বিরোধীদের ত্রাসের ওপরে রাখত।
১৯৭৫ সালে তো অফিশিয়ালি সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ, সব পত্রিকা নিষিদ্ধ করে বাকশাল কায়েম করে। যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ হলো সেই ব্যবস্থাকেই 'অফিশিয়ালি' গলা টিপে হত্যা করে মুজিব মাত্র ৩ বছরের মাথায়।
আমরা গত ১৬ বছর হাসিনার দু:শাসন দেখেছি। কিন্তু এই ১৬ বছরের যেকোন ৩ বছর পিক করে যদি মুজিবের সেই ৩ বছরের সাথে কম্পেয়ার করবেন, হাসিনাকে অনেক ভালো মনে হবে। No kidding...
বাকি থাকে মুক্তিযুদ্ধ। মুজিব কোনভাবেই চায়নাই যে ৭১ সালে দেশ স্বাধীন হোক। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছে।
মার্চ মাসে শুরু থেকেই তাকে বারংবার স্বাধীনতার ব্যাপারে শক্ত ইঙ্গিত দিতে চাপ দেয়া হলেও সে না করে।
৭ই মার্চের আগের রাতে চাপ প্রবল আকার ধারণ করলে, ইয়াহিয়াকে সে ফোন দিয়ে বলে এরকম চাপ আসছে। ইয়াহিয়া বলে যে এমন কিছু কইরো না যাতে আর ফিরে আসতে না পারো, meaning তোমার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রাস্তা যাতে বন্ধ না হয়।
পরের দিন মুজিবের বক্তব্যের জিস্টটাই ছিলো নির্বাচিত প্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা দিতে হবে।পার্লামেন্ট কল করা লাগবে।
২৫ শে মার্চ পর্যন্ত সে ইয়াহিয়া আর ভুট্টোর সাথে নেগোসিয়েশন করেছে কিভাবে প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায়। এবং এটা পেছনে স্বাধীনতার প্রস্তুতি নেয়ার জন্য সামনে দিয়ে কোন কালক্ষেপনও ছিলোনা।
সে জেনুইনলি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর ছিলো। স্বাধীন হওয়া তার প্রায়োরিটি লিস্টের কোথাও ছিলোনা।
২৫ মার্চ অপারেশন সার্চলাইটের গোলাগুলি শুরু হলে মুজিব ইয়াহিয়াকে ফোন দেয়। কারণ নেগোসিয়েশন তখনো চলমান ছিল।
ফোন দিয়ে মুজিব বুঝে ইয়াহিয়া নেগোসিয়েশন বিট্রে করে পাকিস্তান চলে গিয়েছে, আর লেলিয়ে দিয়েছে পাকবাহিনী। এই সময়েও মুজিবের মনে হয়নি যে এখন তো আর আলোচনার পথ নাই, স্বাধীনতাই একমাত্র পথ।
এমনকি তাজুদ্দিন সে রাতে যখন মুজিবের কাছে এসে বলে যে মিলিটারি হামলা করেছে, লীডার আমাদের এখনই ভারতে চলে গিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালনা করতে হবে।
মুজিবের উত্তর ছিলো "নাকে তেল দিয়ে ঘুমাও। ২৭ তারিখ হরতাল ডেকেছি।" মানে তখনও সে পাকিস্তানী রাষ্ট্রকাঠামোর মধ্যে থেকেই সমস্যা সমাধানে উদগ্রীব।
হাসিনা যে প্রচার করসে তার বাপ ২৬ তারিখের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছে তা বানোয়াট কথা।
এমনকি সে পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্যের প্রমাণ স্বরূপ তাদের আইনি প্রসেসের সাথে কমপ্লাই করার জন্য গ্রেফতার হতে প্রস্তুতি নিতে থাকে। পাক মিলিটারি এসে দেখে মুজিব স্যুটেড ব্যুটেড ও তার স্যুটকেসও রেডি।
মুজিব সে রাতে তাজউদ্দিনের আহবানে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় না গিয়ে, পাকিস্তানি আনুগত্য ধরে রাখার জন্য গ্রেফতার হওয়াকেই শ্রেয় মনে করেছিলো। আহা! যদি তখনো কোনভাবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায়!
এমনকি এরকমও কথিত আছে, ১৬ ডিসেম্বরে পাক বাহিনী আত্মসমর্পণের কথা মুজিবকে জানানো হলে সে চেয়ার থেকে লাফিয়ে উঠে। রেগে বলে, এটা কেন করলো, আমি সব ঠিক করে ফেলব।
পরে যখন বুঝে যে সিচুয়েশন একটা point of no return এ চলে গেসে, আর বাঙালীকে পাকিস্তানে থাকার কথা বল্লে তাকেই কেটে ফেলবে মানুষ, তখন মুজিব ১৮০ ডিগ্রি পল্টি মারে। ঢাকায় ল্যান্ড করেই তাজুদ্দিনের কানে কানে বলে, "আমি কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হবো।"
একাত্তরেও মুজিবের অবদান কি ভাই? একটা ফ্যাকচুয়াল এক্সাম্পল দেখান। স্বাধীনতাযুদ্ধে তো আমার মনে হয় মুজিবের চাইতে ভুট্টোর অবদান বেশি।
মানে এই যে এই লোকের ৭১ এ, তার আগে ও পরে যে এত জঘন্য আমলনামা, তাকে আমি কেন সম্মান করব? সে তো জাতির পিতা না, সে তো জাতীয় গাদ্দার।
সে একজন পাতি নেতার মত সম্মানও কেন পাবে? Show me one reason...one good reason...
Friday, 8 August 2025
পার্টনারশিপ বিজনেস: শুরুতে রঙিন স্বপ্ন, শেষে ছাইচাপা ধ্বংসাবশেষ?
পার্টনারশিপ বিজনেস:
শুরুতে রঙিন স্বপ্ন, শেষে ছাইচাপা ধ্বংসাবশেষ?
বিজনেস পার্টনারশিপ আমাদের সমাজে একধরনের রোম্যান্টিক মিথ তৈরি করে রেখেছে — “একসাথে শুরু করবো, একসাথে বড় হবো, একসাথে স্বপ্ন পূরণ করবো।” শুরুর দিনে সবকিছুই ঝলমলে: আইডিয়া শেয়ারিং, এনার্জি, নতুনত্ব আর অবিরাম পরিকল্পনা।
কিন্তু কেন অধিকাংশ পার্টনারশিপই ৩–৫ বছরের মধ্যে ধ্বংসের মুখে পড়ে? কেন গদোগদো সম্পর্ক পরিণত হয় ভাঙনে, আর ভাঙন ডেকে আনে ভরাডুবি?
পর্যায়-১: হানিমুন ফেজ (Idealistic Optimism)
শুরুতে সবাই সমান উদ্যমী। এখানে ভিশন মিলে যায়, ইগো থাকে কন্ট্রোলে। ঝুঁকি ভাগাভাগি, বিনিয়োগ সমান, পরিকল্পনা অনেক। সমস্যা? কেউ এখানে চুক্তি লিখে না, ভবিষ্যতের ঝুঁকি কল্পনা করে না। মনে হয়, “আমাদের তো বন্ধুত্ব/বিশ্বাস আছে।”
পর্যায়-২: সন্দেহের ফেজ (Doubt Phase)
সময় যত যায়, অসামঞ্জস্যের ফাটল দেখা দেয়:
কে বেশি পরিশ্রম করছে?
কার সিদ্ধান্ত বেশি মূল্যবান?
লাভের বণ্টন কার পক্ষে?
পারিবারিক চাপ, ব্যক্তিগত লক্ষ্য ও অর্থনৈতিক চাহিদা মেলেনা।
এই পর্যায়ে পার্টনাররা ব্যক্তিগত সীমারেখা হারায়, পেশাদারিত্বও ভেঙে পড়ে।
পর্যায়-৩: ভাঙনের শুরু (Conflict & Power Shift)
এখানে অবিশ্বাস জন্ম নেয়। এক পক্ষ মনে করে অন্য পক্ষ তাকে ব্যবহার করছে; সিদ্ধান্তগুলো পক্ষপাতদুষ্ট মনে হয়। আনুষ্ঠানিক চুক্তি না থাকলে অভিযোগ বনাম পাল্টা অভিযোগের খেলা শুরু হয়। যারা একসময় স্বপ্ন শেয়ার করত, তারা এখন একে অপরকে প্রমাণ করতে চায়, “আমি না থাকলে তুমি কিছুই না।”
পর্যায়-৪: ভরাডুবি (Collapse)
একসময় এই দ্বন্দ্ব গ্রাহক, কর্মী, বিনিয়োগকারী — সবার সামনে প্রকাশ পায়। কোম্পানির ফোকাস প্রোডাক্ট থেকে সরে গিয়ে কোর্ট কেস, অ্যাকাউন্ট সিজার, মিডিয়া ড্রামায় আটকে যায়। ৯০% পার্টনারশিপ এখানে ভেঙে পড়ে।
কেন এমন হয়? (Research Insight)
১. অস্পষ্ট ভূমিকা ও দায়িত্ব – শুরুতে কার কী কাজ, কে কী সিদ্ধান্ত নেবে তা নির্ধারণ না করাই মূল সমস্যা।
২. ইগো ও পাওয়ার গেম – ব্যবসা যত বড় হয়, “আমার অবদান বেশি” মনোভাব তীব্র হয়।
৩. অর্থনৈতিক ও ব্যক্তিগত জীবনচক্রের অমিল – একজন হয়তো ঝুঁকি নিতে চায়, অন্যজন স্থিতিশীলতা খোঁজে।
৪. আইনি ও আর্থিক চুক্তির অভাব – লিখিত চুক্তি না থাকায় দ্বন্দ্বের সমাধান প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।
Monday, 4 August 2025
হাসিনার পালানোর এই একটিমাত্র ছবি। কে ধারণ করেছেন এই ভিডিও?
বিমান বাহিনীর অভ্যন্তরের ‘র’ নেটওয়ার্ক ফাঁস
ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট ২০২৪ দুপুরে কুর্মিটোলা বিমানবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যান। তার পালিয়ে যাওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিও দৃশ্যের সঙ্গে সবাই পরিচিত। হাসিনার পালানোর এই একটিমাত্র ছবি। কে তুলেছেন এই ছবি এবং কে ধারণ করেছেন এই ভিডিও? সঙ্গে সঙ্গে নেট দুনিয়ায় ভিডিওটি আবার ছড়িয়ে দিলোই বা কে?
এয়ার ইন্টেলিজেন্স এই ঘটনার অনুসন্ধান এবং ছবি ধারণকারী ব্যক্তিকে ধরতে গিয়ে উদঘাটন করল বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অভ্যন্তরের ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর এক নেটওয়ার্ক। এই নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতায় গ্রেপ্তার বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার আবদুল্লাহ ইবনে আলতাফকে ইতোমধ্যে কোর্ট মার্শাল করে ১০ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন কাশিমপুর কারাগারের হাই সিকিউরিটি সেলে বন্দি আছেন। ‘র’ সংশ্লিষ্টতায় বিমান বাহিনীর উচ্চপদস্থ ৬ কর্মকর্তা- এয়ার ভাইস মার্শাল এম এ আউয়াল হোসেন, এয়ার ভাইস মার্শাল জাহিদুল সাঈদ, এয়ার কমডোর মোহাম্মদ আমিনুল হক, গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবদুল্লাহ আল ফারুক, গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ শামীম ও উইং কমান্ডার সাইয়েদ মোহাম্মদকে শনাক্ত করে তাদেরকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ এয়ার ফোর্সের ভেতরে ‘র’-এর শ্যাডো রিক্রুটার হিসেবে কাজ করতেন স্কোয়াড্রন লিডার আবদুল্লাহ ইবনে আলতাফ। এয়ার ইন্টেলিজেন্স তাকে আইডেন্টিফাই করার পর ২০২৪ সালের ১৪ আগস্ট ডিজিএফআইর হাতে তিনি গ্রেপ্তার হন। তার ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় ভারতীয় প্যারা কমান্ডোর ব্যবহার করা দুটি এফএন-৯০ এবং সিগপি-২২৯ রাইফেল ও এক কোটি নগদ টাকাসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস। ভারতীয় ‘র’-এর সক্রিয় এই এজেন্টকে শনাক্ত করা সম্ভব হয় শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার ছবি ধারণ করা বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাকে ধরতে গিয়ে। বিমান বাহিনীর কুর্মিটোলা এয়ারবেইসের অফিসার্স মেসের জানালা থেকে ছবিটি তুলেছিলেন ফ্লাইট লে. রিফাত আশরাফী। আর ছবিটি নেটে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তাহসিফ সুরি। তাদের দুজনকেই বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
শেখ হাসিনার পলায়ন দৃশ্য কেবল এক অ্যাঙ্গেলের ভিডিও থেকেই দেখা যায়। এই ছবির সূত্র ধরে শুরু হয় এয়ার ইন্টেলিজেন্সের গোপন তদন্ত। এতে পরিষ্কার হয়ে যায়, এই ভিডিও করেছেন মাত্র একজন এবং সেটা বেশ দূর থেকে। ভিডিও করার অ্যাঙ্গেল, অবস্থান ও ক্যামেরা প্যান করার পর্যবেক্ষণ করে এয়ার ইন্টেলিজেন্স কোন কক্ষ থেকে এবং কে এই ভিডিও দৃশ্য ধারণ করেন তা আইডেন্টিফাই করতে সক্ষম হয়। ফ্লাইট লে. রিফাত আশরাফীকে ধরা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, তার অফিসের রুমের জানালা থেকে তিনি ছবিটি তুলেছেন। শেখ হাসিনা বিমান বাহিনীর সি-১৩০-জে বিমানে করে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে কলকাতা হয়ে দিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তার পলায়নের এই রুট এবং বিমানে করে যাচ্ছেন সে কথা যাতে জানাজানি না হয়ে যায় সেজন্য ছবিটি তোলা ও ভাইরাল করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে করে ত্রিপুরা পালিয়ে যাচ্ছেন-আগেই এই ন্যারেটিভকে এস্টাবলিশড করা।
ছবি ধারণকারী রিফাতের মোবাইল ফরেনসিক করার সময় তদন্তকারী এয়ার ইন্টেলিজেন্স আবদুল্লাহ ইবনে আলতাফের যোগসূত্রতা আবিষ্কার করা হয়। জানা যায়, তিনি ‘র’-এর সক্রিয় এজেন্ট।
এয়ার ইন্টেলিজেন্স প্রথমে আবদুল্লাহ ইবনে আলতাফকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের তদন্তে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে পড়ে। বড় ঘটনা বুঝতে পেরে এয়ার ইন্টেলিজেন্স বিষয়টি ডিজিএফআইর নজরে আনে। ডিজিএফআই ১৪ আগস্ট ২০২৪ তাকে আটক করে বিষয়টি সম্পর্কে অধিকতর তদন্ত শুরু করে। তদন্তে ‘র’-এর সঙ্গে আবদুল্লাহ ইবনে আলতাফের জড়িত থাকা প্রমাণিত হয়। কোর্ট মার্শালে তার ১০ বছরের জেল হয়। বর্তমানে তিনি কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন।
আবদুল্লাহ ইবনে আলতাফের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ‘র’-এর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বিমান বাহিনীর এমন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের শনাক্ত করা হয়। ইতোমধ্যে ৬ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনার তদন্তে শুধু এয়ার ফোর্সের ৬ জন অফিসারই নন, আরো ‘পারমানেন্টলি সাসপেন্ড’ দেখানো হয়েছে ৪ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে। এরা হলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিরপুর ডিভিশনের তৎকালীন ডেপুটি কমিশনার জসিম উদ্দিন মোল্লাহ, গুলশান ডিভিশনের অ্যাডিশনাল ডেপুটি কমিশনার রফিকুল ইসলাম, যাত্রাবাড়ী জোনের ট্রাফিক অ্যাসিসট্যান্ট কমিশনার তানজিল আহমেদ ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অ্যাসিসট্যান্ট সুপারিন্টেডেন্ট মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। এরা সবাই ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা ও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করেছেন। এদের স্টেশন মাস্টার ছিলেন গুলশান জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার ইফতেখার মাহমুদ (ডিবি)। এই পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন বিমান বাহিনীতে ‘র’-এর সক্রিয় এজেন্ট স্কোয়াড্রন লিডার আবদুল্লাহ ইবনে আলতাফের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আর এদের মূল কমান্ডার ছিলেন বাংলাদেশে ‘র’ নেটওয়ার্কের অন্যতম প্রধান ব্যক্তি সেনা কর্মকর্তা লে. জেনারেল মুজিবুর রহমান, যিনি জেনারেল মুজিব নামে পরিচিত।
উচ্চ পর্যায়ের তদন্তে উদঘাটিত হয়েছে- ভারতীয় ইন্টেলিজেন্সের পক্ষে শ্যাডো এজেন্ট হিসেবে কাজ করায় ‘র’ স্কোয়াড্রন লিডার আবদুল্লাহ ইবনে আলতাফকে একটি ব্র্যান্ড নিউ হুন্দাই গাড়ি উপহার দিয়েছে। তাছাড়া ‘র’-এর পক্ষ থেকে তার কাছে নিয়মিত সুন্দরী নারী পাঠানো হতো।
৫ আগস্ট ২০২৪ অস্ত্রসহ ইফতেখার আবদুল্লাহ ইবনে আলতাফের সহায়তায় এয়ার ফোর্সের বাসভবন ফ্যালকন টাওয়ারে আশ্রয় নিয়ে লুকিয়ে ছিলেন। এদের মধ্যে আবদুল্লাহ ইবনে আলতাফের ‘র’ কানেকশন ফাঁস হয়ে যায় এবং তিনি গ্রেপ্তার হন। একই কানেকশনে গ্রেপ্তার হন পুলিশ কর্মকর্তা ইফতেখার।
Saturday, 2 August 2025
আমার জন্ম কোলকাতা কিন্তু আমরা নোয়াখাইল্ল্যা
আমার জন্ম কোলকাতা কিন্তু আমরা নোয়াখাইল্ল্যা...
দেশের বাড়ির জন্য সবসময় অন্যরকম এক অনুভূতি কাজ করে কারণ আমার বাবা,মা,জ্যাঠা,কাকাদের প্রায় সকলের জন্মস্থান নোয়াখালী বেগমগঞ্জে।
আমার বয়স বর্তমান ৬৭ বছর।১৯৪৬ এর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার অল্প কিছু দিন আগে আমার 'ন 'কাকা উপেন্দ্র কিশোর কর কলকাতায় চলে আসেন।আমার জ্যাঠামশাই নগেন্দ্র কিশোর কর অবিভক্ত বাংলাদেশের আমিন ছিলেন তিনি কর্ম সূত্রে দিনাজপুরের বাসিন্দা হয়েছিল বর্তমান এপার বাংলার রায়গঞ্জে।দাঙ্গা শুরু হওয়ায় আমার মা ঠাকুমা ছোট কাকা দ্বিজেন্দ্র কিশোর কে নিয়ে কলকাতার বাবা কাকার কাছে চলে আসন। শুধু সেজ কাকা হেমচন্দ্র কিশোর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে থেকে যায়,পরবর্তীকালে তার কোন খবর জানা নেই।আমাদের বাড়িটি বেগমগঞ্জে 'কর' বাড়ি নামে পরিচিত ছিল।
মৃত্যুর শেষদিন অবধি বাবা মা নোয়াখালীর ভাষা ছাড়া কোলকাতার ভাষা রপ্ত করতে পারে নি।মায়ের উচ্চারণ ব্যায়াম গঞ্জের উত্তরে করে গো বাড়ী -----। বাবা মারা যান ১৯৮৭ সালে মা ১৯৯২ সালে কাকা জ্যাঠার তার আগেই মারা গিয়েছে।আমি যতটুকু জানি ব্যয়ামগঞ্জ বলে কোন জায়গা ছিল না বেগম গঞ্জে কথা জানি।নোয়াখালী হতে উদ্বাস্ত হয়ে কোলকাতা আসার পর আমার জন্মের পর থেকেই দেখেছি জীবন ধারনের জন্য বহুমূখি সংগ্রাম করেছে আমাদের পরিবার।পরবর্তীকালে সকলেই এপার বাংলায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এখন শুধু মনে চায় পূর্বপুরুষের ভিটের একমুঠো মাটি এনে আমার বাবা মায়ের চরণ মন্দিরে রেখে মাথা ঠেকাই।জানি খুঁজে পাওয়া দূরুহ।তবু বিফলতায় কখনও হয়তো জীবনের শেষে সফলতা আসবে।
আবার ও আপনাদের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শ্রদ্ধা জানিয়ে শেষ করছি আর্তিটা।
গোপাল কৃষ্ণ কর
কোলকাতা
+919830357133
Tuesday, 17 June 2025
যে কারণে আমি বহু টাকা বিনিয়োগে বাড়ি করার বিরোধী!
যে কারণে আমি বহু টাকা বিনিয়োগে বাড়ি করার বিরোধী!
বাংলাদেশে এসেটের দামের তুলনায় ভাড়া নিতান্তই কম!!
উদাহরণ স্বরূপ বলি। ধরেন আপনি উত্তরায় ২০০০ স্কয়ার ফিটের একটা বড়সড় ফ্ল্যাট কিনলেন, দাম নিল দুই কোটি টাকা। এই বাসার ভাড়া হবে বড়জোড় মাসিক পঞ্চাশ হাজার টাকা।
ধরে নিলাম কেউ বাসাটা কিনে নিজেই থাকা শুরু করলেন।
এটা না কিনে, পঞ্চাশ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে সে এই বাসাতেই এক বছরে মাত্র ছয় লাখ টাকা দিয়ে থাকতে পারে। মানে দশ বছর থাকতে পারে ষাট লাখ টাকায়। তিরিশ বছর থাকতে পারে এক কোটি আশি লাখ টাকায়!
এই দুই কোটি টাকা হালাল এবং বিজনেস পন্থায় ইনভেস্ট করে প্রতি মাসে অন্ততঃ দুলক্ষ টাকা অনায়সে বানাতে পারে। তাহলে বৎসরে চব্বিশ লক্ষ টাকা। যদি আমরা এটা ত্রিশ বছর ধরি তাহলে (৩০×২৪=৭,২০,০০০০০) সাত কুটি বিশ লক্ষ টাকা! এটা কতটা সফলতা বিচার আপনার হাতে।
কিন্তু যদি আপনি ফ্ল্যাট ই কিনতেন তাহলে এই তিরিশ বছরে আপনার ফ্ল্যাট এর চেহারার অবস্থা কি দাঁড়াবে একবার ভেবে দেখুন তো? ফ্ল্যাট তো জমি না, এর ডেপ্রিসিয়েশন আছে। এখনকার বাজারে তিরিশ বছরের পুরনো একটা ফ্ল্যাট বিক্রি করতে যান, বুঝবেন। ক্রেতা পান কিনা সন্দেহ! আর নিজেরা থাকলে প্রজন্মের রুচি ও দাবি অনুযায়ী বিল্ডিং ভেংগে আবার নতুন করে বাড়ি বানাতে কি পরিমাণ নতুন পুঁজি প্রয়োজন তার হিসেব মিলিয়ে নিন! কিন্তু যদি ভাড়া থাকেন পুরো তিরিশ বছরই নতুন ফ্ল্যাটে থাকতে পারবেন, সুবিধা অনুযায়ী এলাকায় শিফট করতে পারবেন, পরিবেশ ভাল না লাগলে বদলে ফেলতে পারবেন।
অনেকে আবার লোন করে ফ্ল্যাট কিনে। বিশ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে যে ফ্ল্যাটে থাকা যায়, সেই ফ্ল্যাটে ডাউন পেমেন্টের টাকা পকেট থেকে দিয়ে চল্লিশ হাজার টাকা প্রতি মাসে কিস্তি দেয়। এসেট হয়ে যায় লায়াবিলিটি, প্রতি মাসে যার খরচ অতিরিক্ত বিশ হাজার টাকা!
"নিজের বাড়ি" একটা বিংশ শতকের এলিটিস্ট আবেগ। একে প্রশ্রয় নিতান্তই বড়সড় বোকামি!
-সংগৃহীত।
Subscribe to:
Posts (Atom)