Saturday, 5 September 2009

বৌদ্ধ ধর্মের নামে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, চরমপন্থা কিংবা সন্ত্রাসবাদ

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অবস্থিত নৌ বাহিনীর মেরামত ঘাঁটিতে সামরিক বাহিনীর এক সাবেক সদস্য কর্তৃক আভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটে (এখানে), যার ফলে ১২ জন ব্যক্তি প্রাণ হারান। এমন ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে নতুন নয়। যুদ্ধ ফেরত কিংবা অন্যান্য কারণে ছাটাইয়ের স্বীকার সদস্যগন – যারা সহসা বেসামরিক পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে পারেনা কিংবা নিজেদের অন্যায়ের স্বীকার বলে মনে করে- তারা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে এমন সন্ত্রাস ঘটানোর বহু উদাহরণ আছে। অ্যারন আলেক্সিস নামক এই ব্যক্তিটিও সামরিক বিভাগের নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য- যে মনে করেছে তাকে অন্যায় ভাবে ছাঁটাই করা হয়েছে। তবে এবারের ঘটনা একটু ভিন্ন ভাবে সংবাদ মাধ্যমে আসছে এই কারণে যে, অ্যারন অ্যালেক্সিস বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত একজন ব্যক্তি। সাধারণে- বিশেষত পাশ্চাত্য সমাজে একটি সাধারণ ধারনা হল বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত ব্যক্তিগণ সাধারণত চরমপন্থার (অপরের ক্ষতি করে) আশ্রয় নেননা – যদিও প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে অন্য রকম চরমপন্থা তথা অগ্নিসংযোগ করত আত্মাহুতি দিতে প্রায়ই দেখা যায় বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মাঝে।
মানব ইতিহাসের অন্যতম ব্যাপক ধর্মীয় চরমপন্থার ডামাডোলে, সমসাময়িককালে যেখানে খ্রিস্টান, মুসলিম, হিন্দু, ইহুদি কিংবা শিখ ধর্মীয় চরমপন্থিদের কর্মকাণ্ডের স্বীকার কোটি নিরপরাধ মানুষ- সেখানে বৌদ্ধ ধর্ম পালনকারীরা আপাত ভাবে এই অপবাদ থেকে মুক্তই বলা যায়। বৌদ্ধ ধর্মে অহিংসা এবং ভালোবাসা যেন একে অপরের পরিপূরক। সিদ্ধার্থ গৌতমের শিক্ষা, যা সম্রাট অশোক কর্তৃক স্বীকৃত এবং গৃহীত হয় এবং তাঁর রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় প্রাচীন কালেই সমস্ত পৃথিবীতে এই স্বীকৃতি লাভ করে। কিন্তু বাস্তব বোধয় এতটা সরল নয়। অন্যান্য যেকোনো ধর্মের মতই বৌদ্ধ ধর্মের গুরু কিংবা কোন কোন অনুসারী ব্যক্তি- রাষ্ট্রের, রাজ্যর কিংবা সমাজের রাজনীতি লালন, কিংবা আরও সঙ্কীর্ণ ধর্ম বিশ্বাস ভিত্তিক উপদলয় ঘৃণা পোষণ হতে মোটেও দূরে থাকতে পারেনি কোন কালেই।
সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য কেউ কেউ অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে যেয়ে যেমন নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন কিংবা প্রতিপক্ষের অত্যধিক ক্ষমতার কারণে কিছু করতে না পেরে আত্মাহুতি দিয়ে প্রতিবাদ করেছেন; তেমন আবার কেউ কেউ মেকিয়াভেইলী কিংবা সানজুর তত্ত্বকেও লজ্জা দিয়ে- জনসাধারণকে ধোঁকা প্রদানের মাধ্যমে তাদের ধর্মীয় আবেগকে নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ব্যবহার করেছে।
ইসলামিক / খৃস্টান / ইহুদি / হিন্দু গোঁড়া মৌলবাদী, জঙ্গি/টেররিস্ট ইত্যাদির সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। কোন ধর্মই চরমপন্থা কিংবা অসহিষ্ণুতা প্রশ্রয় দেয়না। ধর্ম পালনকারী, বিশেষত নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিগণ তাদের নিজেদের সুবিধার জন্য ধর্মকে নিজেদের মত করে ব্যবহার করে। খুব স্বাভাবিক ভাবে বৌদ্ধ ধর্মও ব্যতিক্রম নয়।
বৌদ্ধ ধর্মের সৃষ্টি দক্ষিণ এশিয়ায় কিন্তু বর্তমানে এর প্রধান কেন্দ্র মধ্য, পূর্ব এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া। বৌদ্ধ ধর্মের নামে চরমপন্থার কিছু সংক্ষিপ্ত উদাহরণ –
প্রাচীন এবং মধ্য যুগ:
১. ভারত: বৌদ্ধ ধর্মের জন্ম অথবা এর চিন্তা ধারা প্রাচীন সনাতন ধর্মের সাম্প্রদায়িক বিরুদ্ধে একটি আন্দোলন। ভারতে ইসলামিক কিংবা হিন্দু ধর্ম পালনকারী কতক জনসাধারণের অসহিষ্ণুতা সর্বজনবিদিত এখানে যেমন মসজিদ ভেঙেছে হিন্দুরা তেমনি মুসলমানদের দ্বারাও মন্দির ভাঙ্গার ইতিহাস আছে। কিন্তু তারও মুসলিম-হিন্দু সংঘর্ষের আগে ভারতে বৌদ্ধ-হিন্দু ক্লেশ ছিল যা প্রায় ১৬০০ বছর ছিল এবং চরম আকার ধারণ করেছিল ৪০০-১০০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্য। এমন অনেকবার হয়েছে যেখানে বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীদের কাছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা নিগৃহীত হয়েছে।
২. জাপান: বিংশ শতকের শুরুতে জাপানের সাম্রাজ্যবাদী নীতি সম্পর্কে সবার কম বেশি ধারণা আছে। তখনও জাপানের প্রচুর মানুষ বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী ছিল এবং তৎকালীন সম্রাট হিরোহিতকে বৌদ্ধ , শিন্টো এবং টাও ধর্মের প্রধান মনে করা হতো। এছাড়া জাপানে বৌদ্ধ সশস্ত্র সামুরাই ক্ল্যান ছিল “সোহাই” বলা হত। বৌদ্ধ গুরুদের থেকে মধ্যযুগ হতেই জাপান তার সাম্রাজ্যবাদী নীতি সমর্থন পেয়ে আসছে ।
৩. চীন: বর্তমান এবং মধ্যযুগের মতই প্রাচীনকাল হতেই দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মূল শক্তিকেন্দ্র চীন। অষ্টাদশ শতকের চীনের বড় দুটো বিদ্রোহে এবং বিংশ শতাব্দীতে গৃহযুদ্ধে চীনের বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। এছাড়া প্রাচীন যুগে বৌদ্ধ হানাহানির প্রমাণ পাওয়া যায় এবং মধ্য যুগে তিব্বতের ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে এশিয়ার বিভিন্ন যায়গায় মঙ্গোল আগ্রাসনকে সমর্থন দেবার প্রমাণ আছে।
আধুনিক যুগ:
১. শ্রীলঙ্কা: এখানে বৌদ্ধরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। গৃহযুদ্ধে শ্রীলঙ্কার বৌদ্ধ ভিক্ষু / মঙ্কগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। শ্রীলঙ্কায় খ্রিস্টান, হিন্দু এবং মুসলিম জনগোষ্ঠী নিয়মিত বৌদ্ধ চরমপন্থিদের নিগ্রহের স্বীকার। তামিল বিদ্রোহের অন্যতম প্রধান কারণ হিন্দু তামিলদের উপর বৌদ্ধ চরমপন্থিদের নিগ্রহ। শ্রীলঙ্কান মুসলিমরাও কম নিগ্রহের স্বীকার নয়। কিছুদিন আগেই একটি মুসলিম মাজার ধ্বংস করা হয় এক ভিক্ষুর নেতৃত্বে। অথুরল্ল্যা রাথনা থেরো (Athuraliye Rathana Thero) একজন সর্বজন স্বীকৃত অতি উগ্র
জাতীয়তাবাদী জঙ্গি বৌদ্ধ ভিক্ষু, যিনি আবার শ্রীলঙ্কার আইনসভার সদস্য। ঠিরুকেথিস্রাম, আন্নুরাধাপুরা এবং ডাম্বুলাতে মসজিদ এবং মন্দির ভাঙ্গার নেতৃত্বে ভিক্ষুরা ছিল।
২. বার্মা / মিয়ানমার: বার্মার সংখ্যাগুরু বামার/ মিয়ান্মা জাতিগোষ্ঠীর বৌদ্ধ। বার্মার মিয়ান্মা জাতিগোষ্ঠীর কাছে যেমন অন্যান্য কারেন, শান, কাচিন ইত্যাদি জনগোষ্ঠী নিগৃহীত, তেমনি সামগ্রিক ভাবে বৌদ্ধ চরমপন্থিদের কাছে রোহিঙ্গা মুসলিমরা এবং কাচিন খ্রিষ্টানরা নিগৃহীত।
মিয়ানমারে বৌদ্ধ চরমপন্থার নেতৃত্বে আছে আসীন উইরাথো (Ashin Wirathu) নামক এক বৌদ্ধ ভিক্ষু। তিনি সিস্টেম্যাটিক উপায়ে মিয়ানমারকে মুসলিম মুক্ত করতে বদ্ধ পরিকর। কুখ্যাত ব্রিটিশ গোঁড়া বর্ণবাদ ভিত্তিক জাতীয়তাবাদী সংঘটন ইংলিশ ডিফেন্স লিগের কাজের ধারার একনিষ্ঠ প্রশংসাকারী এই ভিক্ষু। তার মতে নিজ ধর্ম এবং জাত রক্ষা করা গণতন্ত্র রক্ষার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। তার কথা এবং পাবলিক বক্তব্যর ধরন এক জন মুসলিম, খ্রিস্টান, হিন্দু কিংবা ইহুদী উগ্রবাদী ধর্মীয় নেতার থেকে কোন অংশেই ভিন্ন নয়।
অক্টোবর ১৪, ২০১২ সালে মিয়ানমারের মাই বাং মঠে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এখানে প্রায় ১০০ বৌদ্ধ অংশ নেন ইউ উয়াইদাজা প্যাগোডার প্রধান ভিক্ষু জো কেপিন তঙ্গ (Zwe Kapin Taung) এর ঘোষণায় সর্বসম্মতিক্রমে কতগুলো সিদ্ধান্ত হয়:
১. মিয়ানমারের কোন বৌদ্ধ মুসলিমদের কাছে কোন জমি, বাড়ি বিক্রি করতে পারবেনা।
২. বৌদ্ধ মেয়েদের সাথে মুসলিম মেয়েদের বিয়ে দেওয়া যাবেনা।
৩. বৌদ্ধদের কেবল বৌদ্ধ মালিকানাধীন দোকান হতে সামগ্রী ক্রয় করার জন্য উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।
৪.বৌদ্ধদের জমি, বাড়ি বিক্রি কিংবা ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে মুসলিমদের সাহায্য কিংবা নিজেদের নাম ব্যবহার করতে কঠোর ভাবে নিষেধ করা হচ্ছে।
এখানে আরও ঘোষণা করা হয় যারা উক্ত আদেশ মানবেন তারা শাস্তি প্রাপ্য।
এটা সমগ্র বার্মার ক্ষুদ্র চিত্র। মিয়ানমারের প্রধান জনগোষ্ঠী বামাররা/মিয়াম্মারা মুসলিমদের নাগরিক অধিকার হতে বঞ্চিত করেছে। মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট প্রস্তাব করেছেন রোহিঙ্গা মুসলিমদের তৃতীয় কোন দেশে শান্তিপূর্ণ ভাবে স্থানান্তরিত করা হউক। এটা অবশ্যই কেবল শাসক গোষ্ঠীর আচরণ নয়, মিয়ানমারের বৃহত্তর বামার জনগোষ্ঠীর “ভক্স পপুলাই” যার ইন্ধনে আছে কতক বৌদ্ধ ভিক্ষুরা।
আফগানিস্তানের তালেবান দের সাথে বার্মার এই বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদীর কোন পার্থক্য নেই। আফগানিস্তানে তারআ কট্টর ইসলামিক দেশ গঠন করতে চায় আর মিয়ানমার / বার্মায় এরা স্বপ্নের গোঁড়া বৌদ্ধ রাষ্ট্র গঠন করতে চায়।
৩. থাইল্যান্ড: গত শতাব্দীর মধ্যভাগে থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ ভিক্ষুগণ কম্যুনিস্ট দমনে জড়িয়ে পরে- এর জন্য সামরিক জান্তাদের সাথে আঁতাত করতেও তারা পিছুপা হন না। সামরিক জান্তার মদদে যে আধাসামরিক বাহিনী থামাথা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যা (১০০ রো বেশি নিহত এবং শতাধিক আহত) চালিয়েছিল তার নেতৃত্বে ছিল ফ্র্যা কিতিউত্থা (Phra Kittiwuttho) নামক এক বৌদ্ধ ভিক্ষু যার যিনি মনে করতেন কম্যুনিস্টদের হত্যা করা পাপ নয়।
থাইল্যান্ডের দক্ষিনাঞ্চলে সরকার বিচ্ছিন্নতাবাদ দমন করতে নিয়মিত বাহিনীর সাথে সাথে রাজকীয় কমিশনড সহ সশস্ত্র ভিক্ষু নিয়োগ দিয়েছে। ধর্ম এবং রাষ্ট্র যেখানে একে আপরের পরিপূরক। সশস্ত্র বুদ্ধ ভিক্ষুরা বিভিন্ন মানুষ প্যাগোডায় এনে প্রায়ই জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং অনেক ক্ষেত্রে নির্যাতন করছে এবং হত্যা করছে – যেমনটি সাধারণত কোন বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনরত এলাকায় নিয়মিত সরকারি আধাসামরিক বাহিনীর করতে দেখা যায়।
৪. কম্বোডিয়া: কম্বোডিয়ায় খেমারুজরা বৌদ্ধ ধর্মের নামে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। পলপট, যে যৌবনে বৌদ্ধ ভিক্ষু ছিল নিজেকে দেশের বৌদ্ধদের প্রধান মনে করত। চাম জাতিসত্তার মুসলিমরা গণ হত্যার স্বীকার হয় কম্বোডিয়ায়।
সমাজের নিয়ন্ত্রণ যাদের হাতে তারা প্রতিটি ধর্মকেই উপলক্ষ হিসেবে ব্যবহার করে – যুগে যুগে তাই হয়ে আসছে। এটাকে মানব কল্যাণ এবং শান্তির দূত হিসেবে ব্যবহার করা যায়; আবার ধ্বংসের হাতিয়ার হিসেবেও ব্যবহার করা যায়, যা হয়ত উক্ত ধর্মের মৌলিক ভিত্তির সাথেও সাংঘর্ষিক । আসলে ধর্মকে দোষ দিয়ে লাভ নেই- ধর্মকে যারা এভাবে ব্যবহার করে তাদেরই কাঠগড়ায় দাড় করাতে হবে।
এই পোষ্টের উদ্দেশ্য বৌদ্ধ ধর্ম পালনকারী, বৌদ্ধ ভিক্ষু কিংবা বৌদ্ধ ধর্মের সমালোচনা করা নয় নয়। শুধুই সামান্য আলোচনার চেষ্টা – ইসলাম, খ্রিস্টান, হিন্দু কিংবা ইহুদি ধর্মের অনুসারীদের মধ্য যেমন মানবতা বিরোধী কাজ সম্পাদনকারী ব্যক্তি আছে তেমন বৌদ্ধ ধর্ম পালনকারীদের মধ্যও এমন ব্যক্তি আছে। আদতে ধর্মের কথা বলে সাধারণ মানুষের পরাজাগতিক ধর্মীয় আবেগ কে হীন ভাবে ব্যবহার করে খুবই জাগতিক অনৈতিক কাজ কিংবা হীন-স্বার্থ সম্পাদনের চেষ্টা হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরেই।
বইঃ
১. Buddhist Warfare by Michael Jerryson and Mark Juergensmeyer
২. Buddhist Fury by Michael K. Jerryson
৩.Zen at War by Brian Daizen Victoria
৪. The Buddha and the Terrorist, by Satish Kumar
৫.Books & Research Papers by Mahinda Deegalle, Bath Spa University, Humanities, Faculty Member
ব্লগ এবং অপিনিয়নঃ
২. The Face of Buddhist Terror, by Hannah Beech, time.com
৪. Buddhist Terrorism: No Longer A Myth, By Dr. Habib Siddiqui, eurasiareview.com
৫. Who Holds Real Power in Myanmar? by Aung Aung Oo, Salem-News.com
৬. Of A Sustained Buddhist Extremism in Sri Lanka, by Raashid Riza, the-platform.org.uk
৭. Monks With Guns: Discovering Buddhist Violence, by Michael Jerryson, religiondispatches.org
৮. buddhism-has-extremists-too, by Jen, freethoughtblogs.com
নিয়মিত সংবাদঃ
৭. Muslim shrine destroyed in Anuradhapura, transcurrents.com
উইকিপিডিয়াঃ

No comments:

Post a Comment